বাদশাহ_নামা #পর্বসংখ্যা_২৭ #আ_মি_না

0
1

#বাদশাহ_নামা
#পর্বসংখ্যা_২৭
#আ_মি_না

আরহামের দাসীটি সন্তানসম্ভবা থাকাকালীন যতবারই তার আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়েছে ততবারই দেখা গিয়েছে গর্ভে তার সন্তান একজন। কিন্তু সন্তান প্রসবের সময় ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা৷

প্রথম সন্তান প্রসবের পর টুলটুলে বাচ্চা টাকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো সকলে। আতুর ঘরের বাইরে, প্রাসাদের প্রকান্ড বারান্দায় তখন অপেক্ষা করছিলেন তৎকালীন বাদশাহ হুজায়ফা আদনান দেমিয়ান আর তার বড় সন্তান আরহাম। সন্তান এবং সন্তানের মায়ের চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠছিলেন আরহাম। পায়চারি করছিলেন প্রাসাদের সমস্ত বারান্দা জুড়ে৷ হুজায়ফা আদনান ছেলের এমন অস্থির চিত্ত দেখে তাকে কাছে ডেকে নিয়ে টুকটাক কথা বলছিলেন। ঠিক সেই মুহুর্তেই তাদের কানে আসে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া পুত্র সন্তানের কান্নার আওয়াজ৷ আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন পিতা পুত্র।

আতুর ঘরে একজন দাসী সদ্যজাত শেহজাদা কে তখন পরিষ্কার করতে ব্যাস্ত। কিন্তু তার কিছু মুহুর্ত পরেই বিছানায় নেতিয়ে থাকা, সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া এলানরের চোখ মুখে দেখা দিলো এক তীব্র যন্ত্রনার আভাস, আর তার পরমুহূর্তেই দ্বিতীয় সন্তানের মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টায় গগন বিদারি চিৎকার দিয়ে উঠলেন তিনি!
আশেপাশে থাকা অভিজ্ঞ দাসী গুলো এলানরের এমন চিৎকারে ভড়কে গেলো। বাচ্চা তো একটাই হওয়ার কথা!

বাইরে সদ্যজাত পুত্র কে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন আরহাম ও তার বাবা, কিন্তু এলানরের এমন চিৎকারে ভড়কে গেলেন তারাও। দ্রুত গতিতে আতুর ঘরের বন্ধ দরজার কাছে গিয়ে আরহাম হাক ছাড়লেন,

— সব ঠিক আছে ভেতরে?

এলানর তখনও তীব্র যন্ত্রনায় চিৎকার করে চলেছেন। আরহামের প্রশ্নে আতুর ঘর থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে এলো একজন নারী হেকিম। তারপর আরহামের থেকে একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে নতমুখী, ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,

— শেহজাদা! ক্ষমা করবেন! আমরা হয়তো এতদিন ভুলে দেখেছি, ওনার গর্ভে দুইজন শেহজাদা ছিলেন। এই মুহুর্তে দ্বিতীয় শেহজাদা ভূমিষ্ট হতে চলেছেন।

দাসীটির কথা শুনে আরহাম অবাকই হলেন কিছুটা। আলট্রাসনোগ্রাফি তে ভুল কেন দেখাবে! আর যদি ভুল হয়ও সেটা হয়তো একবার বা সর্বোচ্চ হলে দুবার। কিন্তু এলানরের গর্ভসঞ্চারের পর থেকেই তাকে পুরোপুরি অভিজ্ঞ হেকিম দের অবজার্ভেশনে রাখা হয়েছে৷ প্রতি মাসে মাসে আলট্রাসাউন্ড দিয়ে শেহজাদার স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা হয়েছে। তবে গরমিল টা কোথায় হলো!

কিন্তু তখনি আতুর ঘরে এতক্ষণ প্রসব বেদনায় ছটফট করতে থাকা এলানরের চিৎকার হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলো, আর তার পরমুহূর্তেই কানে এলো দ্বিতীয় শেহজাদার আকাশ ফাটা কান্নার আওয়াজ। আর শেহজাদা ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই শোনা গেলো দুজন দাসীর ভয়ার্ত চিৎকার।

আরহাম আর হুজায়ফা আদনান চিন্তাগ্রস্ত চেহারা নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন। ভেতরে ঠিক কি হচ্ছে সেটা তারা কেউ ঠাহর করতে পারছেন না৷ কিন্তু আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হয়ে গেলো যেন। ভেতর থেকে আর কোনো আওয়াজ আসছে না, শুধু মাঝে মাঝে বাচ্চা দুটোর কান্নার কিঞ্চিৎ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। দাসী গুলোও নিশ্চুপ। আরহাম ভেতরের খবর জানার জন্য আরও অস্থীর হয়ে পড়লেন।

কিছুক্ষণ পর ভেতর থেকে প্রাসাদের দাসী দের প্রধান নিয়ন্ত্রক রিহানা তাইর তুলতুলে তোয়ালে তে মুড়িয়ে একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো৷ আরহাম ছুটে গেলেন তার কাছে। তোয়ালে মোড়ানো বাচ্চাটাকে নিজের কোলে তুলে নিলেন। প্রাণভরে দেখতে থাকলেন ছোট্ট, বেড়াল ছানার ন্যায় বাচ্চাটিকে৷ ধবধবে ফর্সা বাচ্চা টা ঘুমিয়ে আছে। ঠোট জোড়া রক্তলাল হয়ে আছে। কুটি কুটি হাতের মুঠি জোড়া আবদ্ধ। আরহাম সেই ছোট্ট ছোট্ট হাত জোড়ার মুঠি খুলে নিজের তর্জনি দিয়ে দিলেন বাচ্চাটির হাতের ভেতরে৷ বাচ্চাটা বাবার আঙুল টা শক্ত করে ধরে রইলো।

আরও কিছুক্ষণ বাচ্চাটিকে প্রাণভরে দেখে নিয়ে আরহাম রিহানা কে শুধালেন,

— আমার অন্য শেহজাদা টা কোথায়?

রিহানা ভড়কালো, নতমুখে, ভীতসন্ত্রস্ত চেহারায়, কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো,

— শেহজাদা, একটা অসুবিধা হয়ে গিয়েছে!

আরহামের বুক কেঁপে উঠলো, উদ্বিগ্ন কন্ঠে তিনি জিজ্ঞেস করলেন,

— আমার শেহজাদা ঠিক আছে? আর এলানর?

— এলানর ঠিক আছে, জ্ঞান হারিয়েছে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি, হেকিম বলল খুব দ্রুতই ফিরে আসবে। কিন্তু…..

আরহাম ভয় পেলেন, শুকনো একটা ঢোক গিলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন,

— কিন্তু কি? আমার শেহজাদা কি বেচে আছে?

— জ্বি, তিনি বেচে আছেন। কিন্তু তিনি স্বাভাবিক নন।

— স্বাভাবিক নয় বলতে তুমি কি বলতে চাইছো?

আকুল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন আরহাম৷ হুজায়ফা আদনান এতক্ষণে মুখ খুললেন, গুরুগম্ভীর কন্ঠে তিনি বলে উঠলেন,

— আমার নাতি কে প্রস্তুত করে আমার কাছে নিয়ে এসো।

রিহানা হুজায়ফা আদনানের আদেশ পাওয়ার সাথে সাথেই মাথা নুইয়ে আবার আতুর ঘরে ঢুকে গেলো। হুজায়ফা আদনান তার বিষাদগ্রস্ত পুত্রের কাধে হাত রেখে তাকে বসতে বলে নিজেও পাশে থাকা মখমলি সোফায় বসলেন৷ ততক্ষণে আরহামের সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার খবর সমস্ত প্রাসাদে ছড়িয়ে গেছে।

হুজায়ফা আদনানের ছোট পুত্র আজলান তার একমাত্র সন্তান সালিম আরাবি কেও সাথে নিয়ে আসলেন তার সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া চাচাতো ভাইকে দেখানোর জন্য, তাদের সাথে এসেছেন সালিমের জন্মদাত্রী মা, আজলানের খাস বাদী লুনা৷ কিন্তু দুজনের কেউই খুশি নন, সালিম ব্যাতিত।

দেমিয়ান বংশের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এবং সাম্রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি রাও চলে এসেছেন ততক্ষণে৷ হুজায়ফা আদনান আর আরহাম কে একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে ক্ষমতার ক্রমানুসারে ঘীরে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। নতুন শেহজাদা কে বরণ করে নিতে তাদের হাতে উপহারের ঢল। সকলেই তাকিয়ে আছেন আরহামের কোলে থাকা চাঁদের টুকরোর ন্যায় সুদর্শন শেহজাদার দিকে৷

হুজায়ফা আদনান তার পাশে বসা আরহামের দিকে তাকিয়ে ইশারা দিলেন। পিতার ইশারা পেয়ে আরহাম তার কোলে থাকা চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল ছেলে কে উপরে তুলে নিজের বুকের কাছে নিলেন, তারপর মুসলিম রীতি অনুযায়ী আযান দিলেন ছেলের কানে। এরপর কানের কাছে বলে উঠলেন,

— তোমার নাম জাযীব ইলহান

পরপর তিনবার একই কথা বলে তিনি ছেলের মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলেন অপলকে। ঠিক সেই মুহুর্তে রিহানা ধীর পায়ে আতুর ঘরের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো, এরপর ধীরে ধীরে পা ফেলে এগিয়ে এলো হুজায়ফা আদনানের দিকে। কোলে তার কাপড়ে মোড়ানো ছোট শেহজাদা। মুখ খানা দেখার উপায় নেই, কাপড় টা দিয়ে ঢেকে রাখা৷

রিহানা এগিয়ে এসে হুজায়ফা আদনানের কোলে তুলে দিলো ছোট শেহজাদা কে। কিন্তু আরও একটি বাচ্চা কে দেখে অবাক হলো অন্যরা। তারা যতটুকু জানতো আরহামের দাসীর গর্ভে একটি সন্তান। তবে এই সন্তান টি কার! আশে পাশে চাপা সুরে আলোচনা শুরু করলো অনেকেই।

হুজায়ফা আদনান কোনোদিকে মনোযোগ না দিয়ে তুলতুলে কাপড়ে মোড়ানো বাচ্চাটির মুখের ওপর থেকে কাপড় সরালেন। আর সরিয়েই তিনি চমকে উঠলেন, সেই সাথে চমকে উঠলেন আরহাম নিজেও৷ আঁতকে উঠলো বাচ্চাটির চেহারা দৃষ্টিগোচর হওয়া আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিদের অনেকেই। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তারা৷ হুজায়ফা আদনান সেসব দিকে নজর না দিয়ে ধীরে ধীরে শেহজাদা কে উন্মুক্ত করলেন পুরোপুরি।

বাচ্চাটির গায়ের রঙ কুচকুচে কালো, গায়ের চকচকা চামড়া টা অত্যাধিক পুরু, যেন কেউ তার গায়ে আমাবস্যার কালিমা লেপন করে দিয়েছে। আর সমস্ত শরীর জুড়ে উজ্জ্বল সোনালি রঙা ডোরাকাটা দাগ, যেন কেউ স্বর্ণের গ্লিটার দিয়ে কালো রঙা চামড়ার ওপর বাঘের শরীরের মতো দাগ টেনে দিয়েছে। জ্বলজ্বলে স্বর্ণালি চোখ জোড়া তার খোলা, বড় ভাইয়ের মতো সে ঘুমিয়ে নেই। পিট পিট করে তাকাচ্ছে, কিন্তু কাদছে না৷ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে আশ পাশ টা দেখছে সে৷

হুজায়ফা আদনান অবাক হয়ে দেখতে লেগে গেলেন তার কোলে থাকা নাতি কে। গায়ের চামড়া টা দেখে চামড়া মনে হচ্ছে না তার, যেন কেউ ধাতব কোনো কিছু জড়িয়ে দিয়েছে তার শরীরে, সূর্যের আলো পড়ে চকচক করে উটছে শরীর টা৷ আশে পাশে থাকা লোক গুলো কোনো এক অজানা আশঙ্কায় পিছু হটে গেলো সামান্য। হতবাক হয়ে তারা দেখতে লেগে গেলো এই অদ্ভুত দর্শন বাচ্চাটাকে।

হুজায়ফা আদনান তার নাতির গায়ে হাত বুলালেন একবার। তারপর নাতির দুই হাতের শক্ত মুঠি জোড়া খোলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সে মুঠি খুলতে তার বেশ সময় লেগে গেলো। নাতিকে নিজের সামনে সোজা করে উচু করে ধরে তিনি নিজের কাছাকাছি এনে ফিসফিস করে বলে উঠলেন,

— রয়্যাল গোল্ডেন ব্লাড! অ্যামেইজিং!

আরহাম ছেলেকে দেখার পর থেকে বিস্ফোরিত নয়নে চেয়ে আছেন ছেলের দিকে। তার সন্তান এরকম কিভাবে হলো আর কেনই বা তার অস্তিত্ব পাওয়া গেলো না এতদিন সেটাই তার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো তার। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো তার সন্তান বিকলাঙ্গ হয়েছে, হয়তো একটা হাত নেই, বা পা! কিন্তু তার সন্তান সত্যিই অস্বাভাবিক, অস্বাভাবিক রকমের অস্বাভাবিক।

বিষাদগ্রস্ত হয়ে, হতাশায় নিমজ্জিত চেহারায় নিজের কোলের সন্তান টিকে নিয়ে তিনি পিতার পাশ থেকে উঠে পিতা কে মাথা নত করে সম্মান জানিয়ে ধীর গতিতে পা চালিয়ে চিলে গেলেন নিজের কামরার দিকে। পিতার কোলে থাকা বাচ্চাটিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে গেলেন, যেন এ বাচ্চাটি তার নয়!

আশে পাশে থাকা সমস্ত রাজ কর্মকর্তা কর্মচারী রা তাকে যাওয়ার রাস্তা করে দিলো, আর এরপর আরহাম সেখান থেকে প্রস্থান করার পর অন্যরাও ধীরে ধীরে প্রস্থান করলো সেখান থেকে। আনন্দঘন মুহুর্ত গুলো নিমিষেই বিষাদে পরিণত হলো যেন সবার। একে একে সবাই চলে গেলো। বাকি রইলেন শুধু হুজায়ফা আদনান আর রিহানা৷ নাতিকে কোলে নিয়ে বসে রইলেন তিনি।

বেশ কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে কোলের বাচ্চাটির গায়ের রঙ স্বাভাবিক হয়ে এলো। স্বাভাবিক হতে হতে একসময় উজ্জ্বল শ্যম রঙ ধারণ করলো, আর এরপর হাতের কব্জির ঠিক উপরে ভাগে ভেসে উঠলো এক জোড়া কালো রঙা বাঘের প্রতিচ্ছবি, যাদের চারপাশ টা উজ্জ্বল সোনা রঙা বর্ডার দ্বারা পরিবেষ্টিত। হুজায়ফা আদনান নাতির চোখের দিকে তাকালেন। স্বর্ণালী আভা ছড়ানো চোখ জোড়া যেন পুরো দুইটা ইউনিভার্স ধারণ করে আছে নিজেদের ভেতরে৷

বাচ্চাটিও দাদার দিকে তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষণ। তারপর ক্লান্তিতে একটা হাই তুললো, ঘুম আসছে তার। আর সে হাই তোলার সময়েই হুজায়ফা আদনান টের পেলেন তার নাতির গালে দাঁত! হাই তুলে আবার মুখ বন্ধ করে ফেলা শেহজাদার ঠোঁট জোড়া তিনি আলতো হাতে আলগা করলেন কিছুটা। হ্যা তিনি ঠিকই দেখেছেন। এক জোড়া ধারালো ক্যানাইন দাঁত নিয়ে জন্মেছে সে৷

হুজায়ফা আদনান তাকে কোলে নিয়ে বুকের কাছে তুলে ধরলেন, তারপর কানে আযান দিলেন। বড় শেহজাদাকে যতটা সমাদরে, সাগ্রহে গ্রহণ করা হলো ছোট শেহজাদা কে সকলে ততটাই অবহেলায় দূরে সরিয়ে দিলো। তার নাম করণ করা হলো সকলের অগোচরে, কেউ জানতে পারলো না ছোট শেহজাদার কি নাম রাখা হয়েছে, কেউ আগ্রহও প্রকাশ করলো না। বাবাও মুখ ফিরিয়ে নিলো, সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান টিকে নিয়ে চলে গেলো সকলে, পড়ে রইলো শুধু সে। দাদার কোলে পরম আবেশে আর একবার হাই তুলে মহা সমারোহে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে লাগলো শেহজাদা। এত মানুষের অবহেলা সে টের পেলো না। নিশ্চিন্তায় ঘুমিয়ে গেলো।

দাদা হুজায়ফা আদনান অনেক অনেকক্ষণ যাবৎ প্রাসাদের প্রকান্ড বারান্দায় একাকী বসে থেকে অতঃপর নাতির ম্যাজেসটিক দেহ খানা দেখতে দেখতে কানের কাছে মুখ রেখে তিন বার বলে উঠলেন,

— তোমার নাম নামীর আসওয়াদ, আমার কালো রঙা বাঘ৷

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here