#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_36
হাড়বাড়িয়া থেকে ফিরে এসেছে প্রায় ঘন্টা খানেক। পুরো সময় টাই সবাই রেস্ট নিয়েছে। যেহেতু ট্যুর টা চার রাতের আর আজ তৃতীয় দিন চলছে তাই আজকেই হবে সুন্দরবনের শেষ দিন। চতুর্থ দিনে সবাই কে নিয়ে খুলনার বিশেষ জায়গা গুলো তে যাওয়া হবে। অভিনব ভেবে রেখেছে সুন্দরবন পর্যন্ত ঘুরবে। কারন মাহেরা তাঁর প্রতি দূর্বল। যত কাছে থাকবে তত বেশি আকর্ষন হবে। শেষে বিপরীত না হয়ে যায়। মোটে ও রিক্স নিতে চায় না। ঝিল চেয়েছিলো সবার সাথে শেষ দিন অব্দি থাকতে কিন্তু মাহেরার কথা শোনা মাত্র ই নাকোচ করে দিয়েছে।
এখন তাঁর অবস্থা পালাই পালাই। ঝিলের ছটফট দেখে অভিনব হালকা হাসলো। প্রাপ্তির রেখা ফুটে উঠেছে পুরো মুখে। প্রিয় মানুষ কে হারিয়ে ফেলার ভয় যদি নাই থাকে তো সে তাঁর কিসের প্রিয় মানুষ।
কেবিনের পুরো অংশ জুড়ে পায়চারি করছে ঝিল। এতো টাই চিন্তিত যে প্রায় ই নখ কামড়াচ্ছে। বিষয় টা ভালো লাগছে না অভিনবর। চিন্তা করছে ঠিক আছে তবে নখ কামড়ানোর কি আছে।
অভিনব কিছু বলবে তাঁর আগেই ঝিলের কন্ঠ
_ আমার খুব ভয় হচ্ছে। আজ ই চলে যাওয়া যায় না ?
_ ভয় কেন পাচ্ছো? এমন তো নয় যে আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো। দুপুরেই আমাদের সুন্দরবন ট্যুর এর লাস্ট স্পর্ট। আর কালকে সকালের মধ্যে জেলখানা ঘাট ফিরে যাচ্ছি।
_ কিন্তু
_ কোনো কিন্তু নয় এখন সাওয়ার নিয়ে আসো। আমি জেনে আসি দুপুরের লাস্ট স্পর্ট টা কোথায় ?
ঝিল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। অভিনব এক পলক তাকিয়ে স্মিত হাসলো। মেয়েটার চিন্তিত মুখ দেখে কোথাও একটা কষ্ট অনুভব হচ্ছে। প্রেমে পাগল না হয়ে যায় মেয়েটা।
অভিনব চলে গেল। বড্ড ছটফট আর নরম মনের মেয়ে ঝিল। পরিবার থেকে স্বাধীনতা পেলে ও ভেতরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে নি।
আর তাই প্রিয় মানুষদের হারানোর ভয় একটু বেশি।
মাহের এর চোখে মুখে বিষাদের ছায়া। মাহেরার এমন আচারনে লজ্জিত সে। অভিনবর কাছে ও যেতে পারছে না। এমন একটা পরিস্থিতি তে পরতে হবে কখনোই ভাবে নি। মাহেরার বোঝা উচিত ছিলো। এমন বাচ্চাদের মতো আচারন একদম ই কাম্য নয়।
ঝিলের সাথে অভিনবর কোনো সম্পর্ক আছে সেটাই বোঝাই গেছে। একটা সামান্য পরিচিত মানুষের সাথে একি কেবিনে থাকবে এমন টা কতো টা বিশ্বাস যোগ্য ?
_ মাহের , কি ভাবছো তুমি ? এতো চিন্তিত লাগছে ?
অভিনবর কন্ঠে পেছন ফিরে তাকালো। দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলো। নিজেকে ধাতস্থ করলো সব ঠিক আছে। তবু মনের শান্তি মিললো না। অভিনব আবারো ডাকলো। মাহের সামান্য হেসে বলল
_ আরে এই সময়ে এই দিকে আসলে যে ? কোনো সমস্যা অভিনব ?
_ না সমস্যা নেই। তবে জানতে এসেছিলাম আজ কের লাস্ট স্পর্ট কোথায় ?
যেহেতু কাল কেই আমরা চলে যাচ্ছি।
_ কালকে চলে যাচ্ছো মানে ?
অভিনব একটু করে শ্বাস নিলো। ঘড়িতে সময় দেখে বলল
_ আমি পার্কে সহ আশে পাশে যেতে আগ্রহী নই। সুন্দরবনেই ঘুরতে এসেছিলাম। আর এখানে তো আজকেই শেষ দিন।
_ অভিনব এটা কেমন কথা। অর্ধেক ট্যুর শেষ করেই চলে যাবে ?
_ ভাই একটু বুঝো বিষয়টা। আমি একটা পার্সোনাল ইস্যু নিয়ে ও এসেছি, সেটা তো জানোই । মামা দের বোঝাতে হবে। তাই একটু আগেই চলে যেতে চাচ্ছি ।
মাহেরের মন টা বিষিয়ে গেল। তাঁর বুদ্ধি সম্পূর্ন মস্তিষ্ক একটু হলে ও বুঝতে পেরেছে মূল কারন টা।
তাই খুব লজ্জা লাগছে। মাহেরের অস্বস্তি চোখে পরার মতো।অভিনব বেশ মনোযোগ দিয়ে তাকালো। কোনো ভাবে কি মাহেরার বিষয় জানতে পেরে গেছে? নাকি ওদের বিষয়ে জানতে পেরে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে মাহের কি ভুল বুঝলো ?
অভিনবর ভাবনার ছেদ কাটলো শাকীল এর ডাকে। শাকীল হালকা হেসে অভিনব সাথে গলা মেলালো । অমিত কাগজ হাতে এদিকেই আসছে। অভিনব কে দেখে ঝরা হাসলো।
_ হে তোমরা সবাই এখানে জড়ো হয়েছো যে ?
_ এমনি এসেছি। তা তোমার হাতের কাগজ টা কিসের।
অমিত কাগজ টার দিকে একবার তাকালো। শাকীল এর দিকে বাড়িয়ে বলল
_ দেখ তো আজকের লাস্ট স্পর্ট কোনটা।
শাকীল মনোযোগ দিয়ে কাগজ টা দেখলো। অভিনব বলল
_ পেয়েছো ?
_ হুমম। মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। যাক ভালো ই হয়েছে। শেষ টা না হয় সমুদ্র দিয়েই হোক।
অভিনব হালকা হাসলো। মাহের একের পর এক দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। অপরাধের দগ্ধে মরছে ছেলেটা।
বোনের আচরন তাঁর মাথা নিচু করে দিয়েছে। সবার উদ্দেশ্যে বলল
_ অভিনব খুলনা ঘুরবে না।
_ কেন ?
_ মামা রা বোধহয় এসে পরেছে। যত তাড়াতাড়ি যাবো তত সহজ হবে। জানোই তো বিষয় টা।
অভিনব নানান যুক্তি খাটালো। কেউ আর জোড়াজোড়ি করলো না। অভিনব মৃদু হেসে সবাই কে কথা দিলো আবার কোনো এক ট্যুরে এক সাথে আসবে।
সবাই বেশ খুশি হলো। অভিনবর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবাই কেই মুগ্ধ করেছে। আচারনের দিক থেকে অভিনব সেরা।
*
_ ঝিল এবার তো সাওয়ারে যাও ?
_ আমি যাবো না।
_ এবার কিন্তু রাগ হচ্ছে খুব। এমন করলে আর কথাই বলবো না।
ঝিলের ভ্রু কুঁচকে গেল । কিছুক্ষণ অভিনবর দিকে তাকিয়ে রইলো। ছেলেটার মুখে অসহায়ত্ব। ঝিল তবু ও বলল
_ সমস্যা নেই আপনি যেতে পারেন। এমন নয় যে আপনি আমার কাছে বাঁধা। আপনার যখন ইচ্ছে হবে বলবেন আমি ডিভোর্স পেপার এ সাইন করে দিবো।
_ ঝিল !
_ আপনার দৃষ্টি এমন এলোমেলো কেন ?আমার তো মনে হচ্ছে আপনি আমাতে বিরক্ত।
_ ঝিল তুমি একটা সাধারন বিষয় নিয়ে
ঝিল তেতে উঠলো। খানিকটা জোড়েই বলল
_ কি করবো আমি ? ভালোবাসি তোমাকে। বুঝতে পেরেছো ,অতিরিক্ত ভালোবাসি। যা একদম ই উচিত হয় নি। আমি ঝলসে যাচ্ছি। তোমাকে হারানোর বেদনা আমি নিতে পারবো না।
কল্পনাতেই পাগল হয়ে যাচ্ছি। ভয় হয় আমার। আমি মানুষ তো ?
অভিনব কথা বলল না। তাকিয়ে দেখলো নব যৌবনে পা দেওয়া মেয়ে টাকে। সুশ্রী মুখে কান্নার ছাপ। নেতিয়ে যাওয়া ঠোঁট দুটো কাঁপছে। চোখ কোটরে চলে গেছে। এ কেমন বেদনা ?
_ এই মেয়ে পেয়েছো কি আমায় ? এভাবে আর কতো পুরাবে ? যন্ত্রনা কি আমার হয় না ? তোমার চোখের পানি আমার অন্তরে কেন বিধছে ?
ভালোবাসি বলে ? তবে এ যন্ত্রনা এতো সুখময় কেন ?
ঝিল ছলছল নয়নে তাকিয়ে আছে। অভিনব কে ঝাপসা দেখতে লাগছে। চোখের পানি গুলো গড়িয়ে পরছে না কেন ? অভিনব তার শক্ত হাতে মেয়েটাকে আলিঙ্গন করলো। অভিনবর জ্যাকেট খামচে ধরলো ঝিল। মাথা টা অভিনবর বুকের উপরে রেখে চোখের নির্লজ্জ ধারা নামিয়ে দিলো।
প্রেম , এই প্রেম এর জন্য মানুষ বৈরাগী হয়ে যায়। কে বলে ভালোবাসা মরন ব্যাধি? ভালোবাসা তো বেঁচে থাকার প্রয়াস।ভালোবাসা তো এক একটা বিশুদ্ধ নিশ্বাস। যার কারনে বেঁচে আছে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ।
অনুভূতি শূন্য বলে কিছু হয় না। যা আছে তাহ চাঁপা অভিমান কিংবা আড়াল করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
_ ঝিল
_ হুমম
_ এবার সাওয়ার নিয়ে আসো ? আমরা লাঞ্চ টা না হয় সবার সাথেই করি ?
ঝিল নাক টেনে সম্মতি জানালো। অভিনব ঝিলের কপালে ছোট করে ঠোঁট ছোয়ালে। ঝিল কেঁপে উঠলো। অভিনবর দিকে তাকিয়ে লজ্জা হাসলো। নিজেকে ছাড়িয়ে দ্রুত ওয়াসরুমে চলে গেল।
ট্রাভেল এজেন্সির টেলিটক সিম টা নিয়ে এসেছে অভিনব। বাসায় কথা হয় না তিন দিন। সবাই নিশ্চয়ই চিন্তা করছে।
ফোনে বাবার নাম্বার টা ডায়াল করে নিলো। বার কয়েক রিং হতে ফোন রিসিপ হলো।
_ হ্যালো । কে বলছেন ?
অভিনব ভ্রু কুঁচকালো। ফোনের ওপাশের ব্যক্তি টি তো তাঁর বাবা নয়।
_ পাপা আই মিন অহেদ সরকার কে খুঁজছিলাম ।
_ আপনি !
_ অভিনব সরকার ইহান।
_ আম স্যরি স্যার। আমি কন্ঠ টা চিন্তে পারি নি।
_ ইটস ওকে। পাপা কোথায় ?
_ স্যার তো মিটিং এ আছেন। আমি কি নিয়ে যাবো ?
_ নো । জাস্ট বলে দিবেন আমি ফোন করেছিলাম।
_ওকে স্যার।
অভিনব ফোন টা রেখে নিশ্বাস ফেললো। ঝিল সাওয়ার শেষে বের হয়েছে মাত্র । চুল ঝেরে নিয়ে বলল
_ কি করছিলে ?
_পাপা কে ফোন করেছিলাম। বাট মিটিং এ আছে।
ঝিল একটু করে হাসলো। অভিনব তাড়া দিয়ে বলল
_ লাঞ্চ এর জন্য ডেকে গেছে। চলো ,
_ হুমম
_ আর শোনো আজ সন্ধ্যা তে আমি সবাই কে আমাদের বিষয়ে জানিয়ে দিবো।
ঝিল চোখ বন্ধ করে নিলো। সম্মতি জানালে ও লজ্জা লাগছে। মৃদু হাসলো সে। অভিনব সে হাসি লক্ষ্য করে তাকালো। ঘড়ির কাঁটা টিট টিট করে বেজে উঠলো। অর্থাৎ একটা বাজে। অভিনবর মাথায় চরাও করে উঠলো। ঝিলের হাত টা ধরে কেবিন থেকে চলে আসলো।
সবাই খাবারের জন্য ছাঁদে এসে জড়ো হয়েছে। পোলাও এর আইটেম দেখে ঝিল নাক কুঁচকালো। পোলাও খেলেই অস্থির লাগে তাঁর। যদি ও লাইট খাবার পছন্দ নয় ঝিলের তবু ও পোলাও এর সাথে গাঢ় ঝাঝালো তরকারি খেতে পারে না মেয়েটা। ঝিলের অবস্থা দেখে অভিনব সামান্য চিন্তিত হলো।
_ কোনো সমস্যা ঝিল ?
_ আমার এসব খেলে অস্বস্তি হয়।অস্থির লেগে উঠে।
অভিনব একটু ভাবলো। বিফ আর ইলিশ মাছ টা বাদ দিয়ে ঝিলের জন্য পোলাও , স্টেক , রায়তা , রোস্ট আর চিংড়ি মাছ নিলো। সাথে একটু টক আচার।
ঝিল মাথা টা নিচু করে আছে। খাবারের প্রতি অনিহা দেখা দিলো। অভিনব একটা গ্লাসে করে রিফ্রেসিং ড্রিঙ্কস বানিয়ে নিলো।
প্রথমে সেভেন আপ নিয়ে নিলো, সাথে বরফ এর টুকরো, পুদিনা পাতা আর অল্প করে লেবুর রস , চিনি টা দিলো না। কারন সেভেন আপ এ চিনির পরিমান একটু বেশি ই থাকে।
_ এটা খাও।
_ এটা কি ?
_ রিফ্রেসিং ড্রিঙ্কস ।
_ ওহহ
ঝিল একুট মুখে দিলো। মুহূর্তেই শির শির করে উঠলো শরীর। অভিনব হালকা হেসে বলল
_ এটা ক্লান্তি দূর করবে। আর বিফ আর ইলিশ বাদ দিয়ে খাবার এনেছি। টক আচার দিয়েছি । এবার অতো অসুবিধা হবে না। যত টুকু পারবে তত টুকুই খেও।
ঝিল মাথা ঝাঁকালো । অভিনবর দিকে কৃতঙ্গতার দৃষ্টি রেখে টেবিলে বসলো। অভিনব সবার সাথে কথা বলতে চলে গেল। ঝিল একটু একটু করে খাচ্ছে। ঝিলের খাবার যখন অর্ধেক শেষ হয়েছে তখন অভিনব খেতে বসলো।
খাওয়া শেষে দুজনেই সবার সাথে আড্ডা দিতে ব্যস্ত হয়ে পরলো।
পাপড়ির কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে ঝিল। পাপড়ি ভারী নিশ্বাস ফেলে বলল
_ এভাবে চলে যাবে ?
_ আবার দেখা হবে তো আপু।
_ কিন্তু ঝিল আর একটা দিন ই তো?
দীর্ঘ শ্বাস ফেললো ঝিল। পাপড়ির হাত দুটো মুঠোয় নিয়ে বলল
_ একটু সমস্যা আছে। আমাকে ও বাসায় ফিরতে হবে। এমনিতেই তিন দিন ধরে কারো সাথে কথা বলি না।
এখন একটা দিন ও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পাপড়ি অল্প করে হাসলো। মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
_ আচ্ছা যাও। তবে ফোন করতে ভুলবে না কিন্তু ।
ঝিল অল্প করে হাসলো।এই একটা মানুষ যাকে ট্যুরে সব থেকে আপন লেগেছে। খুব করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে অভিনবর সাথে সম্পর্ক টা।
তবু ও থেমে গেল ওহ। সঠিক সময়ে অভিনব তো জানাবেই সবাই কে।
কেবিনে এসেছে মিনিট দশেক। এখন সময় দুটো পেরিয়েছে। অভিনবর দেওয়া মেনু তে ঝিলের অস্থির লাগে নি। বরং রিফ্রেসিং ড্রিঙ্কস টা খেয়ে রিফ্রেস ই লাগছে। ঝিলের দিকে একটু করে তাকিয়ে আবার ব্যাগ গোছাতে লাগলো অভিনব।
ব্যাগ গোছানো শেষে ঝিলের পাশে বসলো। বেশ সাহস জুগিয়ে ঝিলের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলল
_ কাল আমাদের সাথে থাকবে তুমি ?
ঝিল কেঁপে উঠলো। এই কথা বলার জন্য এতোটা কাছাকাছি আসার কি প্রয়োজন ? অভিনবর থেকে ছিটকে দূরে সরে গেল। অভিনব মৃদু হাসলো। ঝিলের হাত দুটো টেনে ধরে কাছে নিয়ে আসলো। অগোছালো চুল গুলো আরেকটু এলোমেলো করে দিয়ে বলল
_ ভয় নেই। আমি সংযত থাকতে পারবো।
ঝিল দাঁত দিয়ে জ্বিভ কাটলো। ছেলেটা কোন কথার সাথে কোন কথা মেলাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে তত বেশি লজ্জায় পরতে হচ্ছে।
**দুদিন ধরে পড়া শোনা হচ্ছে না। তাই গল্প লিখেই ফেললাম। আমি নিয়ম করে গল্প দিতে পারছি না।এলোমেলো লাগছে সব।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে