নীলচে_তারার_আলো #নবনী_নীলা #পর্ব_৩০

0
144

#নীলচে_তারার_আলো
#নবনী_নীলা
#পর্ব_৩০

শুভ্র পরক্ষণেই বললো,” ডোন্ট বি হ্যাপি। দিদি বললে কি হবে? কাজগুলো তো তুমি করেছো। আমাকে ইগনোর করেছো। আজ সকালেই তো বললে যে আমাকে তুমি বর মানো না। ওকে তাহলে আজ থেকে তুমি তোমার পথে আর আমি আমার। এমনিতেও এই কয়দিনে তুমি যা করেছো তার জন্যে এতো সহজে তো তোমাকে আমি ক্ষমা করছি না।” বলেই হিয়ার কোমড় থেকে হাত সরিয়ে, সরে দাঁড়ালো। ইগনোর কি জিনিস এইবার হিয়া বুঝবে।

কথাগুলো শুনে হিয়া চমকে তাকালো। ক্ষমা করছে না মানে? আবার বললো আজ থেকে আলাদা আলাদা পথে…. মানে? শুভ্রের এমন রাগের সাথে তো হিয়ার পরিচয় নেই। তাহলে কি তাকে এইবার শুভ্রের এই রাগ ভাঙাতে হবে? হিয়া কি বলবে কি করবে বুঝতে পারছে না। কোনোভাবে কি সে নিজেই ফেঁসে গেল? শুভ্রকে এই মুহুর্তে প্রস্ন করার সাহস তার নেই তাই সে নিশ্চুপে দাড়িয়ে রইলো।

শুভ্র গাড়ির একটা দরজা খুলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকালো। কিন্তু হিয়া তো নিচের দিকেই তাকিয়ে আছে।

” গাড়ীতে বসো।”, শুভ্রের শীতল কণ্ঠে হিয়া সামনে তাকালো। কোনো কথা না বাড়িয়ে সে চুপচাপ গিয়ে বসে পড়লো। একটু আগে যা হয়েছে এরপর শুভ্রের সাথে কথা বাড়ানো তো দূরে থাক চোখের দিকে তাকালেও তার বুকটা ধুক ধুক করে উঠছে।

শুভ্র ঘুরে এসে ড্রাইভিং সীটে বসলো। শুভ্রকে সিটবেল্ট পড়তে দেখে হিয়া নিজে নিজেই সিটবেল্ট পরে নিলো। যতটা ভদ্র থাকা যায় তার চেষ্টা করে যাচ্ছে হিয়া। শুভ্র গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর দিবার কথা মনে পড়লো হিয়ার। একা একা তাকে এই জায়গায় ফেলে চলে যাওয়াটা কি ঠিক হবে? যদি কিছু হয়? হিয়া আড় চোখে একবার শুভ্রের দিকে তাকালো শুভ্রের চোখ মুখ গম্ভীর। হিয়া নিচু গলায় বললো,” গাড়িটা একটু থামাবেন?” শুভ্র হিয়ার দিকে তাকালো পর্যন্ত না। শুভ্রের দৃষ্টি সামনে স্থির।

হিয়া দ্বিতীয় বারের মতন বললো,” এইযে শুনছেন? গাড়িটা থামান একটু।” কিন্তু শুভ্র কোনো কথাই কানে নিচ্ছে না। হিয়া বিরক্ত হয়ে ফোনটা বের করে নিজেই দিবাকে কল দিলো। দিবা ঠিক আছে, আবির ভাইয়া তার সাথেই আছে। আরো কিছু বলতে চাচ্ছিলো ইভানের ব্যাপারে কিন্তু হিয়া থামিয়ে দিয়ে বললো,” আচ্ছা, পরে শুনবো। রাখি।” বলেই ফোনটা রেখে দিলো হিয়া। শুভ্রের এমন ব্যাবহারে রাগ লাগছে তার। লোকটা কেমন জানি গোলক ধাঁধার মতন। কখন কি করে বসে কিছুই বুঝা যায় না।

সাড়া রাস্তা দুজনে একটি কথাও বললো না। হিয়া বলতে চেয়েছিল কিন্তু শুভ্রের নিরবতায় সে নিজেও চুপ ছিলো। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় সবার চিন্তা করার কথা হিয়াকে শুভ্রের সাথে ফিরতে দেখে কেউ কোনো প্রশ্ন করলো না।

দুপুরে মোহনা নিজের ফ্ল্যাটে চলে গেছে। তাই বাড়িতেও ভাল্লাগছে না হিয়ার। তারপর এই হনুমানটা কেমন এড়িয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে। হিয়ার অসহ্য লাগছে রীতিমত। অনেক্ষন ভাবলো কি করে কিভাবে শুভ্রের সাথে কথা বলবে কিন্তু কোনো লাভ নেই। এইসব তার দ্বারা হবে না। হনুমানের রাগ করতে ইচ্ছে করেছে রাগ করে বসে থাকুক। কে রাগ ভাঙাতে যাবে তার? হিয়া ইউভিকে কোলে তুলে নিলো। ওকে আজ ভালো করে গোসল করিয়ে একদম ঝকঝকে সাদা করে ফেলতে হবে।

রাতে সাহারা খাতুন ছেলের ঘরে এলেন। শুভ্রের ঘরে তিনি কমই আসেন। মাকে দেখে শুভ্র টেবিল ছেড়ে এগিয়ে এসে তার মায়ের পাশে বসতেই সাহারা খাতুন ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,” তোমার দাদীর অবস্থা বেশি ভালো না। কালকে আমি আর তোমার বাবা যাবো ওনাকে দেখে আসতে। জানি তুমি অনেক ব্যাস্ত কিন্তু যদি অবস্থা খারাপ হয় তাহলে তো যেতে হবে তাই না?”

শুভ্র বুঝতে পারছে তার মা কি বলছে। আগের বার সে যায়নি এবার তো তাকে যেতেই হতে হবে। শুভ্র হা সূচক মাথা নেড়ে বললো,” আচ্ছা যাবো। চিন্তা করো না তুমি।”

” চিন্তা না করে থাকি কিভাবে?”,বলেই একটা নিঃশ্বাস ফেললেন সাহারা খাতুন।

” কিসের এতো চিন্তা তোমার?”, ভ্রু কুঁচকে বললো শুভ্র।

” তোমরা আমাকে চিন্তামুক্ত থাকতে দিচ্ছো? এইভাবে আর কতদিন? বিয়ে তো হয়েছে, মেনেও নিয়েছ তাও এতো দুরত্ব কিসের? মেয়েটাকে নিজের ঘরে নিয়ে এলেই পারো। এই কাজটা তো তোমাকেই করতে হবে।”,বলেই ছেলের দিকে তাকাতেই দেখলো শুভ্র হাসছে তার মায়ের কথায়।

শুভ্র হাসি থামিয়ে বললো,” তোমার এতো চিন্তা করতে হবে না। তুমি যা চাইছো তা হয়ে যাবে। যাও গিয়ে রেস্ট নাও।” শুভ্র হিয়াকে আনবে না। হিয়া নিজে থেকেই আসবে। বাঁদরটাকে তুলে আনলে তো তাকে অতিষ্ট করে ছাড়বে।

” হলেই ভালো।”,বলেই সাহারা খাতুন বেড়িয়ে গেলেন।

শুভ্র নিজের বিছানায় গা হেলিয়ে দিতেই দেখলো। ইউভি লেজ নাড়তে নাড়তে তার ঘরে ঢুকছে। শুভ্র হাতের ঈশারায় ইউভিকে ডাকতেই সে ছোট ছোট পা ফেলে এগিয়ে আসলো। শুভ্র হাত বাড়িয়ে ইউভিকে কোলে তুলে নিলো। ইউভি চোখ পিট পিট করে শুভ্রের দিকে তাকালো। হটাৎ শুভ্রের তার প্রতি এমন কোমল আচরণ সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। শুভ্র ইউভিকে কোলে নিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,” আই সি নো ডিফরেনসেন্স।”

ইউভির চোখ মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে তার শুভ্রের কথা ভালো লাগে নি। হিয়া ইউভিকে খুঁজতে খুঁজতে শুভ্রের রুমে তাকালো। হাল্কা মাথাটা কাত করে তাকাতেই দেখলো ইউভি শুভ্রের কোলে।

হিয়ার চোখ কপালে উঠে গেলো। ইউভিকে কি লোকটা ফেলে দিবে নাকি? শুভ্রের দরজার দিকে তাকাতেই দেখলো হিয়া মাথা বের করে তাকিয়ে আছে। শুভ্র ইউভিকে বিছানায় রেখে এগিয়ে আসতেই হিয়া সোজা হয়ে দাড়ালো। কি বলবে মনে মনে গুছিয়ে নিতেই শুভ্র দরজার সামনে এসে ঠাস করে দরজাটা লাগিয়ে দিলো।

হিয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। কি বদমাইস লোক ! মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিলো। তারমানে কি ইউভিকে দিবে না? হিয়া দরজায় নক করলো কয়েকবার। শুভ্র ওপাশ থেকে কোনো জবাব দেয় নি। কি আশ্চর্য ব্যাপার!

ইউভি মুখে শব্দ করে দরজার সামনে এসে দাড়িয়ে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে ক্ষোভ নিয়ে। শুভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইল। সবগুলোকে নিজের মতন বানিয়ে ফেলে এই মেয়ে।

হিয়া আরো কয়েকবার নক করতেই শুভ্র আস্তে করে দরজা খুলে ইউভিকে বের করে দিলো। হিয়াকে দেখে সে ছুটে এলো। হিয়া ইউভিকে কোলে তুলে শুভ্রকে কিছু কঠিন কথা বলার আগেই শুভ্র দরজা লাগিয়ে দিলো। রাগে হিয়ার গা জ্বালা করছে। জীবনেও এই লোকটার সাথে কথা বলবে না সে।
মনে মনে সে এতোগুলো কথা শুনলো শুভ্রকে।

🌟 কলেজ থেকে ফিরে, পুরো বাড়ি এমন ফাঁকা দেখে বেশ ভয় পেলো হিয়া। সবাই কোথায় গেছে? কিছুক্ষণ পর মনে পড়লো যে সবাই তো শুভ্রের দাদুর বাড়িতে গেছে। কালকেই তো শাশুড়িটা বললো সব। তারই মাথায় ছিলো না। কিন্তু এতো বড় বাড়িতে সে একা একা কি করে থাকবে? রহিমা খালাকেও তো সঙ্গে নিয়ে গেছে। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে অথচ শুভ্র ফিরেনি। ইউভি আর সে একা এই বাড়িতে।

হিয়ার হটাৎ হটাৎ কেনো জানি মনে হচ্ছে কেউ তার দিকে তাকিয়ে আছে। একা থাকলে তার এমন সব চিন্তা মাথায় আসে। তারওপর ইউভি কিছুক্ষণ পর পর আওয়াজ করছে এতে আরো ভয় লাগছে। ইউভি কি অশরীরী কিছু দেখতে পাচ্ছে? ভেবেই শিউরে উঠলো সে। হিয়া সারা বাড়িতে আলো জ্বেলে বসে আছে ভয়ে। গলা শুকিয়ে গেছে কিন্তু রান্না ঘরেও যেতে ভয় লাগছে।

হিয়া ভয়ে ভয়ে উঠে এলো ইউভিকে সোফায় বসিয়ে। জগ থেকে পানি ঢেলে গ্লাসটা হাতে নিয়ে সব চুমুক দিয়েছে ইউভি আবারো শব্দ করতেই হার্ট বিট দ্বিগুণ হয়ে গেলো তার। কার যেনো পায়ের আওয়াজ কানে ভেসে এলো তার। হিয়া ভয়ে জড়সড় হয়ে পিছনে ফিরে হটাৎ শুভ্রকে দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠে দু পা পিছিয়ে গেলো।

হিয়ার এমন শব্দে শুভ্র রান্না ঘরের দিকে ব্যাস্ত হয়ে তাকিয়ে দেখলো হিয়া বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে। শুভ্রকে দেখে হিয়া বুকে হাত দিয়ে প্রশান্তির নিশ্বাস ফেললো। শুভ্র বুঝতে পারছে না কি বলবে? এইভাবে কি কোনো মানুষ চিৎকার করে? শুভ্র বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললো,” আনবেলিভএবেল ” বলেই নিজের ঘরে চলে গেল।

হিয়া বড় রকমের একটা শক খেয়ে এখন বুকে হাত দিয়ে সোফায় বসে আছে। কিছুক্ষণ পর উঠে গিয়ে খাবার গরম করলো। সব কিছু ফ্রিজেই ছিলো তাই ওভেনে গরম করেছে সে। কিন্তু শুভ্র কি এখন খাবে? যা ইচ্ছে করুক। সে যে এতো জোরে চিৎকার করেছে তখন একটিবার জানতে চেয়েছে কি হয়েছে? বনমানুষ কোথাগার..! ইগনোর করে যাচ্ছে রীতিমত তাকে।

হিয়া নিজের খাবার প্লেট নিয়ে টিভির সামনে বসলো। ইউভিও নিজের খাবার খাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর শুভ্র পকেটে এক হাত ভরে নিচে নামলো। টিভির দিকে তাকাতেই ভ্রু কুঁচকে ফেললো সে। টম অ্যান্ড জেরি চলছে। এই বয়সে টম অ্যান্ড জেরি দেখছে, অবিশ্বাস্য..!

হিয়া ভয় দূর করতেই এই চ্যানেল অন করেছে। হটাৎ রান্না ঘরে বাসনের আওয়াজ পেয়ে হিয়া হুট করে তাকালো। আবারো শুভ্রকে দেখলো। লোকটা আস্তে ধীরে কাজ করতে পারে না? খালি ভুতুড়ে আওয়াজ করে বেড়ায়।

চ্যানেলে অ্যাড আসতেই হিয়া চ্যানেল পাল্টে ফেললো। চ্যানেল বদলাতে বদলাতে হটাৎ হরর মুভি ” ইট ” এর ক্লাউনের চেহারা ভেসে উঠলো একটা চ্যানেলে। হিয়া ভয় পেয়ে চোখ মুখে হাত দিয়ে ফেললো। তারপর আস্তে করে টিভিটা অফ করে দিলো। ভয়ে আত্তা কাপছে তার। তার সাথেই কেনো এইসব হয়? হিয়া ঘাড় ঘুরিয়ে শুভ্রের দিকে তাকালো। শুভ্র নিজের খাওয়ায় মনোযোগ দিচ্ছে। হিয়া হাত পরিষ্কার করে আস্তে করে এসে শুভ্রের পাশের চেয়ারে বসতেই শুভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকালো। শুভ্র আরো অবাক হলো যখন দেখলো হিয়ার মুখে অনিচ্ছাকৃত হাসি। চাইছে টা কি মেয়েটা? শুভ্র আবার নিজের খাওয়ায় মন দিলো।

শুভ্রর প্লেট ধোওয়ার সময়েও হিয়ার তার পাশে দাড়িয়ে রইলো। পানি খাওয়ার সময়েও তার পাশেই ছিলো। এতোক্ষণে হিয়ার অদ্ভূত ব্যাবহারের কারণ শুভ্র ধরতে পেরেছে।
শুভ্র সিড়ি বেয়ে নিজের ঘরের দিকে যাচ্ছে,হিয়া তার ঠিক পিছন পিছন আসছে। শুভ্রের ধারণা ছিলো হিয়া নিজের ঘর পর্যন্ত তার পিছন পিছন আসবে কিন্তু তার ঘরে ঢুকে বিছানায় বসে থাকবে এইটা শুভ্র ভাবেনি। শুভ্র যথাসাধ্য হিয়াকে ইগনোর করার চেষ্টা করছে।

হিয়া ভয়ের চোটে শুভ্রের ঘরে এসেছে, নিজে নিজে কোনো মনের আনন্দে সে আসেনি। এই লোকটা তো অশরীরী আত্তার মতন আছে। কোনো কথা বলছে না।একা একা আজ সে নিজের ঘরে কিছুতেই থাকবে না। দরকার পড়লে শুভ্রের দরজায় বসে থাকবে। হিয়া যে বিছানায় বসেছে শুভ্রকে জ্বালাতে এমন করছে। বিরক্ত হয়ে নিশ্চয়ই লোকটা কথা বলবে নিজে থেকে সে কথা বলতে চাইছে না।

হিয়া প্রায় আধঘন্টা হলো শুভ্রের বিছানায় বসে আছে। শুভ্র টেবিলে বসে নিজের কাজ করছে। তারপর চশমাটা খুলে রেখে উঠে দাড়ালো। বিছানায় তাকাতেই হিয়াকে দেখলো। হিয়া ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। ইউভি মেঝেতে বসেই ঝিমুচ্ছে। শুভ্র এগিয়ে এসে লাইটা অফ করতেই হিয়া তড়িঘড়ি করে করে নড়েচড়ে চিৎকার করে উঠে বললো,” লাইট জ্বালান, বন্ধ করেছেন কেনো?” হিয়ার চিৎকারে ইউভি গা ঝাড়া দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ল। শুভ্র ভাবতেও পারেনি হিয়া এতো জোরে চিৎকার করবে!

শুভ্র লাইট অন করে জিজ্ঞেস করলো,” আমার ঘরে কি চাও?”

হিয়া আমতা আমতা করে বলল,” আমি এই ঘরে থাকবো।” বলেই মাথা নুইয়ে ফেললো।

শুভ্র এগিয়ে এসে বলল,” তুমি আমার ঘরে থাকলে, আমি কি করবো?”

” আপনিও থাকুন। আমি কি আপনাকে না করেছি। আমার ভয় লাগছে আমি একা একা থাকতে পারবো না।”,এক নিঃশ্বাসে বললো হিয়া।

” তার মানে কি তুমি আমার সাথে আমার ঘরে থাকতে চাইছো?”,একটা ভ্রু তুলে কথাটা বলতে বলতে এগিয়ে আসতেই হিয়া জড়সড় হয়ে বসলো। আজ ভূতের ভয়ে সিংহের গুহায়হানা দেওয়াটা কি ঠিক হয়েছে তার?

[#চলবে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here