#চিত্তসন্ধি
পর্ব ২
লেখা: #Azyah
দিবসও রজনী তোমাতে স্বজনী
বাড়িঘর মাখামাখি,
ব্যাকুলও বাসরে, যে আলো দুঃখ
সে আলোতে আমি থাকি।
তুমি যাও, যে শুধু তোমারি থাকে
বাড়ি ফিরে এসো সন্ধ্যে নামার আগে।
আকাশে ঘনালে মেঘ
বাকি পথ হেঁটে এসে,
শেষ হয়েও পড়ে থাকি অবশেষে।
আকাশে ঘনালে মেঘ
বাকি পথ হেঁটে এসে,
শেষ হয়েও পড়ে থাকি অবশেষে।
নিভিয়ে দিয়েছি, ফুরিয়ে গিয়েছি
ডুবিয়েছি কত ভেলা,
প্রেমিক নাবিক জানেনা সাগর
একা রাখা অবহেলা।
আজ সোমবার।আকাশ চিরে অন্ধকার নামছে। নীলাম্বর নীল থেকে কালো আঁধারে ঢেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে।গ্রীষ্ম এর সন্ধ্যায় হালকা ঠান্ডা বাতাসের দোলা।গায়ে আঁচড়ে পড়তেই শীতল করে দিচ্ছে মন মস্তিষ্ক। চারপাশে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ। নীড়ে ফিরছে তারা।সাথে দোতলার বারান্দায় গিটারের টুংটাং শব্দ।একজোড়া পাখি বাড়ি ফেরা বাদ দিয়ে বারান্দার দেয়ালে বসে গান শুনছে।বড্ড বেরসিক মানুষের গলায় এত সুন্দর গান শুনে তারা হয়তো অবাক।
“কখনো মনে হয় তুমি গভীর প্রেমে মত্ত।আধার রাত পেরিয়ে সূর্যের আলো পড়তেই রংহীন কেনো হয়ে উঠো ভাইয়া?”
“কাব্যিক কথাবার্তা কোথা থেকে শিখেছিস?”
গিটারে একটি শেষ ঝংকার তুলে থেমে গেলো।সামনের টি টেবিলে পা তুলে গিটারে সুর তুলেছিল। পরনে কালো রঙের হাফ হাঁটার টি শার্ট। বলিষ্ঠ হাতগুলো ফুলে ফেঁপে আছে।
গিটার পাশে রেখে বোনের হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিয়ে বললো,
“বললি না যে। কোথা থেকে শিখলি এসব কথা?”
“আমি বড় হয়েছি।এই বয়সে কাব্যিক কথাই বলে।সামনে আরো কত কি পড়ে আছে।বাবাকে তো বলেই রেখেছি ইউকে গিয়ে প্রেম করবো।তারপর বিয়ে।তুমি অনুপম সেজে বসে থাকিও”
“অনুপম এর জীবনে কল্যাণী ছিলো।আমার জীবনতো কেউ নেই,নাই প্রেমে পড়েছি কারো।আমি অনুপম কিভাবে হলাম?হলে হবো চির কুমার”
“তা ঠিক।তবে একবার প্রেম পরেই দেখো না।”
গরম চা ঢকঢক করে গিলে ফেললো।চোখের পলকে পুরো কাপ খালি।খালি কাপ টেবিলের ওপর রেখে মেহতাব বললো,
“তোকে দোতলা থেকে ফেলে দিলে কি হবে?”
“এটা কেমন কথা আবার?”
“বল শুনি।কি হবে?”
“পড়ে ব্যথা পাবো।হাত পা ভাঙবে।”
“তাহলে নিজের ভাইকে কেনো পড়ে যেতে বলছিস?প্রেমে?”
মেহতাব এর কথা বুঝতে অল্প সময় লেগেছে।বুঝে উঠার সাথেসাথে ফোস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো।একে নিয়ে আর পারা যায়না। বিরক্তির সুরে বলল,
“উফ!তুমি ডাক্টার হয়ে এসব অদ্ভুত লজিক কিভাবে দাওয়া?থাকো বাবা যেভাবে ইচ্ছে।আমি গেলাম”
___
“হ্যালো ডার্লিং”
“যা দোস্ত ডিস্টার্ব করিস না।একটা বুয়েটিয়ানের উপর জম্মপেস ক্রাশ খেয়েছি”
আদরের মুখের রং পাল্টাতে এক সেকেন্ড সময় নেয়নি।ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তার দুচোখের কাঁটা।নিজে দূরে থাকে বন্ধুদেরও রাখার চেষ্ঠা করে।রুবির মুখে বুয়েটিয়ান শুনে মেজাজ চট করে আসমানে উঠে গেলো।
ঠোঁট চেপে ভ্রু কুচকে পিঠে চড় মেরে বললো,
“এই তোদের কতবার বলেছি ওসব রোবট আর কসাই ছেলেপেলেদের থেকে দূরে থাকবি।ওরা জীবনে ক্রাশ হয়ে আসবে।তারপর জীবনের প্লেনকে ক্র্যাশ করে দিয়ে চলে যাবে।”
শান্তা মারমা বলে উঠলো,
“রোবট বুঝলাম।কসাই কে দোস্ত?”
“আমাদের দেশের কুখ্যাত বিখ্যাত ডাক্তারদের দল ”
“ইস!ওরা যা কিউট হয়।”
গলার জোর বাড়িয়ে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আদর বললো,
“কচু!এরা উপর উপর দিয়ে কিউট ভেতর দিয়ে আস্ত বেরসিক।মজা মাস্তি কি জিনিস জানে?বইয়ের ভেতরে মুখ গুজে বসে থাকে।”
পেছন থেকে রোহিত এসে মাথায় চড় মেরে বললো,
“আমরা কত মজমাস্তি করে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দিচ্ছি না?শুধু নিজেদের মধ্যে হুদাই হাসি।এছাড়া জীবনে কোনো আমেজ আছে?মানুষের সামনে গেলে আমরা হয়ে যাই জন্মগত বোবা।”
“এখানে আমাদের কথা আসছে কেনো?রুবি তুই এদের থেকে একশো হাত দূরে থাকবি!”
“কিন্তু দোস্ত?”
“ভাই শোন।আমার এসব বলার ভ্যালিড রিজন আছে।জানিস সেদিন ডাক্তারের কাছে গিয়ে কি হয়েছে আমার সাথে?”
সবাই গোল হয়ে বসে পড়লো আদরের সামনে।আদর ডাক্তারের বিরুদ্ধে বয়ান শোনাতে যাচ্ছে। মনোযোগ এখন গভীর না থাকলে যেকোনো পয়েন্ট মিস হয়ে যেতে পারে রুবি, শান্তা আর রোহিতের।আদরের ভঙ্গিমা দেখে লাগছে বেজায় বড় কান্ড।টানটান উত্তেজনা নিয়ে এক দৃষ্টিতে আদরের দিকে চেয়ে সবাই।
“সেদিন গেছি হসপিটালে টেস্ট করতে।প্রথমে আমার এত্তগুলা রক্ত হরণ করলো।প্রথম দিন দেখে ভেবেছিলাম বাহ ইয়াং ডক্টর।আবার ঠান্ডা স্বভাবের।কথা বলে না তেমন।যেই তাকে পুরো পর্যবেক্ষণ করতে যাবো তখনই ব্যাটা ৩৬০ ডিগ্রি পল্টি।আমাকে রীতিমত থ্রেট করেছে!আমি যদি তার ডায়েট চার্ট ফলো না করি আমাকে হসপিটালে ভর্তি করাবে।সেই অব্দিও ঠিক ছিলো। ডাক্টার মানুষ ভালোর জন্য বলছে।কিন্তু না ভাই!আমার সব ফাস্টফুড খাওয়ার উপর ব্যান লাগিয়েছে।আর ডায়েট এ কি দিয়েছে জানিস? করলা,পটল,কুমড়ো,সবুজ শাক সবজি। হাফ সিদ্ধ খাবার।আর ভাত তাও চারবেলা।এগুলা মানুষের কাজ? বল!”
সামান্য নিঃশ্বাস নিয়ে আবার বললো,
“আর আমার মা জননী।ডাক্তারের কথার ঝাঁঝে পুরোই ফিদা।আমাকে উঠতে বসতে ভাত খাওয়াচ্ছে।বাসায় গেলে নাকি সিদ্ধ কুমড়ো খাওয়াবে।”
রোহিত জোরে শ্বাস টেনে ছেড়ে দিলো।আর বলে উঠলো,
“তুই এসব শোনানোর জন্য এমন সমাবেশ জমিয়েছিস?”
“হ্যাঁ কেনো? তোদের মনে হচ্ছে না এটা সিরিয়াস ইস্যু?”
“বইনরে আমার!সব ডাক্তারের কাজ এটা।ওদের কাছে সব হেলথি হেলথি।আর তোর অবস্থা দেখেছিস।শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিস দিনদিন।”
শান্তা মারমা বললো,
“হ্যা রে।পড়ে যদি বড় কোনো রোগ হয়ে যায় তখন কি করবি?তুই কয়টা দিন তার কথামত চল।আমি নেক্সটে বাড়ি গেলে পাহাড়ি সবজি এনে দিবো তোকে।”
“তোরা আমার আপন রক্তের বন্ধু বান্ধব হয়ে এসব বলছিস?”
রুবি বলল,
“উদ্ভট কাজে তোর সাথ দিতে পারলে ভালো কাজেও দিবো।নিজের দিকে এবার একটু খেয়াল কর। সুস্থ থাকবি”
____
পার্সোনাল ফোনের পাশে একটি ফোন রাখা।অপরিচিত নাম্বার ভেসে উঠলো ফোনের স্ক্রিনে।এই ফোনে অপরিচিত নাম্বারে কল আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়।অনেক পেশেন্টই ইমারজেন্সিতে কল করে।মাত্রই স্ট্যারিং ঘুরিয়েছে বাড়ি ফেরার জন্য।সিদ্ধান্ত নিলো কলটি রিসিভ করেই বেরোবে।
“হ্যালো”
“আসসালামু আলাইকুম স্যার।”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম।কে বলছেন?”
“স্যার আমি জোহরা।আদরের আম্মু”
“আদর?…ওহ হ্যা।বলেন”
“স্যার আদরের শরীরটা মাত্রা অতিরিক্ত খারাপ হয়ে গেছে।বমি করছে অনেক।হাতপা অবশ হয়ে আসছে।কি করবো একটু বলবেন!আমার খুব টেনশন হচ্ছে”
জোহরা খাতুনের গলার স্বর বলে দিচ্ছে সেখানে পরিস্থিতি অনুকূলে নেই।ভয় ভয় ভাব তার কথার মধ্যে।
“উল্টোপাল্টা কিছু খেয়েছে?আর মেডিসিন?”
“না স্যার উলোপালটা কিছু খায়নি। মেডিসিনও ঠিকঠাক মতোই দিয়েছি।একটু আগে শুধু কাঠ বাদাম দিয়েছিলাম। তারপর থেকেই এই অবস্থা।”
“ঠিকাছে ওনাকে দ্রুত হসপিটালে নিয়ে আসুন।আমি আছি”
“জ্বি আচ্ছা”
গাড়ি পূনরায় ব্যাকে নিয়ে পার্কিংয়ে রেখেছে। দ্রুত পায়ে উপরে উঠে ক্যাবিনের দিকে এলো। দেলাওয়ার হোসেন বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেহতাবকে ফিরে আসতে দেখে অবাক স্বরে সুধালেন,
“স্যার ফিরে আসলেন যে?”
“ইমারজেন্সি দেলাওয়ার চাচা।আপনি বাড়ি যান ”
“না স্যার।আমার দরকার পড়তে পারে।আমি এখানেই আছি”
আদরের বমি করতে করতে বুকে ব্যথা উঠে গেছে। চোখদুটো ভিজে লাল বর্ন ধারণ করেছে। হাতপা থরথর কাপছে। জোহরা খাতুন আর বাবা আশরাফ মাহমুদ মেয়েকে ধরে ধরে হসপিটালে আনলেন।কেবিনের মধ্যে প্রবেশ করতেই তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে আসছে মেহতাব।
“ওনাকে বেডে শুইয়ে দিন।আমি দেখছি”
হাতের পালস চেক করে তেমন কোনো লাভ হয়নি।হলদে চেহারা লাল বর্ণ ধারণ করে।ছোপছোপ লাল রেশ।বমি আর হাত পা আসাড় হয়ে যাওয়ার সাথেসাথে সারা শরীরে রেশ দিয়ে ভরে যাচ্ছে।
“ওনার কি কোনো কিছুতে এ্যালার্জি আছে?”
“নাতো”
“বাদামে?”
“জানি না স্যার।কখনো এমন হয়নি। বাদাম পছন্দ করে না বলে কখনো খায়ও নি”
সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে ধরা পড়লো কাঠ বাদামে আদরের এল্যার্জি। সঙ্গেসঙ্গে ইনজেকশন পুশ করতে নিলে আদর কিছুটা দূরে সরে যায়। কেদে ফেলে।
“প্লিজ ইনজেকশন দিবেন না।আমি অনেক ভয় পাই।আমাকে অন্য কোনো ঔষধ দেন”
আদরের আকুতি ভরা কন্ঠ কর্ণকূহরে পৌঁছাতে অজান্তেই চোখ চলে যায় তার কাপতে থাকা ঠোটের দিকে।ফুপিয়ে কাদঁছে মেয়েটি।চোখগুলো ফুলে আছে।গোলগাল গাল বেয়ে যাওয়া অস্রু সরু ছাপ ছেড়ে গেছে।ভীষণ কষ্ট হচ্ছে বোধহয়?এলার্জি মাঝেমধ্যে মারাত্মক আকার ধারণ করে। ইনজেকশন হাতে নিয়ে আদরের চেহারা পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো।
“কি হয়েছে মেহতাব? এনিথিং সিরিয়াস?”
ধ্যান ভাঙলো ডক্টর রায়হানের কন্ঠে। মেহতাব এর ডিউটি আওয়ার শেষেও তার কেবিনে লাইট জ্বলতে দেখে সেও এসেছে।
তার প্রশ্নের অল্প শব্দে উত্তর আসলো,
“না”
আদর আবার বলছে,
“আম্মু প্লিজ ওনাকে বলো ইনজেকশন দিতে না।প্লিজ আম্মু!”
রায়হান কাছে এসে আদরকে এক পলক দেখে বললো,
“এলার্জি?”
“হুম”
রায়হান আদরের সামনে গিয়ে বললো,
“ইনজেকশন দেওয়া লাগবে।ভয় পাবেন না।মেহতাবের দক্ষ হাত।একদম ব্যাথা পাবেন না।অন্যদিকে ঘুরে তাকান”
সঙ্গেসঙ্গে মাথা দেয়ালের দিকে করে নিলো আদর।তারপরও ভয় কমছেই না।সে তেমন কোনোকিছুতে ভয় পায় না।তেলাপোকা অব্দিও না।সাহসী মেয়ে বলা চলে।কিন্তু ইনজেকশনের নাম শুনলেই ঘাবড়ে উঠে।ছোটবেলায় এক হাতুড়ে ডাক্তারের ভুলভাবে ইঞ্জকেশন দেওয়ায় সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সেদিন ব্লাড টেস্ট করতে গিয়েও অনেক কেদেছে।ভয়ের চেয়ে বেশি এটা একটা ফোবিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তার।রায়হান মেহতাবকে চোখ দিয়ে ইশারা করলো ইনজেকশন দিয়ে দিতে।
মেহতাব ইনজেকশন এগিয়ে নিয়েও দাড়িয়ে আছে।পুশ করছে না।থমকে আছে যেনো। এগিয়েও ফিরিয়ে আনলো
রায়হান মেহতাবকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেছে।তার ধ্যান ভাঙতে রায়হান বললো,
“মেহতাব?”
“ডক্টর রায়হান ইনজেকশনটা পুশ করেন।আমি আসছি এক মিনিটে”
___
হসপিটালের শেষ প্রান্তে একটি সিড়ি ঘর আছে।অনেক কম মানুষ এখানে আসা যাওয়া করে।কোলাহল কম থাকায় এটি মেহতাবের আরেকটা শান্তির নীড়।প্রথমটা অবশ্য তার ঘর। প্রায় সময় এখানে এসে বসে থাকা হয়।যখন কাজের চাপ বাড়ে,কিছু ভালো লাগে না।ঠিক তখন সবার আড়ালে এখানে বসে নিজেকে শান্ত করে মেহতাব।আজও তাই এক অজানা কারণে এখানে এসে থমকে বসেছে।সিড়িতে বসে,ঝুঁকে চুলগুলো খামচে ধরে।এভাবেই বসে থেকে কেটে যাচ্ছে অনেক সময়।
“দায়িত্ব ছেড়ে পালানো হচ্ছে ডক্টর মেহতাব?”
পরিচিত কন্ঠ ভেসে আসতেই মাথা থেকে হাত নামিয়ে ফেললো।এবার হাত বেধেছে হাঁটুর উপর।রায়হান পাশে বসে বললো,
“দ্যা গ্রেট ডক্টর নওশের মেহতাবের হাতে কম্পন সৃষ্টি হলো পেশেন্টকে ইঞ্জেকশন পুশ করতে গিয়ে!হেডলাইন হবে নাকি?”
রায়হান মেহতাব এর চাচাতো ভাই।দু ভাই- ই একই হসপিটালে ডক্টর।তার কথাবার্তা কম কৌতুক বেশি।সেটা মেহতাব জানে।সে ঠিক তার উল্টো স্বভাবের।তার হেয়ালি কথায় গুরুত্ব না দিয়ে প্রশ্ন করলো,
“পেশেন্টের কি অবস্থা?”
“বেটার।অবশ্য আজকে রাতের জন্য ভর্তি রেখেছি।জাস্ট ফর সেফটি।বাড়ি গেলে যদি সমস্যা বাড়ে?”
“কোথায়?”
“তিন তলায়।৩০৪ নাম্বার রুমে”
“ঠিক আছে”
“আজ কি তোর নাইট ডিউটি?”
“হুম?…. হ্যাঁ ”
“আচ্ছা থাক তাহলে।আমি বাড়ি যাচ্ছি।দরকার পড়লে কল করিস”
“আমার কাউকে প্রয়োজন নেই”
চলবে..