চিত্তসন্ধি পর্ব ৫ লেখা: #Azyah

0
4

#চিত্তসন্ধি
পর্ব ৫
লেখা: #Azyah

“শেষ হলে খেয়ে নিন।আগামী দিন থেকে দুপুরের খাবার সাথে আনবেন।আর সেটা অবশ্যই আমার দেওয়া ডায়েট প্ল্যান অনুযায়ী”

“আমি বাড়ি গিয়ে খেয়ে নিব।আপনার চিন্তা করতে হবে না”

“আপনাকে কে বললো আমি আপনার জন্য চিন্তা করছি?”

থতমত খেয়ে গেলো আদর। অপমানিতবোধ করলো কিছুটা।সে যা বলতে চেয়েছিলো তার মানে মোটেও এটা বোঝায় না।

নিজের পক্ষ নিয়েই বললো,

“আমি সেটা বুঝাই নি।বলেছি বাড়ি গিয়েই দুপুরের খাবারটা সেরে নিবো”

মেহতাব আবার প্রশ্ন করলো,

“আপনাকে কে বলেছে আপনি দুপুরের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারবেন?”

“মানে?”

“চারটার দিকে পেশেন্ট আসা শুরু করবে।আমার সাথে থেকে কাজগুলো বোঝার চেষ্ঠা করুন।আর যা করতে বলা হবে করবেন”

“ঠিক আছে”

“বাড়ি ফিরবেন সন্ধ্যায়।এখন খেয়ে নিন”

দেলোয়ার হোসেন তাদের কথাবার্তা শুনে বুঝলেন আজ একটি প্লেটের জায়গায় দুটো লাগবে। মেহতাব এর কিছু বলার আগেই সেও তড়িঘড়ি করে আরেকটি প্লেট এনেছে। মেহতাব উঠে গেলো।সাদা এপ্রোন চেয়ারে ঝুলিয়ে রেখে।হাত ধুয়ে নিলো শার্টের হাতা উল্টিয়ে হাত ধুয়ে পূনরায় এসে বসেছে।খুবই আয়েশী ভঙ্গিতে। দেলোয়ার সাহেব তাকে খাবার বেড়ে দিয়ে আদরের দিকে এগোলেন।

তখনই মেহতাব বললো,

“ওনাকে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে বেশি ভাত দিবেন।সাথে সবজি।আজ প্রোটিন হিসেবে কি আছে?”

“মাছ আছে স্যার”

“এক পিসের পরিবর্তে দুই/তিন পিস দিন”

এত এত খাবারের কথা শুনেই দম আটকে আসছে। দ্রুত ভঙ্গিতে বলে উঠে আদর,

“আমি এত খাবার খেতে পারবো না”

“খেতে হবে।ওয়েট গেইন করতে হবে। হেলথি লাইফ লিড করতে হবে”

করুন স্বরে বলে উঠলো,

“দেখেন আমি চেষ্ঠা করছি আস্তে আস্তে।জোর করে সব হয়না।একটু একটু করে খাবারের পরিমাণ বাড়াবো।আপনার দেওয়া ডায়েট প্ল্যান অনুযায়ীই খাবো।”

মেহতাব একদৃষ্টিতে আদরের দিকে কিছুক্ষন চেয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেলেছে।করুন তার চেহারার শ্রী।হাসি আসছে তার অবস্থা থেকে।মুচকি হাসতে চাইলেও নিজের হাসিকে কন্ট্রোল করে বললো,

“ঠিক আছে তাই যেনো হয়।আর শুনুন?বলেন এই প্লেটের রং কি?”

“এই প্লেটের রং? সাদা। কেনো?”

“খাবার শেষে যেনো প্লেটের রং সাদাই থাকে।”

“বুঝিনি”

“একটা দানা খাবারের যেনো এখানে অবশিষ্ট না থাকে। বোঝাতে পারলাম?”

“আচ্ছা”

অপরিচিত মানুষের সামনে খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে ভীষণ অসস্তি অনুভব করে আদর।তাও আবার অপরিচিত পুরুষ মানুষ।বাড়িতে বসে আপনজনদের সাথে আরাম করে খাওয়ার ব্যাপারটাই আলাদা।কিন্তু এখানে?পাশেই দেলোয়ার হোসেন সং সেজে দাড়িয়ে।আরো অসস্তি বাড়িয়ে তুলছে।

খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছে সে।সামনে বসা মানুষের খাবারের দিকে বেশি মনোযোগ তার।কাউকে কোনো গুরুত্ব না দিয়েই খেয়ে যাচ্ছেন তিনি।মাথা নামিয়ে।যেনো এই রুমে সে আর তার খাবারের প্লেট ছাড়া আর কারো,কোনোকিছুর অস্তিত্ব নেই।তাছারাও তার ভঙ্গি।খাওয়ার ধরন।মানুষের খাওয়ার ধরনও কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে?বাম হাতের দিকে তাকালে দেখা যায় একটা কালো রঙের ঘড়ি।হাতের লোমের সাথে মিলেমিশে সুন্দর দেখাচ্ছে। ডাক্টাররা আসলেই অনেক পরিপাটি হয়।গোছানো হয়।আদর একটু অগোছালো।তাই হয়তো সব গোছানো জিনিস তার মনোযোগ টানে।

“আমার খাবারের দিকে চেয়ে থাকলে আপনার খাবার শেষ হবে না”

হচ্কচিয়ে উঠলো আদর।মাথা নামিয়ে খাচ্ছে।তারপরও বুঝলো কি করে? মাথায়ও কি চোখ আছে নাকি তার?এমনেতেই চার চোখের অধিকারী সে। চশমাসহ। শ্রবণশক্তিও বেশ ভালো।আবার মনের কথাও শুনে ফেলে। ভীষন ভয়ংকর ব্যাপার স্যপর!কসাই সাহেব থেকে সাবধানে থাকা লাগবে।মুখের সাথে মনেরও লাগাম টেনে দিতে হবে।কথা না বাড়িয়ে নিজের খাবারে মনোনিবেশ করলো।

____

দুপুর থেকে বিকেল গড়িয়েছে।একের পর এক পেশেন্ট এসেই যাচ্ছে।ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন রোগ।এদের দেখেই হাপিয়ে উঠছে আদর।কিন্তু মেহতাব?সে খুব এনার্জির সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মুঝে একফোঁটা বিরক্তির ছাপ নেই।কয়েকজন রোগীর ফাইল তৈরি করা দেখিয়ে তাকে আপাদত এই দায়িত্ব দেওয়া হলো।রোগীদের নাম,সমস্যা আর পরবর্তী সময়ে তাদের জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সেগুলো একে একে বলছে মেহতাব।আর আদর সেগুলো কাগজে টুকে নিচ্ছে।গুনে গুনে বিশজন রোগী দেখা শেষ।

মেহতাব আদরের কাছ থেকে তার নোটবুক নিয়ে চেক করতে করতে আদরকে বললো,

“বাহির থেকে দেলোয়ার চাচাকে ডাকুন”

আদর তার কথামত দরজা দিয়ে হালকা উকি মেরে বললো,

“আপনাকে ভেতরে আসতে বলেছে”

দেলাওয়ার হোসেন ঢুকে প্রশ্ন করলেন,

“স্যার ডেকেছেন?”

“হ্যা”

“বলেন স্যার”

মেহতাব তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে তার ডেস্কের ঠিক সামনের খালি জায়গা দেখিয়ে বললো,

“কাল এখানে আরো একটা ডেস্কের ব্যবস্থা করবেন।ঠিক আমার বরাবর।অত বড় হওয়া দরকার নেই।সাথে চেয়ার”

“জ্বি আচ্ছা”

“মিস আদর?”

“জ্বি?”

“আমার আগামীকাল একটা সার্জারি আছে।পেশেন্টের নাম,বয়স,সময়,কি বিষয়ক সার্জারি সেটা লিখে রাখুন।আর বাড়ি চলে যান।আজকের কাজ এই পর্যন্তই”

নিজেকে আজ অনেক বড় কাজের লোক মনে হচ্ছে। প্রথমদিনই শরীরের উপর দিয়ে যে ধকল গেছে!জানে না বাকি দিনগুলো কি হবে।আর সেখানে দেখো? কসাই সাহেবের চেহারায় একফোঁটা ক্লান্তি নেই।এদিকে তার শরীরের প্রত্যেকটা হাড়ে ভাঙচুর ধরে গেছে।নড়বড়ে লাগছে।এখন আবার বাসের মধ্যে যুদ্ধ করা লাগবে।এসব ভেবেই তেতিয়ে উঠছে আদর।

“একা আসা যাওয়া করতে পারেন?”

“ভার্সিটি পড়ুয়া এক মেয়েকে একা আসা যাওয়া করতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করছে!আর একা আসতে যেতে না পারলে কি সে আমার জন্য প্লেন ভাড়া করে দিবে? যত্তসব!” মনে মনে বলছে আদর।

“কিছু বললেন?”

“নাতো।আমি পারবো”

“ওকে। সি উই টুমোরো”

আদর কোনো উত্তর না দিয়েই বেরিয়ে পড়েছে।পরপর মেহতাবও।বিকেল পাঁচটা ত্রিশ।একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে।কিন্তু গরমের তেজ এখনও কমছে না।এতখন এসির বাতাসে থেকে নিজেকে সুইজারল্যান্ড এর অধিবাসী মনে হচ্ছিলো।এখন এসে পড়লো আরবের মরুভূমিতে।তপ্ত গরমে কপাল কুঁচকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। মেহতাব পার্কিংয়ে গিয়ে ইকবাল রহমানকে বললেন গাড়ি বের করতে।গাড়িতে বসে ক্লিনিকের মুখ্য দরজা পার করতে গিয়েই আদরকে চোখে পড়ে।সে এখনও এখানে দাড়িয়ে কি করছে?কারো অপেক্ষা করছে কি?ইকবাল রহমান গাড়ি টান দিতে নিলেই মেহতাব থামিয়ে বলে,

“দাড়ান ইকবাল চাচা”

“এখানে দাড়াবো?জ্যাম লেগে যাবে স্যার”

আদরের দিকে চেয়েই উত্তর দিলো,

“একটু সাইড করে দাড় করান”

“জ্বি আচ্ছা”

এভাবেই পনেরো মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেলো।না আদরের কোনো নড়চড় দেখা যাচ্ছে না মেহতাব এর।সেও আদরের চলে যাওয়ার অপেক্ষায় তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মুখে তার গম্ভীরতা।বিরক্ত লাগছে তাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে।রাগ হওয়ার মতন কোনোকিছু না হলেও রাগ হচ্ছে তার প্রতি। ত্রিশতম মিনিটের শুরুতে ইকবাল রহমান আবার বললেন,

“স্যার যাবেন না?”

গাড়ীর দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো।যাওয়ার পথে ইকবাল রহমানকে বলে গেলো,

“আর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন।আসছি”

হঠাৎ করে মেহতাবকে সামনে এসে দাঁড়াতে দেখে চমকে উঠলো আদর।তার মুখোমুখি পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।মুখে চরম বিরক্তি।তার কুচকে থাকা কপাল তার সাক্ষী।আদর তাকে দেখে ভাবছে আবার কি হলো?

“আপনি?”

“দাড়িয়ে আছেন কেনো?”

“বাসের… আরেহ আরেহ! সরেন বাস চলে এসেছে”

মেহতাব এর সামনে থেকে সামান্য সরে দৌড় লাগালো।যাওয়ার পথে ধাক্কাও লেগেছে তার গায়ে। আচমকা ধাক্কা লাগায় নড়েচড়ে উঠেছে মেহতাব।পেছন ঘুরে তাকাতেই চোখের পলকে চলতি বাসে একলাফে উঠে পড়ল আদর। এতক্ষন তার দাড়িয়ে থাকা নিয়ে যে রাগ হচ্ছিলো সেটা আরো বেড়ে গেলো তার হেয়ালিপনায়।এভাবে বাসে কেউ উঠে?যদি কোনো দুর্ঘটনা হতো!নির্বোধ নাকি এই মেয়ে?

___

বাবা আশরাফ মাহমুদ মেয়েকে হেলেঢুলে ঘরে প্রবেশ করতে দেখে এগিয়ে গেলেন।সেখানে আদরের খেয়াল নেই।তার পায়ের জুতো একটা ঘরে আরেকটা বাইরে।ব্যাগ ফেলেছে খাবার টেবিলে।এসেই ঘরের এসির পাওয়ার বাড়িয়ে ধপাস করে শুয়ে পড়লো।

“কেমন গেলো কাজের প্রথম দিন আমার মেয়ের?”

“জঘন্য!”

“কেনো মা?”

“এমনি”

মেয়ের পায়ের মোজা খুলে দিতে দিতে আশরাফ মাহমুদ বললেন,

“তোমার জঘন্য লাগার কারণ হচ্ছে তুমি কাজটাকে মেনে নাও নি।মেনে নেওয়ার চেষ্ঠা করো দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।আর তোমার পড়ালেখা শেষ হতে চললো।একটু এক্সপিরিয়েন্স গ্যদার করো মা।কখন কোথায় এসব কাজে লেগে যাবে তুমি বুঝতেও পারবে না।”

“আগেও তো ফিল্ডে কাজ করেছি।তখন এমন লাগেনি।আমার সমস্যা কাজ না বাবা।আমার সমস্যা ওই ডাক্তার।”

“কি করেছেন উনি?”

“কিছুই করেননি।আবার অনেককিছুই করেন।অনেক রাগী মনে হয় দেখে।কাজের প্রতি অনেক পসেসিভ।”

“তোমাকে অযথা রাগ দেখায়?”

“উম! না ঐযে একটু খাবার,মেডিসিন নিয়ে।কাজের প্রথমদিন ছিলো আজ।সামনে দেখি কি হয়?”

“শোনো আম্মু।সে যদি অযথা রাগ দেখায় সেটা অবশ্যই অন্যায় হবে।কিন্তু যদি তোমার ভালোর জন্য তোমাকে কিছু বলে তুমি শুনবে। পজেটিভভাবে নিবে।আর যদি শুনতে ভালো নাই লাগে এক কান দিয়ে ঢুকাবে।অন্য কান দিয়ে বের করে দিবে।প্রবলেম সলভ”

“কি সুন্দর বুঝাও তুমি বাবা!” বাবার কোলে মাথা রেখে আরাম করে শুয়ে পড়লো আদর।

“হয়েছে হয়েছে।এবার খেয়ে নিন” জোহরা খাতুন ভাত মাখতে মাখতে রুমে প্রবেশ করলেন।

“আমি খাবো না ভাত।খেয়ে এসেছি”

“মানে? কোথায় খেলি?তুই আবার বাহিরের খাবার খেয়েছিস আদর!”

“আরেহ আম্মু পুরো কথা শুনো আগে?ঐযে দ্যা গ্রেট কসাই। আই মিন ডাক্তার সাহেব।আমাকে এত্তগুলা ভাত খাইয়ে দিয়েছে।তাও আবার হসপিটালের খাবার। ইয়াক!”

জোহরা খাতুন সামান্য থমকালেন।মেয়ের দিকে চেয়ে কিছুক্ষন আনমনে ভেবে নিলেন।পরপর “আচ্ছা” বলে চলে গেছেন।

_____

“তোর প্যাকিং কত দূর?”

“বড় লাগেজে অনেককিছু প্যাক করে ফেলেছি।বাকিগুলো করবো যাওয়ার আগের দিন।”

“ফ্লাইটের বেশি সময় নেই।চারদিন বাকি মাত্র”

“জানি ভাইয়া” মিশা কথা বলছে আর সকল ডকুমেন্ট একে একে ঠিক করে নিচ্ছে।সব কাগজগুলো ভালোমত চেক করে ফাইলে নিয়ে নিচ্ছে।মা আফসানা বেগমের ইচ্ছে ছিলেন মেয়েকে বিলেতে পড়ালেখা করতে পাঠাবেন।আর ছেলেকে ডাক্তার।ছেলে ডাক্টার হয়েছে।এবার মেয়ের পালা। ইউএসে, অস্ট্রেলিয়াতে এপ্লাই শেষে ইউকে থেকে মিশার অফার লেটার এসেছে।সাথে যাচ্ছে তার বাবা।মেয়েকে একা ছাড়া যায়না।ভিনদেশে মেয়ে মানুষ একা কিভাবে সামলে উঠবে?মেয়ে ছাড়া ছেলের চিন্তাও তার মাথায়।সে দেশে একা কিভাবে থাকবে?কত বললো একটা বিয়ে করে নিতে।কথাই শুনলো না ছেলেটা।কাকে রেখে কার কথা ভাববেন তিনি?শেষমেশ ছেলে একা থাকতে পারবে বলে আশ্বাস দিলে কিছুটা মনকে বুঝ দিলেও চিন্তা থেকেই যায়।

মিশার সামনে বসে তার ব্যস্ততা মাখা মুখ দেখছে।কাগজের মেলায় হারিয়ে যাচ্ছে যেনো সে।বোনকে দেখে মায়ের কথা মনে পড়ে। চেহারাটা ঠিক তার মায়ের মতন। কথায় আছে ছেলেরা মায়ের মতন হয় আর মেয়েরা বাবার মতন।তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো।সব কাগজপত্র ফাইলে রেখে হাফ ছেড়ে বাঁচলো মিশা।

“কাল একটা সার্জারি আছে।এরপর দুই দিন অফ ডিউটি। ভাবছি পরের দুইদিন ছুটি নিবো।”

“ঠিক আছে ভাইয়া”

“ঘুরতে যাবি?”

“না”

“রেগে আছিস?”

ফাইলটা দূরে সরিয়ে ভাইয়ের নিকটে গিয়ে বসলো।মাথা নিচু করে বললো,

“রেগে নেই আমি।চিন্তা হয় তোমার জন্য।আমাদের ছাড়া একা কিভাবে ম্যানেজ করবে?”

মেহতাব স্মিথ হাসলো,

“পারবো।”

“এখনও সময় আছে ভাইয়া বিয়েটা করে নাও।”

“ঘুরতে যাবি কিনা বল”

“যাবো!”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here