#বাদশাহ_নামা
#পর্বসংখ্যা_৪০_প্রথমাংশ
#আ_মি_না
৫৭. সেদিন রাতে ওদের প্রচুর ভালোবাসাবাসি হলো। এর পরের প্রায় বেশ কয়েকটা দিন মীর প্রায় আঠার মতো লেগে রইল অ্যানার পেছনে। প্রায় প্রতিটা রাত অ্যানার সাথে কাটানোর জন্য যেন মরিয়া হয়ে উঠলো ও।
অ্যানার দিন গুলো কাটতো ওয়ার্কিং জোনে, কাজের মাঝে। আর রাত গুলো কাটতো মীরের সাথে। কখনো রেড জোনের গভীর জঙ্গলের ভেতর, কখনো রেড উড গাছের এক্কেবারে মগডালে, কখনো ট্রি হাউজে, কখনো সমুদ্রের পাড়ে, কখনো বা কোকো ফ্যালকন দের সাথে আড্ডা দিয়ে।
সারাক্ষণ মীরের সাথে থেকে থেকে আবার নিজের অতীতের দিন গুলোতে ক্রমে ক্রমে ফিরে যাচ্ছে অ্যানা। নিজের গাম্ভীর্যতা হারিয়ে আবার আগের মতো প্রানোচ্ছল হয়ে উঠছে। ওর প্রাণখোলা খিলখিলে হাসিতে বারংবার মাতোয়ারা হয়ে উঠছে মীর। কিন্তু অ্যানার ওই হাসির ঝংকার ওর বুকে গিয়ে বাড়ি খেয়ে সেখান থেকে উঠে আসতে চাইছে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস, যেটাকে সন্তর্পণে অ্যানার থেকে লুকিয়ে নিয়ে চলেছে মীর। অ্যানাকে হাসিখুশি দেখতে চাওয়ার তৃষ্ণা যেন পেয়ে বসেছে ওকে। কিভাবে কি করবে সেটা ভেবে কোনো কূল কিনারা পাচ্ছে না ও৷
যদিও অ্যানা মীরকে এখন সন্দেহ করা ছেড়ে দিয়েছে। এই কয়েকদিনে আবার মীর কে আগের মতোই আপন করে নিয়েছে ও। যত্নের অভাবে মীরের শুকিয়ে যাওয়া মুখটা দেখলেই ওর ভেতর থেকে অতীতের যত্নশীল স্ত্রী সত্তা টা বেরিয়ে এসে বার বার মীর কে বুকের ভেতর আগলে নিতে চায়, সেই চাওয়া কে বাধা দিতে পারেনি ও, আটকে রাখতে পারেনি নিজেকে বেশিক্ষণ। মীরের হাবভাবে যদিও ওর মনে হয়েছিলো মীর কিছু লুকোচ্ছে ওর থেকে, কিন্তু কিইবা লুকোবে। দাসীই তো! তো থাকুক। একটা বাচ্চাই তো চাই ওর, আর তো কিছু না। একটা শেহজাদা চলে এলে তো আর কোনো অমস্যা নেই। তাকে না হয় অ্যানা নিজের সন্তানের মতোই বড় করবে!
মীর তো ওর জন্মের পর থেকে আর কোনো দাসী কে কখনো ছুয়ে দেখেনি। শুধু অ্যানা ওর বউ হবে বলে মীর আর কোনো দাসীকেই ছোয়নি, অ্যানার জন্যই নিজেকে সবকিছু থেকে বিরতপ রেখেছে। কিন্তু বিগত পাঁচ ছয় বছরে মীরের হঠাৎ করেই এই দাসীদের বাতিক হলো, শুধুমাত্র একটা বাচ্চার জন্য।
কিন্তু ওই পাঁচ ছয় টা বছরে যতগুলো দাসীই মীরের নিকট গিয়েছে সবগুলোকে নিজের হাতে ওপরে পাঠিয়েছে অ্যানা। এবার না হয় একটু সহ্য করে নিক! কিছু সত্যি না হয় অজানাই থাকুক ওর!
ওদের পূর্বপুরুষেরা তো এভাবেই নিজেদের জীবন অতিবাহিত করেছে। আজ যদি লাইফ ট্রি ওকে মীরের সাথে না জুড়ে দিত তবে মীরের এতদিনে গাদা গাদা বাচ্চা কাচ্চা থাকতো। সেগুলো অ্যানার চারপাশে সারাদিন ক্যা ক্যা করতো, ওকে ডাকতো আপু। অ্যাহ, এইডা কিছু হইলো! ছ্যাহ!
লাইফ ট্রির নিকটে, উজ্জ্বল পানির স্রোত ওয়ালা ডোবা টার পাশের ফাকা জায়গাটিতে মীরের বুকে ঠেস দিয়ে বসে এসবই ভেবে চলেছিলো অ্যানা। আজ কয়েকদিন ধরে ওরা সবাই মিলে গেট টুগেদার করছে। কোকো, ফ্যালকন, হাইনা কাঞ্জি, ওকামি, লিও, আলফাদ, জোভি ওরা সবাই এখানেই আছে। কোকো আর ফ্যালকন কুস্তি লড়ছে সেটাই একপাশে বসে দেখছে ওরা আর ফ্যালকন কে বাহবা দিচ্ছে।
ওরা দুজন কুস্তি করছে বললে ভুল হবে, ফ্যালকন একাই কুস্তি করছে। বিশালাকার কোকো মাটিতে ঠাই বসে আছে, ফ্যালকন কে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে কোকোকে ওর জায়গা থেকে ঠেলে এক ইঞ্চি সরানোর। চ্যালেঞ্জে জয়ী হলেই ফ্যালকন কে সমুদ্র থেকে একটা ফ্রেশ টুনা ট্রফি হিসেবে দেওয়া হবে৷ সময় এক ঘন্টা। কিন্তু কোকো সে সময় কে বাড়িয়ে সারা রাত করে দিয়েছে। এর ভেতরে যদি ফ্যালকন ওকে এক সেন্টিমিটারও নিজের জায়গা থেকে সরাতে পারে তবে কোকো নিজ দায়িত্বে ওকে দুইটা জায়ান্ট সাইজের টুনা ধরে এনে দেবে সমুদ্র থেকে।
আর বেচারা ফ্যালকন চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্ট করে নিয়ে সেই তখন থেকেই বিশালদেহী কোকো কে সজোরে ঠেলে চলেছে, কিন্তু লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না।
লিন্ডা বসে আছে লিওর কোলে। এত গুলো সুদর্শন পোলার ভেতরে ওর মন গিয়ে ঠেকেছে লিওর কাছে। জঙ্গলের লায়ন দের দলের লিডার, ঝাকড়া সোনালি চুলের লিওর ধুসর রঙা শার্টে ঢাকা পাতলা পেশিবহুল শরীরের পেটের কাছ টাতে গা লাগিয়ে শুয়ে শুয়ে লিওর পুরুষালি মুখ খানা এক নাগাড়ে মুগ্ধ চোখে দেখে চলেছে লিন্ডা। এদিকে এত্ত কিউট কিটি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে লিন্ডাকে কোলে নেওয়া লিও এখন পড়েছে বিপদে। লিন্ডাকে সে একেবারেই বাচ্চা ভেবেছিলো, কিন্তু এ তো আর কিছুদিন পরেই উপযুক্ত বয়সে পৌছে নিজের হিউম্যান ফর্ম নিবে।
আর লিন্ডা যে তার ওপর ক্রাশিত, আর সেই তখন থেকেই এক দৃষ্টিতে লিওর কোলে শুয়ে লিওর দিকেই তাকিয়ে আছে সেটা টের পাওয়ার পর থেকেই লিও ভুগছে অস্বস্তি তে। লিন্ডার বয়স এখন আট মাসে পড়েছে, এর মানে সে হিউম্যান ফর্মে এলে এখন হবে পনেরো বছরের কিশোরি। ভয়ঙ্কর সময়, বাপ্রে বাপ! কিন্তু লিন্ডার কোনো হেলদোল নেই, সে লিওর মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যাস্ত।
অ্যানা মীরের বুকে ঠেস দিয়ে ফ্যালকন আর কোকোর এই অদ্ভুত কুস্তি দেখে মাঝে মাঝেই খিলখিল করে হেসে উঠছিলো। ওর সে উইন্ড চাইমস এর ন্যায় মিষ্টি হাসি মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো মীর। আর মাঝে মাঝেই অ্যানার অলক্ষে অ্যানার মুখ খানাকে পরখ করছিলো মুগ্ধ চোখে। দিন দিন যেন মেয়েটার রূপ বেড়েই চলেছে, বেড়েই চলেছে! এমন হতে থাকলে কবে বউ এর রূপের ঝলকানি তে ও অন্ধ হয়ে যাবে।
মিষ্টি হেসে মীর অ্যানার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে সামনে তাকালো। তারপর কিছুক্ষণ সেদিক টা পর্যবেক্ষণ করে অ্যানার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
— তোমার মেয়েটা তোমার সাথে থেকে থেকে পেকে লাল টমেটো হয়ে গেছে। দেখো, লিওর সাথে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করছে কিন্তু লিও ওকে পাত্তা দিচ্ছে না।
মীরের কথা শুনে অ্যানা তাকালো সেদিকে। তাকিয়েই বিস্মিত হলো, এইটুকুনি মেয়ে কিনা…… কিন্তু পরক্ষণেই ঠোঁট টিপে হাসলো অ্যানা।
লিন্ডা দুষ্টু চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে লিওর দিকে। আর লাজুক লিও লিন্ডার দিকে না তাকিয়েই লিন্ডার মুখ খানা বারবার কোকো আর ফ্যালকনের কুস্তির দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু লিন্ডা সাথে সাথেই আবার সেদিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে লিওর দিকে তাকাচ্ছে। শেষ মেশ না পেরে লিও লিন্ডাকে নামিয়ে রেখে দিলো নিচে৷ কিন্তু পাশে বসা দুষ্টু পোলাপান গুলো এতক্ষণ লিও আর লিন্ডার কীর্তি তে বেশ মজা নিচ্ছিলো। লিন্ডাকে নামিয়ে রাখা মাত্রই লিওর পাশে বসা, জঙ্গলের রয়্যাল টাইগার দের লিডার কাঞ্জি মাটিতে হতাশ হয়ে বসা থাকা লিন্ডাকে হাতে ধরে আবার লিওর কোলে উঠিয়ে দিয়ে থ্রেট দেওয়া গলায় লিও কে বলল,
— আমাদের সকলের একমাত্র বোন, নিজে থেকে তোকে চ্যুজ করেছে। ভুলেও যদি এর কোনো অযত্ন হয়েছে রে তবে কোকো কে দিয়ে তোকে ভালোমতো যত্ন করা হবে। মাথায় রাখিস!
লিন্ডা আবার নিজের জায়গা ফেরত পেয়ে লিওর দিকে তাকিয়ে নাক কুচকে বোঝালো যে যাইবা কোথায় চান্দু! ভাইয়েরা সবাই সাপোর্টে!
লিও পাশ ফিরে অসহায় চোখে তাকালো কাঞ্জির দিকে। কাঞ্জি খিকখিক করে হেসে উঠলো ওর চাহনি দেখে। লিওর অন্য পাশে বসা পাইথন দের লিডার আলফাদ বিজ্ঞের মতো বলে উঠলো,
— আমাদের বোনের গায়ের রঙ দেখছোস? ফকফকা সাদা, একেবারে দুধ। চোখ জোড়া দেখছোস? দুই চোখে যেন দুই সমুদ্র! ও যখন ক্যাট থেকে লেইডি হবে তখন আগুন সুন্দরী হবে আমাদের শেহজাদীর মতো। তুই ঠকবি না দোস্ত, চিন্তা করিস না, আমরা বলছি! কি বলিস তোরা?
দাঁত কেলিয়ে পেছনে বসা অন্যদের উদ্দ্যেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো আলফাদ। ওর কথায় সাথে সাথেই পেছন থেকে টর্নেডোর গতিতে মাথা নেড়ে সায় দিলো জঙ্গলের নেকড়ে দের লিডার ওকামি, হাইনা আর কাঞ্জি। ওদের কে সায় দিতে দেখে লিন্ডা নিজেও লিওর মনোযোগ আকর্ষণ করে ওপর নিচে মাথা নাড়িয়ে বোঝালো যে লিও একদমই ঠকবে না, বরং বলবে জিতসিই!
ওর কাজে লজ্জায় লাল হয়ে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো লিও, আর বাকিরা কিটিকিটি করে হাসতে শুরু করলো। কিন্তু একেবারে পেছনে বসে থাকা ব্লাক প্যানথার দের লিডার গম্ভীরমুখো জোভি পেছন থেকে ভারী গলায় বলে উঠলো,
— আমাদের শেহজাদীর রূপের সাথে অন্য কারো রূপের তুলনা করবি না মোটেও। আমাদের শেহজাদী এক পিসই। হিজ ম্যাজেস্টির সৌভাগ্য যে এমন সুন্দরী বউ পেয়েছে, আমার বউ এমন সুন্দরী হলে তো আমি সারাদিন মাথায় করে রাখতাম, অন্য মেয়েদের কাছে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতাম না।
জোভির কথা শোনা মাত্রই চমকে পেছনে তাকালো সবাই। লিও চাপা গলায় হিসহিসিয়ে বলে উঠলো,
— জোভি, কি হচ্ছে এসব! তোকে কতবার বলেছি যেখানে সেখানে বেফাস কথাবার্তা বলবি না। হিজ ম্যাজেস্টি শুনলে ব্যাপার টা কত ভয়ানক হতে পারে সে সম্পর্কে তোর কোনো ধারণা আছে? আর তাছাড়া আমাদের শেহজাদী হিজ ম্যাজেস্টিকে কতখানি ভালোবাসেন সেটা তোর অজানা নয়, উনি যদি জানতে পারেন তার স্বামী কে নিয়ে তুই এই ধরণের কথা বলেছিস তবে তোর ধড় থেকে মাথা টা আলাদা করতে উনি দ্বিতীয় বার ভাববেন না৷ তাই চুপ থাক।
লিওর ধমকে চুপ হয়ে গেলো জোভি, কিন্তু মুখ টা গম্ভীর করেই রইলো। অ্যানার মনোযোগ ওদের দিকেই ছিলো এতক্ষণ। ওরা কথা গুলো চাপা গলায় বললেও অ্যানার কানে সেটা স্পষ্ট ভাবে এসেছে। কিন্তু শুনেও না শোনার ভান করে মীরের বুকের সাথে আরও ভালোভাবে লেগে গেলো অ্যানা। ও আর এসবে কান দিতে চায় না। মীর নিজেও অ্যানা কে নিজের বুকের সাথে আরও শক্ত করে মিশিয়ে নিলো।
অ্যানা এবার দৃষ্টি দিলো কুস্তিরত ফ্যালকনের দিকে। এই দুর্বল বাচ্চাটা তার সবচেয়ে আদরের। বাচ্চা ফ্যালকন কে ওর মা বাসা থেকে ফেলে দিয়েছিলো নিচে, দুর্বল ছিলো কিনা! প্রানী দের নিয়মই এমন, শক্তিশালী রাই টিকে থাকবে, দুর্বল দের সেখানে কোনো স্থান নেই।
সেদীন মীরের সাথে জঙ্গলে ঘোরার সময় মাটিতে পড়া ফ্যালকনকে নজরে বাধে অ্যানার, ছুটে যায় বোবা প্রাণীটার কাছে। বাচ্চা ফ্যালকনের তখনোও গায়ে পালক গজায়নি, চোখও ফোটেনি ঠিক মতো।
মাটিতে পড়ে অসহায় হয়ে ডাকতে ডাকতে গলার স্বর ওর হয়ে এসেছিলো ক্ষীন, দুর্বল। সমস্ত শরীর টা দখল করে নিয়েছিলো বিষাক্ত পিপড়া। সেই মৃতপ্রায় বাচ্চাটাকে পরম যত্নে হাতে তুলে নিয়েছিলো অ্যানা। মীর বলেছিলো ফেলে দিতে, বাচ্চাটার যে অবস্থা তাতে সে দু বেলার বেশি বাঁচবে না। কিন্তু জেদী অ্যানা সেটাকে নিজের সাথে প্রাসাদে নিয়ে এসেই ছেড়েছিলো, আর তারপর মীর কে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে সেই অত্যান্ত দুর্বল, মৃতপ্রায় বাচ্চাটিকে মাতৃস্নেহ দিয়ে একটু একটু করে বড় করে তুলেছে ও। সে এখন একজন পরিপূর্ণ যুবকে পরিণত হয়ে অ্যানার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, হাসি মুখে। কে বলবে ওর এই সন্তান টা দুর্বল!
অ্যানাকেই নিজের মা হিসেবে সারাজীবন মেনে এসেছে ফ্যালকন, অ্যানা জানে ওকে একটাবার আম্মা ডাকার জন্য ফ্যালকনের বুকের ভেতর টা ফেটে যায়, কিন্তু মীরের কড়া বারণ। কোকো কে অনুমতি দিয়েছে কারণ কোকো অ্যানার প্রথম পোষা প্রাণী, কিন্তু আর কাউকেই সে এই অনুমতি দিবে না। ফ্যালকন তাই বাধ্য হয়ে অ্যানাকে আম্মা ডাকার ইচ্ছাটা বুকে পাথর চাপা দিয়ে রাখে।
তার শেহজাদী আর এই পরম মমতার ভাই গুলো ছাড়া তার যে আর কেউ নেই। এরাই ওর সব, এদের মাঝেই ও বড় হয়েছে! অ্যানার জন্য ও নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত! অ্যানা জানে, তার এই সন্তান টা শারিরীক দিক দিয়ে দুর্বল হলেও মনের দিক থেকে ওর মতো শক্তিশালি আর কেউ নেই, কেউ না!
ফ্যালকনের ভাবনা থেকে ফিরে এলো অ্যানা, তারপর মীরের আলিঙ্গন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে দাড়ালো। এরপর এগিয়ে গেলো ফ্যালকন আর কোকোর কুস্তির দিকে।
চলবে……