হৃদয়েশ্বরী #লেখিকা- সাদিয়া মেহরুজ দোলা #পর্ব-১১

0
11

#হৃদয়েশ্বরী
#লেখিকা- সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব-১১

নিকষকৃষ্ণ রজনী। শব্দহীন মেদিনী বর্তমানে আঁধারে নিমজ্জিত। ধরণীতে প্রবাহিত অনিলে মিশে রয়েছে বাহারি পুষ্পের সুমিষ্ট ঘ্রাণ। অন্তরীক্ষ কৃষ্ণ, মেঘহীন। চারিপাশে বিরাজমান নীরবতার মাঝে হটাৎ হটাৎ ডেকে উঠছে রাস্তায় অবস্থানরত বেওয়ারিশ কুকুরের দল। তারপর ফের প্রকৃতির মৌনব্রত পালন। অনিলে মিশে থাকা পুষ্পরাজের মাদকতার ন্যায় সুঘ্রাণ পরিবেশ এখন মিহি, অপূর্ব! কৃষ্ণকালো অন্তরীক্ষের মাঝে আজ বহুদিন পর দেখা মিলেছে চন্দ্রের। বসন্তের প্রথম পূর্ণিমার রাত আজ। স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, চন্দ্রের মোহনীয় সৌন্দর্য ধ্বংস করেছে আঁধারের কলুষিত। জানালার কপাট উন্মুক্ত। সেখান হতে শা শা করে আসছে মিষ্টি, সতেজ হাওয়া। মীরার ধ্যান নেই সেদিকে। চন্দ্রপ্রভা রজনী দেখেও তার ইচ্ছে হলো না চন্দ্র বিলাস করার। তার চিন্তাগ্রস্ত নেত্রযুগল পর্যবেক্ষণ করছে ঘুমন্ত উশানকে।

উশান জ্বরাক্রান্ত। বহুক্ষণ শক্ত, কঠিন থাকার এক পর্যায়ে দেহের অন্তঃস্থল হতেই নরম হয়ে এসেছে বহির্ভাগ। অসময়ের আগমনী বর্ষণে গা সিক্ত করেছিলো দু’দিন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই হাল। মীরার সামনে দূর্বল হয়ে পড়ে যেতেই ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলো মীরা। পিছন থেকে তীব্র এসে আগলে নিয়ে উঠে দাঁড় করিয়েছিলো। উশান জ্ঞানশূন্য না হলেও চেতনাশূন্য ছিলো। নিভু নিভু নেত্রে দেখছিলো আশপাশ। মীরা তখন তীব্রকে বলে উশানকে নিজের ফ্লাটের ভেতরে আনতে। এখন আর পাঁচ তলায় নেয়ার দরকার নেই। তীব্র তাই করলো। অচেতন মনে যদিও উশান বিড়বিড় করে বলছিলো বারংবার ওপরে নিজের বাসায় নিয়ে যেতে কিন্তু মীরার হুট করে দেয়া হুংকারে সে চেতন মনেই সিঁটিয়ে গিয়েছিলো। নিজের বিছানায় উশানকে শুইয়ে দেয়ার পর-পরই উশানের উত্তপ্ত কপালে সিক্ত কাপড় দিয়ে জলপট্টি দেয়া শুরু করে। কিন্তু কি আশ্চর্য! জ্বর যেনো কমছেই না।বরং বাড়ছে। মীরা চিন্তিত হয় প্রবল। পাশে বসে থাকা তীব্রর উদ্দেশ্যে বলে,

-‘ ভাইয়া। ওনার জ্বর তো কমছেই না। ডাক্তার ডাকলে ভালো হতো না? ‘

তীব্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মাথা ডানে, বামে দু’দিকে এলিয়ে হতাশ নেত্রে পরখ করে একবার ঘুমন্ত উশানকে। শেষে হাত নাড়িয়ে বলে,

-‘ চিন্তা করিও না ছোট আপু। আমি ডাক্তারকে ফোন দিয়েছি আগেই। কাছেই হয়তো তিনি। উশান এর জ্বর হলে অতো সহজে জ্বর ছাড়ে না। আমি জানতাম এবারও এমনটাই হবে। তাই ব্যাক্তিগত ডাক্তারকে আগে থেকেই ইনফর্ম করে রেখেছি। ‘

মীরা হাতের সিক্ত কাপড়ের টুকরো পানিভর্তি বোলে রেখে দিলো। পরিশেষে আঁড়চোখে তাকালো পাথর মানবটার মুখোশ্রীর দিকটায়। উশানের মুখোশ্রী ফ্যাকাশে হয়ে রয়েছে। শুকিয়ে একটুখানি! সর্ব মুখোশ্রীতে প্রকাশ পাচ্ছে এক অদৃশ্য যন্ত্রণা। মীরার হৃদ বক্ষ হু হু করে ওঠে। শক্তপোক্ত পাথর মানুষটার এমন মলিন, দূর্বল অবস্থা দর্শন করার পর দুরুদুরু করছে অন্তঃকরণ। অস্থিরতা বাড়ছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে। লোকটা সম্পূর্ণ সুস্থ না হলে সে প্রশান্তি পাবে না কিছুতেই। দুই, তিনবার নেত্রপল্লব ফেলে অন্যদিকে দৃষ্টি দেয় মীরা। রুহি একদম কর্ণারে বসে একমনে ফোনের দিকে তাকিয়ে। তীব্র মাথা নিচু করে বসে। মীরা উঠে দাঁড়ায়। সতেজ অনিল প্রয়োজন। দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে বারংবার।

_

ডাক্তার এসে উশানকে দেখে গিয়েছে আধাঘন্টা হবে। তীব্র গিয়েছে ডাক্তার এগিয়ে দিতে আর প্রয়োজনীয় কিন্তু ঔষধ আনতে যেগুলো ডাক্তার লিখে দিয়ে গেলেন। রুহি রান্নাঘরে। উশানকে স্যুপ খাওয়াতে বলেছে ডাক্তার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সে গিয়েছে স্যুপ বানাতে। মীরাকে বসিয়ে রেখেছে উশানের নিকটে। মীরা খেয়াল করলো এতক্ষণ পর। এই বিশাল রুমটায় সে এবং উশান ছাড়া অন্যকেও নেই। রুম সম্পূর্ণ খালি। সঙ্কোচ, দ্বিধা হুড়মুড়িয়ে ঝাপটেঁ ধরলো ক্ষনেই। নিঃশব্দ কক্ষে শব্দের উৎপত্তি ঘটলো উশানের গোঙানির মাধ্যমে। মীরা হকচকিয়ে উঠলো। চটজলদি উঠে দাঁড়িয়ে উশানের নিকটবর্তী এগিয়ে উত্তেজিত কন্ঠে বলল,

-‘ উশান! কি হয়েছে আপনার?বেশি খারাপ লাগছে?’

উশান নিরুত্তর সম্পূর্ণ। আপনমনে আর্তনাদ করছে। মীরা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। হটাৎ করে লোকটা এমন করছে কেনো? এতক্ষণ তো শান্ত ছিলো।ঘুমাচ্ছিলো কি সুন্দর। কিয়ংদশ পর উশান যখন ছটফট শুরু করলো মীরার অবস্থা তখন করুণ হয়ে গেলো। কেঁদে উঠলো মন অজান্তেই। মস্তিষ্ক থেকে তার বেড়িয়েই গেছে ফ্লাটে যে আরেকজন সুস্থ মানুষ উপস্থিত। ঈষৎ বাদে উশান স্থির হয়। নেত্র জোড়া উন্মুক্ত করে। তৎক্ষনাৎ সম্মুখে দেখা মিলে ক্রন্দনরত রমনীর। মীরা তখনও কাদছে। উশানের নেত্রযুগল উন্মুক্ত দেখে মীরা ব্যাকুলতা নিয়ে প্রশ্ন করলো,

-‘ ঠিক আছেন তো আপনি? অমন ছটফট করছিলেন কেনো?খুব বেশি খারাপ লাগছে? ‘

উশান শান্ত আঁখির দৃষ্টি ফেলে। আকস্মিক জ্ঞান ফেলে মীরার বাহু আলত করে স্পর্শ করে ওঠে৷ মীরার এই স্পর্শে তেমন ভাবাবেগ লক্ষণ করা গেলো না। সে নিজেতে নেই। উশানের চিন্তায় মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ তখন একদম অচঞ্চল। উশান শীতল কন্ঠে বলল,

-‘ঠিক আছি আমি। খারাপ স্বপ্ন দেখেছিলাম তাই হয়তো ঘুমের ঘোরে ছটফট করছিলাম। কাঁদছো কেনো? ‘

মীরা নাক টানলো। উশান ভালো আছে শুনে অন্তরাল শীতল হলো। অশ্রুসিক্ত গাল দু’হাত দিয়ে মুছে নিয়ে ভেজা কন্ঠে বলল,

-‘ এমনিই! ‘

উশান এই প্রথম মীরার গাল স্পর্শ করলো। কেঁপে উঠলো ঈষৎ মীরা। গালে থাকা অবশিষ্ট অশ্রুকণা নিজের বুড়ো আঙুল দিয়ে মুছে দিলো। অধর যুগলে সিক্ততা প্রদান করে মিহি স্বরে বলল,

-‘ এমনিই কেও কাঁদে নাকি বোকা?’

কলিংবেলের কর্কশ ধ্বনি। দু’জন মানব – মানবীর ধ্যান ফিরলো তৎক্ষনাৎ। মীরা হুঁশে এসে নিজেকে উশানের অতীব নিকটবর্তী আবিষ্কার করে শ্বাস রুখে ছিটকে সরে দাঁড়ালো। উশান তখন অস্বস্তির প্রহরে উপস্থিত। কি করছিলো সে?পর- নারীকে স্পর্শ করলো? তাও ঘোরের বশে। এমন তো আগে কখনো হয়নি। নিজের মস্তিষ্কের ওপর তার সর্বোচ্চ পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু আজ? হয়তো অসুস্থ বলে এই মস্ত বড় ভুলটা হলো।

মীরা আড়ষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে। নির্মেদ গাল দু’টো রক্তিম হয়েছে ইতিমধ্যেই। চিকন, চিকন আঙুল গুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে। একটু আগের সেই নিবিড় লহমার কথা স্বরণ হতেই শিরদাঁড়া কেঁপে উঠছে। নিজেকে অন্তঃকরণে শ’খানেক গা’লি দেয় মীরা। এটা কি হলো? তার মন কোথায় ছিলো? মস্তিষ্ক ভাবনা মগ্নকালীন মীরার কর্ণকুহর নিকট পৌঁছে উশানের কন্ঠ। ভরাট কন্ঠে উশান বলল,

‘ আই এ্যাম সরি মীরা। ডোন্ট গেট মি রং। আই ডোন্ট নো হোয়াট হ্যাপেন্ড টু মি। আই টাচ’ড ইউ বাই মিসটেক। পার্ডন মি! ‘

-‘ ইট’স ওকে। ‘ মীরার নিভু স্বর।

উশান ব্যাস্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালো। মাত্রাতিরিক্ত মাথা ব্যাথার ফলস্বরূপ উঠে দাঁড়ানোর পর মনে হলো পুরো দুনিয়া ঘুরছে। পরে যেতে নিতেই নিজেকে সামলালো। মীরা ব্যাস্ত হয়ে বলল,

-‘উঠছেন কেনো? আপনি এখনো অনেক অসুস্থ, দূর্বল। ডাক্তার রেস্ট নিতে বলেছে। ‘

মীরার কথা শ্রবণ করার সেকেন্ড খানেক পর উশান এর ওষ্ঠাধর কোণে দেখা মিললো তাচ্ছিল্যের হাসি।শার্ট টেনেটুনে সটান হয়ে দাঁড়ালো। থমথমে কন্ঠে বলল,

-‘আমি একজন লেফটেন্যান্ট মীরা। বুঝেছো? এতটুকু জ্বরে বেডে পড়ে থাকা আমায় মানায় না। তাছাড়া আই এ্যাম অলরাইট!

-‘ঠিক আছেন? হাহ্! একটু আগে দূর্বলতার জন্য আপনি আমার সামনে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন মনে নেই? বসুন৷ তীব্র ভাইয়া ঔষধ নিয়ে আসছে। খেয়ে তারপর যা করার করুন। ‘

উশানে অনিচ্ছা সত্বেও বসলো। মাথার অবস্থা ভালো না। ব্যাথায় রগ যেনো ছিঁড়ে যাবে এখনি। গরমের চোটে ঘেমে একাকার সে। শার্টের দু’টো বোতাম খুলে নিয়ে বলল,

-‘ ফ্যান ছাড় তো মীরা। গরম লাগছে অনেক। ‘

মীরার বুঝলো উশানের জ্বর ছেড়েছে। তবুও নিশ্চিত হতে উশানের কপালে চট করে হাত রাখলো। স্বাভাবিক তাপমাত্রা। উশান ডান ভ্রু উঁচু করে তীক্ষ্ণ স্বরে বলল,

-‘জ্বর মাপার জন্য থার্মোমিটার আছে। হাত দিয়ে দেখার কি দরকার? ‘

মীরা ভড়কালো প্রথমে। শেষে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ‘ আপনি যেমন ভুলবশত বারবার আমায় তুই থেকে তুমি এবং তুমি থেকে তুই বলছেন তেমনি আমি ভুলবশত থামোমিটার এর কথা ভুলে হাত দিয়ে দেখলাম। ‘

উশান নিশ্চুপ। অন্তঃকরণে সে চমকিত হলো। মীরা কে যে সেই কখন থেকে তুই থেকে তুমি বলে ফেলছে বারবার তার খেয়াল নেই একদমই। মনে মনে বলে উঠলো, ‘ আজ হয়েছে টা কি আমার?অদ্ভুত সব ভুল কাজ করছি কেনো?আশ্চর্য তো! ‘

উশানের উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে মীরা গিয়ে ফ্যান ছেড়ে আসলো। অতঃপর রুমে উপস্থিত না থেকে বেড়িয়ে আসলো রুম থেকে। উশানের সামনে থাকতে অস্বস্তি কাজ করছে। উশানের বলা ‘ তুমি ‘ ডাকটা বারংবার তাকে দূর্বল করে দিচ্ছে।মুগ্ধ করছে৷কিন্তু এমন হলে তো হবেনা। মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে আর উশানের পিছু পিছু ঘুরবেনা৷ এভাবে উশানের পিছে লেগে থাকা মানেই তো নিজেকে ছ্যাচড়া প্রমানিত করা। কিন্তু সে তো এমন না। আত্নমর্যাদা সম্পূর্ণ ব্যাক্তি মীরা। প্রণয়ের ফাঁদে পড়ে চরম মাত্রার ছ্যাচড়া হয়েছিলো কয়েকদিন। সেই দৃশ্যপট নেত্র সম্মুখে ঘুরলে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে তার। উশান যখন তাকে পছন্দ করে না তাহলে পাথর মানবটার পিছে ঘোরার কোনো মানে হয় না। সবার তো নিজ স্বাধীনতা আছে নিজের পছন্দ প্রকাশ করার। উশানের পছন্দ হয়তো আরো উচ্চ মানের। তার মতে শ্যাম নারীকে উশানের কি আর মনে ধরবে?উঁহুম! এসব ভেবেই নিজের অন্তঃস্থল সর্বোচ্চ মাত্রার শক্ত, কঠিন করেছে মীরা।

_

পড়ন্ত বিকেল। পশ্চিম অন্তরীক্ষে হেলে পড়েছে হলুদ, কমলাটে বর্ণের উত্তপ্ত সূর্য। অন্তরীক্ষে লেপ্টে আছে রক্তিম বেশ কয়েকটা লম্বা লম্বা দাগ৷ হলদেটে আলোয় দীঘির পানি জ্বলজ্বল করছে অতীব সৌন্দর্যে৷ উত্তর দিক হতে আসা মিষ্টি বাতাস বারংবার মাথার চুলগুলো কপালের কাছে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে উশানের। বিরক্তিতে দাঁত কিড়মিড় করে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বাইকে হেলান দিয়ে।তীব্র তাকে দাঁড় করিয়ে ফ্লাটে গিয়েছে। ভুলবশত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল রেখে এসেছে তা আনতে গিয়েছে।

উশান ব্যাস্ত নেত্রে পর্যবেক্ষণ করছে মাত্র আসা ই-মেইল গুলো। ট্রেনিং এর তারিখ পড়েছে। মার্চের শেষের দিকে তাকে ঢাকা ছাড়তে হবে। ট্রেনিং দিতে যেতে হবে যশোরে। যশোরের এয়ার ফোর্স ক্যাম্পে।

ধপাধপ পদচারণের শব্দে ফোন থেকে দৃষ্টি সরায় উশান। সম্মুখে দৃষ্টিপাত ফেলতেই দৃশ্যমান হয় তার সহকারী দিগন্ত কে। দিগন্ত উশানের ব্যাক্তিগত কাজে সহযোগিতা করে। দিগন্ত প্রায় ছুটে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,

-‘ স্যার আপনি মীরা’র খালা সম্পর্কে ইনফরমেশন চেয়েছিলেন না? তাদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য পেয়েছি। ‘

উশান গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলল, ‘ হোয়াট ইজ দ্যাট?টেল মি! ‘

-‘ স্যার। মীরা’র বড় খালা, তিয়াশা ইমরোজ! উনি মীরা’র বাবা মাহদি ইকবালের প্রথম স্ত্রী। উনাদের বিয়ের পাঁচ বছর পর কোনো এক কারণে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর মাহদি সাহেব মীরা’র মা কে বিয়ে করেন। মিস.তিয়াশার মেয়ে। তোহানা তূর্শী উনি মীরার বড় সৎ বোন হোন সম্পর্কে।তূর্শী এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় আছে। ‘

গড়গড় করে বলে থামলো দিগন্ত। উশান ভ্রু’কুটি কুঁচকে নিয়ে গভীর মনোযোগ সহকারে ভাবছে কিছু। দু’জন ব্যাক্তির আপন ব্যাস্ত কাজে ব্যাঘাত ঘটে কিছু ভেঙে যাওয়ার রিনরিনে তীক্ষ্ণ শব্দে। উশান, দিগন্ত পিছনে তাকায়। সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হয় তাদের সম্মুখে মীরা’কে। পাথরের ন্যায় সে স্তব্ধ, নিষ্পাপ নেত্রযুগল, শুষ্ক অধর জোড়া, জ্বলজ্বল করা আঁখি দু’টো। মীরার কাঁধে ব্যাগ দেখে উশানের বোধগম্য হলো, মেয়েটা মাত্রই ভার্সিটি থেকে ফিরেছে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here