হৃদয়েশ্বরী সাদিয়া মেহরুজ দোলা ৪৪. | বর্ধিতাংশ

0
26

#হৃদয়েশ্বরী
সাদিয়া মেহরুজ দোলা

৪৪. | বর্ধিতাংশ |

কামড়া জুড়ে পিনপন নীরবতা। দূর – দূরান্ত হতে ভেসে আসা যানবাহনের শব্দ ব্যাতীত ফ্লাটটায় আর কোনো শব্দ নেই। মীরা মেঝেতে বসেছিল এতক্ষণ। উশানের চক্ষু ইশারা পেয়ে চটজলদি উঠে দাঁড়ালো। উশান অন্যত্রে দাঁড়িয়ে। তার হাত দু’টো পিছমোড়া করে বাঁধা। মুখের ভেতর রুমাল ঢোকানো।চেঁচানোর বিন্দুমাত্র সুযোগ রাখা যাবেনা বলে এরিক এমনটা করেছে। মীরা ডান হাত জখম হয়েছে। ছিলেঁ গিয়ে র’ক্ত পড়ছে। সে আশপাশ তাকাল। তার অস্থির দৃষ্টি গিয়ে নিবদ্ধ হলো শয়নকক্ষে। শয়নকক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকা দিগন্তের লা’শ দর্শন মাত্র মীরা প্রায় লাফিয়ে উঠলো! কাঁপা কন্ঠে অস্ফুটস্বরে বলল,

-” দিগন্ত? ”

এরিক এগিয়ে আসল। হেলতে দুলতে উশানের কপি করে। দুই পকেটে হাত পুড়ে বলে উঠলো,

-” মে’রে ফেলেছি! পুড়িয়ে মে’রে’ছি আগুনে। ভাবছি তোমাকেও ওভাবে মা’র’বো। কি বলো? নাকি অন্য কোনোভাবে মরতে চাও? ”

মীরা স্থিরচিত্তে তাকাল। জমাট গলায় শুধালো,

-” আপনি কে?এমন কেনো করছেন? ”

আকাশ’সম বিরক্তি সহিত এরিক মুখোশ্রী কুঁচকে নিল। তার চোখেমুখে দারুণ বিরক্তি! কন্ঠে বিরক্তি মাখিয়ে বলল,

-” এতবার একই কথা রিপিট করতে পারবো না। এই একে ধর তো!আগে উশানের প্রাণ ভোমরাকে সুন্দর করে মে’রে নেটওয়ার্কে বাহিরে পাঠাই। ”

মীরা হতবিহ্বল চোখে চাইল। উশানের পানে দৃষ্টি ফেলতেই উশান তাকে নেত্র ইশারায় কিছু বলল। মীরা বুঝতে পারল তা।শুকিয়ে চৌচির হওয়া গলায় সিক্ততা প্রদানের জন্য পরাপর তিন, চারটা ঢোক গিললো সে। দু’জন লোক যখন তাকে ধরার জন্য আসছিলো তখন মীরা উপস্থিত পাঁচটি মানুষের চক্ষু অগোচরে নিজের হিজাবের লম্বা লম্বা পিন গুলো খুলে হাতে নিল। পিন গুলো বেশ বড়! দু’জন ব্যাক্তি এগিয়ে আসা দেখে উশান তার হাতের রশি গুলো সম্পূর্ণ রূপে খুললো। প্রায় অনেকক্ষণ যাবৎ পিছন হতে তার ছু’রিটা দিয়ে অল্প অল্প করে রশি কাটছিল সে। অবশেষে কাটা শেষ! তার দু’হাত বর্তমানে মুক্ত।
মীরার পেছন হতে দু’জন এগিয়ে আসার পরপরই মীরা সামনে ঘুরে থাকা অবস্থায় হাতের ডগায় সুক্ষ্ম পিন দু’টো নিয়ে হাত উল্টো করে দু’জনের চোখের মাঝ বরাবর ঢুকিয়ে দেয়। তৎক্ষনাৎ লোক দুটো আর্তনাদ উঠে।মেঝেতে পরে থাকা পি’স্তল হাতে নিয়ে মীরা এবার গু’লি ছুঁড়ে দিল। সেকেন্ডের মাঝে দুইজন মৃ’ত্যুবরণ করে। মীরার হাত তখন কাঁপছে।ক্রমাগত, বিরতিহীনভাবে। উপস্থিত বাকি সকলে স্তব্ধ! তারা ভাবতে পারেনি মীরা এমনটা করতে পারবে।

উশান উঠে দাঁড়িয়ে বাকি তিনজনের মাঝে দু’জন কে গু’লি ছুঁড়ে মারে। গু’লি দু’টো সঠিক নিশানা অনুসারে গিয়ে লাগে সেই দু’জনের মাথার মাঝখান বরাবর। বাকি রইল একজন! সে এগোচ্ছিল মীরার প্রতি। মীরা অপ্রতিভ চোখে চেয়ে নিচে পড়ে থাকা পি’স্তল পল্লব ফেলার পূর্বেই হাতে তুলে গু’লি ছুঁড়ে পঞ্চম জনের দিকে। অতঃপর আরও একটি এবং অবশিষ্ট সেইজন তার প্রাণহীন দেহ নিয়ে মেঝেতে আছড়ে পড়ে৷ এরিক নির্বাক ভূমিকায় সবকিছু দেখছিল এতক্ষণ যাবৎ! মস্তিষ্ক তার শিথিল হয়ে। পরপর সে সজাগ হলো। তাকে কিছু একটা করতে হবে। নয়তো মৃ’ত্যু নিশ্চিত!

এরিক তার হাতের পি’স্তলটা নিয়ে দৌড় লাগালো মীরার নিকট। মীরার পিছে গিয়ে মীরার মাথায় পি’স্তল ঠেকালো। মূর্হতেই সে তৈরি করে ফেললো একটি ‘ সিনেমাটিক ‘ পরিবেশ! উশান মীরার দিকে এগোতে নিয়ে থামলো৷ এরিকের কাণ্ডজ্ঞান দেখে সে হেঁসে ফেলল।

-” তোর মতো পুরুষের কাছে আসলে এটাই আশা করা যায়। সরাসরি পারলে আমার মুখোমুখি হ! ”

উশানের কথা শ্রবণ মাত্রই এরিক রাগে ফেটে পড়ল। সে মীরার কাঁধ ঝাপটে ধরে উশানের বাম হাতে গু’লি ছুড়লো।গু’লিটা লাগল উশানের বাহুতে।মীরা চেঁচাল! তার নেত্রযুগল অস্থিরচিত্তে উশানের পানে নিবদ্ধ হলো। ব্যাকুল কন্ঠে শুধালো,

-” আল্লাহ!উশান, তুমি ঠিক আছো? ”

দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করে নিয়ে উশান তাকাল সম্মুখে। মাথা উপর – নিচে হেলিয়ে জানাল, সে ঠিক আছে। কিন্তু মীরার মন মানলো না। উশান এর বাহু থেকে অনবরত র’ক্ত ঝড়ছে! মুখোশ্রীতে তার যন্ত্রণার আচঁ। উশান নিজেকে সামলে নিলো মূর্হতে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থান চেপে ধরে সটান হয়ে দাঁড়াল। কঠিন গলায় বলল,

-” ওকে ছাড় এরিক। তোর সমস্যা আমার সাথে ওর সাথে না। ওকে যেতে দে! ”

-” সমস্যা আমার তোদের দু’জনের সাথেই। ওকে তো পরে মা’রবো ভাবছিলাম। আজ হুট করেই পাখি খাঁচার ধরা দিল। তূর্শীর বর্তমান হাল ওর জন্য।ওকে আমি কি করে ছাড়ি? ”

‘ তূর্শী ‘ নামটা বিদুৎস্পষ্টের ন্যায় মীরার মস্তিষ্কে বাড়ি খেলো। তাহলে এতক্ষণ যাবৎ যা হচ্ছে তার মূল হোতা কি তূর্শী? মীরা সচেতন চাহনি মেললো পিছনে একবার। এরিক তৎক্ষনাৎ মীরার ঘাড়ে গুঁতো দেয় পি’স্তল দিয়ে।মীরা ফের সম্মুখে দৃষ্টিপাত আবদ্ধ করে। খুবই সন্তপর্ণে পরিহিত পোশাকের নিচে গুঁজে রাখা উশানের দেওয়া ছোট্ট ছু’রিটা সে বের করে নেয়। আস্তে ধীরে! এরিককে বুঝতে না দিয়ে। উশান বেসামাল চাহনি নিক্ষেপ করে রয়েছে। মীরা ঠিক কি করতে চাচ্ছে? তা হয়তো সে বুঝতে পারল। চট করে দৃষ্টি সরালো। মীরা ততক্ষণে হাতের ছু’রিটা হাত পিছে নিয়ে কায়দা করে এরিকের পেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এরিক হাতের পি’স্তলটা মাটিতে ফেলে আর্তনাদ করে পিছু সরলো। পেট দিয়ে তার গলগল করে রক্তিম তরল পদার্থ দেহের বাহিরে বের হচ্ছে। উশান দৌড়ে গেল এরিকের নিকটবর্তী। হাতে থাকা নিজস্ব পি’স্তলটা দিয়ে এবার দুটো গু’লি ছুঁড়ে দিল এরিকের বক্ষঃস্থলে। তৃতীয় গু’লি ছুড়লো মাথা বরাবর। মাঝখানটায়! শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির ইতি হলো সে লহমাতেই।

-” তোমার হাত দিয়ে তো অনেক রক্ত পড়ছে। ”

মীরার উদগ্রীব’তা দেখে উশান ম্লান হাসলো। তার বাহুতে এখন তেমন একটা ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে না।উশান হাত বাড়িয়ে মীরাট গাল স্পর্শ করল। মীরা কাঁপছে তখন।কাঁপাকাপিঁর কারণটা উশানের জানা আছে। মোলায়েম কন্ঠে সে শুধাল,

-” ঠিক আছো তুমি? ভয় লাগছে? ”

মীরা ফ্যালফ্যাল করে তাকাল৷ প্রশ্ন করল,

-” ভয় কেনো লাগবে?”

-“উঁহু! বাদ দাও। ছু’রিটা রেখেছিলে কাছে? আমি তো ভেবেছিলাম ফেলে দিয়েছ। ”

-” ফেলেই দিতে চাইছিলাম। পরে মনে হলো রেখে দেই। ”

-” ভালো করেছ। আজ কেমন দারুণ কাজে লাগল দেখলেনা? আমার কথা তো শোনো না! বদমাশ! ”

উশানকে টেনে মীরা একটা কামড়ায় নিয়ে গেল। সে এগোল কার্বাডের কাছে। এখানে ফাস্ট এইড বক্স আছে। মীরা জানত তা। ফাস্ট এইড বক্স এনে মীরা উশানকে উদ্দেশ্য করে বলল,

-” শার্ট খুলো তো! ড্রেসিং করতে হবে। ”

উশান বিনাবাক্যে তাই করল। শুয়ে ছিলো সে। উঠে বসে শার্ট খুলে ফেলল। ইউনিফর্ম পড়া ছিল সে।নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার ইউনিফর্মটা র’ক্ত মেখে।

প্রথমবার উশানকে মীরা বোধহয় শার্টলেস অবস্থায় দেখল। মীরার উচিত এখন লজ্জা পাওয়া!চরম লজ্জা।কিন্তু সে পেল না।স্থিরচিত্তে কাঁপাটে হাতে র’ক্ত পরিস্কার করছিল। ড্রেসিং শেষে ব্যান্ডেজ করতে নিবে তৎক্ষনাৎ উশান বলল,

-” উহ্! ব্যান্ডেজ করোনা। গু’লি ভেতরে রয়ে গেছে। বের করতে হবে। ”

মীরাকে এ মূর্হতে ভীষণ অসহায় রূপে দেখা গেলো।তার পক্ষে কিছুতেই মাংস খুঁচে গু’লি বের করা তো আর সম্ভব না। কিছুতেই না! সে ধরা গলায় বলল,

-” চলো হসপিটালে যাই। আমার পক্ষে গু’লি বের করা সম্ভব না। দ্রুত ওঠো। ”

আলসেমি নিয়ে উশান উঠে বসল। মুখোশ্রীতে তার বিরক্তি মাখামাখি। ফাস্ট এইড বক্স থেকে সার্জিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে সে এগোল ড্রেসিং টেবিলের দিকে। যেতে যেতে বলল,

-” এটা আমি নিজেই করতে পারবো। হসপিটালে যাওয়ার দরকার নেই। ”

আরশিতে নিজের ক্ষতস্থানটা গভীর চোখে দেখল কতক্ষণ উশান। গু’লিটা আঁটকে রয়েছে হাড্ডিতে। বের করতে বেশ বেগ পেতে হবে। সে সার্জিক্যাল ছু’রিটা হাতে নিল। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করতে লাগল গু’লিটাকে। মীরা তখন থ! হাত পা অবশ হয়ে তার। লোকটা কি মানুষ? এভাবে গু’লি বের করছে।ব্যাথা পাচ্ছে না? উঁহু!চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে খুব মনোযোগ সহকারে সাধারণ কোনো কিছু করছে।যন্ত্রণার বিন্দুমাত্র আচঁ নেই মুখোশ্রীতে।ছু’রি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে গু’লি বের করা শেষে উশান ফিরে এলো নিজের আগের স্থানটায়।

-” তুমি কি মানুষ? ”

উশান দুর্বোধ্য হাসলো৷ মোলায়েম কন্ঠে শুধাল,

-” নাহ তো! আমি মানুষ না। আমি জ্বিন, ভ্যাম্পায়ার অর সামথিং। তোমার আমাকে কোনটা মনে হয়? ”

-” ফাজলামো করবে না! ”

-” ফাজলামো কই করছি জান? ”

-” টিপিক্যাল ওয়ার্ড ইউজ করবে না। ”

উশান শব্দ করে হেঁসে ফেলল। ক্লান্ত দেহ এলিয়ে দিল তুলতুলে বিছানায়। মীরা এবার নরম হাতে ব্যান্ডেজ করে দিল। মীরাকে দেখতে দেখতে উশান জিজ্ঞেস করল,

-” হটাৎ আমাকে মানুষ মনে হলো না কেন তোমার?কিসের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বললে? ”

মীরা ব্যান্ডেজ করা শেষ করল। জবাব দিল,

-” যেভাবে গু’লি বের করছিলে..! ব্যাথা লাগেনি?”

-‘ উঁহু তো! নাহ্।” হাসতে হাসতেই গম্ভীর হলো উশান। কেমন অন্যমনস্ক হলো। ফের বলে উঠলো,

-” রাহনুমা আম্মুর চোখ দু’টো ঠিক এভাবেই উঠিয়ে নিয়েছিল মীরা জানো? ”

আহত দৃষ্টিতে তাকাল মীরা। উশানের অন্তঃস্থলে প্রতি ক্ষণে ঠিক কিরূপ প্রলয় বইয়ে যায় তা বুঝি সে আন্দাজ করতে পেরেছে। তার মাঝেমধ্যে শ্বাস রুখে আসে এই ভেবে, উশান আসলে কেমন আছে?আসলেই কি ভালো আছে? মীরার তো মনে হয় না তা। উশান রুমিশার কঠিন মৃ’ত্যু দেখেছে নিজের আঁখিদ্বয় সম্মুখে। লোকটার কি ভালো থাকার কথা? স্থিরচিত্তে প্রশান্তি পাওয়ার কথা?

উশান উঠে বসলো। কাবার্ডে গিয়ে ইউনিফর্ম খোঁজা শুরু করল। কর্মস্থলে অন্য শার্ট পড়ে তো আর যাওয়া যায় না। কিন্তু তার ইউনিফর্ম নেই এখানে।সব উজানের বাসায়। তপ্তশ্বাস ফেলে বিরক্তিতে অধর জোড়া ‘ চ’ এর ন্যায় করল সে। এরিকের জন্য তার আজকের পুরো দিনটাই মাটি!

-” ঢাকায় এসেছ কেন?তোমাকে না বললাম চট্রগ্রাম যেতে? কেনো কথা শুনো না মীরা! চলো। তোমাকে উজানের ফ্লাটে দিয়ে আসি। কাল সকালেই ঢাকা ছাড়বে তুমি। কথার হেড়ফেড় যেনো না হয়! ”

মীরা নড়েচড়ে বসল। জেদ ধরে বলল,

-” যাবোনা। কি করবে? মারবে?”

-” দরকার পড়লে তাই করবো। চড়াবো ধরে মেয়ে! ”

আঁড়চোখে উশানকে দেখে উঠে দাঁড়াল মীরা। কি পরিমাণে বদ লোকটা ভাবা যায়? মীরা – উশান ড্রইং রুমে আসতেই লা’শ গুলো দেখে মীরা কিয়ৎ কেঁপে উঠলো। মনে পড়লো সে জীবনে প্রথমবারের মতো মানুষ মে’রেছে। বিনা দ্বিধায়! মীরাকে থামতে দেখে, অন্যমনস্ক হয়ে মনমরা হতে দেখে উশান বিষয়টা ধরতে পারল। সে মীরার নিকট এগিয়ে মোলায়েম কন্ঠে বলল,

-” রিলাক্স মীরা! ওরা খারাপ মানুষ। খারাপ মানুষ কে মা’রা কোনো গুনাহের কাজ না। কোনো দোষের ও কাজ না। মাইন্ড ফ্রী করো। দেখি তাকাও আমার দিকে। এই মেয়ে! ”

মীরা তাকাল। নেত্রপল্লব ফেলছে সে বারংবার। কোনো মতে নিজেকে সামলে বলল,

-” ওদের লা’শ কি করবেন? ”

-” আমি কিছুই করবো না।উজানকে আসতে বলেছি ম্যাসেজ করে। ও দেখবে বাকিটা। আর ওদের মে’রে ফেলার উপযুক্ত কারণ আমি হেড কোয়ার্টারে দেখিয়ে দিব যদিও প্রয়োজন হবে বলে মনে হয়না। এখন চলো। আমার লেট হচ্ছে। ”

যাত্রাপথে এরিকের এরূপ আচানক হামলা করার কারণটা উশান মীরাকে খুলে বলল। কায়দা করে, চতুরতার সাথে এড়িয়ে গেলো সে তূর্শী কেনো মীরা কে মা’রতে চেয়েছে সেই ব্যাপারটা। মীরাও তেমন ধ্যান দিল না। সে ভাবছে অন্যকিছু। হটাৎ করেই নিজে খু’ন করার ব্যাপারটা তার মাথায় ঝেকে বসেছে পাকাপোক্ত ভাবে।

কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতেই মীরা হুঁশে আসল। নেমে যেতে গেলে উশানের পেছন হতে বাধা প্রদানে সে থামল। পিছন ফিরে বলল,

-” কি হয়েছে? ”

জবাব দিল না উশান। সে মীরাকে কাছে টেনে কপালে অধর ছোঁয়ালো। পরপর মীরাকে তাড়া দিয়ে গাড়ি থেকে বের করে একটানে মীরার দৃষ্টিসীমার বাহিরে চলে গেল। মীরা সেদিকে তাকিয়ে রইল কতক্ষণ। একরাশ ত্রপাকে মনের অন্দরমহলে পুড়ে নিয়ে সে ফিরে চলল।

চলবে~

( আজ সকলে বিশাল বিশাল মন্তব্য করবেন প্রিয় পাঠকগণ। ভালোবাসা রইল..💜)

লেখিকার পাঠকমহল-

দোলমহল-|Stories Of Sadiya Mehruj |

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here