নীলের_পরি (২৫)

0
9

#নীলের_পরি (২৫)

চারদিকে থমথমে পরিবেশ। কেউ কোনো কথা বলছে না। খাবার গুলো প্রায় ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতে কারো কোনো ইন্টারেস্ট ই নেই। বেশ কিছুক্ষণ পর জিহান বলে উঠল।

“দাদা ভাই। তুমি পরি কে পিচ্চি কাল থেকে পছন্দ করতে?”

জিহানের কথা তে নীল মুচকি হাসল। সবাই হৈ হৈ করতে লাগল। নিশাত বলল,”এর জন্য ই তো রূপার মতো সুন্দরী মেয়ে তোর পেছনে ঘুরঘুর করলে ও তুই তেমন পাত্তা দিতি না।”

নীল এবার ও মুচকি হাসল। তারপর বলল,”ভালোবাসা দমকা হাওয়ার মতো। হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায়।
ভালোবাসাতে তীব্র যন্ত্রণা থাকলে ও দিন শেষে স্বস্তি পাওয়া যায়। সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায় নিমিষেই। নবম শ্রেণিতে পা দেওয়ার পর থেকে এইচ এস সি পরীক্ষা অবধি রিলেশন তো কম করি নি। কিন্তু কাউকে ছুঁয়ে দেখা তো দূরে থাক একবার ভালো করে চোখের দেখা ও দেখি নি। সবার সাথে ফ্রেন্ড এর মতোই ছিলাম। তবে পরি কে দেখার পর জীবনে কারো প্রতি মোহ ও আসে নি। ওর প্রতি যে মায়া তে পড়েছি সেটার জন্য আমার ইচ্ছে করে হাজার বছর বাঁচতে। মেয়েটাকে বড্ড বেশি ভালো বাসি রে,বড্ড বেশি।”

নীলের কথা সবাই বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে। এমন ভালোবাসা সত্যিই পাওয়া খুব কঠিন। যে যত বাজে ই হোক না কেন দিন শেষে সবাই চায় একটু স্বস্তি। আর তার অন্যতম মাধ্যম হলো ভালোবাসা।

রনি টেবিলে দু হাত গুঁজে বসে ছিল। নিজেকে সোজা করে বলল,”তাহলে মেয়েটাকে এত কেন কষ্ট দিলি? আমরা সবাই দেখেছি পরি তোকে কত ভালোবাসে। ট্যুর এ গিয়ে ট্যুর ইনজয় না করে শুধু তোর সাথে কথা বলেছে। হাজার হাজার ম্যাসেজ দিয়েছে। সারাক্ষণ তোকে নিয়ে মেতে থেকেছে। পরি না বললে ও যে কেউ বুঝতে বাধ্য ও তোকে ভালোবাসে খুব বেশি ভালোবাসে।”

রনির কথা গুলো বুকে গিয়ে লাগল নীলের। সত্যি ই খুব বেশি কষ্ট দিয়েছে পরি কে। অন্য কোনো উপায় ও ছিল। কিন্তু নীল তখন বুঝে উঠতে পারে নি। অপরাধীর মতো তাকিয়ে নীল বলল,”তখন বুঝে উঠতে পারি নি রে।”

অনিক মৃদু হেসে বলল,”হমস্যা নেই ব্রো আল্লাহ তোদের কে আলাদা হতে দেয় নি। উনি চেয়েছেন তাই হয়েছে এখন মন খারাপ করিস না। আর পরির থেকে দূরে থেকে তুই নিজে কতটা কষ্টে ছিলি আমি তো দেখেছি তাই না। এখন যা হবে সব ভালো হবে।”

অনিকের কথা তে সবাই সায় দিল। হঠাৎ নীলের ফোন কল বেজে উঠল নীল ফোন রিসিভ করে কথা বলল। নীলের চোখ দুটো খুশিতে ঝলমল করে উঠছে। নীল ফোন রাখতেই সবাই জিজ্ঞাসা দৃষ্টি চেয়ে রইল। নীল ফোন থেকে কিছু একটা বের করে সবাই কে দেখাল। সবার মুখেই খুশির ঝলকানি। নীল মৃদু হেসে শান্ত স্বরে বলল,”এর জন্য ই রে।
আমার জন্য পরির জে এস সি রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল।
সারাক্ষণ আমাকে নিয়ে পড়ে থাকত মেয়েটা। ছোট থেকে স্বপ্ন মেডিকেল পড়বে। অনেক আশা ওর। আমার খানিকটা কষ্টের জন্য পরির স্বপ্ন কি করে ভেঙে দেই বল? আমার আগে ওর স্বপ্ন ওর জীবনে এসেছে। আমি ওকে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি। আমার দায়িত্ব তো ওর সব স্বপ্ন পূরন করা।
আর আমি ও এড়িয়ে যেতে চাই না রে।”

সবাই খুশি হয়ে বলল,”কিন্তু এইচ এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট তো কাল কে দেওয়ার কথা । আজ কি করে পেলি?”

নীল ডেবিল হেসে বলল,”সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম।
রেজাল্ট কনফার্ম হলেই যেন আমাকে জানিয়ে দেয়। টাকা দিলে সব ই সম্ভব। আর কালকে পরি কে সারপ্রাইজ দিব।”

রিহান বলল,”দাদা ভাই ভাবি তো গোল্ডেন প্লাস পেয়ে গেল এখন বল এর জন্য কি ট্রিট দিবে?”

“বল তোদের কি চাই।”

সবাই একযোগে বলল,”সত্যি তো?”

নীল হেসে বলল,”আরে হ্যাঁ।”

রিহান কিছুক্ষণ ভেবে বলল,”আমরা শপিং করব যার সমস্ত বিল তুমি পে করবে। কি সবার চলবে তো?”

সবাই তালি দিয়ে বলল,”চলবে না দৌড়াবে।”

নীল মুচকি হেসে বলল,”হয়েছে এবার খাবার টা শেষ করুন। খাবার তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।”

সন্ধ্যার দিকে মেহমানরা যে যার বাসায় ফিরে গেছেন।
দুদিন পর নীলের নানা বাড়ির লোকজন আসবেন।
আপাতত বাসা টা ফাঁকাই বটে।সবিশাল বড়ো বাড়ি নীলদের। কিন্তু পরির ঘোরা হয় নি। এই অবস্থা তে ঘোরা টা অবশ্য শোচনীয় ও নয়। পরি নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে আছে। পরিবারের কথা মনে পড়ছে খুব। ইস তারা কেমন আছে? তারা কি খুব রেগে আছে নীলের উপর? যখন নীলের সব ডিটেলস পেয়ে যাবে তখন কি তাদের আলাদা করে দেওয়া হবে? আচ্ছা নীলের কোনো ক্ষতি করবে না তো? হাজারো চিন্তা মাথায় ভর করে আছে। পরির বাবা উচ্চ বৃত্ত মানুষ। ভালোই চেনা জানা আছে। নীলের অবস্থা ও ভালো। কিন্তু গত তিন বছরের ব্যবধানে যে বিশাল মাপের বাড়ি পরি দেখতে পাচ্ছে তাতে নীলের পাওয়ার বেশ ভালো তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু তা ও যদি নীলের কোনো ক্ষতি করে দেয়? নীলের কথা ভাবতেই পরির বুকের ভেতর হু হু করে উঠল। পরি আচমকাই কাঁদতে লাগল। একটু কাঁদলেই হিচকি উঠে যায় ওর। সাথে নাকের ডগা লাল হয়ে যায়। নীল সন্ধ্যার পরে বাড়ি ফিরেছে। সেই দুপুরে পরি কে দেখেছিল। একনজরে দেখার জন্য মন উসখুস করছে তার।
না,এই মুহূর্তে ই পরি কে দেখা লাগবে ওর। নীল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে টাইম দেখে নিল। ৮ টা বাজে। অতএব পরি নিজের রুমের আছে। কারণ হাফসা যে কোর্স করছে তাতে সাড়ে সাতটা থেকে অনলাইন এ সেই ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

নীল সব কিছু মিলিয়ে উপরে উঠে গিয়ে পরির রুমের দিকে পা বাড়াল। রুমের দরজা টা হালকা ভেজানো। নীল নক না করেই ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছিল। কিন্তু পরক্ষণেই নক করে নিল। হাজার হোক নিজের বউ। পরি তো এখনো স্বাভাবিক নয়। পরির সাড়া না পেয়ে নীল ভ্রু কুঁচকে রুমে ঢুকল। রুমে ঢুকে চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিল। পরি কে দেখতে পেল না। বারান্দার দরজা খোলা দেখে নীল বারান্দায় গেল। পরি পেছন ঘুরে আছে। মাঝে মাঝেই হিচকি উঠছে। নীল পরির কাছে গিয়ে পরির কাঁধে হাত দিতে গিয়ে হাত সরিয়ে নিল।
মুচকি হেসে পরির দু বাহু ধরে ঘুরিয়ে দিল। পরির মুখ টা দেখে নীলের বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেঁদেছে খুব। নীলের মনের ভেতর অজানা আশংঙ্কা কাজ করছে। নীল কি তবে পরি কে জোর করে ফেলেছে? কোনো ভুল হলো না তো? পরি যে নীল কে ভালো বাসে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে বিয়ে করে নেওয়ার জন্য পরি কষ্ট পায় নি তো? নাকি বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য। নীল আর ভাবতে পারল না। পুরো পৃথিবী যেন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে সামলে নিল সে। পরি কে নীল ভালোবাসে। পরি যা চাইবে তাই হবে। নীল শুকনো ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল,”পরি কাঁদছ কেন? তুমি কি কষ্ট পেয়েছ? আচ্ছা যদি তাই হয় তো আমি কাল ই তোমাকে তোমার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসব।
তোমার কাছে আর যাব না আমি। তবু ও প্লিজ কোঁদো না।”

এই কথা গুলো বলার সময় নীলের গলা ধরে আসছিল।
নীল কি করে থাকবে পরি কে ছাড়া? নীলের মুখে আষাঢ় এর কালো মেঘ চলে আসল। বড্ড কষ্ট হচ্ছে। বুকের ভেতর এক রাশ ক্লান্তি আর কষ্ট ঘোরা ফেরা করছে।

পরির হিচকি থামছে না। নীল পরির দু বাহু ছেড়ে বলল “কেঁদো না পরি আমি তোমাকে কাল ই পৌছে দিব। প্লিজ পরি।”

এই টুকু বলেই নীলের পা থর থর করে কাঁপছিল। কাঁপা শরীরে নীল চলে যেতে নিলেই পরি নীলের শার্টের হাতা খামচে ধরে। পরির চোখ দুটো ছলছল করছে। নীল পরির মুখে হাত দিয়ে বলল,”কি হয়েছে বলো আমায়।”

পরির হিচকি নিয়েই বলল,”আপনি যাবেন না। আমি চাই না যেতে। আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লিজ। আমি ম রে যাব আপনাকে ছাড়া। শেষ হয়ে যাব আমি।”

পরির প্রতিটা কথা নীলের কলিজায় এসে আ ঘা ত করল। ভালোবাসার মানুষটার মুখ থেকে এই প্রথম প্রেমময় কথা।
নীলের ক্লান্তি ভরা শরীরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল। আচমকাই পরি নীল কে জড়িয়ে ধরল। পরি ঝরঝর করে কেঁদে দিল। অস্পষ্ট স্বরে বলতে লাগল,”আমি পারব না আপনাকে ছাড়তে। পারব না। আমি আপনার থেকে দূরে যেতে চাই না। আমাকে দূরে সরিয়ে দিবেন নি প্লিজ। অনেক কষ্ট দিয়েছেন আর কষ্ট নিতে পারব না আমি। আমি আপনাকে চাই খুব করে চাই। আপনাকে ছাড়া নিশ্বাস ভারী হয়ে উঠে আমার। খুব বেশি ই ঘৃণা করতাম আপনাকে। কিন্তু এই ঘৃনা কখন যে..।”

পরি আর কিছু বলতে পারল না। তার আগেই জ্ঞান শূন্য হয়ে নীলের বুকে পড়ে গেল। নীল পরি কে এক হাতে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,”আর কষ্ট দিব না তোমায়।
নিজের কাছে খুব যন্ত করে রাখব তোমায়। আর তোমার পরিবার কে ও এনে দিব। তোমার সমস্ত কষ্ট আমি শুষে নিব। আমার শুধু তুমি হলেই চলবে। ভালোবাসি খুব খুব বেশি ই ভালোবাসি। এই ভালোবাসার দহনে আমি ও যে
পু ড়ে ছাই হয়ে গেছি। আমি সারাজীবন তোমার হাতে হাত রেখে এই ভালোবাসার স্বাদ নিতে চাই। প্রেমের দহনে আরো পু ড়ে শেষ হয়ে যেতে চাই । তোমার হাতে হাত রেখে সব কিছু জয় করতে চাই। ভালোবাসি, হুম এই পিচ্চি টাকেই ভালোবাসি।”

ভোরের পাখিরা কিচিরমিচির করছে।সবাড়ির পেছনে বিশাল বাগান। এই বাড়িটা নীল অনেক স্বপ্ন নিয়ে করেছে।
সকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে। নীল আজকে রাত টা ও নির্ঘুম কাটিয়েছি। তবে দুঃখ কষ্ট ক্লান্তি নিয়ে নয়। একরাশ স্নিগ্ধ ভালোবাসা নিয়ে।পরি কে ভাবতে ভাবতেই নীল রাত্রি কাটিয়ে দিয়েছে। মেয়েটা কোনো এক অদৃশ্য মায়াতে জড়িয়ে নিয়েছে। মনে হচ্ছে দূরে গেলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।
নীল একটা শর্ট হাতা ট্রি শার্ট পরে নিল। পরি তো বাড়ির বাইরেই যায় নি। স্নিগ্ধ সকাল টা পরি কে নিয়ে উপভোগ করতে চায় নীল। শীতের হালকা ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে।
ইস যদি শিশির ভেজা বিন্দু কণা গুলো পরি কে ছুঁয়ে দেয়।
না, পরি কে স্পর্শ করবে কেন? মোটে ও না পরি শুধু নীলের। আজব ভাবনা নিয়ে নীল আনমনে হাসতে লাগল। পাগল প্রেমিক সে। শিশির কণাও হিং সে করছে! করিডরে এসে নীল থমকে গেল। কারণ পরি ঘুম থেকে উঠে করিডোর দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। নীল মৃদু হেসে পরির পাশে দাঁড়াল। পরি নীল কে দেখে খানিকটা লজ্জা পেল।
কাল রাতে আচমকাই নীল কে জড়িয়ে ধরে ছিল। ইস নীল কি ভাবল!

নীল হালকা হেসে বলল,”স্নিগ্ধ সকাল দেখছ?”

পরি মাথা ঝাঁকাল। নীল মুচকি হেসে বলল,”চলো পুরো বাড়িটা ঘুরে আসি।”

পরি সম্মতি দিতেই নীল পরির হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল। পরি নীলের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইল। ভালোবাসার মানুষটা আজ তার। কতটা শান্তি এতে।নীল পরি কে নিয়ে পুরো বাসা টা ঘুরিয়ে নিল। নীলদের তিন তলা বাসা। নিচের তলার বেশির ভাগ টাই গ্যারেজ। এমন স্টিস্টেম করা এতে যে কোনো অনুষ্ঠান ও করা যাবে।নিচ তলাতে বিশাল মাপের ড্রয়িং রুম , কিচেন আর দুইটা সার্ভেন্ট রুম আছে। দোতলাতে বেশ অনেকগুলো রুম , করিডরে সোফা সাজানো, সাথে একটা ছোট খাটো সিনেমা হল ও আছে।
পুরো সিনেমা হলের মতো করে বিশাল মাপের পর্দা লাগানো আর ছয় সেট সোফা আছে সাথে অসাধারণ লাইটিং এর ব্যবস্থা। এটাতে সবাই মিলে সিনেমা দেখতে পারবে ফুল দমে। তিন তলাতে গেস্ট রুম আর লাইব্রেরি। পুরো বাসাতেই সৌখিনতার ছোঁয়া। বেশ সুন্দর করে গোছানো। বাসার পেছনে বিশাল বাগান। থেকে থেকে ফুল গাছ ও আছে। আর বাসার সামনের দিকটাতে কয়েকটা রুম করা আছে সেগুলো বিশেষ দরকারের জন্য। বাসার মাঝে বিশাল মাপের ফোয়ারা। পুরো বাড়িটা ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের বাসার মতো। গ্রামের দিকটাতে এত সুন্দর বাসা না আশা করাটাই স্বাভাবিক। পরি আর নীল হাঁটতে হাঁটতে বাসার শেষ প্রান্তে এসে পড়েছে। নদীর পাশেই নীলদের বাড়িটা। সিঁড়ি ঘাটলা করা আছে। পরির ইচ্ছে করছে নীলের হাত ধরে নদীর পানিতে পা ভেজাতে। কিন্তু সংকোচ কাজ করছে মনে।
পরির ভাবনাতে ছেদ কাটল নীল। মিষ্টি হেসে নীল বলল?
“চলো নদীর পাড়ে গিয়ে পা ভেজাই।”

পরির চোখ উজ্জ্বল হয়ে গেল। নীল হাত ধরেই পরি কে নিয়ে নদীর পাড়ে গেল। নীল পরির হাত ধরে টেনে সিঁড়ি ঘাটলাতে বসিয়ে দিল। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে নীল আর পরি পাশাপাশি বসে পা ভেজাল। নীল থেকে থেকে পরির দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছে আচমকাই নীল পরির কপালে উষ্ণ ঠোঁট ছুঁয়ে দিল। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় পরি কেঁপে উঠল। এতেই যেন নীল আরেকটু বিচলিত অনুভব করল। পরি কে এক হাতে জড়িয়ে বলল,”আই লাই ইউ পরি।”

নীলের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে পরির চোখ দুটো নড়ে উঠল। সাথে লজ্জা ও লাগছিল খুব। নীল পরি কে টেনে খানিকটা কাছে আনতেই পরি নীলের বুকে মুখ লুকাল। ভালোবাসার নব্য রূপ মেয়েটিকে যেন শে ষ করে দিচ্ছে।

চলবে….
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here