#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_32
নিশুতি রাতের পরিবেশ টা সব সময় ই সুন্দর। অবাক করা কিছু সৌন্দর্য চোখে ধরা দেয়। সাথে যদি থাকে প্রিয় মানুষ তাহলে তো জীবন টাই রঙিন হয়ে যায়। রাত প্রায় সাড়ে দশটা সবাই ঘুমিয়ে গেছে। অভিনব আর ঝিল ছাঁদের রেলিং এ উঠে বসে আছে। একটু হের ফের হলেই সোজা পানিতে। তবে কারো মাঝেই সেই ভয় টা নেই। দুজনেই আবেগে আপ্লুত হয়ে আছে। প্রথম প্রেমে পড়ার মতো রঙিন অনুভূতি তে ডুবে আছে। সব কেমন সুন্দর লাগছে। এই যে টলটল করা কালো পানি গুলো এগুলো ও কেমন সুন্দর। অথচ পরে গেলে মৃত্যুর সম্ভাবনাই বেশি ।
কিন্তু ভয় লাগছে না। সমস্ত ভয় কে যেন জয় করে নিয়েছে।
চাঁদ মামা কুয়াশা সরিয়ে উঁকি মারছে । তবে দুষ্টু কুয়াশা গুলো আবার আড়াল করে দিচ্ছে। কি নিষ্ঠুর তাই না ?
চাঁদের নাকি কলঙ্ক রয়েছে। অথচ চাঁদ টা এতো সুন্দর। আসলে সুন্দর অনুভূতি গুলো কে কলঙ্কের তকমা লাগানো মানুষের অভ্যাস ।
সমস্ত কিছু ছাপিয়ে ঝিলের কৌতুহলী মন বায়না ধরলো।
_ আমরা এখন আশে পাশে ঘুরবো ।
_ এখন কি করে ?
_ ঐ যে বোর্ট এ করে যাবো। আশে পাশেই ঘুরবো। প্লিজ প্লিজ বারন করবেন না প্লিজ।
_ ঝিল এই রাতের বেলা ঘুরতে যাবেন ? এটা কতো টুকু ঠিক ভেবেছেন সেটা ?
_ হুম আমি জানি এটা একটু শক্ত কাজ। তবে আপনি চাইলেই হবে। প্লিজ প্লিজ এভাবে বারন করবেন না।
অভিনব বার কয়েক শ্বাস নিয়ে ভাবলো। তাঁরপর হাসি মুখে বলল
_ ডান , বাট এখানে কিছু কন্ডিশন আছে। যদি মেনে নিতে পারেন তো আমরা যাবো এই রাতের জঙ্গল দর্শনে।
_ কন্ডিশন ?
_ হুহহ
_ উমম , আচ্ছা ঠিক আছে। বলুন কি কন্ডিশন আছে। যদি ও আমি সব কন্ডিশনেই রাজি। তবু ও শুনে নেওয়া ভালো। বলুন এবার আপনার কন্ডিশন।
ঝিলের মনোযোগ দেখে অভিনব হাসলো। মেয়েটার সুন্দর মুখাশ্রি বুকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রেমের সাথে অবাধ্য ইচ্ছে ও যোগ হয়েছে। এখন প্রকৃতির সান্নিধ্য বড্ড প্রয়োজন।
অভিনব সিরিয়াস মুডে আসলো। ঝিলের হাত দুটো ধরতে নিয়ে ও ধরলো না। কেমন কেমন অনুভূতি হচ্ছে। যখন থেকে ভালোবাসি কথা টা বলেছে ঠিক তখনি এক রাশ লজ্জা এসে ভর করেছে।
_ শুনুন তাহলে। আগে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। রাজি ?
_ হুমম।
_প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের মাঝে সম্পর্ক টা কি ? লাইক বি এফ , জি এফ ?
ঝিল এক ফালি হাসলো। লজ্জা মিশ্রিত কন্ঠে বলল
_ উহহুহ আমাদের মাঝে সম্পর্ক টা হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত স্বামী স্ত্রী র সম্পর্ক।
বি এফ , জি এফ এর সম্পর্ক বোধহয় নয়।
অভিনব ঝিলের উত্তরে তৃপ্ত হলো। এটাই শুনতে চেয়েছিলো ওহ।
_ আচ্ছা। তাহলে এটা বলুন স্বামী স্ত্রী একে অপরকে কিভাবে , আই মিন কি নামে সম্বোধন করে ?
_ বেশির ভাগ ই তুমি তুমি বলেই ডাকে। কিন্তু কেন বলুন তো ? হঠাৎ এমন আজব প্রশ্ন যে ?
অভিনব মুখে আঁধার টেনে নিলো । ঝিলের দিকে করুন দৃষ্টি তে তাকালো। ঝিলের মাথায় কিছুই ঢুকলো না। অভিনবর দীর্ঘশ্বাসে পরিবেশ ছেয়ে গেল। বুক ভরে অক্সিজেন নিয়ে বলল
_ আমরা কি বলি ? আপনি আপনি ? তাই তো ?
ঝিল উত্তর দিলো না। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।অভিনব চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে। তবে ঝিল যে দৃশ্য লক্ষ্য করলো না। কারন সে লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ।
_ আমরা কি আপনি আপনি থেকে তুমি তে আসতে পারি না ? এটা কি খুব কঠিন হবে ? কিংবা কোনো অনৈতিক আবেদন ?
_ কিন্তু আমি তো
_ বেশি প্রেসার ক্রিয়েট করা লাগবে না। জাস্ট একটু, একটু চেষ্টা , সেটা ও কি
_ পারবো । আমি চেষ্টা করবো তুমি তে আসার। সমস্ত আড়ষ্টতা ও দূর করবো।
অভিনব হাসলো। ঝিলের হাত টা মুঠো বন্দী করে নিয়ে হাঁটা লাগালো। এই সময় টাতে সবাই ঘুমিয়ে আছে। এটা শহর নয় যে সবাই জেগে থাকবে। পানির উপরে তাঁর উপর জঙ্গলের রাত দশ টা মানে ই অনেক রাত। বোর্ট চালকের কেবিনে গিয়ে নক করলো। নিশ্চয়ই লোকটা বিরক্ত হবে। তবে বউ এর ইচ্ছে টা ও যে বেশি গুরুত্বপূর্ন।
মিনিটের মাঝে ঘুমু ঘুমু মুখ নিয়ে বোর্ট চালক চলে আসলেন।
চোখে মুখে সামান্য বিরক্তির ছায়া।
_ বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত মামা। আসলে একটা আর্জি নিয়ে আসছিলাম যদি করে দিতেন।
_ কি আর্জি ?
_ আমরা বোর্ট এ করে আশে পাশে ঘুরতে চাচ্ছিলাম । কাইন্ডলি মামা একটু আসবেন।
_ কিন্তু স্যার
_ প্লিজ মামা আপনি বারন করবেন না। আমি খুব আশা নিয়ে এসেছি । এই যে মেয়েটাকে আশা দিয়েছি। কত শখ নিয়ে এসেছে বলুন তো ?
লোকটা যেন গলে গেল। মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো। ঝিল তো মহা খুশি । অভিনব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। বউ কে খুশি দেখার জন্য এই সব কিছু সামান্য মাত্র।
*
বোর্ট চলছে। অভিনব অবশ্য বোর্ট চালক কে এক্সট্রা পেমেন্ট দিবে বলে ঠিক করেছে। এই নিশুতি রাতে ওদের নিয়ে ঘুরবে যে এটাই তো অনেক । টচ লাইট মেরে আশে পাশে দেখছে। রাত যতো গভীর হয় পাখিরা তো ঘুমন্ত হয়। পুরো জঙ্গল নিস্তব্ধ হয়ে আছে।
তবে নিশাচর দের অস্তিত্ব এখনো আছে। কিছু নিশাচর পাখি কিচির মিচির শব্দ তুলছে ।
জঙ্গলের ঝোঁপ ঝার থেকে ঝিঝি পোকারা চি চি করে শব্দ তুলছে। সে শব্দে কানে যেন তালা লেগে গেল।
তবুও ঝিলের মুখে হাসির রেখা। বনের ভেতর দিয়ে বোর্ট চলছে। খুবি সামান্য গতিতে।
_ অভিনব একটা কথা বলুন তো। চাঁদ টা ও কি আমাদের সাথে যাচ্ছে ?
_ হুমমম যাচ্ছে তো। আমরা যে দিকে যাচ্ছি চাঁদ টা ও সে দিকেই যাচ্ছে। দেখেছেন চন্দ্র মামা ও আমাদের নিশুতি ভ্রমনের সাথে আছে।
_ একটা কথা বলি?
_ হুমম বলো।
_ এই যে আমাদের এই সুন্দর সুন্দর মুহুর্ত গুলো এগুলো আদৌ কি দীর্ঘ হবে ?
অভিনবর ভ্রু কুঁচকে গেল। বিষয় টা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো। ঝিলের কথাটা অভিনবর বুকে দীর্ঘশ্বাস নামিয়ে দিলো।
মেয়েটা এমন কেন ভাবছে ?
_ অভিনব কিছু বলছেন না যে ?
_ একটা কথা কি জানো ঝিল ? ভবিষ্যত যেমন ই হোক বর্তমান কে আগে সুন্দর করো।
হাতে হাত রেখে না হয় বাকি টা পথ চলবো। আমরা কখনো ই আলাদা হবো না। বুঝলে ?
ঝিল মাথা ঝাঁকালো । অভিনব ক্যামেরা হাতে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করলো। ঝিল তীক্ষ্ম দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে। অভিনবর মৃদু হাসি গাঁয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে যাচ্ছে।
জ্বলন্ত আগুনের মতো চোখ দুটো ক্যামেরায় থাকায় বিশেষ জিনিস টির বেশি প্রতি আকর্ষন করছে।
এক প্রকার ঝাঁপিয়ে নিয়ে নিলো ক্যামেরা টা। অভিনবর অবাক প্রায় অবস্থা ।
_ আগুনের ফুলকির মতো জ্বলছো কেন ? হঠাৎ করে কি হয়েছে ?
_ ক্যামেরায় কাকে দেখা হচ্ছিলো হুহহ ? বড্ড খারাপ মানুষ তো আপনি। বউ থাকতে আবার অন্য মেয়ের ছবি দেখছেন। নিশ্চয়ই এটা মাহেরা আপু ?
অভিনব ভ্যাগা ভ্যাগা দৃষ্টি তে তাকালো। এই মেয়েটা এতো সন্দেহ কেন করছে ? জীবনের প্রতি টা পদেই যদি সন্দেহ করে তাহলে কি করে হবে ?
এই সামান্য ছবির বিষয় টা ও ঘেটে দিচ্ছে। নারী তুমি যত ই ভালোবাসা পাও না কেন সন্দেহ করা তোমার সহজাত অভ্যাস । অভিনব অধর কোনে হাসলো।
_ ওকে বাবা এটায় মাহেরাই ছিলো । এবার মিসেস সরকার একটু চেইক করুন তো ছবি গুলো।
বাঁকানো ভ্রু যুগল অভিনবর দিকে অবিশ্বাসের রেখা ফুটালো। বিরক্তি নিয়ে ক্যামেরা ওপেন করলো। মিনিট পাঁচেক ছবি গুলো দেখতেই লাগলো। চোখ দুটো ছলছল করছে।
অভিনবর হৃদস্পন্দন এর গতি বেড়ে গেল। মেয়েটা কাঁদছে ? কিন্তু কেন ? অভিনব ঝটকা মেরে ক্যামেরা নিয়ে নিলো। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে স্বস্তির দম ফেললো।
_ এতো এতো ছবি সব আমার ?
_ হুমম
_ এতো যত্ন করে রেখেছেন ? আমি তো বার বার চাইছিলাম ক্যামেরা টাই ভেঙে ফেলি। তখন আফরা , মাহেরা আপুদের ছবি তুলে নিলেন। এখন দেখি সেগুলো নেই। শুধু আমি আর আমি।
_ আপনি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাডাম। তুমি আমার বউ ঝিল। এই সম্পর্কের মানে বুঝো ? এক পাহাড় সমান সময় এক সাথে বাঁচার ইচ্ছা।
ভালোবাসা , ভালোলাগা , প্রেম সব কিছুর স্বার্থকতা বিয়ে তে হয়।
আর আমাদের , তো বিয়ে টাই ছিলো সব কিছুর শুরু। যদি সেদিন তুমি আমার গাড়ি তে এসে ধাক্কা না খেতে তাহলে আমি তোমায় পেতাম না ঝিল ।
কষ্ট হচ্ছে খুব। কেন দেড় বছর আগে তোমাকে খুজলাম না।
_ অভিনব
_ হুমম
_ আমাদের ভাগ্যে ছিলো এটা। ওমন একটা পরিস্থিতিতে আমি কিংবা আপনি কেউ ই প্রস্তুত ছিলাম না।
আপনি মন খারাপ করছেন কেন ?
_ এখনো আপনি করেই বলছো ?
জ্বিভ কেঁটে নিলো ঝিল । বা হাতে মাথা চুলকিয়ে বলল
_ স্যরি ।
তুমি করেই বলছি। এখন হ্যাপি তো ?
অভিনব একটু হাসলো। বাচ্চা বউ বিয়ে করার একটা সুবিধা অবশ্যই আছে। এই যে নিজের মতো করে গড়ে নেওয়া যায়।
পৃথিবী কে নিজ হাতে বোঝানো যায়। আর অধিকার টা সব সময় ই সেরা।
বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে লঞ্চে ফিরে আসলো। বোর্ট চালক কে এক্সট্রা পেমেন্ট দিতেই ওনি চকচকে চোখে তাকালেন ।
সবাই পেটের দায়ে কাজ করে। টাকার জন্য ই তো মানুষ প্রবাসী হয়। সব কিছুর সাথে টাকা ও প্রয়োজন হয়।
*
একি বেডে শোয়া নিয়ে দুজনের মাঝেই আড়ষ্টতা কাজ করছে। ঝিল বার বার হাত কচলাচ্ছে । কাল অভিনব বসে বসে ঘুমিয়েছে। আজ ও কি ছেলেটা এভাবেই থাকবে ?
ঝিল মিন মিন করে বলল
_ তুমি বেডে শুইয়ে পরো।
_ আর তুমি ?
_ আমি ?
_ হুমমম।
_ না মানে আমি , আমি
অভিনব তপ্ত শ্বাস ফেললো। ঝিল কে ইশারায় বেডে বসতে বললো। ঝিল বসলো না। অভিনব ই উঠে আসলো । ঝিলের হাত দুটো মুঠো বন্দি করতেই ঝিল কেঁপে উঠলো।
অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে। অভিনবর দিকে আবেদন ময়ী দৃষ্টি তে তাকালো। অভিনবর দৃষ্টি স্থির। নিজেকে সামলে নেওয়ার দারুন এক ক্ষমতা রয়েছে। ছেলেটা সব দিকেই পরিপূর্ন। তাহলে, আল্লাহ কেন এই পরিপূর্নর সাথে জোট বেঁধে দিলেন অপরিপূর্নর ?
_ আমাকে ভরসা করো তো ঝিল ?
_ হ্যাঁ ।
_ তাহলে সমস্যা কোথায় ? আমরা দুজন নিজেদের আড়ষ্টতা কাটাতে পারবো না বলো ?
_ হুমম পারবো তো । কিন্তু আমার কেমন কেমন লাগছে যে।
_ বর কে কেমন কেমন লাগছে ?
_ উহহুহ মন কে। আমার মনে হচ্ছে
_ কিছু ভুল হয়ে যাবে ?
ঝিল মাথা নিচু করে নিলো। লজ্জায় লাল টুকটুকে হয়ে আছে। ঝিলের এলোমেলো চুল গুলো আরেকটু এলোমেলো করে দিলো।
ভ্যাগা ভ্যাগা করে তাকাতেই অভিনব খিল খিল করে হাসলো। মেয়েটা যেন সেই হাসিতেই আটকে গেল।
রহস্য ময় এই হাসিতেই ঘায়েল হয়েছে ওহ।
_ তোমার জন্য শাস্তি রয়েছে ঝিল।
_ শাস্তি ?
_ হুমমম। অনেক বড় শাস্তি।
_ কেন ? আমি কি আবার করেছি ?
_ তুমি কাল আমাকে রেখেই ঘুমিয়ে পরেছিলে।
আর আমি সারা রাত কষ্ট করেছি। আজ আমি ঘুমাবো আর তুমি বসে থাকবে।
_ অভিনব !
_ কোনো কথা নয়। এটাই শাস্তি , আর তোমাকে মেনে নিতে ও হবে।
ঝিল প্রথম দিকে একটু মন খারাপ করলে ও মুহুর্তেই হেসে ফেললো। অভিনব বেডে শুইয়ে পরলো আর ঝিল পাশে বসে রইলো।
ছেলেটার গাঁয়ের মিষ্টি গন্ধে পুরো কেবিন ম ম করছে । ইসস অভিনব বুঝি শুধুই তাঁর ?
_ লাইট টা অফ করে দাও ঝিল। আলো তে আমি ঘুমাতে পারছি না।
বিনা শব্দে লাইট নিভিয়ে দিলো ঝিল। ঘুট ঘুটে অন্ধকারে ঝিলের দম বন্ধ হয়ে আসছে। শ্বাস যেন ভারী হয়ে পরছে। হঠাৎ অভিনব তাঁকে কাছে টেনে নিলো। এক হাতে জড়িয়ে ফিস ফিস করে বলল
_ অভ্যাস করে নাও বউ। আমি কিন্তু খুব খারাপ মানুষ ।
ঝিলের শ্বাসের গতি বেড়ে যাচ্ছে। ঝিল কে আরেক টু কাছে টেনে নিলো । মেয়েটার মাথা বুকে টেনে নিয়ে বলল
_ আমার অভ্যাস নেই কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার।
তবে আমি চেষ্টা করছি তুমি ঘুমাও।
**পরশু আবার গল্প পাবেন ইনশআল্লাহ । নেক্সট পার্ট থেকে আবার সুন্দরবনের অংশ থাকবে।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে