নীলের_পরি (১৬-১৭)

0
13

#নীলের_পরি (১৬-১৭)

সামনেই জে এস সি পরীক্ষা। পরি মোটামুটি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এখন প্রায় সময় ই পরি নীলের সাথে ফোনে কথা বলে। হুট হাট যখন তখন নীল কে কল দেওয়া পরির অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। আজকাল নীল ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না। সিরিয়ালে কোনো রোমান্টিক সিন আসলে পরি সেখানে নিজের সাথে নীল কে কল্পনা করে ফেলে।
পরবতীর্তে নীল কে কল্পনা করে নিজেই লজ্জা পায়।
আজকাল ২৪ ঘন্টাই নীল কে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন বুনে ফেলে পরি। ভাবতে ভাবতে কখন যে কি করে,তা পরি নিজে ও জানে না। মোট কথা পরি শুধু নীল কেই দেখতে পায়।
কিন্তু সরাসরি নীল কে মাত্র তিন চারবার দেখেছে সে। কখনো সরাসরি কথা ও হয় নি ওর সাথে। তাহলে নীলের কল্পনা কে কেন এতো বাস্তব মনে হয় ওর? মনে হয় নীল ওর চোখের সামনেই আছে। পরি কিছু ভাবতে গেলে ও সেখানে নীল কে দেখতে পায়। একেই বুঝি ভালোবাসা বলে? ভালোবাসা তে বুঝি এতো পাগলামি থাকে? এতো শত যন্ত্রণা ও হয়! বার বার তাকে দেখতে ইচ্ছে করে? পরি হাজারো ছন্দ মেলাতে থাকে। কিন্তু শেষ টা কি হয় তা পরি জানে না। সদ্য কিশোরী বয়সে পা দেওয়া এক ছোট্ট পবিত্র ফুলের মাঝে কাউকে পাওয়ার জন্য বাসনা জেগেছে। সে খুব করে চায় নীল কে। ইস নীল যখন পরি কে বিয়ে করে ঘরে তুলবে তখন পরির কি খুব লজ্জা হবে? নীলের জামা কাপড় নিজ হাতে ওয়াশ করে দিবে পরি। নীলের জামাতে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ টা ও শুধু পরি উপভোগ করবে।
হ্যাঁ হ্যাঁ নীল কে শুধু পরি উপভোগ করবে। হাজারো ভাবনা গড়ে পরি নিজেই লজ্জা পায়। কতো শত কথা নীলের সাথে।
এই ছোট্ট মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা হাজারো কথা যদি নীল শুনতো,তাহলে কি নীল তাকে না ভালোবেসে পারত? কি জানি কবে নীল কে ভালোবাসার কথা বলতে পারবে।
আচ্ছা নীল কি ওর ভালোবাসা বুজে না? এই যে এতো শত অপেক্ষা, আকুলতা, হাহাকার নীলের মন কে কেন বুঝাতে পারে না? ওর মনে প্রশ্ন জাগে শেষ মেশ পূর্নতা পাবে তো ওর ভালোবাসা? পরি যে ওকে ভালোবেসে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
পরি এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল তা পরির ভাবনা তে আসল না। রোজ নীলের সাথে ঘর করার স্বপ্ন দেখে পরি। স্বপ্নে রোজ দেখা হয় নীলের সাথে। পরি বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি নীল কে ভালোবেসে পাগল হয়ে যাবে। তবে কি পরি কে ভালোবাসা তে পাগলি নামক কোনো উপাধি দেওয়া হবে? যদি দেওয়া হতো,সারা বিশ্ব কে জানাতো সে, আমি নীল কে ভালোবেসে পাগল।

বিকেলে পরি নিজের রুমে বসে ছিল। মূলত পড়াশুনা নিয়েই ভাবছিল সে। পড়াশোনা তে বিন্দু মাত্র মন নেই তার। কি করবে সে নীল কে ছাড়া কিছু ভাবতে ও পারে না যে।
আশে পাশে তাকিয়ে দেখে নিল কেউ আছে কি না। কেউ নেই দেখেই পরি বিশ্ব জয়ের হাসি দিল। ফোন হাতে নিতেই আমান এসে হাজির। পরি বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলল,”কি হয়েছে বল?”

আমান বেডে দু হাত মেলে দিয়ে শুয়ে বলল,”কিছু না। বাসার সবাই তো নেহা খালামনিদের বাসাতে গেছে। শুনলাম নেহা খালামনির নাকি সমন্ধ এসেছে।”

পরি ছোট্ট করে বলল,”ওহ।”

বেশকিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর ও আমান যাচ্ছে না দেখে পরির বেশ বিরক্ত লাগছে। পরি নানা রকমের বুদ্ধি কসতে লাগল। ভালো লাগছে না। কিছুতেই কিছু মেলাতে পারছে না। সন্ধ্যা হতে আর কিছুক্ষণ বাকি। পরির চটজলদি মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল। পরি বই গোছাতে গোছাতে বলল,”আমান এক বক্স আইক্রিম নিয়ে আয় না। হালকা ঠান্ডা পড়েছে দেখে আম্মু তো আর আইসক্রিম ও খেতে দেয় না। যা এখন গিয়ে লুকিয়ে নিয়ে আয়।”

আমানের মুখের ভঙ্গিতেই পরি বুঝতে পারল আমান বেশ খুশি হয়েছে। হাতে ২৫০ টাকি ধরিয়ে দিয়ে বলল,”স্ট্রবেরি ফ্লেবারের টা আনবি বুঝেছিস। আর অন্য কোনো ফ্লেভার এর টা ভুলেও আনবি না।”

আমান মাথা ঝাঁকিয়ে দোকানের দিকে দৌড় দিল। আমানের আসতে কম হলে ও দশ মিনিট সময় লাগবে পরি তড়িঘড়ি করে নীল কে ফোন লাগাল। কিছুক্ষণ পর ই নীল ফোন রিসিভ করল।
“হ্যালো।”

“হুম কি করছেন?”

“তেমন কিছুই না। জাস্ট একটু আড্ডা দিচ্ছি, তুমি?”

“আমি তো আপনার সাথে ই কথা বলছি।”

“হা হা হা আমার উত্তর টা ও সেইম ই হওয়া উচিত ছিল।
বাট মাই মিস্টেক।”

ফোনের পাশ থেকে বেশ কিছু কণ্ঠের হাসির শব্দ শুনতে পেল পরি। পরি ভ্রু আপনা আপনি ই কুঁচকে গেল। পরি একটু রেগে বলল,”আপনি আপনার বন্ধুদের আমার কথা শোনাচ্ছিলেন তাই না?”

পরি আর কিছু না বলেই ফোন টা কেটে দিল। নীল আবার কল দিতেই পরি বলল,”ওনারা সবাই আমার কথাতে হাসছিল?”

“আহ রাগ কর কেন পরি। পাশে থাকলে তো শুনতে পাবেই ।
আচ্ছা বল আমার এই ভুলের জন্য কি করতে হবে।”

নীলের কথা তে পরির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল। পরি নিজে কে সামলে নিয়ে বলল,”সরি বলতে হবে।”

নীল মৃদু হেসে বলল,”আচ্ছা।”

“হুম।”

নীল দীর্ঘ একটা নিশ্বাস নিয়ে অতি ঠান্ডা কণ্ঠে বলল,”পরি আম সরি।”

নীলের এই কণ্ঠস্বরে পরি কেঁপে উঠল। পরি ফোন টা বুকে চেপে কতো গুলো গভীর নিশ্বাস নিল। হাত থেকে ফোন পড়ে গেল কিন্তু পরির এতে কোনো ধ্যান ই নেই। পরি স্তব্ধ হয়ে আছে। নীলের এই ভয়ঙ্কর কণ্ঠস্বরে পরি শিউরে উঠল।
বার বার সেই কণ্ঠটা রেকর্ডের মতো কানে বাজছিল। পরির হাত পা ঠান্ডা হয়ে কাঁপছিল। বুকের ভেতর ধুকপুক করছিল। পরি সোজা হয়ে বেডে শুয়ে পড়ল। সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকলে ও পরির ভাবনা অন্য কোথাও ছিল।

রাতে আইক্রিম খাওয়া নিয়ে এক দফা লেগে গেল। তিন ভাই বোন ই যে আইক্রিম এর উপর ক্রাশ খাওয়া আস্বামী ।
অবশেষে ঝগড়া করতে করতেই তিন জন মিলে বড় এক বক্স আইক্রিম কয়েক মিনিটের মধ্যে ই সাবার করে দিল।
আজকাল পরি একদম ই পড়ছে না। আচ্ছা নীল কি তার ভালোবাসা কখনোই বুঝবে না,? এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নীল কে ভালোবাসার কথা বলা ও যে যাবে না। যদি কলেজ এ পড়ত তো ভাবা যেত। কিন্তু পরি যে মাত্র অষ্টম শ্রেণিয়ে পড়ে! এই মুহূর্তে নীল কে ভালোবাসি বলা টা নিতান্তই হাস্যকর মনে হবে। ইস নীল যদি পরি কে ভালোবাসত। প্রেম ভালোবাসা থেকে দূরে থাকা মেয়ে টা ও আজ কাল একজনের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সময় গুনে যাচ্ছে। পরি নীল কে ভালোবাসে, এটা ভাবতেই পরি লজ্জা পেয়ে যাচ্ছে। একা একা ভালোবাসার মানুষটির কথা ভাবতে কেন লজ্জা লাগছে? এটা ও কি ভালোবাসার ই কোনো অংশ?

পরি ফোন হাতে নিয়েই নীল কে ম্যাসেজ দিল। কথায় কথায় নীল কে তুমি করে ও সম্বোধন করছে পরি। এমনটাই হয়। কল দিয়েই পরি তুমি করে বলে আবার কখনো কখনো তো তুই ও বলে! এই তো দু দিন আগের কথা। পরি ফোনে নীলের সাথে কথা বলেছিল। হঠাৎ করেই পরি বলল
“তোর দ্বারা কিছুই হবে না। এতো জি এফ দিয়ে কি হবে?”

পরির কথাতে নীলের ভ্রু কুঁচকে গেল। নীল বলল,”আমি তোমার বড় অথচ তুমি আমাকে তুই করে বলছো।”

পরি কিছুক্ষণ ভেবে বলল,”আপনি ও আমাকে তুই করে বলবেন ঠিক আছে।”

নীল হাসতে হাসতে বলল,”উহু আমি তুমি করেই বলব। তুমি বরং তুই করে বলিও।”

পরি বেশ কিছুক্ষণ জোরাজোরি করল কিন্তু নীল মানতে নারাজ । অগত্যা পরি মেনে নিল। ফোন কেটে দিয়েই পরি ভাবল ‘অবশেষে বুঝি লজ্জা টা আমার ই হলো। ধ্যাত!’

(১৭)
কালকে থেকে জে এস সি পরীক্ষা। পরির বেশ টেনশন হলে ও পড়াতে একটু ও মন নেই। একটু পর পর ই ফেসবুকে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। নীল অনলাইনে আছে কি না। রিপলে দিল কি না। এমন হাজারো বিষয় নীল কে ঘিরে। দীর্ঘ তিন মাস ধরে নীল কে একবার চোখের দেখা ও দেখে নি পরি।
কালকে তো পরীক্ষা ইস নীল নিশ্চয়ই আসবে। কিন্তু কথা তো হবে না। পরি কে তো নীল চেনেই না। তাতে কি নীল কে তো পরি দেখতে পাবেই। পরির আনন্দের শেষ নেই। পরীক্ষা নিয়ে সবাই টেনশনে থাকে আর পরি আনন্দে আছে। নীলের সাথে হালকা কথা বলে পরি অফলাইন হয়ে গেল। না ঘুম আসছে। আর না জেগে থাকতে পারছে। পরির অবস্থা যেন তেন নয়। একেবারে গোড়ায় গন্ডগোল। বেশ কিছুক্ষণ বেডে শুঁয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে ও পরির চোখে ঘুম আসল না।
মনের ভেতর প্রিয় কে এক পলক দেখার নানা কল্পনা জল্পনা করতে লাগল। রাতে ঘুম হলো না পরির। আর না হলো পড়াশুনা। ভোর সাড়ে পাঁচ টার দিকে পরির মা পরি কে ডেকে দিল। একটু আগেই বোধহয় চোখ টা লেগে ছিলো।
অস্বস্তি হচ্ছে পরির,কিছুতেই চোখ মেলতে পারছে না।
খুব কষ্ট করে কোনো মতে উঠে বসলো। পড়তে বসে পরি ঝিমুচ্ছে,কোনো মতে আট টা অবধি পড়লো। তারপর নাস্তা সেড়ে রেডি হয়ে নিলো। পরীক্ষার কেন্দ্র ছয় কিলোমিটার দূরে আর আজ যেহেতু প্রথম পরীক্ষা তাই পরি কে নিয়ে মিসেস রাহেলা ৮’৩০ তেই বেরিয়ে পড়লেন। ৯ টার দিকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌছে গেল ওরা। হলের গেইট খোলা হয় নি। সিট খোঁজা সহ আরো নানান ফরমালিটিস বাকি আছে।
ইংরেজি স্যার সবাই কে এক সাথে জড়ো করে সিট সহ রোল নম্বর কনফার্ম করছেন। কেন্দ্রের সামনে বিশাল মাঠ। পুরো টাই ই একেবারে জনমানব দিয়ে টুইটুম্বর। দশ বারো টা স্কুলের স্টুডেন্ট, সাথে গার্ডিয়ানরা ও আছেন। একে বারে মেলা বসে গেছে যেন! একটু পর পর বিভিন্ন স্টল বসেছে। একটু দূরে ছোট খাটো মেলা ও হচ্ছে।

ইংরেজি স্যার পরির দিকে চেয়ে মিষ্টি করে হেসে একটু উচ্চ শব্দে ই বললেন,”রি সব কিছু ঠিক আছে তো?”

পরি ও বলল,”জি স্যার।”

হঠাৎ করেই পেছন থেকে একজন বলল,”পরি। হা হা হা।”

নিজের নাম কারো কণ্ঠে শুনে পরি পেছন ঘুরে তাকাল।
একি এটা তো নীল! হাতে কোন এক টা কাগজ নিয়ে পেছনে দু হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে হাসছে। পরি নীল কে দেখে পুরো ভ্যাঁবাচাকা খেয়ে গেল। এই এতো টা সময় ধরে নীল পরির পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিল!

পরির অস্বস্তির সাথে লজ্জা ও লাগছিল। নীল পরির মাথা তে হালকা করে টোকা মে রে দিল। পরি স্থির হয়েই রইল।পরি যখন বিষয় টা বুঝতে পারল যে নীল তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,তৎক্ষনাৎ পরি স্থান ত্যাগ করল। পরি পুরো মাঠে চক্কর দিতে লাগল। নীলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এটা মনে হতেই শরীর খারাপ হতে শুরু করল। নীলের থেকে দূরে সরে আসলেও এখন আবার নীল কেই খুঁজে চলেছে। ইস আরেকটি বার নীল কে দেখতে ইচ্ছে করছে পরির। কিন্তু আর হয়ে উঠল না। হাফসা আর পরি আলাদা হলে পড়েছে।
দুজন দুদিকে পরীক্ষা দিতে চলে গেল। পরির আজ বাংলা পরীক্ষা। বাংলা বিষয়টাকে কেউ তেমন গুরুত্ব না দিলেই বাংলা বিষয়টা আসলেই ভয়ঙ্কর। প্রচুর লিখতে হয়। সময় স্বল্পতার জন্য ঠিক ঠাক লেখা হয়ে ই উঠে না। বাংলা পরীক্ষা বেশ কঠিন হয়েছে। পরি দের স্কুল থেকে যে গাইড ফলো করা হয়েছে সেই গাইডের ৫০% ই আসে নি। সবার ই যেন তেন অবস্থা হলে ও তুলনা মূলক ভাবে পরির বেশ বাজে অবস্থা। ভালো স্টুডেন্ট পরি। এ প্লাস এর স্বপ্ন। প্রথম পরীক্ষাতেই নিশ্চিত এ প্লাস হাত ছাড়া হয়ে গেছে। পরি পরীক্ষার হল থেকে কান্না করতে করতে বের হলো। হলের স্যার রা স্বান্তনা দিল কিন্তু পরি তাতে শান্ত হলো না। মেয়েকে হল থেকে এভাবে কান্না রত অবস্থা তে বের হতে দেখে পরির মা এগিয়ে আসলেন। কি বলবেন ই বা তিনি, তার ও চোখে পানি চিক চিক করল। ইসসস মেয়ে টার এ প্লাস হাত ছাড়া হয়ে গেল। ইংরেজি স্যারের মেয়ে ও পরির সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে। ও তেমন ভালো স্টুডেন্ট নয়। পাস করলেই এনাফ।
ইংরেজি স্যারের ওয়াইফ পরি কে অনেক আদর করেন।
তিনি বার বার পরি কে বোঝালেন,”দেখো মা একটা পরীক্ষা খারাপ হলেই তো এমন না যে সব পরীক্ষা খারাপ হবে।
তুমি পরের পরীক্ষা গুলো মনোযোগ দিয়ে দিবে। আর হ্যাঁ আজকের মতো সময় স্বল্পতা যেন না হয়। একটু আগে পরীক্ষা কমপ্লিট করার চেষ্টা করবে। সবার এমন হাজারো স্বান্তনা নিয়ে পরি বাসায় ফিরল।

বাসায় এসে গোসল করে নিজে কে শান্ত করে নিল।
সন্ধ্যার আগে লাঞ্চ করল। পরীক্ষা নিয়ে বেশ মন খারাপ।
কিন্তু নীলের সাথে কথা বলার জন্য ও মন কেমন কেমন করছে। তাই ফেসবুক লগ ইন করে নীলের সাথে কথা বলে নিল। একটু কথা বলতেই মন একদম শান্ত হয়ে গেল।
শরীর যেন বল পেল।

হঠাৎ করেই ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে দেখতে পেল ইংরেজি স্যার আসছেন। পরি কে অনেক আদর করেন ওনি। আর পরির সব থেকে প্রিয় স্যার ও ওনি। স্যার কে দেখে পরির ঠোঁটে কিঞ্চিত হাসি ফুঁটে উঠল। স্যারের সাথে এলাকার কিছু ছেলে ও এসেছে। পরির ই দূর সর্ম্পকের ভাই হয় এরা ।
স্যার সহ সবাই কে হালকা নাস্তা দিলেন মিসেস রাহেলা।
পরি স্যারের পাশে সোফা তে বসে আছে। স্যার পরির মাথা তে হালকা হাতে হাত বুলিয়ে বললেন,”পরি তোমার আন্টি বলল, তুমি নাকি খুব কেঁদেছো। বার বার বলেছে গিয়ে দেখো মেয়েটার কি হলো। একটু পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে এমন করে কেউ ভেঙে পড়ে বোকা মেয়ে? মাথা ঠান্ডা রাখবে।”

স্যারের কথা তে পরি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানাল।
কিছুক্ষণ স্যার উপদেশ দিয়ে চলে গেলেন আর পরি তো সারাক্ষণ নীল কে নিয়েই পড়ে আছে। এখনো মাথা তে নীল ই ঘুরছে। একটু পড়ছে তো আবার ফেসবুকে নীলের অনলাইন রিপলে দেখছে। পরির এতেই যেন আনন্দ। পরীক্ষার তেমন কোনো রেশ ই দেখা যাচ্ছে না ওর মাঝে।

চলবে…
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি

যারা এখনো ই-বই গুলো পড়েন নি। পড়ে ফেলুন।
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/298148049412763/?app=fbl

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here