#কল্পকুঞ্জে_কঙ্কাবতী
লেখনীতে: নবনীতা শেখ
|পর্ব ৩০|
“কুঞ্জ ভাই! আপনি কি জানেন– আপনি খুব খারাপ?”
“উঁহু। জানাও।”
“উফ! আমার সাথে কথাই বলবেন না আপনি।”
“সেটা তো হওয়ার নয়।”
আমি মুখ গোমড়া করে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম। হুট করেই কোলের উপর ভার পড়াতে চকিতে চাইলাম। কুঞ্জ ভাই আমার কোলে মাথা রেখেছেন। চোখ বন্ধ তার, ঠোঁটে প্রশান্তির হাসি। আমি গাল ফুলিয়ে বললাম, “এটা কী হলো?”
উনি হাসি প্রশস্ত করে আমার হাতটা টেনে নিজের চুলগুলো এলোমেলো করে নিলেন। তারপর বলা শুরু করলেন,
“তখন আমি কলেজে পড়ি। সামনে এইচএসসি। অথচ পড়াশোনায় মন নেই। এলাকার এক ভাইয়ের সাথে দেখা করতে তার ভার্সিটিতে যাই। সেখানে সাক্ষী হই এক নির্মম ঘটনার।
মঈন ভাই! সেই ভার্সিটির ভিপি ছিলেন। বড্ড অহংকারী, জেদি। ভার্সিটির অন্য আরেকটা পড়াকু ছেলেকে বলেন, তাদের সাথে গিয়ে কোনো এক গণ্যমান্য মন্ত্রী কাজে ঝামেলা পাকাতে। ছেলেটি নিজের পড়ালেখার দোহায় দিয়ে বলল, সে পারবে না। অতঃপর তথাকথিত ছাত্রনেতার পা-চাটা গোলামেরা ছেলেটিকে ইচ্ছে মতো মারে। ছেলেটি মাসখানেক হসপিটালে ছিল। জানতে পারলাম, জোর করে ধরে-বেঁধে এদেরকে দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করায় সেই ভার্সিটির সাবেক ছাত্রনেতারা। অনৈতিকতা কি কেবলই এদের মধ্যে ছিল?
জানিস, নবু? আমি সেদিন কিচ্ছুটি করতে পারিনি। অধৈর্য না হয়ে শান্ত মস্তিষ্কে ভেবেছি– এদের সাথে এভাবে পারা যাবে না। এদের লেভেলে না এসে, কিছুই করা যাবে না। আমি ধীরে ধীরে রাজনৈতিক দিকে নজর রাখা শুরু করি। লিস্ট করি– কোন কোন ভার্সিটিতে দূর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু বেশিদিন শান্ত থাকতে পারলাম না। দেশের অবস্থা দিনকে দিন খারাপের পথে এগোচ্ছে। এখানে ক্ষমতাধর ব্যক্তির পা চেটে থাকতে পারলেই তুমি বেঁচে যাবে। নয়তো, বেঁচে থাকা তোমার জন্য দূর্বিষহ হয়ে পড়বে।
এরপর থেকে রোজ দেখছি। কোনটা বলব? কোনটা রেখে কোনটা বলব? সে বছর দেখলাম– ৩২ বছর বয়সী প্রবাসীর সাথে চৌদ্দ বছর বয়সী এক মেয়ের বিয়ে। এখানে বাল্যবিবাহ আইন কী করবে? যেখানে বরপক্ষ চড়া যৌতুকে রাজি, কনেপক্ষ মেয়ে-বোঝা নামাতে পেরে রাজি আর ভয়ে-ডরে কনেও রাজি। আমি না-হয় পুলিশ নিয়ে এলাম। কিন্তু, এরপর? এরা নকল বার্থ সার্টিফিকেট যে আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছে– আমি কি তা জানি না?
জানি। সব না জানলেও, বেশ জানি। কিন্তু ক’জনের জন্য করব? গ্রামে এখনও এমন ঘটনা অহরহ।”
কুঞ্জ ভাই থামলেন। আমি এক দৃষ্টিতে ওঁর দিকে তাকিয়ে আছি। উনি হেসে চোখের পলক ফেলে আমাকে আস্বস্ত করে বললেন, “জানিস, নবু? ক্ষমতার লোভ বড্ড ভয়ঙ্কর রে! বড্ড বেশি। সৎ মানুষের বড্ড অভাব। অথচ, অভাবীর অভাবের অভাব নেই।”
একটা দম ফেলে আবার বলা শুরু করলেন, “দুর্নীতির লিস্ট কেবল ছাত্রদের মাঝেরগুলোই পেয়েছি। উপর লেভেলে যেতে পারিনি। যতটুকু দেখলাম, তাতে ঢাবিতেই বেশি পেলাম। বুয়েটের ইচ্ছা ছেড়ে ঢাবির অ্যাডমিশন দিলাম। পড়াশোনায় খারাপ ছিলাম না বলে হয়ে গেল। প্রথম এক বছর নিজ উদ্যোগে সবার সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল রাখি। তখন সহ-সভাপতি ছিলেন আজিজ ভাই। উনি ভালো ছিলেন। তবে টিকতে পারেননি। বলছিলাম– ক্ষমতার লোভ ভয়ঙ্কর। তবে এই লোভ ওঁকে কাবু করতে পারেনি। প্রথম দিকে ভালো থাকলেও সম্পাদক, সহ-সম্পাদক এবং আরও সদস্যরা উপরের পর্যায়ের কিছু ব্যক্তিদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। তাদের সাথে তাঁকেও যোগ দিতে বলা হয়েছিল। আজিজ ভাই বরাবরই বাবার নীতি-আদর্শকে মান্য করতেন। তাই তিনি বিরোধিতা করেন। এজন্য অবশ্য বেশ ঝুঁকিতে থাকতে হয়েছিল ওঁকে। শেষমেশ, পরিবারের দিকে আঘাত হানা হয়। ফলে উনি আর ভালো হয়ে টিকতে পারেননি। পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে ডাকসুর ভিপি আমি।”
কথাটা আমার কানে বাজতে লাগল। ডাকসুর ভিপি! অথচ আমি জানলাম না? অবশ্য খবর-টবরও তো দেখা হয় না! তবুও বিস্ময় ভাব কাটাতে পারলাম না। অনিমেষনেত্রে তাকিয়ে রইলাম।
কুঞ্জ ভাই বললেন, “প্রথমে বাবা শুনে আপত্তি করে খুব। রাজনীতি তার পছন্দ নয়। আমি এরপর বড়ো আব্বুর সাথে আলোচনা করি।”
“মেজ মামা?”
“হুঁ। বড়ো আব্বু হেসে কেবল একটা কথাই বলেন, এই জগতে ভালো হয়ে বেশিদূর এগোতে পারব না। সেই উদাহরণ হিসেবে আজিজ ভাই-ই আছেন। আমি তাই ভালো হলাম না। একটু খারাপ থাকলাম। মনটাকে পাথর বানিয়ে নিলাম। কাজ-কর্মে গাম্ভীর্যতা আনলাম। এরপর ধীরে ধীরে মাথায় চেপে ধরতে লাগল, সংসদ আসনের স্বপ্ন! আগে তো কেবল মানুষের জন্য কাজ করার ছোটোখাটো একটা ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এটা এখন আমার উদ্দেশ্য, আমার একমাত্র গন্তব্য।”
“আর আমি?”
কুঞ্জ ভাই তাঁর সেই দুনিয়া ভুলানো হাসি দিয়ে বললেন, “আমার সহচরী।”
“আচ্ছা। এরপর?”
“এরপর, এভাবেই এগোচ্ছিল। সৌভাগ্যক্রমে পরের নির্বাচনে আগের অনেকেই পদ পায়নি। নতুন যারা এসেছিল, তাদের মাঝে বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে নিজস্ব একটা দল করি। সেখানে মোট ৩৬ জন আমরা। ঢাবির ৬জন আর বাকি ৩০জন বিভিন্ন ভার্সিটির। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে সবাইকে। বেশ বিশ্বস্ত তারা। আমি সেই দল নিয়ে ইনফরমেশন কালেক্ট করি। বেশ কিছু রাজনৈতিক সনামধন্য ব্যক্তিদের মুখোশ উন্মোচিত হয়। লাস্টবার খাদ্যমন্ত্রীর যেই কীর্তি ফাঁস হয়েছে না?”
“হুঁ।”
“সেটা আমার দলের লোকেরাই করেছে।”
“আচ্ছা, তবে কোথাও আপনাদের নাম নেই কেন?”
“কেননা যাদের ফাঁস করেছি, তারা একা নয়। বিশাল সংখ্যক মানুষ। তারা একে অপরের সাথে জড়িত থাকুক বা না থাকুক, আমার বিষয়ে জানতে পারলেই উঠে পড়ে লাগবে আমাদের টপকাতে।”
“ওও।”
“হ্যাঁ। শুধু তাই নয়। তারা আমাদের খোঁজ বিগত তিন বছর ধরে করছে। পাচ্ছে না। কেন জানো?”
“কেন?”
“তারা আমাদের দিয়েই আমাদের খোঁজ করাচ্ছে।”
এই পর্যায়ে কুঞ্জ ভাই সজোরে হেসে উঠলেন। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম, “মানে?”
“বুঝলে না?”
“না।”
“তবে শোনো। বললাম না– খারাপ হয়েছি? তাদের চোখে আমি খারাপই। তাদের সাথে হাত মিলিয়েছি। তাদের বেশ কিছু চ্যালাপেলা আমার দলের লোক। তারা ভাবতেও পারে না– এ-সব কলকাঠি পেছন থেকে আমি নাড়ছি।”
“আমাকে বলেননি কেন?”
“এখানে খুন-খারাবি খুবই সাধারণ ব্যাপার। এ অবধি কেউ আমাদের ব্যাপারে জানেনি। এর মানে এই নয় যে, ইন ফিউচার কেউ জানবে না। ধরো, এখন আমার দলের কেউ বেঈমানী করল। তবে, আজ রাতেই আমার লাশ পাবে।”
সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল আমার। ভয় লাগল। খুব ভয় লাগল। উনি অভয় দিলেন না। বললেন, “যেই ভয়াবহ খেলায় নেমেছি আমি, এখানে বেঁচে থাকার গ্যারান্টি নেই। আজ আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। সবটাই ভাগ্যের উপর ডিপেন্ডেন্ট। তাই তোমাকে জানাতে চাইনি। এই যে, এখন ভয় পাচ্ছ। এই ভয় নিয়ে যদি বলো আমায়, এসব ছেড়ে দিতে; আমি ছাড়তে বাধ্য। কিন্তু, চাচ্ছিলাম না তা।”
“এখন যদি ছাড়তে বলি?”
“বলেও ফায়দা নেই। খুব গভীরভাবে জড়িয়ে গেছি। এর কেবল আরও গভীরতায় যাওয়া পসিবল। বের হওয়া অসম্ভবনীয়।”
“এবার?”
“এবার আমার শক্তি হয়ে যাও দেখি।”
আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম। রক্তিম গাল লুকিয়ে শুধালাম, “মামার সাথে কী হয়েছিল?”
“তোমার মামার কাছে আমি এক লম্পট, বিগড়ে যাওয়া ছেলে। তাঁর মতে– আমি নেশাখোর, জুয়ারি। এসবের পর জেনেছেন, তোমাকে পছন্দ করি। আমার ব্যাপারে এত এত গুনগুলো জেনে তোমাকে আমার কাছে দেবেন না।”
“সে-কী!”
“হ্যাঁ। আমি কতটা জেদি, জানা আছে তোমার। বাবাকে বোঝাই, তুমিও আমাকে চাও।”
“আপনি জানলেন কী করে?”
“যেভাবে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে, তাতে কি না জেনে উপায় আছে?”
“আমি ড্যাবড্যাব করে তাকাতাম?”
“হুম, অবশ্যই। এরপর শোনো।”
“শুনছি, বলুন।”
“বাবাকে বলার পর বাবা মানতে চান না। রাগ দেখালেন। মা আমাকে এ-ই শিক্ষা দিয়েছে, এই টাইপের প্রশ্ন করলেন। রাগ লাগল, জেদ দেখালাম, বাড়ি ছাড়লাম।”
“এরপর?”
“এরপর এভাবেই চলছিল। বাবার সাথে টোটালি যোগাযোগ অফ। মা বলে, বাবা নাকি চান– আমি সব ছেড়েছুড়ে ফিরে আসি; যেটা তুমি চাইলেও পসিবল না। সেবার, শ্যামাপুর বিয়েতে, নাগরপুর আসনের এমপি আসেন। বড়ো আব্বুর এলাকার চেয়ারম্যান হবার সুবাদে চেনা-জানা অনেক রাজনৈতিক সনামধন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন, তন্মধ্যে একজন নাগরপুরের এমপি, আসাদুল্লাহ হালদার। এমপি সাহেবের একটু মেয়েদের উপর ঝোঁক আছে, জানতাম। কিন্তু সেই ঝোঁকটা এতটা মারাত্মক, সেদিনই জানলাম। উনি আমাকে আগে থেকেই চেনেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল। কম-বেশি অনেকেই জানে, কালো বাজারের বড়ো বড়ো মাথার সাথে আমার ওঠা-বসা আছে। বিয়েতে দেখা হয়ে যাওয়ায় উনি আমাকে অফার করেন।”
কুঞ্জ ভাইকে থেমে যেতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, “কী অফার করেন?”
লম্বা শ্বাস টেনে বললেন, “ওঁর নারী পাচারের ব্যবসার শেয়ার।”
“কী!”
“হ্যাঁ। আমিও অবাক হই। এই ইনফরমেশন আমার কাছে ছিল না। আমি তৎক্ষনাৎ একটা কুটিল প্ল্যান কষে তাকে হেসে জবাব দিই, ‘কী রকম লাভ হবে?’
উনি এতক্ষণ গম্ভীর থাকলেও আমার কথা শুনে হেসে বলেন, ‘অকল্পনীয়।’
আমি রাজি– তা বোঝাতে কেবল হাসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী কাজ করে দিতে হবে?’
‘তেমন কিছু না। ক্লায়েন্টদের পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখবে, ডিল করবে। এই তো।’
‘তা কত পার্সেন্ট পাব?’
তখন উনি বললেন, ‘আমি ৩% পাই। এখান থেকে এক চতুর্থাংশ তোমার। ওকে?’
‘না। হোল প্রফিটের ১০% চাই।’
‘আরে, আমিই তো পাই ৩%।’
‘তবে থাক। এত রিস্ক নিতে ইন্টারেস্টেড নই, আসাদ সাহেব।’
উনি মাথা চুলকাতে লাগলেন। তারপর একটু দূরে গিয়ে কাকে যেন কল দিয়ে ফিরে এসে বললেন, আমি ১০%ই পাব।
বুঝে ফেললাম, এই সার্কেলের এক পেয়াদা এই লোক। পিছে রাঘব বোয়াল আছে। আর আমাকে তাদের নোংরামিতে সামিল করতে আগে থেকেই ইচ্ছুক ছিলেন তারা।
মনে মনে ভাবি, ফিরে গিয়েই হোল টিম একজোট হয়ে এর পিছে নামব। এই কথাগুলো ছাদে বসে হচ্ছিল। আমাকে ডাকতে বাবা এসে সব শুনে ফেলেছিলেন। আমার রাজি হওয়াটা বাবাকে হার্ট করে, সাথে রাগিয়েও দেয়। রাতে বিদায়ের পর বাবা আমাকে এই বিষয় নিয়ে বকাঝকা করেন। ইনডিরেক্টলি ত্যাজ্য করার সিদ্ধান্তে আসেন। এদিকে আমার মাথা খারাপ হয়ে থাকে। এই পাচারকারী চক্রটা ধরার ইচ্ছা রগে রগে বইতে লাগল। ৪-৫ বছর গেল, অথচ এটার ব্যাপারে জানিই না! টেনশনে আমিও বাবার কথার প্রতিক্রিয়া করি। আর বেশ বড়োসড়ো ঝামেলা লেগে যায়।”
“গ্রামে থেকে ফিরে তবে এই কাজে লেগেছিলেন?”
“হ্যাঁ।”
“নিউজে তো এখনও তেমন কিছুই পেলাম না।”
“এখনও ধরতে পারিনি। আমাকে কাজ দেওয়া হয়েছিল ডিলের। তাদের মতে– আমার ব্যক্তিত্ব, বাচনভঙ্গি দেখেই যে কেউ ডিল করতে রাজি হয়ে যাবে। আর হচ্ছিলও তাই। আমি যথাসম্ভব খোঁজ লাগাচ্ছি। এখনও এদের আস্তানার হদিস পাইনি। জানতে পেরেছি, মাথা তিনজন এবং তারা দেশের বাইরে। তবে তারা কে– তা জানতে পারিনি। কখনও আসেন না। এলেও মোটে দু’জন ব্যক্তির সাথে দেখা করেই রাতারাতি ফিরে যান। এই কয় মাসে ৩বার এসেছিলেন। আফসোস, একবারও জানতে পারিনি।
গোপালগঞ্জ, খুলনা, সিলেট, মেদিনীপুর, রাজশাহীসহ আরও কিছু অঞ্চলের এমপিরা এই চক্রের সাথে জড়িত। খোঁজ চলছে এবং প্রতিনিয়ত লিস্ট বড়ো হচ্ছে। দেখা গেছে, এদের অধিকাংশ নারীকেই চাকরির লোভে আনা হয়েছে। আমি জানতে পারিনি– এদের তুলে এনে কই রাখা হয়।
এই কয় মাসে প্রায় দু’শয়ের অধিক স্মাগলিং হয়েছে। আমি এদিকে কিছুই করতে পারছিলাম না। মাথা হ্যাং করছিল। তোমার সাথেও যোগাযোগ রাখতে চাইনি। ভেবেছিলাম কী জানো? আমার এই লাইফে তোমাকে জড়াব না। এজন্য পলিটিক্সে জড়ানোর পর থেকে তোমার কাছে আমি বেশ অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম। অ্যা কাইন্ড অব্ অসভ্য, বজ্জাত! তবুও চাইছিলাম দূরে দূরে থাকতে। কিন্তু নিজ ভাবনায় অটল থাকতে পারলাম কই?”
“এরপর কী ভাবলেন?”
কুঞ্জ ভাই ফট করে কোল থেকে মাথা তুলে বসে বললেন, “ভাবলাম– যা হওয়ার হবে। আমার নবু সাহসী।”
আমি পিটপিট করে চেয়ে বললাম, “আপনার?”
চলবে…