চিত্তসন্ধি পর্ব ৫৪ লেখা: #Azyah

0
2

#চিত্তসন্ধি
পর্ব ৫৪
লেখা: #Azyah

অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে।অর্ধ মাস বেশ কেটেছে মেহতাবের সঙ্গে।তাদের নতুন জীবনে।পুরনো কাজ শুরু আবার।নতুন রূপে।পূর্বে আলাদা পথে হাটা দুজনের পথ এক। সবসময়ের মতন একহাতে স্টেরিং চেপে নির্বিকার গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে মেহতাব।আদর বারবার আলগোছে তার মুখ পানে চেয়ে।মনের মধ্যে ভিড় জমানো অনেক কথারা।অনেকবার তার সাথে গাড়ি চড়া হয়েছে।ঠিক একই ভাবে!তবে এক ভিন্নরকম ভালোলাগা।পাশে বসে থাকা মানুষের সাথে যেখানে কোনো কথা বলা দায় ছিলো তার সাথেই এক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ।
অনেককিছু ঘটে গেছে।আদরের চক্ষুদ্বয় সাক্ষী। মেহতাবের আক্রোশ,জেদ,ব্যাকুলতা, উন্মাদনা সমস্তটা দেখা শেষ।

দাড়িগুলো সামান্য বড় রাখায় মুখের গাম্ভীর্য বেশি ফুটে উঠেছে।তাছারাও তার উঠানামা করা চোখের পলক বারবার নজর কাড়ে।তার প্রত্যেকটা প্রতিক্রিয়া ভালোলাগা আর ভালোবাসা নামক শব্দদ্বয়কে বর্ধন করে।

“সারাদিন দেখার পর মন ভরে না তোমার?”

মেহতাবের মুখশ্রীর ঘোর ভাঙলো তারই কণ্ঠস্বরে। হচকচিত ভঙ্গীতে সামনের দিকে দৃষ্টিপাত করেছে আদর।বিড়বিড় করে কিছু আওরালোও বটে।তবে মেহতাবের কানে এসে সেটা স্পস্ট পৌঁছায় নি।

মিনিট বিশেক পর তারা পৌঁছে গেছে ক্লিনিকে।আদরকে দাড় করিয়ে গাড়ি পার্ক করতে গেছে মেহতাব।অনেকদিনপর আসায় আদরের উৎসুক্তা আকাশচুম্বী।যেখানে কাজ করার নূন্যতম ইচ্ছে ছিলো না সেখানে আসার জন্যই ব্যাকুলতা ধরে রাখতে পারেনি।একহাতে ব্যাগ নিয়ে আদরের দিকে এগিয়ে আসলো মেহতাব।

আদর বললো, “দেন ব্যাগ আমার হাতে”

আদরের কথার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলো তার এলোমেলো চুলে। তাড়াহুড়ো করে চুল পর্যন্ত ঠিকমতো আঁচড়ায় নি।

একহাত দিয়ে আদরের চুল ঠিক করে মেহতাব বললো,

“আমার ব্যাগ আমি নিজেই নিবো।চলো”

কেবিনের বাইরে দেলাওয়ার চাচাকে দেখতে পেলো আদর।মুখে তার চওড়া হাসি।যেনো সেও আদরকে দেখে ভীষণ খুশি।পেছনে হাত বেধে দাড়িয়ে আছে।আদর সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

“কেমন আছেন?আমি সেদিন এসেছিলাম আপনাকে পাইনি”

বিনয়ের সুরে দেলাওয়ার চাচা উত্তর দিলেন, “আমিতো অনেক ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন?”

“আমিও ভালো আছি”

মেহতাব কোনো কথা ছাড়াই কেবিনে ঢুকে গেছে।এই সুযোগে দেলাওয়ার চাচা বললেন,

“আপনার বিয়াতে আসার অনেক শখ আছিলো কিন্তু কি করবো?দেশে গেছিলাম।”

“তাইতো আমি ভাবি!আপনি আপনার স্যারের বিয়েতে আসেননি।এটা কিভাবে সম্ভব?”

দেলাওয়ার হোসেন এর সাথে পাঁচ দশ মিনিটের আলাপ শেষে কেবিনে প্রবেশ করতেই চমকে উঠলো আদর।পকেটে হাত গুজে ঠিক দরজা বরাবর দাড়িয়ে আছে মেহতাব। বিরক্ত তার মুখভঙ্গি।বিস্মিত সুরে আদর প্রশ্ন করলো,

“কি?”

মেহতাব বিপরীতে প্রশ্ন করে বসে, “কি?”

“সং সেজে দাড়িয়ে আছেন কেনো?”

“কি এমন আলাপ করলে দেলাওয়ার চাচার সাথে?”

মেহতাবকে টপকে কেবিনের ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আদর বললো,

“এই দিন দুনিয়ার আলাপ করলাম।আপনি এসব বুঝবেন না।”

মেহতাবও গুরুত্ব দিলো না।নিজের জায়গায় গিয়ে বসেছে।বসেই অর্ডার করে দিলো,

“এক কাপ চা লাগবে”

নিজের ডেস্ককে অনেকদিন পর দেখতে পেয়ে খুশিতে আটখানা। ডেস্কের মধ্যে ভিন্নতা এসেছে। হাতড়ে দেখছে সবকিছু আদর।মেহতাব টেবিলে ঠকঠক শব্দ করে আবার বললো,

“শুনেছো কি বলেছি?”

“আপনি বানিয়ে খান না!”

“রি-জয়েনিং এর প্রথমদিনই কাজে অনীহা করা হচ্ছে?”

মেহতাব এর কথায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আদর।নিজের ডেস্কের মায়া ত্যাগ করে চা বানাতে গিয়েছে।বানিয়ে মেহতাব এর টেবিলে রেখে ফিরে যেতে নিলে মেহতাব ডেকে বলে,

“এখানে এসো”

বিনাবাক্যে মেহতাবের সামনে ভোতা মুখে দাড়িয়েছে আদর। তৎক্ষনাৎ টান পড়েছে হাতে।আদর ঘাবড়ে!ইচ্ছেকৃতভাবে টেনে কোলে বসানো হয়েছে। কোমড় শক্ত করে খামচে ধরে নেশাতুর দৃষ্টি আদরে নিবদ্ধ।

ব্যথায় কুঁকড়ে আদর করুণ কণ্ঠে বলে উঠে,

“ব্যথা পাচ্ছি”

“একটু ব্যাথা পাওয়া ভালো!”

বোকা চোখে মেহতাবের দিকে চাইলো আদর।ব্যথা পাওয়া ভালো সেটা কোথায় লেখা আছে?আপাদত এই প্রশ্ন তার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

অপরদিকে মেহতাবের দৃষ্টিতে খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা ঘুরিয়ে বললো,

“কাজে এসে এসব অসভ্যতামি করছেন কেনো?আমাকে আমার জায়গায় যেতে দিন।”

“এই জায়গায় তোমার আর আমার রোল দুইটা। আপদত আমি একজন অসভ্য হাসবেন্ড এর রোল প্লে করছি।তুমিও চাইলে ওয়াইফের রোল প্লে করতে পারো। দশ মিনিট সময় দিলাম।এরপর আমি রাউন্ডে যাবো।”

আদর সোজাসুজি উত্তরে বলে উঠে, “আমি আপাদত অ্যাসিস্ট্যান্ট এর রোল প্লে করতে চাচ্ছি।তাই নির্লজ্জের মতন আমাকে নিজের সাথে বেধে না রেখে ছেড়ে দিন!”

আদরের হাতের তালুতে চুমু খেয়ে ছেড়ে দিলো।এবার চায়ে মনোযোগ দেওয়া যাক।বাড়িতে অল্পকিছুদিনে অনেকবার চা বানিয়ে খাইয়েছে আদর। ক্যাবিনে অনেকদিনপর।ফেলে আসা দিনগুলো পুনর্জীবিত হয়ে উঠছে।

রাউন্ডে যাওয়ার আগে মেহতাব পূনরায় ডাকলো আদরকে নিজের কাছে।আদর সামনে এসে দাড়ালে মেহতাব আয়েশী ভঙ্গিতে চেয়ারে হেলান দিয়ে বলে,

“রাউন্ডে যাবো।কোনো ঘুমানো টুমানো যাবে না।এইযে ফাইলগুলো দেখছো এগুলো রিচেক দাও।”

“আচ্ছা”

“আর হ্যাঁ। ক্যাবিনে যা যা করবে আমি কিন্তু সব দেখবো।সো বি কেয়াফুল”

“মানে?”

মেহতাব আদরকে পূনরায় নিজের কোলে বসিয়ে ল্যাপটপে অন করলো।একেরপর এক ফাইল ওপেন করে শেষ ফাইলে লেখা আসলো প্রাইভেট অ্যালবাম।টানটান উত্তেজনা নিয়ে আদরও ল্যাপটপ স্ক্রিনে চেয়ে।ভিডিও অন করে আদকে দুইহাতে পেঁচিয়ে কাধে মাথা রাখলো মেহতাব।

প্রথমেই স্ক্রিনে ভেসে এলো আদরের সেদিনের কার্যকলাপ। মেহতাবের এ্যাপ্রোণ গায়ে ক্যাবিনে ঘুরে বেড়ানো।তার চেয়ারে গিয়ে আয়েশ করে বসা। অদ্ভুত মুখের ভাবভঙ্গি।আদরের চোখ এতটুকুতেই ছানা বড়া।চোখের মণি যেনো কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে।হাত আপনাআপনি চলে গেলো মুখে।নিজের চুরি এভাবে ধরা পড়ে গেল সেটা ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে।

হতবাক চোখে মেহতাবের দিকে চাইলে সে বলে,

“আদর একটা চোর”

বলে হেসে ফেলে মেহতাব। অপরাধীর মতন চক্ষুদ্বয় নামিয়ে ফেললো আদর।মেহতাব তার মাথা তুলে আবার বললো,

“আরো আছেতো।এখনই সব লজ্জা পেলে হবে বলো?”

“আরো আছে মানে?”

“দেখোই না”

পরবর্তি দৃশ্যে ভেসে উঠলো মেহতাবের অসুস্থতার দৃশ্য। বিদ্ধস্ত তার অবস্থা!আদর অভিমান করে চলে যেতে চাইলে তাকে জরিয়ে ধরে নিজের সাথে।এখানটায় পজ করলো মেহতাব।আদরের পানে মাথা তুলে চেয়ে বললো,

“সেদিন প্রথমবার তোমায় আমার বুকে জড়িয়ে নিজের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত অস্থিরতার নিঃশেষ করেছিলাম। তিনটা দিন অনেক কষ্ট দিয়েছো।তিলেতিলে নিজের অনুপস্থিতি টের পাইয়েছো। অবশ্য দোষ আমার ছিলো।না বকলেই পারতাম তোমায়।”

নিশ্চুপ আদরের সামনে নিজের ফোনটা তুলে ধরলো। ওয়ালপেপারে ভেসে আসছে ঠিক একই দৃশ্য।আদরকে জড়িয়ে ধরে রাখার দৃশ্য।হোম স্ক্রীন থেকে চলে গেলো গ্যালারিতে। স্লাইড করতে করতে দেখা মিললো আদরের হাজারো ছবির।

আবারো ভিডিও প্লে করেছে।অন্ধকার কেবিনে আদরকে ঘুমস্ত অবস্থায় দেখা গেলো।পরপরই মেহতাব আসে সেখানে।পাশে বসে কপালে চুমু খায়।

মেহতাব বললো, “মোটেও ঘুমন্ত অবস্থায় সুযোগ নেইনি।নিজেকে আটকাতে পারি।”

পরপর ভেসে আসে মেহতাব আর আদরের কাছে আসার দৃশ্য।অল্প অল্প করে দুরত্ব মিটিয়ে একে অপরের অনেকটা কাছাকাছি।প্রত্যেকটা মুহূর্ত আলাদাভাবে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে মেহতাব।সর্বশেষে দেখা গেলো সেদিন সন্ধ্যার একটি ফুটেজ। বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় অধরে অধর মিলে যাওয়ার দৃশ্য।আদর এবার নড়েচড়ে উঠলো। ল্যাপটপ অন্যদিকে ঘুরিয়ে বললো,

“আর দেখা লাগবে না।বুঝেছি আপনি আমার চেয়ে বড় চোর।”

মেহতাব ল্যাপটপ তাদের দিকে ফিরিয়ে আবার ভিডিও প্লে করেছে।আদরের হাত শক্ত করে চেপে ধরলো যেনো ল্যাপটপ অফ না করতে পারে।ফিসফিস করে বললো,

“সত্যিটাকে সচক্ষে দেখার সাহস রাখো আদর!”

আদরের বুঝতে বাকি নেই কেবিনে হিডেন ক্যামেরা লাগানো।এক দীর্ঘনিঃশ্বাস টেনে নেওয়া ছাড়া এখানে আর কিছুই করার নেই।

“সেদিন ইলেকট্রিসিটি চলে গিয়েছিল।তারপরও ক্যামেরা?”

“এই ক্যামেরা ইলেকট্রিসিটি ছাড়াই চলে।”

“কেউ যদি দেখে ফেলে?”

“এতটা বোকা না আমি।আমার কেবিনে ক্যামেরা এটা আমি আর রায়হান ছাড়া কেউ জানে না।সব ফুটেজ আমার কাছেই থাকে।”

“কেনো লাগিয়েছেন?”

“আমিও ভাবতাম কেনো লাগিয়েছি?এখন ভাবি ঠিক কাজই করেছি।নাহয় এত্ত সুন্দর মুহূর্তগুলো হারিয়ে ফেলতাম।”

শেষ দৃশ্যে আদরের কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে মেহতাব।চুল হাতড়ে দিচ্ছে তার।বেশ খানিক সময় বাদে আদরও বসে ঘুমিয়ে পড়ে।এরপর আর কোনো ফুটেজ নেই। ল্যাপটপ ওফ করে মেহতাব চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল,

“আমি আসলে অনেক রোমান্টিক তাই না?”

বেকুব বনে গেলো আদর। মেহতাবের মুখপানে চেয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে উঠে,

“হুম খুব রোমান্টিক।যেকিনা ঠিকমতো বউয়ের সাথে বসে কথাও বলে না।”

“বিনা শব্দে কাছাকাছি এসে শ্বাসপ্রশ্বাসের আদান প্রদানও যে কতটা প্রশান্তির হয়।সেটা জানো?বুঝো?”

“বুঝি না”

“তাহলে তুমি মন থেকে আমাকে অনুভবই করো না”

আদর চটজলদি উত্তর দিয়ে বসলো,

“করিতো অনুভব। আমিতো এমনেই বললাম।রাগ করবেন না প্লিজ!”

আদরের করুন মুখে উল্টে থাকা ওষ্ঠদ্বয়ে ওষ্ঠ ছুঁয়ে মেহতাব বললো,

“তুমি যাই করো, যাই বলো।দিনশেষে আমার তোমাকেই লাগবে আদর!”

মেহতাবের চুলে হাত বুলিয়ে আশ্বস্ত করলো।ঠিক সেই সময় বিনা অনুমতিতে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল রায়হান।এই অবস্থায় অনেকটা হচকচিয়ে উঠেছে আদর।দ্রুত উঠে দাড়ালো।জমিনে এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে দুরত্বে চলে গেলো তাদের। মেহতাব লজ্জায় পড়বে নাকি ধমক দিবে সেটা ভাবছে।শেষমেশ ধমকে বসলো।

“ম্যানারস বলতে একটা জিনিস আছে।কারো কেবিনে ঢুকার আগে নক করে ঢুকতে হয়!”

রায়হান মাথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে মিনমিন করে বললো, “কেবিনে কাজের নামে প্রেম চলে সেটা কিছু না!”

“কিছু বললেন ডক্টর রায়হান?”

“না।আসলে ভুল হয়ে গেছে। নেক্সট টাইম থেকে নক করে আসবো।”

অন্যদিকে আদর পর্দার আড়ালে খিচ মেরে দাড়িয়ে আছে।রায়হান অবশ্যই দেখেছে তাদের ওই অবস্থায়!কি ভাববে সে?লজ্জায় মাথা কাটা গেলো।এখন থেকে রায়হানের সামনে যেতেও অসস্তিতে পড়তে হবে।

রায়হান গলা উচিয়ে বললো, “থাক ভাবি লজ্জা পেতে হবে না আসেন।আম্মা আপনাদের জন্য দুপুরের খাবার দিয়েছে।”

মাথা নামিয়ে বেরিয়ে এলো আদর।রায়হান মেহতাবের পাশের চেয়ার টেনে বসার জায়গা করে দিয়েছে তাকে।কারো মুখেই কোনো কথা নেই।মেহতাব খাবার প্লেটে নিয়ে আদরের দিকে এগিয়ে দিলো নিঃশব্দে।প্লেট আর চামচের আওয়াজ ছাড়া কোনো ব্যক্তিশব্দ নেই।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য রায়হান বললো,

“ভাবি কাজে জয়েন করেছে জেনে আম্মা বললো প্রতিদিন দুপুরের খাবার পাঠাবে।একা একা নাকি ঘর আর কাজ সামলাতে ভাবীর কষ্ট হয়ে যাবে।”

মেহতাব বললো, “কষ্ট করার কি দরকার?জয়তুন খালা আছেনতো”

রায়হান ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো, “আম্মা একটা কথা মুখ দিয়ে বের করে ফেলেছে মানে সেটা আর ফেরত যাবে না।আমার মাথায় পিস্তল ধরে হলেও খাবার পাঠাবে।”

আদর হেসে উঠলো রায়হানের কোথায়।রায়হান আবার বললো,

“ভাবি আপনার ভাগ্য অনেক ভালো বুঝলেন।কি ভালো একটা দেবর পেয়েছেন।আর আমার কপাল!”

শেষ কথাটা মেহতাবের দিকে তীর্যক দৃষ্টি দিয়ে বললো রায়হান।তাকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে এই কথার মাধ্যমে।

মেহতাব খাওয়া থামিয়ে বলে উঠে,

“ভালো দেবরের সাথে সাথে ভালো স্বামী হওয়ার প্রেকটিস করে ফেলেন ডক্টর রায়হান।নাহয় বাকি যতটুক ভালো কপাল আছে সেটাও পুড়বে।আমি নিজে কেরোসিন ঢেলে পোড়াবো ”

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here