#চিত্তসন্ধি
পর্ব ৪০
লেখা: #Azyah
“মেয়ে বিয়ে দিবেন না?”
“দিবো”
“আমার কাছে একটা ভালো প্রস্তাব আছে।ছেলে বিরাট ব্যবসায়ী।”
আশরাফ মাহমুদ চায়ের কাপ টেবিলে রাখলেন।সামনে বসে আছেন যিনি তার নাম দেওয়ান।এলাকার পরিচিত একজন ব্যক্তি।বিয়ে শাদীর কাজ করেন।বাংলায় বলা হয় যাকে ঘটক।
আশরাফ মাহমুদ সাবলীল ভঙ্গীতে বললেন,
“বিরাট নাকি মধ্যম পর্যায়ের ব্যবসায়ী সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে ছেলে কেমন?চরিত্র কেমন?”
“চরিত্রও ভালো। এমনে এমনেইতো এত বড় ব্যাবসা দাড় করায় নাই”
আশরাফ মাহমুদ হাসলেন।বললেন, “চরিত্রের সাথে ব্যবসার কি সম্পর্ক?”
দেওয়ান মিয়া বললেন, “আপনারা বাপু শিক্ষিত মানুষজন।আপনাদের কথার ধাঁচ আমরা বুঝতে পারবো না।কিন্তু এই ছেলে হাতছাড়া করার মতন না।বহুত মেয়ের বাপ মা পাগল তার কাছে মেয়ে দেওয়ার জন্য”
আশরাফ মাহমুদ বললেন, “আমরা ভেবে আপনাকে জানাবো ”
চা নাস্তা সেরে উঠে দাড়ালো দেওয়ান মিয়া।যতোটুকু বলার বলে যাচ্ছেন।যাওয়ার আগে বলে গেলেন দ্রুত জানাতে।উনি চলে যাওয়ার পরপরই জোহরা খাতুন আসলেন।স্বামীর উদ্দেশ্যে বললেন,
“কি বলে উনি?”
“বিয়ের প্রস্তাব এনেছে”
জোহরা খাতুন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, “তোমার মেয়েতো কিছু বলে না।আর কত সময় নিবে? হ্যা,না কিছুতো একটা বলুক!”
“আহহা জোহরা! এত তাড়াহুড়ো কিসের।হতেই পারে আদর এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত না।আমি ওকে বিয়ে দিতে চাই এটা ঠিক।কিন্তু ও না চাইলে জোর করবো না। আমার মেয়ে সুখে থাকা দিয়ে কথা”
“আমি ডক্টর মেহতাবের কথা বলছি!”
“তোমার মাথা থেকে ডাক্তারের ভুত নামেনি?”
“শোনো ছেলেটা ভালো।তাছারাও আদরের অনেক যত্ন করে।আমি শিশু না।আমার চোখে অনেক কিছুই পড়ে।আমি অনেকদিন দেখেছি আদরকে বাড়ি নামিয়ে দিয়ে যেতে। কক্স বাজারে যাওয়ার দিনও ওকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল।কথাবার্তা বেশ মার্জিত তার।পরিপাটি একটা ছেলে।”
“তুমি আদরকে জিজ্ঞেস করো”
জোহরা খাতুন কিছুটা অসস্তির সাথে বললেন,
“সরাসরি জিজ্ঞেস করবো?”
“তো কি করবে?”
মেয়েকে মেহতাবের বিষয়ে সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধাবোধ করছেন।যদি তার ভাবনা ভুল হয়? সংকোচবোধে পড়ে গেলেন।অনেকটা ভেবে চিন্তে আশরাফ মাহমুদকে বললেন,
“ঠিক আছে জিজ্ঞেস করবো”
___
হাই ভোল্টেজের হাসি নিয়ে রায়হান সামনে দাড়িয়ে আছে।হাতে তার মিষ্টির বক্স।দেখেই মনে হচ্ছে বিশাল খুশির কিছু।তখনই রায়হান বলে উঠে,
“মিস আদর!এই নিন মিষ্টি খান”
আদর জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বললো, “কিসের মিষ্টি স্যার?”
হাসি মুখ লজ্জায় পরিবর্তিত হয়েছে।হুট করে চেহারার রং বদলাতে দেখে আশ্চর্য্য হলো আদর।তার চেয়ে বেশি হাসি পাচ্ছে। অদ্ভুত দেখাচ্ছে তাকে লজ্জামাখা চেহারায়।নিজের হাসি চেপে ধরলো আদর। মেহতাবের দিকে তাকিয়েছে।সে দিব্যি বসে তাদের কাণ্ড পরিদর্শন করছে।নিজের দাড়িতে নিজেই হাত বুলিয়ে যাচ্ছে।আদরকে চেয়ে থাকতে দেখে মেহতাব খিটখিটে হয়ে রায়হানকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“ঢং না করে মিষ্টি দিয়ে বিদায় হ!”
“তুই এখনও আমাকে অসম্মান করবি মেহতাব?”
“সম্মান করার মতন কি এমন করেছিস?”
“তোর বোনকে বিয়ে!”
“প্রথম কথা এখনও বিয়ে হয়নি। দ্বিতীয় কথা তোর ভাগ্য যে আমি আমার বোনকে তোর হাতে দিয়েছি।”
তাদের কথা শুনে বুঝতে কষ্ট হলো না আদরের।সবটা পরিষ্কার।রায়হান বিয়ে করছে।তাও আবার মেহতাবের বোনকে।তারপরও শিওর হওয়ার জন্য তাদের মধ্যকার তর্কে বাম হাত ঢুকিয়ে দিলো আদর।
হুট করে খুব উৎসুকতার সাথে বলে উঠলো, “স্যার আপনি বিয়ে করছেন?”
রায়হান বললো, “হ্যা।”
“কাকে?”
“আপনার স্যারের বোনকে”
আদরের মাথায় খেলে গেলো কক্স বাজারের ঘটনা।রায়হান এসে বলেছিলো তার জলপরী নাকি ভিনদেশে পারি জমিয়েছে। চিন্তিত ভঙ্গিতে বলে উঠে,
“আপনার জলপরী?ভিনদেশে পারি জমিয়েছে?এরমানে সে স্যারের বোন?এবার বুঝলাম আমি!”
মেহতাব এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।কিছুই বুঝে উঠতে পারল না এই জলপরী আর ভিনদেশের গল্প।চোখে প্রশ্ন নিয়ে আদর আর রায়হানের দিকে চেয়ে। রায়হান মিষ্টি আদরের সামনে রেখে চলে গেলো।এখানে থাকলে মেহতাব একশোটা প্রশ্ন করবে।আর রাগ ফ্রি তার সাথে।আদরের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে পালিয়েছে রায়হান।
আদর মেহতাবের সামনে গিয়ে বললো, “একটা কথা বলতাম?বললে আপনি রেগে যেতে পারেন।কিন্তু না বললে আমার পেটের ভাত হজম হবে না!বলবো?”
“বলে ফেলেন”
“আমার না রায়হান স্যারকে প্লে বয় মনে হতো!ভাবতাম ওনার হয়তো অনেকগুলো গার্লফ্রেন্ড আছে।”
আদরের কথায় বিষম খেলো মেহতাব।আদরের আজেবাজে বলার স্বভাব আছে।বেশি কথা বলার অভ্যাসটাও অনেক।কিন্তু সে যে এমন একটা কথা বলে বসবে কল্পনাতেও আসেনি তার।কি প্রতিক্রিয়া দিবে এই কথার বিপরীতে? চোঁখ বড়বড় করে চেয়ে আছে আদরের দিকে।আদরও অসহায় ভঙ্গীতে বলে উঠলো,
“সরি।মনে একটা কথা ছিলো বলে ফেললাম।আমি আবার মনের ভাব প্রকাশ না করতে অস্থির লাগে”
নিজেকে স্বাভাবিক রেখে মেহতাব প্রশ্ন করলো, “কেনো এমন মনে হয়েছে তোমার?”
“সেটা জানি না।কিন্তু মনে হতো”
“এখন মনে হয় না”
“সেদিন আমাকে বলেছিল তার নাকি একটা জলপরী আছে।তার চোখে কারো জন্য অগাধ ভালোবাসা দেখতে পেয়েছিলাম।তখনই আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়!”
“রায়হান চঞ্চল,প্রাণোচ্ছল কিন্তু মানুষ হিসেবে ভালো”
“হ্যাঁ!”
“আর কি বললে?রায়হানের চোখে অগাধ ভালোবাসা দেখতে পেয়েছিলে কারো জন্য?”
“হুম”
“চোখের ভাষা বুঝো তুমি?”
মেহতাবের দৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলাতে ব্যার্থ আদর। প্রশ্নটি তাকে কোন উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে সেটাও সে জানে।তবে হৃদয় জিদ ধরেছে।কোনো চোখের ভাষা চলবে না।সরাসরি মুখ থেকে স্বীকারোক্তি চাই তার।
আড়চোখে মেহতাবের দিকে চেয়ে আদর বললো, “বুঝি।কিন্তু সবারটা বুঝি না।আর কিছু মানুষেরটা ইচ্ছে করে বুঝতে চাই না!”
স্মিথ হেসে মেহতাব বললো, “মর্গে নিয়ে ছেড়ে দিবো।তখন মানুষের চোখ, কান,নাক সব ভাষাই বুঝবে”
“এসব ভয় দেখানো চলবে না বুঝলেন”
“আচ্ছা?… চলো তাহলে!”
বলতে দেরি!সাথেসাথে আদরের হাত চেপে টেনে নিতে শুরু করলো।আদর এক ঝাড়ি দিয়ে হাত ছাড়িয়েছে। ভয়ও পেয়েছে বটে।
কম্পিত গলায় বললো, “আপনি সব কথা সিরিয়াসলি কেনো নেন? উফ!”
____
মাত্র ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরলো আদর।আজকাল কাজের প্রতি অনীহা নেই। পারলে ডিউটি আওয়ার এর এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে চলে যায়।ফিরে আসে মেহতাবের সাথে।হাসি খুশি চেহারা তার।আগেও হাসিখুশি ছিলো।তবে এখন একটু বেশিই প্রানবন্ত লাগে তাকে।জোহরা খাতুন আদরের হাতে পায়েসের বাটি ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
“তুই কাউকে পছন্দ করিস?”
মাত্রই পায়েস মুখে তুলে নিচ্ছিলো আদর।মায়ের কথায় হাত থেমে গেলো।কথায় বলে কেউ মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি এমনটাই।মায়ের কথায় পায়েস মুখ পর্যন্ত এসেও খাওয়া হলো না।
“বল!”
“কই আম্মু.. কি যে বলো” নিজেকে স্বাভাবিক দেখাতে হাসি এড়িয়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে আদর বলে উঠে।আবারো পায়েস খাওয়া শুরু করেছে।
“আর ডক্টর মেহতাব?”
ডক্টর মেহতাব নামটা শুনে পায়েসটা গলা থেকে নামলো না।গলায় আটকে গেছে।খুক খুক করে কেশে উঠলো আদর। বিচলিত জোহরা খাতুন পানির গ্লাস মেয়েকে এগিয়ে দিয়ে পিঠে হাত বুলাতে শুরু করলেন।সাথে কি হলো জানতে চাওয়া তার অস্থির, চিন্তিত কন্ঠস্বর!
পানি খেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ছে আদর।
মাকে চিন্তিত দেখে বলে, “ঠিক আছি এখন”
“ভয় পাইয়ে দিস তুই আমাকে!”
“তো তুমি এমন প্রশ্ন উত্তর পালা বন্ধ করে দিলেই পারো!”
“তুই কিছু লুকোচ্ছিস”
“মা!কেনো এতো কথা বলো?”
“তোর পছন্দ আছে কিনা?আর সেটা ডক্টর মেহতাব কি না সেটা বল আমাকে।আজ উত্তর নিয়েই যাবো।”
“এত তাড়া কেনো আমায় বিয়ে দেওয়ার?”
“কথা ঘুরাবি না!আর বিয়ে দেওয়ার তাড়া না।আমি জানতে চাচ্ছি।আদর?তুইতো কোনো কথা লুকাতি না আমাদের কাছে!কলেজে থাকতে যেই ছেলেটিকে পছন্দ করতি সেটাও এসে বলেছিলিস।”
আদর আবেগপ্রবণ।চোখ পিটপিট করছে।সবসময়ের মতন ঠোঁট কামড়ে আছে।দৃষ্টি তার নিচে। সত্যিইতো সে মার সাথে,বাবার সাথে সব শেয়ার করতো।কিন্তু এখন পারছে না। মেহতাবকে দেখলে ভ্রমজালের মতন মনে হয়।
“তোরা একে অপরকে যদি পছন্দ করে থাকিস তাহলে আমরা কথা বলবো”
মায়ের এই কথাটি বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত লাগলো!মা এতদূর ভেবে নিয়েছে?আগে ভাবতো আদরকে সঠিক পথে এনেছে বলে তার মা মেহতাবের প্রতি কৃতজ্ঞ।এখন মনে হচ্ছে সম্পূর্ণ বিষয়টাই ভিন্ন। লজ্জাও লাগছে।মা কি তাকে বিয়ের কথা বলছে?তারপরই মনটা ক্ষীণ হয়ে গেলো।যেখানে মেহতাব কোনো কথাই বলে না সেখানে বিয়ে!এসব ভাবাও বিলাসিতা।
“কি যে বলো না মা!”
বলে উঠে রুমে চলে গেলো আদর।
জোহরা খাতুন মেয়ের যাওয়ার পানে চেয়ে আছেন।দ্রুত উঠে দাড়ালেন।পা বাড়িয়েছেন নিজের ঘরে। আশরাফ মাহমুদের সামনে বসে বললেন,
“আমি যা আন্দাজ করছি তাই ঠিক!কিন্তু তোমার মেয়ে স্বীকার করে না”
“তুমি বেশি ভাবছো এটা নিয়ে”
“একদম না।প্রত্যেকটা বাবা মা চায় তার মেয়ে ভালো থাকুক।কারণ মেয়েদের ব্যাপারে বাবা মায়েরা স্বার্থপর।ডক্টর মেহতাব একজন ডাক্তার বলে আমি বলছি না।এতগুলো মাস সে যেভাবে আদরের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে।সেটা তোমার চোখে পড়ে নি?আমরা বাবা মা হয়ে তাকে একচুল নড়াতে পারিনি।আর সে?কয়েকমাসে তাকে বদলে দিয়েছে।”
“তোমার কথায় যুক্তি আছে।তবে এখন কি করতে চাচ্ছো তুমি?”
“যা করার কাল সকালে করবো আমি!”
____
সকাল সকাল ডেস্কএ বসে ঝিমোচ্ছে আদর।আজ তার তেমন কোনো কাজ না থাকলেও মেহতাবের বিজি শিডিউল।সকালে এসে তাকে ক্যাবিনে পায়নি।এখন দুপুর দেড়টা বাজতে চললো।মেসেজ করে জানান দিয়েছেন আসবেন তিনটে বাজে।
ফেসবুক স্ক্রল,শুয়ে,বসে আরো দেড় ঘণ্টা অনায়াসে পার করে দিয়েছে আদর।এসব তার বা হাতের খেল।আজাইরা সময় অতিবাহিত করার জন্য কোনো অ্যাওয়ার্ড থাকতো?তাহলে সর্বপ্রথম তাকেই এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়।দেলাওয়ার সাহেব খাবার নিয়ে ঢুকলেন।
আদরকে সুযোগ না দিয়ে বললেন, “স্যারের খাবারগুলো একটু টেবিলে সাজিয়ে দিবেন?আমাকে বাইরে একটা কাজে যেতে হবে এখনই।”
“সমস্যা নেই চাচা আমি সাজিয়ে দিচ্ছি আপনি যান”
“আচ্ছা”
খাবার সাজাতে সাজাতে পেছন থেকে ডাক পড়লো, “কি অবস্থা?”
মেহতাব এসেছে।কথার ধরন আর চেহারা দেখে মনে হচ্ছে মনটা ফুরফুরা।আদরের জন্য ভালোই হলো।আজকে একটা রফাদফা করেই ছাড়বে।
“খেতে বসুন”
“হাত মুখ ধুয়ে আসছি”
হাত মুখ ধুয়ে আসলো মেহতাব।পুরো চেহারা ভিজে আছে তার। দাড়িগুলো লেপ্টে আছে।অসাবধানতায় সাদা শার্টের অনেকাংশ ভিজিয়ে ফেলেছে।এসব আকর্ষণ করার জিনিস?তবে আদরকে আকর্ষিত করছে।সাদা তাওয়ালটা এগিয়ে দিলো।বেয়াহা চোখগুলো তাকে দেখেই চলেছে।
“আমাকে দেখা শেষ হলে খেতে এসো”
নিজের কাজে নিজেই হতভম্ব।এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে ঘুরে তাকালো।বারবার চুলগুলো কানের পেছনে গুজে প্রমাণ করতে চাইছে সে তাকিয়ে ছিল না।
মুখোমুখি বসে খাওয়ার মধ্যে আদর এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসে,
“আপনারা ছোট বোনের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অথচ আপনি করছেন না কেনো?”
ভ্রু উচিয়ে আদরের দিকে তাকায় মেহতাব। সন্দিহান দৃষ্টি তার।হুট করে প্রশ্ন করা মানেই মাথায় কোনো খিচুড়ি পাকাচ্ছে।যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর।মেহতাব বললো,
“করবোতো ”
“কবে?”
“শীগ্রই”
“কাকে করবেন?”
“যাকেই করি!করবো”
“শুনি?”
“তোমাকে বলবো না।কিন্তু হ্যা সবার আগে তুমি দাওয়াত পাবে”
চোখে পানি টইটুম্বুর হতে সময় লাগলো না।ছলছল নয়নে তাকিয়ে রইলো আদর।দাওয়াত দিবে?অন্য কাউকে বিয়ে করবে সে?খাবার থামিয়ে বসে রইলো।খারাপ লাগার চেয়ে রাগ হচ্ছে এবার।বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে এখন সব,
“আমিও বিয়ে করবো। ছেলেও দেখছে আমার জন্য।সুন্দর ভালো,সভ্য একটা ছেলে দেখে আমিও বিয়ে করে নিবো। আপ্নাকেতো একদমই দাওয়াত দিব না।”
মেহতাব ঠোঁট কামড়ে হাসছে।নিতান্তই বাচ্চামো মার্কা কথাবার্তা।মেহতাব বললো,
“তাই নাকি?”
“হ্যাঁ!”
“ঠিক আছে।করো!”
“সত্যিই করে ফেলবো?”
“তুমি বললে তোমার জন্য ছেলে দেখছে।ইভেন আমাকেও তোমার জন্য ছেলে দেখার জন্য বলা হয়েছে।কিন্তু তুমিতো বলছো আমায় দাওয়াত দিবে না।সমস্যা নেই আমি মেয়ে পক্ষের না হলেও ছেলে পক্ষের হয়ে আসবো।নো প্রব্লেম!”
চলবে…