#প্রাপ্তমনস্ক_এলার্ট
#বাদশাহ_নামা
#পর্বসংখ্যা_২৪
#আ_মি_না
৪৩. সারা রাত আর পরের প্রায় সারাটা দিন সমুদ্রের ভেতর ঘুরে ঘুরেই কাটিয়ে দিলো অ্যানা। আর এরপর শেষ বিকেলের দিকে সে গিয়ে পৌছালো কিমালেবে। পঞ্চদ্বীপের প্রতিটা দ্বীপেই অ্যানা আর নামীর একান্তে সময় কাটানোর জন্য একটা করে ছোটখাট রিসোর্ট তৈরি করে রেখেছে, যদিও সেগুলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়বেনা এমন স্থানে অবস্থিত। কিমালেবে থাকা বিস্তৃত পর্বত সারির কোনো এক কোণে লুকিয়ে আছে এমনি একটি রিসোর্ট। কিন্তু অ্যানা সেখানে গেলো না৷ কিমালেবের পোর্টে তার ইয়ট খানা রেখে সে চলে গেলো রিসোর্টের বিপরীত দিকে৷
অনেক গুলো বছর আগে কিমালেবে এসে এখানের মেঘ ছুই ছুই পর্বত গুলো এক্সপ্লোর করার সময় পর্বত গুলোর একটিতে এক অদ্ভুত সুন্দর গুহার সন্ধান পায় ও আর নামীর। আর সে গুহার ভেতর টা এতটাই চমৎকার যে পুরো দুইটা দিন ওরা সেখানেই কাটিয়ে দেয়। প্রথমে তো গুহাটিকে সাধারণ কোনো গুহাই মনে করেছিলো ওরা, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সে গুহার ভেতরের দিকে যেতে যেতে ওরা আবিষ্কার করে সম্পুর্ণ নতুন কিছু। গা ছমছমে, অন্ধকারাচ্ছন্ন সে গুহাটির ভেতরের দিকে আগাতে আগাতে ওরা এসে পড়ে সে পর্বতটির ভেতরে অবস্থিত এক খাদের কিনারায়। আর এসেই ওরা টের পায় এই বিশাল পর্বত টির মাঝাখান টা পুরোপুরি ফাকা। আর সে ফাকা জায়গাটা জুড়ে গড়ে উঠেছে সম্পুর্ণ নতুন এক ইকোসিস্টেম।
পর্বতটির ভেতরকার ফাকা জায়গাটির একেবারেই নিচে, পাদদেশে আছে এক বিস্তৃত সমভূমি, বিভিন্ন অদ্ভুত ধরণ আর রকমের গাছগাছালীতে পরিপূর্ণ সে সমস্ত জায়গা টা৷ আর গাছগাছালীর একপাশে আছে একটা বিশাল হ্রদ, যার পানি এতটাই স্বচ্ছ যে হ্রদের তলদেশে থাকা নুড়ি পাথর গুলোও স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। আর এই পুরো এরিয়া টা জুড়েই আছে ভারী সুন্দর আর অদ্ভুত দর্শন কিছু নতুন প্রজাতির প্রানী যেগুলোকে এই জায়গাটার বাইরে আর কোথাও কখনো দেখেনি ওরা৷
জায়গাটাতে ওদের আগে যে অন্য কারো পায়ের ছাপ পড়েনি সেটা স্পষ্টতই টের পায় ওরা, তাই গুহাটা পরিদর্শন শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় পর্বতের খাদের ভেতরে ঢোকার রাস্তাটাই বন্ধ করে দিয়ে আসে নামীর, যেন কেউ ভুলবসত এখানে এসে দুর্ঘটনার শিকার না হয়, আর অন্য কেউ এসে এই অসাধারণ সুন্দর জায়গাটিকে জনসম্মুখে না নিয়ে আসে৷ এই জায়গাটাকে শুধু মাত্র নিজেদের সময় কাটানোর জন্যই সিলগালা করে রেখে দেয় নামীর। অনেক অনেক গুলো দিন পর অ্যানা আজ সেখানেই চলেছে। কারণ মীরের সান্নিধ্যের পর যেটা ওকে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দেয় সেটা হলো প্রকৃতি!
.
গুহার ভেতরে ঢুকে হাটতে হাটতে এক সময় খাদ টিকে আড়াল করে রাখা সেই প্রাচীর টার কাছে চলে এলো অ্যানা। এতদিনে বদ্ধ জায়গাটি শ্যাওলা সহ অন্যান্য লতাপাতায় ভর্তি হয়ে প্রাচীর টা কে আবৃত করে ফেলেছে। অ্যানা নিজের হীরক খন্ডের ন্যায় উজ্জ্বল চোখ জোড়া দিয়ে পুরো প্রাচীর টা পরখ করলো একবার। তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রাচীর টা খোলার সিস্টেম টা মনে করলো কিছুক্ষণ। খানিকক্ষণ বাদে মনে পড়তেই প্রাচীর টির কিছু বিশেষ বিশেষ স্থানে ক্রমানুশারে স্পর্শ করলো ও। আর সেটা সঠিক হতেই গুরু গুরু শব্দ করে সে প্রাচীর টা সরে ঢুকে গেলো বাদিকের পর্বতের শরীরের ভেতর।
প্রাচীর টা সরে যেতেই গোধুলি লগ্নের এক মুঠো রোদের সাথে এক ঝাপটা স্নিগ্ধ বাতাস এসে হুড়মুড়িয়ে আছড়ে পড়লো অ্যানার মুখের ওপর। চোখ জোড়া বন্ধ করে নিয়ে সে স্নিগ্ধ বাতাস টাকে অনুভব করলো অ্যানা, তারপর বুক ভরে দম নিয়ে পা বাড়ালো ও সামনের দিকে, আর প্রাচীরের জায়গাটা পার হয়ে সামনে চলে যেতেই আবার গুরু গুরু শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেলো ভেতরে ঢোকার রাস্তাটি।
সেদিকে এক পলক তাকিয়ে সামনের দিকে আগালো অ্যানা৷ তারপর পর্বতটির ভেতরকার খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে উকি মেরে একবার নিচ টা দেখে নিলো অ্যানা৷ ও যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে মেঘ জমেছে অনেক। নিচ টা স্পষ্ট দেখার কোনো উপায় নেই৷ সাদা রঙা মেঘের স্তুপ গুলো কোনো কোনো টা একজায়গায় স্থীর হয়ে আছে, আর অন্য গুলো পেজা পেজা তুলোর মতো উড়ে উড়ে এদিক ওদিক বেড়াচ্ছে, কোনো কোনো টি অ্যানাকে ছুয়ে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে অন্য দিকে।
হাত থেকে লিন্ডা সহ ব্যাগ টা নামিয়ে নিচে রাখলো অ্যানা৷ তারপর নিজের বা হাতে থাকা রিস্ট ওয়াচ টার দিকে তাকালো যেটা গতকাল দূপুরে ব্রায়ান দিয়েছে তাকে। আগের টা সমুদ্রের পানিতে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার পর ব্রায়ান কে বলেছিলো হারিয়ে গেছে। তাই ব্রায়ান আবার একটা রিস্টওয়াচের ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। আর আবারও রোজকার মতো সকাল বেলা সে রিস্ট ওয়াচে ভেসে উঠেছে একটা মেসেজ,
‘ মেইক অ্যা উইশ ‘
হাতের রিস্ট ওয়াচ টা অন করে সেখানের মেসেজ অপশনে গেলো অ্যানা৷ তারপর ঢুকলো নামীরের দেওয়া মেসেজের ভেতরে। কিছু একটা টাইপ করতে গিয়েও আবার কি মনে করে বেরিয়ে এলো সেখান থেকে। হাত টা নিচে নামিয়ে উকি দিয়ে তাকিয়ে আবার দেখে নিলো পর্বতের পাদদেশ টা। মেঘের ঘনঘটার জন্য নিচ টা দেখা যাচ্ছে না ভালো ভাবে। কিছুক্ষণ নিচের দিকে একনজরে তাকিয়ে থেকে ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারও রিস্টওয়াচ অন করে মীরের মেসেজের ভেতর ঢুকলো অ্যানা। তারপর ক্যি প্যাড ট্যাপ করে টাইপ করলো,
— অ্যালাউ ম্যি ট্যু ইয়্যুজ মা’ ফ্যুল প্যাওয়ার ফ’ দ্যা রেস্ট ওব মা’ ভ্যাকেশন।
তারপর কিছুক্ষণ সময় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সেন্ড বাটনে ট্যাপ করলো। আর মেসেজ টি সেন্ড হওয়ার পরমুহূর্তেই ফিরতি মেসেজ এলো,
— উইশ গ্রান্টেড।
অ্যানা কিছুক্ষণ ঠোঁট কামড়ে মেসেজ টির দিকে তাকিয়ে রইলো, তারপর আবার টাইপ করলো,
— কোড??
— দ্যা মোস্ট গর্জিয়াস ওয়্যেস্ট ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড
নামীরের মেসেজটি দেখে না চাইতেও ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিৎ হাসির রেখা দেখা দিলো অ্যানার। রিস্ট ওয়াচ টি হাত থেকে খুলে ফেললো অ্যানা তারপর সেটি ব্যাগের ভেতর রেখে দিলো। এরপর একে একে খুলে ফেললো নিজের শরীরের সমস্ত পোশাক। তারপর ক্লাচার দিয়ে বাধা ঘন কালো লম্বা চুল গুলো খুলে মেলে দিলো বাতাসে। এরপর নিজের কোমরের দিকে তাকালো অ্যানা। তার কোমরে বাধা লাইফ ট্রির ডালের সরু একটি লতার অংশ, যেটা সবুজ রঙ থেকে পরিবর্তন হতে হতে সময়ের সাথে সাথে কালো বর্ণ ধারণ করেছে।
অপরাধের শাস্তি স্বরুপ ওয়ার্কিং জোনে পাঠানোর পাশাপাশি তার পাওয়ারের ব্যাবহারে রেস্ট্রিকশন দিয়ে রেখেছিলো নামীর। লাইফ ট্রির একটা সরু ডাল ছিড়ে সেটা এক বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যানার কোমরে বেধে দিয়েছিলো, যেটার কোড একমাত্র নামীরেরই জানা ছিলো। আর এই কোড ছাড়া কোনোভাবেই লাইফ ট্রির বন্ধন ছেড়া সম্ভব নয়। অ্যানা নিজের নগ্ন কোমরে বাধা সরু লতাটা নিজের দুইহাত দিয়ে মুঠি করে ধরে মুখে উচ্চারণ করলো,
— দ্যা মোস্ট গর্জিয়াস ওয়্যেস্ট ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড
আর সাথে সাথে লতাটার হাতে ধরা অংশ টা থেকে পুড়তে শুরু করলো লতাটা, এরপর সেটা পুড়ে পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই নিজের শরীরে পরিবর্তন অনুভব করলো অ্যানা। আর সাথে সাথেই এক অদ্ভুত ঝটকা দিয়ে কেপে উঠলো সমস্ত পঞ্চদ্বীপ। নিজের হারানো সমস্ত শক্তি যেন ঝড়ের গতিতে ফিরে আসতে লাগলো অ্যানার শরীরে৷ দু হাত দুদিকে বাড়িয়ে দিয়ে সেই অসাধারণ অনুভূতি টা অনুভব করতে থাকলো ও৷ আর ক্রমে ক্রমে ওর কালো কুচকুচে চুল গুলো ধবধবে সাদা রঙ ধারণ করে ধীর গতিতে ঢেউ খেলে খেলে উড়তে শুরু করলো বাতাসের সাথে আর তার পরমুহুর্তেই ওর সমস্ত শরীর ছেয়ে গেলো অদ্ভুত ধরণের এক নকশায়। গোধুলি বেলার লালচে আলো এসে পড়লো অ্যানার শরীরে আর পড়তেই অ্যানার শরীরের সে নকশা গুলো জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠলো, যেন সে সমস্ত নকশা জুড়ে শতশত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হীরককণা খোদাই করে বসিয়ে দিয়েছে কেউ!
পাশে বসে থাকা লিন্ডা অবাক চোখে দেখতে লাগলো অ্যানাকে। যেন নিজের চোখ জোড়াকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে৷ লিন্ডার অবাক চোখের দিকে এক পলক তাকিয়ে নিজের চোখ জোড়া বন্ধ করে হাত দুটো আরও ওপরে করলো অ্যানা, আর সাথে সাথেই বাতাসের সাথে ভেসে উপরে উঠে গেলো ও৷ আর এরপর শান্ত ভাবে নিজের অনাবৃত, সুডৌল দেহ টা দুলিয়ে ও নিয়ে এলো পর্বতের খাদের ভেতর কার সে ফাকা জায়গাটির একেবারে মাঝ বরাবর, যেখানে সূর্য কীরণ এসে পুরোপুরি ছুয়ে দিয়ে গেলো ওকে৷ আর সে সূর্য কীরণ কে নকশা গুলোর মাধ্যমে নিজের দেহের ভেতরে শুষে নিতে থাকলো অ্যানা। খানিক্ষণ বাদে নিজের হাত জোড়া উচু করে হাতের তালুর নিচে, কব্জির দিকটা সূর্যের সামনে তুলে ধরলো ও৷ আর তুলে ধরা মাত্রই সূর্য কীরণ লেগে দুই হাতের দুই কব্জিতে ফুটে উঠলো কালো রঙা, সোনালি বর্ডারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাতা যুক্ত দুইটা লতার প্রতিচ্ছবি, কব্জি পেচিয়ে পেচিয়ে যেটার ডগা উঠে গেছে অ্যানার বাহু বরাবর।
এমন সময়ে চোখ খুলে তাকালো অ্যানা। ওর হীরক খন্ডের ন্যায় চোখ জোড়ার উজ্জলতা বেড়ে গেছে বহুগুনে। সন্ধ্যা নামার আগ মুহুর্তে পর্বতের এই খাদের ভেতরে ভেসে বেড়ানো উজ্জ্বল অ্যানা ঠিক যেন এক নক্ষত্রের ন্যায় ফুটে উঠেছে। আরও কিছুক্ষণ সূর্যের শেষ মুহুর্তের রক্তিম কীরণ নিজের শরীরের ভেতর নিয়ে শূন্যে ভেসে থাকা অবস্থাতেই নিচের দিকে তাকালো অ্যানা। আর তারপর বড় একটা দম নিয়ে ঝড়ের গতিতে নিচের দিকে ছুটে গেলো ও। মেঘের আস্তরণ টা পার হতেই ওর চোখে পড়লো খাদের ভেতর থাকা সমস্ত এরিয়াটা। এত গুলো দিন পর স্বাধীন ভাবে উড়ে বেড়াতে পেরে অ্যানার মন টা প্রচন্ড খুশিতে ভরে উঠলো কানায় কানায়৷ উচ্ছাসের সাথে শরীর টা বেকিয়ে, বাতাস চিরে এদিক ওদিক ঝড়ের গতিতে উড়ে যেতে যেতে মুখ থেকে আনন্দধ্বনি বেরিয়ে এলো অ্যানার৷
অনেক অনেক ক্ষণ ওড়াউড়ি করে, খাদের ভেতরে অবস্থিত লম্বা লম্বা গাছ গুলোর প্রত্যেকটার মাথা ছুয়ে দিয়ে ও যখন নিচে নেমে এলো তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। প্রচন্ড খুশি নিয়ে অ্যানা এসে দাড়ালো খাদের ভেতর কার হ্রদটির পাড়ে৷ ওর শরীরের উজ্জলতায় আলোকিত হয়ে এলো চারপাশ টা৷ লিন্ডাটা এখনো ওপরেই আছে। কিন্তু ওকে নিয়ে চিন্তা নেই। সেখানে কোনো হিংস্র প্রাণী যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
হ্রদের পাড় থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে সেখান থেকে দৌড়ে গিয়ে হ্রদের ভেতরে ঝাপ দিলো অ্যানা৷ নইজের অনাবৃত উজ্জ্বল দেহ টা নিয়ে সাঁতরে সাঁতরে চলে গেলো হ্রদের একেবারেই তলে৷ তারপর নিজের হাত টা দিয়ে হ্রদের তল টা ছুয়ে দিলো ও, আর ছুয়ে দেওয়া মাত্রই সমস্ত হ্রদ টা আলোকিত হয়ে উঠলো। দৃশ্য মান হলো পানির ভেতরে সাঁতরে বেড়ানো সমস্ত জলজ প্রাণী গুলো। অ্যানার উজ্জ্বল শরীরের প্রতি আকর্ষিত হয়ে সেগুলো এসে ছুয়ে দিতে থাকলো জ্বলজ্বলে অ্যানকে। সুড়সুড়ি লেগে খিল খিল করে হেসে উঠলো অ্যানা। তারপর হ্রদের এ মাথা থেকে ওমাথা সাঁতরে বেড়ালো অনেক অনেক ক্ষণ ধরে।
আর এতক্ষণের এই সমস্ত দৃশ্য গুলো সুউচ্চ সে পর্বত শৃঙ্গটির ওপর থেকে দেখতে দেখতে নামীর স্বগতোক্তি করলো,
— দ্যা মোস্ট বিউটিফুল, প্যাসিফাইয়্যিং অ্যান্ড নারক্যোটিক থিং ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড!
চলবে……
( ছোট পর্ব দিয়েছি বলে কেউ রাগ কইরেন না, আজ দুইদিন খুব ব্যাস্ত আছি, মন টা অকারণে উড়ুউড়ু করছে লেখায় মন ও বসাতে পারছিনা। আগামী দিন বড় পর্ব দিবো সিউর 🙁)