হৃদয়েশ্বরী #লেখনীতে-সাদিয়া মেহরুজ দোলা #পর্ব_০১

0
14

‘ উশান আপনি এভাবে নিজের আকদ ফেলে আমার রুমে এসেছেন কেনো? ঐদিকে আপনার হবু বউ ‘কবুল’ বলে আপনাকে কতক্ষণ ধরে খুঁজছে। ‘

মীরার কৌতূহলী, বিস্মিতপূর্ণ কন্ঠস্বর। উশান তখন সোফায় পিঠ এলিয়ে বসে ছিলো। থমথমে মুখোশ্রী। পড়নের শেরওয়ানি তখন মাটিতে অবহেলায়, অবিন্যস্ত রূপে পড়ে রয়েছে। মীরার কথা শ্রবণ করা মাত্রই উশানের মুখোশ্রীতে বিরক্তি ফুটে উঠলো তৎক্ষনাৎ। সোফার কুশনে মাথা এলিয়ে গুটিয়ে শুয়ে পড়ে উশান কঠিন গলায় বলল,

‘ বিয়েটা আমি করছিনা বুঝেছিস মীরা?রুম থেকে যা এবার৷ ঘুমাবো আমি। আমার রুম লক করা। চাবি পাচ্ছিনা। ‘

মীরা ভ্রু কুঁচকে নিলো। অন্তঃকরণ নড়েচড়ে উঠলো উত্তপ্ত রাগে। সশব্দে ধপাধপ পা ফেলে মীরা এগোল উশানের নিকট। সম্মুখে দাঁড়িয়ে কন্ঠে রাগান্বিত ভাব টেনে নিয়ে বলল,

‘ আপনি নিজেকে কি মনে করেন বলুন তো?এর আগেও ঠিক একইভাবে, আরেকজন মেয়েকে এংগেইজমেন্ট পর্যন্ত টেনে তারপর বললেন বিয়ে করবো না। এখন আবার? আবার আপনি আরেক মেয়েকে আকদ পর্যায়ে এনে বলছেন বিয়ে করবো না? বিয়ে কি ফাজলামো লাগে আপনার কাছে?মানুষের মন কি পাথর দিয়ে বানানো আপনার মতো? যে আপনি বিয়ে করবেন না বললেন আর তারা হইহই করে আপনার কথায় সায় জানিয়ে খুশি খুশি চলে যাবে? একজন মেয়ের নিজের বিয়ে ঘিরে কতো স্বপ্ন থাকে জানেন?আপনার অধিকার কি করে হয় তাদের স্বপ্ন ভাঙার?’

উশান তার ওষ্ঠাধর কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে তুললো। পরক্ষণেই থমথমে গলায় বলে উঠলো,

‘ আমার বিয়ে, আমার মর্জি। তোর এতো উত্তেজনা দেখানোর দরকার নেই।নাউ গেট আউট! ‘

মীরা কিয়ৎ কেঁপে উঠলো শেষোক্ত শব্দে প্রয়োগ করা ধমক শুনে। ঘুরে দাঁড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলো সে। এখানে থেকে অযথা উশানের ধমক শোনার কোনো মানে হয়না। রুমটা তার হলে এতক্ষণে সে বকে বকে উশানকে রুম থেকে বের করতো। কিন্তু এই রুমটা সম্পূর্ণরূপে তার নয়। উশানের দাদু বাড়িতে আসলে এই রুমটা তার জন্য সর্বদা বরাদ্দ করা হয়। তাই সর্বপ্রথম জোর গলায় রুমটাকে নিজের বলে দাবি করতে পারলেও এখন আর পারছে না।ইচ্ছেও নেই! দরজার নিকট পৌঁছাতেই পিছন হতে উশান উঁচু কন্ঠে বলে উঠলো,

‘ তোর হাতে কি হয়েছে? ‘

মীরা নিজের হাতের দিকে তাকালো। হাতের তালুর মাঝ বরাবর সুক্ষ্ম এক কাটা দাগ। বেশি বড় বা গভীর নয় ক্ষতটা। কারো দৃষ্টিতে তো পড়ার কথা ছিলো না। উশানের নজরে আসলো কি করে?ঈগল দৃষ্টি দেখি তার। মীরা ঘাড় কাত করে উশানের পানে তাকিয়ে বলল,

‘ কেটে গিয়েছে। বারান্দায় থাকা গোলাপ গাছের কাটা থেকে। ‘

তারপর দেখা মিললো এক চমকপ্রদ ঘটনার। উশান শোয়া থেকে টান টান হয়ে উঠে দাড়িয়ে লম্বা পা ফেলে এগোলো বারান্দার দিকটায়। বারান্দার কর্ণারে থাকা সারি সারি গাছের মধ্য থেকে গোলাপ গাছের টবটা উশান হাতে তুলে তা সজোরে নিক্ষেপ করলো বারান্দা পেরিয়ে বাহিরে। বিকট এক শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়ে আবারও নিঃশব্দ হয়ে এলো চারিপাশ। মীরা আঁতকে উঠলো! প্রায় দৌড়ে উশান এর নিকট গিয়ে উত্তেজিত স্বরে বলল,

‘ এটা কি করলেন আপনি? নিচে যদি কেও থাকতো?’

উশান ঠোঁট বাঁকিয়ে প্রতুত্তর করে, ‘ দাদুর এই ভুতুড়ে বাড়ির পাশে মানুষ তো দূর কোনো জীবজন্তু অব্দি আসে না, আসবেও না।’

‘ কিন্তু গাছটা ফেললেন কেনো?’

উশান ধমকে উঠে বলল, ‘ আমার যে ফুলে এলার্জি আছে দাদু বলেনি এটা তোকে?ফুলগাছ তাও কোন সাহসে এখানে রাখা?’

মীরা ঠোঁট কিঞ্চিৎ বাকায়।শেষে সন্দিহান গলায় বলে,

‘ফুলে যদি আপনার এলার্জিই থেকে থাকে তাহলে হাত দিয়ে যে ধরে বাহিরে ফেললেন।এতে প্রবলেম হবেনা?’

‘ ডাফার! অন্ধ তুই? আমি টবে হাত দিয়ে বাহিরে ছুঁড়ে ফেলেছি। গাছ স্পর্শ করিনি। দেখিসনি?’

মীরা নিরুত্তর রইল। উশানের সাথে কথা বলাই মানে সেধে অপমানিত হওয়া। উল্টোপিঠ হয়ে এক দন্ড না থেমে মীরা রুমের বাহিরে চলে আসলো দ্রুত পায়ে। উশানের দাদুর বাসার কিছুটা দূরে অবস্থিত এক রেষ্টুরেন্টে উশান এবং রোজার আকদ অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। যখন উশানের পরিবার উশানকে খোজায় ব্যাস্ত ছিলো তখন তাকে বলা হয়েছিলো এ বাড়িটায় একবার খুজে আসতে। তাই আসা!

রেষ্টুরেন্টে আসার পর মীরার দৃশ্যমান হলো সকলের থমথমে, গম্ভীর মুখোশ্রী। রেষ্টুরেন্ট প্রায় খালি এখন।উশানের পরিবার, মীরার বাবা মাহদি,মায়ান ছাড়া আর কেও উপস্থিত নেই। কিয়ৎ আগে হৃষ্টচিত্তে মেতে ওঠা সকলেই চুপচাপ। আপাত অবস্থা দর্শন করার পর মীরার বোধগম্য হলো তার আসার পূর্বেই সেই কাঙ্খিত বার্তা পৌঁছে গিয়েছে এখানে। তাই ফাঁকা রেষ্টুরেন্ট! সেই আগের বারের মতো কনেপক্ষ নির্বাক ভূমিকায় থেকে বিদায় নিয়েছে। মীরার এই বিষয়টা সবথেকে আশ্চর্যজনক লাগে। বিয়ে ভেঙে দেয়ার পর কনেপক্ষ কেনো ‘ টু ‘ শব্দ না করে বিদায় নেয়? আগেরবার যখন উশান এংগেইজমেন্ট ভেঙে দিলো তখনও কনেপক্ষ কোনো বাক্য উপস্থাপন না করেই চলে গিয়েছিলো আর এবারও। মায়ানের থেকে ঘটমান ঘটনার বিবরণ শুনে মীরা নিশ্চিত হয় এবারও একই কান্ড ঘটেছে।

মীরা নিঃশব্দে বাবার পাশে দাঁড়াতেই উশানের মা ঊষা এগিয়ে আসলো তার নিকট। সম্মুখে দাঁড়িয়ে হতাশ কন্ঠে বললেন,

‘ উশান কি ঘুমিয়ে পড়েছে মীরা? ‘

‘ ঘুমিয়েছে কিনা জানিনা আন্টি। আসার সময় তো দেখলাম ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘

তপ্তশ্বাস ফেললো ঊষা। চোখেমুখে তার লেপ্টে আছে বিতৃষ্ণা। বিড়বিড় করে বললেন,

‘ ছেলেটার ওপর দিয়েই যে, কেনো এসব যায়?আর তো মনে হচ্ছে না বিয়েতে রাজি হবে। ‘

ঊষার কথা কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই মীরা কৌতূহল ভরা চোখে তাকায়। সবকিছু ধোঁয়াশা লাগছে। এই বিয়ে ঠিক হওয়া, ভাঙা, কনেপক্ষের নির্বাক ভূমিকা। এর পিছনে নিশ্চিত কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যা তার অজানা।

.
সময় তখন রাত ৮ টা হবে। ভীতি নিয়ে পা টিপে মীরা এগোচ্ছে তার জন্য বরাদ্দকৃত সেই রুমটায়। তখন আসার পথে তাড়াহুড়োয় নিজের ফোন ফেলে গিয়েছিলো। সাথে ব্যাগও। জিনিস দুটো আবশ্যক এখন।তাই কিয়ৎ ভীতি নিয়েই উশান রুমে উপস্থিত থাকা সত্বেও সেদিকে অগ্রসর হচ্ছে।
উশানের সাথে পরিচয় মীরার বেশ কয়েকদিন হলেও তাদের সাক্ষাৎ হতো ক্ষনিকের। তাই উশান আসলে কেমন?তা কখনো জানা হয়নি। রাত করে এক ছেলের রুমে যাওয়া তাও একা ব্যাপারটা ভীতির মীরার নিকট। কিন্তু নিরুপায় সে। মায়ানকে আনতে চেয়েছিলো সাথে। ফাজিলটা আসেনি।

উশানের পরিবারের সাথে পরিচয়ের উৎস উশানের দাদু ফারদিনের মাধ্যমে। ফারদিনের সাথে মাহদির বাবা ব্যাবসায় যুক্ত ছিলেন। অতঃপর মাহদির বাবা মারা গেলে মাহদি বাবার দায়িত্ব নেয়। তারপরই পরিচয় ঘটে উশানের পরিবারের সাথে মীরার৷ কিশোরী বয়স থেকেই উশানকে তার বড্ড বিরক্ত লাগতো। কারণ উশান তাকে দেখলেই ধমকাতো। এরজন্য সর্বদা মীরা তাকে এড়িয়েই যেতো।

রুমে প্রবেশ করে নিঃশব্দে মীরা এগিয়ে যায় বিছানার দিকে। বিছানার মাঝখানে পড়ে রয়েছে তার ফোন। উশান তখন সোফায় গুটিশুটি মেরে ঘুমে কুপোকাত। তার লম্বা শরীরটা কোনোরকম সোফায় ঠাই পেয়েছে। মীরা দেরী না করে চটপট নিচু হয়ে বিছানা থেকে নিজের ফোন এবং ব্যাগটা নিয়ে পিছন ঘুরতেই শক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে বিছানায় পড়ে যায়। ব্যাথায় অস্ফুটস্বরে ‘ আহ্ ‘ শব্দ করে উঠে। হিতাহিত জ্ঞান ফেলে চেঁচিয়ে বলে,

‘কোন বদমাইশ এখানে দাঁড়িয়ে?’

লাইট জ্বলে উঠলো। রশ্মিতে মীরা সেই কাঙ্খিত ব্যাক্তিকে দেখে চমকালো ভীষণ। উশান তো বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলো। এতো অল্প সময়ে জাগ্রত হলো কি করে? উশান লম্বা পা ফেলে মীরার সম্মুখে এসে
তেতেঁ উঠে বলল,

‘ আমার ঘুম ভাঙিয়ে, আমায় ডিস্টার্ব করে আবার আমাকেই বদমাইশ বলছিস মীরা?সাহস তো তোর কম না। ‘

মীরা ঘাবড়ে উঠে বসলো চটজলদি। পরিহিত ওড়না ঠিক করে ফিচেল কন্ঠে বলল,

‘ আপনার ঘুম কোথায় ভাঙালাম আমি? আমি তো শব্দহীন পায়ে এসেছি আমার ফোন আর ব্যাগটা নিতে। ‘

‘ অহ! শব্দহীন পায়ে তাই না? ষ্টুপিড! নুপুর কি পায়ে তোর আত্না পরে ঘুরঘুর করছে আমার সামনে? হাহ্?’

মীরা চোখমুখ কুঁচকে অন্তরালে নিজেকে কঠিন কয়েক বাক্য শোনালো। এতোটা কেয়ারলেস সে কি করে হলো?ইশ! আরেকটু খেয়াল রাখা উচিত ছিলো। কিন্তু, ভয়ের চোটে তার মস্তিষ্ক যে নড়বড়ে হয়ে উঠেছিলো তার ধ্যান নেই মীরার। সে আমতা আমতা করে বলল,

‘ সরি উশান! একদমই খেয়াল করিনি আমি। নেক্সট আর হবেনা।যাচ্ছি তাহলে?আপনি ঘুমান। ‘

মীরা শ্বাস রুখে ঝটপট পা ফেলে কামড়া থেকে বের হতে নিবে তৎক্ষনাৎ তাকে থামিয়ে দেয় উশান। মীরার ভড়কে তাকায়। উশান মাটিতে হাটুগেড়েঁ বসে মীরার পা থেকে নুপুর জোড়া চোখের পলকে খুলে নিলো। আঁতকে উঠলো মীরা। কাতর কন্ঠে বলল,

‘ উশান আর এমন হবেনা প্রমিস। প্লিজ নুপুর গুলো ফেরত দিন। মায়ের দেয়া শেষ সৃতি এগুলো।’

মীরার কাতর সুর উশানের পাথর হৃদপিণ্ড যেনো স্পর্শই করলো না। হাতের নুপুর জোড়া খোলা জানালা দিয়ে বাহিরে ছুঁড়ে ফেললো সে। শেষে মীরার মুখোশ্রীর প্রতি দৃষ্টিপাত ফেলে বলল,

‘ বের হ রুম থেকে। নয়তো এবার তোকেই ছুঁড়ে মারবো।’

টলমলে, ত্রস্ত পায়ে বের হয়ে আসে মীরা। পৃথিবীর জঘন্যতম লোক হিসেবে উশানকে তালিকা ভুক্ত করে সে। এমন কেনো করলো লোকটা?

____________________

প্রভাতের আগমন ঘটেছে কিয়ংদশ পূর্বেই।চারিদিকে ঘোর নিঃশব্দতা ভেঙে পাখিরা ডাকাডাকি শুরু করেছে সবেমাত্র। শীতল প্রকৃতি এখন শান্ত। উষ্ণতা পাওয়ার জন্য মীরা গায়ে ভারী কম্বলটা টেনে নিয়েছে। নেত্র কোনে অশ্রুকণা শুকিয়ে দাগ বসে গিয়েছে। কিয়ৎক্ষণ বাদে পা দু’টোয় কারো শীতল হাতের স্পর্শ উপলব্ধি করলো মীরা। সজাগ হলো তার ষষ্ঠইন্দ্রীয়। চট করে সুযোগ বুঝে আঁখিজোড়া উন্মুক্ত করে উঠে বসলো।ফোনের ফ্ল্যাশলাইট অন করতেই পুরো রুম শূন্য মিলে তার দৃষ্টিতে। অতঃপর হটাৎ তার দৃষ্টিপাত আঁটকে যায় নিজের পায়ে। মায়ের দেয়া নুপুর দু’টো তার পায়ে জ্বলজ্বল করছে। মীরা চটজলদি পা থেকে নুপুর দু’টো খুলে বুকের সাথে মিশিয়ে শ্বাস টানলো দীর্ঘ করে। এইতো! প্রশান্তি মিলেছে এবার। কিন্তু নুপুর জোড়া দিয়ে গেলো কে?মীরা থম মেরে বসে চেষ্টা করলো কে সেই ব্যাক্তি তাকে মনে করার।মস্তিষ্ক বারংবার ‘ উশানকে ‘ নির্দেশ করছে। কারণ যখন উশান তার পা থেকে নুপুর জোড়া খুলেছিলো যেভাবে, ঠিক একই ভাবে, সেই একই স্পর্শ মাত্র অনুভূত হলো নুপুর পড়ানোর সময়।

নুপুর জোড়া মুঠো করে নিয়ে মীরা কম্বল মুড়ি দিয়ে ফের শুয়ে পড়লো। তার কেনো যেনো মনে হচ্ছে, উশান আসবে। আবার আসবে। আসলেই খপ করে ধরবে সে। এমন কাহিনি করার মানে কি?মায়ান ঘুমিয়েছিলো তার সাথে। মাঝরাতে নিশ্চয়ই আবার মাহদির কাছে চলে গিয়েছিলো দরজা খোলা রেখেই।তাই তো উশান প্রবেশ করতে পারলো এতো সহজে৷ মীরার ধারণা সঠিক প্রমাণিত হলো। পা ফেলার শব্দ কর্ণপাত হচ্ছে। কিয়ংদশ বাদে অনুভূত হলো তার মুখোশ্রীর ওপর আছড়ে পড়ছে উত্তপ্ত শ্বাস। উশান কি সন্নিকটে? চেহারা থেকে কম্বল সরিয়ে যেই মীরা চেঁচাবে তৎক্ষনাৎ উশান তার ওষ্ঠাধর চেপে ধরে হিসহিসিয়ে বলে,

‘ স্টপ মীরা! চেঁচাবি না একদম। খারাপ কিছু করবো না, ট্রাস্ট অন মি! ‘

মীরার উশানের কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস হয় না।কৃত্রিম শান্ত আভাস টেনে নেয় সে নিজ মুখোশ্রীতে। আঘাত হানার পূর্বে বাঘিনী যেমন শান্ত হয় তেমনই মৌন হয় মীরা।সে অন্তরালে গুছিয়ে নেয়, উশানকে এখন গলা চেপে ধরতে হবে। কথা বলার নাহয় পথ নেই। হাত দু’টো তো খোলা নাকি? নিজের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য উদ্যক্ত হতেই তৎক্ষনাৎ…,

চলবে…

#হৃদয়েশ্বরী
#লেখনীতে-সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব_০১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here