হৃদয়েশ্বরী সাদিয়া মেহরুজ দোলা #পর্ব__০৩

0
10

#হৃদয়েশ্বরী
সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব__০৩

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে ঢাকাতেই থাকে মীরা। উশানের বিয়ে উপলক্ষে ফারদিন এবং ঊষার আকুল আবেদনে তাকে আসতে হয়েছিলো চট্রগ্রাম। আজ ফিরে যাওয়ার দিন। বিশ্ববিদ্যালয় আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে সে কিছুতেই ফিরতো না ঐ ধুলোমাখা, ইট পাথরের শহরে। সকাল থেকে ফিরে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে মীরা। ১ দিন আগে না গেলে সমস্যায় পড়তে হয় অনেক।তাই আজই চলে যাবে সে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ব্যাগে ঢুকিয়ে একবার নিজেকে আরশিতে পরখ করে নেয় মীরা। কিয়ংদশের মাঝেই আরশিতে ভেসে ওঠে তার বাবার প্রতিবিম্ব। মীরা ম্লান হাসে। পিছন ফিরে বলে,

‘ দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কেনো বাবা? ভেতরে আসোনা। ‘

মীরার বাবা মাহদি ইকবাল শব্দহীন পায়ে প্রবেশ করে। মীরা শান্তি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাহাদির পানে। এই ব্যাক্তিটাকে দেখলে তার বক্ষঃস্থল শিথিল, নম্র এবং প্রশান্তিতে ছেয়ে যায়।মাহদি এসে মীরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,

‘ আজই চলে যাবে আম্মু? ‘

‘ জি বাবা। পরশু থেকে তো ক্লাস শুরু হচ্ছে। ১ দিন আগে না গেলে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়। ‘

‘ হু! সব গুছিয়ে নিয়েছো? ‘

‘ জি বাবা। ‘

‘ আচ্ছা। তাহলে তুমি উশানের সাথে যাচ্ছো। ওর সাথে কথা হয়েছে আমার। উশানেরও ছুটি শেষ। অল্প কয়েক দিনের ছুটি পেয়েছিলো ও। একসাথেই যাও তোমরা।’

মীরা বিষম খেলো। মাহদি চটজলদি পানির গ্লাস এনে মীরার হাতে দিতেই সে এক নিঃশ্বাসে পুরো গ্লাসের পানি শেষ করে ফেলে। নেত্রযুগল বড়সড় করে নিয়ে নতজানু হয় মীরা। যার দৃষ্টি সীমানা থেকে সে দূরে থাকতে চায়, কাকতালীয় ভাবে সেই লোকটাই কেনো তার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে?এ কেমন প্রকৃতির নিয়ম? আশ্চর্য তো!

মীরাকে বাকহীন দেখে মাহদি চিন্তিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,

‘ আম্মু? কোনো সমস্যা? উশানের সাথে যেতে তোমার সমস্যা আছে কি কোনো? এতদূর পথ। একা তোমায় কি করে পাঠাবো তারজন্য উশান যাচ্ছে তাই তার সঙ্গে পাঠাচ্ছি। ছেলেটা ভীষণ ভালো। ভরসা আছে ওর ওপর আমার। তোমার সঙ্কোচ হচ্ছে কারণ উশানের সাথে তো কখনো ঠিক মতো কথা হয়না তোমার। ‘

মীরা হটাৎ কৌতূহল দমাতে না পেরে ফট করে বলল,

‘ যেই লোক দু, দু’বার বিয়ে ভাঙলো তাও অকারণে, তাকে তোমার ভালো ছেলে মনে হয় কি করে আব্বু বলো তো?’

‘ অকারণে কোথায়? কারণবশতই ভেঙেছে বিয়ে। তুমি জানো না?’

মীরা ললাটে বলিরেখা ফেলে বলল, ‘ কি জানি না?’

‘ উশান যেই মেয়েটার সাথে এংগেইজমেন্ট ভেঙে দিয়েছিলো সেই মেয়ে পূর্ব বিবাহিত ছিলো। ডির্ভোস না করিয়েই উশানের সাথে বিয়ে দিতে চাইছিলো। মেয়েটার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়েছিলো, বাবা মা মেনে নেয়নি। পরে মেয়েকে এনে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করলো। ভাগ্যিস মেয়েটা উশানকে সব বলে দিয়েছিলো। তারপরই তো উশান এংগেইজমেন্ট ভেঙে দিলো। মেয়েটার বাবা, মা কে বুঝিয়ে মেয়েকে স্বামীর কাছে পাঠালো। আর দ্বিতীয়জন। তার ব্যাপারটা…তোমায় পরে বলবো আম্মু। ‘

চোয়াল ঝুলিয়ে ‘ হা ‘ করে তাকালো মীরা। এতকিছু, এত ঘটনা ঘটে গিয়েছে অথচ সে এই বিষয়ে একদমই অবগত নয়। বিয়ে ভেঙে দেয়ার পর তাহলে এই কারণেই উশান এখনো এই শহরের প্রিয় মানুষের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু মীরা কেনো জানেনা এসব? যদিও জানবেই বা কি করে?চট্টগ্রামে আসার পর নিজের রুম থেকে ছোট ভাইয়ের রুম অব্দি যাওয়া ছাড়া সে তো আর কোথাও যায়নি। বিয়েতে গিয়েছে নাম মাত্রই। মাহদি মীরার সঙ্গে আরো কিছু কথা বলে বেড়িয়ে গেলেন।রাতের ট্রেনে ঢাকা ফিরছে মীরা, উশান। প্রস্তুতি এখনি শেষ করতে বলে বেড়িয়ে যান মাহদি। মীরা নিশ্চুপ হয়ে রইল। দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণটা বাবা কেনো এড়িয়ে গেলো তা বুঝতে পারলো না ঠিক।

_________________________

নিশুতি রাত। মেদিনীতে বইছে শীতল অনিল। আঁধারে নিমজ্জিত আশপাশ। দূর – দূরান্ত আধার ব্যাতীত কোনো কিছুই নজরে আসছে না আপাতত।কৃষ্ণপক্ষের প্রথম তিথি হওয়াতে চন্দ্রের দেখা নেই আজ আসমানে। ক্ষুদ্র কয়েক তারা মিটিমিটি করে চেয়ে আছে আসমান জুড়ে। ট্রেন চলছে নিজ গতিতে। শা শা শব্দ কর্ণপাত হচ্ছে মীরার। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আজ ঘুমকাতুরে মীরার চোখ তন্দ্রা ভাব টানতে পারছে না। উশান নেই তার পাশে।ট্রেনে উঠে মীরাকে সিটে বসিয়ে দিয়ে সেই যে গেলো আর দেখা নেই তার। মীরার তাতে কোনো চিন্তা নেই। যেখানে গিয়েছে যাক। সেই মানব শুধু তার চক্ষু সম্মুখে না পড়ুক। লোকটাকে একদম সহ্য হয় না মীরার। কেনো? তা সে নিজেও জানে না।

খানিক বাদে মীরার কর্ণকুহরে প্রবেশ করে কয়েক গুরুগম্ভীর কন্ঠস্বর। শব্দফালি গুলো ছিলো,

‘ এখনো ঘুমাসনি কেনো মীরা?রাত তো কম হয়নি। ঘুমিয়ে পড়। ‘

মীরা আঁতকে পাশে তাকায়। উশান এসে তখনই ধপ করে বসলো তার পাশে। ক্লান্ততা আয়ত্ত করে নিয়েছে উশানকে। বক্ষঃস্থলে নিজের কোমল হাত রেখে লম্বা শ্বাস টানলো মীরা। নিঃশব্দ স্থানে হুট করে গুরুগম্ভীর কন্ঠ শ্রবণ করাতে একটুখানি ভয় পেয়েছিলো সে। পাওয়াটা’ও স্বাভাবিক। অন্যমনষ্ক ছিলো। উশান তার হাতে থাকা ব্যাগ এগিয়ে দেয় মীরার পানে। ক্লান্তিমাখা কন্ঠে বলে,

‘ মাঝরাতে খিদে পেলে খেয়ে নিস।আর যদি এখন ক্ষুদা লাগে খেয়ে নে। আমি ঘুমোচ্ছি। বিরক্ত করিস না। ‘

উশান সিটে দেহ এলিয়ে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে পড়লো। ইশ! এতো কেনো ক্লান্ত লাগছে?মীরার জন্য খাবার আনতে গিয়ে কম ধকল পোহাতে হয়নি তাকে। রাস্তাঘাট খালি দেখে পুরো ট্রেন ঘুরেছে। যদি কিছু পাওয়া যায় সেই আশায়। পরিশেষে পরিশ্রম সার্থক হয়ে পেয়েছেও। আসার আগে মাহদি বার বার করে তাকে বলে দিয়েছিলো মীরার রাতে খিদে লাগে। তখন কিছু খেতে না দিলে ওর পেট ব্যাথা করে প্রচন্ড। মাহদি নিজেই কিনে দিতে চেয়েছিলো কিছু কিন্তু উশান বারণ করেছে তাকে। এখান থেকে বোঝা বাড়িয়ে অতো দূর গেলে খাবার নষ্ট হতে পারে। কিন্তু কে জানতো রাত বলে কোনো খাবার দোকানই খোলা থাকবে না?উশান তো রেগেমেগে ফিরছিলো নিজের সিটে। কিন্তু এতে আরেক বিপত্তি। মাঝপথে মীরা অসুস্থ হলে ঝামেলা পোহাতে হবে না?

রজনী গহীন হচ্ছে। মীরা অল্পস্বল্প কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে পিছনে মাথা এলিয়ে দিয়েই।উশানের ঘুম ভেঙে যায় হটাৎ। ঠান্ডা লাগছে তার ভীষণ। উঠে বসে কাপুনি দেয়। শেষে ঠান্ডা লাগার উৎস দেখে মেজাজ চটে যায় তার। মীরার দিকে চিবিয়ে তাকাতেই মীরার ঘুমন্ত মুখোশ্রী দর্শন করে শান্ত হয় বক্ষঃস্থল। স্বগতোক্তি করে,

‘ মেয়েটা বড্ড বেশি কেয়ারলেস। জানালা খুলে ঘুমাচ্ছে। নিজেরও ঠান্ডা লাগাবে সাথে আমারও। ‘

উশান উঠে দাঁড়িয়ে জানাল বন্ধ করে ফের এসে মীরার পাশে বসে। দু’হাতের তালু ঘষে কিয়ৎ উষ্ণতা পাওয়ার তাগিদে। ঠান্ডা কমছেই না। দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে। তন্দ্রাঘোরে মীরা হটাৎ -ই হেলে পড়ে উশানের বাহুতে। উশান ঘাবড়ে আঁকড়ে ধরে তাকে।বুক দুরুদুরু করছে। আরেকটু হলেই ঠাস করে পড়তো মাটিতে। মাথা তো ফেটে যেতো নিশ্চিত। মীরাকে সন্তর্পণে নিজের সাথে মিশিয়ে আগলে নেয় উশান। অস্বস্তি হচ্ছে আবার ছাড়তেও নারাজ মন গহীন। কি এক অবস্থা!

মীরাকে নিজের সাথে আগলে নিয়ে মীরার মাথাটা নিজের বক্ষঃস্থলে এলিয়ে দেয় উশান। তন্দ্রাচ্ছন্ন মীরা উষ্ণ বক্ষ পেয়ে আরেকটু চেপে বসে। শ্বাস রুখে রইল উশান। নাহ! সে যে বড্ড ভুল করে বসলো। সময় পেরোয়। ঘড়ির কাটা টিকটিক করে রাতের শেষ প্রহর পাড়ি দিতে যাচ্ছে। মেদিনীতে একটু পরই আসবে প্রভাত তা বলে দিচ্ছে সময়। উশান তার বক্ষঃস্থলে ঘাপটি মেরে থাকা মীরার মুখোশ্রীর প্রতি দৃষ্টি ফেলে। সামনে এসে পরে থাকা মীরার ছোট ছোট অবাধ্য চুল নরম হাতে সরিয়ে দিয়ে সে হিসহিসিয়ে বলে,

‘ ক্ষনিকের জন্য আমায় উষ্ণতা প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মিস. তাঈরাত ইমরোজ মীরা।’

_____________________________

স্টেশনে দাঁড়িয়ে ঘুমে ঢুলছে মীরা। উশান পাশে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ চাহনি নিক্ষেপ করে পর্যবেক্ষণ করছে তাকে। নিভৃতে সে আওড়ায়, ‘সারারাত আমার ঘুম হারাম করে নিজে শান্তিতে ঘুমিয়ে এখন আবার ঘুমে ঢুলছে বদমাইশ টা! থাপ্পড় লাগানো উচিত।’ পাশ দিয়ে একজন লোক হেঁটে যাওয়ার সময় যখন মীরা তার ওপর পড়তে নিচ্ছিলো উশান তৎক্ষনাৎ তার হাত ধরে হেঁচকা টানে নিজের বক্ষঃস্থলের সাথে মিশিয়ে নেয়। মীরা ঝট করে উন্মুক্ত করে আঁখিজোড়া । উশান ধমকে বলল,

‘ সারারাত ঘুমিয়ে এখন ঘুমে ঢুলছিস। লাগাবো থাপ্পড়? এখনি তো পড়তি ঐ লোকটার ওপর। ‘

কাচুমাচু ভঙ্গিতে দাঁড়ায় মীরা। লজ্জা লাগছে। নিজেকে শক্ত কয়েক বানী শোনাতে ইচ্ছে করছে। সারারাত তো ঠিকই সে আরামেই ঘুমিয়েছে। এখন আবার এতো কেনো ঘুম আসছে? মীরা ক্ষ্যান্ত হয় না। মানসপটে উদগ্রীব হয়। রাতে তার এতো শান্তির ঘুম হলো কি করে? এর আগেও তো সে ট্রেনে চড়েছে। কই এতো চমৎকার ঘুম তো আগে হয়নি। তবে আজ? ঘুম থেকে ওঠার পরও বিশেষ কিছু দর্শন হয়নি। যেভাবে ঘুমিয়েছিলো সে। সেভাবেই নিজেকে আবিষ্কার করেছে।

‘ এখানে দাঁড়িয়ে কোন ইতিহাস রচনা করতে বসলি মীরা? ‘

উশানের কন্ঠে স্পষ্টত প্রবল রাগ। মীরা ভড়কায়। এতো রেগে যাওয়ার কি আছে? আশ্চর্য! হাঁটা ধরে সামনে সে। উবার দাঁড়িয়ে আছে। উশান বুক করেছে উবার। উশান রাগে রীতিমতো কাঁপছে। পাশে দু’জন ছেলে বিশ্রী দৃষ্টি ফেলে রেখেছিলো মীরার ওপর। আর এই মেয়েকে দেখো।আশপাশ না দেখে গভীর চিন্তায় মগ্ন সে। মীরাকে সর্বপ্রথম গাড়িতে বসিয়ে উশান পিছন থেকে একে একে তাদের দু’জনের ব্যাগপত্র সঠিক স্থানে রাখে। শেষে সকল কার্য সমাপ্তি ঘোষণা করে মীরার পাশে বসে তপ্তশ্বাস ছেড়ে বলে,

‘ তুই একজন মেয়ে মীরা। একটা ছেলের তুলনায় নিজেকে রক্ষা করার দায়িত্বটা তোর বেশী। একা থাকিস। আশপাশে চোখ রেখে চলাফেরা করবি। কারো কু – দৃষ্টি নিজেতে আবিস্কার করলে চুপ করে থাকবি না। তোর চুপ করে থাকাকে অন্যরা সুযোগ পেয়ে ঝেকে বসবে। ‘

মীরা চুপচাপ থেকে উশানের কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করলো। শেষে তার একটাই প্রশ্ন, উশানের হটাৎ এরূপ কথার কারণ কি?মীরা বহির্ভাগে দৃষ্টি ফেলে।সঙ্গে সঙ্গে অদূরে কয়েকদল ছেলের বিশ্রীপূর্ণ চাহনি তার নজর বিদ্ধ হয়। দৃষ্টি সরিয়ে নেয় মীরা। রাগে গা রি রি করছে। সামনে থাকলে দুই চারটা চড়’সহ সঠিক জায়গায় লাথি লাগাতো। ২ বছর ধরে থাকছে ঢাকায়।সবকিছু সম্পর্কে তার ভালোই জ্ঞান হয়েছে। নিজেকে সুনিপুণ ভাবে আগলে রাখতে জানে মীরা।

উবার নির্দিষ্ট স্থানে এসে থামতেই মীরা নিজের ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়ে। দিক – বেদিক না দেখে, উশানকে ধন্যবাদ অব্দি না দিয়ে সে হাঁটা ধরে সামনের দিকে। উশান টাকা পরিশোধ করে নিজের লাগেজ টেনে অলস ভঙ্গিতে হাঁটছে। ঘুম পাচ্ছে ভীষণ! উশান, মীরা যেই বিল্ডিং এ থাকছে তারই পাঁচ তলায় নিজের জন্য চার রুমের একটা ফ্লাট ভাড়া করেছে। যদিও উশানের সর্বক্ষণ তার কর্মস্থলেই কাটে তবুও কেনো বাসা ভাড়া করতে হলো? তা বোধগম্য হয়না মীরার। দুই তলায় নিজের রুমের সামনে আসতেই ঘটলো বিপত্তি। রুম তালাবদ্ধ। তার মানে যার সাথে সে থাকে সেই ব্যাক্তি নেই রুমে। উশান পিছন হতে তা বুঝতে পারলো। উচু স্বরে বলল,

‘ এ্যাই মীরা? তোর রুমমেট মনে হয় নেই। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি?আমার রুমে আয়। ‘

মীরা দ্বিধা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।কিন্তু উশান তো অতো খারাপ না সে জানে।এতো বছরের পরিচয়।কখনো তার বা কোনো নারীর প্রতি উশানকে কু দৃষ্টি ফেলতে দেখেনি সে শেষে মনের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হাঁটা ধরলো উশানের পেছনে। উশানের ফ্লাটে প্রবেশ করে সে ধপ করে বসে পড়লো সোফায়। ক্লান্তমাখা সুরে বলল,

‘ সরি! আপনার অনুমতি ছাড়া বসলাম। ক্লান্ত লাগছে খুব। ‘

উশান নিরুত্তর। ফ্যান ছেড়ে বসলো সে মীরার সামনের সোফাটায়। শার্টের বোতাম হাত দিয়ে ১টা, ১টা করে খুলতে শুরু করলো। মীরা ঘাবড়ে ওঠে। উপলব্ধি করে তার হাত, পা কাঁপছে। শেষে কি তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো?মীরা কন্ঠনালী শক্ত করলো কিছু কঠিন কথা বলার স্বার্থে,

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here