#মেহেরজান
লেখনীতে- #সোহা
পর্ব ১০ (স্পেশাল পর্ব)
দিনটা শুক্রবার।আজ সবাই বাসায় থাকবে। তবে বাড়ির কর্তারা কি একটা কাজে যেন শহরের বাইরে গিয়েছে।সকালে তাড়াহুড়ো করে নাস্তা করেই তানজিম চলে গিয়েছে বাজার করতে সাথে উজানও আছে। উজানের শাস্তি কমিয়ে দিয়ে তানজিমের সাথে বাজারের দায়িত্ব দিয়েছে মেহরান। এদিকে তানিয়া এনামুল চাচার সাথে মিলে বাগান পরিষ্কার করছে তার কাজটা বেশ সহজ।মালিহা খান সহ নাহিন আর মাইশাও এসেছে এ বাড়িতে।মাইশা তানিয়াকে নিয়ে মজা করছে।অথচ তারাও এই প্ল্যানে সংযুক্ত ছিলো।নাহিন গিয়েছে রাউশিকে খুজতে। বাড়ির কর্তীরা বেশ অবাক ছেলেমেয়েদের আজ এত কাজ করতে দেখে।জীবনে একটা ছোট কাজ পর্যন্ত করে না তারা নাকি আবার বাজারের কাজ,বাগানের কাজ এসব করছে।এদিকে মেহরানের রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বেশ অনেক্ষণ হলো।দরজা ভেতর থেকে লাগানো।মানুষটা কি ঘুমাচ্ছে নাকি জেগে আছে বুঝতে পারছে না রাউশি।সকাল ১১টা বাজে প্রায়।এখনও কি এই লোক ঘুমাচ্ছে নাকি?রাউশি এবার ঠিক করে দরজায় নক করবে।নক করার জন্য হাত বাড়াতেই দরজা খুলে যায় ভেতর থেকে।রাউশি চটজলদি হাত সড়িয়ে এনে মাথা নিচু করে নেয়।বুঝতে পারলো মেহরান সামনে তার দিকে তাকিয়েই দাঁড়িয়ে আছে। মাথা তুলে একবার মেহরানের দিকে তাকায় রাউশি।চুলগুলো কেমন এলোমেলো তবে বাকিসব পরিপাটি লাগছে।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রাউশি বলে,
“ভাইয়া তুমি গতকাল_”
“ভেতরে আয়।”
মেহরান শান্ত থাকলেও তার কথার ধরন সবসময়ই গম্ভীর শোনায়।এই এক জিনিস রাউশির আজকাল ভীষণ অপছন্দ।রাউশি ছোট ছোট কদম ফেলে ভেতরে ঢোকে।মেহরান দরজা খোলায় রেখে দেয়।দরজার সাথে হেলান দিয়ে পা আড়াআড়িভাবে রেখে দাঁড়ায় সে।আর বলে,
“আমার সব কাপড়গুলো সব ধুয়ে দিবি। একটাও যেন বাদ না থাকে।”
রাউশি মনে মনে ভাবে ওয়াশিং মেশিন তার এ কাজ সহজ করে দেবে।কিন্তু সেই আশায় এক বালতি জল ঢেলে দেয় স্বয়ং মেহরান নিজে।সে দুহাত বুকে গুজে তার রুক্ষ আওয়াজে শুধায়,
“নিজের হাতে ধুয়ে দিবি।কোনোপ্রকার কোনো মেশিন ব্যবহার চলবে না।”
রাউশির মুখটা চুপসে যায়।এইসব কাজ সে কখনোই করে নি।আজ বাধ্য হয়ে না করলেও করতে হবে। কারণ বাড়িতে যদি জেনে যায় তারা লুকিয়ে লুকিয়ে কি কান্ড করেছে গতকাল তাহলে তাদের ওপর ঘুর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একশো পার্সেন্ট।রাউশি দাতে দাত চেপে কাজ শুরু করার জন্য উদ্যত হয়। ওয়াশরুমে ঢুকে দেখে একগাদা কাপড়।চোখ কপালে ওঠার জোগাড় রাউশির।পেছনে ফিরে তাকাতেই মেহরানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বোকা হাসি দেয়।মেহরান ভ্রু নাচিয়ে ইশারায় প্রশ্ন করে,-‘কি?’
রাউশি পরপর দুদিকে মাথা নাড়ায়।বোঝায় কিছু না।সামনে ঘুরে মুখ ভেংচে ওঠে।তার মাথায় আগুন এখন দাবানলের মতো সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে যেন।নিজের কাজ শুরু করে দেয় রাউশি।মেহরান ওয়াশরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে রাউশিকে। এসব কাজ রাউশি পারে না তবুও কোনোভাবে কাপড়গুলো নাড়াচাড়া করছে। হঠাৎ হাতে সব কিছুর মাঝে কালো কিছু একটা দেখে হাতে নেয়।ভালোভাবে ধরে দেখতেই চমকে ওঠে রাউশি।চোখ বড় বড় হয়ে যায় তার।ঠোঁটজোড়া ফাঁক হয়ে যায় কিঞ্চিৎ।এদিকে মেহরান ফোনে কথা বলছিলো এরই মাঝে রাউশির হাতে ওই বস্ত্রটি দেখে নিজেও চমকে ওঠে।ফোন বিছানায় ছুড়ে মেরে নিজেও ওয়াশরুমে ঢুকে রাউশির হাত থেকে সেই বস্ত্রটি ভেজা অবস্থাতেই কেড়ে নেয় আর ধমকে বলে,
“তোর কাপড় ধুয়ে দিতে হবে না,চলে যা।”
রাউশি উঠে দাঁড়ায়।মেহরানকে জব্দ করার মতো মারাত্মক একটা ফন্দি আঁটে সে। তবে এই সময় রাউশি নিজেও অস্বস্তিবোধ করতে থাকে কিছুটা।এমন একটা অবস্থায় পরে যাবে দুজনেরই ভাবনার বাইরে ছিলো। তবুও রাউশি দুষ্টুমির ছলে মেহরানকে বলে,
“কেন ভাইয়া?ধুয়ে দি সব কাপড়।”
মেহরান চোখ রাঙায়।রাউশি নিভে যায়। তবুও মেহরানকে বাজিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ টিপে হেসে বলে,
“ভাইয়া ওটা কি জাই*_”
বাকি কথাটা বলার আগেই মেহরান ধমকে বলে,
“চড় খেতে চাস রাউশি?”
রাউশি দুই গালে হাত দিয়ে মাথা দুদিকে নাড়ায়।মেহরানকে পাশ কাটিয়ে বের হতে যাওয়ার সময় পা পিচলে হুট করেই বাথরুমের ভেতর পড়ে যায় রাউশি।চিৎকার দিয়ে ওঠে সে,
“ওমাআআগো।”
মেহরান উল্টোদিকে ঘুরা ছিলো।যখনই রাউশির চিৎকার শোনে তখনই পেছনে ফিরে রাউশিকে কোমড়ে হাত দিয়ে চিটপটাং হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে।হাতে থাকা জিনিসটা ফেলে দিয়ে দ্রুত গিয়ে রাউশিকে জিজ্ঞাসা করে,
“পড়ে গেলি কিভাবে গাধা?”
রাউশি কোমড় ধরে চোখ মুখ খিচে আছে। ব্যথাটা যে সাংঘাতিক পরিমাণে পেয়েছে এটা আর বুঝতে বাকি নেই মেহরানের। রাউশির মুখ লাল হয়ে গেছে।পরনের কাপড়ও ভিজে গিয়েছে। হুট করেই রাউশিকে কোলে তুলে নেয় মেহরান।রাউশি বিষয়টা বুঝতে পেরে খিচিয়ে বন্ধ রাখা চোখ দুটো খুলে মেহরানকে দেখে।নিজেও হতবম্ভ হয়ে পড়ে।নামতে চেষ্টা করার মতো শক্তি তার কাছেও নেই।কোনোমতেই হেটে নিজের রুমে যাওয়া সম্ভব না ভেবে আস্তে ধীরে মাথা নিচু করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেহরানের গলা জড়িয়ে ধরে।ব্যথাতুর অনুভুতির সাথে মিশে রয়েছে লজ্জা আর নতুন এক অদ্ভুত অনুভুতি।যার সংমিশ্রণে রাউশি নিজের ব্যথার কথায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য যেন ভুলে যায়।এদিকে মেহরান রাউশিকে নিয়ে বেরিয়ে আসে বাইরে।রাউশির ঘন ঘন গরম নিশ্বাস তার টিশার্টের ভাজ গলিয়ে যেন বুকের মাঝেও পৌঁছাচ্ছে।অন্যরকম অনুভুতি, এই অনুভুতির সাথে মেহরান একদিনে বেশ পরিচিত হয়ে গেছে।অদ্ভুত ভালোলাগা যেন আকড়ে ধরছে মেহরানকে। মেহরান রাউশিকে কোলে নিয়েই তার রুম থেকে বেরিয়ে রাউশির রুমের দিকে অগ্রসর হয়।রাউশি চোখ তুলে মেহরানের দিকে তাকাতেও চোখাচোখি হয়।দুজনেই চোখ সড়িয়ে নেয়।রাউশির চোখমুখে ব্যথার দৃঢ়তা এবার স্পষ্ট হলেও মেহরানের ঠোঁটের কোণে বাঁকা এক ক্ষীণ হাসি।যেটা চক্ষু এড়ায় না রাউশির।মানুষটা হাসছে?সে ব্যথা পেয়েছে আর এই লোক হাসছে।ব্যথার কথা মনে পড়ে আবারও কুঁকড়ে যায় রাউশি। ঘন ঘন শ্বাস ফেলে।এদিকে মেহরান খুব কষ্টেই নিজেকে সামলে রাখছে।পুরুষমন তার, কাছে যদি হয় প্রিয় নারী আর ভাবতে পারে না মেহরান।দ্রুত রাউশির রুমের দরজা খুলে ভেতরে খাটের ওপর শুইয়ে দিয়ে আসে মেয়েটাকে।নাহিন সিড়ি বেয়ে উপড়ে উঠছিলো মেহরান রাউশিকে কোলে করে রাউশির রুমে ঢুকতে দেখে চোখ কপালে উঠে যায়।মস্তিষ্কে দুষ্টু কথাবার্তা উকি দিতে থাকে।চুপি চুপি গিয়ে রাউশির রুমের দরজায় উঁকি মারে।রাউশি মেহরানকে ভাঙ্গা আওয়াজে বলছে,
“এইসব কিছু আপনার জন্য হয়েছে।আমার কোমড় ভেঙ্গে গেছে।”
এবার যেন চোখ দিয়ে জল গড়ায় রাউশির। মেহরান একবার রাউশির দিকে তাকিয়ে বলে,
“চোখ আকাশে তুলে হাঁটলে পড়ে তো যাবিই।আমার দোষ দিচ্ছিস কেন?”
করুণ আর্তনাদে বলে,
“আপনি যদি আমায় কাপড় ধোয়ার কাজ না দিতেন তবে আজ এমনটা হতো না।”
কথাটুকু বলেই আবার ব্যথায় কুঁকড়ে ওঠে রাউশি।মেহরান ফোস করে একটা শ্বাস ফেলে,
“ভালোভাবে হাঁটতে পারিস না এটা তোর ব্যর্থতা।”
রাউশি কথা বলার মুডে নেই।চুপ করে যায়। নাহিনকে দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেহরান বলে ওঠে,
“নাহিন যা, তোর ছোট মামীকে ডেকে নিয়ে আয়।”
নাহিন নিজের নাম শুনতেই লাফিয়ে ওঠে। মেহরানের কথামতো নিচে চলে যায়।এদিকে মেহরান আবারও রাউশির দিকে তাকিয়ে বলে,
“বেশি ব্যথা লাগছে? ”
“না ভাইয়া খুব আরাম লাগছে।চাইলে আপনি গিয়ে করে ট্রাই করতে পারেন কেমন লাগে।”
রাউশি যে অভিমান করেছে এটা বুঝতে পারে মেহরান।তবুও নিজের দোষ কখনোই দিতে প্রস্তুত নয় সে।রাউশির পাশেই মেহরান বসে পড়ে।তার দিকে মুখ ফিরিয়ে খুব কাছে চলে আসে মেহরান রাউশির।রাউশির চোখ মুহুর্তেই বড় বড় হয়ে যায়।তাদের মাঝের দূরত্বটা কয়েক দু ইঞ্চি হবে মাত্র।রাউশি আবারও ঘন ঘন শ্বাস ফেলে।অদ্ভুত হৃদয় শীতল করা এই অনুভুতির সাথে সে পূর্বপরিচিত নয়।এই প্রথম এমন হচ্ছে।আয়াশের প্রতি ক্রাশড ছিলো ক্ষণিকের।মানুষটা তো কখনো কাছেও আসেনি। এমনকি বিয়ের আগে তো কথাও তেমন বলতো না আর বিয়ের পর তো চলেই গেলো। আর তার প্রতি আসার কথাও না যেন। তবে মেহরানের প্রতি তার এই প্রগাঢ় অনুভুতি পর্যায়ক্রমে বাড়ার একটা সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে রাউশি।তবুও নিজেকে দমিয়ে রাখবে বলে ভেবে নেয় রাউশি।মেহরান অদ্ভুতভাবে বলে,
“তোর ধারণা যদি এই হয় ব্যথা আমার জন্য পেয়েছিস তাহলে আমিই এই ব্যথা উপশম করে দেই, কি বলিস?”
চমকে ওঠে রাউশি।কথাটা কেমন যেন শোনালো তার কাছে।হৃদয় শীতল করার মতো বাক্য।আবার বিস্মিত হওয়ার মতোও।
রাউশি চোখ মুখ খিচে বলে,
“দরকার নেই,দরকার নেই।আপনি আপনার রুমে চলে যান।”
মেহরান সড়ে যায়।বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।আর তখনই হন্তদন্ত পায়ে ভেতরে প্রবেশ করেন রূপা বেগম।কাছে এসে মেয়ের ওই অবস্থা দেখে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে।মেহরান একবার রাউশির দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে রূপা বেগমকে বলে,
“সিড়ি বেয়ে নিচে নামছিলো তখন পা পিচলে সিড়ির মধ্যে পড়ে গেছে।”
রাউশি অবাক হয়।এই লোক মিথ্য বলছে। সত্যিটা বললেও তো আবার সব ফাঁস হয়ে যেতো ভেবে নিজেও চুপ থাকে রাউশি। রূপা বেগম মেয়েকে হালকা শাসানোর সুরে বলেন,
“সাবধানে হাটতে পারিস না?যে এখানে সেখানে পড়ে যাস?”
মেহরান উঠে চলে গিয়েছে।নিজের রুমে চলে যায় সে।এদিকে রূপা বেগম মেয়েকে শাসালেও আবার মেয়ের জন্য বেশ চিন্তাও করছেন।
রাউশি সারাদিন বিছানায় শুয়ে কাটিয়েছে। একেকজন আসছে আর কি হয়েছে?এখন কেমন আছে? এসব জিজ্ঞাসা করছে আর রাউশির জন্য তাদের খারাপ লাগা প্রকাশ করছে।সারাদিন মেহরানও একবারও দেখে যায় নি মেয়েটাকে।রাউশির নবীন বন্ধুবান্ধবগণ মেয়েটাকে ফোন করেছে বিকেলে কেমন আছে কেমন কি?ভার্সিটি যায় নি কেন গতকাল?নুজাইশ স্যার নাকি বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেছে রাউশির কথা।নুজাইশের নাম শুনতেই রাউশির সেদিনের কথা মনে পড়ে যায়।রাউশির মতে নুজাইশ একটা পাগল।তাই খুব একটা পাত্তা দেয় না।তবে সবচেয়ে বিস্মিতকর তথ্য হলো আয়াশ স্যারও নাকি গতকাল রাউশির কথা জিজ্ঞাসা করেছে।রাউশি ভেবে পাচ্ছে না এই শালা আবার তার কথা জিজ্ঞাসা করছে কেন?ভার্সিটি গেলে একটা উচিত শিক্ষা দেবে বলে ঠিক করে রাউশি।রাতে খাবার নিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করে মেহরান। সারাদিনে এই মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো দেখা এই মেহরানের সাথে।মেহরানকে দেখতেই মুখ ঘুরিয়ে নেয় রাউশি।মেহরান কাছে গিয়ে বলে,
“মুখ ঘুরিয়ে লাভ নেই এই মুখই তোর আজীবন দেখতে হবে।”
রাউশি বুঝতে পারে না কথাটা।বলে,
“কি?”
“খেয়ে নে।”
“খাব না।”
“আমি খাইয়ে দিচ্ছি।ওয়েট।”
“তাহলে তো আরও বেশি খাব না।”
বিরক্ত হয় মেহরান,
“বাচ্চামো করিস না।”
“করছিও না।”
“মুখে মুখে তর্ক করছিস?”
“না শুধু উত্তর দিচ্ছি।”
মেহরান এবার রেগে যায়।মেহরানের মুখ দেখে সেটা বুঝে যায় রাউশি।তাই চুপ হয়ে যায়।মেহরান বিষয়টা বুঝতে পেরে রাউশিকে খাওয়াতে শুরু করে।মেয়েটাও খেতে থাকে।খুব যত্নাকারে খাইয়ে দেয় মেহরান রাউশিকে।খাওয়া শেষ হতেই পানি খাইয়ে বের হয়ে যায় মেহরান।মেহরানের কাজে ভীষণ মুগ্ধ হয় যেন রাউশি।মনের কোণে কিছু রঙ বেরঙের প্রজাপতি উড়াল দিতে থাকে।কিছুক্ষণ পরই আবার রুমে আসে মেহরান।রাউশির সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
“ঘুমিয়ে পড়।কাল থেকে যেন আর কোনো বাদড়ামী করতে না দেখি তোদের।আজ শাস্তি কম ছিলো এরপর দ্বিগুণ হবে।”
রাউশি খুশি মুখ মুহুর্তেই কালো হয়ে যায়। এই লোক এতক্ষণ তাকে সিমপ্যাথি দেখিয়েছে শুধু।মেহরান রুম থেকে চলে যাওয়ার সময় দরজার কাছে গিয়ে থেমে যায়।পেছনে না তাকিয়েই বলে,
“আর একটু তাড়াতাড়ি বুঝতে শিখিস। বয়স বেড়ে যাচ্ছে।এখনও অবিবাহিত আমি।”
চলবে…..
গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/