নীলের_পরি (২২)

0
166

#নীলের_পরি (২২)

স্কুল ব্যাগ কাঁধে পরি ছুটছে। একবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার রাস্তার দিকে। কাল রাতে যে কোন গবেট এর মুখ দেখে ঘুমিয়েছিল কে জানে। আজ স্কুলে বিশেষ কনফারেন্স মিটিং আছে।যেহেতু পরি দশম শ্রেণির ক্লাস কেবিনেট, সেহেতু এই মিটিং এ পরির থাকা টা বিশেষ জরুরি। দীর্ঘ পনেরো মিনিট দৌড়ের গতিতে ছুটে পরি স্কুল গ্রাউনে পৌছাল। কোমরে হাত গুঁজে হাঁপাতে লাগল। স্কুলের টিউবওয়েল থেকে এক বোতল পানি ভরে আবার ছুটতে লাগল। দোতলা পেরিয়ে তিন তলার মিটিং রুমে পৌছাতেই পরি স্তব্ধ হয়ে রইল। একজন স্যার ও নেইহ স্টুডেন্ট রা গালে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। কি আজব,স্যার রাই টাইমে আসে না! পরি শুধু শুধু ছুটে এল শুধু শুধু! নিজের প্রতি ই রাগ হচ্ছে এখন। এই মিটিং এর জন্য শুধু শুধু এনার্জি লস করল। পরি বিরক্তি নিয়ে কনফারেন্স রুম থেকে বেরিয়ে আসল। বারান্দার পাশে রাখা চেয়ার টা টেনে বসে বার কয়েক শ্বাস নিল। ব্যাগ থেকে ওয়াটার বোতল বের করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে নিল। একেই তো ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে এসেছে তার উপর স্যার রা ও আসে নি। পরির খুব ই বিরক্তি লাগছে। স্যারদের মাঝেই যদি সময় এর কোনো খেয়াল না থাকে তাহলে কি করে চলে? পরি গালে হাত দিয়ে বসে রইল। কিছুক্ষণ পর স্যারদের আসতে দেখে পরি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল। স্যার দের সালাম জানাতেই হেড স্যার বললেন “হোয়াট হ্যাপেন পরি? এখানে কেন বসে আছ? কনফারেন্স রুমে চলো। হাররি আপ গার্ল।”

পরি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানাল। ক্লান্তি নিয়ে স্যারের পিছু পিছু গেল। কনফারেন্স রুমে প্রায় পঁচিশ মিনিট ধরে বসে আছে সবাই। কিন্তু স্যার রা নিজেদের মতো আলোচনা তে ব্যস্ত। স্টুডেন্ট রা তো কথা ও বলতে পারছে না। তাই সবাই ইনোসেন্ট ফেস নিয়ে স্যার দের দিকে তাকিয়ে আছে।
চল্লিশ মিনিটের মাথায় স্যার দের আলোচনা শেষ হলো।
হেড স্যার গলা পরিস্কার করে বললেপ,”ডিয়ার স্টুডেন্ট প্রতি বছর ই আমরা স্টাডি ট্যুর এ যাই। কিন্তু শুধুমাত্র নবম আর দশম শ্রেণির স্টুডেন্ট দের নিয়ে। কিন্তু এবার অষ্টম শ্রেনির স্টুডেন্ট দের নিয়ে ও যাব। ক্লাস কেবিনেট রা টাকা কালেক্ট করবে। আর অবশ্যই শুনে রাখো কোনো স্টুডেন্ট স্টাডি ট্যুরে রেগ ডে পালন করতে পারবে না। আই নো তোমরা কেউ আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে না। হ্যাপি এন্ড সেইফ জার্নি ডিয়ার স্টুডেন্টস।

স্যার এর কথা শেষ হতেই সবার মনে চাপা আনন্দ কাজ করতে লাগল। ঠিক হলো কুমিল্লা যাওয়া হবে। গত দু বছরে পার্ক এ গিয়ে স্টুডেন্ট দের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
তাই এবার ঐতিহাসিক স্থান গুলো তেই ঘোরা হবে। পরি খুশি মনে কনফারেন্স শেষ করে ক্লাসে ঢুকল। ক্লাসে হৈ হুল্লোড় পড়ে গেল। পরি কখনো স্টাডি ট্যুর এ যায় নি। গত বছর যাওয়ার সুযোগ থাকলে ও বান্ধবীদের জন্য যাওয়া হয় নি। এ বছর তো যাবেই যাবেই। সারা দিন হৈ হুল্লোড় করতে করতে কেটে গেল। পরি খুশি মনে বাসায় ফিরল।
কিন্তু বাসায় ফিরে আর খুশি থাকতে পারল না। কারণ পাশের বাসার বান্ধবী যাবে না। কেমন লাগে!

পরির বাসা থেকে তাই পরি কে বারণ করে দিল। পরির চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। পরি নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল।
ছোট থেকেই শিক্ষা সফরে যাওয়ার এক বিরাট ইচ্ছে পরির।
কিন্তু যাওয়া হবে না ভাবতেই পরির চোখ জলে ভরে যাচ্ছে।
রাত গভীর হতেই পরির কান্না বাড়তে লাগল। রাগে দুঃখে শাওয়ার ছেড়ে বসে রইল। আশ্চর্য আজ এতক্ষণ ধরে ও পানির নিচে বসে ও জ্বর ঠান্ডার কিছু ই অনুভব করছে না।
মেজাজ টা আর ও বেশি চরে যাচ্ছে। পরির এমন কান্ডে বাসার সবাই হতবাক। অবশেষে সবাই মেনে নিল পরি শিক্ষা সফরে যাবে।

শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য ভোর পাঁচ টা থেকে রেডি হচ্ছে পরি। একদম সাদা সিধে। নেই কোনো ভারী মেকআপের ছোঁয়া। ঠোঁটে লিপ বাম আর চোখে কাজল চুল টা সুন্দর করে বেঁধে কাঁধে ট্যুর ব্যাগ , ইউনিফর্ম আর পায়ে কেইস পরে নানা ভাইয়ের সাথে বের হলো স্কুলের উদ্দেশ্যে। ট্যুর বাস সাত টাতে ছাড়বে তাই সাড়ে ছয়টার মধ্যে পরি স্কুলে পৌছে গেল। কিছু নিদর্শনা নিয়ে বাসে উঠে পড়ল। নানা ভাই কে বিদায় জানিয়ে দিল। বাস চলতে শুরু করলে ই সবাই হুল্লোড় করতে লাগল। স্কুল থেকে চারটে বাস ছেড়ে গেল কুমিল্লার ময়নামতির উদ্দেশ্যে। সবার গায়েই ট্যুর গেঞ্জি। গান বাজাতেই সবাই নাচানাচি শুরু করে দিল। পরি হিয়ার সাথে বসেছে আর তার দুই সিট বাদেই হাফসা। হাফসার সাথে কুশল বিনিময় করে নিল। গ্রুপ ভিন্ন হওয়ার কারণে মেয়েটার সাথে খানিকটা দুরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে। পরি প্রথম দিকে সবার সাথে তাল মিলিয়ে হালকা ডান্স করলে ও এখন করছে না। ভালো লাগছে না ওর। পুরো বাস জুড়ে সবাই ফোনে কথা বলছে কেউ বি এফ এর সাথে তো কেউ রিলেটিভ এর সাথে। পরি মলিন হেসে বাসের সিটে হেলান দিয়ে দিল। হিয়া পরির কাঁধে মাথা রেখে কিছুক্ষণ বসে রইল। হিয়ার সাথে ওর বি এফ এর ঝগড়া হয়েছে। সেই নিয়ে ও মেয়েটার মন ভালো নেই। তবু ও মেয়েটা নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে। পরি হিয়ার ফোন নিয়ে হিয়ার বি এফ কে ফোন লাগাল। হিয়া কিছু বলল না। হিয়ার বি এফ ফোন ধরতেই পরি সালাম দিয়ে বলল,”ভাইয়া এটা কেমন হচ্ছে। আমার বান্ধবী মন খারাপ করে বসে আছে।”

“কি করি বলোহতোমার বান্ধবী তো মানছেই না। কত বার সরি বলেছি। একটু ম্যানেজ করে দেও না,প্লিজ।”

পরি কিছুক্ষণ ভেবে বলল,”ওকে।”

পরি হিয়ার সাথে জোর করে কথা বলিয়ে দিল। অবশেষে দুজনের মনোমালিন্য শেষ হলো। হিয়া পরি কে জড়িয়ে বলল,”লাভ ইউ জানু।”

পরি হিয়ার গাল টেনে বলল,”টু বেবি।”

আবারো সবাই হৈ হুল্লোড় করতে করতে লাগল। মাঝে বাস থামানো হলো একটা তেলের পাম্প এর কাছে। সবাই বাস থেকে বের হয়ে ফ্রেস হতে গেল। পরি ফ্রেস হয়ে এসে ঝাঁলমুড়ি কিনে নিয়ে বাসে উঠে বসল। একটু খেয়েই আর খেতে ইচ্ছে করলোনা পরির। মাঝে নাস্তা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরি তা ও খেতে পারে নি। গরমে খানিকটা ঘেমে ও গিয়েছে। হঠাৎ করেই প্রচুর ইচ্ছে জাগল নীলের সাথে কথা বলার। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন দিল। নীল রিসিভ করে ঘুমু ঘুমু কণ্ঠে বলল,”হ্যালো ।”

পরি চোখের পানি টুকু আড়াল করে মৃদু স্বরে বলল,”কেমন আছেন?”

“হুম ভালো আছি। তুমি কেমন আছ?”

“হুম অনেক বেশি ভালো আছি।”

নীল নিঃশব্দে হেসে বলল,”হুম স্টাডি ট্যুরে যাচ্ছ। ভালো থাকার ই কথা। খুব ইনজয় করো।”

পরি হালকা হেসে বলল,”হুম তা তো করছিই। আপনি এখনো ঘুমে?”

“হু এই তো এখনি উঠলাম।”

“ডিস্টার্ব করে ফেললাম তো?”

“হা হা তেমন না।”

“আচ্ছা ফ্রেস হয়ে খেয়ে নিন। পরে কল দিব।”

“আচ্ছা। তুমি মানে তোমরা সবাই নাস্তা করেছ?”

“হ্যাঁ কিন্তু খেতে ভালো লাগছিল না।”

“একটু খারাপ লাগবেই। কিন্তু না খেয়ে থেকো না।
আমরা ও গিয়েছিলাম, তবে সেটা গাজীপুরে। ভালোই ছিল দিন টা। মন দিয়ে উপভোগ কর। সেইফ জার্নি।”

“হুম। আচ্ছা রাখছি। পররে কথা হবে। আল্লাহ্ হাফেজ।”

“আল্লাহ্ হাফেজ।”

পরি ফোন টা রাখতেই চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল? হিয়া পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। পরি হিয়া কে দেখে খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। হিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরির পাশে বসল। পরি মলিন হেসে বলল,”সবাই বাসে উঠে পড়েছে?”

হিয়া মাথা ঝাঁকাল। বাস ময়নামতির চত্বরে পৌছাতেই সবাই হৈ হৈ করতে লাগল। সবার মাঝে আনন্দ যেন আর ধরছে না। পরি ধীরে ধীরে বাস থেকে নেমে পড়ল। বাস যেই বিশাল মাঠ টাতে থেমেছে সেখানে আর ও স্কুল ট্যুর ব্যানার লাগানো ছয় টা বাস দেখতে পেল ওরা। বোধহয় আর ও দুটো স্কুল এখানে শিক্ষা সফরে এসেছে। সাইটে হালকা মেলার মতো বসেছে। পরি সহ সবাই ই একটা করে হ্যাট কিনে নিল। পরি নীল রঙের উপর সাদা রঙের বর্ডার টানা হ্যাট টা কিনল। মাথায় দিয়ে দুটো ছবি ও তুলে নিল। সবাই স্যার দের কমান্ড মতো হাঁটা লাগাল। পাঁচ মিনিটের মতো হাঁটতেই পরি রাস্তার পাশে উড নেইম কার্ড দেখতে পেল।
হাজারো নামের কাঠের নেইম ভাস্কর্য দেখতে পেয়েই পরির মন খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। পরি দৌড়ে গিয়ে একটা নাম খুঁজল। কিছুক্ষণের মধ্যেই পেয়ে গেল। নাম হাতে নিয়ে পরি যেন মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে লাগল। নীলের নামের নেইম কার্ড টা কিনে নিল পরি। হিয়া তাড়া দিতেই দৌড়ে সবার সাথে তাল মেলাল।

সবাই টিকেট হাতে করে শালবন বিহারে ঢুকে পড়ল। শালবন বিহারে ঘুরে পাশের জাদুঘরে ও ঘুরল। দুপুর হয়ে যাওয়াতে সবাই লাঞ্চ করার জন্য বের হলো। প্রায় পনেরো মিনিট হেঁটে পাহাড়ের উপর এক রিসোর্ট এর কাছে আসল।
এই বিশাল রিসোর্ট ই ওদের জন্য বুক করা হয়েছে। এতক্ষণ হাঁটার পর প্রায় ৭৮ টা সিঁড়ি বেয়ে উঠার কথা ভাবতেই পরির শরীর কাঁপছে। কোনো মতে সিঁড়ি বেয়ে উঠে পড়ল।
ঘামে শরীর চুপ চুপ করছে। সবাই একে একে ফ্রেস হতে লাগল। ফ্রেস হয়ে এসে সবাই খাবার টেবিলে বসে পড়ল।
ওরা ভাতের আয়োজন করতে বলেছিল। কারণ অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এই গরমে খাওয়া টা কষ্টকর। টেবিলে ভাত , মাংস , রুই মাছ , সবজি , ডাল , মাছের ভর্তা , আচার , সালাত দেওয়া হলো। এত খাবার খাওয়া টা এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়। সবাই একটু একটু করে খেলো। টেবিলের অর্ধেক খাবার ই কেউ ছুঁয়ে ও দেখল না। এতে স্যার রা বিরক্ত হলেন। কারণ এত শত খাবারের বিল তো দিতেই হবে। অথচ খাবার খাওয়াই হলো না। খাবারের শেষ পাতে কোক আর কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই দেওয়া হলো।
সবাই খেয়ে খানিকটা রেস্ট নিয়ে নিল। পাহাড়ের উপর রিসোর্ট,যেহেতু তাই আশে পাশে দেখতে বেশ লাগছে। পরি রিসোর্ট টা ঘুরে দেখতে লাগল। রিসোর্ট এ আবার কোনো অনুষ্ঠান ও চলছে। পরি কিছুক্ষণ নাচ গান উপভোগ করে চলে আসল। সবাই মেকআপ ঠিক করতে ব্যস্ত। পরির বেশ হাসি পাচ্ছে এতে। পরি হিয়া কে নিয়ে ধীর গতিতে চত্বরে আসতে লাগল। তারপর পরি নীল কে ফোন দিয়ে কথা বলতে লাগল। পুরো পঁচিশ মিনিট কথা বলে পরি ফোন রাখল। সবাই বৌদ্ধ মন্দিরের দিকে রওনা হলো। বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে পৌছাতেই আইসক্রিম স্ট্রল দেখতে পেয়ে পরি দৌড়ে আইক্রিম কিনতে গেল। দুটো আইক্রিম খেয়ে বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করল। এখানে তেমন কিছুই দেখতে পেল না। সবাই আপসোস এর সুরে বলল,”শুধু শুধু ৪০ টাকার টিকেট টাই নষ্ট।”

ময়নামতি থেকে কুমিল্লা বার্ড এ পৌঁছানোর পুরো সময় টা পরি নীলের সাথে কথা বলতে বলতে আসল। মোট কথা দিনের এক তৃতীয়াংশ ই পরি নীলের সাথে ফোনআলাপ করেছে। আজ নীল ও পরির সাথে বেশ আমেজেই কথা বলছে। এতে পরির খুব ভালো লাগছে। হাজারো চাঁপা অভিমান টা যেন এক নিমেষেই সাদা ধোঁয়া হয়ে আকাশে উড়ে গেল। কুমিল্লা বার্ড এ পৌছে ও পরি নীলের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত। ক্লাসের ছেলে গুলো থেকে থেকেই বলছে কি রে বি এফ সাথে কথা বলছিস বুঝি। প্রতি উত্তরে পরি ভেংচি কেটে যাচ্ছে। পাহাড়ের উঠার আগে পরি ফোন রেখে দিল।
পাহাড় টা বেশি উঁচু নয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড়ের উপরে উঠে গেল। সবাই উপরে উঠে হৈ হুল্লোড় করতে লাগল। কিন্তু পরির মনে কাউকে দেখার জন্য তীব্র বাসনা জাগল। ইস আজ যদি নীল এখানে থাকত।নাচ গানের আসর বসল। পড়ন্ত বিকেলে সবাই গোল হয়ে আসর জমাতে ব্যস্ত।
সবার জোড়াজোড়িতে পরি গান গাওয়ার জন্য রাজি হলো।
নীলের কথা ভাবতে ভাবতে পরি গানের সুর ধরল।

কোন গোপনে মন পুড়েছে
বৃষ্টি থামার পরে

আমার ভেতর ঘরে নয়ন কালো , মেঘ জমালো,
ঝিনুকের অন্তরে, আমার ভিতর ঘরে

নয়ন কালো , মেঘ জমালো, ঝিনুকের অন্তরে
আমার ভিতর ঘরে

কোমল ধানের শীষে, দুঃখ রা যায় মিশে,

কোমল ধানের শীষে, দুঃখ রা যায় মিশে,

সুখ পাখিটা নিশে, হারায় অবচরে

দিন খোঁজে যাই ,দিন আসে না, রাত আসে রাত করে

আমার ভিতর ঘরে।

চলবে…
কলমে~ফাতেমা তুজ ন‍ৌশি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here