#নিবেদিতা
#পর্ব_১৮
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
_______________
নীল-সাদা আকাশে মেঘবিহীন হঠাৎ করেই যেমন ঝুমবৃষ্টির আগমন ঘটে কেউ কিচ্ছুটি বুঝে ওঠার আগেই, ঠিক সেভাবেই মিদহাদের আগমন ঘটল ডেনমার্কে। অন্তত নিবেদিতা তো তাকে এখানে একদমই আশা করেনি। মিদহাদ হাসি হাসি মুখ করে ওর দিকে চেয়ে আছে। নিবেদিতা হতবিহ্বল। ফোনের অপর প্রান্তে এখনো কলে আছে নির্ণয়। নিবেদিতা ফের ফোনটা কানে নিয়ে বলল,
“আমি আপনাকে পরে ফোন দিচ্ছি।”
কল কাটার পর মিদহাদ বলল,
“ফুল কি তোমার পছন্দ নয়?”
নিবেদিতা এতক্ষণে খেয়াল করল যে মিদহাদ তার দিকেই ফুলের তোড়া বাড়িয়ে রেখেছে। সে হাসার চেষ্টা করে ফুলগুলো হাতে নিয়ে বলল,
“ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি এখানে?”
“কেন তুমি খুশি হওনি?”
“এখানে তো আমার খুশি, অখুশি হওয়ার কিছু নেই। তবে পরোক্ষভাবে বিষয়টা দেখলে ভালো লাগার কথা। কারণ ভিনদেশে নিজের দেশের মানুষ দেখলে আমার মনে হয় সবারই ভালো লাগবে। তা যদি হয় আবার পরিচিত কেউ।”
মিদহাদ মাথা দুলিয়ে বলল,
“রাইট।”
“আপনি কি এখানে কোনো কাজে এসেছেন?”
“উঁহুঁ! তোমার কাছেই এসেছি।”
নিবেদিতা অবাক হয়ে বলল,
“আমার কাছে?”
“হ্যাঁ। নয়নের সঙ্গে কথা হলেই দেখতাম ও তোমাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করে। আমাকে আরো আগেই বলেছিল সম্ভব হলে আমি যেন ডেনমার্কে এসে তোমার খোঁজ-খবর নিয়ে যাই। আমার কাজের এত প্রেশার ছিল যে ইচ্ছে থাকলেও আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন ছুটি পেয়ে চলে এলাম। এছাড়া অন্যান্য অনেক দেশ ঘুরলেও ডেনমার্কে কখনো আসা হয়নি আমার। তোমার বদৌলতে মনে হচ্ছে, এবার ডেনমার্কও ঘোরা হয়ে যাবে।”
নিবেদিতা মৃদু হেসে বলল,
“আচ্ছা। আপনি কোথায় উঠেছেন?”
“কোথাও উঠিনি এখনো। হোটেলে উঠব। সরাসরি তোমার ভার্সিটিতে চলে এলাম। কারণ পরে এলে তো তোমাকে পেতাম না। তখন আবার তোমার কাজ শেষ হওয়ার জন্য লম্বা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।”
নিবেদিতা হাতঘড়িতে সময় দেখে বলল,
“হ্যাঁ, আমাকে এখন যেতে হবে।”
“ছুটি কখন?”
“দশটায়।”
“এত কাজ করো!”
নিবেদিতা হাসার চেষ্টা করে বলল,
“করতে হয়।”
“তোমার বাড়িতে জানে?”
“জানে। প্রথম প্রথম সবাই খুব রাগ করেছিল। কিন্তু রাগ করে লাভ কী? আমি তো আমার মতোই চলব। বাবা-মায়ের অনেক টাকা এমনিতেই নষ্ট করছি। নিজেও যদি নিজের খরচটা চালাতে পারি তাহলে তাদের ওপর চাপ কিছুটা হলেও কমবে।”
“তোমার আত্মনির্ভরশীল হওয়াটাকে আমি এপ্রেশিয়েট করি। তুমি অসাধারণ একটা মেয়ে, প্রাণ।”
নিবেদিতা এ কথার প্রত্যুত্তরে মৃদু হাসল। বলল,
“আমি তাহলে এখন যাই?”
“আমি আসব সাথে?”
“কেন?”
“এগিয়ে দিলাম তোমায়।”
“উঁহুঁ! লাগবে না। আমি মেট্রোতে করে চলে যাব। আপনি বরং হোটেলে গিয়ে রেস্ট করুন।”
“তোমাকে তাহলে পরে কখন পাব?”
“আমার তো আসলে সেভাবে ফ্রি সময় নেই।”
“তোমার কাজ শেষ হওয়ার পর?”
“আমি আপনাকে জানাব।”
“ঠিক আছে। সাবধানে যেও। টেইক কেয়ার।”
“ইউ অলসো টেইক কেয়ার।”
নিবেদিতা যাওয়ার পথে আর নির্ণয়কে কল করেনি। এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। পরে কল করবে বলে সে এখন আর কল দিল না। বেকারিতে কাজের খুব চাপ এখন। ঠিকমতো খাওয়ার সুযোগও পায় না। অবশ্য মাস শেষে ভালো একটা পারিশ্রমিক পায় বলে এই কষ্টটাকে তখন আর কষ্ট মনে হয় না। এর মাঝে অনেকবার ভেবেছিল এই জবটা ছেড়ে দেবে। এত ডিউটি মাঝে মাঝে তার নিজেরই বিরক্ত লাগে। পড়ার জন্য সেভাবে সময়ও বের করতে পারে না। সমস্যা হলো তার মালিক মিসেস লিয়ানা খুবই অমায়িক একটা মানুষ। তিনি নিবেদিতাকে অনেক পছন্দ করেন এবং স্নেহও করেন। নিবেদিতা যখন বলেছিল পড়ায় অসুবিধা হয় বলে সে আর এই জবটা করতে চায় না, তখন মিসেস লিয়ানা জানিয়েছিল সে চাইলে তার ডিউটি টাইম কমিয়ে নিতে পারে। তবুও যেন সে চলে না যায়। সত্যি বলতে মিসেস লিয়ানার প্রতি তার নিজেরও আলাদা একটা টান আছে। তিনি জবের শুরু থেকেই নিবেদিতাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন। এছাড়া সে চাইলেই যখন ডিউটির টাইম কমিয়ে নিতে পারবে তাহলে তো আর জবটা ছাড়ার প্রয়োজন নেই। পরের সেমিস্টার এক্সামের আগে সে পাঁচ ঘণ্টা ডিউটি টাইম নেবে বলে ঠিক করেছে।
.
.
নির্ণয়ের কাজ শেষ। সে এক দৃষ্টিতে তার ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। সেই দুপুর থেকেই কাজের ব্যস্ততার মাঝেও সে বারবার ফোন দেখছিল। বলা বাহুল্য সে অপেক্ষা করছিল নিবেদিতার ফোন কলের। কিন্তু তাকে হতাশ হতে হয়েছে। এখনো পর্যন্ত নিবেদিতা তাকে ফোন করেনি। এমনকি কোনো টেক্সটও নয়। নিবেদিতা কি খুব ব্যস্ত? কাজে নাকি ঐ ছেলের সাথে? কিন্তু কে সেই ছেলে? সে কেন নিবেদিতাকে প্রাণ বলে সম্বোধন করেছে? সে শুনেছে, ছেলেটি চিৎকার করে বলছিল ‘সারপ্রাইজ!’ এর মানে কি নিবেদিতা এখানে এসে কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছে? জড়ালেও এতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না নির্ণয়ের। কেননা তার সঙ্গে তো আর নিবেদিতার কোনো সম্পর্ক ছিল না। এমনকি নিবেদিতা তো এখনো এটাও জানে না যে, নির্ণয় তাকে ভালোবাসে। আর কেউ কিছু জানুক বা না জানুক সে তো জানে যে, নিবেদিতা শুধুমাত্র নির্ণয়ের থেকে দূরে সরতেই ডেনমার্কে চলে এসেছে। পরিবার ছাড়া একা কষ্ট করে সার্ভাইভ করছে। নিজেকে ব্যস্ত রাখছে সে নির্ণয়ের দ্বারা কষ্ট থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতেই। সেখানে যদি নিবেদিতা এই কষ্ট থেকে মুক্ত থাকার জন্য কোনো সম্পর্কে গিয়েও থাকে তাহলে নির্ণয়ের এখানে কিছু বলার বা করার নেই। ভালো থাকার অধিকার অবশ্যই নিবেদিতার আছে। কিন্তু সেই ভালো থাকাটা অন্য একটা ছেলেকে ঘিরে আবর্তিত এটা ভাবতেই বুকের ভেতরে অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছে। মাথার রগ দপদপ করে কাঁপছে। রাগে, জেদে, ক্ষোভ ও কষ্টে নিজেকে তার উন্মাদ মনে হচ্ছে এখন।
অফিস শেষ করে নির্ণয় বাসায় চলে গেল। একবার চেয়েছিল নিবেদিতার বেকারিতে যাবে। পরে সিদ্ধান্ত বদলিয়েছে। যার এতক্ষণে একটাবার কল করার সময় হয়নি তাকে গিয়ে শুধু শুধু বিরক্ত করার কোনো মানে হয় না। হয়তো এখন নিবেদিতা তার ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে ব্যস্ত আছে। বাসায় ফিরে লম্বা সময় ধরে শাওয়ার নিল সে। রুমে এসে দেখল নিবেদিতার কল। সে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে নিবেদিতা বলল,
“হ্যালো।”
নির্ণয় গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“বলো।”
“এতক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছি, কোথায় ছিলেন?”
“গোসলে।”
“ওহ। দেখা কখন করবেন?”
“দেখা?”
“আপনি না দুপুরে বললেন কী কথা নাকি বলতে চান? এজন্য দেখা করবেন?”
“ওহ। আজ ইচ্ছে করছে না। ক্লান্ত আমি। তাছাড়া তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথাও নয়। এমনিই।”
“ওহ! আপনি দেখা করবেন বলেছিলেন বলে আমি আরো আগেই ছুটি নিলাম।”
অন্য সময় হলে নির্ণয় এই কথায় খুশি হয়ে যেত। কিন্তু এখন খুশি হতে পারছে না। দুপুরের কথা সে এখনো ভুলতে পারছে না। এরপর নিবেদিতার অবহেলাটুকুও তার বরদাস্ত হয়নি। নির্ণয় বলল,
“এটা আমাকে আগে ফোন করে বলা যায়নি?”
“ইদানীং কাজের খুব চাপ। ভেবেছিলাম একেবারে বের হয়েই আপনাকে কল করব।”
“বের হয়েছ?”
“না, হবো।”
“ওকে। সাবধানে যেও।”
নিবেদিতার মনটা কেমন যেন খারাপ হয়ে গেল। সে ভেবেছিল নির্ণয় হয়তো আসবে। মন খারাপ লুকিয়ে বলল,
“হুম। কাল আপনি ফ্রি হবেন কখন?”
“কেন?”
“মিদহাদ ভাইয়া এসেছে ডেনমার্ক। তাহলে কাল তিনজন দেখা করতে পারতাম।”
নির্ণয় ভ্রু কুঁচকে বলল,
“কোন মিদহাদ?”
“ভাইয়ার বন্ধু। লন্ডনে যে থাকে? ছোটো মামার বিয়েতে এসেছিল। গান গাইল যে?”
“ওহ হ্যাঁ, হ্যাঁ মনে পড়েছে। তার সঙ্গেই কি দুপুরে কথা বলছিলে?”
“হ্যাঁ।”
“সে তোমাকে প্রাণ ডাকে?”
“হ্যাঁ।”
নির্ণয় থমকে গেল। এরকম নিকনেম কে কাকে দেয় বুঝতে বেগ পেতে হলো না নির্ণয়কে। এই বিষয় নিয়ে তার আর কথাও বলতে ইচ্ছে করছে না। সে গম্ভীর হয়েই বলল,
“কাল অফিস ছুটির পর তোমার বেকারির পেছনের কফিশপে থাকব। মিদহাদকে নিয়ে চলে এসো।”
“ঠিক আছে।”
“রাখলাম।”
বলে খুট করেই কল কেটে দিল নির্ণয়।
.
.
মিদহাদ যেমনটা পরিকল্পনা করে ডেনমার্কে এসেছিল তেমনটা হলো না। নিবেদিতার সাথে কথা বলারই ফুরসত মিলছে না। মেয়েটা এত বেশি ব্যস্ত থাকে! পড়াশোনা, জব, বাড়ির কাজ সব সামলাতে গিয়ে যে ছোটো মেয়েটা কী রকম হিমশিম খায় ভেবেই খারাপ লাগছে তার। রাতে বাসায় ফিরে নিবেদিতা তাকে কল করেছিল। রান্না করতে করতেই কথা বলছিল মিদহাদের সাথে। পরেরদিন দেখা করার কথাও বলল। আর এটাও বলল যে, মিদহাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। কিন্তু কী সারপ্রাইজ আছে সেটা বলেনি। মিদহাদ ক্লু চেয়েছিল। নিবেদিতা কোনো ক্লুও দেয়নি। সন্ধ্যায় সারপ্রাইজ দেবে বলে জানিয়েছে। মিদহাদও তাই রাত থেকেই সারপ্রাইজের জন্য অপেক্ষা করছিল।
সকালে চলে গিয়েছিল নিবেদিতার ভার্সিটির সামনে। ওখানে একবার দেখা করে নিজের মতো কোপেনহেগেন শহর ঘুরে বেরিয়েছে। খাবার খেয়েছে। মৌটুসী ও নিবেদিতার জন্য যা ভালো লেগেছে কিনেছে। আর অপেক্ষা করছিল কখন সন্ধ্যা হবে। বিশেষ করে সে সারপ্রাইজের জন্য মুখিয়ে ছিল।
________
নিবেদিতার আগেই কফিশপে এসে অপেক্ষা করছিল নির্ণয়। ওর পাঁচ মিনিট পরেই নিবেদিতা এলো। মিদহাদ এখনো আসেনি। নির্ণয় থমথমে মুখে বসে আছে। নিবেদিতা চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল,
“কখন এসেছেন?”
“মাত্রই। মিদহাদ কোথায়?”
“আসছে। সারাদিন বেচারা আজ একা একাই কোপেনহেগেন শহরে ঘুরেছে। বিকেলে হোটেলে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাই আসতে একটু লেট হচ্ছে। চলে আসবে। বেশি সময় লাগবে না।”
রাগে, ক্ষোভে ভেতরে ভেতরে ফেটে পড়লেও বাইরে থেকে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে নির্ণয়। সে কোনোরকম ভনিতা না করেই শান্তকণ্ঠে বলল,
“মিদহাদের সাথে তুমি সম্পর্কে আছো?”
নিবেদিতা বিস্মিত হয়ে বলল,
“কী?”
“আমি স্পষ্ট বাংলাতেই প্রশ্নটা করেছি, নিবেদিতা।”
“প্রশ্ন শুনেছি এবং বুঝেছিও। কিন্তু এমন প্রশ্ন করার মানে বুঝতে পারছি না।” শক্তকণ্ঠে বলল নিবেদিতা।
“না বোঝার কারণ?”
“অনেক কিছুই। আপনার কেন মনে হলো আমি তার সাথে সম্পর্কে আছি?”
“এটা তো আমার প্রশ্নের উত্তর হলো না। তুমি উলটো প্রশ্ন করলে।”
“হ্যাঁ, আমার উত্তর দেওয়ার আগে আপনার উত্তরটা জানা জরুরী।”
“ওর সাথে সম্পর্কে কেন সম্পর্কে যাবে বা আছ তা তো স্পেসিফিকভাবে বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। তবে দিনশেষে প্রতিটা মেয়েই বোধ হয় একটা শক্ত খুঁটি খোঁজে। মিদহাদ নিঃসন্দেহে সেই শক্ত খুঁটি হতে পারে। ভালো ক্যারিয়ার আছে ওর। ভালো পরিবার আছে। লন্ডনে সেটেলড্। এছাড়া আমার প্রতি একটা বিরূপ মনোভাব বা যেই কষ্টটা আমার দ্বারা পেয়েছ তা থেকে মুক্তির জন্য হলেও মিদহাদের সাথে সম্পর্কে যেতে পারো।”
নিবেদিতা অবাক হয়ে নির্ণয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। অনেকক্ষণ সে কোনো কথাই বলতে পারল না। নিজের রাগ আর কন্ট্রোল করতে না পেরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“খুব ভালো বলেছেন। আমাকে যে আপনি এত ভালো চেনেন তা তো জানতাম না আমি! প্রথমত আপনার কথা অনুযায়ী আমি টাকার জন্য তার সাথে সম্পর্কে যেতে পারি…”
“আমি সেরকম কিছু মিন করিনি।”
“আমার কথা এখনো শেষ হয়নি। আপনি মিন করবেন কেন? আপনি তো সরাসরিই বললেন কথাগুলো। আর দ্বিতীয়ত কী বললেন? আপনার জন্য যেই কষ্ট আমি পেয়েছি সেটা ভু্লতে আমি তার সাথে সম্পর্কে জড়াতে পারি? আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আমার কাজই এরকম। এতটা লেইম আর লাইফলেস আমি হ্যাঁ? একজনের দেওয়া কষ্ট ভুলতে আরেকজনকে ব্যাকাপ হিসেবে ব্যবহার করব?”
রাগে উত্তেজিত হয়ে কাঁপছে নিবেদিতা। চোখে পানি টলমল করছে। সে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। বলল,
“ওয়েল ডান! ধন্যবাদ আপনাকে। আমাকে নিয়ে আপনার ধারণাগুলো পরিষ্কার করার জন্য।”
নিবেদিতা উলটোপথে ঘুরে চোখের পানি মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেল। মিদহাদ কফিশপের কাছাকাছি চলে এসেছিল তখন।সে দূর থেকে নিবেদিতাকে কাঁদতে কাঁদতে চলে যেতে দেখল। যখনই সে নিবেদিতার দিকে আগাতে আগাতে ডাকবে বলে ভাবছিল তখনই দেখতে পেল রেস্টুরেন্ট থেকে নির্ণয় বেরিয়ে এলো এবং সে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে নিবেদিতাকে ডাকছে। মিদহাদ আর নিবেদিতাকে ডাকল না। সামনেও এগুলো না। থেমে গেল সেখানেই।
চলবে…
[কপি করা নিষেধ।]