#চিত্তসন্ধি
পর্ব ১২
লেখা: #Azyah
“তোকে কয়টা কল করেছি হিসেব আছে?”
“কেনো করেছিস?”
রুবি আদরের উত্তরে মন খারাপের ছাপ দেখতে পেলো।ফোন অফ থাকায় এসাইনমেন্ট এর লাস্ট ডেট জানাতে পারেনি দেখে রাগ করেছিলো।তাই রেগে ছিলো।কিন্তু তারা মুখ দেখে শীতল কণ্ঠে বলল,
“অনলাইনে ছিলি না।ফোন দিলাম ফোনটাও ওফ।আগামীকাল এসাইনমেন্ট এর ডেড লাইন।সেটাই বলতাম”
“হ্যা আমরা ভেবেছিলাম আজ ক্লাস এট্যান্ড করবি না কাজে যাবি তাই” শান্তা বলল।
আনমনা হয়েই আদর উত্তর দেয়,
“আমি আর চাকরীটা করছি না।”
“কেনো?”
“এমনি”
রোহিত বলছে, “এমনেই হতে পারেনা।অবশ্যই কারন আছে।এতদিন ওই ডাক্টারকে সেচ্ছায় সহ্য করেছিস।হুট করে ছেড়ে দেওয়ার কি কারণ?”
“তেমন কিছুই না দোস্ত।মন টিকাতে পারছি তাই।আচ্ছা আমি বাড়ি যাই আমাকে কি কি এসাইনমেন্ট দিয়েছে একটু মেইলে সেন্ড করে দিস”
কিছু না বলেই চলে গেলো আদর।পেছনে রুবি,রোহিত আর শান্তা তার যাওয়ার পানে চেয়ে। অতটা চঞ্চল না হলেও বিনোদনপ্রিয় মেয়ে আদর।সবার সাথে তেমন দুষ্টুমি না করলেও তাদের কাছে অনেকটা খোলামেলা স্বভাবের।হাসি লেগে থাকে চেহারায়। ইন্ট্রোভার্ট আর এক্সট্রোভার্ট এর মধ্যে রাখা যায় তাকে।যাকে বলে এম্বিভার্ট।আজ হুট করে এভাবে মিয়ে গেলো কেনো? তাছারাও বড্ড অভিমানী সে।একটু কষ্ট পেলেই নিজেকে গুটিয়ে নেয়।রুবি, রোহিত, শান্তা একে অপরের দিকে চাও়াচাওয়ি করে ভাবছে কেউ তাকে কষ্ট দিলো নাতো?
তার আগেই রোহিত দৌড়ে গেলো।আদরের পথ আটকে বললো,
“চল ফুচকা খাবো।আজকে আমার ট্রিট”
“আমি খাবো না রোহিত”
“কেনো খাবি না। ফুসকা তোর এত্ত প্রিয়।নাকি ঐ ডাক্টার সাহেবের ভয়ে বাহিরের হাবিজাবি খাবি না?”
“সব কথায় ওনাকে টানিস কেন তোরা?” রেগে গেলো আদর।বলার পর এক মুহুর্ত সেখানে দারায়নি। পাশ কাটিয়ে চলে গেছে।
___
“কিছু একটাতো হয়েছে তোমার মেয়ের” জোহরা খাতুন ফল কাটতে কাটতে বললেন।
“আমিও দেখছি কাল আসার পর থেকেই অন্যমনস্ক” আশরাফ মাহমুদ বললেন।
“আমি যতদূর আন্দাজ করছি হসপিটালে কিছু হয়েছে।”
“তোমরা সবকিছু নিয়ে আসর জমিয়ে ভাবতে বসে যাও কেনো বলোতো!আমি একটু চুপচাপ থাকতেই পারি।এটাতো গুরুতর কোনো বিষয় না।আমি বেশি কথা বললেও তোমাদের সমস্যা,কম বললেও সমস্যা।কতবার বলেছি কাল ক্লান্ত লাগছে তাই। দুর্বলও লাগছে। তা না তোমরা একই কথা বারবার বলেই যাচ্ছো আমাকে”
পেছনে দাড়িয়ে বাবা মার উদ্দেশ্যে বলে ফেললো আদর।বাবা মা তার ব্যাপারে আলোচনা করছিলো।সেটা তার ভালো লাগেনি।বারবার কথা গিয়ে আটকে যায় ক্লিনিক আর মেহতাব এর উপর।সে শুনতে চাচ্ছে না এসব।এড়িয়ে যেতে যাচ্ছে।এগুলো শুনলেই মেহতাব এর ভয়ঙ্কর রূপ ভেসে আসে চোখের সামনে।
“আচ্ছা রেগে যাচ্ছিস কেনো?”
“তো কি করবো মা?আমার একটু ব্রেক চাই।ভালো লাগছে না আমার এত ঝামেলা।আশা করি এসব ব্যাপারে আমার সাথে আর কোনো কথা বলবে না।নাই নিজেরা আলোচনা করবে”
__
মধ্যে দুইদিন কেটে গেছে।আদরের দিন কাটছে এসাইনমেন্ট করতে গিয়ে। টিচারদের অনেক রিকোয়েস্ট এর পর তারা তাকে দুইদিন সময় দিয়েছে।শ্বাস নেওয়ার সময়টা অব্দি পাচ্ছে না।এই চাপে দুইদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর মেহতাব কোনোটাই তার মাথায় নেই।
ক্লিনিকে এসে বুক ব্যথার ওষুধ খেয়ে নিল মেহতাব।তেমন কোনো কাজ নেই তার।পেশেন্টের চাপ কম। বেশিরভাগ সময়ই একা কেবিনে কাটাচ্ছে।অন্যমনস্ক হয়ে।ঘুরে ফিরে চোখ যায় সামনে থাকা ডেস্কটার উপর।এখানে আদর বসতো।কাজে আসে না আদর আজ দুইদিন।কোনো খোঁজ খবরও নেই।তার মা ফোন দিয়ে জানানোর পর আর ফোনে চেষ্টা করেনি।ঘুম হচ্ছে না,খাওয়া দাওয়াটাও ঠিকমতো হচ্ছে না।পলকহীন চোখ ওই ডেস্কটায় আটকে আছে।চোখে ভাসছে তার দৃশ্য।মনে হচ্ছে এইতো মাথা ঝুঁকিয়ে বাম হাত দিয়ে অনবরত কিছু লিখে যাচ্ছে আদর।আর মেহতাব সবসময়ের মতন আড়ালে তার দিকে তাকিয়ে।ভাবনার পর মেহতাব নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলো,
“তুই কি এনি হাও আদরকে মিস করছিস?”
দরজা ঠেলে রায়হান ভেতরে আসলো।হাতে খাবারের বক্স।বাড়ি থেকে এনেছে সে।দুইভাই একসাথে মিলে খাবে। মেহতাবকে আনমনা হয়ে থাকতে দেখে মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো,
“কার শোকে পাথর হয়ে যাচ্ছিস?ওহ না…পাথর তুই আগে থেকেই।এখন বলা উচিত কার শোকে শুকিয়ে যাচ্ছিস?”
“খাবার নিয়ে এখানে কেনো?”
“ভাই তুই প্রশ্নের পৃষ্টে প্রশ্ন করিস কেনো?উত্তর বলে একটা জিনিস আছে ভুলে গেছিস বোধহয়?”
“ফালতু প্রশ্নের উত্তর দেইনা।”
“আপনি ভাইজান ভালো প্রশ্নের উত্তরও দেন না।এবার আসেন খাবারগুলো খেয়ে উদ্ধার করেন আমাকে। আম্মা আমাদের দুজনের জন্য বিরিয়ানি রান্না করে দিয়েছে।”
“খাবো না” মেহতাব এর সোজাসাপ্টা উত্তর।
“কেনো খাবি না?আর আদর কোথায়?”
“জানি না”
“কাজে আসে না?”
“নাহ”
“দেখেছিস!বলেছিলাম মেয়েটাকে এত পেইন দিস না।থাকবে না পালিয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে না বলে। এখন দেখছি অবস্থা তেমনি”
“হারিয়ে যাবে রায়হান?”
খানিকটা অবাক হলো রায়হান।মেহতাব এর কথার ভঙ্গিতে।এভাবে গভীর গলায় প্রশ্ন করলো?তাও মেহতাব?প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন করার স্বভাব রায়হানের জানা আছে।কিন্তু এই প্রশ্নটা একটু অন্যেরকম লাগলো।তার মুখ দেখেই বুঝে গিয়েছিলো হয়তো কোনো সমস্যা।হারিয়ে যাবে কিনা প্রশ্নে ছিলো একরাশ ব্যাকুলতা।
রায়হান স্মিথ হেসে বললো,
“আটকে রাখলে থেকেও যেতে পারে”
রায়হান এর কথায় হুশ ফিরল।আবারো নিজের আগের ব্যক্তিত্বে ফিরে আসলো।উঠে বসে বললো,
“আমি খাবো না”
“আম্মা রাগ করবে।তুই এমনেই যাস না আমাদের বাড়ি।বলেছে তোকে খাইয়েই যেনো ফিরি।নাহলে নাকি ঝাটার বাড়ি একটাও মাটিতে পড়বে না। বল ছেলে ডাক্টার আর মার ব্যবহার এমন!”
ছোট চাচীর কথা শুনে আর না করলো না। খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।তার মা মারা যাওয়ার পর সে তাকে অনেক যত্ন করেছে,ভালোবেসেছে। সবসময কাছে না থাকতে পারলেও যখন এসেছে মায়ের পরম ভালোবাসা মমতা দিয়ে আগলে দিয়েছে তাদের দুই ভাইবোনকে। পৃথিবীর সব কষ্ট একদিকে ভালোবাসার আপন মানুষগুলোর জায়গা একদিকে, সর্ব উচুতে।
____
রাত বারোটায় বাড়ি ফিরলো মেহতাব।কোনো কাজ ছাড়াই ক্লিনিকে বসে ছিলো। রায়হানের বাচ্চামোর কারণে তার উপর মাঝেমধ্যে ক্ষেপে যায় কিন্তু আজ তার সাথেই সময় কাটিয়েছে।কথা বলেছে।আদরের অনুপস্থিতি ভুলতে সম্পুর্ণ মনোযোগ এদিক ওদিকের কথায় দিয়েছে।কিন্তু বাড়ি ফিরে আবার অসস্তিতে পড়ে গেলো।এক চার দেয়াল জুড়ে আরো নিস্তব্ধতা।কি করে কাটাবে?
ফ্রেশ হয়ে বারান্দার দিকে যেতেই ফোনটা বেজে উঠলো।ফোনের স্ক্রিনে মিশার নামটা দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলো।ভিডিও কল করেছে সে।
“কেমন আছো ভাইয়া?”
“ভালো আছি।তুই?আর বাবা?ঠিকঠাক মত ঔষধ খাচ্ছেতো?”
“আমরা দুজনই ভালো আছি। হ্যা বাবা ঠিকমতো ঔষধ খাচ্ছে।”
“অল সেট দেয়ার?”
“হ্যা ভাইয়া।ডিনার করেছো?”
“হুম? হ্যা করেছি”
ভাইয়ের মুখ দেখে মিথ্যেটা ধরে ফেললো মিশা।বললো,
“মিথ্যা বলছো তুমি।মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে তোমার।”
“আরেহ নাহ।আজ চাচী রায়হানের কাছে বিরিয়ানি রান্না করে পাঠিয়েছিল।এতগুলো খেয়েছি তাও বিকেলে।এখন আমি ফুল”
“তারপরও ভাইয়া কিছু একটা খেয়ে নাও। তুমিইতো বলো রাতের খাবার অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ”
“খাবো তুই চিন্তা করিস না। বাবা কোথায়?”
“আর বলো না ভাইয়া!আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে একজন বাংলাদেশী ফ্যামিলি থাকে। আংকেল আর আব্বু নাকি একই গ্রামের।যা ভাব জমেছে তাদের।আমাকে ভার্সিটিতে রেখে ঘুরতে বেরিয়ে গেছে আংকেলের সাথে”
“ঘুরুক বাঁধা দিস না।মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে।”
“সেটাতো জানি।আর হ্যা ঘুমিয়ে পরো।বাংলাদেশে এখন বারোটা বাজে না?আমি কাল আবার ফোন দিবো”
“ঠিক আছে”
ফোন কেটে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো মেহতাব।কিছু কাজ কমপ্লিট করতে হবে।ঠিক সেই সময় মনে হলো মেইলগুলো চেক করে নেওয়া যাক। ইনবক্সের প্রথম মেইলে আদরের মেইল ভেসে আসছে। চট জলদি ওপেন করে নিলো।মেইল সম্পুর্ণটা পড়ে আর নিজেকে আটকাতে পারেনি।দ্রুত ফোন দিয়েছে আদরকে। সৌভাগ্যবশত তার ফোন অন।ঘনঘন নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করলো।কোনোভাবে কিছু বুঝতে দেওয়া যাবেনা আদরকে।
“হ্যালো”
আদরের কন্ঠ শুনতে পেয়ে মেহতাবের শব্দগুলো যেনো কন্ঠনালীতে আটকে আছে।উত্তর দিতে পারছে না। মেহতাব থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে আদর বললো,
“আপনি কি মেইলটা পেয়েছেন?”
“রেজিকনেশন দেওয়ার কারণ জানতে পারি?আপনি কোনো কারণ উল্লেখ করেননি”
মেহতাব এর শীতল কন্ঠ অদ্ভুত লাগছে আদরের কাছে।ঠোঁট কামড়ে উত্তর দিলো,
“আমার মনে হচ্ছে আমি ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।উল্টো ঝামেলা পাকাচ্ছি।ক্ষতি করছি আপনার”
মেহরাব অল্পসময়ের বিরতি নিয়ে বললো,
“ক্ষতিতো করছেনই”
“আমি আর কাজটা কন্টিনিউ করতে চাই না”
“এভাবে একদিনের নোটিসে কাজ ছাড়া যায়না”
“স্যার! আমার জানামতে আমি কোনো এগ্রিমেন্ট সাইন করিনি।আর আমার যে কাজের ধরন সেসব কাজে কোনো এগ্রিমেন্ট হয় না”
“আদর!” হুট করে মেহতাবের ভারী কণ্ঠে কেপে উঠলো আদর।ঠিক সেদিন রাতের মতন করে কথা বলছে।আজও ঘনঘন নিঃশ্বাসের শব্দ ভেসে আসছে ফোনের অপরপাশ থেকে।
মেহতাব আবার বললো, “রাগ কখনো কাজে বাধা যেনো না হয়।”
বিষম খেলো আদর।কিভাবে বুঝে গেলো এই লোক!আদর রেগে আছে?আগে শুধু সন্দেহ করতো সে মনের কথা পড়তে জানে।এবার এই সন্দেহটা সত্যিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমতা আমতা করে বলল,
“মানে?”
“আশা করি দ্রুত জয়েন করবেন আবার”
বলেই ফোন কেটে দিলো মেহতাব।আর কিছুসময় লাইনে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসতো।খুব জোর খাটিয়ে বলেত ফেললো জয়েন করতে হবে।আদর কি আসবে ফিরে?
___
সময় সময়ের মনে আরো দুটো দিনকে সাথে নিয়ে চলে গেছে। মেহতাবকে আশাহত করে আদর আজও ফেরে নি। ফোনটা আবারো বন্ধ করে আছে।শেষবারের মত ফোন দিয়ে বন্ধ পেলো।ফোন ছুঁড়ে ফেলে চলে গেলো রাউন্ডে।আজ রায়হান আসেনি।তার ভাগের কিছু কাজ নিজে নিয়ে করতে শুরু করেছে।মাথা ম্যাজম্যাজ করছে।মন টিকাতে পারছে না কাজে।তারপরও বাধ্য হয়ে করছে।ইচ্ছে করে নিজেকে কাজের বোঝায় চাপিয়ে দিচ্ছে।নিজেকেই নিজে শাস্তি দিচ্ছে যেনো।বিকেল হলো এখন রোগীরা আসবে।কেবিনে গিয়ে রোগী দেখা শুরু করলো।দেখতে দেখতে কখন সন্ধ্যা গড়ালো সেদিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই তার।রোগী দেখা শেষ করে কেবিন থেকে বেরিয়ে দেলাওয়ার হোসেনকে বললো,
“আজ নাইট ডিউটিতে কে কে আছে জানেন?”
“শুনলাম বড় ডাক্তার দুইজন আছেন।রায়হান স্যারের থাকার কথা ছিল।কিন্তু ওনারতো ফ্লু হয়েছে।আর মহিলা ডাক্তার রওশন ম্যাডাম আছেন”
“রায়হান স্যারের ডিউটি আজ আমি করবো।খলিল স্যার কেবিনে আছেন?”
“জ্বি স্যার আছেন”
সিনিয়র ডক্টর খলিলের ক্যাবিনে গিয়ে বসে মেহতাব।এক সময় তার স্টুডেন্ট ছিলো মেহতাব।অন্যান্য ডাক্টারদের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তিনি মেহতাবকে।অনেকদিন তিনি অসুস্থ থাকায় দেখা হয়নি।আজ তার কেবিনে এসে দেখা করবে ভেবেছে।
“মেহতাব তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?”
“কোথায় স্যার?ঠিক আছিতো”
“মলিন হয়ে আছে চেহারা।খাওয়া দাওয়া করছো না ঠিকমতো?”
“করছি স্যার।হয়তো কাজের চাপে এমন লাগছে”
ডক্টর খলিল হাসলেন।বললেন,
“জীবনে অনেকটা বছর কাটিয়েছি ডাক্তারি করে।এত এত মানুষ দেখেছি যে একজন মানুষের চেহারা দেখলে বোঝা যায় কোনটা ক্লান্তি আর কোনটা চিন্তা।খাওয়া দাওয়ায় অনীহা করছো এটা তোমার চেহারায় স্পস্ট।”
“জ্বি স্যার”
“কি নিয়ে টেনশন করছো?”
“তেমন কিছুই না স্যার।আচ্ছা আমি আসি নাইট ডিউটি আছে আমার আজ”
“হ্যা এসো।আর যত্ন নাও নিজের প্রতি।মানুষকে দেখার জন্য আমরা আছি।আমাদের দেখার জন্যও আমাদেরই থাকতে হয়”
মেহতাব উঠে যেতে নিলে তাল মেলাতে না পেরে পড়ে যেতে নেয়।মাথা ঘুরাচ্ছে।টেবিলে হাত রেখে নিজেকে সামলে দাড়ালো।চোখের সামনে মৃদু ঝাপসা লাগছে।
চলবে…