প্রাপ্তমনস্ক_এলার্ট #বাদশাহ_নামা #পর্বসংখ্যা_২২_প্রথমাংশ #আ_মি_না

0
88

#প্রাপ্তমনস্ক_এলার্ট

#বাদশাহ_নামা
#পর্বসংখ্যা_২২_প্রথমাংশ
#আ_মি_না

৩৯. ভোর হয়েছে কিছুক্ষণ আগে, পূব আকাশে সূর্যের আগমনী বার্তা দিয়ে রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। রেড জোনের ভেতরের জঙ্গলে থাকা অসংখ্য রকমের হরেক রঙা পাখি গুলো তাদের মিষ্টি সুরে চিৎকার চেচামেচি জুড়ে দিয়ে দিনের আরম্ভের ঘোষণা দিয়ে বেড়াচ্ছে।

রোজকারের ন্যায় অভ্যাসবশত ভোরেই ঘুম টা ভেঙে গেলো অ্যানার। কিন্তু চোখ জোড়া মেলতে পারছে না ও, চোখ মেলতে গেলেই সূচের মতো বিধছে যেন চোখের ভেতরে! কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর অগত্যা চোখ না মেলতে পেরে ওভাবেই শুয়ে রইলো ও সেখানে। গায়ের ওপর থেকে কাথা টা কিঞ্চিৎ সরে যাওয়ায় শীত শীত করছে ওর খুব৷ সেটাকে টেনে আবার ওপরে ওঠানোর প্রস্তুতি নিলো অ্যানা৷ কিন্তু সেই মুহুর্তেই ওর মনে পড়ে গেলো কাল রাতের সমস্ত ঘটনা। সর্বশেষ যেটা মনে পড়লো সেটা হলো ও বৃষ্টির মধ্যেই কোনো একটা রেডউড গাছের মাথায় উঠে বসে ছিলো, কিন্তু তারপর? তারপর কি হয়েছিলো? আর ও এই মুহুর্তে আছেই বা কোথায়? আর ওকে এখানে নিয়ে আসলোই বা কে?

চোখ জোড়া বন্ধ রেখেই নড়ে চড়ে একটু সরতে গেলো অ্যানা আর তখনি ও নিজেকে আবিষ্কার করলো কারো ইস্পাত-দৃঢ় বাহুবন্ধনীর ভেতরে৷ কেউ যেন ওকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে নিজের দৃঢ়, পেশিবহুল বুকের সাথে। ধক করে উঠলো অ্যানার বুকের ভেতরটা। তার তপ্ত কপাল ঠেকিয়ে রাখা বুকের মালিকটা ঠিক কে সেটা চিনতে বেগ পেতে হলো না অ্যানার। সাথে সাথেই চোখ মেলে তাকালো ও। আর তাকাতেই ওর চোখে পড়লো নামীরের শ্যাম রঙা প্রশস্ত, রোমশ বুক।

নামীরের বা হাত টা অ্যানার গলার নিচ গলিয়ে অ্যানার বা কাধ জড়িয়ে রাখা, আর ডান হাত টা অ্যানার সরু কোমরের ওপর দিয়ে নিয়ে গিয়ে অ্যানার কোমল পিঠ টা জড়িয়ে রাখা। অ্যানার বা পা টা মীরের বিশাল বিশাল দুই পায়ের ফাকের ভেতরে দিয়ে রাখা, যেটাকে কোলবালিশের ন্যায় ব্যাবহার করে ঘুমিয়ে আছে নামীর।

অ্যানা কে এক্কেবারে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে ঘুমিয়েছে নামীর। অ্যানার মুখ দিয়ে বের হওয়া তপ্ত নিঃশ্বাস গিয়ে বাড়ি খাচ্ছে নামীরের বুকে। ওর স্ফিত, সুডৌল বক্ষযুগল চাপাচাপি করে লেপ্টে আছে নামীরের শক্ত পোক্ত পেটের উপরিভাগের সাথে। আর নিজের অবস্থা পর্যবেক্ষণের ঠিক এই পর্যায়েই অ্যানা টের পেলো যে সে পুরোপুরি অনাবৃত, তার শরীরে পোশাকের সামান্য কণামাত্রও নেই, আর না আছে তাকে নিজের সাথে জাপটে ধরে রাখা নামীরের।

সাথে সাথেই নিজের বাকি থাকা ঘুমের রেশ টুকু চোখ থেকে উড়ে গেলো অ্যানার। দাঁতে দাঁত পিষে দ্রুত গতিতে নিজেকে নামীরের থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলো ও, কিন্তু নামীরের সে ইস্পাত-দৃঢ় বাহুবন্ধনী অনু পরিমানও নড়াতে পারলো না অ্যানা৷ এতে করে রাগের মাত্রা টা আরও বেড়ে গেলো ওর! ক্ষীপ্র গতিতে এবার মীরের বুকে নিজের দুই হাত ঠেকিয়ে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে মীর কে ওর থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে যেতে চাইলো ও। আর তখনি ঘুম ভেঙে জেগে উঠলো নামীর। চোখ জোড়া মেলে তাকালো ও। ওর বুকের সাথে লেগে থেকে ওর বুকের সঙ্গেই অ্যানাকে প্রাণপণ যুদ্ধ করতে দেখে ঘুম ঘুম কন্ঠে ও বলে উঠলো,

— শিনজো! এমন লাফালাফি করছো কেন? তোমার শরীর খারাপ, তিড়িং বিড়িং না করে ঘুমাও, আর আমাকেও ঘুমাতে দাও।

কথা টা বলে আবারও চোখ বুজে নিলো নামীর। নামীরের এমন দায়সারা কথা শুনে গা জ্বলে গেলো অ্যানার। বাঘিনীর ন্যায় গর্জে উঠে ও বলল,

— তুমি আমার দুর্বলতার সুযোগ নিতে এসেছো?

নামীর চোখ বন্ধ রাখা অবস্থাতেই হাসলো মৃদু, তারপর আগের মতো করেই উত্তর দিলো,

— উহু, আমি আমার দুর্বলতার সুযোগ নিতে এসেছি।

নামীরের এমন উত্তরে ভ্রু জোড়া কুচকে অ্যানা চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে রইলো মীরের দিকে।

অ্যানা ওর দিকে তাকিয়ে আছে বুঝতে পেরেই নামীর ঠোঁট বেকিয়ে হাসলো তারপর বলে উঠলো,

— হ্যান্ডসাম ছেলে দেখলেই এমন অসভ্যের মতো তাকিয়ে থাকো কেন? আ’ ন্যো আ’ম স্টানিং! তুমি এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার নজর লেগে যাবে, আমি আর ড্যাশিং থাকবো না। তাকিয়ো না৷

নামীরের এমন কথা বার্তায় মেজাজ গরম হয়ে গেলো অ্যানার, রেগে মেগে ও মীরের হাত জোড়া নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলল,

— এই ছাড়ো, ছাড়ো আমাকে! এক্ষুনি!

নামীর নিঃশব্দে হেসে বিনা বাক্যব্যায়ে নিজের বাহুবন্ধনী থেকে অ্যানা কে মুক্ত করে দিলো। আর ছাড়া পেয়েই তড়িৎ গতিতে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলো অ্যানা, তারপর বিছানার পাশে থাকা একটি হালকা গোলাপি রঙা চাদরে নিজের অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত অনাবৃত শরীর টাকে ঢেকে নিলো ও৷ আর এরপর কামরাটার চারপাশে তাকিয়েই ও বুঝতে পারলো ও ঠিক কোথায় আছে।

রেড জোনের ভেতরে, লাইফ ট্রির অদূরে জঙ্গলের উচু উচু বাদামী রঙা রেডউড গাছের ভেতরে অবস্থিত একটি হালকা বাদামী রঙা, মাঝখান থেকে ভেঙে পড়া রেডউড গাছ, যেটি প্রায় তিন হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো। কোনো এক অজানা কারণে দেহের মাঝ থেকে ভেঙে যাওয়ার পর গাছ টা আর বাড়েনি, কোনো ডাল পালাও আর ছাড়েনি৷ প্রায় ত্রিশ ফুটের কাছাকাছি ব্যাসের এই গাছ টি এখনো সেভাবেই নিজের শক্ত পোক্ত শিকড় দ্বারা মাটি আকড়ে ধরে টিকে আছে। আর লোকসমাগম থেকে অনেক অনেক দূরে থাকা এই গাছ টিকেই নিজেদের অত্যান্ত ব্যাক্তিগত সময় পার করার জন্য বেছে নিয়েছিলো ওরা৷

গাছ টি এখানে এত বছর ধরে পড়ে থাকার পরও তার গায়ে বিন্দু মাত্র কাদা মাটি বা শ্যাওলা জমেনি, উপরন্তু অসংখ্য রকম আর শত শত অদ্ভুত সুন্দর রঙের জঙলি ফুল আর অর্কিডে চারপাশ থেকে ছেয়ে আছে সে গাছ টি। আর গাছ টির এমন সৌন্দর্য আর আকৃতি দেখেই এটাকে এই কোলাহলপূর্ণ পৃথিবী থেকে নিজেদের সামান্য বিরতি দিতে বেছে নেয় ওরা।

অর্ধমৃত এ গাছটির কান্ডের ভেতর থেকে সমস্ত কাঠ সরিয়ে ফেলে বসবাসের যোগ্য দুইটি ছোট্ট ছোট্ট কামরা তৈরি করেছিলো ওরা, ঠিক যেন কোনো পাখির বাসা, শুধু আকৃতি টা বিশাল! দুই কামরার একটি হলো ওদের বেডরুম, আর অন্যটি কিচেন আর ওয়াশরুম।
রোজকার হ্যাপহ্যাজার্ড অবস্থা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে দুজনে মিলে এই নির্জন জায়গাটিকে ক্রমে ক্রমে তৈরি করে ফেলেছিলো নিজেদের একটুকরো ইডেনে, যেখানে রাতভর একে অপরের শরীরের সাথে মিশে থাকার পর সমস্ত দিন টা ওরা এই জঙ্গল ঘুরে, জংলি পশু পাখি শিকার করে, দুজনে মিলে ওলট পালট রেসিপি আবিষ্কার করে রান্না অথবা বারবিকিউ করে খেতো; উচ্ছাস আর আনন্দে পার করতো প্রতিটা দিন আর উদ্দাম আদিমতায় কেটে যেত প্রতিটা রাত৷ এই জনমানবহীন জঙ্গলের ভেতরে ওদের মনে হতো যেন কোনো আদিম মানব মানবী, যেন শুধুমাত্র ওদের দুজনকে নিয়েই এই পৃথিবী! কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেসব এখন শুধুই স্মৃতি!

নামীর বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে শুয়ে পরিপূর্ণ মনোযোগ দিয়ে অ্যানা কে পর্যবেক্ষণ করছিলো। অ্যানাকে এইভাবে এক জায়গায় স্থীর হয়ে নিজের ভাবনায় হারিয়ে যেতে দেখে গলা খাকারি দিলো ও। নামীরের গলার আওয়াজ পেয়ে চমকে হুসে ফিরলো অ্যানা, এরপর চোখ মুখ শক্ত করে কামরায় থাকা নকশাদার কাবার্ডের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পোশাক নিয়ে কিচেনের সাথে লাগোয়া ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।

হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে কাবার্ড থেকে নিয়ে আসা মস রঙা ট্রাউজার আর অফ হোয়াইটের অন্তর্বাস পরে নিয়ে তার ওপির চাপিয়ে দিলো সাদা রঙা ফিনফিনা একটা ঢোলা ঢালা শার্ট। এরপর এলোমেলো হয়ে থাকা ঘন কালো চুল গুলো হাতের আঙুলের সাহায্যে সামান্য গুছিয়ে নিয়ে ক্লাচার এর সাহায্যে বেধে নিলো মাথার ওপরে। ওয়াশরুমে আরও কিছুক্ষণ কাটিয়ে অতঃপর খট করে ওয়াশরুমের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো অ্যানা৷ নামীর তখনো বিছানা ছেড়ে ওঠেনি। আর এই সুযোগে নামীর কিছু বুঝে ওঠার আগেই কামরা থেকে দ্রুত গতিতে বের হতে নিলো অ্যানা। কিন্তু ও দরজার কাছে পৌছানোর আগেই বিদ্যুৎ গতিতে ওর ঠিক সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলো নামীর। তারপর নরম গলায় বলে উঠলো,

— তোমার শরীর এখনো ভালোভাবে সেরে ওঠেনি। আরও কিছুক্ষণ এখানে বিশ্রাম নাও, তারপর যাবে।

অ্যানা নামীরের দিকে দৃষ্টি দিলো না, মাথা টা সামান্য নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে ও তেজী গলায় বলল,

— আমি এখানে একটা মুহুর্তও থাকতে চাই না, আমাকে যেতে দাও। আমাকে সেইফ জোনে ফিরতে হবে৷

নামীর নিজের ভ্রু জোড়া সামান্য কুঞ্চিত করে কড়া গলায় বলে উঠলো,

— যেটা করতে বলেছি সেটা করো। আমি বাইরে যাচ্ছি, ফিরে না আসা পর্যন্ত এখান থেকে এক পাও নড়বে না।

নামীরের এমন স্বরের আদেশ অগ্রাহ্য করার মতো সাহস অ্যানার এখনো হয়ে ওঠেনি। মাথা টা আগের মতো নিচু রেখেই চোখ মুখ শক্ত করে পেছন ফিরে ধীর পায়ে হেটে ও বিছানায় গিয়ে বসলো। অ্যানা গিয়ে বিছানায় বসার পর ওর দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো নামীর, এরপর স্নিগ্ধ কন্ঠে বলল,

— গ্যুড গার্ল!

এরপর সামান্য বিরতি দিয়ে নামীর আবারও বলে উঠলো,

— ন্যাও, মেইক অ্যা উইশ।

অ্যানা স্থীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো কার্পেট বিছানো মেঝের দিকে, নামীরের শেষোক্ত কথাটি কানে আসতেই দাঁতে দাঁত পিষলো ও। তারপর শক্ত গলায় বলে উঠলো,

— আই ওয়ান্ট ডিভোর্স

অ্যানার মুখ থেকে এ কথা নির্গত হওয়ার সাথে সাথেই সমস্ত কামরা জুড়ে যেন এক সমুদ্র পরিমাণ নিরবতা নেমে এলো। নামীর দরজার সামনে ওভাবে দাঁড়িয়েই পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো অ্যানার দিকে। আর অ্যানা দাঁতে দাঁত চেপে রেখে তাকিয়ে রইলো মেঝের দিকে। কোনো মতেই নিজের মাথা উঠিয়ে নামীরের দিকে দৃষ্টি দিলো না ও। ওভাবেই ঘাড় গুঁজে পড়ে রইলো।

ঠিক কতক্ষণ এমন নিরবে কাটলো তা জানা নেই ওদের কারো। হঠাৎ করেই সেই দুর্ভেদ্য নিরবতা কে ভেঙে দিয়ে নামীর সামান্য শব্দ করে মিষ্টি হেসে বলে উঠলো,

— তোমার আরও সহজলভ্য কিছু চাওয়া উচিত, এই যেমন ধরো অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি!

কিঞ্চিৎ বিরতি দিয়ে নামীর আবার বলল,

— আমি বেরোচ্ছি, কিছুক্ষণের ভেতরেই চলে আসবো। ততক্ষণ এখানে লক্ষী মেয়ের মতো বসে থাকো।

কথা টা বলেই দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে গেলো ও। আর অ্যানা লাল চন্দন কাঠের তৈরি, রুবি বসানো নকশাদার নরম বিছানাটার ওপর ওভাবেই বসে রইলো চুপচাপ। এরপর নামীরের উপস্থিতি ক্রমে মিলিয়ে যেতেই বিছানা ছেড়ে উঠে এসে দরজা খোলার চেষ্টা করলো ও। কিন্তু ব্যর্থ হলো! নামীর বাইরে থেকে দরজা লক করে রেখে গেছে যেন ও চাইলেও বের হতে না পারে৷

অ্যানা রাগে আগুন হয়ে আবার ফিরে এলো দরজার নিকট থেকে। নামীর ফিরে আসার আগেই এখান থেকে কিভাবে বের হওয়া যায় সেটাই ভাবতে লাগলো ও। খানিকক্ষন কামরার ভেতরের এ মাথা থেকে ও মাথা পায়চারি করার পর ওর মনে পড়লো ওয়াশরুমের এক কোণায় থাকা ছোট্ট জানালাটার কথা। কিন্তু সেটা খুবই ছোট, সেখান দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে যদি আটকা পড়ে যায় তখন হবে আর এক বিপদ।

কিন্তু সে বিপদের তোয়াক্কা করলো না অ্যানা। ওই ছোট্ট জানালা টা দিয়েই বাইরে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো ও৷ যদি আটকা পড়ে যায় তো যাবে, ওকে উদ্ধার করার জন্য মীর তো আছেই!

সাথে সাথেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত গতিতে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো ও, তারপর নিজের মাথার সমান উচ্চতায় থাকা সেই ছোট্ট জানালা টার কাছে গিয়ে সেটার ভেতর দিয়ে সাবধানতার সাথে নিজের মাথা টা গলিয়ে দিলো বাইরে, এরপর ঠেলে ঠেলে কোনো রকমে নিজের কোমর পর্যন্ত বাইরে বের করে ফেললো অ্যানা, কিন্তু এর পরেই বাধলো বিপত্তি।

আর একটু টানাটানি করে সামনে এগোতেই ওর হাই হিপ টা আটকে গেলো সে জানালায়। ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়তে লাগলো ওর। বাইরে থেকে গাছের গুড়ির ওপর দুই হাতের ভর দিয়ে আরও কয়েকবার চেষ্টা করতেই হাই হিপ টাকে জানালার বন্ধিন থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে এলো ও পুরোপুরি ভাবে, কিন্তু বেরিয়েই ধপাস করে গিয়ে পড়লো নিচের আধভেজা মাটিতে। ঘাড় টা আগে পড়ায় ঘাড়ে ব্যাথা পেয়ে মুখ থেকে একটা অস্ফুট ধ্বনি বের হয়ে এলো ওর। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই ওর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিলো সম্পুর্ণ নতুন কোনো একজনের উপস্থিতি। মুহুর্তের ভেতরেই মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থাতেই সচকিত হয়ে উঠলো অ্যানা। আর ঠিক তখনি পাশ থেকে কেউ ওর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে উঠলো,

— আনাবিয়া ফারহা দেমিয়ান, রাইট?

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here