#নিবেদিতা
#পর্ব_৫
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
______________
ছোটো মামার বিয়ের অনুষ্ঠানের সাথে সাথে নিবেদিতারও সকল আনন্দ হাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে। চলে যাওয়ার সময় এসেছে সবার। ইতোমধ্যে অনেক আত্মীয়-স্বজনরা যার যার বাড়ি রওনা দিয়ে দিয়েছে। একদল রেডি হচ্ছে যাওয়ার জন্য। তাদের মধ্যে নির্ণয়রাও আছে। নির্ণয়কে আর দেখতে পাবে না ভেবেই একরাশ মন খারাপ এসে ঘিরে ধরেছে তাকে। আর ক’টা দিন থেকে গেলে কী এমন হতো? এই প্রশ্ন নিবেদিতা করতে না পারলেও বড়ো মামি করলেন। বললেন,
“আর কয়টা দিন থেকে যাইতা তোমরা।”
প্রত্যুত্তরে খালা বললেন,
“ওদের বাপ-ছেলের ছুটি শেষ। অন্যের চাকরি বোঝেনই তো! আমি না গেলে তো এরা আবার রান্নাবান্না করেও খেতে পারবে না।”
“তাইলে আবার সময় পাইলে কিন্তু আসবা। সবাই আসলেও তোমরা কিন্তু গ্রামে কমই আসো। শহুরে মানুষ তোমরা। গ্রাম তো ভালো লাগে না।”
“আমার তো শহরের চেয়ে গ্রামেই ভালো লাগে গো। কিন্তু থাকার তো উপায় নাই।”
নিবেদিতা দূরে বসে চুপচাপ সবার কথোপকথন শুনছিল। নির্ণয় এসে তখন বলল,
“মা, হয়েছে?”
বড়ো খালা বললেন,
“হ্যাঁ। তোর বাবা কই?”
“আব্বু বাজারে আছে। আমাদের যেতে বলছে।”
নিবেদিতার দুচোখ ফেটে কান্না আসছে। এত কষ্ট হচ্ছে! ইচ্ছে করছে দৌঁড়ে গিয়ে নির্ণয়কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে। এই কয়দিনে সামনে থেকে যেন আরো বেশি মায়া ধরিয়ে দিয়ে গেছে। মায়া যে বড্ড খারাপ!
নিবেদিতার চোখ ছলছল করছিল। খালা সবার থেকে বিদায় নিয়ে নিবেদিতাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
“সময় পেলে ঢাকায় আসিস। তুই তো ভুলেও শহরে পা রাখিস না।”
নিবেদিতা নিজেকে আর আটকে রাখতে পারল না। খালাকে জড়িয়ে ধরেই কেঁদে ফেলল। খালা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“আরে পাগলি মেয়ে! কাঁদছিস কেন?”
“তোমাদের খুব মিস করব।”
“আমরাও তোদের মিস করি রে পাগলি।”
নির্ণয় সবার থেকে বিদায় নিয়ে বলল,
“চলো মা।”
“হ্যাঁ, চল।” বলে তিনি নিবেদিতাকে বললেন,
“ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করিস। নিজের যত্ন নিস।”
মাথা দোলাল নিবেদিতা। ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নির্ণয়ের দিকে। যাওয়ার পূর্বে একটাবার বিদায়ও নিল না। কিছু বললও না সে নিবেদিতাকে। মানুষ এত নিষ্ঠুরও হয়?
নির্ণয় চলে যাওয়ার পর নিবেদিতার সারাটা দিন কাটল মনমরা হয়ে। কোনো কিছু করেই স্বস্তি পাচ্ছিল না। মা এসে ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে বলে গেছে। কাল সকালে ওরাও বাড়ি চলে যাবে। বাবা অবশ্য আজই চলে গেছে। তাকে কাল সকাল থেকেই অফিসে থাকতে হবে। সন্ধ্যায় নাস্তা খেতে গিয়ে নয়ন আর মিদহাদের সঙ্গে দেখা হলো নিবেদিতার। গতকাল মিদহাদকে নিয়ে এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। আজ এসেছে কিছুক্ষণ আগেই। নিবেদিতাকে একদম নিশ্চুপ দেখে নয়ন জিজ্ঞেস করল,
“কিরে বকবকানির রানি, কী হয়েছে?”
নিবেদিতা উদাসকণ্ঠে বলল,
“কই?”
“মন খারাপ মনে হচ্ছে? কেউ কিছু বলেছে?”
নিবেদিতা দুদিকে মাথা নাড়াল। তার দৃষ্টি নত। হাতে চায়ের কাপ। নয়নের প্রশ্নে তার কান্না পাচ্ছে ফের। তার এই হলো এক সমস্যা। মন খারাপের সময় কেউ এর কারণ জানতে চাইলেই বুক ফেটে কান্না চলে আসে। মন তখন আহ্লাদী হয়ে ওঠে। নয়ন বলল,
“মা বকেছে নাকি?”
নিবেদিতা এবারও দুদিকে মাথা নাড়াল। বোনের মন খারাপ বিষয়টা মানতে পারছে না নয়ন। সে পাশে বসে থাকা তুবাকে জিজ্ঞেস করল,
“ওর কী হয়েছে রে? কেউ কিছু বলছে?”
তুবা ঠোঁট উলটে বলল,
“কেউ তো কিছু বলে নাই। কিন্তু সকাল থেকেই দেখতেছি মন খারাপ।”
নয়ন আর বিষয়টা নিয়ে ঘাঁটাল না। কারণ বেশি ঘাঁটালেই এখন যে তার বোন কেঁদে দেবে এটা সে বেশ ভালো করেই জানে। নিবেদিতাও আর কিছু না বলে রুমে চলে গেল। নয়ন তখন তুবাকে বলল,
“দেখ তো গিয়ে ওর কী হয়েছে? জিজ্ঞেস কর।”
“আচ্ছা ভাইয়া।”
তুবা চলে যাওয়ার পর মিদহাদ বলল,
“হতে পারে মুড সুইং। তুই এত হাইপার হচ্ছিস কেন?”
“তুই বুঝবি না শালা!”
“শালা? আমার তো কোনো বোন নাই যে তোর কাছে বিয়ে দেবো। বাট তোর বোন আছে। তুই চাইলে আমার শালা হতে পারিস।”
“ম’রা’র শখ জাগছে?”
মিদহাদ হেসে বলল,
“কেন? তোর বোনকে কি বিয়ে দিবি না?”
“অবশ্যই দেবো। কিন্তু তোর কাছে না।”
“কেন, কেন? আমার মধ্যে কমতি কী?”
“কমতি না। বাড়তি বেশি। এজন্যই দেবো না।”
মিদহাদ শার্টের কলার টেনে একটু পেছনে নিয়ে বলল,
“শালা! এমন যোগ্য ছেলে হারালে, কাঁদতে হবে আড়ালে।”
“হ্যাঁ রে। আড়ালে আমি মুখে কাপড় গুঁজে কাঁদব হুহু করে।”
নয়নের ভনিতা দেখে মিদহাদ শব্দ করে হেসে ফেলল।
.
.
পরেরদিন সকালে নিবেদিতারাও বাড়ি ফিরে এলো। ওদের সাথে মিদহাদও এসেছে। সে কিছুদিন নয়নের সাথে থেকে ঢাকায় ফিরে যাবে।
এই বিয়েটার পর নিবেদিতার মধ্যে একটা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। কেমন যেন নির্জীব, নিশ্চুপ হয়ে গেছে। কোনো কিছুতেই আনন্দ খুঁজে পায় না। সবার মাঝে থেকেও নিজেকে ভীষণ একা লাগে। পড়াতেও কোনো আগ্রহ খুঁজে পায় না। অথচ তার এডমিশন এক্সামের আর বেশিদিনও হাতে নেই। এরকম করলে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সন্দেহ। সময় পেলেই সে ফেসবুকে গিয়ে নির্ণয়ের আইডি ঘেটেঘুটে দেখে। অথচ কেউ কারো সাথে এড নেই। অনেকবার সাহস করে রিকোয়েস্ট পাঠাতে গিয়েও পাঠায়নি। পাছে নির্ণয় আবার কড়া কোনো ধমক দেয় অথবা এক্সেপ্ট না করে! নির্ণয়ের ফোন নাম্বারও আছে। চাইলে সে ফোনও করতে পারে। অথবা ম্যাসেজ। কিন্তু কী বলবে? বলার মতো তো অনেক কথাই আছে কিন্তু সাহস নেই। অনেক উপায় খুঁজেও হতাশ হয়ে চুপ করে বসে থাকে সে। সামনে বইয়ের লাইনে চোখ বুলিয়ে যায় কিন্তু কী পড়ে না পড়ে সে কিছুই জানে না।
এক বিকেলে বই নিয়ে উঠানে চেয়ারে বসে ছিল নিবেদিতা। তার মনটা খুবই খারাপ। নির্ণয় একটা প্রোফাইল পিকচার আপলোড করেছে কিছুক্ষণ পূর্বে। সেখানে অসংখ্য মেয়ের কমেন্ট। কমেন্টগুলো দেখেই তার মেজাজ চওড়া হয়ে যাচ্ছে। যদিও একটা কমেন্টের উত্তরও নির্ণয় দেয়নি। অবশ্য নিবেদিতা এটা আশাও করে না নির্ণয়ের থেকে। কিন্তু কথা হলো এই গম্ভীরমুখো ছেলের ফ্রেন্ডলিস্টে এত মেয়ে কেন থাকবে? নাকি এরা ফলোয়ার? সে যাই হোক! এমন গায়ে পড়া কমেন্টই বা কেন করে মেয়েগুলো?
“এত চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে পড়াশোনায় ফোকাস করো প্রাণ।”
নিবেদিতা ভড়কে গিয়ে পেছনে তাকাল। মিদহাদ একটা চেয়ার টেনে মুখোমুখি বসল। বলল,
“পরীক্ষা কবে?”
“তিনদিন পর।”
“মন পড়ে আছে অন্য কোথাও।”
নিবেদিতা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। মিদহাদের হাতে কোকের বোতল। সে বোতলে চুমুক দিয়ে বলল,
“তোমার বয়স পার করে এসেছি তো তাই তোমার চোখ-মুখের ভাষা পড়তে পারি।”
“মানুষের চোখ-মুখের ওপর পিএইচডি করেছেন?”
মিদহাদ হেসে ফেলল। বলল,
“না। এজন্য পিএইচডি করা লাগে না। মানুষের জীবনটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড়ো শিক্ষাক্ষেত্র। জীবনে চলতে গেলে জীবনের শিক্ষাটাই আগে লাগে, বইপুস্তকের শিক্ষা না।”
নিবেদিতা চুপ করে আছে। মিদহাদ বোতলটাকে দূরে ছুড়ে ফেলে বলল,
“তোমার বয়স কম, ফ্যান্টাসি বেশি। এটাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
“আপনি আমাকে এসব কথা কেন বলছেন?”
“কারণ তুমি প্রেমে পড়েছ।”
নিবেদিতা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। মিদহাদ হেসে বলল,
“ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রেমে পড়া অন্যায় কিছু না। পড়তেই পারো। তবে আবেগের লাগাম টানতে হবে। আবেগকে যত বেশি প্রশ্রয় দেবে তত বেশি অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। নিজস্বতাকে হারাবে।”
নিবেদিতা এবারও চুপ রইল। মিদহাদ বলল,
“দেখো প্রাণ…”
নিবেদিতা ভ্রু কুঁচকে বলল,
“প্রাণ?”
“তোমার এত বড়ো নাম ডাকতে ভালো লাগে না। আর কেন জানি তোমার নাম ধরে ডাকতে গেলে প্রাণ ডাকটা সাথে চলে আসে। তাই নিবেদিতা বাদ দিয়ে শুধু প্রাণ ডাকছি। তোমার ভালো না লাগলেও কিছু করার নেই। কারণ আমার ভালো লেগেছে। আর আমি সবার আগে সবসময় নিজের ভালোলাগাকেই প্রাধান্য দেই।”
নিবেদিতা বলার মতো কিছু খুঁজে পেল না। মিদহাদ বলল,
“প্রেমে পড়ো অথবা ভালোবাসো, তার আগে নিজেকে ভালোবেসো। নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব কখনোই কাউকে দিও না। ভালোবাসাটা আপেক্ষিক বিষয়। এত ভেবে-চিন্তে, সিদ্ধান্ত নিয়ে হয় না। ভালোবাসা হঠাৎ করেই আসে। কিন্তু আমরা এটা জানিনা বা বুঝি না যে, যার প্রতি আমাদের এত টান ও ভালোবাসা সেই মানুষটা আদৌ আমাদের জন্য সঠিক কিনা। জানো তো প্রাণ, আমাদের দেখার আড়ালেও অনেক কিছুই লুকিয়ে থাকে।”
একটু থেমে ফের বলল,
“তোমাকে আজ এতগুলো কেন বললাম জানিনা। হয়তো বলতে ইচ্ছে হয়েছে তাই বলেছি। আবার হতে পারে আমাদের আর দেখা হবে না তাই বলেছি।”
“চলে যাচ্ছেন?”
“হ্যাঁ। আজ রাতের বাসে ঢাকায় ফিরছি।”
“ওহ।”
“তোমায় মিস করব।”
নিবেদিতা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কেন?”
মিদহাদ হেসে বলল,
“এমনি। এখন পড়ো মনোযোগ দিয়ে। কখনো কোনো দরকার পড়লে জানিও। পরীক্ষার জন্য শুভকামনা প্রাণ।”
“ধন্যবাদ।”
মিদহাদ মৃদু হেসে উঠে চলে গেল। নিবেদিতা এবার সত্যি সত্যিই পড়ায় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করল।
সন্ধ্যায় নাস্তা করার সময় রতন আহমেদ ছেলের উদ্দেশে বললেন,
“নিবেদিতার তো পরীক্ষার আর বেশি দিন নেই। মিদহাদও আজ চলে যাচ্ছে। তুইও সাথে যা। নিবেদিতাকে তোর বড়ো খালার বাসায় দিয়ে আয়।”
নিবেদিতার গলা দিয়ে খুশিতে যেন খাবার নামছিল না। এভাবে যে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পাবে তা কে জানত? মিদহাদ আড়চোখে নিবেদিতার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক দেখে নিজেও মুচকি হাসল।
নয়ন বলল,
“এটাই ভালো হবে। কাল শনিবার আমার অফিসও বন্ধ। বিকেলের দিকে আমি চলে আসব আবার।”
“হ্যাঁ, তাহলে তাই কর। নিবেদিতা, যাও জিনিসপত্র সব গুছিয়ে নাও জলদি।”
নিবেদিতা নাস্তা শেষ না করেই দৌঁড়ে রুমে চলে গেল। খুশিতে তার এখন নাচতে ইচ্ছে করছে। তড়িঘড়ি করে ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই ব্যাগ গুছিয়ে সে নিজেও তৈরি হয়ে নিল। মিদহাদ আর নয়ন আরো আগেই তৈরি হয়ে বসে ছিল। নিবেদিতা আসার পর বাবা-মায়ের থেকে দোয়া নিয়ে ওরা রওনা দিল ঢাকার উদ্দেশে। এক বুক আনন্দ নিয়ে নিবেদিতা বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল।
ভোরের দিকে ঢাকায় পৌঁছাল তিনজন। মিদহাদ চলে গেল নিজের বাড়ির দিকে। আর নয়ন নিবেদিতাকে নিয়ে গেল বড়ো খালার বাসায়। ওরা আসবে বলে খালা সেই ভোরেই রান্নাবান্না বসিয়েছেন। বাসে সারা রাস্তা ঘুমালেও এখনো দুচোখে ঘুম লেগে আছে নিবেদিতার। আবার এই দুচোখেই নির্ণয়কে দেখার আকাঙ্ক্ষা। কখন যে দেখতে পারবে!
নয়ন চায়ে চুমুক দিয়ে বলল,
“খালু আর ভাইয়া কোথায়?”
“ওরা ঘুমাচ্ছে। বন্ধের দিন তারা দেরি করে ওঠে।”
“আমিও একটু ঘুমাব খালা। সারা রাত ঘুম হয়নি।”
“নয়নের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।”
নিবেদিতা ঘুমাতে গেল গেস্ট রুমে। বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই দুচোখে তার ঘুম চলে এলো। এই ঘুম ভাঙল সকাল সাড়ে দশটার দিকে। ওর আগেই বাকিরা ঘুম থেকে উঠে গেছে। নিবেদিতা ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে এলো। নির্ণয়কে দেখেই তার বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেছে। চেয়ার টেনে বসতে বসতে খালুকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“ভালো আছেন খালু?”
খালু সালামের জবাব নিয়ে বলল,
“আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো, মা। তুমি কেমন আছো?”
“আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।”
এরপর সে দুচোখ ভরে নির্ণয়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“ভালো আছেন?”
নির্ণয় মৃদু হেসে বলল,
“হুম, তুমি?”
“আলহামদুলিল্লাহ্।”
নয়ন খালার সাথে কথা বলছিল। খালা বলল,
“আজই চলে যাবি এটা কোনো কথা? আজকের দিনটা থেকে যা। নির্ণয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাব আজ আমরা।”
নিবেদিতা সবেমাত্র চায়ে চুমুক দিতে গিয়েছিল। খালার কথা শুনে আর পারল না। বি’স্ফো’রি’ত দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে আছে। মেয়ে দেখতে যাবে মানে? বিয়ের কথাবার্তা চলছে নির্ণয়ের? নিবেদিতার সমস্ত আনন্দ, খুশি যেন এক নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে গেল। এরকম কিছুর জন্য তো সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
চলবে…
[কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।]