#চিত্তসন্ধি
পর্ব ৩২
লেখা: #Azyah
প্রয়োজনীয় সামগ্রী আর ঔষধ বাসে তোলা হচ্ছে একে একে। তীব্র রোদে চোখে সানগ্লাস আর কোমরে হাত রেখে সব তদারকি করছে মেহতাব আর রায়হান।দুজনের চেহারায়ই অতিষ্ঠতা।ক্যাম্পে যাওয়ার সময়ই এমন গরম পড়তে হলো?আদর একটু দূরে ছাওনিতে বসে। দুইহাতে বেগুনি রঙের লাগেজ ধরে রয়েছে।আসার সময় মা বারবার বলে দিয়েছেন কোনোকিছু যেনো না হারায়।টাকা আর দরকারি জিনিসে বিশেষ খেয়াল রাখতে।হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে আকড়ে ধরে লাগেজ।
মেহতাব এর চোখ আদর আর কাজ দুইদিকেই।দুই চোখের সঠিক ব্যবহার করছে।কাজকে হেলা করা যাবে না আদরকে চোখের আড়াল করা যাবে না।সব সামগ্রী বাসে তুলে দুজনই এগিয়ে আসলো।আদর তাদের আসতে দেখে উঠে দাঁড়িয়েছে।এখনই হয়তো বাসে উঠতে হবে।
রায়হান আদরকে বললো, “আপনি এখানে দাড়ান মিস আদর। পড়ে উঠেন বাসে।”
মেহতাব ফোড়ন কেটে বললো, “কেনো?”
“আরেহ ভাই সবকিছুতে প্রশ্ন করিস নাতো।আমিও কাজ সামলাতে পারি।চুপচাপ দাড়িয়ে থাক”
রায়হানের উত্তর মোটেও পছন্দ হয়নি।তারপরও বিনা শব্দে দাড়িয়ে রইলো।সবাই একে একে বাসে চরে বসেছে।বাকি শুধু আদর,মেহতাব,রায়হান।সবার শেষে বাসে উঠে রায়হান এদিক ওদিক চাইলো।
বলে উঠলো,
“আরেহ! বাসে দেখছি জায়গাই নেই?”
ফারিহা শেইখ বললেন, “চারটে সিট খালি আছে এখনও ডক্টর রায়হান।আপনি আর ডক্টর মেহতাব বসে পড়ুন।”
আদর মুখ কুচকে মনে মনে বললো, “হ্যা।আমিতো দাড়ায় দাড়ায় যাবো।তারাই বসবে শুধু”
রায়হান বললো, “আমি দুটো সিট নিয়ে রিল্যাক্স এ বসবো।আমার সাথে ব্যাগপত্রও আছে।”
আদরের দিকে চেয়ে বলল, “মিস আদর?আপনি আপনার স্যারের সাথে বসুন।কি কি কাজ করতে হবে সেখানে গিয়ে বুঝে নিবেন পথেই।আপনিতো নতুন।আপনার কাজের একটা লিস্টও ঠিক করা হয়েছে।”
বিচক্ষণতার সাথে আদরকে মেহতাবের সাথে দিয়ে দিলো।আদর মাথা দুলিয়েছে। ইচ্ছেকৃতভাবেই সবার শেষে বাসে চরার পেছনে এই শয়তানি বুদ্ধি ঘুরছিলো।আর কেউ না বুঝলেও মেহতাবের কাছে কিছুই অস্পষ্ট নয়।
_
ঘন্টা খানেক সময় ধরে বাস চলছে।যে যার মতন ব্যস্ত।কেউ কাজ নিয়ে আলোচনা করছে।কেউ নিজেদের মতন কথা বলছে।আবার কেউ ফোনে মুখ গুঁজে। মেহতাব আদরকে ফাইল খুলে পয়েন্টে পয়েন্টে সব বুঝিয়ে চলেছে।সেখানে গিয়ে বারবার বলে করানো সম্ভব না।সময়ের স্বল্পতা। আদরও গভির মনযোগী।
রায়হান তাদের দিকে চেয়ে মুচকি হাসলো।ফোন তুলে কল করছে কাউকে। অপরপ্রান্ত থেকে ফোন রিসিভ হতেই রায়হান মাথা গুঁজে বললো,
“আপনার কথামত কাজ হয়ে গেছে”
উত্তর আসলো, “দ্যাটস গ্রেট!”
“আপনি বলেছেন আমি ফেলে দিতে পারি ম্যাডাম?এবার বলে এর বিপরীতে আমি পেতে পারি?”
“আপনার এই ঘুষ খাওয়ার অভ্যাসটা কবে যাবে ডাক্টার সাহেব?”
“আমার মনের মানুষের কাছে একটু ভালোবাসার ঘুষ চাইলে কি পাপ হবে?”
হাসির শব্দ ভেসে আসলো ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে। রায়হানও হাসছে।আবার প্রশ্ন আসলো রায়হানের জন্য,
“ওই বদ ডাক্তার মেহতাব এখন কি করে? হ্যা?”
“কি করবে?কাজের ছলে প্রেম করছে”
“ইশ!আমার বিশ্বাসই হয় না জানো?”
“আমিও মাঝেমধ্যে সন্দেহ করি।এটা আমাদের মেহতাবতো?”
“খুবতো বলেছিলো বিয়ে করবে না।মেয়েদের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে হয় না।এখন কি হলো?আমি বলেছিলাম যেদিন ফাসবে আচ্ছামত ফাঁসবে।সেই দিনটা এত দ্রুত আসবে ভাবতেও পারিনি।আমি যদি এখানে থাকতাম!” বলতে বলতে কন্ঠ মিয়ে গেলো তার।
রায়হান গভীর স্বরে বললো, “চলে আসো প্লিজ।আমার ভালো লাগে না এখানে একা”
“তুমি আবার মন খারাপ করে কথা বলছো?আমি কিন্তু আর কলই ধরবো না।বলে দিলাম?”
“তোমার সাথে যেই এক বছর কাটিয়েছি?তুমি কাছে ছিলে।এখন আফসোস হয়।সেই এক বছরের প্রত্যেকটা সেকেন্ড তোমাকে দেওয়া দরকার ছিলো।আর উপলব্ধি হচ্ছে এখন।যখন চার চারটে বছরের জন্য দূরে চলে গেলে”
“রায়হান! আমি আসবোতো ছুটিতে।এভাবে কথা বলবে না প্লিজ।আমার বুঝি কষ্ট হয় না?”
“সব দোষ তোমার এই অসভ্য ভাইয়ের।বুড়ো ধামরা হচ্ছে।বিয়েটা করলোই না।তোমার আবার আলাদা নাটক।ভাই বিয়ে না করলে তুমিও করবে না।কি হতো বিয়েটা করে ইউকে গেলে?তোমার আর তোমার ভাইয়ের চক্করে আমি পিষে যাচ্ছি।”
মিশা হেসে বলে উঠলো, “আই লাভ ইউ বোথ।”
“অ্যান্ড আই লাভ ওনলি ইউ”
“আচ্ছা আচ্ছা অনেক হয়েছে।এবার আমাকে ঘুমোতে দাও।ক্লাস আছে সকালে। তোমার ফোনের জন্য এই রাত তিনটে পর্যন্ত বসে ছিলাম ”
____
দূরপাল্লার বাসটি ঢাকা অতিক্রম করেছে।কুমিল্লা হয়ে যাচ্ছে।এরমধ্যে আদর দুইবার বাবা মায়ের সাথে ফোনে কথাও বলে নিলো।মাঝেমধ্যে মেহতাবের দিকেও কয়েকবার আড়চোখে দেখেছে।স্ট্রং ফারফিউমের স্মেল আসছে।এই স্মেলটাই আকর্ষণ করার মূল কারণ।তাদের মধ্যিখানে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা খালি।মেহতাব বুকে হাত গুজে সামনে চেয়ে।কোনো নড়চড় নেই।রোবট হয়ে গেলো নাতো?নাকি লোকলজ্জার ভয়ে মূর্তি হয়ে আছে?ভাবতে দেরি! মেহতাব পকেট থেকে ফোন বের করে স্ক্রোল করতে লাগলো।আদর সেখানে উকিঝুকি দিচ্ছে।আড়চোখে আদরকে ফোনে তাকিয়ে থাকতে দেখে ফোন এগিয়ে দিয়ে মেহতাব বললো,
“এভাবে উকিঝুকি না দিয়ে নেন আমার ফোনটা আপনিই চালান”
সোজা হয়ে বসলো আদর।ফোন নেয়নি।এমন করার কি আছে? যাই হোক মানুষের ফোন অত্যন্ত পার্সোনাল জিনিস।উকি দেওয়া পছন্দ নাই হতে পারে।কথা না বাড়িয়ে বসে আছে হাত ভাঁজ করে।ঠিক মেহতাব এর ভঙ্গিতে।
কুমিল্লা শহর পাড় করে এবার হাইওয়ে রোডে।একটু পরেই ফ্রেশ হওয়ার জন্য হোটেলে থামবে বাস।সেটা আগেই জানান দিয়েছে রায়হান।বিপত্তি ঘটলো তার আগে।দু একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বাস থেমে গেছে।বাসের মধ্যের সবাই আশ্চর্য্য। ড্রাইভার অনেক চেষ্টার পরও ইঞ্জিন স্টার্ট করতে পারছে না।একটু অন হয়ে আবার থেমে যাচ্ছে।ভেতরে বসা সবার বুঝতে বেগ পেতে হলো না বাসে সমস্যা দেখা দিয়েছে।অবস্থা বুঝে ড্রাইভার কোনোরকমে বাস সাইড করেছে। হাইওয়ে রোডে এতবড় একটা বাস থেমে থাকায় ইতিমধ্যে পেছনে রাস্তা জ্যাম। গাড়ীর হর্ণে থাকা যাচ্ছে না।কারোই দু মিনিটের সবুর নেই।
মেহতাব নেমে যাচ্ছে।সমস্যা কি হলো দেখা দরকার।ঠিক তখনই আদর প্রশ্ন করলো,
“আমাদের যাওয়া কি ক্যানসেল হয়ে যাবে? বাসতো নষ্ট হয়ে গেছে”
“নাহ” উত্তর দিয়ে নেমে গেলো।
নিচে নেমেই আবারো কোমরে হাত দিয়ে কথা বলছে ড্রাইভারের সাথে।আদর বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে সবাইকে দেখে নিলো।দুপুর হতে চললো।বেশ ক্ষুদাও পেয়েছে।যা ভাবলো হোটেলে গিয়ে খাবে।সেটাও কপালে সইলো না।সকাল থেকে পেটে কিছু পরেনি।এখন যদি এসব ঝামেলার মধ্যে তাকে খাবারের কথা বলা হয় মেহতাবকে এই হাইওয়েতেই ফেলে রেখে যাবে।
“তোর একটু সিরিয়াস হওয়া দরকার ছিল রায়হান” বিরক্তির সুরে বলল মেহতাব।
“আরেহ ভাই আমি কি ইচ্ছে করে ইঞ্জিন নষ্ট করেছি নাকি?”
“এবার উপায়?”
ঠিক তখন এক ভ্যান ওয়ালা তার ভ্যান থামিয়ে বললো, “চিন্তা কইরেন না সাহেব।সামনেই গাড়ি ঠিক করন এর গ্যারেজ আছে।আমি অহানে যাওয়ার পথে পাঠায় দিমু”
আগন্তুক এর মতন এসে সাহায্য করে দিয়ে গেলো লোকটি।তাকে ধন্যবাদ দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলো সবাই। মিনিট বিশেক অপেক্ষা করে গ্যারেজ থেকে লোকজন এসেছে।তারা বাসের সমস্যা চেক করে বললো অনেক সময় লাগবে ঠিক করতে।প্রায় দুই তিন ঘণ্টা।রায়হান,মেহতাব ভাবলো নতুন বাসের ব্যবস্থা করবে।কল করে আরেকটা বাস পাঠানোর জন্য বলেও দেওয়া হলো সঙ্গেসঙ্গে।
রায়হান বললো, “হোটেল দশ মিনিটের রাস্তা।আমরা আপাদত সেখানে গিয়ে ওয়েট করি।এভাবে নষ্ট বাসে বসে থাকলে কি লাভ?”
“চল!”
বিগত এক ঘন্টা যাবৎ নতুন বাসের অপেক্ষায় হোটেলে বসে আছে। একটিবারের জন্য মেহতাব আদরের কাছে আসেনি।এদিক ওদিক ফোন কানে ছোটাছুটি করছে।অন্যদিকে ক্ষুদায় নাজেহাল অবস্থা।কারো মধ্যেই খাওয়া দাওয়া নিয়ে তাড়া নেই।আদর একা খেতে চাইলে খারাপ দেখাবে।চুপচাপ মুখ ছোট করে বসে।হুট করে মনে পড়লো বাসে সকালের নাস্তা দেওয়া হয়েছিলো।কেক, জ্যুস, আর ফ্রুটস।সবার চোখের আড়ালে কেক বের করে ইদুর ছানার মতন কুটকুট করে খেয়ে চলেছে।কেউ যেনো না দেখতে পায়।হটাৎ মেহতাব এর চোখ পড়লো আদরের দিকে।পরপর হাত ঘড়িতে সময়টা দেখে নিয়েছে।দুপুর আড়াইটার মতন বাজে।
চেয়ার টেনে আদরের পাশে বসে বললো, “ক্ষুদা পেয়েছে?”
“হুম”
“মুখ দিয়ে সেটা বলা যায় না?”
“এতগুলো মানুষের সামনে এসে বলবো আপনাকে আমার ক্ষুদা লেগেছে?এটা কেমন দেখায়?”
“বসো।ব্যবস্থা করছি আমি।আর এই যে কেক?..এটা ফালাও এক্ষণ!খাওয়ার প্রয়োজন নেই”
খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলো। বাসও চলে এসেছে। চার ঘণ্টা সময় নিয়েছে আসতে।সূর্য তেজ কমিয়ে অন্ধকার ঘনাচ্ছে চারিদিকে।দেলাওয়ার সাহেব আরো কয়েকজন মিলে সব জিনিস অন্য বাসে ট্রান্সফার করে নিলো।সবাই যারযার জায়গায়।আদরের পাশের সিটটা শুধু খালি।মেহতাব বিনাবাক্যে এসে বসে পড়লো।চশমা খুলে মাথা সিটে এলিয়ে দিলো।অনেকটা খাটাখাটনি হয়ে গেছে এই বাস নষ্ট হওয়ার ফলে।
আদরের মায়া হলো।প্রশ্ন করলো,
“আপনি কি ক্লান্ত?”
মেহতাব আদরের দিকে ফিরল।তার চেহারা দেখে নিলো একবার।মাথা দুলিয়ে বলল,
“নাহ”
বললেই হলো ক্লান্ত না।চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সব।আদর তৎক্ষনাৎ তার কাঁধ ব্যাগ থেকে ট্রাভেল পিলো বের করে মেহতাবের দিকে এগিয়ে দিলো।বললো,
“আমার জন্য এনেছিলাম।কিন্তু আমার একদম ঘুম আসছে না।আপনি ইউজ করেন আপাদত।আমার লাগলে আমি চেয়ে নিবো।”
মেহতাব সেখানে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে।চোখের পলকে তাকে ঘুমোতে দেখে অবাক আদর।খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো তাকে।পুরো মুখশ্রী পর্যবেক্ষণ করছে।আগেও দেখেছে তাকে।কখনো মুগ্ধ হওয়ার কথা মাথায়ও আসেনি। ইদানিং তার সবকিছুই নজরে লাগে।রেগে,বিরক্ত হয়ে, চিন্তিত সকল ভঙ্গিই আকর্ষণ করে আদরকে।দেখতে দেখতে কখন সময় পেরিয়ে গেছে সেখানে খেয়াল নেই। মুচকি হেসে জানালার পাশে মাথা রাখলে এক দমকা হাওয়া মুখ ছুঁয়ে যায়। মেহতাবের সাথে তার পাশে বসে যাওয়ার মধ্যেও এক আলাদা অনুভুতি।
পেছন থেকে গম্ভীর স্বর ভেসে আসলো, “মাথা ভেতরে নাও”
“আপনি জাগলেন কখন?”
“আমি ঘুমোলে তারপর না জাগবো?”
রাতের খাওয়া দাওয়া বাসেই সেরেছে সবাই।আদরকে জোর জবরদস্তি তার অপছন্দের খাবার খাইয়েছে মেহতাব। ডিম তার কোনোকালেই পছন্দ না।আজ ডিম খেয়ে মুখ ডিমের মতন ফুলিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে অনেকক্ষন হলো।বাস ড্রাইভার আর মেহতাব বাদে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। ড্রাইভারের চোখ সোজা রাস্তায় আর মেহতাব এর চোখ আদরে।আশপাশ সামান্য অন্ধকার।চারপাশে সামান্য চোখ বুলিয়ে আদরের মাথা টেনে রাখলো তার কাধে।তার মাথা ঠেকেছে আদরের মাথার উপর।ঘুমোবে না শুধু চোখ বন্ধ করে নিলো।ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করছে আদর।হালকা ঘুরে মেহতাবের কোমর জড়িয়ে রেখেছে বুকে।মেহতাব কিছুক্ষন চুপ করে তাকে অনুভব করলেও একটু নড়েচড়ে উঠলো।কেউ দেখলে খারাপ দেখাবে।
আদরের বাহু ঝাকিয়ে নিচু স্বরে বলল,
“একটু সরে বসো আদর”
আদর বিভোর তন্দ্রায় নিমগ্ন।কানের কাছে হালকা আওয়াজ শুনছে।কিন্তু মস্তিস্ক তাতে কোনোভাবেই সাড়া দিতে রাজি নয়।মেহতাব তাকে বারবার ওঠানোর চেষ্ঠা করলেও এক চুল নড়লো না।উল্টো আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিয়েছে।নাক কুচকে অস্পষ্ট আওয়াজে বলে উঠলো,
“একদম বিরক্ত করবেন না।অনেক জ্বালান!”
মেহতাবের ঠোঁটে প্রশস্ত হাসির ঝলক।তার কথা তাকেই ফেরত দেওয়া হলো?কে কাকে বিরক্ত করে সেটা জানাই আছে।আদরের চুলে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে।বুকের উপর ভারী কিছু ভীষণ রকমের শান্তি দিচ্ছে।থাকুক কিছুক্ষন।আদরের ঘুমন্ত মুখশ্রী এর দিকে চেয়ে মেহতাব এর ইচ্ছে জাগলো। সেতো ঘুমিয়ে।কিছু বললেও শুনবে না।
কানের কাছে মুখ এনে ভারী কণ্ঠে বলল,
“এতটুকুতে কি তৃষ্ণা মেটে?আরো ব্যাকুলতা বাড়ায়।তোমাকে বুকে দিয়ে আমি হাজার জনম পাড় করে দিতে পারবো।কোনো বিরক্ত করবো না।তুমি আরামে ঘুমিও”
চলবে….