১. পুরোপুরি পুরুষ বিহীন এক জনসমুদ্রের ঠিক মাঝখানের ফাকা জায়গাটা তে বাশের মতো পুরু একটি মেটালের স্টান্ডের সাথে ক্রুশবিদ্ধ করার মতো দুইহাত বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে একটা বছর তেইশের একটি মেয়েকে। পা দুটো তার পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে এক ফুট ওপরে ঝুলে আছে। শ্রান্ত মাথাটা ঝুকে আছে নিচের দিকে। তীব্র রোদের ভেতর এতটা সময় ধরে ঝুলে থাকার কারণে কপালের ওপর থেকে ঘাম বের হয়ে মাস্কের আড়ালে থাকা চোয়াল বেয়ে টুপ টুপ করে পড়ছে নিচের মাটিতে। পিঠ টা তার উন্মুক্ত, সেখানে অনবরত আঘাতের দগদগে চিহ্ন। আঘাত করা স্থান গুলো ফেটে গিয়েছে, চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে ক্ষত গুলো থেকে।
পাশেই একজন মধ্যবয়সী নারী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাপাচ্ছেন, তার হাতে তেল চকচকা, দুই আঙুল পুরু, পাম কাঠের লাঠি; লাঠির নিম্নভাগ টা মাটিতে ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি৷ ঝুলন্ত এই মেয়েটির পিঠে অনবরত আঘাত করে করে তিনি ক্লান্ত৷ ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লেন তিনি, তারপর চারপাশে জমা ভিড়ের দিকে উচ্চস্বরে হাক ছাড়লেন তিনি,
— স্টেলা!
ডাক পড়তেই ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলো টানা টানা চোখের একটি অতীব সুন্দরী মেয়ে। মুখে তার বিজয়িনীর হাসি, লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা সত্বেও ব্যর্থ হচ্ছে সে, হাসিটা মুখের ওপর ফুটে উঠছে নিষ্ঠুর ভাবে। আর তার সে হাসি দেখে চোখ মুখ শক্ত হয়ে আসছে চারপাশে দন্ডায়মান একদল নারী মহলের, আর অন্য এক দল নারী মহল স্টেলার মতোই খুশি হচ্ছে৷
স্টেলা এগিয়ে এসে মধ্যবয়সী নারীটার পাশে দাঁড়িয়ে অত্যান্ত আনুগত্যের সাথে বলল,
— জ্বি বলুন মিস ক্রিস্টিনা!
মিস ক্রিস্টিনা হাতের লাঠি টা স্টেলার দিকে এগিয়ে দিয়ে রাগে গজরাতে গজরাত বললেন,
— আর পারছিনা আমি! এখনো সতেরো টা বাকি আছে, সেগুলো তুমি দাও৷ দেখো ওর মুখ থেকে চিৎকার বের করতে পারো কিনা! তেত্রিশ টা বাঘা বাঘা আঘাতের পর ও মুখ খোলেনি ও! এতটা চামড়া পুরু ওর! ওর মুখ থেকে চিৎকার বের করতে পারলে তোমাকে দু দিনের ছুটির ব্যাবস্থা দেবো! শুরু করো!
স্টেলার চোখ জোড়া চকচক করে উঠলো। এতদিন পর নিজের এই প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চরম সুযোগ পেয়েছে সে, এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না কোনোভাবেই! প্রতিশোধ ও নেওয়া হবে, আবার দুদিনের ছুটিও পাবে, এর থেকে ভালো প্রস্তাব আর কি হতে পারে!
স্টেলা তেল চকচকা লাঠিটা হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলো ঝুলন্ত মেয়েটির পেছনের দিকে৷ তারপর দুই হাতে শক্ত করে ধরলো লাঠিটা৷ আর এরপরই শপাং করে, নিজের গায়ের সমস্ত জোর দিয়ে আঘাত করলো মেয়েটির পিঠের ক্ষতস্থানের ওপর৷
কেঁপে উঠলো মেয়েটি, কিন্তু তার মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হলো না। কিন্তু সে আঘাতের দাপটে আশেপাশে দাঁড়ানো মেয়েগুলোর মুখ থেকে অস্ফুট স্বরধ্বনি বেরিয়ে এলো! এই নির্মম দৃশ্যে চোখ বন্ধ করে নিলো অনেকে! আতঙ্কিত হয়ে উঠে ছোট ছোট মেয়ে গুলো কেদে উঠলো উচ্চস্বরে।
কিন্তু ঝুলন্ত মেয়েটি বিন্দুমাত্র শব্দ না করায় রাগে লাল হয়ে উঠলো যেন স্টেলা। দাঁতে দাঁত চেপে আবার ও প্রস্তুতি নিলো দ্বিতীয় আঘাত টা করার জন্য। আঘাত করতে করতে আজ ওর সমস্ত শক্তি শুষে নেবে স্টেলা৷ মেয়েটি ওর পায়ে পড়ে শাস্তি মওকুফের জন্য অনুরোধ না করা পর্যন্ত এই আঘাত করা থামাবে না ও৷ হাতের লাঠি টা আবার ও উঁচু করে গায়ের সর্বোচ্চ জোর দিয়ে আঘাত করতে যাওয়ার সাথে সাথেই মেয়েদের ভিড়ের ওপাশ থেকে উচ্চস্বরে ভেসে এলো একটি ঝাঝালো পুরুষ কন্ঠস্বর,
— স্টেলা!
পুরুষ টির কন্ঠস্বর শোনার সাথে সাথেই থেমে গেলো স্টেলার আঘাত করার জন্য উঁচু করা হাত জোড়া৷ চোখ মুখের কঠোরতা উবে গেলো মুহুর্তেই, সেখানে এখন দেখা দিলো ভয়ের আভাস৷ লাঠি ধরা হাত টা তড়িৎ গতিতে নিচে নামিয়ে নিলো সে। ক্রিস্টিনা পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো, পুরুষ টির কন্ঠস্বর শুনে সে নিজেও চমকে উঠলো।
কিন্তু আগন্তক পুরুষ টি ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে এলো না৷ পেছন থেকে অন্য একটা মেয়ে কে উদ্দ্যেশ্য করে বলল
— শার্লট! কোথায় তুমি? জলদি গিয়ে অ্যানার পোশাক টা ঠিক করে দাও৷ দিয়ে আমাকে জানাও৷
পুরুষ টির আদেশ পাওয়া মাত্রই ভিড়ের একেবারে পেছন থেকে কাদো কাদো মুখে এগিয়ে এলো ছোট খাট আর প্রচন্ড মায়াবী একটা মেয়ে। চোখ জোড়া তার লাল হয়ে আছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে এতক্ষণ সে সমানে কান্না করছিলো, এই মাত্র চোখ মুছে এসেছে।
শান্ত আর নির্মল মুখশ্রীর এই মেয়েটি ভিড় পার হয়েই ছুটে এলো লোহার স্টান্ডের সাথে হাত বেধে ঝুলিয়ে রাখা মেয়েটির দিকে। কিন্তু সেই অ্যানা নামের ঝুলন্ত মেয়েটির টির এমন মুমূর্ষু অবস্থা দেখে তার সদ্য মুছে আসা কান্না ভেজা চোখ জোড়া আবার ও পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো। ফুপিয়ে কেদে উঠে সে এগিয়ে এলো অ্যানার দিকে৷
অ্যানার কাছে পৌছেই তার আঘাতপ্রাপ্ত উন্মুক্ত পিঠের ওপর অ্যানার গায়ে থাকা পোশাক টা টেনে টুনে ঠিকঠাক ভাবে ঢেকে দিলো শার্লট। তারপর কান্না ভেজা গলাতেই হাক ছেড়ে ডাকলো সে,
— মিস্টার ব্রাউন! ওর পোশাক আমি ঠিক করে দিয়েছি, আপনি এবার আসতে পারেন!
মিস্টার থিয়োডর ব্রাউন নামক ব্যাক্তি টা এই জনসমাগমের পেছন থেকে তার সামনে জড় হয়ে থাকা মেয়েদের ভিড়ের উদ্দ্যেশ্যে আবার ও ঝাঝালো গলায় বলে উঠলো,
— সরো আমার সামনে থেকে, আমাকে সামনে যেতে দাও৷
থিয়োডরের এ কথার সাথে সাথেই তার সামনে থাকা মেয়েগুলো দ্রুতপায়ে দুপাশে সরে গিয়ে তাকে সামনে আসার জন্য জায়গা করে দিলো৷ আর সেই ফাকা জায়গা দিয়ে বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে আসলো সুঠাম দেহী একজন পুরুষ। বয়স ত্রিশের ওপারে, পরণে তার লরেল রঙা হাফ হাতা টি শার্ট আর কালো রঙা প্যান্ট। ডান হাতে একটা শাবল, দুই হাতেই তার মাটি লেগে আছে৷ তার পোশাকের কিছু কিছু জায়গাতেও মাটি লেগে আছে৷
স্টেলা নামক মেয়েটার দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকিয়ে এগিয়ে এলো সে। স্টেলার একদম সামনে এসে দাঁড়িয়ে সে উচ্চস্বরে ধমকে বলে উঠলো,
— নিজে ওয়ার্কার হয়ে অন্য একজন ওয়ার্কার এর শরীরে আঘাত করার সাহস হয় কিভাবে তোমার?
স্টেলা চুপসে গিয়ে মাথা নোয়ালো। থিয়োডর রেগে গেছে খুব। ভয়ে হাতের মুঠি আলগা হয়ে এলো স্টেলার। পাম কাঠের লাঠি টা শব্দ করে মাটিতে পড়ে গেলো৷ কিন্তু থিয়োডরের রাগ ঠান্ডা হলো না। সে আগের চাইতেও দ্বিগুণ জোরে বলে উঠলো,
— চুপ করে আছো কেন? জবাব দাও!
স্টেলা কেঁপে উঠলো কিঞ্চিৎ। উপস্থিত মেয়েগুলোর একাংশ এখন স্টেলার আর ও একটু শিক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু তারা জানে স্টেলা কে সোজা করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। সে সারাজীবন এরকমই থেকে যাবে৷ স্টেলা মাথা নিচু করেই নরম সুরে উত্তর দিলো,
— মিস ক্রিস্টিনার আদেশে করেছি আমি, উনি হাপিয়ে গেছিলেন, তাই আমাকে বলেছেন!
থিয়োডর স্টেলার দিকে আর ও কিছুক্ষন রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে এবার তাকালো ক্রিস্টিনার দিকে৷ থিয়োডর তাকাতেই থতমত খেয়ে গেলো ক্রিস্টিনা। কি বলবে বুঝতে না পেরে চুপ করে রইলো। থিয়োডর ক্রিস্টিনার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে অ্যানার কাছে গেলো। শার্লট এখনো অ্যানার পাশে বসে ফুপিয়ে কাদছে৷ কয়েক মুহুর্ত আগে পিঠের ওপর দেওয়া পোশাকের অংশ টা পিঠে হওয়া ক্ষতের থেকে বের হওয়া রক্তের কারণে ইতোমধ্যে ভিজে উঠেছে৷
থিয়োডর অ্যানার কাছে এসে অ্যানার সামনে দাড়ালো, তারপর হাতে থাকা শাবল টা মাটিতে ছুড়ে দিয়ে, পাশে থাকা চারপায়া টুল টা টেনে নিয়ে তার ওপর দাড়ালো। আর এরপর লোহার স্ট্যান্ড থেকে অ্যানার হাতের বাধন গুলো খুলে দিলো দ্রুত হাতে।
হাতের বাধন আলগা হতেই ধুপ করে মাটিতে পড়ে গেলো অ্যানা। যেভাবে পড়ে গেলো সেভাবেই পড়ে রইলো, নড়া চড়া করার মতো শক্তিও আর অবশিষ্ট নেই তার শরীরে৷ শার্লট তাড়াতাড়ি করে এসে অ্যানার নেতিয়ে যাওয়া মাথা টা উঁচু করে ধরলো। তার দেখা দেখি এগিয়ে এলো আর ও কিছু মেয়ে। থিয়োডর উচ্চস্বরে শার্লট কে উদ্দ্যেশ্য করে বলে উঠলো,
— ওকে ওর কামরায় নিয়ে যাও শার্লট, আমি আসছি।
শার্লট সহ অন্যান্য মেয়েগুলো ধরাধরি করে নিয়ে গেলো অ্যানাকে তার কামরার উদ্দ্যেশ্যে। আর থিয়োডর ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ক্রিস্টিনার দিকে। থিয়োডর কে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ভড়কালো ক্রিস্টিনা। ঢোক গিললো একটা সন্তর্পণে। থিয়োডর এগিয়ে এসে ক্রিস্টিনার সামনে এসে দাড়ালো, তারপর জিজ্ঞেস করলো,
— ওই মেয়েটাকে এইরকম জানোয়ারের মতো মারার কারণ টা কি, মিস ক্রিস্টিনা?
‘মিস ক্রিস্টিনা’ নাম টা তাচ্ছিল্যের সাথে উচ্চারণ করলো থিয়োডর। ক্রিস্টিনা মাথা নিচু রেখেই উত্তর দিলেন,
— সে ওয়ার্কার দের রুলস ব্রেক করেছে মিস্টার ব্রাউন, তাই আমি তাকে শাস্তি দিয়েছি৷
থিয়োডর আরও একটু এগিয়ে এসে আবারও তাচ্ছিল্যের গলায় বলল,
— ওহ, তাই নাকি? তো কি রুলস ব্রেক করেছে সে, মিস ক্রিস্টিনা! ডিটেইলস বলুন।
মিস ক্রিস্টিনা এক পলক থিয়োডরের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিলেন, তারপর উত্তর করলেন,
— সে আমার অনুমতি ছাড়াই আউটসাইডার্স দের সাহায্য করেছে। আম……
ক্রিস্টিনা কে কথার মাঝখানে হাত উঠিয়ে থামিয়ে দিলো থিয়োডর৷ তারপর পাশ থেকে একজন অল্পবয়সী মেয়েকে ইশারায় কাছে ডেকে সে জিজ্ঞেস করলো,
— এই মেয়ে, তুমি বলো, কি করেছে অ্যানা?
মেয়েটি মাথা নিচু করে ছিলো, মাথা উঁচিয়ে এক পলক ক্রিস্টিনার দিকে তাকিয়ে নিয়ে আবার ও নিচে দিকে তাকিয়ে সে উত্তর দিলো,
— আমাদের ভেতরের একজন প্রসূতি মেয়ের হঠাৎ করেই প্রসব বেদনা উঠেছিলো, হেকিম ফাতমা জঙ্গলে গেছিলো ওষধি কিছু উপকরণ সংগ্রহ করতে, তার ফেরার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু তার ফেরার আগেই মেয়েটির অবস্থা আর ও খারাপ হতে শুরু করলে অ্যানা ফাতমার জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই মেয়েটির সন্তান প্রসবে সহায়তা করে, আর কাজটি সে ভালোভাবেই সম্পন্ন করে। মা আর বাচ্চা দুজনেই এখন সুস্থ আছে।
থিয়োডর মেয়েটিকে ইশারায় আবার নিজের জায়গায় চলে যেতে বলল, মেয়েটি মাথা নিচু রেখেই আবার পেছন দিকে হেটে নিজের জায়গায় চলে গেলো। থিয়োডর চোয়াল শক্ত করে ক্রিস্টিনার দিকে তাকালো।
— তাহলে আপনার কাছে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর চেয়ে রুলস এন্ড রেগুলেশন্স বেশি গুরুত্বপূর্ণ মিস ক্রিস্টিনা! আপনাকে তো কখনোই নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখিনা, আজ আপনার নিয়মের প্রতি এত দরদ উথলে উঠলো কিভাবে?
শক্ত গলায় বলল থিয়োডর। ক্রিস্টিনা মাথা নিচু করে চুপ করে রইলেন। থিয়োডরের প্রশ্নের কি উত্তর দিবেন তিনি জানেন না, এই প্রশ্নের উত্তর তার জানা নেই।
স্টেলা ওদের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাতে হাত ঘষছে, প্রতিশোধ নেওয়ার একটা মোক্ষম সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে গেলো ওর। এরকম সুযোগ আর সে কবে পাবে জানে না! দাঁতে দাঁত চেপে মাটির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সে।
থিয়োডর এবার উচ্চস্বরে ধমকে ক্রিস্টিনার উদ্দ্যেশ্যে বলে উঠলো,
— আউটসাইডার্স দের পরিচালনা করা একজন সামান্য কর্মি হয়ে কোন সাহসে আপনি আমার আন্ডারে কাজ করা একজন ওয়ার্কারের ওপর হাত উঠালেন, জবাব দিন! এইখানে, এই মুহুর্তে!
ক্রিস্টিনা কিছু বললেন না, মাটির দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইলেন৷ থিয়োডর দূরে দাঁড়িয়ে থাকা স্টেলার দিকে এক পলক কঠিন চোখে তাকালো৷ এরপর স্টেলার থেকে চোখ ফিরিয়ে ক্রিস্টিনার দিকে আর ও কিছুক্ষন রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে সে জায়গা থেকে প্রস্থান করলো থিয়োডর, যাওয়ার আগে ক্রিস্টিনা কে বলে গেলো যে খুব শিঘ্রই ক্রিস্টিনা তার পদ হারাবে৷
আর পদ হারানোর কথা শুনে ক্রিস্টিনা পেছন থেকে উচ্চস্বরে কেদে উঠে ক্ষমা চাইতে লাগলো থিয়োডরের কাছে, কিন্তু থিয়োডর তার দিকে ফিরেও তাকালো না! সে চলল একটু আগে এখানে নির্মম ভাবে ঝুলে থাকা অ্যানা নামের রমণীটির কামরার দিকে৷
#বাদশাহ_নামা
#সূচনা_পর্ব
#আমিনা
( জানিনা নতুন গল্প আপনাদের কেমন লাগবে, বা অফিডিয়ানের মতো করে একেও আপনারা গ্রহণ করবেন কিনা, তবে আশা রাখি 💙)