ধূসর_রঙের_প্রজাপতি #ফাতেমা_তুজ #part_29

0
1

#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_29

জামতলা সি বিচ থেকে সবাই হাঁটা লাগালো। সময় পাঁচ টার কাছাকাছি। ছয়টায় সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাই গার্ড রা বললেন টাইগার হিলে যাবে না। কিন্তু সবাই নাছোড়বান্দা। তাই এজেন্সির সবাই রাজি হলেন ।
সবাই সাড়ি বদ্ধ হয়ে হাঁটতে লাগলো। বনের ভেতর দিয়ে বেশ খানিকটা দূরে টাইগার হিলের তিন টা পয়েন্ট আছে। সচরাচর ভাবে 1 আর 2 নাম্বারে পর্যটক দের আনা গোনা বেশি। তাই বাঘ সেখানে আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না।
কথা টা শুনেই সবার মুখ চুপসে গেল। বাঘ দেখার সম্ভাবনা একদম কম। তবে বাঘের ছাপ দেখা যাবে 100%। তাতে কী মন ভরে ?
সবাই মনস্থির করলো তিন নাম্বার টিলা তে যাবে। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে গার্ড বললেন রিক্স আছে। সবাই সেটা কে পাত্তা দিলো না। সবার ভাষ্য মতে এক ঘন্টায় টাইগার টিলা ঘোরা যাবে।
অবশেষে সবাই কে নিয়ে রওনা হলো টাইগার টিলা। সামনে দুজন গার্ড আর পেছনে দুজন। পড়ন্ত বিকেল হওয়াতে গা ছমছম ভাব। ভুতুরে অনুভূতি নিয়ে সবাই হাঁটা লাগালো।
এই দিকটায় একটু কাঁদা কাঁদা ভাব। ঝিল নাক মুখ কুঁচকে হাঁটছে। কাঁদা দেখলেই ওর গা ঘিন ঘিন করে। অথচ বাংলার বিদেশী অভিনব মুখে হাসি ফুঁটিয়ে রেখেছে। যেন রোজ এক গাঁদা কাঁদায় মাখা মাখি করে। কি দিন কাল এলো। ঝিল তপ্ত শ্বাস ফেলে নিলো। অভিনবর ব্যাগ ধরে ধরে হেঁটে যাচ্ছে। ঝিল ক্লান্ত হয়ে পরেছে। অভিনব হাত বাড়িয়ে দিয়ে ইশারা করলো। ঝিল মৃদু হেসে হাতে হাত রাখলো । অভিনব একবার ভাবলো হাতে চুমু খাবে পরক্ষণেই চিন্তা বদলিয়ে হাঁটা লাগালো।

গেওয়া , কেওড়া গাছ ছাড়া ও হাজারো গাছের ছড়াছড়ি তার ই মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে সবাই। মুখে চঞ্চলতা যেন উপচে পরছে। উদ্দেশ্যে বাঘ মামা কে দেখা।
জঙ্গলে গিয়ে নিজ চোখে বাঘের দেখা মেলা ভার। তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে নিশ্চয়ই দেখা মিলবে। তবে নিতে হবে প্রানের ঝুঁকি। কিছু পেতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হয়।
দিন শেষে সেটাই সার্থকতা। হাতের কাছে পাওয়া জিনিসের কদর নেই। কিন্তু খুব কষ্ট করে যদি পঞ্চাশ টাকা ও অর্জন করা হয় । তাহলে সেই টাকা খরচ করতে গেলে বুক কেঁপে উঠবে। কষ্ট করে পাওয়া ফল এর প্রতি অদৃশ্য ভালোবাসা জন্মে যায়। আর সেই সুবাদে মায়া আর রেশ একটু বেশি দিন স্থায়ী হয়।

একে তো পরন্ত বিকেল তার উপর গাছ গাছালির কারনে সূর্যের আলো ঠিক মতো পৌছাতে পারে নি।
সাথে বিন্দু বিন্দু কুয়াশা নেমে এসেছে। নিঃসন্দেহে এখানে হরর মুভি করা যাবে। এডভেঞ্চার টা একটু বেশি ই লোভনীয় । একজন প্রকৃত প্রেমি ই জানে এর কদর ঠিক কতো খানি। কারন প্রতি টা গাছের সাথে তার আলাদা সক্ষতা থাকে। সে ভালোবাসে সেই গাছ গুলো কে কিংবা প্রকৃতির প্রতি টা সৌন্দর্য কে।
_ কষ্ট হচ্ছে ঝিল ?

_ উহুহহ একদম ঠিক আছি আমি।

_ একটু পানি কিংবা গ্লুকোজ খেয়ে নিন ভালো লাগবে ।

ঝিল মাথা ঝাঁকালো। অভিনব ব্যাগ থেকে গ্লুকোজ বের করে ঝিলের দিকে বাড়িয়ে দিলো। ঝিল ধরার আগেই বোতল টা সরিয়ে নিলো। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ঝিল। অভিনব রোদ্দুরে মেঘের মতো মুখ টা কালো করে নিলো। ঝিল প্রশ্ন ছুড়বে ঠিক তখনি বলল
_ আমি খাইয়ে দেই ?

ঝিল যেন নিজ কান কে বিশ্বাস করতে পারছে না। হতবুদ্ধি হাড়িয়ে নির্লজ্জের মতো অভিনবর দিকি তাকিয়ে আছে। অভিনব উত্তরের অপেক্ষা করছে। মুখের ভাব ভঙ্গি বলে দিচ্ছে সে চিন্তিত। অভিনবর কথা টা খেয়াল হতেই ঝিল মাথা নিচু করে নিলো। কয়েক সেকেন্ড লজ্জা হাসলো। তারপর স্বাভাবিক হয়ে মাথা ঝাকালো। সম্মতি পেয়ে অভিনবর মুখের কোনে তৃপ্তির হাসি এলো। বোতলের ক্যাপ খুলে ঝিলের মুখের সামনে ধরলো। ঝিল একটু খেতেই অভিনব একি স্থান থেকে গ্লুকোজের পানি খেল। যেটা ঝিলের অগোচরে। পকেট থেকে রুমাল বের করে ঝিলের ঠোঁটের কোনে জমে থাকা পানি টুকু মুছিয়ে বলল
_ ব্যাস। নাও লুকিং ইউ পারফেক্ট।

_ এন্ড লুকিং ইউ সো ব্যাড দ্যাটস লাইক অ্যা জাঙ্গেল।

কথা টা ঝিল রসিকতার ছলেই বলল। অভিনব মৃদু হেসে শাহাদাত আঙুল টা ঝিলের নাকে স্লাইড করে বলল
_ নো নিড টু পারফেক্ট লুকিং । বিকজস আম অলরেডি ম্যারেড।

অভিনবর কথাতে ঝিল অবাক হলো। ঠোঁট প্রশস্ত করবে তার আগেই অভিনব বলল
_ এখনো তো ডিভোর্স হয় নি তাই না ? হয়ে নিক তারপর পারফেক্ট লুক থেকে যা যা হওয়ার সব প্লান করবো।

ঝিলের মুখ টা বিষিয়ে গেল। কুয়াশা ভেদ করে বোধহয় এক পাউন্ড কালো মেঘ এসে ঝিলের মুখে ভর করলো। তবে তেমন কিছু না বলে হাঁটা লাগালো। অভিনব কে পেছনে দাঁড়িয়ে পরতে দেখে ঝিল মুখে শুধু বলল
_ চলুন।

*

টাইগার টিলার কাছাকাছি চলে এসছে সবাই। এখানে হরিনের পরিমান অনেক বেশি। তাই বোধহয় এর নাম টাইগার টিলা। কারন হরিন হলো বাঘের শিকার। তবে এমন নয় যে টিলা নাম মানেই পাহাড়ের মতো উঁচু কোনো জায়গা। সমতল থেকে একটু উঁচু নিচু জায়গা রয়েছে । আশে পাশে বাঘের পায়ের ছাপ । মাটির কয়েকটা হাঁড়ি ভাঙা অবস্থায় পরে আছে।
সবাই একটু একটু ঝুঁকে নিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখছে। এক্সাইট মেন্ট খুব বেশি। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে গেছে। ছোট ছোট জঙ্গলের মাঝেই বাঘ লুকিয়ে থাকে। কোথাও শিকারের দেখা মিললেই ঝাঁপিয়ে পরবে। সবাই কে সাবধান হতে বলা হলো। কেমন নিটাল ঠান্ডা পরিবেশ। কিছু পাখির আনা গোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রচন্ড গা ছমছম ভাব। বাঘের থেকে ভুতুরে পরিবেশ বেশি মনে হচ্ছে। ঝিল কেমন চুপসে গেছে। অভিনবর তীক্ষ্ম দৃষ্টি এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো আওয়াজ ও যেন তার নখ দর্পনের বাইরে না যায়।
ঝিল বার বার কেঁপে উঠছে। অভিনবর দৃষ্টি ছুটে গেল। ঝিল কে এক হাত জড়িয়ে ধরে বলল
_ একদম ভয় নয় । আমি আছি না ? আমি থাকতে কিচ্ছু হতে দিবো না।

ঝিলের চোখ ছলছল করছে। আবারো মিশ্র অনুভূতি সাথে ভয় সব কেমন তাল গোল পাকিয়ে গেছে।

অভিনব এক অসীম সাহসিকতা নিয়ে কাজ টা করেই ফেললো। ঝিলের হাত দুটো মুঠো বন্দী করে পর পর দুটো চুমু খেল । ঝিল শিউরে উঠলো। অভিনবর দিকে অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে। অভিনব সে দিকে পাত্তা না দিয়ে ঝিলের হাত টা বুকে ছোঁয়ালো। ঝিল ঝটপট হাত নামিয়ে নিলো। অভিনবর একটা হার্টবিট অনুভব করলো তাতেই যেন আকাশ পাতাল সব ভেঙে আসলো। অভিনব ঝিলের এক হাত ধরে এদিক সেদিক তাকালো। সবাই জঙ্গলের ভেতরে জড়সড়ো হয়ে আছে। অভিনব আর ঝিল একটু দূরে ছিলো ।
অভিনব স্পষ্ট অনুভব করলো বাঘের আওয়াজ। একজন প্রকৃত ট্রাভেলার হিসেবে এটা স্বাভাবিক । তাছাড়া অভিনব বেশ কয়েকটা জঙ্গলে গিয়েছিলো। সেখানে বাঘের সাথে সাক্ষাৎ ও হয়েছে। বিভিন্ন ট্রেনিং ও নেওয়া আছে তাঁর ।
অভিনব সবাই কে গলা উঁচিয়ে বলল
_ সবাই সাবধান হয়ে যাও। আশে পাশে বাঘের উপস্থিতি রয়েছে।

সবাই প্রথমে ভরকে গেলো। তবে কথায় আছে না যেখানেই যাও দু একটা পন্ডিত তো থাকবেই। তেমনি দলের দুজন অভিনবর কথায় পাত্তা দিলো না। অভিনব ভ্রু কুঁচকে নিলো। ছেলে দুটো কটকা থেকে ওদের সাথে জয়েন হয়েছে। স্পেশাল রেফারেন্স এ , কারন এখানে আসার পর তাদের এজেন্সি ভুল ক্রমে তাদের রেখেই চলে গেছে।
আর তারপর ই অভিনব দের সাথে যোগদান করেছে।

অভিনব বার বার সর্তক করলো কিন্তু ছেলে দুটো শুনলো না। বন বিভাগের গার্ড রা বাঘের উপস্থিতি অনুভব করছে না। তাই তারা ও তেমন পাত্তা দিলো না। অভিনব ফোঁস করে দম ফেললো। আজ কিছু একটা হবেই। এরা কেউ ই অভিনবর কথায় সাড়া দিলো না।

মাহের অভিনবর কাঁধে হাত রেখে আশ্বাস করে বলল
_ হয়তো তোমার অনুমান সঠিক। কিন্তু এখন আমাদের আগাতে হবে।

অভিনব ও কিছু বলল না। বেশি কিছু বললে নিঃসন্দেহে ওকে সবাই পাগল বলবে। তবে মাহেরা অভিনবর প্রতি টা কথা বিশ্বাস করলো। যদি ও সেটা ভালো লাগার খাতিরে। তবু ও অভিনবর আকর্ষন পেতে সে সর্তক হলো। খানিকটা কাছাকাছি এসেই দাঁড়ালো। যদি ঝিল আর অভিনব এক সাথে না থাকতো। তাহলে মাহেরা অভিনবর হাত টা খামচে ধরতো। কিন্তু তা হলো না কারন ঝিলের হাত টা অভিনব ধরে আছে।

অভিনবর প্রতি পূর্ন বিশ্বাস ঝিলের। ভয়ে বুক কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গেছে। ছোট সময়ে বাঘ মামা কে দেখার বড্ড শখ জেগেছিল। পাপারা চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়েছিলো। বাঘ দেখে ঝিল কি কান্না টাই না করেছিল। তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে অনুভূতি গুলো ঝুঁকে গেল। বাঘের দেখা পাওয়ার ইচ্ছে হলো। তবে এখন মনে হচ্ছে এমন ইচ্ছে না করলেই ভালো হতো। ভ্যাগা ভ্যাগা দৃষ্টি তে অভিনবর দিকে তাকালো।
অভিনব ঝিলের চোখের সামনে আসা দুটো চুল ফু দিয়ে সরিয়ে দিলো।
_ উহহুহ একদম না। অভিনব যতো দিন আছে ঝিল ও থাকবে।
বাঘ তো সামান্য কিছু ঝিলের জন্য সব কিছুর সাথে লড়াই করবে অভিনব ।

দু চোখের কোন বেয়ে পানি ঝরে গেল ঝিলের। অভিনব সন্তর্পণে ঝিলের দু চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল
_ আপনি এখনো আমার স্ত্রী ঝিল। মানছি আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। আমাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর মতো আচারন নেই। কিন্তু আমরা তো বন্ধু তাই না ?

ঝিল কান্নারত মুখেই হেসে দিলো । আচমকা অভিনব কে জড়িয়ে বলল
_ উহুহহ বন্ধু নয় খুব ভালো বন্ধু আপনি।

_ আচ্ছা আমি খুব ভালো বন্ধু। এখন ঝিলের চোখ থেকে যেন পানি না ঝরে।

ঝিল হাসলো। অভিনব চোখের পানি মুছিয়ে হাঁটা লাগালো। সবাই আগাচ্ছে , অভিনব ও আগালো। বাঘের উপস্থিতি গাঢ় হচ্ছে। অভিনব চিন্তায় পরে গেল।

মান সম্মানের তোয়াক্কা না করে আবার বলল
_ সাবধান হও সবাই কাছেই বাঘ আছে।

সবাই পেছন ফিরে তাকালো। অভিনবর কথা টা কেউ কেউ বিশ্বাস ও করলো। কিন্তু ঐ দুটো ছেলে বিশ্বাস করলো না। অভিনবর প্রতি বিদ্রুপের হাসি দিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল।

অভিনব ঝিল কে রেখেই সে দিকে ছুট লাগালো। অভিনবর এমন কান্ডে সবাই অবাক হলো। ঝিল হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। বিষয় টা পুরো মাথার উপর দিয়ে গেল।

ছেলে দুটো অনেকটা এগিয়ে গেছে। সন্ধ্যার মৃদু অন্ধকার চারপাশে ছেয়ে যাচ্ছে।
অভিনব চিৎকার করে ছেলে দুটো কে ডাকলো কিন্তু ছেলে দুটো পাত্তা দিলো না। হো হো করে হেসে অভিনবর মজা উড়াতে লাগলো।
তখনি সবাই বাঘের গর্জন শুনতে পেল। সবার আত্মা কেঁপে উঠলো। গার্ড সবাই কে সামনে যেতে বারন করলেন। ঝিল সবার থেকে খানিক টা পিছে ছিলো। সে কিছু ই বুঝতে পারলো না। তবে কিছু যে হয়েছে তা বুঝতে পারলো।
এতোটাই বিস্ময়কর পরিস্থিতি যে ঝিল স্তব্ধ হয়েই দাঁড়িয়ে রইলো।
সবাই চিৎকার করছে অভিনবর নাম ধরে। ঝিলের ভ্রু বেঁকে গেল। ঝিল দৌড়ে সে দিকে গেল।

ছেলে দুটোর কাছাকাছি বাঘ চলে এসেছে। এবার দুজনেই ভয় পেয়ে গেল। এতো টাই ভয় পেল যে কান্না করে দিলো। অভিনব ছুটে ওদের কাছে গেল। দুটো কে পিছিয়ে যেতে বললো কিন্তু দুটো ওখানে দাঁড়িয়ে ই কান্না করতে লাগলো।

বাঘ সেই সুযোগ টাই কাজে লাগালো। দৌড়ে আসলো দুটোর দিকে। অভিনব চিৎকার করে উঠলো। ওদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলো। বাঘের দৃষ্টি এলোমেলো হয়ে গেল। গতি বেশি থাকাতে বেশ অনেক দূর চলে গেল।

ঝিল দূর থেকে সেটাই লক্ষ্য করছিলো। অভিনবর কাছে বাঘ দেখে চিৎকার করলো।
ওদের কাছে অশ্রধারী গার্ড আছে। তাই বাঘ এদিকে আসবে না।
তবে অভিনব ছেলে দুটো কে বাঁচাতে গিয়ে নিজে বিপদের মুখে পরে গেল।
কারন মাঝে বাঘ আর অভিনব তার ওপাশে। গার্ড রা এগোনোর সাহস পাচ্ছে না। বাঘ ভয়ঙ্কর গর্জন করে যাচ্ছে।
অভিনবর উপর ঝাঁপিয়ে পরার আগে সুখের গান গাচ্ছে।
ঝিলের বুক ধরপর করছে। দু চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে। চিৎকার করে শুধু বলতে লাগলো
_ অভিনব অভিনব অভিনব

ঝিল কে ধরে রেখেছে সবাই অভিনব গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সবাই কে অনুরোধের সুরে বলল
_ তোমরা প্লিজ ঝিল কে আটকাও। ওনি পাগল হয়ে গেছেন। ওনি বুঝতে পারছেন না কতোটা ভয়ঙ্কর এটা ।
ওনাকে ছেড়ো না প্লিজ।

_ কেউ আমার অভিনব কে বাঁচাও । ওনি ওনি বিপদে আছেন । আমাকে যেতে দাও তোমরা ।
আমি অভিনবর কাছে যাবো। দয়া করো , অভিনব আমি আপনার কাছে আসবো।

বলেই ঝিল মাটিতে বসে পরলো। অভিনবর দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে আছে বাঘ টা। বার বার মাথা ঝাঁকিয়ে গর্জন তুলছে কি বিকট সে শব্দ। হঠাৎ করেই বাঘ টা অভিনবর উপর ঝাঁপিয়ে পরলো। অভিনব নিজে ও অপ্রস্তুত ছিলো। সবাই অভিনব বলে চিৎকার করে উঠলো। ঝিল যেন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সব কিছু ফেলে সবাই কে সজোড়ে ধাক্কা মেরে ছুটে গেল বাঘের মুখে।
তার মাথায় একটা কথাই কাজ করছে আমার অভিনব কে বাঁচাতে হবে। সবাই চিৎকার করে ঝিল কে ডাকলো। ঝিল শুনলো না। ঝোপের জন্য অভিনব কে দেখা যাচ্ছে না আর না বাঘ টাকে দেখা যাচ্ছে। ঝিলের বুক টা কেঁপে উঠলো। আদৌ কি সে পারবে অভিনব কে বাঁচাতে ?

” এন্ডিং যা হবে তাই মেনে নিবেন। কেউ আমার উপর চাপ দিবেন না প্লিজ। শেষ অব্দি পড়তে থাকুন। ”

**স্কুল থেকে ফিরেছি আড়াই টার দিকে। এসে অন্য গল্পের দুটো পার্ট আপ দিলাম। তারপর অনলাইন ক্লাসে এডমিশন নেওয়ার কাজ করলাম। প্রায় সাড়ে চারটা বেজে গেল। ভেবেছিলাম আজ গল্প লিখবো ই না।তবে একটা আপু ম্যাসেজ দিয়ে বললো গল্প টার কথা। আমি তো আমিই গল্পের কথা শুনেই লিখতে বসলাম। সাড়ে পাঁচটার দিকে গোসল করলাম।
কিছু টা গোসলের আগে লিখেছি আর এখন সম্পূর্ন টা শেষ করলাম । এখনো লাঞ্চ করা হয় নি। ডিনার লাঞ্চ এক সাথেই হয়ে যাবে সে যাই হোক। সবাই বেশি বেশি কমেন্ট করে আমার পরিশ্রম টুকুর সার্থকতা দিন।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here