নিবেদিতা #পর্ব_২৩ #মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া

0
2

#নিবেদিতা
#পর্ব_২৩
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
______________
বাংলাদেশ হয়তো অন্যসব উন্নত দেশের কাছে কিছুই না। তবে স্বদেশের প্রতি, নিজের মাতৃভূমির প্রতি যেই গভীর মমতা ও টান হৃদয়ের সুগভীরে এতদিন সুপ্ত অবস্থায় ছিল এটা নিবেদিতা টের পেল বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে পা রাখার পর। পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে একটাই আকাশ তবুও এয়ারপোর্টে পা রাখার পর মনে হলো মাতৃভূমির আকাশে বোধ হয় আলাদা কিছু আছে। নতুবা এত স্বস্তি কেন লাগছে!

নির্ণয় এবং নিবেদিতা আজ একসাথে ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে। ওদের সাথে সাবিহা এবং পলও আছে। এয়ারপোর্টে নেমে বাবা ও ভাইকে দেখে নিবেদিতা দৌঁড়ে ছুটে গেল। মুহূর্তেই আবেগপ্রবণ হয়ে বাচ্চাদের মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল সে। কোনোভাবেই ওর কান্না থামানো যাচ্ছে না। এতদিন পর প্রিয় দুটো মানুষকে কাছে পেয়ে নিবেদিতা নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারেনি। শেষে নয়ন অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওর কান্না থামাল।

সাবিহারও বুকটা কেমন হুহু করছে। দেশে এসেছে শুধু তুবার বিয়ের জন্য নয় বরং নিজের পরিবারের কাছেও যাবে বলে। যদিও তার বাড়ির কেউই এখনো তার দেশে আসার ব্যাপারে কিছুই জানে না। তুবার বিয়েটা খেয়ে বাড়িতে ফিরে সবাইকে সে সারপ্রাইজ দেবে। পলের দিকে তাকিয়ে দেখল তার চোখ টলমল করছে। সাবিহা বিস্ময়াভিভূত হয়ে জিজ্ঞেস করল,

“পল! কাঁদছ নাকি তুমি?”

পল নিজের সাদা টি-শার্টের হাতায় চোখ মুছে বলল,

“নিঠাকে কাঁদতে দেখে কেমন জানি নিজেরও কান্না পাচ্ছে!”

সাবিহা হাসল। কথাটা পাশে থাকা নির্ণয়ের কানেও গেছে। সে সরু চোখে পলকে দেখছে। নিবেদিতার প্রতি এত আদিখ্যেতা অন্য কোনো পুরুষ দেখাক এটা তার পছন্দ নয় মোটেও। এখনো ওদের সম্পর্কের কথা কেউই জানে না। সাবিহা এবং পলও নয়। তাই না চাইতেও অনেক কিছুই হজম করে যেতে হয়।

বাবা এবং ভাইয়ের সাথে সাবিহা ও পলের পরিচয় করিয়ে দিল নিবেদিতা। এরপর সবাই মিলে রওনা দিল গ্রামে যাওয়ার জন্য। আগামীকাল তুবার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। বাড়িতে কাজের অভাব নেই। সবাই ব্যস্ত। তাই আর কেউ আসতে পারেনি ওদের রিসিভ করতে।

গাড়িতে নিবেদিতার এক পাশে বসেছে নির্ণয়। অন্যপাশে সাবিহা ও পল। সকলের অগোচরে নির্ণয় চোরাচোখে দেখছিল নিবেদিতাকে। মেয়েটাকে আজ অনেক বেশি খুশি দেখাচ্ছে। খুশিতে মুখটা ঝলমল করছে। নির্ণয়ের এত ভালো লাগছিল! সে তো এটাই চায়। সবসময় নিবেদিতা হাসি-খুশি থাকুক, ভালো থাকুক। তার সাথেই থাকুক। বিষাদের ছায়া কখনো না পড়ুক তার চাঁদের ওপর। অবশ্য সে তো পাশে আছেই। এবার নির্ণয় সরাসরিই নিবেদিতার দিকে তাকিয়ে ছিল। এটা খেয়াল করে নিবেদিতা চাপা কণ্ঠে বলল,

“এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? কেউ খেয়াল করলে পরে?”

নির্ণয় মুচকি হাসল। নিবেদিতার মতোই কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,

“দেখলে দেখুক। আমি কি ভয় পাচ্ছি নাকি?”

নিবেদিতা ঠোঁট উলটে চোখ পিটপিট করে তাকাল। ওষ্ঠে দেখা দিল মুচকি হাসি, যার অর্থ ‘এত সাহস!’

নির্ণয় বলল,

“আমি কি দেশে এসেছি শুধু তুবার বিয়ে খেতে?”

“তাহলে আর কার বিয়ে খেতে চান?”

“আর কারো না। নিজেই বিয়ে করতে চাচ্ছি। তোমাকে।”

নিবেদিতা অন্যদিকে ফিরে হাসল।

বাড়িতে পৌঁছানোর পর ওদের নিয়ে হৈ-হুল্লোড় পড়ে গেল। নাসিমা বেগম ও বিউটি বেগম দীর্ঘ দিন পর ছেলে-মেয়েদের পেয়ে হাপুশ নয়নে কাঁদছেন। তাদের দু-বোনকে দেখে এখন বোঝা মুশকিল যে আসলে বিয়েটা কার? তুবার নাকি তাদের ছেলে-মেয়ের?

উঠান ভরতি মানুষের জটলা। আত্মীয়-স্বজন, পাড়াপড়শি সকলে ভিড় জমিয়েছে এখানে। অধিকাংশ মানুষের দৃষ্টিই এখানে পলের দিকে। সাধারণত তারা বিদেশি মানুষজন দেখেনি। দেখলেও এত কাছ থেকে নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই বড়ো বড়ো চোখ করে পলকে দেখছিল আর ফিসফিস করছিল। বিষয়টা পলও খেয়াল করেছে। তাই অস্বস্তি হচ্ছে এখন তার। নাসিমা বেগম ভিড় ঠেলে ওদেরকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলেন। ছোটো মামি, বড়ো মামি ওদের জন্য খাবারের আয়োজন করতে লাগলেন। তুবা আসার পর থেকেই নিবেদিতার সাথে আঠার মতো লেগে আছে। গায়ে হলুদের আগেরদিন আসবে বলে ভীষণ অভিমান করেছিল। ভেবেছিল আসলেও কথা বলবে না। কারণ সে চেয়েছিল নিবেদিতা আরো এক সপ্তাহ আগেই আসুক। কিন্তু নানান ঝামেলায় সেটা হয়ে ওঠেনি। এদিকে নিবেদিতাকে দেখামাত্রই সমস্ত অভিমান কর্পূরের ন্যায় উবে গেছে তার। একটু পরপরই শাড়ির আঁচলে চোখ মুছছে।

নিবেদিতা এবার তুবার গাল টেনে বলল,

“এখনই এত কাঁদলে হবে? একটু তো চোখের পানি জমিয়ে রাখ। পরেও তো কান্না করার সময় পাবি। বিয়ের দিন কাঁদবি না?”

তুবা কোনো কথা বলল না। আসলে কান্না করছিল বলে সে কোনো কথা বলতে পারল না। বড়ো মামি এসে বললেন,

“আর কত কাঁদবি? ওকে এখন ফ্রেশ হতে দে। খাওয়া-দাওয়ার পর বোনেরা মিলে যত পারিস কান্না করিস।”

তুবা চোখের পানি মুছে বলল,

“তুই ফ্রেশ হয়ে আয়।”

নিবেদিতা ওদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমে গেল। দরজা চাপিয়ে রাখা। হালকা ধাক্কা দিতেই ভেতর থেকে মৃদু চিৎকার ভেসে এলো। আঁতকে উঠল নিবেদিতা। রুমের ভেতর গিয়ে দেখল এক অপরিচিত মেয়ে কপাল ধরে আছে। সম্ভবত দরজা ধাক্কা দেওয়ায় ব্যথা পেয়েছে। নিবেদিতা ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল,

“সরি, সরি! আমি খেয়াল করিনি।”

মেয়েটি কপাল ডলতে ডলতে বলল,

“ইট’স ওকে! বুঝতে পেরেছি।”

নিবেদিতা হঠাৎ করে চুপসে গেল। এই রুমে তাদের কাজিনরা ছাড়া আর কারো থাকা নিষেধ। তুবার বান্ধবীরা এলে অবশ্য থাকতে পারে। নিবেদিতা তুবার প্রায় সব বান্ধবীকেই চেনে। আর এই মেয়েকে দেখে মনে হচ্ছে সে তুবা এবং ওর থেকে বয়সে বড়ো হবে। ওর জিজ্ঞাসু দৃষ্টি দেখে মেয়েটা নিজে থেকেই পরিচয় দিয়ে বলল,

“আমি সূবর্ণলতা। মিদহাদ ও মৌটুসীর সাথে লন্ডন থেকে এসেছি।”

নিবেদিতার কুঁচকানো কপাল এবার মসৃণ হলো। হেসে বলল,

“ওহ আচ্ছা! কবে এসেছেন আপনারা? মৌটুসী কোথায়?”

“আমরা আরো দুদিন আগেই এসেছি। মৌটুসী ওর ভাইয়ের সাথে কী যেন কিনতে গেছে। চলে আসবে। আমি যদি ভুল না হই তাহলে তুমি নিবেদিতা রাইট?”

নিবেদিতা হেসে বলল,

“হ্যাঁ। কী করে বুঝলেন?”

“তোমরা আসবে বলে সবাই উন্মুখ হয়ে বসে ছিল। দুদিন আগে এসেছি বিধায় মোটামুটি সবার মুখই পরিচিত এখন। তুমি নতুন মুখ। তাই মনে হলো আরকি!”

“ঠিকই ধরেছেন।”

“তুমি কি মাত্রই এলে?”

“হ্যাঁ।”

“ঠিক আছে। ফ্রেশ হয়ে নাও। পরে গল্প করা যাবে।”

নিবেদিতা হেসে মাথা দোলাল। লাগেজ খুলে সে কাপড় বের করছিল গোসল করার জন্য। সূবর্ণলতা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কতক্ষণ সূক্ষ্মদৃষ্টিতে নিবেদিতাকে পরখ করল।
.

নিবেদিতা গোসল শেষ করে ড্রয়িংরুমে গিয়ে দেখল সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে। এখন মিদহাদ আর মৌটুসীও আছে। নির্ণয় ও মিদহাদ মনে হচ্ছে কোনো সিরিয়াস আলোচনা করছে। তাই দুজনের কেউই ওর উপস্থিতি টের পেল না। নিবেদিতাকে দেখেই মৌটুসী দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরল। জিজ্ঞেস করল,

“কেমন আছো নিবেদিতা আপু? কত বছর পর তোমায় দেখলাম!”

নিবেদিতা মৌটুসীর কপালে চুমু খেয়ে বলল,

“ভালো আছি মৌ সোনা। তোমাদের সবাইকে পেয়ে এখন আরো বেশি ভালো আছি। তুমি তো অনেক বড়ো হয়ে গেছ।”

মৌটুসী খিলখিল করে হাসল। আহ্লাদিত হয়ে বলল,

“আর তুমি অনেক সুন্দর হয়ে গেছ।”

নিবেদিতা অবাক হওয়ার ভান ধরে বলল,

“তাই?”

মৌটুসী উপর-নিচ মাথা ঝাঁকাল। ওদের আহ্লাদ খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিল সূবর্ণলতা। তার হিংসে হচ্ছে নাকি আনন্দ বুঝতে পারছে না ঠিক। তবে ওদেরকে একসাথে দেখে ভালো লাগছে। মৌটুসী তার সাথেও খুব ফ্রি। ওদের সম্পর্ক এত বেশি গাঢ় যে মৌটুসী এখন সূবর্ণলতা বলতে অজ্ঞান। সূবর্ণলতার বাংলাদেশে আসার কারণও মৌটুসী। সেও এবার জেদ ধরেছে মিদহাদের সাথে দেশে আসবে। আর সঙ্গে করে সূবর্ণলতাকেও নিয়ে আসবে। অবশেষে অনেক তর্ক-বিতর্ক ও ঝামেলার পর তিনজনের একসাথে দেশে আসা হয়েছে। দেশে আসার পূর্বেই মৌটুসীর মুখে নিবেদিতার অনেক অনেক গল্প শুনেছে, প্রশংসা শুনেছে। খুব ইচ্ছে করছিল তখন নিবেদিতাকে দেখতে। কিন্তু সেটা ছবিতে নয়, বাস্তবে। তাই সে মৌটুসীর কাছে কোনো ছবি দেখতে চায়নি। দেশে এসে বাকি সবার মতো সেও নিবেদিতার ফেরার অপেক্ষা করেছে। এই বাড়িতে এসে সে নিবেদিতার সম্পর্কে আরো জানতে পেরেছে। বিশেষ করে তুবা ও বাকি কাজিন মহলদের কাছে।

আজ নিবেদিতাকে সরাসরি দেখার পর সূবর্ণলতার মনে হলো, আসলেই মেয়েটার মধ্যে আলাদা কিছু আছে। আছে অদৃশ্য একটা মায়া। মানুষকে খুব সহজেই আপন করার গুণও আছে মেয়েটার মাঝে। খাবার টেবিলে সবাই এতক্ষণ শুধুমাত্র ওর জন্যই অপেক্ষা করছিল।

পল ব্যস্ত কণ্ঠে তখন বলল,

”হেই নিঠা, জলদি আসো প্লিজ! আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে। তোমার জন্যই বসে আছি আমি।”

নির্ণয় ও মিদহাদও এবার নিবেদিতাকে লক্ষ করল এবং পরক্ষণে তাকাল পলের দিকে। নিবেদিতা অবশ্য এসব কিছু খেয়াল করল না। সে মৌটুসীকে নিয়ে খেতে বসল। সে বসেছে আবার পলের পাশেই। নির্ণয়ের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। তুবার বিয়ের একটা জরুরী বিষয় নিয়ে এতক্ষণ মিদহাদের সাথে আলাপ করছিল সে। এখন সেই আলোচনায় ভাটা পড়েছে। নিবেদিতাকে পলের পাশে দেখে আলোচনায় মনোযোগ দিতে পারল না। বিষয়টা বুঝতে মিদহাদের একটুও বেগ পেতে হয়নি। সে হেসে বলল,

“ব্রো, খাওয়া শেষ করে ছাদে গিয়ে আলাপ করব। প্রচণ্ড ক্ষুধা লেগেছে।”

নির্ণয় ছোটো করে বলল,

“হু।”

খাওয়া শেষ করে নির্ণয় অপেক্ষা করতে লাগল নিবেদিতার জন্য। কিন্তু সেই অপেক্ষায় পানি ঢেলে পিচ্চি বাহিনিগুলা নিবেদিতাকে রুমে নিয়ে খোশগল্প জুড়ে দিয়েছে। নির্ণয় হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস নিল। বুঝতে পারল, নিবেদিতার নাগাল আপাতত এখন আর পাওয়া যাবে না। সে মিদহাদের সঙ্গে ছাদে গেল বাকি আলাপ শেষ করতে। নয়ন বলল,

“তোরা যা। আমি খাবার শেষ করে আসতেছি।”

মিদহাদ ও নির্ণয় ছাদে গিয়ে মুখোমুখি চেয়ারে বসল। নয়ন আসলে পরে আলাপ শুরু করবে। এখন কী নিয়ে কথা শুরু করা যায়? এভাবে চুপ করেও তো থাকাটা বেমানান লাগে। মিদহাদ নিজেই কথা শুরু করল,

“ব্রো, বিয়েশাদি কবে করছ?”

নির্ণয় হেসে বলল,

“করব দেখি!”

“পছন্দের কেউ আছে নাকি?”

“উমম! আছে। সময় হলে একদম বউ সাজেই দেখতে পারবে। হয়তো খুব শীঘ্রই।”

“বাহ্! অপেক্ষায় রইলাম।”

“তোমার খবর বলো। বিয়ের প্ল্যানিং কী?”

“আপাতত কোনো প্ল্যানিং নেই।”

“কাউকে ভালোটালো বাসো না?”

মিদহাদ চুপ করে রইল। সে বুঝতে পেরেছে, নির্ণয় কেন এই প্রশ্ন করেছে। সে হয়তো জানতে চাচ্ছে মিদহাদ নিবেদিতাকে ভালোবাসে কিনা। কিন্তু মিদহাদ চায় না এই অপ্রিয় সত্য সে ছাড়া আর অন্য কেউ জানুক। এমনকি নিবেদিতাও না! তাছাড়া সে এটাও চায় না তার জন্য নিবেদিতার জীবনে এক চিলতে কষ্টও আসুক। নিবেদিতা কোনো সন্দেহের আওতায় ধরা থাক সে এটা চায় না। তাই আজ সে মিথ্যার আশ্রয় নিল। গোপনে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,

“ভালোবাসি। সূবর্ণলতাকে।”

সিঁড়িঘরের পেছনে বসে কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনছিল সূবর্ণলতা। সিঁড়িঘর থেকে একটু সামনেই নির্ণয় ও মিদহাদ বসা। ছাদ থেকে নামার পূর্বেই সে পেছন থেকে মিদহাদের শেষ কথাটা শুনে থম মেরে দাঁড়িয়ে রইল। তৎক্ষণাৎ কী করবে বুঝতে না পেরে আবারও সিঁড়িঘরের পেছনে চলে গেল। দেয়াল ঘেঁষে ফ্লোরে বসে পড়ল সে। এখনো মিদহাদের বলা কথাটি সূবর্ণলতার কর্ণকুহরে বাজছে,

‘ভালোবাসি। সূবর্ণলতাকে!’

চলবে…

[কপি করা নিষেধ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here