#আসক্তি
পর্বঃ০৫(বোনাস)
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম
-“সরি মা,বলে আসতে পারি নি।আজাদ স্যারের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে।ইমিডিয়েট অপারেশন করতে হতো।আর উনি আমার হাতেই অপারেশন করাতে চেয়েছেন। উনার মেয়ে জিনিয়া গত রাতে আমায় ফোন করে আর্জেন্ট ঢাকা আসতে বলে।তাই কাউকে কিছুই জানাই নি।প্লিজ মা রাগ করো না।আমি আগামি পরশু দিন রংপুরে চলে আসবো”
-“তাই বলে তুই , এভাবে ওতো রাতে বেরিয়ে যাবি!”
-“লাভ ইউ মা, রাখছি। আমি পৌছে গেছি এখানে। রেস্ট করব মা। পরে কথা হবে বাই”
-বাবা শোন!
যাহ কলটা কেটে দিলো
শান পৌঁছানোর সাথে সাথে তার মায়ের কল আসে।কল কেটে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পরে।দুপুর ২ টার পর অপারেশনের সময় ফিক্সড হয়েছে।
শান লম্বা একটা ঘুম দিয়ে দুপুরে ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে বের হয়।আজ তাদের প্রফেসর হার্ট সার্জন আজাদ স্যারের কেইস সমাধান করতে চলেছে সে।শান ছাড়া অন্য কারোর উপর তিনি ভরসা পান নি।ইতোপূর্বে দুই দুই বার এট্যাক এসেছিলো।শানই ট্রিটমেন্ট করেছে।
“আরে নাবিদ, খবর কি? কতোদিন পর দেখা! what a surprise man!”
নাবিদ শানের ক্লাসমেট ছিলো।বেশ দহরমমহরম সম্পর্ক ছিলো তাদের। সময়ের পরিক্রমায় আজ সম্পর্কে একটু জং লেগেছে।
নাবিদের মুখটা থমথমে দেখে আবার জিজ্ঞেসা করে,”কি ব্যপার, আমার উপস্থিতি কি তোর ভালো লাগে নি।এখনো ঈর্ষান্বিত হোস আমার সাকসেসে?”
বলেই হাসতে থাকে শান।
“শান এদিকে আয়, কথা আছে”-শানের হাত টেনে নিয়ে পাপড়ি ওর কেবিনে নিয়ে যায়।
“কি প্রবলেম এমনভাবে আনলি যে।বাই দ্য ওয়ে আমায় নিয়ে এখনো কি কোন ঝামেলা আছে?”
“সেরকম টা নয় শান।নাবিদের জীবনে অনেক কিছু ঘটেছে এর মাঝে”
“সেটা আবার কি? শুনলাম মাস খানেক হলো বিয়ে হয়েছে।ভালোই তো থাকার কথা”
“আসলে ওর বউ… ”
-“শান চলে আয়। অটিতে ঢোকার সময় হয়ে গেছে”বলতে বলতেই নাবিদ শানকে পাপড়ির কেবিন থেকে বের করে আনে।
“ওকে ম্যাম পরে শুনব তোর কথা।আসছি”
🌸🌸
“শান ভাইয়া কি অবস্থা আব্বুর, সব ঠিকাছে তো”
শান এপ্রোন খুলতে খুলতে জবাব দেয়, “আল্লাহ্ র রহমতে এতো বছরের ক্যারিয়ারে কখনো হতাশ হই নি।Don’t worry,operation successful.”মুচকি হেসে জিনিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে আশ্বস্ত করে শান পাপড়ির কেবিনে গিয়ে বসে পড়ে।
“প্রথম দেখায় রিনিকে পছন্দ করে নাবিদ।পরবর্তীতে দুই ফ্যামিলির সিদ্ধান্তে বিয়েতে জড়ায়।এতো নম্র ভদ্র মেয়ে, দেখতেও মাশাআল্লাহ্।তাদের বিয়ের কিছুদিন চলে যায় অথচ রিনি নাবিদের কাছে ঘেঁষে না, না নাবিদকে ওর কাছে যেতে দেয়। প্রায় সময় নাবিদ ফোন করলে কল ওয়েটিং পেতো।নাবিদ ভাবত ফ্ল্যাটে একা একা বোর হয় তাই হয়ত সকলের সাথে কথা বলে।নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে তাই ওমন । তাই নাবিদও জোড় করে নি রিনিকে না করেছে কখনো সন্দেহ।বেশ ভালোই চলছিলো।৫ দিন আগে রিনি তার বিএফ এর সাথে চলে যায় নাবিদকে ধোকা দিয়ে। সাথে নাবিদের জমানো ৩ লাখ টাকা, গহনাদি সব কিছু নিয়ে যায়।ছেলেটা এতো ভেঙ্গে পড়েছিলো বলার মতো না রে। অনেক কষ্টে তাকে প্রফেশন লাইফে এক্টিভ করতে পেরেছি।যার রেশ এখনো কাটে নি”-গড়গড় করে পাপড়ি কথা গুলো বলে শানের দিক চেয়ে থাকে
শান টেবিলের উপর দুই হাত রেখে মেঝের দিকে থ হয়ে চেয়ে থাকে।কিছু বলার মতো ভাষা তার নেই।
ক্লিনিক থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ১০ টা বেজে যায়।দ্রুতই রুমে এসে টানা ১ ঘন্টা শাওয়ার নিয়ে ভাবতে থাকে শান
“নাবিদের জীবনে ঘটা সম্পূর্ণ ঘটনাই আমার লাইফে ঘটছে।পাখিও তো আমার কাছে ঘেঁষছেই না,না আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছে।পাখিও যথেষ্ঠ নম্র ভদ্র মেয়ে।বলতে গেলে ইন্ট্রোভার্ট টাইপের।তারমানে পাখিরও কোন এফেযার!!!!না না, এসব কি ভাবছি আমি!আমার মা কক্ষনো ভুল হতেই পারেন না।রাত তো ১১ টা বাজলো দেখি তো একবার পাখিকে কল করে”
যেই ভাবা সেই কাজ।পাখিকে কলে ওয়েটিং পায় শান।সন্দেহ যেন এবার মাথা চারা দিয়ে উঠছে।নাবিদের ওয়াইফের সাথে পাখির কোনই তফাৎ সে খুঁজে পাচ্ছে না।
এদিকে একটা নম্বর এতো কল দিচ্ছে দেখে বিরক্ত হয়ে যায় পাখি।ফোনটা সাইলেন্ট মুডে রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন সকালে মা কে কল করে পাখির খবর জানতে চায় তখনও পাখি ফোনে কারো সাথে কথা বলছে বলে জানায় শানের মা।
“আমার এতোদিনের ক্যারিয়ার,আমার মান সম্মান সব কি পাখি ধুয়ে দিয়ে চলে যাবে!অন্য কারোর সাথে!হসপিটালের বেতনটাও তো ড্রয়ারেই ফেলে আসলাম!এসব বাদ আমার মা ওকে কতো বিশ্বাস করে বউ করে আনলো আমার মা কি তবে এবার ভুল প্রমানিত হবে !মা কে সামলাবো কি করে আমি! নিজের জীবনের প্রথম ভুল সিদ্ধান্তে মা কি পারবে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে!নাকি আমি আমার মা কে হারাতে চলেছি”-ওহহহ গড বলে নিজের মাথার চুল নিজেই টেনে চুপচাপ বসে পরে শান।এরকম হাজারটা দূঃচিন্তা যেন ওকে মূহূর্তের মাঝেই গ্রাস করে ফেললো।
তিনদিনে ঢাকার সমস্ত কাজ আধা আধুরা রেখে নাবিদ আর পাপড়িকে বাকি কাজ বুঝিয়ে বাড়ি চলে আসে শান
🌸🌸
সবার সাথে গল্প করে ডিনার সেরে ১০ টার দিকে ঘরে ঢোকে পাখি।এশার নামাজ টা আদায় করে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল গুলো আছড়াতে আছড়াতে শানের কথা ভাবে।একটা বারও লোকটা ফোন দেয় নি তাকে।ভাবতেই ফোন হাতে নিয়ে কল করতে নেয়।কিন্তু বিঁধিবাম শানের ফোন নম্বর তো পাখির ফোনে নেই।নিরাশ হয়ে ফোনটা টেবিলের উপর রাখতেই কেউ এসে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নেয় পাখিকে।
শান বাড়ি এসে মায়ের সাথে দেখা করেই রুমে ঢুকতে খেয়াল করে পাখি টেবিলের সামনে বসে চুল ব্রাশ করছে।পরনে গাঢ় খয়েরি রঙ্গের শাড়ি।চুল গুলো পিঠের উপর ছড়ানো।চুলের সৌন্দর্যে যেন শানের পাগল হবার উপক্রম।সমস্ত দূঃচিন্তা ভুলে কোন কিছু না ভেবেই দ্রুত গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে পাখির চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয় সে।লম্বা লম্বা শ্বাসে চুলের ঘ্রান নিতে থাকে।প্রতিটা শ্বাসেই যেন মাদকতা বেড়েই চলেছে শানের।ধীরেধিরে পাখির কাঁধের উপর থেকে চুল সরিয়ে কাঁধে মুখ ডুবিয়ে দেয় শান।ঠোঁট ছুয়ে দেয় পাগলের মতো।দুহাতে শক্ত করে চেপে ধরেছে পাখির কোমড়।
ঘটনার আকষ্মিকতায় শানকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাখি।আয়নায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে শানের মুখটা।শানের আচরন তার কাছে হিংস্র পশুর থেকে কম কিছু মনে হচ্ছে না।যেন তাকে দ্রুতই খুবলে খেয়ে ফেলবে।উপায়ন্তর না পেয়ে হাতের কনুই দিয়ে শানের পেট বরাবর ভীষণ জোড়ে আঘাত করে পাখি।
ঘোর কেটে ব্যথায় কুকড়ে পেটে হাত রেখে বিছানায় বসে ধপ করে বসে পড়ে শান।ঘটনা বুঝতে কয়েক মূহূর্ত সময় লাগলো শানের। তৎক্ষণাৎ নাবিদের ওয়াইফ রিনির কথা স্মরনে এলো তার।চোখ বন্ধ করে চোয়াল শক্ত করে নিজের রাগ নিবারনের চেষ্টা করে চলছে শান;পারলো না।দ্রুত উঠে গিয়ে পাখির খোলা চুলের মুঠি ধরে বলতে লাগলো,”অনেক হয়েছে নখড়া দেখানো এবার আমি যা বলবো শোন।তোমার সকল চাল আমি বুঝে গেছি।”
পাখি কিছুতেই মানতে পারছে শান এতো হিংস্র হয়ে যাবে।চুলে হাত দিয়ে শানের হাত ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে চলেছে ও।চোখ দিয়ে অনবরত পানি গড়িয়ে পড়ে ভিজে যাচ্ছে বুক।
শান সেদিকে একবার চেয়ে ডান হাতে বুক হতে আঁচল সরিয়ে দিতেই পাখি আলগা হওয়া চুল ছাড়িয়ে শানের পা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
শানের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়।একটা লাত্থি মেরে সরিয়ে দেয় পাখিকে।সিটকে পড়ে টেবিলের কোনায় ভ্রুর নিচে কেটে যায় খানিক টা।শান সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে পাখির দুই বাহু ভীষণ জোড়ে চেপে ধরে তুলে দাড় করায়।পুরুষালী জিম করা হাতের সাথে পাখি পেরে ওঠে না।চাপা কান্নার আওয়াজ এবার পুরো বাড়ি ময় ছড়িয়ে পরে।
কাটকাট গলায় শান দুটো অপশন দেয় পাখিকে, “হয় নিজেকে আমার হাতে তুলে দিয়ে নিজেকে প্রমান করবে নয়ত এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে”
“আআআমি ততততো সসময় চেয়েছি আপনার কককাছে “হিচকে তুলে কান্না জড়ানো কন্ঠে জবাব দেয় পাখি।
মূহুূর্তের মাঝে পুরো পরিবার এসে জড়ো হয় শানের ঘরের বাহিরে।কেউ ভিতরে ঢোকার সাহস পায় না।ভয়ে ভয়ে জড়তা কাটিয়ে সামিহা ঘরে প্রবেশ করে।পাখি ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে দাড়িয়ে হিচকি তুলে কাঁদছে। সামিহা দৌড়ে গিয়ে পাখিকে জড়িয়ে ধরে।ভ্রুর কাটা জায়গা থেকে গলগল করে রক্ত ঝড়ে পড়ছে পাখির সেদিকে খেয়াল নেই।
সে সামিহাকে বলতে থাকে,”ভাবি আমার সময় লাগবে।এসবের জন্যে আমি মোটেও প্রস্তুত নই”
“আর কতো সময়?তোমাদের বিয়ের অলরেডি ৭ দিন পার হয়ে গেছে পাখি।তোমার কি মনে হয় না এবার একটু বেশীই করে ফেলছো?কোন ছেলে বিয়ের ৭ দিন পর্যন্ত এই গ্যাপটা মেনে নিবে না।”
“ভাবি আমার ভয় করে,ভীষণ ভয় করে”-বলেই ডুকরে কেঁদে উঠলো পাখি।।ভীতরে অজানা ভয়ের আতঙ্কে বুক বার বার কেঁপে উঠছে তার
“ভাবি আমার এখন মনে হচ্ছে ও ওর ভার্জিনিটি নষ্ট করে ফেলেছে “-রাগে চোয়াল শক্ত করে চোখ মুখে খিচে কথাটা উগড়ে দেয় শান।সাথে সাথে দু হাতে কান চেপে ধরে জোড়ে কেঁদে ওঠে পাখি।
“শান,এসব কি ধরনের কথাবার্তা!তুমি না শিক্ষিত একজন ছেলে তারউপর ডাক্তার!তোমার মুখে এসব কথা মানায় না “-মুখ ঘুরিয়ে কথাটা বলে শানের ভাবি।
“এই মাঝরাত্রে আর সিন ক্রিয়েট করো না। ওকে ওর মতো ছেড়ে দাও।”
“ভাবি ও সকলের চোখে আমায় কি প্রমান করলো আজ?নিজেকে কি মনে করে ও?স্বাভাবিক কথাও তার সাথে আমি বলতে পারি না।ও সিটকে সরে যায়।কি মনে করে নিজেকে ও?আয়নায় কখনো দেখেছে নিজেকে?ও কি জানে এই ফয়সাল শানের এক রাতের সঙ্গী হবার জন্যে কতো মেয়ে চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছে!ভেবেছিলাম এরেঞ্জ ম্যারেজ তাই সবটা মানতে ওর সময় লাগবে,তাই বলে ও এভাবে রিএ্যাক্ট করবে!”-
এরপর নাবিদের ওয়াইফের সমস্ত কথা সামিহাকে বলে দেয় শান।পাখি যেন এটা মানতেই পারছে না শান তাকে সন্দেহের বশে এমন কষ্ট দিলো!
পাখির চাপা কান্নার আওয়াজ পুরো ঘরময় ছড়িয়ে পরে।কিছুক্ষন পার হতেই শান রুম থেকে বাহিরে যেতে পা বাড়াতে উদ্যত হলে থমথমে মুখে শর্মিলা বেগম ঘরে ঢোকে।শানের মুখোমুখি হতেই শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে শানের বাম গালে সজোড়ে থাপ্পোর বসিয়ে দেয়।
ঘটনার আকষ্মিকতায় চমকে মাথা তুলে তাকায় পাখি।ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে সামিহার হাত খামচে ধরে শব্দ করে কাঁদতে থাকে।এদিকে শান হতভম্ব বনে যায়।গালে হাত দিয়ে টলটলে চোখে মায়ের দিকে চেয়ে থাকে সে।
“গ্রাম থেকে রত্ন দিয়েছি তোমায় তার এভাবে অবহেলা করতে নয়।তুমি পাখির যোগ্যই নও শান।ওরা গ্রামের মেয়ে, তোমাদের মতো অর্ধ্বনগ্ন শহরের নোংড়া মনমানসিকতার মানুষ তারা নয়।তারা তোমাদের one night stand এর মতো জঘন্য কার্যকলাপে অভ্যস্থ নয় যে বিয়ের পরদিনই তোমার কাছে নিজেকে সপে দেবে।তাদের কাছে কিছু পাইতে গেলে ভালোবাসা দিয়ে পাইতে হবে।একজন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী সে, তার বাহিরেও শেষ রাতে তাহাজ্জুদে যার সময় কাটে। যে মেয়ে বিনা কারণে শ্বশুর,ভাসুরের সামনে যায় না, তার উপর তুমি এই অভিযোগ আনতে পারলে!ছিঃলজ্জা হচ্ছে আমার। এই সন্তান মানুষ করলাম আমি!বের হও আমার চোখের সামন থেকে।তোমার মতো নোংড়া ছেলের মুখ আমি দেখতে চাই না।”
“আমার তাহাজ্জুদ নামাজের কথা মা জানলো কি করে”-কান্না থামিয়ে পাখি ভাবনায় পড়ে যায়
মা আজ প্রথমবার তাকে শান বলে ডাকলো।প্রথম বার তার গায়ে হাত তুললো।সবটাই যেন শানের বোধগম্য হতে বেশ সময় লাগছে।
“আর একটা কথা কান খুলে শুনে নাও সবাই, পাখি যদি সত্যিই মিথ্যে প্রমানিত হয় তবে জেনে নিও এই শর্মিলা আহমেদ মিথ্যে।তার পুরো জীবনের সকল সিদ্ধান্ত মিথ্যে”-শান চোখ মুছে ঘরের বাহিরে পা রাখতেই মায়ের দ্বিতীয় হুংকারে থেমে যায়।
শাশুড়ির একরোখা কথায় সামিহা রাগে পাখির হাত ঝটকা মেরে গজগজ করতে করতে ঘরের বাহিরে চলে যায়।শান আর এক মূহূর্ত না দাড়িয়ে ঘর প্রস্থান করে।
চলবে….
[আগামিকালই সব জট খুলে দিবো।নতুন কিছু শেখার বা জানার জন্যে প্রস্তুত হোন রিডার্স।বিশ্বাস আছে নিজের উপর, শিক্ষাটা কাজে লাগবে💜💜]