#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_10
দুপুর সাড়ে বারো টা। টুরিস্ট লঞ্চ টা প্রায় মংলার কাছাকাছিই চলে এসেছে। ঝিল দুটো মেয়ের সাথে গল্প করে যাচ্ছে। অভিনব বাঁকা চোখে তাকিয়ে তা দেখছে। মেয়েটা সাধারন একটা কথার জন্য এতো রেগে গেল!
কি জানি অভিনবর ফাঁকা মস্তিষ্কে কথা টা গেল না ঠিকঠাক।
মাহের গলা ছেড়ে ডাকতে লাগলো
_ অভিনব ভাই একটা হেল্প করো প্লিজ।
অভিনব মৃদু হেসে ওদের কাছে এসে দাঁড়ালো। অমিত শুকনো মুখে বলল
_ আসলে সমস্যা টা হয়েছে কি আমরা আমাদের ট্যুর নিয়ে একটা ভিডিও বানাতে চাই। কিন্তু চারপাশের ভিউ টা ঠিক ঠাক তুলতে পারছি না।
অভিনব মোহনীয় হেসে বলল
_ দাও আমি তুলে দিচ্ছি। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করো। দেখবে ভিউ টা সুন্দর হবে।
অভিনব হাতে ক্যামেরা পেয়ে মিনিটের মাঝে সুন্দর এক ভিউ তুলে নিলো। শাকীল ঘড়ির টাইম দেখে বলল
_ করমজল যেতে এখনো অনেক টা টাইম লাগবে।লাঞ্চ কয়টায় রে?
মাহের ভ্রু কুঁচকে বলল
_ খিদে পেয়েছে নাকি পেটুক কোথাকার? লাঞ্চ তো তিন টায়।
_ আরে নাহ। চা খাবো ভাবছি , আচ্ছা সবাই খাবি তো অভিনব ভাই তুমি?
_হ্যাঁ বাট চিনি দিয়ো না ভাই।
অমিত কোমরে হাত গুঁজে বলল
_ আরে ভাই এতো ডায়েট ফায়েট করে কি হবে? জীবনে খাওয়া দাওয়া ই তো সব।
অভিনব অধর কোনে হাসি ফুটিয়ে বলল
_ ডায়েট না এটা। যেহেতু আমি চিনি ছাড়াই খেতে পারি তাই চিনি না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। আর আমরা এতো এতো অয়েলি খাবার খাবো শুধু শুধু এক্সট্রা কিলোক্যালারি না বাড়ানো টাই ভালো। পরে দেখবে ভ্রমনে এসে অসুস্থ হয়ে পরেছো।
_ শাকীল যাহহ অভিনব ঠিক ই বলেছে। সবার জন্য লেবু চা নিয়ে আয় , উইদাউট সুগার।
শাকীল এক গাল হেসে চলে গেল। অভিনব আর ও কিছু ভিউ তুলে অমিতের হাতে ক্যামেরা দিলো।
অমিত ভিউ দেখতে দেখতে বলল
_ আচ্ছা অভিনব তুমি কি আমেরিকাতেই সেটেল ?
_ হুমম জন্মসূত্রে ই আমি আমেরিকান। আমার বংশের অনেকেই আমেরিকাতে আছেন।
বহু বছর হলো আমাদের রিলেটিভ রা আমেরিকা তে থাকে। প্রায় দু শ বছর
মাহের হা হয়ে রইলো। অভিনব মৃদু হেসে বলল
_ বাট আমার মম খাঁটি বাংলাদেশি। আমার মম আর পাপার লাভ ম্যারেজ। মামা রা এখনো মেনে নিতে পারে নি। সবাই কে এক করার জন্য ই বিডি তে আমার আসা। সাথে ট্রাভেলিং টা ও হয়ে গেল।
_ ওয়াও। তার মানে তুমি একটা লক্ষ্য পূরন করতে এসেছো।বাহহ
অভিনব ঝরা হাসলো। শাকীল চা হাতে রেডি। অভিনব চায়ে চুমুক দিয়ে বলল
_ হুমম ভালো হয়েছে এটা। ফ্রেস লাগছে ,
শাকীল প্রশস্ত হাসলো। চায়ের কাপ টা রেলিং এ ঠেকিয়ে বলল
_ অভিনব কতো গুলো দেশে ভ্রমন করেছো ?
_ প্রায় সতের টা।
সবাই এক যোগে বলে উঠলো
_ ওয়াও , ইটস ইমপ্রিসিপ।
অভিনব কৃতঙ্গতার চোখে তাকিয়ে বলল
_ চলো নিচে যাওয়া যাক। চোখে রোদ লাগছে সাথে গরম ওহ ।
সবাই সম্মতি জানিয়ে নিচে চলে আসলো। নিচে নামতেই দেখলো ঝিল হো হো করে হেসে যাচ্ছে।
হাসি তে যেন মুক্ত ঝরে , অভিনব মোহনীয় দৃষ্টি তে তাকিয়ে রইলো।
অমিত আর শাকীল মিটমিট করে হাসতে লাগলো। মাহের গলা ঝেরে বলল
_ এহেম ভাই এহেম ।
অভিনব থতমত খেয়ে গেল। ওদের দিকে তাকিয়ে খানিক টা অপ্রস্তুত হয়ে পরলো। মাহের বিষয় টা স্বাভাবিক করতে বলল
_ অমিত সবাই কে ডেকে বল সাওয়ার নিয়ে ফেলতে।
তিনটায় লাঞ্চ করা হবে। যে যার মতো রেস্ট নিয়ে নিক।
অমিত সবাই কে গিয়ে বলে আসলো। ঝিল সবাই কে বিদায় জানিয়ে কেবিনে দিকে আসতে লাগলো।
অভিনবর দিকে এক পলক তাকাতেই অভিনব হালকা হাসলো। ঝিল ও হাসলো , অভিনব আর ঝিল কেবিনে চলে আসলো। অভিনব জ্যাকেট খুলে রাখলো। তারপর কিছু একটা ভেবে বলল
_ একটু পরে সাওয়ার নিন। চলুন ছাঁদ থেকে ঘুরে আসি।
ঝিল মাথা ঝাঁকিয়ে অভিনবর সাথে চলে আসলো।
ছাঁদে আসতেই হালকা বাতাস হালকা রোদ অনুভব করলো ওরা। ওদের লঞ্চ মংলা বন্দরে চলে এসেছে। মংলা বন্দর থেকে বেশ অনেক গাড়ি বের হয়। ঝিল নাক মুখ কুঁচকে নিয়ে বলল
_ এটা কোথায়?
_ মংলা বন্দর।
_ ওহহহহ। বাট চট্টগ্রাম বন্দর বেশি সুন্দর। আমরা বনে কখন যাবো?
_ আর কয়েক ঘন্টা পর ই আমরা করমজল যাবো। আপনি মাওয়া রোডে গিয়েছেন ?
_ উহুহ
_ যাওয়ার পথে যাবেন? মাওয়া হাইওয়ে টাকে আপনার কাছে ফরেন ট্যুর এর মতোই লাগবে। খুব সুন্দর
ঝিল সম্মতি জানালো। তারপর মাথায় হাত দিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসে রইলো। অভিনব কিছুক্ষণ ভেবে বলল
_ একটা কথা বলুন তো। আপনি একা কেন এখানে এসেছেন? সাথে কাউকে নিয়ে ও আসতে পারতেন। এতো রিক্স নিয়ে
ঝিল অপ্রস্তুত হেসে বলল
_ বাসা থেকে পালায় আসছি।
_ হোয়াট!
ঝিল মেকি হাসি দিয়ে বলল
_ আবার বিয়ে দিতে চাইছিলো তাই আবার পালিয়ে আসছি। আমি চাই না বিয়ে করতে।
বিয়ে কথা টা শুনেই অভিনবর বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠলো। ওরা কেউ মানে আর না মানে এই মেয়েটা তো ওর বউ। ঝিল নিজেও অপ্রস্তুত হয়ে পরলো। ভুলেই গিয়েছিলো অভিনব আর ওর সাথে ঘটে যাওয়া সেই মুহুর্তের কথা।
অভিনব কিছুক্ষণ অন্য দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
_ চলুন নিচে যাওয়া যাক। কাল রাতে ঘুমোয় নিই তাই একটু ঘুমের প্রয়োজন। চোখ টা কেমন জ্বালা করছে।
ঝিল আলতো হেসে সম্মতি জানালো। দুজনে কেবিনে এসে জামা কাপড় বের করে নিলো। অভিনব অনুনয়ের স্বরে বলল
_ আমি আগে সাওয়ার নিলে আপনার সমস্যা হবে?
আসলে একটু ঘুমের প্রয়োজন।
_ আরে সমস্যা নেই আপনি যান।
অভিনব কৃতঙ্গতার হাসি দিয়ে ওয়াসরুমে চলে আসলো। ঝিল ব্যাগ থেকে একটা আর্ট পেপার বের করে নিলো। যেহেতু সুন্দরবন এসেছে তাই সব থেকে আকর্ষণীয় যেটা সেটাই আঁকা শুরু করলো।
অভিনব সাওয়ার শেষ করে টাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে চলে আসলো। ঝিল দরজা খোলার আওয়াজ শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। অভিনবর দিকে তাকিয়ে ওর হৃদস্পন্দন থেমে গেল। অভিনবর ভেজা চুল গুলো থেকে টুপটুপ পানি ঝরছে কয়েকটা চুল কপালে লেপ্টে আছে। কয়েক সেকেন্ড পর ঝিলের হুস আসতে ঝিল চোখ সরিয়ে নিলো। অভিনব বেডের কাছে এসে বলল
_ এটা কি ?
_ একটা স্পেশাল মুহুর্ত আর্ট করেছি।
অভিনব ঝরা হেসে বলল
_ দেখি।
ঝিল আর্ট পেপার টা এগিয়ে দিলো। অভিনব বেশ কিছুক্ষণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে বলল
_ ওয়াও। আপনি তো বেশ ভালো আর্ট করেন দেখছি।
ঝিল হালকা হাসলো। অভিনব একটা পিন দিয়ে আর্ট পেপার টা কাঠের রেকে লাগিয়ে দিলো। ক্যামেরা দিয়ে দারুন একটা ক্লিক করলো। ঝিল খানিকটা ঝুঁকে নিয়ে ছবি টা দেখলো । অভিনব ঝরা হেসে বলল
_ বেশ ভালো আর্ট করেছেন। হরিনের পেছনে বাঘ দৌড়াচ্ছে।
ঝিল মৃদু হেসে বলল
_ আজ বনে আমরা ও বাঘ দেখতে পাবো তাই না?
অভিনব কিছু টা ভেবে বলল
_ ভাগ্য ভালো থাকলে দেখতে পাবো। আসলে সমস্যা হচ্ছে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। 2018 সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা 114 টি। সেখান থেকে বাঘের দেখা পাওয়া টা কিন্তু ট্রাফ।
ঝিল মুখ টা গোমড়া করে নিয়ে সাওয়ারে চলে গেল।
অভিনব লম্বা করে শ্বাস নিয়ে চোখে স্লিপিং মাস্ক দিয়ে শুইয়ে পরলো।
*
ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে চোখ খুললো অভিনব। পাশে ঝিল কে দেখতে পেয়ে মলিন হাসলো। মেয়েটা ফোনে গেমস খেলতে ব্যস্ত। অভিনব হাই তুলে বলল
_ গেমস খেলা শেষ?
_ আরে আপনি উঠে গেছেন। হ্যাঁ শেষ প্রায়। আচ্ছা একটা কথা জানার ছিলো। শুনেছি ইন্ডিয়া তে ও সুন্দরবন আছে। বিষয় টা একটু বুঝিয়ে বলবেন। না মানে আমরা যে এখন সুন্দরবনে যাচ্ছি এটাই কি ইন্ডিয়ার সেই সুন্দরবন?
অভিনব ফিক করে হেসে উঠলো। মেয়েটা তেমন কিছু ই জানে না। অথচ সুন্দরবন ঘুরতে চলে এসেছে। ঝিল নাক ফুলিয়ে বলল
_ হাসার কি হলো?
_ তেমন কিছু না। তবে আপনার রিসার্চ করে আসা উচিত ছিলো।
ঝিল নাক মুখ কুঁচকাতেই অভিনব বলল
_ রিলাক্স। লেট মি এক্সপ্লেইন।
ঝিল বেশ মনোযোগ দিয়ে গালে হাত দিয়ে বসলো।
অভিনব ভ্রু কুঁচকে বলল
_ গাল থেকে হাত নামান। শুনেছি এটা অকল্যাণ।
ঝিল ডেপ ডেপ করে তাকিয়ে রইলো। অভিনব বিজ্ঞদের মতো গলা ঝেরে বলা শুরু করলো
_ সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।[২] ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার[৩] রয়েছে বাংলাদেশে[৪] এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ রা লাকি যে ভারতের মতো এতো বড় দেশের থেকে ও আমাদের দেশে সুন্দরবনের বেশি অংশ রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের সুন্দরবনে প্রাকৃতিক ছায়া টা বেশি যা আমি ভারতে গিয়ে পাই নি।
ঝিল হা হয়ে তাকিয়ে বলল
_ মাই গড এতো কিছু জানেন কি করে?
অভিনব মৃদু হেসে বলল
_ একজন ভ্রমন প্রেমি কে অনেক কিছু জানতে হয়।
তাছাড়া ট্রাভেলিং করার আগে সেই জায়গা টা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
_ আচ্ছা আপনি ভারতে গিয়েছিলেন?
_ হ্যাঁ। সুন্দরবনে একদিনের ট্যুর ওহ করেছিলাম ।
আমার কাছে সব কেমন আর্টিফিশিয়াল মনে হয়েছে। তেমন উপভোগ করতে পারি নি। ভারতের সোনাখালি ঘাট থেকে গিয়েছিলাম। গোসাবাদে হ্যামিলটন বাংলো আর ও একটা জায়গা ছিলো নাম টা ঠিক মনে আসছে না ব্যগ্র সামথিং কিছু একটা। আমার কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর তেমন কিছুই লাগে নি। সেগুলো তে অতিরিক্ত সাজানো গোছানো ছিলো। হয়তো অন্য জায়গা গুলো সুন্দর।
ঝিল চকচকে চোখে তাকিয়ে শুনতে লাগলো। অভিনব টাইম দেখে বলল
_ ভ্রমনের গল্প পরে শোনাবো এখন আসুন লাঞ্চ করতে হবে।
ঝিল মুখ টা গোমড়া করে লাঞ্চ করতে গেল। লাঞ্চ করার জন্য লঞ্চের ছাঁদেই টেবিল গোছানো আছে।
বিষয় টা বেশ ভালো লাগলো ওর। চারপাশ দেখতে দেখতে খাওয়া ও হয়ে যাবে। সত্যি এবার মনে হচ্ছে নদীপথে ভ্রমন করছে ওরা। লাঞ্চের প্যাকেজে দেওয়া হলো : সাদা ভাত , মুরগি মাংস , কাঁকড়া আর সামুদ্রিক মাছ।
ঝিল কাঁকড়া কখনো খায় নি। তাই বেশ আয়েশ করে কাঁকড়া খেতে লাগলো। কাঁকড়ার স্বাধ টা চিংড়ী মাছের মতো। ঝিলের খাওয়া দেখে অভিনব বলল
_ রিলাক্স এতো ফাস্ট কেন খাচ্ছেন ?
_ উহুহ আমি কাঁকড়া কখনোই খাই নি। এটা বেশ মজা
অভিনব মৃদু হেসে বলল
_ এটা তো কাঁকড়া কারি খাচ্ছেন। আমার কাছে কাঁকড়ার ঝাল ফ্রাই টা বেস্ট লাগে।
_ হলেই বা কি আমাকে তো আর খাওয়াবেন না।
ঝিলের কথা তে অভিনব থতমত খেয়ে গেল। বেশ কিছুক্ষণ পর বলল
_ আপনি কাঁকড়ার ঝাল ফ্রাই খেতে চান?
ঝিলের সহজ উত্তর
_ খাওয়ালে অবশ্যই খাবো।
অভিনব হো হো করে হেসে বলল
_ আচ্ছা খাওয়াবো। মাওয়া ঘাট থেকে তাজা ইলিশ সাথে কাঁকড়ার ঝাল ফ্রাই।
_ হাসছেন কেন?
_ আপনার প্রতিটা কথা তে আমি বাচ্চামো খুঁজে পাই।
বিশেষ করে যখন নাক ফুলিয়ে কথা বলেন। তখন পুরো গুলুমুলু লাগে। শুধু একটু মুটু হলেই হতো। পুরো সুইটিস
অভিনবর কথা শুনে ঝিল হা হয়ে তাকিয়ে রইলো। অভিনব অনুভব করলো ওহ অনেক বেশি কথা বলছে। তাই খানিকটা লজ্জা পেল। ঝিল মাথা নিচু করে খেতে লাগলো সাথে মৃদু হাসি।
**খানিকটা অসুস্থ থাকাতে গল্প দিতে দেরি হলো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আর গঠন মূলক মন্তব্য করবেন। হ্যাপি সুন্দরবন জার্নি।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে