নীলের_পরি (২৬)

0
9

#নীলের_পরি (২৬)

আফজাল হোসেন ঘেমে একাকার। শীতের প্রথম দিক হলে ও তাকে দেখে মনে হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা।আফজাল হোসেন বেডে হেলান দিয়ে বসে আছেন। মিসেস রাহেলা কিচেন থেকে ছুটে এলেন। স্বামীর বিধ্বস্ত মুখ টা দেখে বুকের ভেতর চিন চিন ব্যথা করছে ওনার। প্রত্যাশা জনক চেহারা নিয়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন ওনি। মিসেস রাহেলা নিজেকে সামলাতে না পেরে বলে উঠলেন।
“পরির কোনো খবর পেলে?”

আফজাল হোসেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,”হুম কমিশনারের কাছে গিয়েছিলাম। কমিশনার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বললেন। তারপর ওনি নীল কে নিয়ে এসেছিলেন। নীল কে বলেছি আমার মেয়ে কোথায়।
নীল বলেছে টেনশন নিবেন না দুটো দিন সময় দিন সব প্রুফ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আর পরি ভালো আছে।”

মিসেস রাহেলা বললেন,”নীল ছেলেটা কে,কিছু জানতে পারলে?”

আফজাল হোসেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,”সেটা এখন বলবে না বলেছে। দুদিন বাদেই নাকি সব বলবে।”

মিসেস রাহেলা কাঁদতে কাঁদতে বললেন,”আমার মেয়েটা ভালো আছে তো? কিছু খারাপ হয় নি তো ওর সাথে?”

আফজাল হোসেন ক্লান্তি ভরা চোখে আশ্বাস দিয়ে বললেন,”বুঝলে রাহেলা কেন জানি নীল ছেলেটা কে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে। ছেলেটার চোখে আমি সততা দেখেছি।
আর ও যদি বাজে ই হয় তো তাহলে পরি কে বিয়ে করে কেন নিয়ে যাবে। আমি এখন কিছু বলতে পারছি না। দুটো দিন যাক তারপর দেখছি। এমনিতে ও নীলের নামে কেইস করতে পারব না আমরা। কারণ পরির আঠারো বছর পূর্ণ হতে কয়েক মাস বাকি। সেই হিসেবে আমরা বাল্য বিবাহ দিচ্ছলাম। তার উপর পরি রাজি ছিল না। সব কিছু মিলিয়ে দুদিন অপেক্ষা করাটাই শ্রেয়। আচ্ছা আমরা তো পরির ভালোর জন্যই ই করছিলাম। মা নাকি শেষ ইচ্ছে রেখেছিল তাহলে আমরাই বা কি করতাম?”

মিসেস রাহেলা চোখের পানি মুছে বললেন,”আচ্ছা দেখা যাক কি হয়। তবে ছেলেটা আমাদের সাথে নম্র ভদ্র ভাবেই কথা বলেছে। তুমি চর দেওয়ার পর ও কোনো টু শব্দ করে নি। আল্লাহ আমার মেয়েটাকে ভালো রেখো , সুস্থ রেখো।”

আফজাল হোসেন মলিন হাসলেন ওনাদের অপেক্ষা দুটো দিন। দুপুর ১২ টা বাজতে চলেছে। পরি হাতের নখ কামরাচ্ছে। একটু পর ই যে রেজাল্ট। টেনশনে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। পউৎখুস করছে মন। পরির কাছে কোনো ফোন ও নেই তাই পরি কারো কাছ থেকে কোনো খবর ও নিতে পারছে না। নীল কে যে বলবে তার ও উপায় নেই। নীল সকাল বেলাতেই কোথায় যেন বের হয়েছে। দুপুর ১২:১৫ বেজে গেছে নিশ্চয়ই রেজাল্ট বের হয়ে গেছে। পরি ওড়না নিয়ে দ্রুত পায়ে হাফসা র রুমে যায়। কিন্তু হাফসাকে রুমে পায় না। পরি মন খারাপ করে করিডোরে আসতেই দেখে নীল হন্তদন্ত হয়ে আসছে। নীল কে দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে। নীল পরি কে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। যার ফলে পরির মনে আঘাত লাগল। নীল পেছনে ফিরে বলল
“পরি আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো। আর তোমার রেজাল্ট এর বিষয়ে কথা আছে।”

পরি মাথা ঝাঁকিয়ে দ্রুত গতিতে পানি আনতে ছুটল। পানি হাতে নীলের রুমে ঢুকল। নীল কিছুক্ষণ সময় নিয়ে পানি টা শেষ করল। মনে হচ্ছে নীল নিজের রাগ সংবরণ করল। পরি শুকনো ঢোক গিলে বলল,”আমার রেজাল্ট?”

নীল পরির দিকে বিরক্তি মাখা দৃষ্টিতে চেয়ে বলল,”দেখো পরি রেজাল্ট একদম ভালো হয় নি তোমার। একটুর জন্য ফেল কর নি। যাই হোক মন খারাপ কোরো না।”

নীলের মুখে খারাপ রেজাল্ট এর কথা শুনতেই পরি নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল। নীল পরির দিকে ভ্যাবলা র মতো চেয়ে রইল। পরি একটু কাঁদলেই পরির নাকের পাটা টা লাল হয়ে যায়। গাল গুলো ও রক্তিম বর্ণ ধারন করে। ইস এই মেয়েটা এত মিষ্টি কেন? নীল নিজেকে সামলে বলল,”পরি কেঁদো না। পয়েন্ট টা তো দেখবে? চলো থিয়েটার রুমে দেখাচ্ছি।”

পরি কান্না রত অবস্থা নিয়ে নীলের পিছু পিছু গেল। থিয়েটার রুম টা একদম অন্ধকার। নীল বলল,”এই রুমের ইলেকট্রিসিটির প্রবলেম হয়েছে।”

নীল ফোনের ফ্লাস টা জ্বালাল। রুমের ভেতরে গিয়ে ল্যাপটপ থেকে রেজাল্ট বের করতে লাগল। পরি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। নীল প্রজেক্টর অন করে বড়ো পর্দাতে আলো ফেলতেই চারদিক থেকে ফুলের পাপড়ি ঝরতে লাগল। সাথে আরো কিছু ফোনের ফ্লাস জ্বলে উঠল।পরি সবার দিকে তাকাতেই সবাই একযোগে বলল
“কনগ্রাচুলেশন।”

পরি কিছু বুঝতে পারছে না। নীল পরির ঘাড় ঘুরিয়ে সামনের দিকে তাকাতে বলল। পরি পর্দার দিকে তাকিয়ে থ হয়ে গেল। পরি যে গোল্ডেন প্লাস পেয়েছে! নিজের মুখ চেপে ধরল সে। নীল তো পুরো ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। লাইট জ্বলতেই পরি নীলের দিকে তাকাল। নীল মৃদু হেসে বলল
“কনগ্রাচুলেশন পিচ্চি।”

সবার সামনে নীলের মুখে পিচ্চি ডাক টা শুনে পরি লজ্জা পেল। হাফসা এসে পরি কে জড়িয়ে ধরে বলল,” কনগ্রাচুলেশন কিউটি। আমার ভাবি।”

পরি হাফসার গাল টেনে বলল,”থ্যাংকস বিউটি।”

হাফসা আর পরি দুজনে হাসতে লাগল। একে একে সবাই পরি কে কনগ্রাচুলেশন জানাল। নীল বুকে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে পরি কে দেখছে। পরি নীলের দিকে তাকাতেই নীল পরি কে চোখ মেরে দিল। পরি লজ্জায় মুখ নামিয়ে নিল।
নীল আনমনে হাসতে লাগল। ইস তার পরিটা যখন তখন কান্না করে আবার যখন তখন হাসিতে মুখ রাঙিয়ে ফেলে।
পুরো ই পিচ্চি।

দুপুরে সবাই খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে ছাঁদে চলে এসেছে। আজ নীলের বন্ধুরা সবাই নীলের বাসাতেই লাঞ্চ করেছে। অবশ্য আজকে রাত টা ও এখানেই কাটাবে।
সবাই আড্ডা দিতে ব্যস্ত।পরি ছাঁদের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে। বোধহয় মন খারাপ। নীল বিষয়টা বেশ কয়েকবার খেয়াল করলে ও কিছু বলছে না। নীল মেলাতে চেষ্টা করছে কেন মন খারাপ। কিছুক্ষণ পর নীল বুঝতে পারল আজ পরির রেজাল্ট বেরিয়েছে বাসার কেউ জানে না কি তা ও সন্দেহ। তাই হয়ত পরির মন খারাপ। নীল হাফসা কে ইশারা করে বলল পরি কে এখানে নিয়ে আসতে। হাফসা সম্মতি জানিয়ে পরির কাছে গেল। পরি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,”কি হয়েছে পরি সোনার?”

হাফসার কথাতে পরি হেসে উঠল। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,”কিছু হয় নি হাফসা সোনা। শুধু বাসার সবাই কে মনে পড়ছে।”

হাফসা অভিমানী স্বরে বলল,”কেন আমরা কি পরি সোনার বাসার লোক নই?”

হাফসার কথাতে পরি থ হয়ে গেল। তারপরই হাসতে হাসতে বলল,”হয়েছে আপনার আর ঢং করে অভিনয় করতে হবে না। আসলে সবাই কেমন আছে সেটা নিয়েই চিন্তিত। বড্ড কষ্ট দিয়ে ফেলেছি বোধহয়। সবাই আমাকে বাজে ভাবছে না? খুব ঘৃণা করছে?”

আচমকা ই নীল হাজির হলো। নীল হাফসা কে ইশারা করে বলল সবার সাথে নিচে চলে যেতে। হাফসা চলে যেতেই নীল পরির হাতে হাত রেখে বলল,”এভাবে মন খারাপ করে থাকলে ভালো লাগে বলো? কিছু দিন সময় দাও সব ঠিক করে দিব। আর কোনো কষ্ট পেতে দিব না তোমায়।”

নীলের কথাতে পরির চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। অশ্রু ভরা চোখে পরি নীলের দিকে কৃতজ্ঞতা জানাল। নীল মুচকি হেসে পরির চোখের পানি টুকো দু হাতে মুছিয়ে দিল। পরি এখনো কাঁদছে দেখে নীল পরি কে হেচকা টান মেরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল। নীলের নিশ্বাস পরির ঘাড়ে এসে লুটপাট চালাচ্ছে। শরীরে নীলের নিশ্বাস পড়াতে পরি বার বার কেঁপে উঠছে। কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে। নীল পরি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,”একটু ও কাঁদবে না বুঝেছ? কাঁদলে একদম খু ন করে দিব। আমি তোমাকে ভালোবাসি পরি। তুমি জানো না তুমি কাঁদলে আমার অন্তর ক্ষ ত হয়ে যায়। আমার তোমাকে প্রয়োজন খুব বেশি ই প্রয়োজন। আমার উপর বিশ্বাস রাখো আমি তোমাকে সমস্ত টা ফিরিয়ে দিব। তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর কষ্ট দিব না তোমায়।”

নীলের কথা তে পরির কান্না থেমে গেল। নীল পরি কে ভালোবাসে কথা টা ভাবতেই পরির বুকের ভেতর ঘন্টা বেজে উঠল। নীলের ছোঁয়া গাঢ় হতেই পরি নীলের হাত শক্ত করে ধরে নিল পরি। নীল মুচকি হেসে বলল,”বউ আমার লজ্জাবতী। এত লজ্জা কেন বউয়ের?”

নীলের মুখে বউ কথা টা শুনতেই পরি আসলেই লজ্জায় নুইয়ে যাচ্ছিল। নীল তো এমন ছিল না তাহলে এখন এমন হলো কি করে? তাকে লজ্জা দিয়েই বুঝি মে রে ফেলবে ছেলেটা!
নীল পুনরায় বল‍ল,”কি ব্যপার?”

পরি কিছু বলল না। শুধু নীলের স্পর্শ অনুভব করতে লাগল। নীলের স্পর্শে কোনো বাজে ইঙ্গিত নেই। নেই কোনো গভীর চাওয়া। নীলের স্পর্শে রয়েছে শুধু অপরিমেয় ভালোবাসা। এই স্পর্শ তার ভালোবাসা কে আগলে রাখার জন্য। ভরসা দেওয়ার জন্য। নীলের মতো একজন কে পরি কখনো এতটা ভালোবেসে ফেলবে ভাবতে ও পারে নি। আর অবশেষে নীল ও যে পরি কে ভালোবাসে এটা তো পুরো ই স্বপ্ন। এত বছরে কষ্ট গুলো যেন ধীরে ধীরে মেঘ হয়ে উড়ে যাচ্ছে। ভালোবাসার সামান্য পূর্ণতার স্বাদ পেয়েই পরি নিজেকে পরিপূর্ন ভাবছে। এই মানুষ টা যে তার ভাবতেই পরি পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ হয়ে যাচ্ছে। নীল আর পরি একে অপরের অদৃশ্য অনুভূতি গুলোর স্বাদ নিচ্ছে। দুটো মনের একটাই চাওয়া। ইস এভাবেই যদি সারা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। ভালোবাসার এই অমায়িক অনুভূতি এতটা দুর্দান্ত কেন? এ উত্তর কি কেউ জানে? বোধহয় জানে না। প্রতি টা ভালোবাসা ই ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে আসে।
দুটি মন ই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে এভাবেই যেন হাতে হাতে রেখে জীবনের শেষ সময় অবধি থাকতে পারে।

সুলতানা বেগম মাথায় আইস ব্যাগ ধরে বেডের উপর বসে আছেন। রাগে মাথা টা তার ফেটে যাচ্ছে। দুপুরে ভাই কে ফোন করেছিলেন। ভাইয়ের কথাতে সুলতানা বেগমের রাগ মাথায় চরে বসেছে। যেহেতু বিয়ের হয়েছে তাই,নীল সহ সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে নাকি নীলের সাথে ই পরির সংসার হবে। কোথায় ভেবেছেন নীলের সাথে সংসার ভে ঙে পরিকে প্রান্তের সাথে ধরিয়ে দিবেন। কিন্তু না একি হচ্ছে এসব।
দীর্ঘ দিনের প্ল্যান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র ঐ নীলের জন্য।
কে এই নীল? পরির সাথে কিসের ই বা সম্পর্ক নীলের? ছোট ছোট করে জমিয়ে সাজানো এত বড়ো প্ল্যান কিছুতেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। কিছু তো করতে হবেই। এই সমস্ত কিছু ভাবতে ভাবতে সুলতানা বেগমের ক্রোধ মাথায় চরে বসেছে।প্রান্ত সুলতানা বেগম কে মাথায় আইস ব্যাগ ধরে রাখতে দেখে ভ্রু কুঁচকে বলল,”কি হয়েছে?”

সুলতানা বেগম মাথায় আইস ব্যাগ ধরেই বললেন,”কি আর হবে। তোর মামার মাথায় ভূত চেপেছে রে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে নাকি নীলের সাথে ই মেনে নিবে। কি ভয়ঙ্কর ঘটনা! এত দিনের সাজানো প্ল্যান সামান্য কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

প্রান্ত ভাবলেশহীন ভাবে বলল,”দেখ আম্মু আমি অত শত বুঝি না। তোমার কথাতে আমি পরি কে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি। আমি কখনো বদলাতে পারব না। পরি তো একদম গেঁয়ো। এই যোগে সবাই পরে শর্টস আর ও লং। আর তাছাড়া আমি এই এক জনের মধ্যে থাকতে পারব না।
এই সব লো ক্লাসের বিয়ে টিয়ে সংসার আমার চলে না।
আমি এত কিছু ভাবতে চাই না। পরি দেখতে ভালো তাই এই প্যারা নিতে রাজি হয়েছি। ঘরে ফিরেই ঐ রকম একজন কে পাব তাই। তবে পরি যে রকম মেয়ে কখনো ছুঁয়ে দেখতে ও দিবে কি না সন্দেহ। বিয়ে হলে অধিকার পেয়ে যাব তাই।
যাই হোক এখন আমি আমার অষ্টম গার্লফেন্ড এর কাছে যাব। ফিরতে অনেক রাত হবে। আর আমার দশ হাজার টাকা লাগবে।”

সুলতানা বেগম ছেলের কথাতে বিরক্ত হলেন। কয়েকটা দিন ও কি সামলে থাকা যায় না? যদি কোনো সমস্যা হয়ে যায়।
কাবাড থেকে দশ হাজার টাকা বের করে দিয়ে বললেন,”দেখ বুঝে শোনে খরচ কর। পরির সাথে বিয়ে হলে কপাল খুলে যাবে রে। হাতে চাঁদ পেয়ে যাবি এখন অন্তত একটু সামলে চল।”

প্রান্ত টাকা নিয়ে চলে যেতেই সুলতানা বেগম প্ল্যান কষতে লাগলেন। এই নীল টা কে তা বের করতেই হবে। নীল কে তো সরাতেই হবে। যেভাবেই হোক। এত সুন্দর পরিষ্কার প্ল্যান কিছুতেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। কিছুতেই না।

চলবে…..
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here