#রং(Wrong)
#পর্বঃ১২
#লেখনিতেঃতন্নী_তনু
সূর্য ডোবার প্রস্তুতি। দূরে কোথাও পশ্চিম আকাশে ঢুলে পড়ছে রক্তিম সূর্য। কচ্চপের গতিতে গাছের ওপাশে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্যের রক্তিম আভা। ইরফাদ নিজের রুমে প্রস্তুত হচ্ছে সিভিল ড্রেসে।বাকি কাজ সারার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। হঠাৎ বিছানার সাইড টেবিলে পড়ে থাকা মোবাইলটা কেঁপে উঠলো। ইরফাদ ফোন তোলে। ওপাশ থেকে মেয়েলি গলা,
–স্যার! মিস সিনথিয়া তো কাঁদছে…
ইরফাদের গলা স্বাভাবিক। যেনো নেই জিজ্ঞাসা করার আগ্রহ, আর না জানার আগ্রহ।ইরফাদের চুপ থাকা অবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশ বলেন,
— মিস সিনথিয়ার বাবা এসেছিলেন। সেই থেকে তিনি কেঁদেই চলেছেন!
ইরফাদের এই মূহুর্তে সবচেয়ে প্রথম কাজ গতকালের কেস নিয়ে আগানো। অনেকগুলো মেয়ের লাইফ রিস্কে। যেহেতু মু!ক্তিপ!ণের দাবী এখনো আসেনি! সুতরাং হতে পারে পা!চারের চেষ্টা। সকল যানবাহন থেকে শুরু বিভিন্ন চেকিং পয়েন্টে এলার্ট করা হয়েছে। যে করেই হোক সবাইকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতেই হবে। ভিক্টিমের পরিবারের জবানবন্দিতে পাওয়া প্রত্যেকটা মেয়েই বেলিফুল পছন্দ করতো। প্রত্যেকটা মেয়ের গুম হওয়ার লোকেশন জেনে নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে রিমা কবীরের লোকেশন থেকে পাওয়া ফুটেজ দেখেছে ইরফাদ একটু আগে।দু’টো মেয়ে রোড সাইডে হাঁটছে। অতঃপর রিমা কবীর বেলিফুল কিনেছিলো। তারপর তিথির দেয়া তথ্যমত-ই রিমা কবীর ফুলে নাক ডুবিয়ে দেয়। অতঃপর যা ঘটেছে তা আগেই ইরফাদ সন্দেহ করেছিলো। বেলীফুলের ঘ্রাণের সাথে অন্য কিছু মেশানো ছিলো। এক্ষেত্রে “স্কোপালামিন” নামক এক ধরনের ড্রাগস ব্যবহার করা হতে পারে। এটি এমন একটি ড্রাগস যা পাওডার,লিকুইড ও ইঞ্জেক্ট আকারে পাওয়া যায়। পাউডার আকারের এই ড্রাগস ফোনের স্ক্রিনে, কাগজে ও বিভিন্ন ভাবে মানুষের শ্বাসে প্রবেশ করানো হয়। এটি একটি হ্যালুসিনেটিক ড্রাগস। যা শ্বাসে প্রবেশ করা মাত্র-ই মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারায়। এটির মাধ্যমে ছিনতাইকারীরা খুব সহজে মানুষকে নিজের বস’এ এনে ছিনতাই করে। তবে এইবারের ঘটনা ভিন্ন।এটির মাধ্যেমে কিডন্যাপিং এর কাজও চলছে।ফুটেজে স্পষ্ট বেলীফুল কেনার পর রিমা কবীর আর তিথি একই সাথে হাঁটছে।একজন কথা বলেই যাচ্ছে। অপরজন মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তারপর সাইডে থামা প্রাইভেট কারে একাই উঠে পড়েছে। পাশের জন কথা বলায় এতোটাই মগ্ন যে ধ্যান জ্ঞান ভুলে বসেছে।এতোটুকু সময়ের মধ্যে এত দ্রুত কাজটি করা হয়েছে যে পাশে থাকা তিথি বুঝতেই পারেনি। গাড়ির নম্বর নোট করা হয়েছে। তবে সে অনুযায়ী এগিয়ে যে তথ্য পাওয়া গেছে-গাড়িটি একদিন আগে হারিয়ে গেছে। থানায় জিডি করাও হয়েছে। মেয়েগুলোকে উদ্ধার করার জন্য ভিন্ন পথে হাঁটতে হবে। ব্যস্ততায় ব্যস্ততায় সিনথিয়ার কথা মাথা থেকে কপূর্রের ন্যায় উড়ে গেছে ইরফাদের। সে ধীর গলায় বললো,
— ফোনটা ওর কাছে দিন!
দায়িত্বরত মহীলা পুলিশ ফোন এগিয়ে দিলেন। সিনথিয়া কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। গলায় দলা পাকিয়ে উঠছে দুঃখগুলো। এসময়ে ইরফাদের নামটা শুনে তার গলা আরও ধরে আসে। কারণ জানা নেই। দুঃখের সময় শান্তনা দিলে দুঃখ আরও উপচে পড়তে চায় তার। ফোন কানে ধরে নিরবে চোখের পানি ফেলে সে। ওপাশ থেকে ভেসে আসে ধীর গলা,
— হোয়াট হ্যাপেন্ড?
সিনথিয়া তার মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেছে বাবার কাছে। রিমার কথাও শুনেছে।এরপর থেকে চোখদুটো আর শান্ত হচ্ছে না। কান্নারা তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাঁধ ভেঙ্গে উপচে পড়ছে। বাঁধা দিলেই বুকের মধ্যে জমা কষ্টগুলো হেঁচকি আকারে বের হচ্ছে। তার মা অসুস্থ! অতিরিক্ত দুঃচিন্তায় প্যানিক এ্যটাক হচ্ছে বারবার। মায়ের মুখটা চোখে ভাসতেই ফুঁপিয়ে ওঠে সে। ওপাশের ধীর শান্ত গলা,
— আমি আসছি! কেঁদোনা।
দমকা হাওয়ার ন্যায় ঠেলে আসা কান্না হঠাৎ ই উবে গেলো।কোথায় গেলো! কেনো গেলো! আচ্ছা, তার ব্যাথাগুলো কি ইরফাদের সহানুভূতি চাচ্ছে? কিন্তু কেনো?
তিথি মাগরিবের আযান শুনে অযু করে নামাজে দাড়িয়ে গেলো। মোট সাত রাকাত সালাত আদায় করে দুহাত তুললো। তার মোনাজাত জুরে সিনথিয়া নামটি প্রতিদিন ই থাকে। আজ আরেকটি নতুন নাম যুক্ত হলো-“রিমা”। রিমা যেখানেই থাকুক যেনো সুস্থ থাকে। উদ্ধাকারীদের উদ্ধার করার পথ যেনো আল্লাহ সহজ করে দেয়। রিমা সহ সকল মেয়েই যেনো সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে মায়ের কোলে ফেরে। কোনো মায়ের যেনো শূন্য না হয়। সব শেষে বললো।
— “আমার দুইটা কাছের মানুষ”কে তুমি দূরে নিয়ে গেলে। আমার যে আর কেউ রইলো না।সবার মতো আমি তো দুঃখ দেখাতে পারিনা। বলতে পারিনা আমার কষ্ট হচ্ছে।দুঃখ পেতে পেতে ইস্পাতের মতো কঠিন হয়ে গেছি আমি। আমি এখন সব জায়গা-তেই হাসতে শিখেছি।অকারণেও হাসতে পারি। সবার সামনে দু-চারটা চর খেয়েও হাসতে পারি। আমি জানি আমি খারাপ। তবে আমি যেমন-ই হই। ওরা দুজন আমার ভালো থাকার কারণ। আমি সত্যিই ওদের খুব ভালোবাসি। তুমি ওদের কোনো ক্ষতি কোরোনা। ওদের ভালোভাবে ফিরিয়ে দাও।ওরা ফিরলে আমি দুটো রোজা রাখবো।”
দু-চোখের টুপটুপ করে পরা অশ্রু মুছে নিলো দু-হাতের ছোঁয়ায়। তারপর উঠে বসলো বিছানায়। রুমের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তিথির মামাতো বোন হিয়া। তিথি দৌঁড়ে উঠে গেলো। হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো হিয়া”কে। এক মিনিট আগেও যে কাঁদছিলো তার ক্রিয়াকলাপে বোঝার উপায় নেই সে দুঃখ পায়। তাকে দেখে সবসময় চিল মুড লাগে। যার কোনো দুঃখ নেই। সে খিলখিলিয়ে কিছুক্ষণ হেসে নিলো। তারপর বললো,
— কুটুস রে! শোন শোন -আজ যে কি করেছি…
হিয়াকে তিথি কুটুস বলেই ডাকে। কুটুসের জানার আগ্রহ ব্যাপক। বোনের কার্যকলাপ সে ভালোভাবেই জানে। পুরো গল্প শোনার জন্য সে পা দু’টো ভাজ করে বিছানায় আরাম করে বসলো। তারপর বললো,
— কি করেছো আপু?
— আজ থানায় গেছিলাম। এসপি তো কিউটের দলা একটা… এতো সুন্দর এততো সুন্দর। এর আগে বলেছিলাম না রাস্তায় দেখেছিলাম একটা ছেলেকে।
থানায় গিয়ে দেখি সেই তো এসপি।
–বলো কি!
–হুম! আমি না আবেগে প্রোপোজ করে ফেলেছি।
–কি বলো? অন ডিউটি অফিসার কে প্রপোজ করে বসলে?
–হম….
–তুমি জানো? এসপি’র ফুল মিনিং কি? এসপি’ কি?
–জানিরে জানি।
–তোমার ভয় করলো না?
— করেছিলো। ব্যাটা মনে হয় বেশী ভদ্র।যেভাবে চোখ শক্ত করে তাকাচ্ছিলো।তবে মেয়ে বলে বেঁচে গেলাম মনে হয়।
–এমন কাজ আর কোরোনা। নেহাত ভদ্র-ভালো মানুষ বলে বেঁচে গেছো।অন্য কেউ হলে সত্যি-ই সম্মানহানি করতো। আর অন-ডিউটি অফিসারের সাথে এমন ফ্লার্ট করা উচিত হয়নি।
— আমি না সত্যিই বেশী বেশী পাকনামী করি! ফোন নম্বর এনেছি। একবার স্যরি বলবো?
–“তোর কি লজ্জা সরম বলতে কিছু আছে? নিজের তো মান সম্মান নাই। অন্যের মান সম্মান খোয়াতে যা দরকার তা তো ভালো জানিস তুই।” তিথির মুখের কথা কেড়ে তিথির মামি চড়াও গলায় বললো এসব। তারপর সোজা এসে ঠাস করে চড় বসালো হিয়ার গালে,
–তোরে না বলছি এই অসভ্য মেয়ের কাছে বসবি না।
তিথির চোখ দুটো শক্ত রয়ে গেলো। এসব খুব কমন। রোজকার ঘটনা। তার তো কথা বলার মানুষ নেই। মামির রান্না করার ব্যস্ততার ফাঁকে কথা বলতে হিয়াকে ডেকেছিলো সে। না হলে ডাকতো না। নিজের জন্যে আর খারাপ লাগে না। তবে ষোল বছর বয়সী ছোট হিয়া তার জন্যে মার খেলো। এটা সে মেনে নিতে পারছিলো না। ধীর গলায় মাথা নত করে বললো,
— আমি ওকে ডেকেছি! ওর তো দোষ নেই। ওকে কেনো মারলে! আমাকে মারতে….
— চিকে মেরে আর হাত নষ্ট করবো না। তোর কি লজ্জা আছে? লজ্জা থাকলে তো কবেই সোজা হইতি।
— ঐজন্যেই তো বললাম.. আমাকে মারো। আমার অভ্যাস আছে হিয়ার তো নেই।
— যাদের জন্মের ঠিক নাই তাদের কোনো দিন লজ্জা হয় নাকি।
–মামি!
–আমাকে দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাস? তোর এতো সাহস?
তিথির নিজেকে শক্ত করে।এই কথাটা যে সে সহ্য করতে পারে না। চোখে রক্ত উঠে যায়। তবে দু’বেলা খাবার আর মাথার উপর ছাদের জন্য তিথি চুপ যায়। তার মামি চেঁচিয়ে বলে ওঠে,
— বান্ধবী নিঁখোজ! সে গেছে ঝিল্লিক পাড়তে! এত রং আসে কোথ্থেকে?
— যার সকাল শুরু হয় গরম খুন্তির ঘাঁ আর এতো সুন্দর সুন্দর কথা শুনতে শুনতে। এইটুকু রং না থাকলে তিথি সেই পাঁচ বছরেই শূন্য মিলিয়ে যেতো।
–মুখে খই ফুটেছে নাকি! খাইয়ে পড়িয়ে কি বড় বড় কথা শুনবো?
তিথি প্রতিউত্তর করে না। মাথা নিচু করে থাকে। মামীর পাল্টা প্রশ্ন,
— কিরে! একসাথে দু’জন গেলি- রিমা কিডন্যাপ হলো আর তোকে রেখে গেলো কেনো? কোনো পাঁচারকারীর সাথে যুক্ত হোলি নাকি?
–মামী!
–জন্মের ঠিকঠিকানা নেই যার-তাকে তো বিশ্বাস করতেও ভয় করে! তোদের কি বুক পিঠ আছে নাকি?
তিথির চোখ দু’টো আরও শক্ত হয়ে ওঠে। হাতের মুষ্টি শক্ত করে কষ্ট গুলো ধামাচাপা দিয়ে আটকে রাখে। মামি চলে যায়,চলে যায় হিয়াও। ওয়াশরুমে ঢুকে যায় তিথি। কষ্টের ঝাঝে পুড়ে পুড়ে ওঠে শরীর। সে ব্যাথা কমাতে কামড়ে কামড়ে রক্তাক্ত করে নিজের হাতের নরম জায়গাগুলো। এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি দেয় নিজের মাথায়।দেয়ালে কপাল ঠুকতে ঠুকতে নিজেকে শান্ত করে। তারপর ছোট ঐ কাগজ থেকে নাম্বারটি তুলে নেয়। তারপর মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখে,
— আসসালামু আলাইকুম। আমি তিথি! হয়তো ভুলে গেছেন। আপনার সাথে আজকে ফ্লার্ট করার জন্যে আমি দুঃখিত,লজ্জিত। আসলে বাবা-মা হীন বড় হয়েছি তো। অনেক কিছু শিখতে পারিনি। প্লিজ ফরগিভ মি!
—–
গতকালের মতো আজ বৃষ্টি নেই। তবে একইভাবে পাশাপাশি বসেছে ইরফাদ সিনথিয়া। ইরফাদ গাড়ি চালাচ্ছে সেদিনের মতো চুপচাপ। উদ্দেশ্য হাসপাতাল। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ করে সিনথিয়া”কে রেখে যাবে আগের স্থানে। মাথার মধ্যে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে সে। আর একটু পরপর লুকিং গ্লাসে তাকাচ্ছে। একটা কালো গাড়ি তার গাড়ির পিছনে। ইরফাদ একই গলির মধ্যে দিয়ে দু’বার পাক ঘোরে। তার গাড়ির গতির সাথে পেছনের গাড়ির গতি কম বেশী হচ্ছে। সে স্পিড বাড়িয়ে দিলে পেছনের গাড়ি দ্রুত ছোটে। আবার কমালে পেছনের গাড়ির গতি কমে। জুতোতে গোজা রিভলবার হাতে তুলে নেয় ইরফাদ। চোখ মুখ শক্ত হয়ে ওঠে ক্রমেই। একহাতে স্ট্রিয়ারিং আরেক হাতে রিভলবার – আজকে এর শেষ সে দেখেই ছাড়বে।
রিমা”র পাশে থাকা সকলে ঘুমাচ্ছে। তার ঘুম ভাঙলেও পুরো বিষয়টা বুঝে নিতে ঘুমের ভান করে শুয়ে আছে। কিছুক্ষন পর পর একটি ছেলে ঘরে প্রবেশ করে সব পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।চুপচাপ সকল ঘটনা বুঝতে চাইছে রিমা। ছেলেগুলো চায় কি? কেনো এতোগুলো মেয়েকে তুলে এনেছে। সে মনে মনে এখান থেকে বের হওয়ার ফন্দি এঁটে যাচ্ছে। কান পেতে শুনতে চাইছে সে আছে টা কোথায়? কোনো শব্দ শোনা যায় কি না? কিন্তু ওপাশ থেকে শোনা যাচ্ছে ফুল ভলিউমে গান,
— “লুঙ্গি ডান্স লুঙ্গি ডান্স।”
বাইরের শব্দ শোনা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পূর্বের আসা ছেলেটা চলে যাওয়ার পর রিমা উঠে দাড়ায়। সন্তোপর্ণে পা ফেলে দরজার বাইরে বের হয়। রুমের বাইরে খোলা ড্রয়িং রুম পার হতেই হঠাৎ ই মাথায় চেনা জিনিস সিগন্যাল দেয়। গুটি গুটি পায়ে পাশের রুমে যায়। ড্রিম লাইট জ্বালানো রুম। সাদা ফিনফিনে জানালার পর্দা ঝুলছে। থাই গ্লাসে লক দেয়া। বিছানার উপর বসে সারা বিছানায় হাত বুলায় রিমা। চেনা গন্ধটা তাকে যেনো আষ্টেপৃষ্টে আকড়ে ধরে। মনের মধ্যের আশঙ্কা কু করে ডেকে ওঠে। বুক ভারি হয়।চেনা সাইড টেবিলের ড্রয়ার খুলে বের করে একটি ফ্রেমে বাঁধা দুজনের ভালোবাসার মূহুর্তে ক্লিকে তোলা ছবি। বুকটার উপর পাহাড়ের মতো ভারী কিছু যেনো বিনা সংকেতে পড়ে। ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষ যদি- এতো বড় খেলা খেলে। তাহলে ভালোবেসে এ-খেলা মেনে নিতে এতো কষ্ট হয় কেনো আমাদের?ভালোবাসায় এতো যন্ত্রণা কিসের?
চলবে??
#অনেক তাড়াহুড়ো করে লিখেছি। শব্দ গোছাতে পারিনি। সবাই ভুল-ত্রুটি আজ ক্ষমা করবেন। বেশী বড় দিতে পারলাম না।