#চিত্তসন্ধি
পর্ব ৫৩
লেখা: #Azyah
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নিজেকে মেহতাবের বুকে আবিষ্কার করলো। মুচকি হেসে উঠে যাওয়ার সময় চোখ পড়লো ঘড়িতে।মাত্র সকাল সাতটা বাজে।আজ মেহতাবের ডিউটি দুপুরে।তাই তাকে আর ডাকলো না।উঠে যাওয়ার আগে মেহতাবের ঘুমন্ত মুখশ্রীতে হাত বুলিয়ে নিলো। অদ্ভুত রকমের মায়া কাজ করে চশমাবিহীন চেহারায়।হুট করে নিজের অজান্তে ডান গালে নরম ঠোঁটের স্পর্শ ছোঁয়ালো।চুরি করে তৎক্ষনাৎ উঠে গেছে।একটু পরই হয়তো জয়তুন খালা আসবে।গোসল সেরে রান্না ঘরে পা বাড়ালো।আজ নিজেই বানাবে ব্রেকফাস্ট।
সকাল আটটায় জয়তুন খালা এসেছেন।কাজ মোটামুটি এগিয়ে রেখেছে আদর।আদরকে কাজ করতে দেখে তিনি বাকি কাজ এগিয়ে দিলেন।ব্রেকফাস্ট টেবিলে রাখতে রাখতে মেহতাবের আওয়াজ ভেসে আসলো।বেশ জোরেশোরে আদরকে ডাকছে।দেরি না করে দ্রুত ঘরের দিকে পা বাড়ালো। হন্তদন্ত হয়ে প্রশ্ন করলো,
“কি হয়েছে?”
মেহতাব সদ্য শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সারা গায়ে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে।আদরের প্রশ্নে পেছন ফিরে তাকালো।এগিয়ে এসে বলল,
“কাজটা কি ঠিক করলে?কি মুখ নিয়ে আমি যাবো ক্লিনিকে?”
অবাক সুরে আদর প্রশ্ন করলো, “কি করেছি?”
মেহতাব তার গলা আর পিঠের অংশ দেখিয়ে বললো, “আমার পুরো ঘাড় আর পিঠ জ্বলছে।এমন ধারালো নখ কারো হয়?তুমি তোমার নখ কাটবে রাইট নাও!”
লজ্জায় মাথা নত হয়ে গেলো।এমন মনে হচ্ছে জমিন দুভাগ হয়ে যাক।আদর ঢুকে পড়বে এখনই!জমিনে থাকা সাদা টাইলসগুলোকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। দৃষ্টি তুলে তাকানোর মতন পরিস্থিতি রাখেনি মেহতাব।
“কি হলো?”
মেহতাব এর আওয়াজে ধ্যান ভাঙলো। নতজানু হয়েই বলল,
“কিছু না”
আদরের দুইহাত টেনে গলায় বেধেছে মেহতাব। কোমরে হাত পেঁচিয়ে কাছাকাছি টেনে কপালে কপাল ঠেকায়।বলে,
“ঘুমের মধ্যে সুযোগ নিয়েছো।এবার সরাসরি সুযোগ নিলে আমি কিছু মনে করবো না!”
“মানে?”
“ফ্রেশ হতে যাওয়ার আগে কি করেছো?”
“কিহ?”
“মনে করো কি করেছো?”
“আমি কিছুই করিনি!”
“তুমি সত্যিই একটা চোর আদর। কাম অন ডু ইট এগেইন।”
কোন অলুক্ষণে সময়ে মেহতাবকে চুমু খেতে গিয়েছিল!সকাল সকাল এই চুরিটাইতো করেছিলো সে।এর খেসারত এখন দিতে হচ্ছে। মেহতাবের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে না সে তার কথা না মানিয়ে ছাড়বে।
আমতা আমতা কণ্ঠে আদর বললো,
“দেখেন ঘরে জয়তুন খালা আছে।কি ভাববে উনি?আমাকে যেতে দিন”
“জয়তুন খালা বিয়ের আগেও কখনো আমার ডাক ছাড়া আমার ঘরের ত্রিসীমানায় আসেনি।তুমি ভাবছো এখন আসবে?”
“তারপরও।”
মেহতাব চোখ রাঙিয়ে তাকায়।মুখে চলে আসে বিরক্তি। মুখশ্রীর ভাবসাব বলছে কথা মানা ছাড়া উপায় নেই।আদর লম্বা শ্বাস টেনে বললো,
“আগে আমাকে ছাড়েন আর চোখ বন্ধ করেন।”
“কেনো?”
“করেন প্লিজ!”
“আচ্ছা”
বলে মেহতাব চোখ বন্ধ করে নিয়েছে।হাতের ঢিলও হালকা করে ফেলেছে।আদর দ্রুত মেহতাবের বাম গালে চুমু একে দেয়।যত দ্রুত চুমু খেয়েছে তার চেয়ে বেশি দ্রুত গতীতে স্থান ত্যাগ করেছে।ঝড়ের গতিতে। মেহতাব চোঁখ খুলে তাকে সামনে দেখতে না পেয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসলো।
__
“বিয়ে হয়েছে বলে পড়ালেখা মাথায় তুললে চলবে না।আমার কথাগুলো মনে আছে না?”
খাবার টেবিলে মেহতাবের প্রশ্ন কর্ণপাত হতেই চোখ তুলে তাকায় আদর।উত্তরে বলে,
“মনে আছে”
“আজকে ওই বাসায় যাবে।বাবা মার সাথে দেখাও করবে পাশাপাশি বই, খাতা আর যাবতীয় দরকারী কাগজ নিয়ে আসবে সাথে।”
নিজ থেকে বাড়ি পাঠানোর কথা বলছে মেহতাব।শুনেই মনটা ভালো হয়ে গেলো আদরের।ঠোঁট জুড়ে খুশির ঝলক।হাসিমুখে প্রশ্ন করলো,
“আজকে থাকবো বাসায় গিয়ে”
“একদম না!থাকাথাকির পারমিশন দেইনি।দরকার পড়লে তোমার বাবা মাকে নিয়ে আসবে সাথে।রাতে বাসায় ফিরে তোমাকে যেনো দেখি”
সামান্য মন খারাপের ভঙ্গীতে আদর বলে, “যাবো কি একা?”
“আমি দিয়ে আসবো।সন্ধায় ইকবাল চাচাকে পাঠিয়ে দিবো চলে আসবে।”
“আজকে আপনার নাইট ডিউটি?”
“নাহ।তবে ফিরতে দেরি হবে।”
__
দুপুরের খাবার দ্রুত সেরে বেরিয়ে পড়েছে।আদরকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনাও হয়ে গেছে মেহতাব।অনেকদিন রুবি, শান্তা আর রোহিতের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না। ভার্সিটিও যাওয়া হচ্ছে না বহুদিন।ফোনে ফোনে আলাপ।বাড়ি আসবে এই সুযোগে তাদেরকে বিকেলে বাসায় ডেকে নিলো।বিনাবাক্যে তিনজন রাজি হয়েছে।আধ ঘন্টার মধ্যে আসছে জানিয়েছে।বাবা মার সাথে সময় কাটিয়ে ঘরে এসেছে আদর। প্রয়োজনীয় কাগজত্র নিতে হবে।
মেয়ের পিছু পিছু আশরাফ মাহমুদ ঘরে প্রবেশ করলেন। ব্যস্ত মেয়েকে প্রশ্ন করে বসলেন,
“তুমি খুশিতো মা?”
হাত থামিয়ে আদর ঘুরে তাকালো।বাবার প্রশ্নের বিপরীতে বললো,
“হ্যাঁ আব্বু।খুশি হবো না কেনো?আর তুমি হটাৎ এমন প্রশ্ন করছো?”
“নাহ মানে মা।মেহতাব তোমার খেয়াল রাখেতো?..আমার প্রশ্ন করাকে ভুলভাবে নিও না।আমি বাবাতো।চিন্তা হয় আমার তোমার জন্য।”
হাতের কাগজ টেবিলের একপাশে রেখে বাবার কাছে এসে বসলো।কেমন যেনো বাচ্চাদের মতন হয়ে গেছেন মানুষটা। অসুস্থতা মানুষের স্বভাবকে অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন করে দিয়ে যায়। আশরাফ মাহমুদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।বাবার হাতদুটো নিজের মুঠোয় নিয়ে বললো,
“আব্বু আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো।কিন্তু বাবা দুশ্চিন্তা করে নিজের শরীরের ক্ষতি করবে না প্লিজ।আমি ভালো আছি।উনি আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন এই পর্যন্ত।আর জানো সে শুধু আমার কথা না তোমাদের কথাও ভাবছে।”
“আমি জানি মা।নাহয় কোন জামাই শ্বশুর শাশুড়ির দেখভালের জন্য একজন মানুষকে সারাদিনের জন্যে পাঠিয়ে দেয়?”
বাবা আশরাফ মাহমুদের দিকে মুচকি হেসে আদর বললো, “আম্মু আর তুমি একদম কোনো টেনশন করবে না”
“হুম।”
অল্পসময়ে রুবি, শান্তা আর রোহিত হাজির।তাদের দেখে খুশি হওয়ার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছে আদর।সাথেই শাহরিয়ার দাড়ানো।তাকে মোটেও আশা করেনি আদর।তারপরও ভদ্রতার খাতিরে হেসে কুশল বিনিময় করলো।কেননা ছেলেটা তাকে মানসিকভাবে অনেকটা সাহায্য করেছে।তাছাড়া তার সাথে কোনো রকম শত্রুতাও নেই।
তাদের আড্ডায় শাহরিয়ার বয়সে বড় হলেও বড্ড মিশুক।একসাথে বসে খোস গল্পে মেতেছে।
কথার এক পর্যায়ে বললো,
“আদর আমি এখানে না জানিয়ে এসেছি আপনি মাইন্ড করেননিতো?”
“আরেহ নাহ নাহ!কি বলেন?মাইন্ড করবো কেনো?”
রুবি চঞ্চল।সবার মধ্যে বড় গলায় বললো, “এসব মাইন্ড টাইন্ড বাদ দে।এতদিন পর আদর ম্যাডামের দেখা মিলেছে।ওর বৈবাহিক জীবনের কাহিনী শুনবো।”
আদরের দিকে দৃষ্টপাত করে বলে, “আদর শুরু কর!”
হতবাক কণ্ঠে আদর বললো, “আজব! কি বলবো?”
শান্তা বুদ্ধিমতির পরিচয় দিয়ে বলে, “এসব কথা শুনতে হয় না।তুই বিয়ে কর নিজে নিজে এক্সপিরিয়েন্স কর।”
রোহিত বলে উঠে, “আমিতো বলেছি তোর বাবা মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেই।মহারানী এতেও নারাজ।”
এমনেতেই হুটহাট রেগে যাওয়ার স্বভাব আছে রুবির।রোহিতের কথায় চটে গেলো।পিঠে থাপ্পড় মেরে বললো,
“কত বড় লায়েক ছোকরা হয়ে গেছো তুমি?মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে?আর আমার বাবা মা খুশি খুশি ভবঘুরে ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে?”
কান্নার অভিনয় করে রোহিত বলে উঠলো, “টাকা ছাড়া দাম নাই রে!দাম নাই!”
অল্পদিন দেখা হয়নি তাদের।তারপরও মনে হচ্ছে অনেকদিন একেওপরের সাক্ষাতের বাহিরে।কত কথা জমিয়ে রেখেছে একে ওপরের জন্য।সব যেনো একে একে ফাঁস করছে।হাসছে, দুষ্টুমি করছে।সব মিলিয়ে বন্ধুত্বকে নিয়ে বাঁচছে।সব শেষে একটি ছবিও তুলে নিলো।গ্রুপ ফটো। দুষ্টুমি মার্কা ক্যাপশন লিখে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে।
ছবিটি আপলোড হওয়ার পর মেহতাবের দৃষ্টিগোচর হয়নি। আদরকে তালাশের অভিযানে এদের সবার সাথে ফেসবুকে অ্যাড হয়েছিলো।সেই সুবাদেই তাদের গ্রুপ ফটো নজরে এসেছে।চারজনের পরিবর্তে পাঁচজন।সবই পরিচিত মুখ।তবে কেনো তীক্ষ্ম লাগছে?শাহরিয়ার অনেকটা ঘেঁষে আছে আদরের সাথে।হাসি মুখ দুজনেরই।মেহতাব একদৃষ্টিতে কিছুক্ষন ফোনের দিকে চেয়ে থেকে ফোন পাশে রেখে দিলো।
__
“বাড়ি আসার পর থেকে দেখছি আপনি মুখ গোমড়া করে আছেন।”
পা জোড়া থেমে গেলো আদরের কণ্ঠে।ঘরের দিকে এগোচ্ছিল।হাতের ম্যাগাজিনটি সোফার উপর রেখে কোনো উত্তর না দিয়ে ঘরে চলে গেছে।পেছনে তৃতীয়বারের মতন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদর।বাড়ি ফেরার পর থেকে একবার নয় তিনতিন বার তার কথাকে এড়িয়ে গেছে মেহতাব।
খাবার টেবিল গোছগাছ করে আদরও পা বাড়ালো ঘরের দিকে।এত দ্রুত ঘুমায় না।তবে আজ ঘরের বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়তে দেখে আদর আরো অবাক হলো।মাথার কাছে দাড়িয়ে আদর বললো,
“কি ব্যাপার?কথা বলছি শুনেন না?”
মেহতাব প্রতিক্রিয়াহীন চুপচাপ শুয়ে আছে।যেনো আদরের কোনো কথাই তার কর্ণকুহরে যাচ্ছে না।বারবার প্রশ্ন করেও কোনো উত্তর না পেয়ে আদর ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে। মেহতাবের সামনে বসে বড়বড় চোখ করে আবার প্রশ্ন করলো,
“উত্তর দিবেন না?আমি জানি আপনি ঘুমাননি।”
অবশেষে মুখ খুললো মেহতাব।বললো, “ঘুম আসছে আমার”
“আপনি আগে উত্তর দেন আমাকে।কেনো এড়িয়ে যাচ্ছেন?”
নাক ফুসতে দেখা গেলো মেহতাবকে।দৃষ্টি অগোছালো।অস্থির!ঠোঁট কাপছে কিছু একটা বলতে।তবে অজানা বাধায় আটকে।
আদর মাথা নামিয়ে মেহতাবের বাহু ঝাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কি বলছেন না যে?”
“কি বলবো? আমার কাছে এসে বসে আছো কেনো?যাও শাহরিয়ারের সাথে ছবি তুলো।”
ফিক করে হেসে উঠলো আদর।বুঝতে একবিন্দু কষ্ট হয়নি মেহতাব জেলাস ফিল করছে।হিংসে করছে শাহরিয়ারের সাথে।আদরের হাসি যেনো কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা।অতিরিক্ত ভাজ পড়েছে মেহতাবের কপালের মধ্যংশে। তীর্যক দৃষ্টি ফেলে আদরের দিকে।হাসি থামিয়ে আদর বললো,
“আচ্ছা এজন্য ছিলো মনব্রত?আপনার হিংসে হচ্ছে না?আমাকে শাহরিয়ারের সাথে দেখে?”
মেহতাব উত্তর দিলো, “মোটেও না!আমি কেনো হিংসে করবো?”
“আমিতো পোড়া গন্ধ পাচ্ছি ডাক্টার সাহেব”
“তোমার নাকে সমস্যা আদর।অপারেশন করে ফেলে দিবো”
আদর কথা না বাড়িয়ে শুয়ে পড়েছে।নিজের জায়গা করেছে মেহতাবের বুকে। এতে মেহতাবের কোনো হেলদোল নেই। প্রতিক্রিয়াহীনভাবে শুয়ে আছে।
আহ্লাদী কণ্ঠে আদর বলে উঠে, “মাথায় হাত বুলিয়ে দেন”
“পারবো না”
“নিজে বাচ্চাদের মতন জেদ করছেন আর আমাকে বলেন বাচ্চা।” মাথা গুঁজে ধীর কণ্ঠে বলে আদর।
মেহতাব আচ করতে পেরে জিজ্ঞেস করলো, “কিছু বললে?”
“বললাম মাথায় হাত বুলিয়ে না দিলে চলে যাবো শাহরিয়ারের কাছে!” স্বর উচু করে বললো আদর।
“থাপ্পড় দিয়ে সব ভুত নামাবো মাথা থেকে।তোমার সাহস কি করে হয় আমার সামনে আমার শাহরিয়ারের নাম নাও! জানো ওর কারণেই রেগে আছি তারপরও।”
মাথা তুলে ঠোঁট কামড়ে হাসলো আদর। দুষ্টুমির সুরে বলল, “স্বীকার করলেনতো আপনি রেগে আছেন।জেলাস ফিল করছেন।”
“থাপ্পড়টা কি দিবো?”
“নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দিবো একদম।মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।”
অগ্যতা হার মানতে বাধ্য মেহতাব।কখন মনের কাছে দুর্বল হয়ে পরে ঠিক বুঝতে পারে না।আলতো হাত চুলে বুলিয়ে দিতে উদ্যত হলো।কপালে চুমু খেয়ে বোঝানোর সুরে বলে,
“ভুল করেও কোনো ছেলের বেশি কাছাকাছি যাবে না ঠিক আছে? কার ইন্টেনশন কি হতে পারে তুমি কিন্তু জানো না।”
আরো একটি দুষ্টু বুদ্ধি খেললো আদরের মাথায়।নাদান মুখ বানিয়ে আদর প্রশ্ন করলো,
“ছেলেদের মধ্যেতো আপনিও আসেন।ঠিক আছে কাল থেকে আপনার থেকেও মেপে ৩ ফুট দূরত্ব অবলম্বন করবো।”
“আমি আর সব ছেলে এক?আমার সামনে দূরত্ব হ্রাস পাবে”
“কেনো?”
“তোমার এই ক্ষুদ্র নক্ষত্রের মতন জ্বলজ্বল করতে থাকা চোখে চোখ রেখে জীবনের বাকিটা সময় নিশ্চিন্তে পার করে দিতে পারি।আমার কাছাকাছি থাকলে যখন তোমার হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে?সেটা উপভোগ করতে পারি।তোমার কম্পিত ওষ্ঠজোড়ার মধু পান করতে পারি।আমার তৃষ্ণা যেনো না মেটে আদর।যত কাছে থাকবো তোমার প্রতি আমার তৃষ্ণা বাড়তেই থাকে।আমি তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে থাকতে চাই।যদি দূরত্ব দাও?ক্ষতি কিন্তু তোমারই।” আদরের চোখে চোখ রেখে গভীর কণ্ঠে বলে উঠে মেহতাব।
চলবে…