#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_25
জেলে পল্লির ছোট ছোট ঘর গুলো দেখতে খানিকটা রূপকথার মতোই মনে হচ্ছে। ছনের ঘরের পাশে গুটি কয়েক মানুষ দাঁড়ানো। আবার কেউ বা নদীতে গোসলে নেমেছে। ঝিলের খুব ইচ্ছে হচ্ছে নদীতে গোসল করার। তবে সে সাঁতার জানে না। খুব মন খারাপ হলো। অভিনব ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত। ঝিলের রাগ হচ্ছে খুব। ছেলেটার হাতে জোরে চিমটি কেঁটে দিলো। হঠাৎ আক্রমণে অভিনব আহ করে আর্তনাদ করে উঠলো। চিমটি কাঁটা স্থানে হাত বুলিয়ে বলল
_ কি হয়েছে ?
_ সাঁতার কাটবো ।
_ আপনি তো সাঁতার জানেন না।
_ তো তার জন্য আমি পানি তে নামবো না ?
_ আচ্ছা লাইফ জ্যাকেট পরে নামবেন । বাট এই বেবি পিংক রঙের জামা পরে নামা যাবে না।
_ কেন ? বেবি পিংক রঙ টা আবার কি করলো ? আপনাকে তো কামড় দিতে যায় নি। তাহলে সমস্যা কি ?
_ বেবি পিংক পরে পানি তে নামলে গাঁয়ে লেপ্টে থাকবে। আপনি নিশ্চয়ই
অভিনব কে থামিয়ে দিলো ঝিল । এটার কথা মাথাতেই ছিলো না। শুকনো ঢোক গিলে বলল
_ ব্লাক ড্রেস পরে নামবো।
_ আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু আমার পাশাপাশি থাকতে হবে। একদম কোথাও যাওয়া যাবে না।
_ আচ্ছা।
লঞ্চ থামিয়ে দেওয়া হলো। সবাই বোর্টে উঠে বসলো। এবার বোর্ট যাবে কটকা অফিস পাড়। কটকা অফিস পাড় কে কেওড়া রাজ্য ও বলা হয়। কারন এখানে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কেওড়া গাছ।
তাছাড়া হরিনের বাহার তো রয়েছেই। ধারনা করা হয় সুন্দর বনে এক থেকে দেড় লাখ হরিন রয়েছে। বাঘের দেখা না মিললে ও হরিনের পাল দেখে মুগ্ধ হতেই হবে।
পূর্ব সুন্দরবনে শরনখোলা রেঞ্জের কটকা বন্য প্রানীর অভয়ারণ্য খুব কাছ থেকে হরিন দেখা যায়। ভাটার সময় সেখানে দলে দলে হরিন , বন্য শুকুর আর বানর খাবারের খোজে নামে। কটকার টাইগার টিলার প্যারা বনে দেখা যায় হরিনের মেলা।
বোর্ট যখন কোকিল মনি খাল দিয়ে যাচ্ছিলো তখনি দেখা মিললো হরিনের।
খালের পাড়ে খাবার খাচ্ছিলো হরিনগুলো।
পর্যটক দের আনা গোনা পর্যবেক্ষন করছিলো উৎসুক দৃষ্টি তে। সবাই একটু চেঁচামেচি করে উঠলো। গাইড সবাই কে চুপ হতে বললেন। কারন এতে করে পশু পাখি রা ভয় পেয়ে যায়।
আর স্থান ত্যাগ করে। ফলে তাদের দেখা মিলে না আর।
বোর্ট আরেকটু এগোতেই ঝিলের চোখে পরলো কোকিলমনি জঙ্গলের পাড়ে। একটা হরিন পানি খাচ্ছিলো। আর তার থেকে একটু দূরে রোদ্রস্নানে তীক্ষ্ম দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে তার চিরশত্রু লোনা পানির কুমির।
ঝিল এক হাতে অভিনব কে খামচে ধরলো। অভিনব ঝিলের দৃষ্টি অনুসরণ করলো। হরিন আর কুমির কে দেখেই বুকের ভেতর চিন চিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল। হাতের কাছে কিছু নেই ওহ যে হরিন টাকে সরাবে।
ঝিল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। যেন চোখ ফেটে এখনি নোনা জল বের হয়ে যাবে। হরিনের মায়া বি মুখ খানা দেখেই কষ্ট হচ্ছে। ঝিল খুব করে চাইছে হরিন টা বেঁচে যাক।
কুমির টা হঠাৎ করেই লাফিয়ে উঠলো। ঝিল চোখ বন্ধ করে চিৎকার করে উঠলো। আতঙ্কে যায় যায় অবস্থা । এ দৃশ্য সে দেখতে পারবে না। অভিনব আলতো হাতে ঝিলের মুখ টা উঁচু করলো। মুহুর্তেই ঝিলের মন ভালো হয়ে গেল । কারন হরিন টা বেঁচে আছে।
হরিনের শিং এ বসে ছিলো এক ধূসর রঙের প্রজাপতি । সে হরিনের নাকে বসতেই হরিন টা লাফিয়ে উঠে। আর তাই কুমির টা হরিন টাকে ধরতে পারে না। অভিনব মৃদু ছন্দে হাসলো। তার জীবনের বেশ কিছু ঘটনা তে এই ধূসর রঙের প্রজাপতি উল্খেযোগ্য । আচ্ছা এই ধূসর রঙের প্রজাপতি টা কি আল্লাহর পাঠানো কোনো বার্তা প্রেরক ?
অভিনব আনমনেই হাসলো। সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে ঝিলের হাত টা শক্ত করে ধরলো।
প্রতি মুহুর্তে ই চাইছে যেন এই হাত টাকে না ছাড়তে হয়। যে সম্পর্ক টা একটা এক্সিডেন ছিলো। সেটা যেন পরিপূর্ন পায়। ঝিলের সে দিকে খেয়াল নেই। সে লাফাতে ব্যস্ত।
নদীর পাড়ের ঘাস বনে বসে আছে প্রজাপতি। নানান রঙের প্রজাপতি । তবে সমস্ত রঙ কে ছাপিয়ে ধূসর রঙের প্রজাপতি টাই কেন যেন আকর্ষন করছে। রংধনুর মতো প্রজাপতি গুলো যেন তার কাছে ফিকে। আশ্চর্য এক অনুভূতি। সবাই মৃদু স্বরে তালে তাল মিনিয়ে গান শুরু করলো।
তাতে ও এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব হচ্ছে। তবে ইঞ্জিনের শব্দ টা কানে এসে লাগছে। যা এক বাজে অনুভূতি । ঝিল তপ্ত শ্বাস ফেললো। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা কাঠের পুলের মতো দেখতে পেল। বোর্ট টা কাঠের পুলের কাছেই দাঁড় করানো হলো। এটাই অফিস পাড়।
নদীর স্রোত বেশি থাকায় নামতে বেশ সমস্যা হলো। সবাই কে ধরে ধরে নামাতে হলো।
মাহেরা আবার অভিনবর গলায় ঝুলে পরলো। অভিনব মৃদু হেসে মাহেরার হাত ধরে নামিয়ে দিলো।
একে একে সবাই বোর্ট থেকে নেমে গেল।
তবে ঝিলের প্রচন্ড রাগ হলো।
সে একাই নামবে বলে ঠিক করলো।
অভিনব তীক্ষ্ম দৃষ্টি তে ঝিল কে লক্ষ্য করছিলো। অন্য বোর্টের একটা লোক ঝিলের দিকে হাত বাড়ালো।
ঝিল তো মহা খুশি সে ওহ হাত বাড়িয়ে দিলো।
তবে অভিনব তার রাগি দৃষ্টি রেখে শক্ত করে ঝিলের হাত ধরে নিলো । ঝিল ছুটোছুটি করার চেষ্টা করছিলো। অভিনব ঝিল কে এক হাতে জড়িয়ে বোর্ট থেকে নামলো।
যার জন্য ঝিলের হাতের বেশ কতো গুলো ঘুসি ও খেতে হলো।
তবে ঝিল তো জানে না তার ছোট্ট হাতে ঘুসি অভিনবর কাছে পিঁপড়ার কামড়।
গাইড সহ এজেন্সির লোক কাগজ পত্র নিয়ে ঠিক করলেন।
আসলে প্রতি টা স্পর্ট এই কাগজ পত্র দেখিয়ে অনুমতি নিতে হয়।
সবাই নিদের্শনা পেয়ে হাঁটা লাগালো।
কটকা তে টেলিটকের একটা নেটওয়ার্ক আছে। তাই এখানে 4 জি সার্ভিস পাওয়া যায়। সবার বেশ মন খারাপ হলো। কারন সবার ফোন রিতি মতো মৃত। কেউ ভুলেও ফোন টা বের করলো না। কারন নেটওয়ার্ট নেই। সবাই ক্যামেরা দিয়েই ছবি তুলছে।
এখানে ও কাঠের ট্রেইল রয়েছে। পুরো সুন্দরবন জুড়েই এই রখম কাঠের ট্রেইল তৈরি করা হয়েছে।
কারন সুন্দর বনের বেশি অংশ ই পানি তে ডুবে থাকে। আর পর্যটক রা কাঁদায় মাখা মাখি করতে নিশ্চয় ই সুন্দরবনে আসবে না। তাই এই কাঠের পুল , যার মধ্যে দিয়ে পুরো বন ঘোরা যায়।
অভিনব আর ঝিল পাশা পাশি হাঁটছে । এখানে ও পাখির কিচির মিচির শোনা যাচ্ছে। ঝিলের মনে হলো রাতের পরিবেশ টা আর ও সুন্দর। কারন বনের গহীনে গা ছমছম ভাব। অদ্ভুত শিহরন , সব কিছু মিলিয়ে ভুতুরে অনুভূতি । ঝিল শিউরে উঠলো । অভিনবর দিকে মাথা উঁচু করে তাকালো। এই ছেলের দিকে তাকাতে হলে মাথা উঁচু করতে হয়। ছয় ফিট হওয়ার কী দরকার ছিলো ?
ঝিল তার ছোট ছোট দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে হাঁটতে লাগলো। মাথার উপরে বড় বড় গাছের সাড়ি। কিছুদূরে দুটো বানর দেখতে পেল। ঝিল ভয়ে চুপসে গেল। গায়ের লোমকূপ পর্যন্ত শিউরে উঠেছে। স্তব্ধ হয়ে অভিনবর পেছনে দাঁড়ালো । আদুরে সুরে বলল
_ আমি আর যাবো না।
_ কেন ?
_ বানর।
_ মাংকি দেখে এতো ভয় পান কেন ? যত ভয় পাবেন ওরা তো ভয় দেখাবে। প্লিজ সাহসী হন। সাধারন বানর দেখে এতো ভয় ইসসস লোকে কি বলবে বলুন তো ?
_ যে যাই বলুক। আমার কিছুই যায় আসে না । আপাতত আমি আর যাচ্ছি না।
_ ওকে না হলে এখানেই পা হাত গুটিয়ে বসে থাকেন।
ঝিল তব্ধা খেয়ে গেল। অভিনব লম্বা লম্বা পা ফেলে হেঁটে যাচ্ছে। এমন কেন ওনি ?
_ এই যে দাঁড়ান আমার জন্য। আমি কি এখানে একা থাকবো নাকি ? আপনি কিন্তু বলেছেন আমাকে সেইফলি ঘুরিয়ে নিবেন। এখন কথার খেলাপ করছেন কেন ?
আমার যদি কিছু হয়ে যায়।
ঝিলের কথা অভিনবর কানে পৌছাতেই অভিনবর পা থমকে গেল। পেছন ঘুরে খানিকটা ছুটে এলো ঝিলের কাছে। ঝিল কে একটা কথা ও বলতে দিলো না। ঝিলের এক বাহু ধরে জড়িয়ে নিলো। ঝিল যেন আকাশ থেকে পরলো। অভিনব রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল
_ একদম কোনো কথা নয়। আপনি বড্ড বেশি বকছেন। আমার থেকে একটু ও দূরে যাবেন না। আসুন , আমার জ্যাকেট ধরে হাঁটুন ।
ঝিল লক্ষী মেয়ের মতো তাই করলো। রোবটের মতো হাঁটতে লাগলো । ছেলেটা হঠাৎ করে আতঙ্কিত হয়ে পরলো কেন ?
অভিনব ছোট শ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করলো । ভেজা পাপড়ি মেলে বলল
_ আম স্যরি ঝিল । আসলে আপনি তখন এমন কথা বললেন যে আমি রেগে গিয়েছিলাম।
দেখুন আমি আপনার দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। আপনার কোনো ক্ষতি হতে দিবো না। প্লিজ ওমন কথা বলবেন না আর।
ঝিল মাথা ঝাঁকালো । অভিনব দায়িত্ব বোধের কথা টা বললে ও ঝিলের মন ফুরফুরে হয়ে গেল। অভিনবর চোখ বলছে সে ঝিলের প্রতি কেয়ারিং। ঝিলের কিছু হওয়ার কথা কল্পনা ও করতে পারে না।
অভিনব বানর গুলো দেখে ঝিল কে আরেকটু কাছে টেনে নিলো । খুব সুন্দর ভাবে ওরা বানর দের অতিক্রম করে ফেললো।
বালুর বিশাল স্থানে কতো গুলো হরিন দেখা যাচ্ছে। অভিনব ঝিল কে নিয়ে সেখানে গেল। হরিন নাকি কেওড়া পাতা খেতে পছন্দ করে। আর আশে পাশে প্রচুর কেওড়া গাছ। অভিনব তার লম্বা হাত দিয়ে কেওড়া পাতা পারার চেষ্টা করলো। কিন্তু ব্যর্থ হলো। অবশেষে বালুর বিছানা তে পরে থাকা পাতা গুলো কুড়িয়ে নিলো । ঝিলের দিকে বাড়িয়ে দিলো। ঝিল কেওড়া পাতা নিলে ও হরিনের কাছা কাছি যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। অভিনব ফোঁস করে দম ফেললো। ঝিলের হাত ধরে হরিনের দিকে এগিয়ে দিলো । হরিন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। অভিনব মৃদু হেসে মুখ দিয়ে চ এর মতো শব্দ করলো । হরিন টা একটু দূর থেকেই পাতা গুলো মুখে নিলো।
ঝিল লাফিয়ে উঠলো। মায়া হরিনের পাশে ছবি তুলতে পারলে বেশ হতো।
ঝিলের ভাবনার অগ্রসর হওয়ার আগেই অভিনব একটা হরিনের বাচ্চা ধরে নিয়ে আসলো । বুকে জড়িয়ে নিলো। ঝিল তো পুরো অবাক। অমিত কে ডেকে বললো ছবি তুলতে। ঝিল সাহস করে অভিনবর পাশে বসলো । অভিনব মৃদু হেসে ঝিলের কোলে হরিনের বাচ্চা টা এগিয়ে দিলো। ঝিলের বেশ কাতুকুতু লাগলে ও বাচ্চা হরিনের মায়া বি মুখ দেখে নুইয়ে পরলো। নরম শরীরে হাত বুলাতে লাগলো। হরিন টা ও ঝিলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে শুকতে লাগলো। অভিনব ফিক করে হেসে দিলো। ঝিলের গাঁয়ের অদ্ভুত এক ঘ্রান যা অভিনব কে মাতাল করে দেয়। কিন্তু এখন সেটা বাচ্চা হরিন কে ও টেনে নিলো। প্রথমে অভিনব ভেবেছিলো কোনো বিশেষ পারফিউম এর ঘ্রান। কিন্তু সেটা হয় নি। ঝিলের সুশ্রী শরীরের নেশাক্ত ঘ্রান ছিলো সেটা । নাকি অভিবর কাছেই সেই মাদকতা ঘ্রান টা চলে আসে।
আনমনেই হেসে উঠলো। অমিত কে ইশারা করে বললো ঝিলের সাথে তার কিছু ছবি তুলে দিতে। অমিত চোখ মেরে সম্মতি জানালো । অভিনব ঝিলের পাশে বসলো। আর অমিত অগোচরে দুজনের দারুন কিছু ছবি তুলে ফেললো।
একজন এজেন্সির লোক সবাই কে এক সাথে জড়ো করালো। কারন জামতলা সি বিচে খাসি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আস্ত খাসির বারবিকিউ করতে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগবে। যেহেতু সবাই জামতলা বিচে গোসল করবে তাই বিভিন্ন নির্দেশ ও দিলেন।
ঝিল ভাবলেশ হীন ভাবে কিছু ভাবছিলো । অভিনব ঝিল কে ধাক্কা মেরে বলল
_ ভালো করে আপনার মাথায় ঢুকিয়ে নিন। না হলে বিপদ , পরে দেখবো সবাই আছে আপনি ই নেই।
_ এই যে শুনুন । সবাই থাকবে সাথে আমি ও থাকবো। আপনার ইচ্ছে হলে আপনি মাহেরা আপির গলায় ঝুলে পরুন। বিশ্বাস করুন গলায় ঝুলিয়ে পুরো সুন্দরবন ঘুরাবে আপনাকে ।
ঝিলের কথাতে অভিনব বড় সড় ঝটকা খেল । মাহেরা কে নিয়ে খোঁটা ও দিচ্ছে এখন। আর কতো কি দেখতে হবে কে জানে। অভিনব চুপ হয়ে গেল। কথা বাড়ালে এই মেয়ে কানার পোঁকা বের করে দিবে।
** কিছু ছবি কমেন্টে পেয়ে যাবেন। আমি খানিকটা ক্লান্ত। এস এস সি পরীক্ষার টেনশনেই আমি শেষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। আর বেশি বেশি কমেন্ট করুন। পারলে বিভিন্ন গ্রুপে দু একটা রিভিউ ও দিয়েন।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে