#নীলের_পরি (২৯)
সারারাত ঘুম না হওয়ার কারণে মাথাটা ঝিম মে রে আছে পরির। বেড বরাবর বিশাল মাপের ঘড়ি জানান দিচ্ছে যে একটু পর ই আজান দেওয়া হবে। পরি নিজের কান্না কোনো মতে সামলে নিয়ে ব্যলকনিতে চলে গেল। শীত কাল পড়ে যাওয়াতে ফজরের আজান দেওয়া হলে ও আকাশে অন্ধকার থাকে। শীতের হালকা কুয়াশা পরি কে ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শিশির ভেজা এই ভোর কে পরি কিছুতেই উপভোগ করতে পারছে না।স্থির হয়ে কুয়াশায় জড়ানো আকাশের দিকে চেয়ে আছে পরি। কিছুক্ষণের মাঝেই আজানের সুমধুর সুর ভেসে আসল। পরি ওড়না টেনে মাথায় ঘোমটা দিয়ে নিল। আজান শেষ হতেই ওয়াশরুম থেকে অজু করে নামাজ পড়ে নিল। মোনাজাতে আল্লাহর কাছে নিজের সমস্ত টা উজাড় করে বলল। সৃষ্টিকর্তা অন্তরজামী ওনার কাছে কোনো কিছু লুকানো যায় না।
পরি মোনাজাতে আল্লাহর কাছে বলল,”হে আল্লাহ আমি জানি আমি পাপ করেছি। বাবা মায়ের অমতেই বিয়ে করেছি। কিন্তু আমাকে তো জোড় করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল এটা কি মেনে নেওয়া খুব উত্তম ছিল? আল্লাহ আমি আপনার কাছে একটাই মিনতি করছি আমি আমার স্বামী আর পরিবার দু দিক টাই বেছে নিতে চাই। আমি যে অন্যায় করেছি তার জন্য আমাকে ক্ষমা করুন। ভালোবাসা টা কি খুব অন্যায়? তাহলে মনে কেন দিলেন এই প্রেমের অনুভূতি।
আমি তো চাই নি এই অনুভূতি। আমি জানি আপনি সর্বোত্তম যেটা সেটাই করেন। আপনার উপর আমার আস্থা বিন্দু মাত্র কমবে না। শুধু মাত্র কষ্ট সইবার মতো ক্ষমতা আমাকে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমি যেন আপনার সিদ্ধান্ত ই মন থেকে মেনে নিতে পারি সেই ক্ষমতা টুকু আমাকে দিন। সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সকল কে সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন। আল্লাহ আমি আমার স্বামীর হাতে হাত রেখেই চলতে চাই যদি সেটা সম্ভব না ও হয় অন্তত জান্নাতে ওনার সাথে থাকতে চাই। আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করুন। সকল কে হেফাজত করুন।”
পরি মোনাজাত শেষ করতেই চোখ থেকে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। মনে হচ্ছে এই এক ফোঁটা পানির সাথে বুকের ভেতর জমে থাকা পাথর টা সরে গেল। বাকি টা আল্লাহর ইচ্ছে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বোত্তম পথ দেখাবেন। পরির নিজেকে হালকা লাগছে। নামাজের মতো প্রশান্তি কোথাও পাওয়া যায় না। পরির চোখে ঘুম নেই। সমস্ত ঘুম দুঃখ গুলোর সাথে উবে গেছে। আকাশে আলো আসতেই পরি নিচে চলে গেল। রোজিনা এখনো ঘুম থেকে উঠেন নি। সকাল হতে খানিকটা সময় বাকি। পরি ভাবল কিচেনে গিয়ে সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে নেওয়া যাক। তাহলে আম্মু কে আর কষ্ট করতে হবে না। পরি ময়দা নামিয়ে মেখে নিল।
মটর শুটি সিদ্ধ করে নিল। তারপর মটরশুটির কচুরি বেলে নিল। কিন্তু ভাজলো না। কারণ এত আগে ভাজলে ঠান্ডা হয়ে যাবে। সাথে আলুর দম আর চাটনি। কফি আর চায়ের পানি বসিয়ে দিয়ে জুস বানাতে লাগল। জুস বানানো শেষ হতেই রোজিনা বেগম কিচেনে এসে পরলেন।
কিচেনে পরি কে দেখে অবাক হয়ে গেলেন। রোজিনা বেগম কে দেখে পরি মিষ্টি করে হাসি দিল। রোজিনা বেগম বাটি খুলে খুলে সমস্ত টা দেখে নিচ্ছেন।
পরির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললেন,”এই পাকামো গুলো তোকে কে করতে বলেছে?”
পরি মৃদু হেসে বলল,”আম্মু তুমি তো রোজ বানাও আজ না হয় আমি ই বানালাম। আর আমি এই গুলো বেশ ভালোই পারি। সবাই চেটে পুটে খাবে দেখে নিও। ভরসা করতেই পারো।-
রোজিনা বেগম মৃদু স্বরে বললেন,”সেটা না রে মা। বাসায় আজ কত লোকজন তো সব একা হাতে করতে গেলি কেন? আমাকে তো ডাকতে পারতি তাই না।”
পরি চা আর কফি চুলা থেকে নামাতে নামাতে বলল,”ঘুম আসছিল না। তাই ভাবলাম কাজ করলে ভালো লাগবে আর তোমার কাজে সাহায্য ও হবে। তুমি একা হাতে এত কিছু সামলাও আর আমি এই টুকুনি করতে পারব না?”
রোজিনা বেগম পরির কপালে চুমু দিয়ে বললে,”আমার লক্ষি মেয়ে।”
পরি মৃদু হাসল। রোজিনা বেগম বললেন,”সাত টা বেজে গেছে আমি ময়না কে দিয়ে সবার জন্য চা কফি পাঠিয়ে দিব তুই চিন্তা করিস না। তুই এখন যা রেস্ট নে।”
পরি বলল,”আম্মু কচুরি গুলো ভাজা বাকি আছে তো।
একটু পরে যাই?”
রোজিনা বেগম শোনতে নারাজ। রোজিনা বেগম চা কফি সাজাতে সাজাতে বললেন,”আমি নীলের জন্য ব্ল্যাক কফি বানিয়ে দিচ্ছি তুই নিয়ে যা।”
পরি বলল,”আমি ওনার জন্য ব্ল্যাক কফি বানিয়ে রেখেছি।”
রোজিনা বেগম মৃদু হেসে বললেন,”তাহলে আর কি নীল কে দিয়ে আয়। আর কিচেনে আসা লাগবে না। অনেক পাকামো করেছেন এখন স্বামী সেবা করুন।”
স্বামী সেবা কথা টা শুনতেই পরি লজ্জায় শিউরে গেল। কফি হাতে নিয়ে লজ্জা মাখা কণ্ঠে বলল,”আমি আসছি আম্মু।”
পরি কে লজ্জা পেতে দেখে রোজিনা বেগম হাসলেন। ময়না কে ডেকে সবাই কে চা কফি দিয়ে আসতে বললেন। আর স্বামীর চা টা নিজ হাতে নিয়ে গেলেন। হানিফ আহমেদ রোজিনা বেগমের হাত থেকেই চা নিতে পছন্দ করেন। তাই রোজিনা বেগম ও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন স্বামীর ইচ্ছের সম্মান প্রদর্শন করতে।
পরি নীলের রুমের কাছে এসে কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
দরজা টা ভেজানো পরি নক করবে না কি করবে না তা নিয়ে ভাবছে। নক করা উচিত ভেবেই দরজায় কড়া দিল পরি। দরজায় কারো কড়া দেওয়ার শব্দে নীল বলল, “কামিং।”
পরি দরজাটা হালকা খুলে ভেতরে আসল। নীল রকিং চেয়ারে বসে মাথায় হাত গুঁজে বসে আছে। পরি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীল কে দেখে নিল। কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে পারল না। খানিকটা অস্বস্তি নিয়ে বলল,”আপনার কফি।”
পরির কণ্ঠস্বর শুনে নীল মাথা উঁচু চরে তাকাল। নীল কে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সারা রাত ঘুমায় নি। কিন্তু নীল কেন ঘুমায় নি? ও কি কোনো কিছু নিয়ে টেনশনে আছে। নীলের মুখ টা দেখেই পরির বুকের ভেতর চিন চিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল। এই কয়েক দিনে নীলের এমন ফ্যাকাশে মুখ পরি দেখে নি। পরি কে ভাবলেশহীন ভাবে তাকাতে দেখে নীল মলিন হাসল। হাত থেকে কফি টা নিয়ে বলল,”দাঁড়িয়ে আছ কেন? বসো।”
পরি বসল না। কথা ও বলল না। শুধু নীলের মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করল নীলের কি কিছু হয়েছে। পরি কে না বসতে দেখে ও নীল কিছু বলল না। কফি টা অতি যত্নে শেষ করে নিল। টেস্ট ভালো হয়েছে। পরি এখনো নীলের দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে নীল কে নিয়ে কঠিন কোনো গবেষনা করছে। রকিং চেয়ার থেকে নীল উঠে দাঁড়াল। কফির মগ টা সাইড টেবিলে রেখে নীল মুচকি হেসে বলল,”কফি টা ভালো ছিল। এখন থেকে রোজ আমার এই কফি চাই। এর মানে আমি যতদিন বাসায় থাকব তুমি ই কফি বানিয়ে দিবে। আর মিসেস রাফসান আহমেদ বাবার বাড়িতে এক সপ্তাহের বেশি ঘুরাঘুরি আপনার জন্য অনুমতি নেই। আমি আপনাকে ছাড়া বেশি দিন থাকতে পারব না।
বুঝেছেন?”
এই বলেই নীল পরির নাক টিপে দিল। সবটা যেন পলকেই ঘটে যাচ্ছে। পরির কপালে উষ্ণ ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। পরি নীলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। যদি বাবা মা নীল কে সহ মেনে না নেয়? তাহলে তো বিচ্ছেদের মতো কঠিন সত্য কে মেনে নিতে হবে। নীল কে ছাড়া থাকতে পারবে কি পরি? আর নীল তো পরি কে নিয়ে স্বপ্ন বুনছে।
পরি কি করে ভে ঙে দিবে এই স্বপ্ন। আর বাবা মা তাদের কে কষ্ট দিয়ে ই বা পরি কতোটা ভালো থাকবে? পরির চোখ দিয়ে আবার বর্ষন নেমে গেল। নীল নাকি পরিবার পরির শান্ত হওয়া মনটা বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই অশান্ত হয়ে গেল। এ কেমন অনুভূতি? কেন হচ্ছে এমন? ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে পরি পেছন ঘুরে নিল। চোখের পানি টুকু আড়াল করার বৃথা চেষ্টা চালাতে লাগল। নীল পরি কে দেখেই বুঝে গেল পরি কেঁদেছে। কিন্তু নীল কিছু বলল না। মৃদু হেসে শার্ট এর হাতা ফোল্ড করতে করতে বলল,”পরি আমাকে আজ তুমি খাবার সার্ভ করে দিবে। তোমার হাতের রান্না উফ ভাবতেই কেমন অনুভূতি হচ্ছে।”
নীলের কথাতে পরি খানিকটা চমকাল। নীল কি করে জানল পরি ই যে আজকে রান্না করেছে? নিজের কৌতূহল দমিয়ে রেখে পরি মৃদু স্বরে বলল,”আপনি আসুন আমি খাবার রেডি করছি।”
পরি যেতেই নীল মলিন হাসল। কেন জানি নীলের মনের ভেতর খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে। নীল নিজেকে সামলে নিয়ে নিচে চলে গেল। ডাইনিং এ সবাই কে দেখে নীল হাসল। রোজিনা বেগম সবাই কে খাবার সার্ভ করছেন।
নীল ডাইনিং এ এক মিনিট বসে রইল। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বলল,”পরি আমার না একটু কাজ আছে প্লিজ তুমি আমার খাবার টা রুমে নিয়ে আসবে?”
পরি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানাল। নীল মুচকি হেসে চলে গেল। ডাইনিং এ সবাই মিটিমিটি হাসছে। পরি সবার দিকে তাকিয়ে হাসির কারণ বিশ্লষণ করতে লাগল। কিন্তু কোনো কারণ ই খুঁজে পেল না। শেষে খাবার নিয়ে উপরে উঠে গেল।
অনিক খাচ্ছে আর হাফসা আড় চোখে অনিক কে দেখছে ।
হাফসার ইচ্ছে করছে অনিকের মাথা টা ফাঁ টি য়ে দিতে।
কাল রাতে কি ভয় টা দেখিয়েছে। পুরো রাত হাফসা নির্ঘুম কাটিয়েছি শুধু মাত্র অনিকের জন্য। অনিক সামনে তাকাতেই হাফসার সাথে চোখাচোখি হয়ে যায়। হাফসা অনিকের দিকে রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকাতেই অনিক ভ্রু নাচায়। হাফসা অনিক কে ভেংচি কেঁটে খাবারে মনোযোগ দিল। হাফসা খাওয়া শেষ করে উপরে উঠে যায়। হাফসা নিজের রুমের দিকে পা বাড়াতেই অনিক হাফসা কে হ্যাঁচকা টান মে রে নিজের কাছে নিয়ে আসে। হাফসা চোখ রাঙিয়ে বলল,”কি হচ্ছে কি? ভাইয়ের বন্ধু এতটা অসভ্য হয়?”
অনিক বাঁকা হেসে বলল,”কি হচ্ছে মানে কি? কাল তো তুমি ই আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে। আর আমি ধরলেই দোষ!দিছ ইজ নট ফেয়ার হাফসা।”
কাল রাতে ”The wrong house” মুভি দেখে সবাই এক প্রকার জমে গেছে। আর থিয়েটার রুমটা এমন করে সাজানো যার ফলে মনে হয় মুভির সমস্ত ঘটনা নিজের সাথেই হচ্ছে। মুভি শেষ হলে যে যার রুমের দিকে পা বাড়ায়। হাফসার বুক ধুকপুক করছে। ভয়ে হাত পা কাঁপছে।
মনে হচ্ছে এখনি জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়বে। হাফসা করিডোর দিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়াতেই কেউ একজন হ্যাঁচকা টান মে রে গেস্ট রুমে নিয়ে আসে। হাফসা ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে কে? কে এখানে? কিন্তু হাফসার ডাকে কারো সাড়া পাওয়া গেল না। হাফসা শুকনো ঢোক গিলে ড্রীম লাইট এর মৃদু আলোতে চোখ ঘুরিয়ে পুরো রুম দেখে নিল।
কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। হাফসা বুকে ফু দিয়ে রুম থেকে বের হতে গেলেই দরজা টা লক হয়ে যায়। হাফসার আত্মা পানিশূন্য হয়ে পড়ে। বরাবর ই হাফসা বেশ ইন্টারেস্ট নিয়ে হরর মুভি দেখে কিন্তু শেষমেষ ভয়ে কাঁপা কাপি করে।
কিন্তু আজ এই মুভি দেখার পর হাফসার ভয় যেন চার গুন বেড়ে গেছে। তার উপর এমন উদ্ভট ঘটনা ঘটছে। ভূত নামক জিনিস এ বিশ্বাস না করলে ও প্রচুর ভয় পায় হাফসা।হাফসা কাঁপা কণ্ঠে বলে দেখুন কে এখানে। এই রকম ফাজলামি আমার একদম কাছে ভালো লাগছে না। আমি জানি ভূত বলে কিছু নেই। সামনে আসুন আর না হলে আমায় যেতে দিন।
কিন্তু কারো কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। হাফসার শরীর কাঁপছে। হাফসা কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে দরজা ধাক্কা মারতে থাকে। কিন্তু এতে ও কোনো বিশেষ লাভ হলো না।
হাফসা পেছন ঘুরে তাকাতেই একটা বিবর্ণ ভয়ঙ্কর ছবি ভেসে উঠল।যা দেখে হাফসা চিৎকার করে দিল। কিন্তু সাউন্ড প্রুফ রুম হওয়ার কারনে কেউ কিছু শুনতে পেল না।
হাফসা বেশ ভয় পেয়ে গেল। ভয়ে চোখ দিয়ে পানি ও পড়ছে না। হঠাৎ ই লাইট অন হয়ে গেল। সামনে অনিক কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাফসার বুকে প্রান এল। হাফসা এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে কি হয়েছে কিছু বুঝার আগেই অনিক কে জড়িয়ে ধরে। হাফসার আচকমা জড়িয়ে ধরাতে অনিক থতমত খেয়ে গেল। কারণ সে এটা আশা করে নি। হাফসা কাঁপছিল। অনিক হাফসা কে মৃদু কণ্ঠে বলল,”ক্ল্যাম ডাউন হাফসা।”
কিছুক্ষন পর হাফসা শান্ত হলো আর যখন বুঝতে পারল অনিক কে জড়িয়ে ধরেছে তখন অনিক কে ছেড়ে দূরে চলে গেল। হাফসা নিজের আচরণে বেশ লজ্জা পেল। মনে মনে স্থির করল অনিক কে সরি বলবে। কিন্তু হঠাৎ ই মাথায় আসল অনিক এখানে কি করে আসল? হাফসা সব কিছু মিলিয়ে বুঝে গেল এই সমস্তটাই অনিকের কাজ। হাফসা রাগি চোখ দিয়ে অনিকের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। অনিক মুখ চেপে হাসছিল।
হাফসা আর কিছু বলতে পারল না। কিছু বলার ইচ্ছে টাই ম রে গেছে। রাগে কটমট করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে গেল। তবু ও সেই বিকৃত দৃশ্য হাফসার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। যার কারণে সারা রাত হাফসা চোখের পাতা এক করতে পারে নি। অনিকের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে করতে রাত কাটিয়ে দিয়েছেভ সকাল বেলা অনিকের এই শান্ত দৃষ্টি আর বিহেফ হাফসা নিতে পারছিল না। ওর মনে হচ্ছিল অনিকের মাথা টাই ফাঁ টি য়ে দিতে। কি ফাজিল ছেলে!
চলবে…
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি
| প্রথম পরীক্ষা শেষ করে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো হয়েছে। সকলের দোয়ায় রাখবেন।|