ডাহুক নদীর তীরে ( পর্ব-৪) হালিমা রহমান

0
3

ডাহুক নদীর তীরে ( পর্ব-৪)
হালিমা রহমান

মাহাদী ঘরে বসে আপনমনে পড়ছিল।ছেলেটার বয়স মাত্র এগারো বছর।অথচ,হাতে-পায়ে এই বয়সেই তথাকে ছাড়িয়ে গেছে সে। সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি একদম অপছন্দ মাহাদীর।দু-তিন লাইনের একটা উদ্দীপক দেয়। তারপর বইয়ের সাথে মিলিয়ে সেখান থেকে চারটে প্রশ্ন বের করে।মাত্র দশটা নাম্বারের জন্য রাজ্যের লেখা লেখতে হয়।আর শিক্ষকদের কথা তো না বললেই নয়।এতো এতো লেখার পরেও প্রতি সৃজনশীলে মাত্র ছয় নম্বর করে দেবে।এসব একদম বিরক্ত লাগে মাহাদীর। একটু বেশি নম্বর দিলে কি হয়? শিক্ষরা কি নম্বর দিয়ে বাড়ি বানাবে?
তথা এসে দাঁড়ালো মাহাদীর পাশে।তার মাথায় ওড়না টেনে দেওয়া,মুখে মাস্ক,হাতে ব্যাগ।তথার এমন রূপ দেখে জোরে জোরে পড়া শুরু করলো মাহাদী।তথার বেশ-ভূষা বলছে,সে এখন বাইরে যাবে।আর বাইরে যাওয়ার সময় সে মাহাদীকেও বগলদাবা করে নিয়ে যায়।কিন্তু এখন মাহাদীর বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে না।তার অনেক পড়া।কালকে পড়া না পারলে স্যার মারবে।
—” ভাই,পড়ছিস?”
—” হুম।”
—” অনেক পড়া?”
—” হুম। ”
—” যাবি এক জায়গায়?মাত্র আধ- ঘন্টা লাগবে।”
—” উঁহু। আমার অনেক পড়া।”
—” আধ-ঘন্টারই তো ব্যাপার। চল না।”
—” উঁহু, তুমি অন্য কাউকে নিয়ে যাও।”
খাটের উপরেই বসে আছে রুবাইদা।সে বসে বসে ত্রিকোণমিতির সূত্রগুলো মুখস্থ করছে। এই সূত্রগুলো তার দু-চোখের বিষ।কিছুতেই মুখস্থ হয় না।এতো কঠিন সূত্র আবিষ্কার করার কোনো দরকার ছিল?এগুলো কি কাজে লাগে?পড়ায় মনোযোগী নেই রুবাইদার।মায়ের ভয়ে দম খিচে পড়ছিলো।তথার বাইরে যাওয়ার কথা শুনে সে লাফিয়ে উঠে।বই-খাতা ছুড়ে ফেলে দেয় পাশে।
—” তথাপু,আমি আসি?”
—” তোর না পরীক্ষা?”
—” কিছু হবে না।”
—” কোনো প্রয়োজন নেই।তুই পড়।চল না মাহাদী।তোকে কিছু খাওয়াব।”
খাবারের কথা শুনে নড়েচড়ে বসে মাহাদী।ছেলেটা ভীষণ ভোজনরসিক। খাবারের লোভ সামলে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া পুরোপুরি অসম্ভব মাহাদীর পক্ষে।সে বই বন্ধ করে ট্রাউজারের পকেটে হাত গুজে দেয়।
—” কি খাওয়াবা?”
—” ডালপুরি।বাজারের সবেচেয়ে ভাল ডালপুরি তোকে খাওয়াব আজ। ”
—” উঁহু, চলবে না।”
—” তাহলে কি খাবি তুই?”— তথার নাক-মুখ কুঁচকে যায়।নেহাৎ প্রয়োজন বলে।নয়তো এই মুহূর্তে মাহাদীকে ঠাটিয়ে দুটো চড় মারতো।
—“বিসমিল্লাহ হোটেলের দু-প্লেট বিরিয়ানি খাওয়াতে হবে।”
—” এই সন্ধ্যাবেলা কে বিরিয়ানি খায়?”
—” আমি খাই।চলবে?”
তথা বড় এক দম নেয়।মাথা নেড়ে বলে—” হুম চলবে।চল।”
রুবাইদা এতোক্ষণ বসে বসে ওদের কান্ড দেখছিলো।ঘোড়ার পরীক্ষার জন্য আজ ঘরে বসে থাকতে হবে।নাহয় তথার সাথে যেতে পারতো।তথা দরজার দিকে পা বাড়াতেই পিছু ডাকে রুবাইদা।
—” আপু,কই যাবা ?”
—” একটু বাজারের দিকে যাব।কাঁচা হলুদ, মধু আর অ্যালোভেরা জেল লাগবে।ওগুলো আনতে হবে।”
—” চেহারার জন্য?”
—” হুম।”
তথা সামনে পা বাড়ায়।আবারো পিছু ডাকে রুবাইদা।রুবাইদার কান্ডে খুব বিরক্ত হয় মাহাদী।চোখ-মুখ কুঁচকে প্রশ্ন করেঃ” কি সমস্যা রুবি আপু?”
—” তোকে ডেকেছি? তথাপু, বাজার থেকে ঝালমুড়ি আনবে কিন্তু।আর ডালপুরি সামনে পেলে ডালপুরি আনবে।”
—” আমি কি বাংলাদেশ ব্যাংক? ”
—” তোমার কাছে টাকা আছে তা আমি জানি।মনে করে আনবে কিন্তু।”
—” আচ্ছা, আনব।দরজা আটকে দে।কাকিমা বাড়িওয়ালা আন্টিদের ঘরে গেছে।কেউ নক করলে, নাম জিজ্ঞেস করে তারপর দরজা খুলবি।মনে থাকে যেন।”
তথা – মাহাদী বাইরে বেড়িয়ে আসে।তথার কাছে ভাই-বোনের আবদার করার বিষয়টা নতুন না।তথা যখন স্কুলে পড়তো, তখন বাড়ি ফিরার পথে পাঁচ টাকার বাদাম হলেও কিনে নিয়ে আসতো।তখন তো আর মাহাদী খেতে পারতো না।শুধু রুবাইদার জন্যই নিয়ে আসতো সে।আবার যখন টিউশনি শুরু করলো, তখন ভাই- বোনের আবদার আরো বেড়ে গেল।তথাপু এটা খাব,তথাপু ওটা খাব—এরকম হাজারটা আবদার।তথাও হাসিমুখে পূরণ করে এসব।কয়টা বোনের কপালে এমন মিষ্টি আবদার জুটে?তথা সত্যি ভাগ্যবতী। সৃষ্টিকর্তা কখনো কারো সাথে অন্যায় করেন না।তিনি জন্মের পর তথার বাবা-মাকে নিয়ে গেছেন ঠিকই,তবে বিনিময়ে একটা সাজানো- গোছানো পরিবার দিয়েছেন।
***
—” ওই মামা ওই,রাস্তায় আর জায়গা নাই? গায়ের উপরে রিকশা উঠায় দিবেন নাকি?”
রিকশাওয়ালার উদ্দেশ্যে চেচিয়ে কথাগুলো বলল বলে মাহাদী। তারপর বোনের কাঁধে হাত দিয়ে নিজের দিকে টেনে নেয়।তথার চাইতে সে কয়েক ইঞ্চি বেশি লম্বা।তথা বড়করে দম নেয়।শর্টকার্টে বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটা ব্যবহার করা হয় রাস্তাটা বেশ চওড়া। তবুও একটা রিকশা তার গা ঘেষে চলে গেছে।কাজটা যে ইচ্ছাকৃত তা দেখলেই বুঝা যায়। এই রাস্তা সবসময় নিরিবিলি থাকে।তথার পাশের ল্যাম্পপোস্টটা নষ্ট। তাই এদিকটায় একটু অন্ধকার। তথা আর মাহাদী দাঁড়িয়ে আছে।একটু আগে দ্রুত সরে যাওয়ার সময় তথার বাম পায়ের গোড়ালিতে একটু চোট লেগেছে। গোড়ালিটা ব্যাথা করছে এখন।মাহাদী তথার ফোনের আলোর সাহায্যে বোনের পা দেখে।
—” আপু বেশি ব্যাথা পেয়েছো নাকি?”
—” না।একটা রিকশা ডাকতো ভাই।হাঁটতে পারব না।”
মাহাদী এদিক- ওদিক তাকায়।নিরিবিলি হওয়াতে এদিকে রিকশা পাওয়া দুষ্কর। খানিকবাদে একটা বাইক এসে থামে তাদের পাশে।বাইকটা তথা না চিনলেও মাহাদী চিনতে পেরেছে। মাহাদীর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে।যাক, বাঁচা গেল অবশেষে।
—” কি সমস্যা ছোট ভাই,এইখানে দাঁড়ায় আছো যে?” — হেলমেট খুলে কপালের একপাশে পড়ে থাকা চুলগুলো ঠেলে পিছনে সরিয়ে দেয় ইরফান।
—“আর বইলেন না ভাই। বাজারে যাব ।এক বদমায়েশ রিকশাওয়ালা আপুর গা ঘেষে রিকশা চালাইছে। সাইডে সরার সময় আপু পায়ে ব্যাথা পাইছে।তাই, রিকশার জন্য দাঁড়ায় আছি।”
—” রিকশাওয়ালা আমাদের এলাকার নাকি? তুমি চিনো?”— বাইক থেমে নেমে দাঁড়ায় ইরফান।তার কন্ঠে খানিক রাগের আভাস।
—” না, ভাইয়া। কখনো দেখি নাই এদিকে।নতুন মনে হয় ”
এতোক্ষনে ইরফানকে চিনতে পারে তথা।ইরফান খুব পরিচিত নয় আবার একদম অপরিচিতও নয়।বিরক্তির সাথে সাথে অস্বস্তিতেও গুটিয়ে আসে শরীর।এই তবে ইরফান?এই মানুষটার জন্যই এলাকার ছোট ছোট ছেলেদের মুখে ভাবি ডাক শুনতে শুনতে কান পঁচে যায়।তথা অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নেয়।বাড়াবাড়ি খুব অপছন্দ তার।
—” ও বেশি ব্যাথা পেয়েছে?”
—” পা বোধহয় একটু মচকে গেছে।”
—” তুমি দাঁড়াও এদিকে।আমি রিকশা ডেকে দেই।”
দু- পা সামনে এগোয় ইরফান।তথার সামনে গেলে তার নিজেরও অস্বস্তি হয়।অকারণেই দুই হাঁটু কেঁপে উঠে।জ্বিভ জড়িয়ে আসে।কতবার সাহস করে তথার সাথে কথা বলার পরিকল্পনা করেছে।কিন্তু, কখনোই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি।মেয়েটা কিভাবে যেন তাকায়।চোখগুলো ছোট ছোট করে, কপালের চামড়াগুলো দুই ভ্রুর মাঝে জড়ো করে, বিরক্তিভাব নিয়ে ছেলেদের দিকে তাকায়।এই চাহনী সহ্য হয় না ইরফানের।তাই কখনো মুখোমুখি দাঁড়ায়নি ইরফান।কথা বলার ইচ্ছে থাকলেও ধমক দিয়ে মনকে শাসন করেছে।মনে ইচ্ছে জাগবেই। তাই বলে সব পূরণ করতে হবে নাকি?সময় হোক।বিশেষ ইচ্ছেগুলো তোলা থাক।আজ নাহয় কাল তা পূরণ হবেই।সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তথার সামনে একটা অটো এসে থামলো।ইরফান রিকশা পায়নি।পথে একটা অটো পেয়েছে,তাই ধরে এনেছে।অটোতে পাঁচজন যাত্রী আছে।আর একটা সিট খালি। ইরফান মাহাদীকে বলেঃ” তোমার বোনকে তুলে দাও।আর তুমি আমার সাথে চলে এসো।”
কথা বাড়ায় না মাহাদী।সযত্নে বোনকে তুলে দেয়।আরেকবার তথার পায়ের দিকে তাকায়।
—” ফার্মেসীতে যাওয়া লাগবে নাকি আপু?”
—” আরে নাহ পাগল।একটু তেল মালিশ করলেই হয়ে যাবে।তুই বিসমিল্লাহ হোটেলে যেয়ে খেতে বস।আমি কেনাকাটা করে আসছি।”
—” তোমার সাথে যাওয়া লাগবে না?”
—” না।তুই আমার সাথে গেলে আরো দেরি হবে। তুই চলে যাবি কিন্তু।আমি দশ মিনিটের মাঝেই আসছি।”
— ” আচ্ছা।”
অটো ছেড়ে দিলে পিছন থেকে ইরফানের সাবধানী গলা ভেসে আসে।
—” মামা,সাবধানে নিয়েন।”
তথা বসে থেকে মুখ বাকায়।বেশি বেশি ঢং একেবারে।অসহ্য!
—” এই সন্ধ্যাবেলায় বাজারে কি মাহাদী?”
—” আপুর কি কি যেন লাগবে।আপু নাটকে চান্স পেয়ছে তো।তাই স্কিনের যত্ন নিচ্ছে খুব।”
—” তাই নাকি?”— খুব অবাক হয় ইরফান।খবরটা তার কান অবধি এখনো আসেনি।
ইরফানের বিস্ময়ে দ্বিগুণ উৎসাহ পায় মাহাদী।মাথা ঝাঁকিয়ে বলেঃ” হ্যাঁ। আপু সব টিউশনি ছেড়ে দিয়েছে। এই মাসের শেষেই পঞ্চগড় যাবে শুটিংয়ের জন্য। সেখানে নাকি একটা পুরোনো জমিদার বাড়ি আছে।সেখানে শুটিং হবে।নাটকের নাম ডাহুক নদীর তীরে।”
—” এতো দূর যাবে? তোমার বাবা- মা কিছু বলবে না?”
—” মা তো আপুর উপর খুব রাগ করেছে।কথাই বলে না।বাবা কিছু বলেনি।বাবা আরো খুশি।”
—” কতদিনের জন্য যাবে তথা?”
—” আপাতত একমাস।এরপর কাজ শেষ না হলে আরো সময় লাগবে।”
—” আচ্ছা, বাইকে উঠো।”
ইতফানের ভিতরটা তেতো হয়ে গেছে মুহূর্তেই।পঞ্চগড় যাবে?অনেক দূর হয়ে যায় না? তাছাড়া একমাস! সময়টা তো কম নয়।আরেকটা ভাবনা মনে দাগ কাটে ইরফানের।তাদের রক্ষণশীল পরিবার।বেশিরভাগ বাঙালি পরিবারে নাটক-সিনেমার জগৎ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত।ইরফানের পরিবারও তার ব্যতিক্রম নয়।যদি তথার এই পেশাটাই বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়? যদি বাবা- মা তথাকে অপছন্দ করে? তখন কি হবে?ইরফানের ভয় হয় খুব।পায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠে।হোক না একতরফা ভালোবাসা। ইরফানের অনুভূতি তো মিথ্যা নয়।বরং তথাকে ঘিরে তার অনুভূতিগুলো বড্ড ভয়ংকর।ভবিষ্যৎ ভেবেই মাথা চক্কর দেয় ইরফানের।একতরফা অনুভূতিগুলো অভিশাপ হয়।এর উল্টোপিঠে কেবল ভয় আর দুশ্চিন্তার বসবাস।
***
জমিদার বাড়ির দো-তলায় হালকা আলোর একটা লাইট জ্বলছে।অন্ধকার দূর করছে না এই আলোটুকু। বরং অন্ধকারকেই আরো তীব্রভাবে প্রকাশ করছে যেন।দোতলার সবচেয়ে কোনার দিকের রুমটা বেশ বড়।এটা ইউসুফের ঘর।এই বাড়িতে এলে সে এই ঘরেই থাকে।ঘরটা বাড়ির পিছন দিকে।তাই রাস্তা থেকে খুব একটা চোখে পড়ে না।ইউসুফ গ্রামে এসেছে সন্ধ্যা নামার একটু পরে।সামান্য খাওয়া-দাওয়া করে বিশ্রাম নিচ্ছে সে।খাটের উপর আধশোয়া হয়ে আছে ইউসুফ।তার বামপাশেই দাঁড়িয়ে আছে মামুন।ইউসুফ একবার চোখ মেলে তাকায় মামুনের দিকে।
—” মামুন দুপুরে যে প্রোডাক্টগুলো সাপ্লাই দেওয়ার কথা ছিল,তা দিয়েছো?”
—” জ্বি,স্যার।”
—” ঘরগুলো সব পরিষ্কার করা হয়েছে?”
—” জ্বি, স্যার।”
—” আমার পাশের ঘরটা তোমার ম্যাডামের হবে।ঘরটা সুন্দরভাবে সাজাবে।”
মামুন সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে।
—” তুমি এখন যাও, মামুন।আমি আরেকটু ঘুমাব।”
মামুন যায় না।মাথা নিচু করে বলেঃ” একটা কথা বলব স্যার?”
—” বলো।”
—” ” আপনি বোধহয় বিদেশে চলে গেলে পারতেন।আপনি যে দেশে আছেন,সেই খবর পুলিশ জানে।”
—” চলেই যেতাম বুঝলে। তবে,একটা কামিনী ফুলে আটকে গেলাম।দেশ ছাড়তে হলে ফুলটাকে নিয়েই দেশ ছাড়ব।”
—” স্যার,আবোধা ডিরেক্টরটার সাথে কাজ না করলেই ভালো হতো।ব্যাটা পাক্কা হারামী।দুই বছর আগে কি কাহিনীটাই না করলো! এইবারও যদি এরকম করে?ম্যাডামকে ওর ভরসায় রেখে আসা কি ঠিক হলো স্যার?যদি খারাপ কিছু হয়!”
—” ডিরেক্টর তোমার স্যারকে খুব ভালো করে চিনে।দু-বছর আগের ঘটনার যদি পুনরাবৃত্তি হয় তবে ওর চৌদ্দপুরুষের নাম ভুলিয়ে দেব।আর বাই এনি চান্স তথার যদি কিছু হয়,তবে গুনে গুনে ছয়টা গুলি ওর মুখে ভরে দেব।এরপর যা থাকে কপালে।”
ইউসুফ চোখ বন্ধ করে।চোখের উপর ভেসে উঠে একটা মেয়ের প্রতিচ্ছবি।না,না মেয়ে নয়।ইউসুফের চোখে সে সাক্ষাৎ একটা কামিনী ফুল। বৃষ্টিভেজা শুভ্র কামিনী ফুল।।
চলবে.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here