সুদর্শন শঙ্খচিল’ [১৮] লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

0
5

‘সুদর্শন শঙ্খচিল’
[১৮]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

আজকে সকাল থেকে চাঁদ তুয়াকে দেখলেই দাঁত বের করে হেসে, “আপু ভাল আছো?” বলে খিলখিল করে হেসে উঠছে।

তুয়া তখন পারছেনা লজ্জায় মাটির সঙ্গে মিশে যেতে। তুয়াকে লজ্জা পেতে দেখে চাঁদ ইচ্ছে করে একই কাজ বার বার করছে। প্রত্যয়ের আম্মু চাঁদকে ধমক দিতে গিয়ে উনিও হেসে ফেলেছেন। উনাদের হাসি দেখে তুয়া লজ্জায় আর রুম থেকেই বের হয়নি। দুপুরের খাবার সে রুমে বসে খেয়েছে৷ পেশেন্টের ভিড় বেশি থাকায় প্রত্যয় দুপুরে বাসায় আসতে পারল না। তবে তুয়াকে মেসেজ করে বলে দিল, “খেয়ে চুপটি করে ঘুমাও। আমার ফিরতে দেরী হবে।”

তুয়া প্রত্যয়ের মেসেজটা দেখে মুচকি হেসে শুয়ে পড়ল। কলি বেলকনিতে থেকে অনবরত বুলি আওড়াচ্ছে। একটুপরে,
প্রত্যয়ের আম্মু তুয়ার রুমের দরজা নক করে বলল, “তুয়া আসব?”

তুয়া দ্রুত উঠে বসে বলল, “হ্যাঁ আম্মু এসো।” প্রত্যয়ের আম্মু রুমে প্রবেশ করে তুয়ার পাশে বসলেন। তুয়াকে চুপ থাকতে দেখে প্রত্যয়ের আম্মু হেসে বললেন, “প্রত্যয় ফোন করেছিল? কখন ফিরবে কিছু বলেছে?” তুয়া জানাল প্রত্যয়ের ফিরতে দেরী হবে।

প্রত্যয়ের আম্মু তুয়ার থুতনি ধরে মুখটা উপরে তুলে বলল, “বোকা মেয়ে এত লজ্জার কিছু নেই।”

তুয়া প্রত্যুত্তর না করে চুপ থাকল। প্রত্যয়ের আম্মু তুয়াকে ঘুমাতে বলে চলে গেলেন। উনার যাওয়ার পর পরই চাঁদকে ঢুকতে দেখে তুয়া ঘুমের ভাণ ধরে রইল। তুয়াকে ঘুমাতে চাঁদ একপ্রকার হতাশ হল। কয়েকবার তুয়ার মুখের উপর হাত নাড়িয়ে চাঁদ স্থান ত্যাগ করল। চাঁদ যাওয়ার পর তুয়া মুচকি হেসে চোখ বন্ধ করে নিল। এখন তুয়া ঘুমের ভাণ না ধরলে চাঁদ বকবক করে ওর মাথা পাগল করে দিত।

প্রত্যয় সব কাজ সেরে বিকালে বাসায় ফিরল। রুমে ঢুকে তুয়াকে ঘুমাতে দেখে সে নিঃশব্দে ফ্রেশ হতে চলে গেল। আর এই সুযোগে তুয়া উঠে ওদের বাসায় চলে গেল। প্রত্যয় ফ্রেশ হয়ে এসে তুয়াকে রুমে না দেখে বলল, “হায়রে লজ্জা রে। সকালে লজ্জা পেয়ে নিজে তো ফাঁসলোই সঙ্গে আমাকেও ফাঁসালো।”

কথাটা বলে প্রত্যয় মিটিমিটি হাসতে হাসতে বেলকনিতে পা বাড়াল। কলি প্রত্যয়কে দেখে ডানা ঝাঁপটে অনবরত বলছে, “তুয়া! বউ! ভালবাসি! ভালবাসি! দুষ্টু!” প্রত্যয় হেসে কলিকে খাবার দিতে দিতে সালাম দিল। কলি অস্পষ্ট ভাবে উত্তর নিয়ে ডানা ঝাঁপটাতে লাগল। প্রত্যয় সুন্দর করে সালাম এবং সালামের উত্তম নিল প্রত্যয়ের দেখে কলিও প্রত্যয়ের সঙ্গে বলল।

কলির বুলিগুলো প্রত্যয় ইচ্ছে করেই কলিকে শিখিছে। যখন কলি প্রত্যয়ের সামনে তুয়াকে অনবরত বউ! ভালবাসি! একথা বলে তুয়া তখন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। আর এটা দেখে প্রত্যয় মিটিমিটি হাসে।

**!!

প্রিয়ম ওর রুমে উল্টো ঘুরে কিছু একটা করছিল। চাঁদ গুটি গুটি রুমে ঢুকে দুষ্টু হেসে হুট করে প্রিয়মকে জড়িয়ে ধরল। প্রিয়ম নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রেগে চাঁদের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। চাঁদ থাপ্পড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে কাঁদছে। প্রিয়ম চাঁদকে ধাক্কা মেরে বলল, “বেহায়া মেয়ে তোর লজ্জা নেই?”

চাঁদ মাথা নিচু করে নিল প্রিয়ম স্বজোরে থাপ্পড়টা মেরেছে। প্রিয়ম চাঁদকে কিছু বলতে না দিয়ে রুম থেকে বের করে স্বজোরে দরজা আঁটকে দিল।

চাঁদ পেছনে ঘুরে প্রত্যয়কে দেখে থেমে গেল। সে দ্রুত গাল থেকে হাত সরিয়ে মিষ্টি হেসে বলল, “ভাইয়া কিছু বলবেন? আপুকে ডেকে দিব?”

প্রত্যয় চাঁদের কান্নাভেজা কন্ঠস্বর শুনে শান্ত কন্ঠে, “অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট। শুধু একটু ধৈর্য্য ধরো।” কথাটা বলে প্রত্যয় মুচকি হেসে রুমে চলে গেল।

চাঁদ চোখ মুছে প্রিয়মের রুমের দরজার দিকে তাকিয়ে বলল, “কি জিনিস জন্মাইলেন গো শাশুড়ি আম্মা। একটু কিছু করলে দাম দুম করে ফেটে পড়ে।”

চাঁদ তুয়াকে ডেকে জানাল প্রত্যয় ডাকছে। তুয়া রুমে ঢুকে দেখে প্রত্যয় ওর ট্রলি গুছাচ্ছে। প্রত্যয় তুয়াকে দেখে বলল, “আপনি কি খুব বেশি ব্যস্ত?” তুয়া ড্রেসিং টেবিলে সামনে দাঁড়িয়ে চুল আচঁড়ানো থামিয়ে বলল, “কই না তো।”

প্রত্যয় তুয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল, “তা আমার থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? আমার অপরাধ কি শুনি?” তুয়া হাতের চিরুনীটা রেখে ঘুরে বলল, “তেমন কিছু না জনাব। এখন চলুন, ইচ্ছের আম্মু আপনাকে ডাকছে।”

প্রত্যয়কে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতে দেখে তুয়া বলল, “ইচ্ছের জ্বর এসেছে। ওকে ইনজেকশন পুশ করতে হবে।” ইচ্ছের জ্বরের কথা শুনে প্রত্যয় তুয়াকে নিয়ে নিচে গেল। চাঁদ প্রত্যয়ের আম্মুর সঙ্গে তখন ওখানেই ছিল। প্রত্যয় ইচ্ছের জ্বর মেপে ইনজেকশন রেডি করল। ইচ্ছে এখন ঘুমাচ্ছে, এই সুযোগে ইনজেকশন দিতে হবে। না হলে লঙ্কা কান্ড বাঁধিয়ে ফেলবে।

তুয়া চাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ধীর কন্ঠে বলল, “চাঁদ তোমার গালে কি হয়েছে?” চাঁদও আস্তে করে বলল, “তোমার দেবর চুম্মিয়ে গাল লাল করে দিয়েছে।”

তুয়া কিছু বলার আগে প্রিয়ম পেছন থেকে রেগে বলল, “তুই কি মানুষ হবি না? জংলী সারাজীবন জংলীই থাকবি?” প্রিয়ম ইশারায় ওর আম্মুকে বলে বাইক নিয়ে চলে গেল। চাঁদের মুখের অবস্থা দেখে তুয়া মুখে ওড়না গুঁজে হাসতে লাগল। তুয়াকে হাসি দেখে প্রত্যয় ইনজেকশন দিতে গিয়ে থেমে গেল। তুয়া হাসি আঁটকাতে না পেরে রুম থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে এল।

প্রত্যয় ইচ্ছেকে ইনজেকশন পুশ করে দ্রুত সিরিঞ্জ সরিয়ে ফেলল। ইচ্ছে একটু ব্যাথা পেয়ে চোখ বন্ধ খুলে চোখ বড় বড় করে তাকাল। প্রত্যয় হেসে বলল, ” ইচ্ছেমণি তোমার জ্বরের আমাকে জানাও নি কেন? আমি এজন্য তোমাকে দেখতে আসলাম।”

প্রত্যয় কৌশলে ইচ্ছেকে কোলে তুলে ইনজেকশন পুশ করা স্থানে হালকা করে ডলতে লাগল। ইচ্ছে প্রত্যয়ের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে বলল, “আমি সূচ দিব না।”

প্রত্যয় হেসে বলল, “কার এত সাহস তোমাকে সূচ দিবে? যে সূচ দিবে তাকে আমি পুলিশের কাছে রেখে আসব।” প্রত্যয়ের কথা শুনে রুমের সবাই হাসল। প্রত্যয় খুব সহজে ইচ্ছেকে সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিল। এখানে অন্য কেউ থাকলে এতক্ষণে ইচ্ছে তাকে কামড় আর খামচি দিয়ে আধমরা করে দিত। মূলত এজন্যই ইচ্ছের আম্মু বুদ্ধি করে প্রত্যয়কে ডেকেছে।

ইচ্ছে প্রত্যয়ের কাঁধ থেকে মাথা তুলে বলল, “প্রত্তুয় কানাচুর আনো নি।” প্রত্যয় ইচ্ছেকে ওদের বাসায় নিয়ে যেতে যেতে বলল, “উহুম, এখানে আনলে রুমের সবাই কেড়ে খেতে নিত। এখন তুমি আমার বাসায় চল ওখানে গিয়ে চানাচুর খাবে।” ইচ্ছে রুমের সবার দিকে তাকিয়ে বলল, “সব্বাই লুভি।”

ইচ্ছের কথা শুনে সবাই উচ্চশব্দে হাসতে লাগল। আর প্রত্যয় ইচ্ছেকে নিয়ে বাসায় চলে এল। তুয়া ড্রয়িংরুমের মেঝেতে বসে এখনও হাসছে। আর চাঁদ গাল ঝুলিয়ে সোফায় বসে আছে। এখন তুয়া চাঁদকে দেখে বার বার বলছে, “আর আদর লাগবে চাঁদ ডালিং?” কথাটা বলে তুয়া আবার হাসতে লাগল। প্রত্যয় ইচ্ছে কে সোফায় বসিয়ে চানাচুর এনে দিল।

ইচ্ছে চানাচুর নিয়ে প্রত্যয়ের বুকে সাথে লেপ্টে বসে রইল। তুয়া ভ্রু কুঁচকে বলল, “ইচ্ছে তুই এত লোভী কোনো? তুই সত্যিই খুব পঁচা মেয়ে।” ইচ্ছে ছলছল চোখে তাকিয়ে বলল, “তেনু?” তুয়া রাগের অভিনয় করে বলল, “আমার বরের বুকে মাথা রাখছিস কেন? সর, সর বলছি।”

তুয়ার কথা শুনে ইচ্ছে প্রত্যয়ের দিকে ছলছল চোখে তাকাল। প্রত্যয় হেসে ইচ্ছের চোখ মুছে দিয়ে বলল, “আরে ও তো একটা পাগলি। ওর কথা একদম শুনবে না।” ইচ্ছে তুয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে তুয়া রেগে তাকিয়ে আছে। প্রিয়মকে বাসায় ঢুকতে দেখে ইচ্ছে ওর দিকে বাড়িয়ে বলল, “প্রিউুম কোলে যাব।” প্রিয়ম হাতের ব্যাগটা রেখে হেসে ইচ্ছেকে কোলে নিল। ইচ্ছা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল,”তুয়া আপু বকছে। তুমি বকা দাও।”

প্রিয়ম বাহানা করে তুয়াকে বকা দিল। প্রিয়মের বকা দেখে তুয়া আর চাঁদ হো হো করে হেসে দিল। ওদের হাসতে দেখে ইচ্ছে করুন চোখে প্রিয়মের দিকে তাকাল। তুয়া উঠে ইচ্ছেকে বলল, “যা আমার শশুড়বাড়ি একদম আসবি না। এবার আসলে মেলা বকা দিব।” ইচ্ছেও এবার রেগে বলল, “একদম বকা দিবা না, না হলে আমিও শুশুর বালি চলে যাব।”

ইচ্ছের কথা শুনে চাঁদ তুয়া সহ প্রিয়মও হেসে দিল। ইচ্ছে আর সহ্য করতে না পেরে প্রিয়মের চুল টেনে ধরে শব্দ করে কেঁদে দিল। প্রত্যয় উঠে প্রিয়মের চুল ছাড়িয়ে ইচ্ছেকে কোলে নিল। প্রত্যয়ের আম্মু চাঁদ তুয়াকে দেখে বললেন, “কি রে এত হাসছিস কেন?”

প্রিয়ম বিরক্ত হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে বলল, “সারাটা দিন কানের কাছে খ্যা খ্যা করতেই থাকে। আম্মু ইট দিয়ে এদের দাঁত ভেঙ্গে দাও যাতে লজ্জায় হাসতে না পারে।” প্রিয়মের কথা শুনে চাঁদ তুয়াসহ প্রত্যয়ের আম্মুও হাসতে লাগলেন। প্রিয়ম সোফাতে বসে বলল, “এই দু’টোকে রাজশাহীতে রেখে আসবে। এদের আর আনার দরকার নেই।” প্রত্যয়ের আম্মু হেসে প্রত্যয়কে বলল, “কি আব্বু সত্যি ওদের রেখে আসব?” প্রত্যয় তুয়া মুচকি হেসে বলল, “হুম রেখে এসো, আরেকটা বিয়ে করতে পারব।” প্রত্যয়ের আম্মু হাসতে হাসতে বললেন, “ছেড়ে থাকতে পারবি তো আব্বু?”

প্রত্যয় কিছু বলতে পারল না পেরে ইচ্ছেকে নিয়ে রুমে চলে গেল। তুয়ার ততক্ষণে হাসি থেমে লজ্জা এসে লাল হয়ে গেছে। প্রত্যয়ের আম্মু হেসে রুমে চলে গেলেন। তুয়াও উঠে প্রত্যয়ের রুমে ঢুকল। প্রিয়ম সোফাতে শুয়ে টিভির চ্যালেন বদলাতে লাগল। চাঁদ দেওয়ালে মাথা ঠেকিয়ে প্রিয়মকে করুণ সুরে বলল, “আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া যায় না? ভালবাসার অধিকারটুকু না হয় দাও।” প্রিয়মের প্রত্যুত্তর না পেয়ে চাঁদ মন খারাপ করে উঠে দাঁড়াল।

**!!

রনিত পলককে নিয়ে বাজার থেকে কেবল ফিরল। রনিতের আম্মু বার বার ফোন দিয়ে কান্না কাটি করছেন। রনিত উনাকে বলে দিয়েছে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাবে। একথা শুনে উনি নতুন করে পলকের নামে অভিযোগ তুলে ধরেছেন। বার বার বোঝাচ্ছেন পলক মেয়ে ভাল না। এসব শুনে রনিত রেগে কল কেটে ফোন বন্ধ করে রেখেছে। সংসার যদি সুখের হয় সেটা জান্নাতে পরিণত হয়। আর যদি সংসারে অশান্তি লেগে থাকে সেটা জাহান্নামে পরিণত হতে সময় লাগে না। একথা সে যেন হারে হারে টের পাচ্ছে।

পলক ওদের ফ্ল্যাটটা মনমত গুছিয়ে নিয়েছে। এখানে ওরা দু’জন মিলে ভালবাসায় মুড়ানো ছোট্ট একটা সংসার পাতবে। রনিত ইচ্ছের ঔষুধ আর কিছু ফল ইচ্ছেদের বাসায় দিয়ে বাসায় আসল। পলককে রান্না ঘরে দেখে রনিত সোফায় বসে বলল, “যা করবে সাবধানে। হাতে কাটে না যেন।” কথাটা শুনে পলক মুচকি হাসল।

**!!

ইচ্ছের আম্মু এসে ইচ্ছেকে বাসায় নিয়ে গেল। হালকা নাস্তা সেরে প্রত্যয়ের বাসার সবাই রেডি হচ্ছে। তুয়াকে ড্রেসিংটেবিলের সামনে হিজাবে পিন আঁটকে ঘুরতেই প্রত্যয় তুয়াকে বাহুডোরে আবদ্ধ করে বলল, “আমার বউটাকে তোমার কাছে আমানত রাখলাম। আমি ফিরে এসে আমার বউকে নিখুঁতভাবে বুঝে নিব।”

প্রত্যয় কথাটা বলে তুয়ার কপালে আদর দিল। তুয়া ছলছল চোখে অন্য দিকে তাকাল। সে অনেকক্ষণ থেকে চোখের পানি আঁটকে রেখেছিল। কিন্তু প্রত্যয়ের কথা শুনে হার মেনে অশ্রুটুকু গড়িয়ে গেল। প্রত্যয় তুয়ার দুই গালে হাত রেখে বলল, “সাবধানে থাকবা আর যা লাগবে আম্মু আর প্রিয়মকে বলবে।”

তুয়ার চোখের পানি মুছিয়ে প্রত্যয় মৃদু হেসে পা বাড়াতে যাবে, তখন তুয়া প্রত্যয়ের শার্ট টেনে জড়িয়ে ধরে বলল, “জনাব আপনার অপেক্ষা থাকব। আপনি দ্রুত আমার কাছে ফিরে আসবেন।”

প্রত্যয় সম্মতি সূচক মাথা নাড়াল। কলিকে তুয়াদের বাসায় রেখে উনাদের থেকে বিদায় নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ল। ওদের যেতে দেখে ইচ্ছে বায়না ধরবে তাই কেউ আর ইচ্ছের সঙ্গে দেখা করল না। এয়ারপোর্টে পৌঁছে প্রত্যয় প্রিয়মের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, “সাবধানে যেও আর সবার খেয়াল রেখো।” প্রিয়ম প্রত্যয়কে জড়িয়ে ধরে বলল, “তুমিও সাবধানে যেও ভাইয়া। চিন্তা করো না আমি আছি।”

প্রত্যয় ওর আব্বু আম্মু চাঁদ আর তুয়াকে সাবধানে থাকতে বলল। তুয়াতের ফ্লাইট আগে তাই তুয়ারা আগে যাবে। তুয়া সামনে এগোতে এগোতে কতবার যে পেছন ফিরে প্রত্যয়ের দিকে তাকিয়েছে তার হিসাব নেই। প্রত্যয় মুচকি হেসে ওদের যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে আছে। তুয়াদের যাওয়ার বিশ মিনিটে পরে প্রত্যয়ও ওর পথে যাত্রা পথে রওনা দিল।

To be continue….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here