#নিবেদিতা
#পর্ব_৩
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
_______________
ভোরের মিষ্টি আলো ফুটতে শুরু করেছে। জানালার পর্দা হালকা সরানো। সেই ফাঁক গলেই আসছে উজ্জ্বল আলো। বাড়ির বড়োরা ভোর হওয়ার আগেই ঘুম থেকে উঠে গেছে। অনেক কাজ বাকি। ছয়টার দিকে তুবার ঘুম ভাঙল। একবার মাথা উঁচু করে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখল দরজা সম্পূর্ণ হাট করে খুলে রাখা। এই ঘরে যে এত বড়ো বড়ো মেয়েগুলো ঘুমিয়ে আছে সেদিকে খেয়াল আছে কারো? দরজাটা একটু চাপিয়ে রাখবে না? মনে মনে বিরক্ত হলেও আলসেমির জন্য তুবা নিজেও উঠে দরজা চাপাল না। আবার বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পড়ল। এক হাত আর এক পা পাশে থাকা নিবেদিতার ওপর রাখতেই আঁতকে সরে গেল কিছুটা। অনেকটা হুড়মুড় করে পড়ল রিনিকার ওপর। রিনিকারও ঘুম ভেঙে গেল। সে বিরক্তিমাখা কণ্ঠে বলল,
“আপা, এত ধাক্কাও কেন?”
তুবা জবাব দিল না। নিবেদিতার কপালে, গলায় হাত রেখে বিস্মিতকণ্ঠে বলল,
“নিবুর শরীর এত গরম কেন!”
রিনিকাও এবার উঠে বসল। সে নিজেও নিবেদিতার কপালে হাত রেখে চমকে উঠল। শরীর সাংঘাতিক রকম গরম। সে বিচলিতস্বরে বলল,
“আপার হঠাৎ জ্বর এলো কেন?”
তুবা বলল,
“জানিনা।”
এরপর সে মৃদুস্বরে নিবেদিতার গায়ে হাত রেখে ডাকল,
“নিবু, এই নিবু? ওঠ।”
কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক করে চোখ মেলল নিবেদিতা। সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা দেখছে। মাথাও ঝিমঝিম করছে। শরীর লাগছে ভার ভার। হঠাৎ এমন কেন লাগছে তার? উঠে বসতে গিয়ে মাথা চক্কর দিয়ে উঠল। পড়ে যাওয়ার আগেই সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলল তুবা। দুহাতে মাথা চেপে নিবেদিতা বলল,
“আমার এমন লাগছে কেন?”
“তোর গায়ে তো জ্বর! জ্বর বাঁধালি কী করে এক রাতেই?”
দুহাতে মুষ্টিবদ্ধ করে চুল চেপে ধরে শুয়ে আছে নিবেদিতা। তার দুচোখ বন্ধ। হঠাৎ জ্বরের কারণ সে নিজেও বুঝতে পারছে না। এরপর গতকাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল। হয়তো ভয় পাওয়ার দরুণ জ্বর চলে এসেছে। জ্বরের চেয়েও এবার তাকে বেশি ভাবাচ্ছে সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিটা। একই তো ভয়ে সে নির্ণয়কে জড়িয়ে ধরেছিল, তারওপর আবার সেই দৃশ্য দেখল মিদহাদ। অস্বস্তি আর লজ্জা এড়িয়ে যেতে তৎক্ষণাৎ রুমে দৌড়ে চলে এসেছিল সে। এরপর তো ঘুমিয়েই পড়ল। আর রাতের মধ্যেই সর্বনাশা জ্বর তার সঙ্গী হতে চলে এলো? এত আনন্দের একটা দিনে তাও! মামার বিয়েতে সে আনন্দ করতে পারবে না ভেবেই পুরো মন তার বিষন্নতায় ছেঁয়ে গেল।
রিনিকা ততক্ষণে বালতি ভরে পানি নিয়ে এসেছে। মীম গিয়েছে বড়ো পলিথিনি খুঁজতে।
বড়ো মামির সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে মামি জিজ্ঞেস করল,
“কী খুঁজছিস?”
মীম খুব ব্যস্ততার সঙ্গে বলল,
“বড়ো পলি খুঁজছি।”
“পলি দিয়ে কী করবি?”
“নিবু আপুর জ্বর এসেছে। মাথায় পানি দিতে হবে। বালিশের ওপর একটা পলি দেওয়া লাগবে না?”
নাসিমা বেগম পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন। মেয়ের জ্বর এসেছে শুনে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলেন মেয়ের কাছে। অবাক হয়ে বললেন,
“হঠাৎ জ্বর!”
বাড়ির সবার কানে কথা চলে গেছে। সবাই এসেছে এখন নিবেদিতাকে দেখতে। সব কাজকর্ম রেখে এভাবে ছুটে আসার কারণও আছে। এসেছে জ্বর কিন্তু কথাটা রটিয়েছে এমন যে, নিবেদিতার ম’রে যাওয়ার মতো জ্বর এসেছে। আর হয়তো বাঁচবে না। বিয়ে বাড়িতে এমন একটা ঘটনা খুবই নাজুক ব্যাপার। নিবেদিতা চোখ মেলে তাকাতে পারছে না। চোখ খুললেই মনে হচ্ছে চারপাশের সবকিছু ঘুরছে আর সে এখনই মাথা ঘুরে পড়ে যাবে। চোখ বন্ধ থাকলেও মানুষের সমাগম বুঝতে বেগ পেতে হচ্ছে না তার। তার যে ম’রে যাওয়ার মতো জ্বর এসেছে এটা শুনে সে নিজেই বেকুব বনে গেছে। কোন হতচ্ছাড়া তিলকে তাল বানিয়ে বাড়িতে রটিয়েছে এটা একবার ধরতে পারলে চ্যাংদোলা করে পুকুরের পানিতে তাকে চুবাবে বলে মৌনব্রত করল নিবেদিতা।
জ্বরের খবর পেয়ে নির্ণয়ও এসেছে দেখতে। সে নাসিমা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“গতকাল রাতে পানি আনতে গিয়ে ভয় পেয়েছে। ভয় থেকেই মনে হয় জ্বর এসেছে।”
মামি তখন বললেন,
“এটা তুমি আগে বলবা না বাবা! কী একটা অবস্থা। আমরা তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম।”
নিবেদিতাকে এবার পানি পড়া খাওয়ানো হলো। মাথায় পানি দিয়ে জ্বর কিছুটা কমানো হলো। নয়ন গিয়ে ওষুধ নিয়ে এসেছে। কোনো রকম একটু নাস্তা করে ওষুধ খেয়ে চুপচাপ শুয়ে রইল নিবেদিতা। এখন রুমে বোনগুলা ছাড়া আর কেউ নেই। ওরা সবাই রেডি হচ্ছিল বউ আনতে যাওয়ার জন্য। হাসি তখন নিবেদিতার পাশে বসে জিজ্ঞেস করল,
“আপা, তুমি সাজবে না?”
নিবেদিতা কোনো জবাব দিল না। তুবা বলল,
“আমি রেডি হয়ে ওকে রেডি করিয়ে দেবো।”
“আমি যাব না মামার বউ আনতে।” বলল নিবেদিতা।
সবাই অবাক হয়ে তাকাল। তুবা জিজ্ঞেস করল,
“কেন?”
“শরীর ভালো লাগছে না।”
তুবা ওর কপালে হাত রেখে বলল,
“জ্বর তো অনেকটাই চলে গেছে। তাহলে যাবি না কেন?”
“এমনিই।”
“এমনিই কী আবার আশ্চর্য! সামান্য জ্বরের জন্য তুই ছোটো মামার বিয়েতে উপস্থিত থাকবি না? তাহলে কিন্তু রটানো কথাই সত্যি ভাববে সবাই।”
“কোন রটানো কথা?”
“ঐযে তোর ম’রে যাওয়ার মতো জ্বর এসেছে। আর বেশিদিন বাঁচবি না।”
নিবেদিতা চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“এই কথা যে রটিয়েছে তাকে শুধু পাই একবার!”
“বিয়ে মিটে যাক। তারপর সবাই মিলে খুঁজব। এখন তুই ওঠ। চোখে-মুখে একটু পানি দিয়ে নতুন জামাটা পর। তারপর আমি তোকে সাজিয়ে দিচ্ছি।”
অনেক দোনোমনা করে অবশেষে বিয়েতে যাবে বলে মনস্থির করল নিবেদিতা। হাত মুখ ধুয়ে হালকা গোলাপি রঙের লেহেঙ্গাটা পরে নিল। রিনিকা হেসে বলল,
“আপাকে দেখতে এখন আমার বয়সী লাগছে।”
নিবেদিতা সাজার মধ্যে শুধু মুখে একটু পাউডার, চোখে কাজল আর ঠোঁটে লিপস্টিক দিল। হাসি অবাক হয়ে বলল,
“এত হালকা সাজ?”
“হু! এমনিই শরীর ভালো লাগছে না আবার সাজব কী!”
তুবা বলল,
“থাক। তোর যেমন ইচ্ছে। তুই এমনিতেই সুন্দর। এত সাজতে হবে না। শুধু আমাদের সাথে গেলেই হবে। তোকে ছাড়া আমাদের নিঃস্ব লাগে।”
নিবেদিতা মুখ ভেংচি কেটে বলল,
“ঢং! তোর জন্যই আমার এই অসময়ে জ্বর এসেছে। তুই যদি সব পানি না খেতি তাহলে কি আমার পানি আনতে যাওয়া লাগত? আর না ভয় পেতাম আমি!”
“হু এখন সব দোষ তুবা ঘোষ তাই না?”
মীম বলল,
“তুমি দেখি তোমার পদবীও চেঞ্জ করে ফেললে আপু।”
তুবা ধমক দিয়ে বলল,
“চুপ কর বে’য়া’দ’ব।”
মীম চুপ করলেও হাসি থামল না। ওর সাথে রিনিকা আর হাসিও হাসছে।
সবার তৈরি হওয়া হয়ে গেলে বাড়ি থেকে বের হলো যারা যারা বরযাত্রী যাবে। ভিড়ের মধ্যে নিবেদিতার চোখ নির্ণয়কে খুঁজছিল। নির্ণয়ের দেখা না পেলেও মিদহাদকে দেখতে পেল। সে নয়নের সাথে কিছু নিয়ে হাসাহাসি করছে। হুট করে চোখেও চোখ পড়ে গেল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো নিবেদিতা চোখ সরানোর পূর্বেই মিদহাদ চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিবেদিতা অবাক হলো। মিদহাদকে বেশ স্বাভাবিক লাগছে যেন গতকাল সে কিছুই দেখেনি। তার ভাবনার আদ্যোপান্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই পেছন থেকে নির্ণয় সবাইকে তাড়া দিয়ে বলল,
“সবাই গাড়িতে ওঠো। এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে আমাদের।”
নিবেদিতা মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কালো পাঞ্জাবিতে কী সুন্দর লাগছে! বাকিরাও একই রকম পাঞ্জাবি পরেছে। কিন্তু তাতে কী? তার মোহিত দৃষ্টি তো শুধু একজনের ওপরেই স্থির। আচানক গতকাল রাতে জড়িয়ে ধরার কথা মনে পড়তেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল সে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার যে তাও সে নির্ণয়ের দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না। নির্ণয়ও একবার তাকাল নিবেদিতার দিকে। ভাবলেশহীন দৃষ্টি। কী আশ্চর্য! নির্ণয়ও এমন একটা ভাব ধরে আছে যে কিছুই হয়নি। যে দুটো মানুষের সামনে সে অস্বস্তিতে জড়োসড় হয়ে যাচ্ছে বারংবার সেই দুটো মানুষের মাঝেই কোনো ভাবান্তর নেই। যেন কিছুই ঘটেনি গতকাল রাতে। আর সে কিনা লজ্জায় মূর্ছা যাচ্ছে। হায় কপাল!
সবার সঙ্গে নিবেদিতাও গাড়িতে উঠে বসেছে। সে ভেবেছিল নির্ণয় ওদের গাড়িতে উঠবে। কিন্তু তার ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে দিয়ে বন্ধু-বান্ধব ও অন্য কাজিনদের সঙ্গে আলাদা গাড়িতে বসেছে সে। নয়ন আর মিদহাদও সেই গাড়িতেই। মনটা খারাপ হয়ে গেল নিবেদিতার। নির্ণয়কে দেখতে দেখতে আর যাওয়া হলো না। ওর মন খারাপকে সঙ্গ দিতেই নাকি অন্য কারণেই সঠিক জানা নেই হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। যেই সেই বৃষ্টি নয়, একদম মুষলধারায় বৃষ্টি যাকে বলে। গ্রামের বিয়েতে বৃষ্টি মানে কাদাপানিতে যাচ্ছেতাই অবস্থা। এটা ভেবেই সবার মনটা খারাপ হয়ে গেল। বৃষ্টি আসার আর দিন পেল না?
বরযাত্রী পৌঁছে যাওয়ার পরও বৃষ্টি থামল না। সে তার মনমতো ঝমঝম করে আকাশ থেকে পড়ছে। বরযাত্রীদের নেওয়ার জন্য ছাতা নিয়ে নানান বয়সের কনেপক্ষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিবেদিতা ভেবেছিল এই বৃষ্টির মধ্যে বোধ হয় কনেপক্ষ গেইট ধরবে না। তবে এবারও তাকে ভুল প্রমাণিত হতে হলো। তারা ছাতা মাথায় নিয়েই গেইট ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এতে অবশ্য বিশেষ লাভ হলো না। বৃষ্টিতে সবারই প্রায় কাকভেজা অবস্থা। কনের বাবা কয়েকবার বলেও কনেপক্ষকে সরাতে পারল না। তাদের একটাই দাবি, টাকা দেবে তারপর গেইট ছাড়বে। বৃষ্টিতে ভেজার খুব একটা ইচ্ছে নেই বলে টাকা নিয়ে দর কষাকষি কোনো পক্ষই খুব একটা করল না। কনেপক্ষের দাবি মিটিয়ে ভেতরে ঢুকল সবাই। মামার শ্যালক-শ্যালিকারা তোয়ালে এনে দিল সবাইকে শরীর মোছার জন্য। তুবা বিরক্ত হয়ে বলল,
“এত মেকাপ করে কী লাভ হলো? বৃষ্টিতে তো সব উঠেই গেল। ধুর!”
হাসি বলল,
“আগে জানলে আমিও নিবু আপুর মতো সাজতাম না।”
নিবেদিতার সাজগোজ নিয়ে কোনো মাথা-ব্যথা নেই। সে জানালার পাশে বসে একমনে বৃষ্টি দেখছে। মনটা হঠাৎ এত বিষন্ন, বিষন্ন কেন লাগছে কে জানে! হঠাৎ সে জানালার বাইরে থেকে মিষ্টি একটা ঘ্রাণ পেল। উঁকি দিয়ে দেখল বিশাল একটা কামিনী ফুলগাছ। থোকায় থোকায় ফুটে আছে শুভ্রতার প্রতিক কামিনী। অনেক ফুল ঝরে ঝরে নিচে পড়ে আছে। দেখতে মনে হচ্ছে স্নোফলস্ হয়েছে। নিবেদিতা হাত বাড়িয়ে গাছ থেকে ফুল ছেঁড়ার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। একটুর জন্য গাছ স্পর্শ করতে পারছে না। সে ব্যাকুল হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় গেল। বারান্দা পাকা করা না। মাটির। বৃষ্টির পানিতে ভিজে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। উলটা-পালটা পা ফেললেই স্লিপ খেয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সাবধানে পা ফেলে একদম বারান্দার শেষ প্রান্তে চলে গেল। কিন্তু বিধিবাম! এখান থেকেও সে গাছের নাগাল পাচ্ছে না। এদিকে ফুল নেওয়ার জন্য তার মন-প্রাণ ব্যাকুল হয়ে আছে। কয়েকবার হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানিতে ভিজে টইটুম্বুর হওয়া ছাড়া আর বিশেষ কিছুই ঘটল না। হতাশ হয়ে যখন হাল ছেড়ে দেবে ভাবল তখন দেখল এতক্ষণ যে সে জানালার পাশে বসে ছিল সেই জানালা দিয়ে কালো পাঞ্জাবি পরা একটা হাত বেরিয়ে একথোকা কামিনী ফুলসহ ডাল ছিঁড়ল। নিবেদিতা ঘাড় বাঁকা করে উঁকি দিতেই বৃষ্টির পানি তার মুখে পড়তে লাগল। চোখ বন্ধ করে ফেলল প্রথমে। পরে চোখ মেলে তাকাতেই জানালার অপর প্রান্তে নির্ণয়কে দেখতে পেল। নির্ণয় ফুলগুলো জানালা দিয়ে এগিয়ে দিয়ে বলল,
“ফুল নিয়ে এবার ভেতরে বসো। জ্বর বাড়িয়ো না।”
ফুল নিয়ে সরে দাঁড়াল নিবেদিতা। খুশিতে মনের ভেতর প্রজাপতি নাচছে। উঁহুঁ! তার এখন মনে হচ্ছে সে নিজেই একটা প্রজাপতি। শুধু দুটো ডানার অভাবে উড়তে পারছে না। খুশিমনে ফুল নিয়ে ভেতরে যাওয়ার সময় ফুলগুলো নিচে পড়ে গেল। সে ফুল তুলতে গিয়ে কারো সুরেলা কণ্ঠে শুনতে পেল,
“সে বৃষ্টিভেজা পায়ে
সামনে এলে হায়,
ফোটে কামিনী।
আজ ভিজতে ভালো লাগে
শূণ্য মনে জাগে,
প্রেমের কাহিনি।”
ফুল নিয়ে তাকিয়ে দেখল দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মিদহাদ বৃষ্টি দেখছে আর গান গাইছে। সে তাকাতেই মিদহাদও তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসল। আশ্চর্য! ছেলেটা হাসলে গালে হালকা টোল পড়ে।
চলবে…
[কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।]