#হৃদয়েশ্বরী – ৪৫
সাদিয়া মেহরুজ দোলা
সিলেটের এক গ্রামাঞ্চলে কাল আকাশপথে হা’মলা হয়েছে। বো’মা হা’মলা। হেলিকপ্টার থেকে বো’মা নিক্ষেপ করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় নিহত হয়েছে প্রায় পঞ্চাশোর্ধ মানুষ। ফসলি জমি, সেখানকার কিছু ঘরবাড়ি তৎক্ষনাৎ বো’মা নিক্ষেপ করার কারণবশত ধ্বংস হয়ে ছাই। আচানক এমন কান্ডে এয়ার ফোর্স যখন হেলিকপ্টার নিয়ে ছুটলো আকাশপথে সেই হেলিকপ্টার’টাকে আয়ত্তে আনার জন্য, তৎক্ষনাৎ দেশবাসীকে চমকে দেয়ার জন্য ঘটলো আরেক অনা – আকাঙ্খিত ঘটনা!বিকট এক শব্দে সেই হেলিকপ্টার ব্লাস্ট হয়ে আকাশপথ থেকে ছিটকে ভূমিতে আছড়ে পড়ল। সেই ক্ষণটায় আরো হতাহতের কান্ড ঘটল। আগুনের লাভা গাছে পড়ে আগুন লাগল। পুরো দেশের মানুষেরা তখন স্তব্ধ, কিংকর্তব্যবিমুঢ়! প্রতিরক্ষা বাহিনীর মাথায় হাত। কি থেকে কি হয়ে গেলো!তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে গেল এই বো’মা হামলা। থমকে রয়েছে যখন দেশের মানুষের বুঝতে বাকি নেই ১৯৯৯ সালের সেই ধ্বংসযজ্ঞ পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টি হতে চলেছে।
অম্বরে অর্ধবৃত্তের ন্যায় চাঁদ উঠেছে। চাঁদের স্বচ্ছ, ঝলমলে রশ্মি তখন বাতাবরণ জুড়ে চাদরের ন্যায় বিছিয়ে রয়েছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা থমথমে সমীর জানান দিচ্ছে আজকের রাতটি হবে উত্তপ্ত! ভ্যাপসা গরমে কাহিল অবস্থা। গুমোট অম্বরে মেঘ নেই।তিমীরাবৃত, কলুষিত আঁধারে বিলীন অন্তরীক্ষ। চাঁদের ঝলমলে আলো গায়ে লাগাতে মীরা মাত্রই বারান্দায় এসে বসল। তার মুখ শুকনো, ফ্যাকাশে। কোমড় অব্দি চুলগুলো থমথমে তপ্ত অনিলের ছোঁয়া পেয়ে এলোমেলো হয়ে উড়ছে। মীরা পা গুটিয়ে বসল মেঝেতে। তার মলিন দৃষ্টিপাত আবদ্ধ করল দূর আকাশের স্বচ্ছ, চকচকে চাঁদটার দিকে। চোখের কোণে তার অবহেলায় লেপ্টে থাকা অশ্রুরা রশ্মির দর্শন পেয়ে চিকচিক করে উঠল। ঠোঁট ভেঙে আচানক কান্না আসল মীরার।কান্না উপচে আসল দুঃখে নয় রাগের প্রকোপে!মীরা যখন মাত্রাতিরিক্ত রেগে যায় তখন তার কান্না পায়। কান্নার দলাটাকে সে পরপর দুমড়ে মুচড়ে ভেতরে পুড়ে নিল। স্বগোতক্তি করল,
-“পৃথিবীর চরম বদমাইশ লোক তুমি উশান!তোমাকে সামনে পেলে আমি…,”
পরবর্তী শব্দটা শব্দ ভান্ডারে খুঁজতে গিয়ে মীরা স্বগতোক্তি করা থামাল। পরক্ষণেই শব্দটা খুঁজে পাওয়া গেলেও সে তা উচ্চারণ করল না। মৌন রইল। তার নিকট বিষাক্ত লাগছে সবকিছু। কারণটা উশান।
উশান যেদিম তাকে উজানের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গায়েভ হলো সেই যে..আর দেখা নেই তার! মাঝে উশান মীরাকে একবার ফোন দিয়ে বলেছিল, যাতে সে চট্রগ্রাম ফিরে যায়।মীরা উশানের কথা শোনেনি, তার আদেশ মানেনি, অনুরোধ রাখেনি! মীরার সেই মূর্হতে একটাই জেদপূর্ণ আবদার, মীরা চট্টগ্রাম যাবে না মানে যাবেইনা! সে ঢাকায় চাকরি করবে। মায়ানাকে এখানে নিয়ে আসবে। মাহদি তো আর দেশে নেই। সুইজারল্যান্ড গিয়েছে। ব্যাবসায়ীক কাজে। দু’বছর হলো তাও ফিরেনি এখনো। মীরার এমন জেদ দেখে উশান চুপ ছিল। কিছু বলেনি। মনে মনে প্রথমবার আফসোস করল, কেনো সে তার বিপরীত ধর্মী নারীর প্রেমে পড়ল না? উশান – মীরা একই স্বভাবের। জেদী এবং বড্ড বেশি রগচটা! মানুষ পড়ে বিপরীত ধর্মী মানুষ এর প্রেমে। আর মীরা – উশান? তারা পড়েছে তাদের স্বভাবেরই ব্যাক্তির প্রেমে!
মীরা ঢাকায় একটা ফ্লাট ভাড়া নিয়েছে। ফুপির কাছ থেকে মায়ানকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছে চট্টগ্রামে গিয়ে। এখন সে, রুহি, টুইঙ্কেল আর মায়ান একসাথেই থাকে। মীরা চাকরি খুঁজছে! হয়েও যাবে হয়ত অল্প কয়েকদিনের মাঝে। উশান ভীষণ ক্ষুদ্ধ! মীরা কেন তার কথা শোনেনা? সে কি আর মীরার ক্ষতি চায়? নাতো..! এই করে দু’জনের কথা বলা বন্ধ আজ ১২ দিন হবে।কথা বলাটা বন্ধ মীরার তরফ থেকে। উশান তো চরম ব্যাস্ততার কারণে তার অভিমানীর সঙ্গে একদণ্ড কথা বলতে পারছে না।
পর্দার আড়াল থেকে মীরার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে টপাটপ দুই থেকে চারটা মীরার ছবি তুলল রুহি। তারপর সেই ছবিগুলো পাঠাল উশানের ইনবক্সে। সাথে ম্যাসেজ দিল,
-” আপনার জন্য মেয়েটা দিন দিন সন্নাসী হয়ে যাচ্ছে উশান ভাই! প্লিজ কাম ব্যাক সুন। মীরাকে মানুষ থেকে সন্ন্যাসী হওয়া থেকে বাঁচিয়ে নিন!আমি অবশ্যই চাই না আমার একটা মাত্র বান্ধবী এমন সন্ন্যাসী হয়ে দিনকে দিন মাথা পাগল হয়ে ঘুরে বেড়াক।”
উশান মিটিং এ ছিল। মিটিং শেষ হলো মাত্রই আর সঙ্গে সঙ্গে তার ফোনে ম্যাসেজ ‘টিউন ” এর শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়ে তার কানে এসে বাজল। মিটিং রুম থেকে বের হতে হতে উশান তার সেলফোনে আসা ম্যাসেজটা চেক করল। রুহির ম্যাসেজ। মীরার ছবি পাঠিয়েছে কয়েকটা সাথে ক্ষুদ্র বার্তা। সেই ক্ষুদ্র বার্তাটিকে রেখে উশান ছবিতে ক্লিক করল। মীরার প্রতিচ্ছবি চক্ষু সম্মুখে স্পষ্টত হতেই তার বক্ষঃস্থল শীতল হলো বৈকি তবে মীরার হাল দেখে সে কিঞ্চিৎ কপালের চামড়া কুঁচকালো!মীরার মুখোশ্রীতে রাগের আচঁ সাথে অন্তঃস্থলের অদৃশ্য চাপা কষ্ট ফুটফুটে অবস্থায় ফুটে রয়েছে। উশান হতাশ দৃষ্টিতে আরেকবাট মীরাকে পরখ করে পাওয়ার বাটনে চাপ দিয়ে ফোন বন্ধ করে দিল। সামনে এগিয়ে যেতে যেতে বিড়বিড়িয়ে বলল,
-” রাগ করার কথা আমার। উল্টো রাগ করে বসে আছে সে! ”
____
পঁচিশ মিনিট যাবৎ একই ভঙ্গিতে বসে থাকার পর মীরার হুট করে মনে হলো সে বোকামি করছে সঙ্গে ন্যাকামিও! এসব করা কি তার মানায়? পঁচিশটা বছর পেড়িয়ে আজ রাতে সে ছাব্বিশ বছরে পা দিতে চলেছে। তার তো থাকা উচিত একদম কঠিন রূপে, ম্যাচিউর হয়ে। সে কিনা এতোবড় দামড়া মেয়ে হয়ে টিপিক্যাল কিশোরীদের মতো আচরণ করছে? আশ্চর্য তো! হলোটা কি তার?
গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াল মীরা। কক্ষে পা রাখতেই প্রখর শব্দ কর্ণপাত করে তার কান এঁটো হলো।ভীষণ রকমের বিরক্তি নিয়ে সম্মুখে পূর্ণপাত দৃষ্টি আবদ্ধ করতেই সে থমকাল! চমকাল! বাকরুদ্ধ হয়ে রইল।
-” হ্যাপি বার্থডে মীরা..!”
রুহি, উমাইশা সাথে আরো কয়েকজনের জোড়াল চেঁচানোর সুর। উজানের কোলে মায়ান। সে বোনের দিকে হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে। টুইঙ্কেল দৌড়ে এসে মীরাকে একপ্রকার ঝাপটে ধরল। মীরা হাঁটু গেড়ে বসে টুইঙ্কেল কে কোলে তুলে নিল। টুইঙ্কেল তার হাতে লুকানো ছোট্ট বাক্সটা এবার সামনে আনলো। বলল,
-” তোমার বার্থডে গিফ্ট মিষ্টি। খুলো এটা। ”
টুইঙ্কেল কে একহাতে জড়িয়েই মীরা ছোট্ট বাক্সটার র্্যাপিং পেপারটা খুলে বক্সের বদ্ধ মুখ উন্মুক্ত করে দিল। ভিতরে ছোট্ট একটা প্রজাপতির ক্লিপ। বেশ আকর্ষণীয়। মীরা টুইঙ্কেলের গালে চুমু খেল। বলে উঠলো,
-” গিফ্ট’টা খুব বেশি সুন্দর প্রিন্সেস। থ্যাঙ্কিউ! কাকে দিয়ে আনিয়েছ এটা? ”
-” লাফঝাঁপ এনে দিয়েছে। ”
মীরা সামনে এগোল। উমাইশা তাকে জড়িয়ে ধরল। উজান, রুহি উইশ করল তাকে। মায়ান লাফ দিয়ে উজানের কোল থেকে নেমে মীরার পাশ ঘেঁষে দাঁড়াল। টুইঙ্কেলের দিকে সে কটমট চোখে তাকাল। তার মতে এই মেয়েটা আসার পর থেকে মীরা তাকে কম ভালোবাসে। তাই সে টুইঙ্কেল কে সহ্য করতে পারেনা। দেখলেই ঝগড়া করে তবে তা মীরার দৃষ্টি অগোচরে।
-” তোমরা কখন আসলে আপু? ”
-” এইতো একটু আগে। উজান নিয়ে আসল। আজ যে তোমার বার্থডে এটা আমাদের উশান ফোন করে জানাল। বলল তোমার বাসায় একটু যেতে। ও না বললেও আমি চলে আসতাম! ”
রাত ১১ টা ৫০ পর্যন্ত সবার খোশগল্প চলল।অতঃপর মীরার জন্য অর্ডার করা কেক এসে পৌঁছাতেই সবাই কেক কাটার জন্য প্রস্তুতি নিল।মীরা হাসঁফাসঁ করছে। বারংবার সদর দরজার প্রতি গভীর চাহনি নিক্ষেপ করছে। উশান কি আসবে না? এতো রাগ, ক্ষোভ? মীরা আচানক দ্বিধা ফেলে সবার সামনে জিজ্ঞেস করে বসল,
-” আপু? উনি কি আসবে না? ”
উমাইশা ধরতে পারল না কথাটা। সে প্রশ্ন করল,
-” এই ‘ উনিটা’ কে? ”
মীরা ইতস্তত বোধ করে জবাব দিল,
-” উশানের কথা বলছিলাম। ”
-” অহ! না। ও আসবে না। ওর নাকি দরকারি কাজ আছে। ”
মীরার হটাৎ মন খারাপ হলো। বুক ব্যাথা হওয়ার মতো মন খারাপ৷ ভীষণ, ভীষণ মন কেমনের গল্প নিয়ে সে কেক কাটল। তার চারিপাশে হৃষ্টচিত্ত তাকে ঘিরেই অথচ সে মনমরা। মলিনতা তার কাওকে বুঝতে দিল না। হাসি হাসি মুখে কয়েক প্রহর পার করে দিল। রাত বাড়লো! তখন রাত তিনটা হবে। যে যার মতে ঘুমোতে চলে গেছে। মীরার সবকিছু গুছিয়ে নিজের কামড়ায় আসল। দরজা ভিড়িয়ে রেখে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। কাঁদলো কতক্ষণ নিজমনে।পরক্ষণেই নিজেকে শক্ত করে উঠে বসল। এভাবে কাঁদলে কি হবে? কিছুই না! কিচ্ছুটির সমাধান হবে না।
-” কান্নাকাটি শেষ? ”
বিরক্তিমাখা কন্ঠ! বড্ড চির – পরিচিত মীরার এই কন্ঠস্বরটা। চমকিত হয়ে সে পিছনে ঘুরল। উশান বসে সোফায়। আয়েশী ভঙ্গিতে! তার তাকানো মাত্র সে উঠে দাঁড়াল। হাতের সেলফোন মীরার সামনে ধরে বলল,
-” আধাঘন্টা যাবৎ বসে আছি। কতক্ষণ কাঁদতে পারো তুমি তার হিসাব করলাম। গড! প্রায় ৩৫ মিনিট ১২ সেকেন্ড ধরে কাঁদছ। এতো ছিচকাদুঁনে হলে কবে? ”
রাগ, হৃষ্টচিত্ততা, বাহারি ক্রন্দন! অনুভূতির পুরো এক সংমিশ্রণ। মীরা কোনটা রেখে আগে কোন অনুভূতিটাকে প্রকাশ করবে তা ভেবে ভেবে একটু অন্যমনস্ক হলো। তারপর আচানক লাফিয়ে উঠে উশানের শার্টের কলার চেপে ধরে ধমকে বলল,
-” বে’য়াদব লোক! ফাজলামো হচ্ছে? তোমাকে আমি চড় লাগাব আজ। ”
উশান রসিকতার সুরে প্রতিত্তুর করল,
– ” তো লাগাও! নিষেধ করেছি? এই নাও গাল দিলাম বাড়িয়ে। জলদি করো। অনেক কাজ আছে আজ। ”
মীরা থাপ্পড় লাগাল না। বরং চিমটি কাটল জোড়ে। উশান হেঁসে গাল সরিয়ে নিল। বলল,
-” ব্যাস এতটুকুই? এতোদিনের জমে থাকা ক্ষোভের মাত্র এতটুকু শাস্তি? ”
মীরা নিরুত্তর! উশান শার্টের কলার ছেড়ে সরে গেল সে। মীরা সরতেই উশান তাকে আপাদমস্তক দেখে, সুক্ষ্ম নজরে, খুঁটিয়ে খুটিয়ে! দেখা শেষে মীরার প্রতি দৃষ্টি ফেলে শুধায়,
-” লাল রঙে তোমাকে একদম টমেটোর মতো লাগছে মীরা। তোমার নাক, গালও লাল! পুরো আস্ত একটা টমেটো। ”
-” ছিহ্! কথার কি ছিঁড়ি! ”
উশান হেঁসে ফেলল। বলল,
-” লাল শাড়ীতে তোমাকে এতোটা সুন্দর লাগবে জানলে আমি অন্যান্য রঙের শাড়ী গুলো না এনে শুধু এই লাল রঙের শাড়ীই আনতাম। ”
ভ্রু দ্বয়ের মাঝে পরাপর সুক্ষ্ম করে ভাজ ফেলল মীরা। সন্দিহান গলায় শুধাল,
-” মানে কি! এই শাড়ী তো আমাকে উমাইশা আপু দিয়েছে। তুমি কখন দিলে? ”
-” আমিই কিনে দিয়েছিলাম আপুকে। যাতে আমার আসার আগেই তোমাকে শাড়ী পরিহিত অবস্থায় দেখতে পারি৷ রাস্তায় ছিলাম। জ্যাম ছিল প্রচুর।তাই লেট হলো। ”
মীরা নিশ্চুপ। আচানক উশান তার হাত ধরে কাছে টানল। মীরা হতবিহ্বল হয়ে তৎক্ষনাৎ বলল,
-” আরে আশ্চর্য! টানাটানি করছো কেন? দেখা করতে আসলেই শুধু টানাটানি। অ’শ্লী’ল লোক! ”
বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হলো না উশান। সে মীরার চিবুক ধরে নতজানু হয়ে থাকা মীরাকে সোজা করল। ঠোঁট ছোঁয়াল গভীর করে চিবুকে।গাল দু’টো আগলে ধরে অধরের স্পর্শ আকঁল অনবরত। গলায় নেমে এসে গভীর করে ঠোঁট ছোঁয়াল। মীরার অবস্থা তখন বেহাল! মুক্ত বাতাসে ওড়া ঘাসের মতো করে কাঁপুনি দিচ্ছিল অবিরত। কাঁপাটে কন্ঠে কোনোমতে
ধমকে বলার চেষ্টা করল,
-” ছাড়ো! ”
উশান ছাড়ল না মীরাকে। বরং বাঁধন নিবিড় করল। কানের পিঠে অধর ছুঁইয়ে দিতে দিতে জবাব দিল,
-” আজকে নো ছাড়াছাড়ি!নো দূরে যাওয়া – যাওয়ি। আজকে শুধু ভালোবাসা – বাসি হবে ম্যাডাম। লেট মি লাভ ইউ! ”
চলবে~
[ পর্বটা আরো বড় হতো। কিন্তু লিখতে ইচ্ছে করছে না আর বিধায় এখানেই ৪৫ পর্বের ইতি। রি-চেইক করিনি! ভালোবাসা.. 💜]