বাদশাহ_নামা #পর্বসংখ্যা_২২_দ্বিতীয়াংশ #আ_মি_না

0
1

#বাদশাহ_নামা
#পর্বসংখ্যা_২২_দ্বিতীয়াংশ
#আ_মি_না

ক্ষীপ্র গতিতে মাটি থেকে উঠে সে লোকটার থেকে দূরে সরে গেলো অ্যানা, আর উঠে দাড়িয়েই সে লোকটিকে দেখে অবাকতার চরম সীমায় পৌছে গেলো ও৷
তার থেকে পাঁচ সাত হাত দুরত্বে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটা হুবহু তার মীরের মতো দেখতে। উচ্চতা, মুখের গড়ন, চোখ, নাক, ঠোঁট, ভ্রু সবকিছু; একেবারে সবকিছুই তার মীরের মতো! শুধুমাত্র গায়ের রঙ টা মীরের থেকে কয়েক শেইড বেশি ফর্সা আর চুলগুলো কেমন যেন কালোর ন্যায় কিন্তু পুরোপুরি কালো নয়, তাতে যেন কিছুটা নীলচে আভা ছড়িয়ে আছে। আর তার চোখের মণি জোড়া গাঢ় পার্পল রঙা, সে চোখের দৃষ্টি নেশাতুর!

অ্যানা সন্দিহান চোখে তার সামনে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত মুচকি হাসা ব্যাক্তিটাকে কিছুক্ষণ পরখ করে নিজের হাত জোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে নিয়ে কড়া গলায় বলে উঠলো,

— কে আপনি? মীরের বেশ কোন সাহসে ধরেছেন?

অ্যানার এমন প্রশ্নে লোকটি যেন মজা পেলো খুব, আশ পাশ টা কাপিয়ে অদ্ভুত ভাবে শব্দ করে হেসে উঠলো সে। হাসির কারণে গা কেপে উঠলো লোকটার।
অ্যানা তীর্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সে আগন্তুকের দিকে।

অ্যানার সিক্সথ সেন্স এই লোকটি সম্পর্কে তার মস্তিষ্কে সতর্কতা বার্তা প্রেরণ করলো, এই লোকটি যে শিরো মিদোরি তে একজন আনওয়ান্টেড এনটিটি এবং সে একদমই সুবিধার নয় সেটাই জানান দিলো ওর সিক্সথ সেন্স। অ্যানা নিজের চোখ মুখ শক্ত করে যে কোনো কিছুর মোকাবিলা করার জন্য নিজেকে মনে মনে প্রস্তুত করতে শুরু করলো।

সে লোকটি হঠাৎ করেই হাসি থামিয়ে অ্যানার দিকে এগিয়ে এলো দু কদম। এরপর অ্যানার মুখ খানা সহ ওর পরণের সাদা রঙা ফিনফিনে শার্ট টার ওপর দিয়ে অ্যানার শরীর টাকে গভীর মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলো সে। তারপর অ্যানার করা প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সে বাকা হেসে শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো,

— এতদিনে বুঝলাম, আসওয়াদ কেন তোমাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না!

আর কথা টা বলে অ্যানা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিদ্যুৎ গতিতে সে লোকটি অ্যানাকে চমকে দিয়ে এসে দাড়ালো অ্যানার একেবারেই সামনে, তারপর নিজের মুখ খানা অ্যানার শক্ত মুখমণ্ডলের দিকে সামান্য ঝুকিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো,

— আফসোস, যে তুমি সম্পর্কে আমার মেয়ে হও, নইলে এইখানেই তোমার সাথে এক রাউন্ড ফুলসজ্জা সেরে নিতাম

আর এই কথা বলার সাথে সাথেই ঝড়ের গতিতে একটা দানবীয় ঘুষি এসে পড়লো সে লোকটির ডান গালে, আর পড়া মাত্রই সে লোকটি ছিটকে নিজের জায়গা থেকে প্রায় বিশ পঁচিশ হাত দূরের একটি রেডউড গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে গেলো। ঘটনা টা এতটাই দ্রুত ঘটলো যে অ্যানা কিছু ঠাহর করার ও সময় পেলো না৷ পরমুহূর্তেই নিজের পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে চকিতে নিজের ডান দিকে তাকিয়ে নামীর কে দেখতে পেলো ও৷ আর এই মুহুর্তে নামীরের এমন ভয়ঙ্কর মূর্তি দেখে আত্মা শুকিয়ে গেলো ওর। এই নামীর কে ও আগে কখনোই দেখিনি!

নামীরের ঈগলের ন্যায় তীক্ষ্ণ, জ্বলজ্বলে সোনালি রঙা চোখ জোড়া প্রচন্ডরকম উজ্জ্বল হয়ে আছে, মনে হচ্ছে যেন সে চোখ জোড়া দিয়ে আগুনের হলকা বের হচ্ছে! ধারালো চোয়াল জোড়া ভয়ঙ্কর রকম শক্ত হয়ে আছে। দুই হাতের কব্জির উপরে অঙ্কিত কালো রঙা বাঘের প্রতিচ্ছবি দুইটা বার বার উজ্জ্বল সোনা রঙে রাঙিয়ে উঠতে চাইছে, কিন্তু মীর যেন নিজেকে তার ভয়ঙ্কর রূপে পরিবর্তিত না হওয়ার জন্য ভেতরে ভেতরে প্রাণপণ চেষ্টা করছে। অ্যানা নামীরের দিকে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই শিউরে উঠলো যেন! তারপর দৃষ্টি ফিরিয়ে আবারও তাদের থেকে বিশ পঁচিশ হাত দুরত্বে মাটিতে পড়ে থাকা আগন্তুকের দিকে তাকালো।

মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়া লোকটি মাটিতে শুয়েই শব্দ করে হেসে উঠলো, তারপর দুই হাতে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে নামীরের সোজাসুজি দাঁড়িয়ে নামীরের দিকে তাকিয়ে আবারও হাসলো সে। হাসতে হাসতে নিজের ঠোঁটের ডান কোণা থেকে চুইয়ে পড়া রক্ত টা ডান হাত দ্বারা মুছে নিয়ে হাতে লেগে থাকা রক্তের দিকে তাকালো একবার, তারপর আবারও নামীরের দিকে তাকালো।

নামীর অ্যানার পাশ থেকে সরে ভারী ভারী কদম ফেলে সামনের দিকে এগোতে শুরু করলো। কিন্তু নামীরকে নিজের দিকে আগাতে দেখেও সে লোকটির ভেতরে কোনো ভাবান্তর হলো না, সে আগের মতো করেই মুখে এভিল হাসি ফুটিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সেখানে। নামীর হেটে সে লোকটির একেবারেই সামনে গিয়ে দাড়ালো, আর তখনি অ্যানা টের পেলো উচ্চতার ব্যাপার টিতে সে ভুল ছিলো, নামীর এই আগন্তকের চেয়ে ইঞ্চি দুয়েক বেশি লম্বা। কিন্তু হুবহু তার মীরের মতো এখতে এই লোকটি কে সেটা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে রইলো ও৷

নামীর সে আগন্তুকের দিকে সিংহের ন্যায় হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠলো,

— পঞ্চদ্বীপের এক এবং একমাত্র বাদশাহ নামীর আসওয়াদ দেমিয়ান এর বিবাহিতা স্ত্রী, পঞ্চদ্বীপের বেগম আনাবিয়া ফারহা দেমিয়ান কে এই ধরনের জঘন্য কথা বলার সাহস কে দিয়েছে তোকে?

আগন্তুক লোকটির মুখ থেকে এতক্ষনের সেই হাসিটা ধীরে ধীরে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। হাসির পরিবর্তে সেখানে এসে ভর করলো একরাশ ভীতি। কিন্তু নিজের ভীতি কে প্রকাশ করতে চাইলো না সে, মুখের ওপর আত্মবিশ্বাসের এক কৃত্তিম ছায়া ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে সে বলল,

— আসওয়াদ, আমি……

কিন্তু নামীর সাথে সাথেই হাত উচিয়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে বজ্র কন্ঠে বলে উঠলো,

— নট আসওয়াদ, বাদশাহ নামীর আসওয়াদ দেমিয়ান।

আগন্তুক টি নিঃশব্দে ঢোক গিললো একটা, তারপর নামীর কে কোনো প্রকার সম্বোধন ছাড়াই বলল,

— আমি তোমার চেয়ে দু মিনিটের বড়, সে হিসেবে আমি তোমার বড় ভাই। আমাকে তুই তোকারি করবে না। আমি এখনো দেমিয়ান বংশেরই ছেলে, তাই আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে।

আগন্তকের এমন কথা শুনে নামীর চুপ করে রইলো কিছুক্ষণ তারপর হঠাৎ করেই আকাশ বাতাস কাপিয়ে হো হো করে হেসে উঠলো ও। কিছুক্ষণ পর হাসি থামিয়ে সে আগন্তকের দিকে তাকিয়ে নামীর ঝাঝালো গলায় বলে উঠলো,

— পঞ্চদ্বীপের বাদশাহর স্ত্রীকে এমন জঘন্য কথা বলার দুঃসাহস দেখিয়ে আবার নিজেকে দেমিয়ান বংশের ছেলে বলে পরিচয় দিয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টা করা কোনো দেমিয়ান বংশের পুরুষের কাজ হতে পারে না, জাযিব ইলহান।

ইলহান নিজের শুকনো ঠোঁট জোড়া জিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে ঢোক গিলল একটা, তার সামনে দাঁড়ানো তার এই দুমিনিটের ছোট ভাই কে যে সে যমের মতো ভয় পায় সেটা সে কোনো মতেই অ্যানার সামনে প্রকাশ করতে চায় না! নামীরের ঝাঝালো কন্ঠ, আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে নিজেকে যথাসম্ভব শক্ত রেখে সে বলল,

— তুমি যে এত এ্যটিকেট অ্যান্ড ম্যানার্সের বুলি আওড়াচ্ছো, তুমি অতীতে কি ছিলে সেটা যদি তোমার এক্সট্রা পজেসিভ প্রিয়তমা স্ত্রী কখনো জানতে পারে তবে কি তোমার সাথে আর একটা মুহুর্তও থাকতে চাইবে?

— অতীত অতীতই৷ অতীত নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো সময় আমার নেই। বর্তমানে আমি কে এবং কি সেটাই মুখ্য বিষয়। আর তোর সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার মতো সময়, ইচ্ছা এবং রুচি কোনো টাই আমার নেই। এখন যে জায়গা থেকে এসেছিস সেখানে ফিরে যা। আর একটা মুহুর্ত ও দেরি করলে আমার স্ত্রী কে অসম্মান করার অপরাধে তোকে আমি ডার্ক প্যালেস থেকে সোজা ওশান জেইলে পাঠিয়ে দেবো, সারাজীবনেও আর সূর্যের আলো দেখতে পাবি না।

তীক্ষ্ণ সুরে কথা গুলো বলে থামলো নামীর৷ ইলহান মৃদু হেসে দুকদম পেছন দিকে সরে গেলো। তারপর বলল,

— সাম্রাজ্য আর সম্রাজ্ঞী দুইটাই তুমি পেয়ে গেলে, কিন্তু এর ভেতর থেকে যেকোনো একটা আমার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তুমি হতে দাওনি। একদিন এর কোনো একটা অথবা দুইটাই আমি নিজের করে নেবো।

ইলহানের কথায় নামীর তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে হিংস্র গলায় বলে উঠলো,

— আমার সাম্রাজ্য আর সম্রাজ্ঞী দুইটাই আমার ফার্স্ট প্রায়োরিটি, আর এই দুইটাকে পাওয়ার কথা কেউ যদি স্বপ্নেও ভাবে তবে তাকে আমি তার মূল্য বুঝিয়ে দেবো। এখন এইমুহূর্তেই তুই আমার সামনে থেকে চলে যাবি, আর ডার্ক প্যালেস থেকে ভুলেও বের হওয়ার সাহস করবি না।

নামীরের কথায় ইলহাম মৃদু হেসে আরও দুই কদম পেছনে সরে গেলো, তারপর তাদের থেকে বেশ খানিক টা দুরত্বে দাঁড়ানো অ্যানা কে উদ্দ্যেশ্য করে বলে উঠলো,

— আনাবিয়া, তোমার স্বামী যে নিজের বংশ রক্ষার উদ্দ্যেশ্যে একটা সন্তানের জন্য তোমার মতো একটি মেয়েকে উপেক্ষা করে দাসীদের সাথে রাত কাটায় সেটা আমি ভালোভাবেই জানি। কখনো যদি একে ওয়ার্থলেস মনে হয় তবে আমার কাছে চলে এসো, তার থেকে আমি শারিরীক মানসিক সব দিক থেকেই তোমাকে বেশি খুশি রাখবো। তোমার ডাউট থাকলে ট্রাই করে দেখতে পারো, সবভাবে, আ’ হ্যাভ মোর টাইম ফর ইয়্যূ দ্যান ইয়্যোর বিলাভড হাজব্যান্ড!

কথা টা শেষ করা মাত্রই নামীর তার পেশিবহুল, ইস্পাত-দৃঢ় হাতের থাবা দিয়ে ক্ষীপ্র গতিতে ইলহানের গলা টা ধরে উচু করে হ্যাচকা টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে এসে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে দাঁতে দাঁত পিষে হিসহিসিয়ে বলে উঠলো,

— নিজের মায়ের পেটের সহোদরের রক্তে হাত রাঙানো যদি নিষিদ্ধ না থাকতো তবে তোকে আমি এখানেই টুকরো টুকরো করে গেড়ে রেখে দিতাম! এই মুহুর্তেই, আমার চোখের সামনে থেকে বেরিয়ে যাবি নইলে আমার ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে কোনো নিষিদ্ধের তোয়াক্কা আমি করবো না৷

কথা টা বলেই নিজের হাতের থাবায় ধরে রাখা ইলহান কে গলা ধরেই ঘুরিয়ে ছুড়ে দিলো নামীর। ইলহান তীব্র গতিতে উড়ে গিয়ে দশ পনেরো হাত দূরের মাটিতে পড়ে কয়েকবার বাউন্স করে আরও দূরে গিয়ে মুখ থবড়ে পড়লো। তারপর আঘাতপ্রাপ্ত শরীর টা ধীরে ধীরে মাটি থেকে উঠিয়ে নামীরের দিকে এক পলক তাকিয়ে মৃদু হেসে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে গেলো জঙ্গলের ভেতরের দিকে৷ ইলহান চোখের আড়াল হওয়া পর্যন্ত নামীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সেদিকে। আর এরপর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যানার দিকে তাকালো।

অ্যানা হতভম্বের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। নামীরের যে একটা জমজ ভাই আছে, আবার সে হুবহু নামীরের মতোই দেখতে, সেটা তাকে আজ পর্যন্ত কেউই বলেনি! এত গুলো বছরেও সে জানতে পারেনি এই ব্যাপারে কিছুই। অ্যানা যতটা না অবাক হয়েছে তার চেয়ে বেশি হয়েছে ব্যাথিত। নামীর এত বড় একটা সত্যি তার থেকে এতগুলো বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছে! কখনোই বলেনি! কিন্তু কেন বলেনি?

নামীর স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যানার দিকে এগিয়ে এলো ধীর পায়ে। নামীর এগিয়ে আসতেই অ্যানা ভ্রু জোড়া সামান্য কুঞ্চিত করে জিজ্ঞেস করলো,

— তোমার যে একটা জমজ ভাই আছে সেটা আমাকে এতদিন বলোনি কেন? আমার থেকে কেন লুকিয়েছ?

নামীর অ্যানার দিকে এগোতে এগোতে উত্তর করলো,

— প্রয়োজন হয়নি তাই।

এরপর অ্যানার সামনে দাঁড়িয়ে শক্ত গলায় বলল,

— তোমাকে ট্রি হাউজ থেকে বের হতে বারণ করা সত্বেও বের হয়েছো কেন?

অ্যানা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলো না। মাথা নিচু করে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো। নামীর ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে অতঃপর বলে উঠলো,

— ভেতরে যাও, টেবিলের ওপর খাবার রাখা আছে। সেটা খেয়ে যেখানে খুশি যাবে, আমি মানা করবো না।

কথা টা বলে নামীর প্রাসাদে ফেরার উদ্দ্যেশ্যে পা বাড়ালো। অ্যানাকে ক্রস করে পেছনে যাওয়া মাত্রই অ্যানা পেছন থেকে তাচ্ছিল্যের সুরে প্রশ্ন করে উঠলো,

— দেমিয়ান বংশের সব পুরুষই কি এমন চরিত্রহীন হয়?

নামীর থমকে দাড়ালো, তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে শান্ত কন্ঠে উত্তর দিলো,

— সব পুরুষের কথা বলতে পারি না, তবে আমি চরিত্রহীন নই।

নামীরের উত্তরে অ্যানা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো, তারপর বলে উঠলো,

— ওহ আচ্ছা!

নামীর আবার হাটা শুরু করে তার পেছনে থাকা অ্যানাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলল,

— বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যাপার, তবে তুমি ছাড়া অন্য কারো শরীরের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আকর্ষণ নেই।

আর কথা টা বলেই ঝড়ের গতিতে সে জায়গা থেকে প্রস্থান করে প্রাসাদের দিকে এগিয়ে গেলো নামীর। আর অ্যানা সেদিকে এক পলক তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ট্রি হাউজের কামরায় ফিরে গেলো আবারও৷

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here