#হৃদয়েশ্বরী
#লেখিকা-সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব__০৫
পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকটার ডান গাল বরাবর থাপ্পড় লাগায় উশান। রাগান্বিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সে সামনে। কিয়ৎ বাদে রুষ্ট কন্ঠে বলে,
‘ থাপ্পড় মেরে গাল লাল করে দিবো বেয়াদব। বড় ভাইয়ের সাথে ফাজলামো?দিনদিন বড্ড বেয়াদব হয়ে যাচ্ছিস তুই উজান। ‘
উজান গালে হাত বুলায়। আশপাশে তাকিয়ে দেখে কেও আছে কিনা? কেও দেখে ফেললে সর্বনাশ!শেষে কাঁদো কাঁদো চাহনি উশানের মুখোশ্রী পানে তাক করে উজান বলল,
‘ থাপ্পড় তো মেরেই দিলি ভাই। আর কি করবি?মানুষ দেখলে আমার রক্ষা ছিলো না। শেষে কিনা একজন পুলিশ অফিসার থাপ্পড় খেলো পাবলিক প্লেসে। আল্লাহ তোর বিচার করুক। ‘
উশান চোখ গরম করে তাকিয়ে ফের হাত তুলবে তৎক্ষনাৎ কয়েক কদম পিছে সরে যায় উজান। মুখোশ্রীতে তার ভীতি স্পষ্টত। গাল থেকে হাত সরিয়ে ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
‘ আর কতো মারবি ভাই? সরি তো! মজা করেছি একটু। আর জীবনেও এমন করবো না। সত্যি বলছি। ‘
উজানের বলার ধরন দেখে খিলখিল করে হেঁসে উঠলো মীরা। উশান তখন শান্ত হয়ে ফোনে দৃষ্টি ফেলেছে। মনোযোগ তার সম্পূর্ণ মুঠোফোনে। গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল এসেছে।তাই দেখছে সে। উজান তখন বাকহারা। ভাইয়ের পিছনে বসে থাকা মেয়েটা কে দেখে সে বাকরুদ্ধ। মস্তিষ্ক বারংবার বলছে তাকে , এটা অসম্ভব। একদমই সম্ভব নয়। মৃত্যু মানুষ জীবিত হতে পারে কি করে?উজান পুলিশ অফিসার হওয়া সত্বেও এই লহমায় ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কাঁপা পায়ে সে মীরার নিকট এগিয়ে যায়। মীরাকে পরখ করে আমতা স্বরে বলে,
‘ আ..আপনি?ভাই ইনি..?’
মীরা নিশ্চুপ হয়ে যায়। উজানের কথা বলার ধরন তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। উজান এভাবে ভয় কেনো পাচ্ছে তাকে দেখে? কাঁপছে কেনো?মীরা চিন্তিত কন্ঠে বলল,
‘ আপনি ঠিক আছেন ভাইয়া? এভাবে কাঁপা কাঁপি করছেন কেনো?’
উশান মীরার কথা শুনে ফোন থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। উজানের দিকে তাকাতেই তার কপালে বলিরেখার উৎপত্তি হলো। বিরক্তি নিয়ে বলল,
‘ কি সমস্যা তোর?’
উজান ধাতস্থ করে নিজেকে। ভাইয়ের সামনে এভাবে উদ্ভট আচরণ করা যাবেনা। ধরা পড়ে যাবে তাহলে। তার সকল প্রশ্নোত্তর এখন ফারদিনই দিতে পারবেন। পকেট থেকে রুমাল বের করে ললাটে জমা নিজের ঘামের মৃদু কণা মুছে ফেলে উজান। অধর কোণে কৃত্রিম হাসির প্রলেপ টেনে বলে,
‘ কিছুনা ভাইয়া। আচ্ছা এই মেয়েটা কে?’
‘ মীরা! মাহদি আংকেলের মেয়ে। ‘
‘ অহ! আমি যাচ্ছি ভাইয়া। আমার কাজ আছে একটু। ‘
উজান এক প্রকার পালিয়ে নিজের জিপে উঠে বসে। তার হাত, পা এখনো কাঁপছে। কি মুশকিল! এভাবে থানায় গেলেও হাজারটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তাকে। তাই উজান ঠিক করলো আগে দাদুর কাছে গিয়ে পাই পাই করে সব প্রশ্নের উত্তর নিবে তারপর থানায় যাওয়া যাবে। জিপ স্টার্ট দিয়ে ক্ষনেই অদূরে চলে যায় উজান। উশান তীক্ষ্ণ চাহনি নিক্ষেপ করে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করলো উজানের আচরণ মোটেও স্বাভাবিক ঠেকলো না তার নিকট।নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে।
উশান বাইক স্টার্ট করতেই মীরা ঝুঁকে পড়ে সামনের দিকটায়। নিজেকে চটপট সামলে নিয়ে ঠিক মতো বসতেই আবারও একই কাজ পুনরায় ঘটলো।ভাঙা, এলেমেলো রাস্তা দিয়ে বাইক চলাতে পড়তে নিয়েও নিজেকে কোনোরকম টিকিয়ে রেখেছে মীরা নিজ স্থানে। উশান পুরো ঘটনা লুকিং মিরর দিয়ে দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়। মেয়েটা জেদি বটে! যা বলে তাই করে, করবে।
_________________________
সায়াহ্নের শেষ প্রহর। কিয়ৎ বাদে মেদিনীতে যা একটু রশ্মি অবশিষ্ট আছে তাও আঁধারের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে। নামবে ঘোর অন্ধকার। পূর্ণিমার দেখা নেই বেশ কয়েকদিন। তাই সায়াহ্নের প্রহরের ইতি ঘটতেই সবকিছু ধু ধু আঁধারে ছেয়ে যায়। কুয়াশায় ঢাকা আশপাশ। চারপাশের দানব আকৃতির দালান গুলো কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়ায় তাদের দেখা মিলেনা রাতে। রাস্তার এদিক – ওদিক ঘুমিয়ে থাকা কুকুর, বিড়ালের দল এখন আশ্রয় নিয়েছে মাঠের শেষপ্রান্তের জঙ্গলে। উষ্ণতা পাওয়ার তাগিদে। ভোরে শিশির পড়ার আগেই তারা ছুটে অন্যত্রে।
সবেমাত্র গোসল করে বেড়িয়েছে মীরা। এতে করে বেশ কয়েক বকা দিয়েছে রুহি। মীরা ভাবান্তরহীন রুহির কথায়। রুহি তা দর্শন করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। মেয়েটা এতো শুচিবাই ধরনের। সামান্য ধুলো লাগায় এই হাড় – কাঁপানো শীতে ঠান্ডা পানির ছোঁয়া লাগিয়েছে। তাও আবার সেই কখন?সন্ধ্যায়!
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ব্যাস্ত ভঙ্গিতে চুল ঝাড়ছে মীরা। শ্যাম রাঙা গাল, নাক লালচে হয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা হাঁচি দিয়ে তার এই হাল। হাতের তোয়ালে রেলিঙে রেখে তড়িৎ বেগে রুমে ছুটে আসে মীরা। কম্বল টেনে হাতে বই নিয়ে বসতেই কোথা থেকে রুহি ছুটে আসে। তার মুখোশ্রীতে উচ্ছ্বসিত আভাস। মীরা ভ্রুকুটি কুঁচকে বলল,
‘ কি ব্যাপার? এতো খুশি ক্যান তুই? আন্টি, আংকেল বিয়ে ঠিক করেছে নাকি?’
রুহি গমগম সুরে বলল, ‘ আরে মহিলা না। পাঁচ তলার সেই হ্যান্ডসাম ছেলেটা আসছে। উফ! আমি তো দেখেই লজ্জায় দৌড়। তোর আত্মীয় হয়না? আমার সাথে সেটিংস করায় দে বোন। ট্রিট দিবো তাইলে। ‘
মীরা তার কুঁচকানো ভ্রু জোড়া আরো কুঁচকে নেয়।উশান এসেছে। তাও এই সময়ে? এই লোকটার আর আসার সময় হলো না? রুহির উশানকে নিয়ে দেখানো উচ্ছ্বসিত ভাবটা মীরার কাছে বিরক্তির ন্যায় লাগলো। ঐ লোকটার জন্য এতোটা খুশি হওয়ার কি আছে? লজ্জাও বা পাওয়ার কি আছে?আশ্চর্য তো! মীরা বলল,
‘ কেনো এসেছে? ‘
‘ কি জানি? বলল তোকে ডেকে দিতে। যেয়ে দেখ কি বলে। ‘
মীরা বিরস গলায় বলল, ‘ আমি এই মূর্হতে কোথাও যাচ্ছিনা। তুই গিয়ে উশানকে বলবি আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। এখন উঠবো না ঘুম থেকে। চলে যেতে বল গিয়ে। ‘
রুহি তার নেত্রযুগল বড় বড় করে বলল,
‘ কিন্তু তুই তো ঘুমাসনি। আমার সামনে বই নিয়ে বসে দিব্বি কথা বলছিস। ‘
মীরা ধমকে বলে, ‘ যা বলছি তা কর রুহি। যা এখান থেকে। ‘
রুহি নিজ মুখোশ্রী পাংশুটে করে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। যাওয়ার পূর্বে দরজার নিকট অব্দি গিয়ে একবার থেমেছিলো সে কিছু বলার জন্য। কিন্তু মীরার কড়া দৃষ্টি উপেক্ষা করে তার কন্ঠনালি দ্বারা কোনো রূপ শব্দগুচ্ছ উচ্চারণ করার সাহসে হয়নি। নিরবে চলে গিয়েছে।
মীরা তপ্তশ্বাস ফেললো।দু’জন মেয়ের ফ্লাটে এভাবে হুটহাট আসার কোনো মানে আছে?বাবার জন্য কোনো কড়া কথাও শোনাতে পারেনা উশানকে। বাবা তার অল্প কয়েকদিনেই উশানের ভক্ত হয়ে গিয়েছে। যখনই ফোন দিয়ে তখনই কথার মাঝে সর্বপ্রথম উশানের কয়েক প্রশংসা করে নেয় মাহদি।মীরা ক্ষুব্ধ হলেও কিছু বলেনা মাহদিকে।
বইয়ের দিকে দৃষ্টি ফেলতেই ধপাধপ পা ফেলার শব্দ মীরার কর্ণকুহরের নিকট প্রতিফলিত হয়। মীরা ভাবে নিশ্চয়ই রুহি এসেছে দ্রুত পদে। কিন্তু তার ধারণা মিথ্যে করে শব্দহীন রুমে আগমন ঘটে উশানের। রোষানল দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো মীরার মুখোশ্রীর প্রতি। মীরা ভড়কে বলল,
‘ আপনি এখানে কি করছেন? ‘
ধমকে ওঠে উশান। চোখ কটমট করে তাকায়। মীরা ভড়কে গিয়ে সটান হয়ে বসে পড়লো। পরনের ওড়না টেনেটুনে ঠিক করে উশানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘ কি চাই? কিছু বলতে চান? আমার পরিক্ষা সামনে, পড়তে বসবো। ‘
উশান চিবিয়ে বলল, ‘ তুই ঘুমাচ্ছিস?এই তোর ঘুম?চোখ খোলা রেখে আজ প্রথম কাওকে ঘুমাতে দেখলাম। তা এখনো কি ঘুমেই আছিস?ঘুমের মধ্যে থেকে কথা বলছিস নাকি জাগ্রত এখন?’
মীরা আমতা আমতা করলো। কানের পিঠে চুল গুঁজে গলা ঝেড়ে বলল,
‘ ঘুমাচ্ছিলামই আমি। আপনি আসার আগে। এখন উঠে গেছি। ‘
উশান চোয়াল শক্ত করে তাকায় কিছু কঠিন কথা বলার জন্য। পরক্ষণে নিজেকে ধাতস্থ করে চুপ হয়ে যায় একদম। লম্বা শ্বাস টেনে মাথার চুল টেনে এদিক- সেদিক তাকায়। মীরা সর্বদা তাকে উটকো আচরণ করে রাগিয়ে দেয়। মেয়েটা বেয়াদব বেশ।
মীরা শুকনো ঢোক গলা। গলা শুকিয়ে কাঠ তার। উশানের আচরণ স্বাভাবিক নয়। নিশ্চিত রেগে আছে। এই মানব রেগে গেলে ভীষণ বড় সর্বনাশ! তাকে তুলে আছাড় দিতেও দু’বার ভাববে না। মীরা বিছানা থেকে নেমে দাড়িয়ে ক্ষীণ সুরে বলল,
‘আপনি কি কিছু বলতে এসেছেন উশান? ‘
উশান ক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
‘ মায়ান এসেছে। গুলশানে! আম্মুর সাথে। তোকে নিয়ে যেতে বলেছে আম্মু। মায়ান দেখতে চাচ্ছে তোকে। রেডি হ জলদি। নাহলে তোকে রেখেই চলে যাবো আমি। গট ইট?’
হৃষ্টচিত্তে তাকায় মীরা। উচ্ছ্বসিত নিভৃত তার। ছোট ভাইকে দেখতে পাবে আজ সামনা-সামনি ভাবতেই পুলকিত সে। মীরা কিয়ৎ শান্ত হয়। সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করে। মায়ান ঢাকায় কেনো?তাও ঊষার সাথে। মীরা ব্যাকুল হয়ে বলে,
‘ হটাৎ ঢাকায় আসলো যে?ঠিক আছে ও?’
উশান অন্যমনষ্ক হয়। দ্বিধা হচ্ছে সত্যটা বলতে। দুই সেকেন্ড ভেবে নিয়ে চট করে সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত চুপ থাকা শ্রেয়। গলা ঝেড়ে উশান বলল,
‘ ঠিক আছে ও। কি হবে?তোকে দেখার জন্য পাগলামো করছিলো তাই আম্মু নিয়ে এসেছে। আমি বাহিরে ওয়েট করছি। তুই দ্রুত আয়। ‘
_____________________
বেশ ধীর গতিতে বাইক চালাচ্ছে উশান। আধাঘন্টা হলো তারা এখনো গুলশানের আশপাশেও যেতে পারেনি। মীরা বিরক্ত! বড্ড বেশি বিরক্ত। কয়েকবার সে উশানকে বলে ফেলেছে, কেনো সে এতো ধীর গতিতে বাইক চালাচ্ছে? জবাবে উশান তাকে ধমকে বলতো, এক্সিডেন্ট হবে জোরে চালালে। মীরা ধমক খেয়ে পুনরায় ‘ টু ‘ শব্দ করেনি। অযথা কারণে বকা খেতে কার ইচ্ছে করে? স্নিগ্ধ অনিল বইছে। মীরার চুলগুলো এসে বারংবার বাড়ি খাচ্ছে উশানের চোখ মুখে। এবার সে হেলমেট পড়েনি। নিজের হেলমেট মীরাকে দিয়েছে। হেলমেটের বাহিরে পড়ে থাকা চুলগুলো অনিলের দাপটে এসে স্পর্শ করছে উশানের মুখোশ্রী। কি অদ্ভুত! এতে উশান বিন্দু মাত্র বিরক্ত হচ্ছে না। বকা অথবা ধমকও দিচ্ছেনা সে মীরাকে। বরঞ্চ সে নিশ্চুপ, মৌন! ইচ্ছে করেই ধীরে চালাচ্ছে বাইক। উশান লুকিয়ে মিররে মীরার বিরক্তিমাখা চেহারায় চাহনি ফেলে বলল,
‘ আমার মন বারংবার বলছে তুমি সে নও! কিন্তু দাদুর কথার ধাঁধায় পড়ে তোমাকে তার থেকে আলাদাও করতে পারছি না৷ এ কেমন সমস্যা বলো তো? ‘
.
পরিশেষে ১ ঘন্টার রাস্তা উশান প্রায় আড়াই ঘন্টা লাগিয়ে পৌঁছায় সেই কাঙ্খিত স্থানে। মীরা নেমেই হাঁটা ধরে সামনে। উশান বাঁধা দেয়নি। যাচ্ছে যাক! অনেকক্ষণ এমনিতে আঁটকে রেখেছে। এবার বাঁধা দিতে গেলে দেখা যাবে এই রাস্তার মাঝেই তাকে থাপ্পড় মেরে বসবে। পাবলিক প্লেসে থাপ্পড় খেলে মানসম্মানের বারোটা বাজবে নিশ্চিত।
মীরা দ্রুত হাঁটতে দেখে উশান পেছন হতে চেঁচিয়ে বলল,
‘ আস্তে যা মীরা। পরে যাবি নয়তো। ‘
উশানের কথা মীরা শ্রবণ করলো বলে মনে হলোনা।সে নিজস্ব গতিতে পা ফেলে হাঁটছে। তপ্তশ্বাস ফেলে নিজ কাজে মনোযোগী হয় উশান।
.
ফ্লাটের সামনে এসে ফ্লাট তালাবদ্ধ দেখে ভ্রু’কুটি কুঁচকে নিলো। সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় বাঁকিয়ে সে পেছন তাকায়। উশান হেলতে, দুলতে আস্তে আস্তে হেঁটে আসছে। মীরা ধৈর্যহীন হয়ে পড়ে উশানের নিকট দৌড়ে গিয়ে বলল,
‘ ফ্লাটে তালা দেওয়া যে?বাসার সবাই কোথায়?’
উশান ভাবলেশহীন গলায় জবাব দেয়,
‘ হসপিটালে হয়তো। ‘
‘ হসপিটালে কেনো?’
পরবর্তীতে উশান যেই শব্দগুচ্ছ গুলো নিজ অধর জোড়া দ্বারা উচ্চারিত করলো সেই শব্দফালি গুলো বিষাক্ত তীরের মতোন মীরার হৃদপিণ্ড স্পর্শ করলো। মীরা ওষ্ঠাধরের মাঝে ব্যাবধান সৃষ্টি করে শ্বাস টানে। সবকিছু এলোমেলো লাগছে তার। হাশঁফাশঁ করার এক পর্যায়ে সে সামনে থাকা উশানের বক্ষঃস্থলে আছড়ে পড়লো। হতভম্ব উশান!মীরাকে আঁকড়ে ধরে গালে হালকা থাপ্পড় দিয়ে বলল,
‘ মীরা? এই মীরা? অপেন ইউর আইজ! মীরা..?’
চলবে..