ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_১০ #সারিকা_হোসাইন®

0
29

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_১০
#সারিকা_হোসাইন®
●●●●
ঘুটঘুটে অন্ধকার নিশুতি রাত।কিছুক্ষন আগের আলো বিলিয়ে দেয়া চাঁদটাকে কুটকুটে কালো মেঘ পুরো দমে গ্রাস করে ফেলেছে।মেঘের ঘন অন্ধকারে চাঁদটি তার চকচকে রুপালি আলো ছড়াতে ব্যার্থ হয়েছে।শহরের ল্যাম্পোস্ট আর সোডিয়াম লাইট গুলো ব্যাতিত নিভিতে শুরু করেছে শহরজুড়ে বসবাস করা মানুষের ঘর আলোকিত করার কৃত্তিম ফকফকে বাতিগুলো।রাস্তায় মানুষের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে আরো অনেক আগেই।অদূরে মাঝে মাঝে নেড়ি কুকুর গুলো ঘেউঘেউ করে তাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।চারপাশ গা ছমছমে অনুভূতি দিচ্ছে।

এমন ভয়ংকর গা শিউরে উঠা পরিবেশে হাতে একটা টর্চ আর রিভলবার নিয়ে দৌড়ে চলেছে রাজ্য।উদ্দেশ্য একটাই যুবরাজের ভুত মাথা থেকে নামিয়ে বেনজির আশফীর বাড়ির ভুত টাকে কব্জা করা।কিন্তু বিপত্তি বাধলো গুলশান সোসাইটির গেইটের সামনে এসে।সে আগে কখনো কমান্ডারের বাড়িতে আসেনি।আসার প্রয়োজন ও হয়নি।বেনজির আশফী তাকে ভুত ধরার দায়িত্ব ও দেয়নি।নিজ উদ্যোগে এখানে এসেছে সে।অফিস কলিগদের কাছে সে শুনেছিল কমান্ডার এর বাসা নম্বর 236 আর বাসার ভেতর থেকে সবসময় বিদেশি কুকুরের ঘেউঘেউ শোনা যায়।কিন্তু 236 এর আগে পরে কি আছে তা সে জানেনা।

সোসাইটির লোহার গেটে হেলান দিয়ে কপালে রিভলবার এর নল ঠেকিয়ে কিছুক্ষন সে নিজে নিজেই চিন্তা করলো

“যতগুলো 236 নম্বর বাসা আছে সব গুলো ঢু মারবো।যেটাতে দেখবো বিদেশি কুকুর বাধা আছে ঐটাই খারুস কমান্ডার এর বাড়ী”

নিজেকে নিজেই শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমানের তকমা দিয়ে খুব দক্ষ ভাবে গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করলো।আশেপাশে চোখ বুলাতেই শ্লেষ হাসলো রাজ্য
“ব্যাটা নাইট গার্ড এখুনি এভাবে ঝিমুচ্ছিস বাকি রাত কি করবি?তাইতো বলি ভুত গুলশান সোসাইটি তে কিভাবে ঢুকলো?নিষ্কর্মার দল।

সময় ব্যায় না করে দ্রুত পদে হেটে খুঁজতে লাগলো 236 নম্বর বাসা।হঠাৎই একটি বাসার নম্বর প্লেট দেখে খুশিতে বত্রিশ পাটি দাঁত বেরিয়ে এলো তার।কিন্তু মুহূর্তেই সেই দাঁত ফিনফিনে পাতলা চিকন ঠোঁটের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেলো।কারন বাসা নম্বর 236/A তারমধ্যে গেইটে দারোয়ান পাহারত রয়েছে।

সর্ব কনিষ্ঠ আঙ্গুলি দিয়ে নিজের মাথা চুলকে দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরলো রাজ্য।

“যতদূর জানি চিপ কমান্ডার এর বাসার সামনে কোনো দারোয়ান নেই।আর বাসাটি নাকি খুবই নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর!এটা কোনো ভাবেই বেনজির আশফীর বাসা হতে পারে না।এটা তো এপার্টমেন্ট কম ফ্যাক্টরি বেশি মনে হচ্ছে।

হঠাৎই বাসাটির দারোয়ান ভারিক্কি গলায় ডেকে উঠলো
“কেরা ঐহানে ?

লোকটির কাছে এতো জবাবদিহিতা করার সময় রাজ্যের হাতে নেই।তাই দ্রুত কেটে পড়ে অন্য গলিতে ঢুকে গেলো সে।গলিটির চারপাশে চোখ বুলাতেই অপূর্ব এক ভালোলাগায় ছেয়ে গেলো তার মন।
এই গলিটি অন্য সকল গলির থেকে আলাদা।এখানে এক সাথে অনেক গুলো এপার্টমেন্টের জড়াজড়ি নেই সেই সাথে প্রশস্ত চকচকে রাস্তা।পুরো এরিয়াটা ফাকা ফাঁকা আর বাড়ির ডিজাইন গুলোও খুব সুন্দর।মনোরম এই গলিতে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই রাজ্যের চোখ যায় পনেরো তলা বিশিষ্ট একটি এপার্টমেন্টের নম্বর প্লেটের দিকে।সেখানে বড় বড় এক্রাইলিক এম্বুষড অক্ষরে মিরর শাইন লেজার কাট এপার্টমেন্ট নম্বর 236/B লেখাটি চকচকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে।এপার্টমেন্ট টির সামনে বিশাল এরিয়া জুড়ে বাহারি দেশি বিদেশি ফুলের সুন্দর একটি গার্ডেন শোভা বর্ধন করেছে।না আছে পাহারাদার না আছে কোনো কোলাহল।বাড়িটির নিচ থেকে উপর পর্যন্ত চোখ বুলাতেই ছয় তলার দিকে নজর দিতেই ক্ষীণ আলো চোখে লাগলো।সাথে কুকুরের অল্প ঘেউঘেউ কানে এলো।
রাজ্য নিজের বুকে নিজেই চাপড় মেরে বললো
“সাব্বাস!তুমি ঠিক জায়গাতেই এসেছো।এবার তোমার পিন্ডি আমি চটকিয়ে ছাড়বো ব্যটা ভুত সাহেব”

বিশালাকার এপার্টমেন্টটির গেট ভেতর থেকে তালা দেয়া।ভেতরে কিভাবে উঠা যায় সেই চিন্তা করতেই সমানে পায়চারি করে আঙ্গুলের নখ কামড়ে ধরলো রাজ্য।
দ্বিতীয়বার এপার্টমেন্টে নজর বুলাতেই খোলা ব্যালকনি নজরে এলো।বেলকনিতে গ্রিল না থাকায় খুব যেনো সুবিধা হলো তার।
রিভলবার টি পকেটে ঢুকিয়ে স্টিলের পাইপ বেয়ে ধুপধাপ দূতলার বেলকনি তে উঠে গেলো সে।প্রতিটা বেলকনির কোমর সমান রেলিংয়ে পা ফেলে অনায়াসেই সাত তলা পর্যন্ত উঠে হাঁপিয়ে গেলো সে।

“ধুর অযথা এই রাতের বেলা কেনো মরতে এলাম এখানে?আর এনি হারামজাদী টাও এখনো এলোনা।কাল অফিসে গিয়ে চূড়ান্ত শিক্ষা দেবো শয়তান টাকে”

হঠাৎই সাত তলার ফ্ল্যাট থেকে চিকন স্বরে কেউ বলে উঠলো
“কে ওখানে?

মানুষের গলা শুনতে পেয়েই ভয়ে হুড়মুড় করে আট তলার ওয়ালের ডিজাইনের বাড়তি অংশ ধরে ঝুলে বহু কষ্টে আলো জ্বালিত বেলকনিতে উঠতে সক্ষম হলো।কিন্তু অসাবধানতাবশত তার হাত ছিলে গেলো অনেক খানি।বেলকনিতে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিজেকে রিল্যাক্স করে রুমের ভেতর তল্লাশি চালানোর প্রস্তুতি নিলো।
বেলকনি সাইডের দরজা সম্পূর্ণ খোলা।এতে যেনো বেশ সুবিধাই হলো তার।ধীর পায়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই লাইট বন্ধ হয়ে গেলো।
যেই লাইট কিছুক্ষণ আগেও আলো ছড়াচ্ছিলো সেটা নিমিষেই বন্ধ হওয়াতে রাজ্য ঘাবড়ে গিয়ে রিভলবার বের করে গুলি করার পজিশন নিলো।

কুকুরটার ঘেউঘেউ আওয়াজ ও আর শোনা যাচ্ছে না।

“যেহেতু স্যার ম্যাডাম কেউ বাসায় নেই তাহলে লাইট কে নেভালো?আর হঠাৎই কুকুরটা এতো শান্ত কিভাবে হয়ে গেলো?

মনে মনে হাজারখানেক ভাবনা ভেবে ভয়ে শিউরে উঠলো রাজ্য।

“একা একা এখানে চলে আসা মোটেও উচিত হয়নি।যদি খারাপ কিছু হয় তখন আমার লাশের অস্তিত্ব থাকবে তো?যদি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকি তখন?যদি চিপ জিজ্ঞেস করে তার বাসায় আমি কি করছিলাম অতো রাতে তখন কি উত্তর দেবো?

হঠাৎই কারো পায়ের হাঁটার শব্দে ধ্যান ভেঙে চমকে উঠলো রাজ্য।
“তার মানে এখানে কেউ আছে”!

ভয়ে বুকের ধুকপুকুনি বেড়ে গিয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এলো।নিজের রিভলবার টি শব্দের দিকে তাক করতেই আবছা ছায়ার মতো কিছু একটা সরে গেলো।সেই ছায়া অনুসরণ করতেই কেউ একজন পেছন থেকে গলা পেঁচিয়ে হাত মুড়িয়ে ধরে কব্জা করে ফেললো রাজ্যকে।মস্তিস্ক সজাগ হতেই ছিলে যাওয়া জায়গাটার ব্যাথায় মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো রাজ্য।তবুও পেছনের ব্যাক্তির মনে কোনো দরদের উদ্রেক হলো না।
রাজ্যকে টেনে হিচড়ে একটি অন্ধকার কক্ষের ভেতর নিয়ে কিছু একটা দিয়ে হাত দুটো বেঁধে ছুড়ে মারলো শক্ত টাইলসের মেঝেতে।
ব্যাথায় রাজ্যের বড় বড় পাপড়ি যুক্ত বাঁকানো চোখ দুটি জলে থৈ থৈ করে উঠলো।

নির্জন অন্ধকার কক্ষটি মুহূর্তেই গমগমে গর্জনে উত্তাল হয়ে উঠলো
“কে তুই?

লোকটির ভরাট কন্ঠের ধমকে কেঁপে উঠলো রাজ্য।
জবাব দেবার আগেই অন্ধকার কক্ষটি আলোতে পরিপূর্ণ হলো।পিছ মুড়ো করে হাত বাধার কারণে হাঁটুতে সর্ব শক্তি সঞ্চয় করে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো সে।তার আগেই ঝড়ের গতিতে লোকটি এসে গলা চেপে রাজ্যের ঝুকে যাওয়া মুখ উঁচু করে ধরলো।
রাজ্য চোখ তুলে সামনে দাঁড়ানো হিংস্র যুবক কে দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।মন থেকে ভয় কেটে গেলো ঠিকই কিন্তু হাতের ব্যাথায় চোখ থেকে টুপটুপ করে জল গড়িয়ে যুবকটির হাতের থাবায় গিয়ে জমা হলো।
রাজ্যের কান্নারত মুখশ্রী যুবকের মনে কঠিন পীড়ার সৃষ্টি করলো।টাইফুনের উত্তাল ঝাপটা আর বাতাসের বেগ যেমন সবকিছু লনভন্ড করে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে যুবকের হৃদয় ও ঠিক সেভাবে দুমড়ে মুচড়ে বিষিয়ে উঠলো।

ঝট করে রাজ্যের গলা থেকে হাত সরিয়ে নিজের বুকের সাথে সর্ব শক্তি দিয়ে চেপে ধরে আহত কন্ঠে বলে উঠলো
“আম সরি”

যুবকের বুকের হৃদ যন্ত্রের হাতুড়ি পেটানো শব্দ খুব করে উপলব্ধি করতে পারছে রাজ্য।কেমন অদ্ভুত ছন্দ তুলে ক্রমাগত হার্ট বিটিং হয়ে চলেছে।নিজের হাতের ব্যাথা ভুলে যুবকের বুকে মাথা রেখে চোখ বুঝে ফেললো রাজ্য।
হঠাৎই যুবক রাজ্যকে বুক থেকে সরিয়ে অপরাধী চোখে রাজ্যকে দুই হাতের বাহু ধরে দাঁড় করালো।ঝটপট বেঁধে রাখা হাত দুটো বাধন মুক্ত করে সরে দাঁড়িয়ে পাশেই সাজিয়ে রাখা হুইস্কির তাকে সজোড়ে এক ঘুষি বসিয়ে দিলো।
যুবকের এমন ভয়াবহ কাণ্ডে নিজের দুই কান চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে বসে পড়লো রাজ্য।
মুহূর্তেই যুবকের হাত কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটে গেলো।নিজের কাঁটা হাতের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য হাসলো যুবক।

“এই যুবরাজ শাহীর জীবনে প্রথম আজ এই মুহূর্তে কঠিন এক অন্যায় করে ফেলেছে।সে তার নিজের জীবনকেই আঘাত করে বসেছে।”

কাঁটা রক্তাক্ত হাত নিয়ে রাজ্যের দিকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আহত নিচু কন্ঠে বলে উঠলো
“তোমাকে যতোটা আঘাত করেছি তার চেয়ে বেশি ব্যাথা আমি নিজেকে দিয়েছি।না জেনে তোমাকে ব্যাথা দেবার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।”

যুবরাজের এমন মায়াবী বেদনার্ত কন্ঠে মুখ তুলে যুবরাজের কষ্ট জড়িত মুখশ্রী তে দৃষ্টি দিলো রাজ্য।যুবরাজের অসহায় মায়াবী মুখটা রাজ্যের মনের কোথায় যেনো সূক্ষ ব্যাথার সৃষ্টি করলো।
ঝট করে উঠে দাঁড়িয়ে খপ করে যুবরাজের হাতের কব্জি চেপে ধরে উদ্বিগ্নের স্বরে বলে উঠলো
“আপনার হাতে কাঁচ ঢুকে আছে।এখনই হসপিটাল চুলুন আমার সাথে না হলে রক্ত বন্ধ করতে ঝামেলা হবে।

রাজ্যের এমন উদ্বিগ্নতা দেখে স্মিত হেসে রাজ্যের মাথায় মমতার হাত বুলালো যুবরাজ।লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস টেনে ঠোঁট কামড়ে ধরে অনিমেষ রাজ্যের পানে তাকিয়ে রইলো।

“দুনিয়াতে আমার কষ্টে উদ্বিগ্ন হবার মতো আমার মা ছাড়া আর কেউ নেই।সেই তালিকায় আজকে তুমিও যুক্ত হলে।তুমি নিজেও জানোনা আমার কষ্টে তোমার এই চিন্তিত মুখশ্রী আমাকে ব্যাথা উপশমে কতোটা হেল্প করেছে।

কথাটি বলেই হন হন করে হেটে আলমারি খুলে মেডিকিট বক্স নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো যুবরাজ।
যুবরাজের পিছন পিছন রাজ্য ধীরপায়ে ওয়াশরুমে প্রবেশ করতে দেখতে পেলো কোনো এনেস্থেসিয়া ছাড়াই একের পর এক ভাঙা কাঁচের ছোট ছোট টুকরো গুলো একটা ফোর্সেপ্স এর সহায়তায় টেনে টেনে বের করছে যুবরাজ।এই বিষয়টাতে তাকে খুবই প্রফেশনাল মনে হচ্ছে।
ভাঙা কাঁচের টুকরো বের করা শেষ হলেই একটা লিকুইড পোভিসেপ এর বোতল পুরোটাই গলগল করে ঢেলে দিলো নিজের হাতে।
এই দৃশ্য দেখে রাজ্যের পুরো শরীর শিউরে উঠলো।মুহূর্তেই যুবরাজকে তার কাছে ভয়ংকর ঠেকতে লাগলো।রাজ্য শরীরের সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেললো যখন দেখতে পেলো এক হাত আর মুখের সাহায্যে যুবরাজ নিজের কাটা জায়গা গুলো ঘেচ ঘেচ করে নিজেই সেলাই করে চলেছে।রাজ্যকে ভয় আর অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিয়ে যুবরাজ নিজেই নিজের হাতে সুনিপুণ ব্যান্ডেজ করে রাজ্যের পানে দৃষ্টি দিলো।

যুবরাজের বাদামি গভীর চোখে দৃষ্টি মিলতেই ঠকঠক করে কেঁপে উঠলো রাজ্য।যুবরাজকে তার দিকে এগোতে দেখে তার কমলার কোয়ার ন্যায় ঠোঁট দুটো শৈত প্রবাহের শীতের ন্যায় থরথর করে কাঁপতে লাগলো।

“তোমার হাতে চোট লেগেছে।চলো ড্রেসিং করে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দেই”!

যুবরাজের রক্ত হিম করা এমন কথায় রাজ্য নিজের দুই হাত পিছনে লুকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে মাথা দুলিয়ে কঠিন কন্ঠে বলে উঠলো
“আমার কাছে আর এক পা ও এগুলো আমি কিন্তু জ্ঞান হারাবো মিস্টার যুবরাজ “!

রাজ্যের মুখের এমন হুমকিতে প্রশস্ত হাসলো যুবরাজ।
“আচ্ছা জ্ঞান হারালে আমি আবার হুশ ফেরাবো।মানুষকে অজ্ঞান করে হুশ ফেরানোই আমার কাজ।”

“আমি একদম মজা করছি না আমি সত্যি আমার সেন্স হারাচ্ছি”
জড়িয়ে যাওয়া কন্ঠে কোনোমতে কথাটি বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো রাজ্য।

ত্যাড়ামি করে রাজ্যের দিকে হাত বাড়িয়ে রাজ্যের হাত স্পর্শ করার আগেই যুবরাজের বুকে লুটিয়ে পড়লো রাজ্য।জ্ঞান হারানোর আগে অস্ফুট স্বরে যুবরাজের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো
“হুঁশে ফিরলে আপনাকে আমি দেখে নেবো যুবরাজ শাহীর”

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here