ডাহুক নদীর তীরে (পর্ব-২)
হালিমা রহমান
তথাদের বাড়ি পুরান ঢাকায়।পুরান ঢাকার বাড়িগুলো দেখতে বেশ সুন্দর।বেশিরভাগ বাড়ির চেহারা অন্যরকম।তথাদের এলাকায় এখানে গলি,সেখানে গলি।বাড়ির ছাদগুলোও পরিপাটি থাকে।তাছাড়া, হোটেলগুলোর সামনে দিয়ে তো আসাই যায় না।খাবারের গন্ধেই অর্ধেক পেট ভরে যায়।তথা আজ খুব খুশি।খুশির চোটে নাচতে ইচ্ছে করছে তার।তথার কত শখ অভিনয় করার।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে হাত নাড়িয়ে কথা বলে।নায়িকাদের মতো চুল গুছিয়ে রাখে।নিজেকে সবসময় পরিপাটি করে রাখে।কয়েকদিন পর তথাও অভিনয় করবে।নিজের সবটুকু দিয়ে নির্ধারিত চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলবে।তারপর?তারপর তথার অভিনয়ের মাধ্যমে সবাই তথাকে চিনবে,ভালোবাসবে।তথার রূপের আগে গুণ চোখে পড়বে সবার।ছেলে-বুড়ো সবাই বলবে–“নাহ,মেয়েটা শুধু রূপবতীই নয়।তথা একজন গুণী অভিনেত্রীও বটে।”
বাড়ির সামনে রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে দেয় তথা।তথাদের বাড়ির নিচে সাড়ি সাড়ি দোকান।এখানে একটা বিরিয়ানীর হোটেল আছে।এই হোটেলের বিরিয়ানী তথার খুব পছন্দ।রিকশা থেকে নেমে তথা ব্যাগের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেয়।এদিক-ওদিক হাত বুলাতেই, হাতের নিচে খুচরো টাকাগুলো তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।টিউশনির বেতন এখনো পুরোপুরি খরচ হয়নি।পাঁচ প্যাকেট বিরিয়ানী কিনে নিলে কেমন হয়?পরিবারের সবার জন্য ছোট্ট একটা ট্রিট।রুবাইদা- মাহাদি নিশ্চয়ই তথার পথের দিকে চেয়ে আছে।তথার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে। ওর চাইতে ওর ভাই-বোনের আগ্রহ বেশি।তথা দু-পা সামনে এগিয়ে হোটেলের সামনে দাঁড়ায়।তাকে দেখামাত্রই হোটেলবয় যেন উড়ে আসে।তথার সামনে এসে হাসিমুখে প্রশ্ন করেঃ” কয় প্যাকেট লাগব,আপা?”
—” পাঁচটা।”
হোটেল বয় আবারো ভিতরে চলে যায়।তথা ওড়নার আঁচল দিয়ে গলায় জমে থাকা ঘাম মুছে নেয়।এই রাস্তাটা সবসময় ব্যস্ত থাকে।রিকশা, মোটরসাইকেলের আনাগোনা থাকে সেই রাত দশটা পর্যন্ত।আর মানুষের চিল্লাচিল্লির কথা না বললেই নয়।এখানে যেন অদৃশ্য একটা প্রতিযোগিতা চলে,কে কার চেয়ে বেশি চেঁচিয়ে কথা বলতে পারে। মাঝে মাঝে তথা একদম হাঁপিয়ে যায়।মানুষগুলো কি একটু জিরোতে পারে না?
হোটেলের ভিতরের দিকে একটা চেয়ারে বসেছিল ইরফান।তার দৃষ্টি তথার দিকে।মেয়েটাকে সেই ক্লাস টেন থেকে চিনে সে।ভালো লাগার শুরু তখনই।ইরফানদের বাড়ির সামনে দিয়েই স্কুলে আসা-যাওয়া করতো তথা।ইরফান তখন ভার্সিটিতে পড়ে।ছোট্ট মেয়েটাকেই কি করে যেন মনে ধরে গেল।না চাইতেও তথাতেই আটকে গেল ইরফান।অকারণে তথার স্কুলের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো,তথাকে একবার দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা কোচিং সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতো,তথা বিকালে যখন হাঁটতে বেরোতো তখন ইরফানও বাইক নিয়ে পিছু পিছু আসতো।কিন্তু ইরফান কখনো তথার মুখোমুখি দাঁড়ায়নি।নিজের দূর্বলতা বুঝতেই দেয়নি তথাকে।সে যেন তথার এক অদৃশ্য ঢাল।তথার অগোচরেই তাকে ছোট্ট পাখির ছানার মতো আগলে রাখছে।
হোটেলবয় সোনাই,পাঁচটা প্যাকেটে বিরিয়ানী ভরছিল।তাকেই হাত বাড়িয়ে ডাক দেয় ইরফান।
—” সোনাই,এদিকে আয়।”
সোনাই হাতের কাজ ফেলে দৌড়ে আসে।কাউন্সিলরের ছেলে হিসাবে ইরফানের খুব ক্ষমতা এখন।সোনাই ইরফানের সামনে দাঁড়ায়।মাথা নিচু করে বলেঃ ” জ্বি,ভাই?”
—” তোর ভাবির থেকে ভুলেও টাকা নিবি না।ওর বিল আমার বিলের সাথে হিসাব করবি।বুঝছিস?”
—” জ্বি,ভাই।”
সোনাই চলে গেলে ইরফান আবারো তথার দিকে নজর দেয়।তার সামনে রাখা একপ্লেট বিরিয়ানী সেই কখন ঠান্ডা হয়ে গেছে।ইরফান একা নয়।তার সামনে বসে আছে রাফায়েত।রাফায়েত তার অন্তরঙ্গ বন্ধু।রাফায়েত একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তথার দিকে তাকায়।তথাকে একনজর দেখে আবারো বন্ধুর দিকে নজর দেয়।তারপর মুচকি হাসে।
—” ইরফান,তুই কি আর খবি ?”
—” উঁহু। ”
—” এইভাবে তাকায় থাকিস না।নজর লাগবে।”
—” প্রশ্নই আসে না।আমি যতক্ষণ তাকায় থাকি ততোক্ষণ সেকেন্ডে সেকেন্ডে মাশাল্লাহ বলি।”
—” তুই খুব বাড়াবাড়ি করিস ইরফান। ”
—” মোটেও না।”
—” তোর মনে হয় তথা তোরে পছন্দ করবে? অত্যধিক রূপবতী মেয়েরা বর হিসাবে অত্যধিক রূপবান ছেলেদেরকে পছন্দ করে।”
—” তুই কি পরোক্ষভাবে আমাকে অসুন্দর বলছিস?”—ইরফানের কপাল কুঁচকে যায়।
— ” না,তা বলছি না।কিন্তু তথার পাশে তোকে মানাবে না।তোর সৌন্দর্য খুব সাধারণ। চলতি পথে এরকম দেখাই যায়।কিন্তু তথা তো আর এরকম না।তথার পাশে মানাবে রাজপুত্রের মতো কাউকে।ধর তুর্কি নায়কগুলো আছে না?ওরকম।একদম কাটকাট বডি,নজরকাড়া স্টাইল–এরকম আরকি।”
—” শোন ভাই,মানুষ এখন আর শুধু রূপ দেখে না।যোগ্যতাও দেখে।আমি ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম,ভালো ছেলে,কর্মঠ,টুকটাক রাজনীতি বুঝি,আমার নিজের রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।আর চরিত্রের কথা তোকে নাই বা বললাম।এই যুগে আমার মতো এরকম ভদ্র-সভ্য ছেলে তুই কোথায় পাবি?যেহেতু আমি ছেলে হিসেবে ভালো তারমানে স্বামী হিসেবেও ভালো হব,তাই না?তাছাড়া, তথার সাথে আমি প্রেম করব না।
—” তাহলে কি করবি?”
—” ডিরেক্ট বিয়ে করব।একদম পিউর এরেঞ্জ ম্যারেজ যাকে বলে।তাহলে,এখানে শুধু তথার পছন্দ ভেবে কি হবে?আমার টার্গেট তথার অভিভাবক। আমি নিশ্চিত তথার চাচা-চাচি আমাকে পছন্দ করবে।”
রাফায়েত আর কথা বাড়ায় না।এই পাগলকে বুঝানো আর কলা গাছে আম ফলানোর চেষ্টা একই কথা।ইরফান হাতের উপর মাথা রেখে আবারো তথার দিকে তাকায়।মেয়েটা কি সুন্দর করে এদিক -ওদিক দেখছে।মেয়েটার সবকিছুই সুন্দর।কেন যে এতো ভালো লাগে তাকে!
তথা একবার হোটেলের দিকে নজর দেয়।সোনাইকে উদ্দেশ্য করে বলেঃ” সোনাই,দেরি হবে আরো?”
—” না, আপা।আর পাঁচ মিনিট।”
তথার দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে না।একছুটে বাড়ি চলে যেতে ইচ্ছে করছে।রুবাইদা -মাহাদী কতক্ষণ যাবৎ অপেক্ষা করছে।তথা হাতঘড়ির দিকে একবার চোখ বুলায়।আযানের দেরি নেই খুব।মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সোনাই এসে দাঁড়ায় তথার সামনে।মুখে ঝুলায় বিনয়ের হাসি।
—” আপা,এই যে নেন।”
—” কত হলো?”
—” আপনার বিল দেওয়া লাগব না আপা।”
—” কেন?—তথার চোখ-মুখ কুঁচকে যায়।
—” এমনেই। আপনের টাকা লাগব না আপা।”
পুরো বিষয়টা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে তথার।এটা যে ইরফানের কাজ তা বুঝতে খুব দেরি হয় না।মুহূর্তেই রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে যায় তথার।কপালের দু’পাশের রগগুলো স্পষ্ট হয় ফর্সা মুখটাতে।
—” সোনাই,তুমি কার কথায় এরকম করছো?”
—” কারো কথায় না, আপা।”
—” লাগবে না আমার বিরিয়ানী।এগুলো নিয়ে যাও।আর যে বাড়াবাড়ি করছে তার চেহারায় ছুড়ে মারো।অসহ্য বিরক্তিকর। ”
তথা আর দাঁড়ায় না।মুখ ঝামটা দিয়ে বাড়ি চলে যায়।সোনাই মুখে একরাশ অসহায়ত্ব ফুটিয়ে ছুটে যায় ইরফানের কাছে।মিনমিন করে বলেঃ” আপা নিলো না ভাই।”
সোনাইয়ের চেহারা দেখে মনে হয়,পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অঘটনটা মাত্র ঘটে গেছে।
ইরফানের আগেই উত্তর দেয় রাফায়েত।
—” তোমার ভাই এরকম বাড়াবাড়ি করলে কেন নিবে?”
ইরফান কিছুই বলে না।শুধু একবার বিরক্ত চোখে রাফায়াতের দিকে তাকায়। তারপর সোনাইকে বলেঃ” একটু পরে ওদের ঘরে যেয়ে দিয়ে আসবি।গেটের সামনে রেখে গেট নক করেই দৌড় দিবি।পারবি না?”
সোনাই মাথা নাড়ায়।এ আর এমন কি কাজ।
***
—” আপু,সত্যিই তুমি চান্স পেয়েছ?মানে এটা মিথ্যা নয়তো?”
এ নিয়ে পাঁচবার একই প্রশ্ন করলো রুবাইদা।তথা বালিশে হেলান দিয়ে মুচকি হাসে।আশ্বস্ত গলায় বলেঃ” হ্যাঁ রে বোন।সত্যি চান্স পেয়েছি।”
—” তাহলে তুমিও এখন নায়িকা?”
—” আরে না,আমি নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করব না।একটা সহকারী চরিত্রে অভিনয় করব।”
—” ধুর,নায়িকা না হলে কি আর মানুষের চোখে পড়ে?–আনন্দে ভাটা পড়ে রুবাইদার।
—” এটা তো শুরু মাত্র।আর অভিনয় তো অভিনয়ই। এখানে নায়িকা আর খলনায়িকা কি?”
—” তবুও।আচ্ছা আপু,তোমার কাছে এগ্রিমেন্ট পেপারের ছবি আছে?আমি একটু দেখতাম।”
—” মোবাইলে আছে।”
রুবাইদা খাট থেকে লাফিয়ে নামে।টেবিলের উপর থেকে তাড়াহুড়ো করে মোবাইল নেয়।ক্লাস টেনে পড়ুয়া মেয়ের কাছে অভিনয়ের জগৎ অনেক বিশেষ কিছু।রুবাইদা খুটিয়ে খুটিয়ে ছবিটাকে দেখে।মিনিট কয়েক পরে খুব উত্তেজিত হয়ে যায় সে।গলা উঁচিয়ে বলে—” আপু তুমি পঞ্চগড় যাবে?এতো দূর?”
—” হ্যাঁ, যেতেই হবে।শুটিং হবে ডাহুকের তীরে।নাটকের নামটা দেখেছিস?”
—” হ্যাঁ। ডাহুক নদীর তীরে–তাই না?”
—” হুম।উনিশ শতকের প্রেক্ষাপটের নাটক।একটা জমিদার বাড়ি আছে সেখানে।সেখানেই থাকব আমরা।ওই বাড়ি আর নদীকে কেন্দ্র করেই নাটক হবে।”
—” নায়ক কে?”
—” নায়কের সাথে এখনো কথা হয়নি আমার।দেখিনি এখনো।তবে সেও বোধহয় নতুন মুখ।”
—” মা তোমাকে এতো দূরে যেতে দেবে?”
—” কি জানি।আমি তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ। যেতে তো হবেই।কাকিমাকে আমি বুঝিয়ে বলব। এখন যা এখান থেকে।আমি একটু ঘুমাব।আটটার আগে আমাকে ডাকবি না।মনে থাকবে?”
—” হুম।”
রুবাইদা যাওয়ার আগে ঘরের লাইট বন্ধ করে দেয়,দরজা চাপিয়ে দেয়।বোনকে সে অত্যন্ত ভালোবাসে।তথা এ বাড়ির আপন কেউ না।এটা তার চাচার বাড়ি।আপন চাচা না।তথার বাবার চাচাতো ভাই।সেই হিসেবে সম্পর্কটা একটু দূরের।তবে, তথাকে কখনোই বুঝতে দেয়নি কেউ।তথা যেন এঘরেরই মেয়ে।রুবাইদা তার ছোট বোন,মাহাদি ছোট ভাই।বোনটা ক্লাস টেনে আর ভাই ক্লাস সিক্সে পড়ে। বাবা- মাকে মনে নেই তথার।তথার জন্মের কয়েকমাস পরেই তার মা মারা যায়।আবার একবছরের মাথায় চলে যায় তার বাবা।তারপর থেকে তথা এ পরিবারের মেয়ে।বাবা-মায়ের বিয়ের ছবিটা এখনো তথার কাছে আছে।মাঝে মাঝেই তাতে হাত বুলায় তথা।কখনো কখনো সাদা-কালো ছবিটাতে দু-ফোটা চোখের জল ঝরে পড়ে। বাবা-মায়ের লোভ বড় লোভ।চাচা-চাচি যতই আদর করুক,শাসন করুক ; তাদেরকে কি কখনো বাবা-মায়ের স্থান দেওয়া যায়?হয়তো যায়।কিন্তু তথা পারে না।চাচা-চাচিকে সে জীবনের চাইতে বেশি ভালোবাসে কিন্তু বাবা-মা বলে তাদেরকে ডাকতে পারে না।তথার ভাবনায় সে অনাথ।একদম অনাথ।
***
বিলাসবহুল হোটেলের একটা রুমে বসে আছেন ডিরেক্টর আখতার হোসেন।তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে,হাত-পা কাঁপছে।আখতার হোসেনের মুখোমুখি বসা ইউসুফ।ইউসুফের সাথে যতবার দেখা করতে আসেন ততোবারই হাত-পা কাপে ডিরেক্টরের। অথচ,ইউসুফ কখনো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে না।তবুও কেন যে আখতার হোসেন তাকে এতো ভয় পায় তা সে ভেবেই পায় না।হাঁটুর বয়সী একটা ছেলেকে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে?
ইউসুফ ফোন থেকে একবার চোখ তুলে ডিরেক্টরের দিকে তাকায়।ভরাট গলায় বলেঃ” সবগুলোই নতুন মুখ?”
—” জ্বি স্যার।”
—” পরিচয় পর্ব শেষ?”
—” জ্বি না স্যার।কাল সবাইকে নিয়ে একটা ছোটখাটো মিটিং করব।ওখানেই পরিচয় করিয়ে দেব সবাইকে।”
—” এই মাসের শেষের দিকেই ঢাকা ছাড়বেন।বাড়ি ঝাড়া-মোছা শেষের দিকে প্রায়।শুটিংয়ের কোনো ছবি বা খবর যেন ফাঁস না হয়।সমস্যা হবে তাহলে।মনে থাকবে?”
ইউসুফের অবিচল শক্ত কন্ঠে খানিকটা ঘাবড়ে যায় ডিরেক্টর। ঘন মাথা নাড়ায়।কাঁপা গলায় বলেঃ” জ্বি স্যার,মনে থাকবে।”
—” এডভান্স আপনার একাউন্টে পৌঁছে যাবে।আসতে পারেন এখন।”
আখতার হোসেন ঝট করে উঠে দাঁড়ায়।আরেকবার সালাম দেয় ইউসুফকে।তাড়াতাড়ি দরজার দিকে পা বাড়ায়। আহমেদ ইউসুফ বিপজ্জনক মানুষ।এই ছেলেকে কোনো বিশ্বাস নেই।
—” শুনুন।”
দরজার বাইরে পৌঁছানোর আগে আবারো ফিরে তাকায় ডিরেক্টর। ইউসুফ তার দিকে শীতল চোখে তাকায়। ঠান্ডা গলায় বলেঃ” আবারো বলছি,তথার যেন কোনো সমস্যা না হয়।কোনো ছেলে যাতে ওকে বিরক্ত না করে।তথার দায়িত্ব আপনার উপর।দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।পঞ্চগড় যাওয়ার পর আমার দায়িত্ব আমি বুঝে নেব।ততোদিন তথার বিন্দুমাত্রও সমস্যা যেন না হয়।”
আখতার হোসেন মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে যান ঘর থেকে।বাইরে বেড়িয়ে বড় করে দম নেন।মেয়েটার জন্য খারাপ লাগছে তার।মেয়েটা নিজেও জানে না,কার নজরে পড়েছে সে।আহমেদ ইউসুফের চোখে পড়ার চাইতে মৃত্যু ঢের ভালো।
চলবে