#নীলচে_তারার_আলো
#নবনী_নীলা
#পর্ব_২০
হিয়া আজ কলেজে গেলো না এমন কি নিজের রুম থেকেও বের হয় নি। শুভ্রের এমন আচরণ তাকে গভীর ভাবে আঘাত করেছে। সে নিজেও জানে না শুভ্রের এই ব্যাবহারে তার এতো কষ্ট কেনো হচ্ছে। বার বার শুধু সেদিনের কথা মনে পরছে যেদিন শুভ্র তাকে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেদিনের সেই শুভ্র কত আলাদা ছিলো। সেদিনের সেই রাগেও একটা ভালোলাগা খুঁজে পেয়েছিল হিয়া। তখন তাকে কোলে নেওয়ায় রাগ হয়েছিল কিন্তু যতবার সেই ঘটনা মনে পড়েছে, অজানা ভালো লাগা তাকে আকড়ে ধরেছে।
হটাৎ কেনো জানি সবকিছুই এখন তার কাছে অর্থহীন। হিয়া নিশ্চুপে বারান্দার এক কোনে বসে বাহিরে তাকিয়ে আছে। আকাশটা আজ পরিষ্কার। হিয়ার ইচ্ছে করছে ওই নীল আকাশে মেঘ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এই বিশাল আকাশ নিশ্চই তাকে কষ্ট দিবে না। শুভ্রের প্রতিটি কথা সুচের মতন তার গায়ে বিধেছে। যার যন্ত্রণা হিয়া সহ্য করতে পারছে না। অসহ্য এই ব্যাথা।
ময়মনিংহে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে হিয়ার। সেখানে জিবনটা এতো জটিল ছিলো না। জীবনের এতো জটিলতায় কিছু অদৃশ্য ব্যাথা আজ তাকে গ্রাস করেছে।
শুভ্র নিজের ঘরে বিছানায় গা হেলিয়ে মাথার নিচে দুই হাত রেখে শুয়ে আছে। শুভ্র আসলে কেমন? এতোটাই কি সে রাগী? সে নিজেও জানে না।
আমরা অনেকেই নিজেদের অনুভূতি সম্পর্কে খুব সচেতন। কাকে আমাদের ভালো লাগে কিংবা কে আমাদের দুর্বলতা আমরা জানি। কিছু মানুষ থাকে ভিন্ন। এরা নিজেদের অনুভূতি সম্পর্কে কখনোই ভাবে না। শুভ্র সেই সব মানুষের মাঝে একজন। তবে আজ সে অন্যরকম এক অনুভূতির সন্ধান পেয়েছে। আজই সে অনুভূতি জন্মেছে এমন না, জন্মেছে অনেক আগেই শুভ্র সেটা বুঝে নি। কিংবা বুঝতে চেষ্টাও করেনি।
হিয়ার নিজেকে এমনভাবে আড়ালে রাখাটা শুভ্রর শান্ত মনকে অশান্ত করে তুলেছে। আজ ভার্সিটিতেও যায় নি সে। সকালে হিয়া শুভ্রের মুখোমুখি হয়েও নিশ্চুপে চলে গেছে। একপলক তাকায় নি শুভ্রের দিকে।
✨ দিপা আজ আবার আসলো আর সঙ্গে প্রভাকেও নিয়ে আসলো। হিয়া কলেজে যায় নি ফোনও ধরেনি। রীতিমত চিন্তায় দিবা হিয়াদের বাড়ি এলো।
শুভ্রকে প্রায় টেনে প্রভা নিচে নিয়ে এলো। রায়হান হটাৎ একটা প্ল্যান করেছে। সেই জন্যেই প্রভা এতো তড়িঘড়ি করে শুভ্রকে টেনে এনেছে। শুভ্র নিতান্ত অনিচ্ছায় নিচে এলেও হিয়াকে দেখে সে স্বাভাবিক ভাবেই একটা সোফায় বসলো। হিয়া শুভ্রের উপস্থিতি বুঝেও নিশ্চুপে অন্যদিকে তাকালো।
ম্যারিকে কোলে নিয়ে দিবা হিয়ার কাধে মাথা রেখে বসে আছে।
শুভ্রকে দেখে রায়হান বললো,” আচ্ছা, তাহলে সবাই চলে এসেছে। তাহলে প্ল্যানটা বলি।”
মোহনা হাই তুলতে তুলতে বললো,” তাড়াতাড়ি বল।”
” আজ রাতে সবাই মিলে আমিউজমেন্ট পার্কে গেলে কেমন হয়। হ্যা, আমরা বড়ো হয়েছি। কিন্তু সবাই মিলে এইভাবে তো কখনো যাই নি।”,
দিবা আগ্রহ নিয়ে বললো,” অনেক মজা হবে। সবাই মিলে গেলে।”
” আমার জামাইটা সাথে থাকলে ভালো হতো। ভয় পেলে আরাবের কানের সামনে চিৎকার করা যেতো।”, মোহনার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো, শুভ্র আর হিয়া বাদে।
মোহনা হিয়ার এমন চুপচাপ থাকা দেখে বললো,” কি ব্যাপার তোমাকে কি শুভ্রের জ্বীনে ধরেছে। এমন চুপচাপ কেনো আজ।”
হিয়া তাও কোনো কথা বললো না। দিপা হিয়ার পক্ষে বললো,” পৃথিবীতে কি জ্বিনের অভাব পড়েছে তোমার ভাইয়ের জ্বিনেই কেনো ধরতে যাবে।”
প্রভা রাগী চোখে তাকিয়ে বললো,” বেশি কথা বলিস।”
প্রভার রাগ দিবা গায়ে মাখলো না।
রায়হান সবাইকে থামিয়ে বললো,” আচ্ছা তাহলে সবাই যাচ্ছি তো?”
উত্তরে হিয়া না সূচক মাথা নাড়লো। রায়হান এগিয়ে এসে বললো,” কি ব্যাপার ম্যাডাম? আপনার কি মন খারাপ?”
হিয়া উত্তরে কিছু বললো না। রায়হান আবার বললোl,
” এই স্ট্রবেরি, আমাদের সাথে চলো।মন ভালো হয়ে যাবে।”
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকালো। রায়হানকে এবার থামাতে হবে কিন্তু তার আগে হিয়ার সাথে কথা বলা প্রয়োজন। কিন্তু হিয়া তো কাল থেকেই তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।
হিয়ার প্রতি রায়হানের দুর্বলতা আস্তে আস্তে সবাই দেখতে পাচ্ছে। প্রভা তাই সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,” রায়হানের বুঝি হিয়াকে স্ট্রবেরির মতন লাগে?”
হিয়া সেইসব কথা কানে নিলো না। রায়হান রহস্যময় হাসলো। শুভ্র রেগে উঠে চলে যেতে নিতেই প্রভা শুভ্রের হাত ধরে বসিয়ে রাখলো আর বললো,” প্লীজ উঠে গিয়ে মজাটা নষ্ট করবি না।”
মোহনা আবার বললো,” কি ব্যাপার হিয়া? এতো মন খারাপ কেনো তোমার?”
হিয়া চুপ করে আছে এখনো। একবার শুধু আড় চোখে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রভা শুভ্রের হাত ধরে আছে। হিয়া মোহনার দিকে তাকিয়ে না সূচক মাথা নাড়ল মানে তার মন খারাপ নেই।
দিবা বললো,” ধুর ওকে এতো জিজ্ঞাসার কি আছে? আমি যাবো মানে ও যাবে ফাইনাল।” হিয়া কিছু বলার আগেই দিবা কড়া গলায় বললো,” যা বলার বলে দিয়েছি। তুই যাচ্ছিস।”
এই আলোচনায় শুভ্রের কোনো ইন্টারেস্ট নেই। তবুও সে বসে আছে হিয়ার জন্যে। অ্যামিউজমেন্ট পার্ক যাবার ইচ্ছেও নেই যাচ্ছে শুধু প্রভার জোরাজুরিতে আর রায়হানের আচরনে এতো পরিবর্তন দেখে যাচ্ছে।
✨আমিউজমেন্ট পার্কে আজ অনেক ভিড়। আজ হটাৎ এতো ভিড়ের কারণটা প্রথমে ঠিক আন্দাজ করতে না পারলেও এখন ঠিক বুঝতে পারছে। হাতি আনা হয়েছে ভিতরে। সে হাতির পিঠে চরতেই এতো ভিড়। এমন জায়গায় হটাৎ হাতি!
রায়হান হিয়ার পাশে পাশে রয়েছে। শুভ্র সবার পিছনে। প্রভা হাত টেনেও শুভ্রকে সামনে নিয়ে আসতে পারলো না। প্রচন্ড মাথা ধরেছে তার।
সামনে হাতিকে ঘিরে এক বিশাল ভিড়। হিয়া অন্যমনস্ক ছিলো। হটাৎ আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো ভিড়ের মাঝে সে একা। আশেপাশে কেউ নেই। বাড়ির সবাই ভিড় ঠেলে হাতিকে দেখতে ব্যাস্ত শুধু হিয়া অন্যমনস্ক থাকায় পিছে রয়ে গেলো। এখন হিয়া ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে সবাইকে খুঁজছে। শুভ্র চুপচাপ এগিয়ে এসে হিয়ার মুখ চেপে অন্যদিকে নিয়ে এলো। প্রথমে হিয়া ভয়ে ছটফট করতে থাকে কিন্তু শুভ্রের উপস্থিতি কিভাবে যেনো টের পেয়ে শান্ত হয়ে যায় হিয়া। শুভ্র হিয়াকে অন্ধকার একটা জায়গায় নিয়ে এলো। পুরোনো টিকিট কাউন্টার মনে হচ্ছে।
বাহিরের হালকা আলোয় হিয়া শুধু শুভ্রের চেহারা দেখতে পাচ্ছে। শুভ্র হিয়ার মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিতেই হিয়া সঙ্গে সঙ্গে রেগে পাশ কাটিয়ে চলে নিলো। শুভ্র শক্ত করে হিয়ার হাত ধরে ফেললো। হিয়া শান্ত গলায় বললো,” ছাড়ুন আমায়। আমাকে এইখানে এনেছেন কেনো?” বলেই নিজের হাত ছাড়াতে ছটফট করতে লাগলো।
হিয়াকে এমন ছটফট করতে দেখে শুভ্র হিয়াকে কোলে তুলে একটা টেবিলের উপর বসিয়ে দিতেই টেবিলটা নড়ে উঠলো। টেবিলটা ভাঙ্গা ছিলো শুভ্র সেটা খেয়াল করেনি। আর কি বা করতো সে? হিয়াকে আটকানোর একটাই উপায়। তবে টেবিলের এমন নড়ে উঠায় হিয়া আরো বেশি ভয় পেয়ে বললো,” এই টেবিল ভাঙ্গা আমি পড়ে যাবো। নামান আমাকে।”
শুভ্র হিয়ার কোমর ধরে বললো,” আমি আছি…।”
শুভ্রের স্পর্শে সাড়া শরীরে শিহরণ বয়ে গেলো হিয়ার। হিয়া জামার প্রান্তভাগ শক্ত করে ধরে আছে। হিয়ার অসস্তি হচ্ছে, শুভ্রের এমন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা তার মূল কারণ। হিয়া মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। আবার এইখানে তাকে কেনো এনেছে? আবার বকবে তাকে, ভেবেই হিয়ার কান্না পেলো। চোখ ছল ছল করে উঠলো।
হিয়ার চোখে পানি দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো শুভ্র। কিছুক্ষণ নির্বিকার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে শুভ্র খুব নরম গলায় জিজ্ঞেস করলো,” কাদছো কেনো তুমি? আমি তো কিছুই বলিনি।”
হিয়া বাচ্চাদের মতন চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো,” বলতে বাকি রেখেছেন কি? আপনি তো সবসয়ই আমাকে বকেন।আবার কি করেছি আমি? কেনো তুলে এনেছেন?”
শুভ্র পলকহীন দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।তারপর পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে হিয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,” নাও। চোখের পানি মুছ। তোমাকে আর বকবো না।”
” আপনার রুমাল আমি নিবো না।”,বলেই হিয়া ওড়নার প্রান্তভাগ দিয়ে চোখের পানি মুছে আবার মাথা নুইয়ে রাখলো। শুভ্রের হটাৎ খুব মায়া হলো হিয়াকে দেখে। শুভ্র দূরত্ব কমিয়ে আরেকটু কাছে এসে বললো,” সরি।”
সরি শব্দটা হিয়ার কানে পৌঁছাতেই হিয়া হকচকিয়ে তাকালো। তাকাতেই বুঝলো শুভ্র তার একদম কাছে। হিয়ার বিস্ময় কাটছে না। চোখ মুখে বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করলো,” কি বললেন?”
হিয়ার চোখে মুখে এতো বিস্ময় দেখে শুভ্র ভ্রূ কুচকে বললো,” কিছু না।”
” কিছু না মানে? আমি যে শুনলাম আপনি সরি বললেন। তাহলে আমি কি ভুল শুনলাম?”, শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বললো হিয়া।
শুভ্র এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আর হয় নি। শুভ্র ভীষন অপ্রস্তুত হয়ে তাকালো হিয়ার দিকে। তারপর শুভ্র হিয়াকে ছেড়ে দিয়ে দাড়াতেই টেবিলটা আবার কেপে উঠলো। হিয়া ভয়ে শুভ্রের হাত ধরে ফেললো। তারপর চেঁচিয়ে বললো,” আমাকে এইখানে বসিয়ে দিয়ে কি মেরে ফেলতে চাইছেন? আমি পড়ে যাবো তো….”
শুভ্র দ্বিতীয়বারের মতন এগিয়ে এসে হিয়ার কোমড় ধরতেই হিয়া কেপে উঠলো। হিয়ার এমন কেপে উঠা দেখে শুভ্র চোখে হাসলো। সে হাসি দেখে হিয়া অনেক হকচকিয়ে রইলো।
তারপর শুভ্র কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,” রায়হানকে কি তোমার পছন্দ?”
সরল মনে শুধু হিয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানার জন্যে শুভ্র প্রশ্নটা করলেও, হিয়া ভরকে গেল।
” আমার ওনাকে পছন্দ মানে? আপনি আবার আমাকে নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা ভাবছেন। আমি এইখানে থাকবো না। ছাড়ুন আমাকে।”, বলেই হিয়া তড়িঘড়ি করে শুভ্রের হাত ছাড়াতে চেষ্টা করলো। যার কারণে টেবিলটা অস্বাভাবিকভাবে নড়ছে। শুভ্র হালকা ধমকের সুরে বলল,” নড়ছো কেনো। পড়ে যাবা তো।”
” পড়ে গেলে পড়ে যাবো। আমি এইখানে থাকবো না। আমাকে আপনি কি মনে করেন?”, ভীষন রেগে গিয়ে বললো হিয়া।
“আমি কোনো সন্দেহ থেকে তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি তোমাকে শুধু একটা প্রশ্ন করছি। উত্তর না দিয়ে কোথাও যেতে পারবে না তুমি?”, কথাটা শুভ্র গলা উচু না করেই বললো।
কিন্তু হিয়া তাতেও রেগে গিয়ে বললো,” বলবো না আমি। ”
শুভ্র বিরক্তির নিশ্বাস ফেলে বললো,” তারমানে তোমার ওকে অনেক পছন্দ। ”
” আমার যাকেই পছন্দ হোক না কেনো তাতে আপনার কি?”, কটমট করে তাকিয়ে বললো হিয়া।
” আমার কিছু না। বাবা জানতে চাইলো তাই জিজ্ঞেস করলাম।”, এতটুকু বলতেই হিয়া হকচকিয়ে তাকালো।
” বাবা জানতে চাইলো মানে?”, রীতিমত ভয়ার্ত চোখে তাকালো হিয়া।
” আমি কিভাবে জানবো। আচ্ছা বলতে লজ্জা হলে থাক আমি বলে দিবো যে তোমার অনেক পছন্দ হয়েছে রায়হানকে।”, শুভ্র হিয়ার মুখ থেকে কথা বের করতেই মিথ্যেটা বললো।
হিয়া রীতিমত চেঁচিয়ে বললো,” নাহ্, একদম না। আমি মোটেও ওনাকে পছন্দ করি না। একদম আজে বাজে কথা ছড়াবেন না। আর আপনি আমাকে এইখানে এনেছেন কেনো?”
” যেই জন্যে এনেছি সেটা হয়ে গেছে এইবার নামো এইখান থেকে।”, বলে হিয়াকে নামিয়ে দিবে এমন সময়ে কিছুর বিকট আওয়াজে হিয়া সামনে আরো কিছু ঝুকে সামনে তাকালো। শুভ্র ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে দরজার দিকে তাকালো। কেউ নেই তাহলে কিসের শব্দ হলো? শুভ্র ঘাড় ফিরিয়ে হিয়ার দিকে তাকাতেই দেখলো হিয়া শুভ্রের একদম কাছে।
শুভ্রের মনে দুষ্ট একটা ইচ্ছে জাগতেই শুভ্র হিয়ার কোমড়ে থেকে হাতটা হালকা সরিয়ে আনলো হিয়া ব্যালেন্স হারিয়ে আরো সামনে ঝুঁকে আসতেই শুভ্রের সাথে হিয়ার ঠোঁট মিলে গেলো। হিয়ার কাছে পুরো বিষয়টা অপ্রত্যাশিত হলেও শুভ্রের কাছে এটাই প্রত্যাশিত ছিল…।
[ #চলবে ]
🦋 সবার অনেক অভিযোগ আমাকে নিয়ে। আমি কেনো এক্সট্রা পার্ট দেই না।
তাই সারাদিনের অপেক্ষার পর সুন্দর একটা গল্প সবাই পড়তে চায়। তাই আমি আগের থেকে আরো বেশি সময় নিয়ে গল্পটা লিখতে বসি। আগের চেয়েও বেশি ভাবতে শুরু করেছি।তাই প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগছে।
তবুও কালকে কমেন্টে এতো বোনাস বোনাস দেখে সত্যি ফোনটা হাতে বসেছিলাম গল্প লিখতে। ছোটো খাটো একটা বোনাস পার্ট দিতে চাইলাম কিন্তু এই পর্বের ছোটো একটা বোনাস পার্ট পড়ে কেউ তৃপ্তি পাবেন বলে আমার মনে হয় নি।
আমার কিছু পাঠক পাঠিকারা এইটা ভেবেই ঘুমাতো না যে শুভ্র হিয়াকে কোথায় নিয়ে গেছে? তাই দেই নি।