চিত্তসন্ধি পর্ব ৮ লেখা: #Azyah

0
3

#চিত্তসন্ধি
পর্ব ৮
লেখা: #Azyah

চেহারায় গাম্ভীর্য নিয়ে মনের চাপা কষ্ট খুব করে আড়াল করতে জানে মেহতাব।আজ তার পুরো বাড়িটা খালি।টিভিতে জোর আওয়াজে খবর শুনছে না কেউ।কেউ বড়বড় কদম ফেলে এক রুম থেকে আরেক রুমে ছুটে বেড়াচ্ছে না।তার মনের গহীনের মতোই শুনশান ঘরের চার দেয়াল।বাহির থেকে ভেসে আসছে খুদবার ধ্বনি।আজ শুক্রবার।জুম্মার দিন।সাদা পাঞ্জাবি পরে গায়ে আতর মেখে নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।কোনো সপ্তাহে,কোনো ঈদে এমন দিন যায়নি একা নামাজে গিয়েছে।সবসময় সাথে বাবা নাসির উদ্দিন ছিলেন।আজ একাই যেতে হবে।যা জানি আরো কত জুম্মা, ঈদ একাই পার করতে হবে।

নিচ তলার টিনের ঘরে জয়তুন বেগম থাকেন।তার বিধবা মেয়ে আর নাতিকে নিয়ে।মিশা আর নাসির উদ্দিন যাওয়ার পর মেহতাবের জন্য রান্না আর বাকি সব দেখা শোনা তারাই করেন।ঘরের দরজা তালা দিয়ে নিচে নামতেই সামনে পড়ে যান তিনি।

“আব্বা হাসের মাংস রানছি আইজ আমাগো ঘরে। বাটিত কইরা দিয়া যামু নি?”

“রাতে খাবো খালা।”

“তই দুপারে কই খাইবেন?”

“কাজ আছে।”

“হাসপাতাল কি শুক্কুরবারেও খোলা থাহে?”

“না বাহিরে কাজ আছে। খাবো সেখানেই।আপনারা খেয়ে নিন”

“জ্বি আইচ্ছা।বায়তুল মোকাররম যাইবেন?”

“হ্যাঁ ”

“আচ্ছা সাবধানে জাইয়েন।”

পরপর চিৎকার করে দারোয়ানকে বললেন, “ওই রফিক।বড় দরজা খোল।তোগো সাহেব বাইর হইবো”

____

আদরের উপস্থাপনায় শান্তা মারমাকে আঞ্চলিক নৃত্য পরিবেশন করার জন্য ডাকা হলো।আজ চতুর্থ বর্ষের বিদায় অনুষ্ঠান।পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে।প্রত্যেক বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখানে উপস্থিত। সিনিয়রদের বিদায় দিতে। চমকপ্রদ দৃশ্য হলো প্রথম বর্ষের ছেলে মেয়েরা বেগুনি শাড়ি আর পাঞ্জাবি পড়েছে। দ্বিতীয় বর্ষের সাদা কালো থিম।আর তৃতীয় বর্ষের আকাশী আর সাদা।চতুর্থ বর্ষের সবাই নিজেদের মতো সেজেছে।যেনো আজ তাদের সব থেকে আলাদা লাগে।সিনিয়র জুনিয়র বোঝার অভিনব কৌশল।সাদা ব্লাউজের সাথে আকাশী রঙের শাড়ি পরেছে আদর,রুবি। শান্তাও তবে তার মধ্যে তার আঞ্চলিকতার ছাপ। রোহিতকে আকাশী রঙের পাঞ্জাবি পরে এগিয়ে এলো।হাতে তিনটি রজনীগন্ধার মালা।আদর,রুবি আর শান্তার জন্য এনেছে।রুবিকে পরিয়ে দিতে চাইলে খট করে টেনে নিয়ে নিজে নিজে পড়তে শুরু করলো। রোহিত তার এমন কাণ্ডে তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে বারবার।

আদর রোহিতকে ভেঙিয়ে শহরতলীর নীলিকা গানের লাইন আওরালো,

“এত কাছ থেকেও পরিষ্কার আকাশের রংধনুর মত আমার ভালোবাসা।তুমি দেখলে না”

রনি,আব্বাস,রাফিদ আর সামান্তা মেহতাব এর কলেজ জীবনের বন্ধু। বিগত কিছুদিন একা থেকে মনে হলো এদের সাথে একটু দেখা করা যাক।আব্বাস এসেছে কুমিল্লা থেকে।কলেজের পর সেখানেই পড়ালেখা করে আর বাবার ব্যবসা সামলায়।রনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।রাফিদ সরকারি কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত। সামান্তাও উচ্চশিক্ষিত তবে সে গৃহিণী হওয়াকে বেছে নিয়েছে।তার মতে পরিবার সবার উর্ধ্বে।নিজের ক্যারিয়ারের পেছনে সময় ব্যয় করতে করতে অনেকেই পরিবার থেকে দূরে সরে যায়।সময় দিতে পারে না।শেষ সময় আপোস করে।তাই সে একজন গৃহিণীর পাশাপাশি একজন মাও বটে।

“মিষ্টার হ্যান্ডসাম হাল্ক! কি খবর?” মোহনীয় চাহনি দিয়ে মেহতাব এর দিকে তাকিয়ে সামান্তা বললো।

রাফিদ তার কথার মধ্যে বলে উঠলো, “তোর লজ্জা করে না।একটা জামাই থাকতে তুই মেহতাব এর দিকে চোখ দিস!”

“লজ্জা থাকলে এক বাচ্চার মা হইতে পারতাম না” চোখ টিপে উত্তর দিলো সামান্তা।

রনিও তাদের কথার মধ্যে নিজের পুরান ঢাকাইয়া ভাষায় বলে উঠলো,

“এই ছ্যারি আমাগো জানের জান পরানের পরান বন্ধুর লগে মশকরা করে”

সামান্তা বললো, “এগুলাকে ফ্লার্টিং বলে। অশিক্ষিত!”

সবার শেষে মুখ খুলেছে আব্বাস,”আমার কিছু বলা লাগবে ভাই?দুনিয়ার সব কথা তোরাই শেষ করছিস।যা নিয়ে কথা হচ্ছে সেতো নতুন বউয়ের মতন মাথা নামিয়ে হাসছে।”

রনি মেহতাবকে ধাক্কা দিয়ে বললো, “তোরে বেডা মানুষ বানাইছে কেঠায়? ছেরিগো লাহান শরমাইতাছোস!”

স্মিথ হেসে মেহতাব বলে, “কই লজ্জা পাচ্ছি?তোদের কথা শুনি বসে বসে।ইউ নো আই এম এ গুড লিসেনার”

রাফিদ বললো, “এই সামান্তা তুই আমার দিকে তাকা আমি সিঙ্গেল।তোর চোখের ছোঁয়া লেগে যদি একটা বিয়া করতে পারি?”

কপাল কুঁচকে সামান্তা বললো, “তুই না মহিলা কলেজের টিচার!”

আব্বাস এখানে গান গেয়ে উঠলো, “হা ইয়াহা কাদাম কাদাম পার লাখো হাসিনায়ে হে”

মেহতাব এদের দিকে চেয়ে শব্দহীন হাসি হাসছে।মাঝেমধ্যে নিজেকে প্রশ্ন করে বসে এসব আধ পাগলা ছেলেপেলে তার বন্ধু বান্ধব হয় কি করে?কলেজে থাকাকালীনও ওরা এমন ছিলো। মেহতাব এর সামনে বসে চিল্লাফাল্লা করতো আর সে বসে শুনতো।সবার বৈবাহিক কাহিনী শেষে যেই মেহতাব এর দিকে আগাবে তখনই মেহতাব আঙ্গুল তুলে বলে,

“নো মোর ওয়ার্ডস!নো মোর ওয়ার্ডস এবাউট ম্যারিজ”

___

ক্লান্ত দিন পার করে বাড়ি ফিরছে আদর। শান্তা হলে থাকে। রুবি আর রোহিত একই এলাকার।তারাও বাসে করে চলে গেছে।আদর দাড়িয়ে।বাসের এই যন্ত্রণা সহ্য হয়না! আধঘন্টা ঘেমে একাকার হয়ে দাড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা মিললো না।অথচ করকর আওয়াজে ফোনটা বেজে উঠছে। ব্যাগ হাতড়ে ফোন বের করে মেজাজ আরও খারাপ হয়ে গেলো।মনে মনে বলছে এই কসাই সাহেবের আবার কি চাই?

“হ্যালো?”

কয়েক সেকেন্ড কোনো উত্তর না পেয়ে আদর আবার বললো, “হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন?”

“হ্যাঁ?” মেহতাব এর আওয়াজ গম্ভীর শোনালো।

“কিছু বলবেন?”

“আপনি কোথায় আছেন?”

“আমি?আমার ক্যাম্পাসের সামনে।কেনো?”

একহাতে শক্ত করে স্ট্যারিং চেপে বসে আছে মেহতাব।ঘনঘন শ্বাস ফেলছে বারবার।মন মস্তিষ্কের যুদ্ধ চলছে।একদম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ইচ্ছেগুলো।

“হ্যালো?আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?”

“কাজ ছিলো।ফাইল দিবো একটা।যেহেতু আজ কাজ করেননি আর কাল ছুটি ফাইলটা কমপ্লিট করে রাখবেন”

“ফাইল কোথায় পাবো আমি?”

“যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন।আসছি আমি”

“আরেহ!আপনি আসবেন মানে?…. হ্যালো!আপনি আমার ভার্সিটি চেনেন….” আদরের কথা না শুনেই ফোন কেটে দিলো মেহতাব।

সিভিতে ভার্সিটির নাম দেখেছে।একটানে গাড়ি ঘুরিয়ে ভার্সিটি গেটের অপরপাশে এসে দাড়ালো।মিনিট দশেক এর মত সময়ের মধ্যে এই লোক কিভাবে এখানে এসে দাড়ালো?

রাস্তার এপাড় ওপার থেকে দুজন নারী পুরুষ দৃশ্যমান। চলন্ত গাড়ির ফাঁকে ফাঁকে দেখা মিলছে মাঝেমধ্যে।ফোন বেজে উঠলো,

“রোডের এই পারে আসেন!”

আদর ফোন কানে নিয়েই অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা পাড় হচ্ছে।রাস্তার গাড়িগুলোও থেমে নেই।ভরকে গেল মেহতাব।এতটা জ্ঞানহীন মানুষ কি করে হয়?বাইক আদরের পাশ ঘেঁষে গেলেই ফোনের মধ্যে চেচিয়ে উঠলো,

“আস্তে!”

আদর দ্রুত দৌড়ে এসে তার বরাবর থেমেছে।সঙ্গে সঙ্গে ধমকের স্বীকার হলো,

“নির্বোধ আপনি?এভাবে কেউ রাস্তা পাড় হয়?”

“আসলে দ্রুত করতে গিয়ে।খেয়াল করিনি”

“কে বলেছে দ্রুত আসতে?আমি কি পালিয়ে যাচ্ছিলাম?”

“আচ্ছা ফাইলটা দিন!”

মেহতাব এর সামনে হাত পেরেছে।হাতে গাঢ় করে মেহেদী দেওয়া। রংটা বেশ!সাথে রজনীগন্ধার মালা।মালা থেকে দুএকটা ফুলের পাপড়ি ঝরেও পড়লো ইট কংক্রিডের রাস্তায়।হাত বেয়ে চোখ গেছে আদরের পরনের শাড়িতে।সাদা আকাশী রং মিশে শুভ্রতার ছোয়া।ছড়িয়ে থাকা আঁচলটা সামান্য তুলে রেখেছে।আজ তার নোসপিনটা আরো বেশি জ্বলজ্বল করছে।আকাশের তারার মতন।হলদে চেহারায় বিন্দুবিন্দু ঘাম জমে চিকচিক করছে।নির্বিকার পলকহীন চোখে আদরে আটকে গেছে মেহতাবের চোখ। অদ্ভুত রকমের অনুভূতি!আগে কখনো হয়নি।এই অনুভুতির নাম কি?

“ফাইলটা দিবেন?”

আদরের কণ্ঠে ঘোর ভাঙলো।আদরের উপর হওয়া রাগটা এখন নিজের উপর হচ্ছে।একজন নারীর দিকে এমন বেহায়ার মতন চেয়ে ছিলো সে?

শুকনো ঢোক গিলে বললো,

“ফাইল?”

“হ্যাঁ।দিবেন যে বললেন।”

“দিচ্ছি”

আদর মেহতাবকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত মেপে নিলো।মনে মনে বললো,

“বাহ!আজ কসাই সাহেব মানুষের গেটআপে? ভালোই মানিয়েছে সাদা পাঞ্জাবীতে।নিশ্চই বউকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল!”

গাড়ীর পিছনের সিট থেকে একটি নীল রঙের ফাইল বের করে আদরের হাতে ধরিয়ে দিলো।

“আচ্ছা আসি তাহলে” বলেই আদর রাস্তার ওপাশে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।

“দাড়ান”

ফিরে তাকিয়ে উত্তর দিল, “জ্বি?”

মেহতাব কয়েক মিলি সেকেন্ডের বিরতি নিয়ে বললো, “কিভাবে যাবেন?”

“বাসে”

“বাড়ি কোথায়?”

“আলী কদম রোডে”

“ওহ! আমিও সেখানে যাচ্ছি।আসতে পারেন চাইলে”

“আমি?”

“এখানে আর কেউ আছে?”

“নাহ”

মেহতাব পাঞ্জাবির পকেট থেকে চাবি বের করে বললো,

“উঠে বসুন”

আদর সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে। দ্বিধা দ্বন্দ তার মনে।যাবে কি যাবেনা?কালো গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে বসে মেহতাব আদরকে ডেকে বললো,

“কি হলো?”

এগিয়ে গিয়ে পেছনের দরজা খুলতেই মেহতাব ধমকে উঠে আদরকে,

“ড্রাইভার মনে হয় আমাকে?সামনে এসে বসুন!”

বিড়বিড় করতে করতে আদর সামনের সিটে উঠে বসলো।

“এটা এভাবে ধমকে বলার কি আছে?”

খুব ধীরে সুস্থে গাড়ি চলছে।আদর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে।এই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক গাড়ি তাদের ছাড়িয়ে চলে গেছে।এমনকি রিকশাও।এত আস্তে কেউ গাড়ি চালায়?মনে হয় নতুন নতুন ড্রাইভ শিখেছে।এই গতিতে চললে বাড়ি পৌঁছাবে আগামী পরশু!

“আপনাদের বাড়ি কোথায়?”

আদরের প্রশ্নে আড়চোখে একবার দেখে নিল মেহতাব।বোর হচ্ছিলো আদর।মুখটা এতক্ষন কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে না পেরে তেতো হয়ে উঠছে।তাই প্রশ্ন করে বসলো।

মেহতাব স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিলো,

“মোহাম্মদপুর”

“আপনি তাহলে আলী কদম রোড যাচ্ছেন কেনো?পুরো উল্টো রাস্তা।”

“কাজ আছে!”

“আপনাদের বাড়িতে কে কে আছেন?”

প্রশ্নটি করে একবার মেহতাবের রিয়েকশন দেখলো। সুবিধের মনে হচ্ছে না তাই ঝটপট বলে ফেললো,

“আমিতো এমনেই জিজ্ঞেস করছিলাম।আপনার পার্সোনাল বিষয়ে প্রশ্ন করে ফেললাম না?আসলে এখন আমরা কেউই ডিউটিতে নেই তাই আরকি।কিছু মনে করবেন না”

আদরের সম্পুর্ণ কথা শুনে এক বাক্যে উত্তর দিলো মেহতাব,

“আমি একা থাকি”

বেগ পেয়ে বসলো আদর।চরম সাহসিকতা নিয়ে প্রশ্ন করে বসলো,

“তাহলে ম্যাম?”

আদরের দিকে সামান্য মাথা ঘুরিয়ে মেহতাব বলে, “ম্যাম কে?”

“আপনার ওয়াইফ”

গাড়ীর ঘটি ধীরে থেকে আরো ধীরে হয়ে থেমেই গেলো।কারণ মেহতাব ব্রেক কসেছে। হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে আদরের দিকে।ব্রেক কষা দেখে আদরও মেহতাবের দিকে তাকিয়ে।পেছনের গাড়ীর হর্ন বাজতেই আবার গাড়ি স্টার্ট করল।আর বললো,

“আমার ওয়াইফকে আপনি স্বপ্নে দেখেছেন?”

“ওমা! স্বপ্নে দেখবো কেনো।সেদিন জলজ্যান্ত রেস্টুরেন্টে দেখলাম।”

আদরকে অনায়াসে বোকা বলে উপাধি দেওয়া যায়।উপর উপর দিয়েই শুধু লাফালাফি করে!

“আপনার মতে কোনো ছেলের সাথে কোনো মেয়ে থাকলে তারা হাসবেন্ড ওয়াইফ?”

“না আপনাকে দেখে বিবেচনা করলাম আরকি আপনি হয়তো ম্যারিড হবেন ”

“সেটা কেনো বিবেচনা করলেন?”

“বয়সের একটা ব্যাপার আছে না?”

মেহতাব আরেকদফা বিষম খেলো।চোয়াল শক্ত করে আদরের দিকে লুক দিয়েছে।আদর সঙ্গে সঙ্গে মাথা ঘুরিয়ে জানালার দিকে নিয়ে নিলো।চোখ দিয়ে নাহয় গিলে খেয়ে ফেলবে।মেয়েটি কি তাকে এনি হাও বয়স নিয়ে খোটা দিচ্ছে? মেহতাবের মাথায় ঢুকে না সবাই তার বিয়ে নিয়ে এত উৎসুক কেনো?

“সরি।আপনি যা ভাবছেন আমি সেটা একদম মিন করিনি!”

“আমি বিবাহিত নই”

বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে ফাইল নিয়ে বসেছে আদর।আজকে কাজ শেষ করে কাল সারাদিন ঘুমোবে। ফাইল খুলে একের পর এক পৃষ্টা উল্টে পাল্টে যাচ্ছে।সম্পূর্ণ ফাইল জুড়ে শুধু সাদা কাগজ।কথাও কোনো লেখা নেই।

“সেকি মজা করলো আমার সাথে?খালি ফাইলে কি কাজ করবো আমি?”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here