#মেইড_ফর_ইচ_আদার🌻
#কাজিন_রিলেটেড
#পর্বঃ৭
#অনামিকা_রহমান (লেখনিতে)
মা নিজের দিকে খেয়াল রেখো।তৃনাতো বেশি বাসায় থাকে না ।হলেই কাটায়।হাটতে বের হলে তুলিকে নিয়ে বের হবে।বাবা সময়মত ওষুধ নিও।তৃনার বাসার কাছে ভার্সিটি হলেও নানা বাহানায় বান্ধবীদের সাথে থাকে।আমার জন্য চিন্তা করবে না একদম।মায়ের দিকে খেয়াল রেখো,অশ্রু বিসর্জনের সাথে সাথে তন্নির বিদায়ের পর্ব চলছে।ভাল থাকিস মা ।নিজের দিকে খেয়াল রাখিস,তন্ময়কে হাউমাউ করে কেদে জড়িয়ে ধরলেন সফিউল আহমেদ,তন্ময় বাবা আমার মেয়েটার দিকে খেয়াল রেখো।চোখের পানি মুছতে মুছতে সফিউল আহমেদ গাড়িতে উঠিয়ে দেয় তন্নিকে।
তন্নি বরাবরের জন্য অন্যের হয়ে গেলো,সফিউল আহমেদের বুকের এক অংশ যেনো মুহূর্তেই খালি হয়ে গেলো।সব কিছু গুছিয়ে মিজানকে তলব করলেন সফিউল আহমেদ,নরম গলায় মিজানকে বলতে লাগলেন,বাড়িটার দিকে খেয়াল রেখো।মিজানকে সব বুঝিয়ে দিয়ে সবাই একে একে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে যার যার নিজ গন্তব্যে।
________
বাহ,যাবের সাহেব খুব ভালো ভাবেই বাড়িটা পরিষ্কার করেছেন।আচ্ছা যাবের সাহেব এখানে যদি একটা গোলাপের বাগান করি কেমন হবে বলুন তো?আতিক খানের কথায় যাবের মচকি হেসে জবাব দেয়, জি স্যার,মন্দ হয় না ।আতিক খান হালকা হেসে যাবের কে ফের বলল,আপনি গিয়ে রেহানাকে একটু পাঠিয়ে দিন,আর চা আনতে ভুলবেন না যেনো।মা জননীকে আমি এক্ষুনি পাঠিয়ে দিচ্ছি
এই বলে যাবের পা বাড়ায় বাড়ির সদর দরজায়……
তা বরিশালের ছেলে কেমন লাগছে এমন পরিবেশ ।বাড়ির আঙ্গিনায় আতিক খান বেতের সোফায় বসে পেপার পড়ছেন, হটাৎ এমন কথা শুনে আতিক খান ঘাড় ঘুড়ায়।আবিরকে দেখে হেসে বলে,কাছে এসে বসো।আমার কথা বাদ দেও ,তোমার কেমন লাগছে সেটা বলো।তা প্রজেক্টের তো ইতি টানলে,এখন কি করবে?আবির আতিক খানের কথায় জবাব দেয়,নাফিয়ুর স্যারের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবো। অনার সান্নিধ্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তোমার ছেলে বিজ্ঞানী হয়েই গেলো বাবা, আতিক খান আবিরকে বলল, তোমার বন্ধুরাও কি তোমার সাথেই জয়েন করবে।
আবির জবাব দিলো, হ্যা।
বাবা -ছেলের কথার মাঝে রেহানা খান চা নিয়ে উপস্থিত হয় ,মেঘলা মাখা সকালের আড্ডায় তাল মিলায় রেহানা খান।পাড় করে খান পরিবার বহুসময়।
_______
ওই তুই কই।আমি কি টারজান পয়েন্টে তোদের জন্য বসে বসে ঘাস কাটবো।সব কয়টা শয়তান, সব কয়টা।তৃনা দীর্ঘ নিশ্বাস টেনে উত্তর দিলো, ডেইরি ফার্ম গেইটে আছি,৫মিনিট লাগবে, তুই আর ঠিক হবি না সানি। আজ আবার কি করলি।আন্নি,সেহতাজ,মেহের কি আসছে?
সানি জবাব দেয়,ওরা আসছে গেরুয়ার রাস্তায়।
কিছুক্ষনের মাঝেই সানির চেয়ার ঘিরে দাঁড়ায় তৃনা,আন্নি,সেহতাজ,মেহের।সানির মাথায় মেহের চাপড় মেরে কল কল করে বলতে লাগলো, কি হয়েছে বাংলার ওমরসানি,তুমি এতো ডিপ্রেসড কেনো,কোন মেয়ে আবার ছেকা দিলো?
মেহেরের কথায় সেহতাজ অট্টহাসি হেসে বলল, আসলে সানি তোকে দিয়ে এই প্রেম ট্রেম হবে না বুঝলি,এসব তোকে আসলে চয়েজ করে না, তুই যে একটা অকর্মের ঢেকি তা এবার একেবারে বোঝা গেছে।
সানি ভ্রু কুচকিয়ে সবার দিকে চেয়ে বলল,❝বা’ল,সর তোরা কোনোদিন বুঝবি না, আরে ভাই যেগুলোরেই পছন্দ করি, সেইগুলার মার্কামারা
এক একটার জামাই নাহলে একটা বিএফ আছে। বুঝবো কেমনে কোনটা বিয়াত্তা আর কোনটা সিঙ্গেল।
তৃনা গা ছাড়া দিয়ে চেয়ারে বসে পড়লো।মামা জটপট ৫ টা বেলপুড়ি দেন,জাল বেশি দিবেন।তৃনা বেলপুড়ি অর্ডার করে সানির সম্মুখে মাথা ঘুড়ায়।
দোস্ত শোন আপাতত কয়েকদিনের জন্য মেয়েদের পেছনে ঘোরা ঘুরি বাদ দে,যে প্রেম করবে সে এমনি আসবে প্রেম করতে।তৃনার এমন কথায় সানি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,তোরা তো শুধু বাঁশ দিতে জানিস।ভাই এর চাইতে একটা একটা বাঁশ না দিয়ে একটা বাঁশঝাড় দিলেও তো পারিস।মিলার যে বাগদান হয়েছে তোরা জানতি,তাহলে আমায় পাঠালি কেনো বল, বল।
আন্নি সানির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়,হাত বাড়িয়ে থুতনিতে নাড়া দিয়ে বলতে লাগলো, থাক ❝ছেকাখোর ওমরসানি, ইনশাআল্লাহ একদিন না একদিন মনের রমনী খুজে পাবে,এই নে হা কর,বেলপুড়ি খা। এই বলে আন্নি সানির মুখে বেলপুড়ি পুড়ে দেয়।এভাবে আড্ডায় চলে যায় আরো কিছু সময়।
______
বিকেলের আযান পড়ছে।দূরে কোথাও সুকরুণ সুরে আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে।প্রীতিলতা হলে সেহতাজ আর মেহেরের জন্য নিদির্ষ্ট ঘরটির পর্দাটা হালকা মৃদু কাপছে।সেই রুমে হাত পা ছড়িয়ে সটান হয়ে শুয়ে আছে তৃনা।
সেহতাজ কিছুক্ষন বাদেই কফি নিয়ে এসে মেহেরের হাতে ধরিয়ে দিলো, তৃনার কফিটা টেবিলে রেখে তৃনার এক হাত টেনে বলতে লাগলো, তিনু কফিটা খেয়ে নে ঠান্ডা হয়ে যাবে। হ্যাঁ রে আজ কি বাসায় যাবি, তৃনা কফিটাতে এক চুমুক দিয়ে জবাব দিলো সিউর জানি না, কলের উপর ডিপেন্ড করবে যাব কি যাব না। কফি আড্ডার মাঝপথেই হঠাৎ তৃনার ফোনে রিং বেজে উঠল, সেহতাজ তৃনার ব্যাগ থেকে ফোন বের করে তৃনার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকিয়ে কাট গলায় বলল ❝বিজ্ঞানী মশাই ❞কে?
মেহের সেহতাজের মুখে এমন কথা শুনে তৃনার পানে চোখ রইলো ।
তৃনা কফিতে শেষ চুমুক দিয়ে ঠাস করে জবাব দিলো,তোদের দুলাভাই।আহা ধর ধর কলটা, ব্যাচারার কি অবস্থা শুনি।সেহতাজ কলটা রিসিভ করে লাউডে দিলো,ওপাশ থেকে নরম গলায় শব্দ ভেসে আসলো,পুতুল তুমি কই।সেহতাজ আর মেহের তৃনার দিকে ফের চাইলো।আমি বাসায় বিজ্ঞানী মশাই , কেনো বিজ্ঞানী মশাই কিছু লাগবে আপনার।
আবির মুচকি হেসে কথা গুছালো,আমি প্রীতিলতা হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি,চলে আসো,শালিকারাও যদি থেকে থাকে তাদেরকেও নিয়ে এসো,আমার কোনো সমস্যা নেই।তারা যদি আসে লাভ ছাড়া ক্ষতি তেমন কিছু হবে না।
এবার তৃনাকে উত্তর না দিতে দিয়েই সেহতাজ আর মেহের জবাব দিলো একসাথে, দুলাভাই আপনি একদম চিন্তা নিয়েন না, তিনু না আসতে চাইলেও
ওকে আমরা ধরে বেধে নিয়ে আসবো।তৃনা রাগন্বীত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সেহতাজ ও মেহেরের পানে। কলটা কেটে ব্যাগে ফোন রাখলো সেহতাজ।তৃনা ফুসে উঠে বলল, তোরা কোনোদিন ভালো হবি না, ব্যাগে টা কাধে চাপিয়ে হাটা শুরু করলো তৃনা।মেহের আর সেহতাজ ফিক করে হেসে দিয়ে তৃনার সাথে পা মিলালো।
আপনি কিভাবে জানলেন আমি হলে আছি?
তোমাদের বাসায় মা আর আমি এসেছিলাম। তোমার মায়ের কাছ থেকে জানলাম তুমি ভার্সিটিতে এসেছো।অনেক অপেক্ষা করেও যখন তুমি আসছিলে না, তখন মামনি বলল,জাহাঙ্গীর নগরের প্রীতিলতা হলে তোমার দুই বান্ধবি থাকে। তুমি নাকি মাঝে মাঝে তাদের সাথে থাকো।হয়তোবা আজোও থাকবে।তাই তো উত্তর জামসিং থেকে অটোরিকশায় চেপে গেরুয়া হয়ে তোমাদের হলের সামনে চলে আসলাম।
তৃনা মুখ থেকে বাতাস ছেড়ে দিয়ে আবিরকে বলল,এতো কষ্ট না করলেও পারতেন। আবির তৃনার পিছনে অবোলোকন করে, দেখতে পায় সেহতাজ আর মেহের হা করে তাকিয়ে আছে, আবির মুচকি হেসে বলল, আরে এভাবে যদি হা করে তাকিয়ে থাকো তাহলে মুখে মশা ডুকে যাবে। তা তোমরা কেমন আছো বলো।সেহতাজ আর মেহের মুখটা বন্ধ করে আস্তে করে বলল,দুলাভাই ❝আলহামদুলিল্লাহ ❞
আবির বুকে একহাত চাপ দিয়ে টিটকিরির সুরে বলল, দেখেছো পুতুল তোমার বান্ধবীরা যখন দুলাভাই বলে ডাকে কি মারাত্মক ই না লাগে। উফ হৃদয়টা ঠান্ডা হয়ে যায়।এমন কথায় তৃনা আবিরকে ভেংচি কাটে। আবির সেহতাজ আর মেহেরের পানে তাকিয়ে বলল, শালিকারা এখন থেকে এইভাবেই দুলাভাই ডাকবা ঠিক আছে।সেহতাজ আর মেহের যেনো আবিরের কথায় মাথা দুলালো।
এর মাঝেই আবির দুইটা অটোরিকশা থামিয়ে সেহতাজ আর মেহেরকে একটায় উঠিয়ে দিয়ে আরেকটাতে তৃনাকে নিয়ে উঠে পড়ে। তৃনা রিকশাওয়ালা মামাকে আওরায় বটতলায় যাবেন।
চায়ের অনটাইম কাপে চুমুক দিতে দিতে আবির তৃনাকে শুধালো, পুতুল শাড়ি পছন্দ করো তুমি।
তৃনা জবাব দিলো হুম করি। তৃনার হ্যা সূচক বাক্য শুনে,আবির চায়ের কাপটা সিমেন্টের বেঞ্চিতে রেখে তৃনার হাতটা ধরে, শাড়ির ভেনের কাছে গিয়ে হাজির হয়। পুকুরের পাশে যেখানে গেরুয়া যাওয়ার রাস্তা এসে মিশে গেছে, সেখানেই অগনিত শাড়ির সেই ভেনটার দিকে অপলক চোখ রেখে,আবির চট করেই দুটো শাড়ি বের করলো।মামা শাড়ি দুটোর প্রাইস কতো?মামা কালোটা ১২০০,সাদাটা ১৩০০। আবির শাড়ি দুটো তৃনার কাধে রেখে দেখে নিলো তার পুতুলকে বেশ লাগছে। কাধ থেকে শাড়িটা তৃনার মাথায় দিয়ে আবির তৃনাকে বলতে লাগলো, অসম্ভব সুন্দর লাগছে পুতুল তোমায়, এই শাড়ি দুটো আমার প্রথম উপহারের চিহ্ন।জ্বি অবশ্যই বিজ্ঞানী মশাই। আবির ভ্রু নাচিয়ে বলল,এই বিজ্ঞানী মশাই ডাকবা যখন আমি একান্তই তোমার কাছে থাকবো তখন, মানুষের সামনে কখনও বইলো না, তবে তোমার এই নাম আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে সেহতাজ আর মেহেরকে আবির বলল, চা শেষ করে, শালিকারা বসে না থেকে পছন্দ করে শাড়ি বেচে নেও, দুলাভাইর তরফ থেকে তোমাদের উপহার।কিছুক্ষন বাদেই আবির তৃনাকে জিজ্ঞাসা করলো, আন্নি আজ আসে নি?ওর জন্য একটা শাড়ি বেচে নেও,দিয়ে দিবে দেখা হলে।শাড়ির প্যাকেট গুলো গুছাতে গুছাতে তৃনা আবিরের দিকে তাকিয়ে জবাব দেয়, ও একটু অসুস্থ, তাই একটা ক্লাস করেই চলে গেছে।
শাড়ি কেনা শেষ করে আবির টাকা চুকিয়ে
বটতলার জমজমাট সেই রেস্টুরেন্টের একটা টেবিল দখল করে আবির,তৃনা, সেহতাজ,মেহের।সামনে চিকেন চাপ, গ্রিল,নান প্লেটে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তৃনা মুখ ফুলিয়ে বসে আছে সেই খাবারের সামনে।
কি হলো পুতুল খাচ্ছ না কেনো।
তৃনা দুইহাত গালে ঠেসা দিয়ে বলতে লাগলো, পেট বলছে খা তৃনা খা, কিন্তু মুখ বলছে খাস না, একচুয়ালি আমি একটু ডায়েট করতে চাচ্ছি।এর মধ্যেই পিছন থেকে পুরুষালি কন্ঠ ভেসে আসে, তুই যখন খাবি না, আমায় দিয়ে দে,এই সেহু,মেহু সর তো জায়গা দে বসতে। তৃনার সামনে থেকে সানি চাপের প্লেট টা নিয়ে এক লোকমা খেলো। তৃনা সানির সামনে থেকে চাপের প্লেট টা নিয়ে খাওয়া শুরু করে বলতে থাকে আমি ডায়েট ভেঙ্গে দিলাম । আবির যেনো এই বন্ধুত্বের খুনসুটি খুব ইনজয় করলো। আরো এক প্লেট অর্ডার করে সানিকে ও আড্ডায় সামিল করলো আবির। আবিরের সাথে কুশল বিনিময় করে, সানি বলতে লাগলো,
ভাই আপনি এই সন্ত্রাসী,হিটলার মাইয়ার প্রেমে পড়লেন কেমনে। তৃনা রাগ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সানির পানে।তবে তৃনার মনে খুব ভয় লাগতে শুরু করলো সত্যি না বলে দেয় সানি। সানি হাসি হাসি মুখ নিয়ে আবিরকে বলল, আপনার পুতুল তো ভাই আগুন, আমি সেই দিন ই বুঝতে পারছিলাম, ও প্রথম যেদিন রেগিং এর শিকার হয়েছিলো।সানির এমন কথায় তৃনা একটা শান্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো, আবির এবার খুব আগ্রহ নিয়েই জিজ্ঞেস করলো, কি হয়েছিলো সেদিন।
তাহলে শুনেন ভাই। ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র আপুরা পথ আটকেছিলো তৃনাকে।আমি ডিপার্টমেন্টে ডুকতে যাবো তখন আমি দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম ব্যাপারটা দেখার জন্য। তৃনাকে সিনিয়র আপুরা জিজ্ঞেস করেছিলো,
❝নতুন ❞
আমাদের তিনু হ্যা বলে ভদ্র মেয়ের মতো মাথা নাড়িয়েছিল।সিনিয়র আপুরা হাসতে হাসতে বলছিলো তিনুকে,এই তুই মেয়ে না ছেলেরে? তোর পোশাকে তো বুঝতে পারছি না। পরিক্ষা দিতে হবে কিন্তু, পাশ করলে ছেলে, ফেল করলে মেয়ে।
ছাদ থেকে লাফ মারবি, আবার নিচ থেকে ছাদে লাফ দিয়ে উঠবি, বেচে থাকলে পাশ, মরে গেলে ফেল।তাহলে কিন্তু তুই মেয়ে।
কি একটা অবস্থা ভাই, আমাদের তিনু তো মুখ কাপিয়ে কিযেনো বলছিলো, এই সেহু আর মেহু কি যেনো বলছিলো, পাশ থেকে মেহের বলে উঠল,, আপু বলছিলো ।তখন সিনিয়র আপুদের মেইন যে উনি চেচিয়ে উঠে বলল তৃনাকে, আপু, কিসের আপু,বল মা।
এই পলিটিক্স ডিপার্টমেন্টের সবাই আমায় মা ডাকে।তারপর কি হয়েছিলো জানেন ভাই। আবির কৌতুহলি হয়ে সানিকে বলল কি হয়েছিলো,? আমার পুতুলকে ওরা মেরে ছিলো। সানি এক টুকরো নান মুখে দিতে দিতে বলল,হয়েছিলো তো অনেক কিছু, তিনু সিনিয়র আপুদের পাল্টা উত্তর দিয়েছিলো।
তিনু বলছিলো, আচ্ছা মা কাল আমার একটা পার্টি আছে একাউন্টে ২০০০টাকা দিও,পার্টিতে যেতে হবে। এবার রাস্তা ছাড়ো বড্ড খিদে পেয়েছে প্রফেসরের সাথে দেখা করে খেতে যাবো।তিনু তো এই কথা বলার পড় সিনিয়র আপুরা অনেক রেগে গেছিলো, আমাদের তিনুতো চলেই যাচ্ছিলো, তখনই তিনুর চুলের মুটি ধরে বলছিলো, কি বললি। আমাদের তিনু তখন নিজের ব্যাগটাকে নিচে ফেলে দিয়ে এমন মাই’র টা মা’রলো, ওই আপু হাত পা ভেঙে ৩মাস বেড রেস্ট এ ছিলো। এরপর থেকে ডিপার্টমেন্ট এ আর রেগিং হয় নি। তিনুর জন্যই এখন নতুন স্টুডেন্টরা শান্তি করতে পারছে।
সানির কথা শেষ হতে না হতেই যেনো তৃনার ভিষম খেতে লাগলো। সানি হাসতে হাসতে বলল, আরে দুলাভাই সত্যিকথা বললেই ও এমন ভিষম খায়।
আবির তৃনার পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো, পুতুল তুমি সত্যি মারা’মারি যানো?
তৃনা কোকাকোলায় শেষ চুমুক দিয়ে বলল, নিজেকে সেইফ করার জন্য তায়কন্দ শিখেছি।
এভাবেই কথার জুড়ি নিয়ে কেটে যায় আড্ডায় বহুসময়।
চলবে।