সুন্দর_স্পৃহা #সামিয়া_সারা #psychobasedstory পর্ব-১

0
2

#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory

পর্ব-১

-আমার অনুমতি ছাড়া স্পৃহা বাইরে বের হলো কী করে?

সুন্দর এর একটি হুংকারে পুরো বাড়ি যেন থরথর করে
কাঁপছে! তবে সুন্দরের তৈরি করা এ অসুন্দর পরিবেশেও
তাকে সুন্দর লাগছে| পরনের কালো শার্ট ভিজে একেবারে শরীরের সাথে মিশে আছে,চুল ভয়ংকর এলোমেলো হয়ে কপালের কাছে পড়ে আছে| হাতের ও কপালের শিরা ফুলে উঠেছে| বাড়িতে আজ যে একটা তান্ডব শুরু হতে চলেছে তা আর কারো বোঝা বাকি নেই|
স্পৃহা এ বাড়ির ছোট মেয়ে,সতেরো বছরের এ কিশোরী সুন্দরের জীবনের সম্পূর্ণ জুড়ে |

এমন সময় সদর দরজায় স্পৃহা দাঁড়িয়ে থমকে যায়,যেন জান তার হাতে | অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় সুন্দরের দিকে| ব্যাস! আগুনে ঘি ঢালার মতো যথেষ্ট ছিলো তার এ দৃষ্টি |

নিজেকে চেষ্টা করেও আটকাতে ব্যর্থ হয়ে হিংস্রতার সাথে স্পৃহার গাল চেপে ধরে |

-বাইরে কেন গিয়েছিলি?!

-ক….কলেজে ভ..র্তি হতে…

-বাড়িতে সব সুবিধা দেওয়ার পরেও বাইরে পা রাখার সাহস দিলো কে???

সুন্দর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে,তবুও
সে শান্ত হতে পারছে না।এদিকে স্পৃহার বাবা-মা তাকে যত
শান্ত হতে বলছে তার রাগ যেন বেড়েই চলেছে।

তার এবং তার স্পৃহার মাঝে দ্বিতীয় কিছুর প্রবেশ তার সহ্যের বাইরে।হাতের কব্জিতে শক্ত করে ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় স্পৃহাকে তার ঘরে।দরজা লাগিয়ে পুনরায় প্রশ্ন করে,এদিকে স্পৃহার গাল যেন দাঁতের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে।

-আমার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার সাহস কে দিয়েছে!
আ্যনসার মি! ডোন্ট ইউ নো দ্যাট ইউ আর ফুল ইন মাই কনট্রোল!?

স্পৃহার চোখ ভর্তি পানি,কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই সে। তার চোখে তাকিয়েই আতকে ওঠে সুন্দর,তার স্পৃহার চোখে পানি!

-এই! কী হলো? কাঁদছো কেন? কী হয়েছে তেমার? শরীর খারাপ লাগছে? কে কী বলেছে তোমাকে? নাাম বলো! ওকে এখনি
কবরে রেখে আসবো.. একের পর এক হুংকার করেই চলেছে সুন্দর ।

-চুপ কেন! কে তোমায় কী বলেছে? নাম বলো!

-সানজিল সুন্দর

-আমি? তোমার চোখে আমার জন্যে পানি?

-জ্বী

-ওহ্,তোমার চোখে পানি আনার অধিকার আমি ছাড়া আর কারো নেই। তাই অন্য কেউ ভুলেও এ দুঃসাহস দেখালে তার নাম বলো।

-এর মানে এই না আপনি যা খুশি তাই করবেন।

-তাই-ই,আামার যা খুশি তোমার সাথে তাইই করবো। এ অধিকার একমাত্র আমার।

সুন্দরের সাথে তর্ক করা বৃথা বুঝতে পেরে স্পৃহা নিশ্চুপ। এই মুহূর্তে একা থাকতে চায় সে, কিন্তু সুন্দরের চোখ থেকে যেন আগুনের ঝলক আসছে,কিছু বলারও সাহস আর পাচ্ছে না তাই। (লেখক-সামিয়া সারা)

-আচ্ছা স্পৃহা,একটা কথা বলতো,তুমি কি জানতে না আমার গার্ডরা সবসময় তোমাকে নজরে রাখে ?? তবুও তুমি বাইরে বের হওয়ার মত দুঃসাহস কি করে করলে?
কাম অন,টেল মি!

সুন্দরের ফোনে কল আসতেই সে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেল ।এক হাতে ফোন রিসিভ করে কানে নিয়ে আরেক হাত দিয়ে দেয়ালে অনবরত ঘুসি দিয়েই চলেছে ।হঠাৎ তার চেহারার
ভঙ্গি বদলে যায়,হুংকার দিয়ে বলে আমার স্পর্শেরর সাথে যারা
কথা বলেছে তাদের কারো যেন আওয়াজ না থাকে।
সকলের আওয়াজ বন্ধ করার ব্যবস্থা কর!

১৫ মিনিট ,মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তুমি তিনটে মানুষের আওয়াজ নষ্ট করলে স্পর্শ!!।তোমার সাথে কেউ কথা বলবে আর তা এই সানজিল সুন্দর সহ্য করবে! এটা কখনোই হতে পারে না ।তুমি এ খবর অবশ্যই শুনবে। কারন তোমার মনে ভয় থাকা দরকার ।তোমার সাথে কথা বলার শাস্তি আমি কতটা ভয়ানক ভাবে কাউকে দিতে পারি!

সুন্দর ঘরে ফিরে আবার স্পৃহার কাছে দাঁড়ালো।এবার শান্ত গলায় তার চোখে তীক্ষ্ণ সৃষ্টি দিয়ে বলল,

-এমন ভুল যেন আর কোনদিন না হয়। আর কোনদিন যদি ভুল করেও হয় তবে তার পরিণতি তুমি সামলাতে পারবে তো?

সুন্দরের এই শান্ত শীতল হুমকি স্পৃহার শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল হাওয়া বয়ে যাওয়ার মত অনুভূতি দিল। তবে কি সুন্দর খারাপ কিছু করে ফেলল?

-আপনি এমন করছেন কেন? গত দুইটা বছর যাবত আমার জীবনে এভাবে পড়ে আছেন। সমস্যা কি আপনার ?
কি চান ? এত নিষ্ঠুর মানুষ কি করে হতে পারে বলুন ?
কী আপনার প্ল্যান ? কি করেছেন ?খারাপ কিছু নিশ্চয়ই করেছেন আপনি!
কী হলো !চুপ করে কেন ? জবাব দি…

-শ্শশশ্!

স্পৃহা কে আর একটি কথাও বলতে দিল না সুন্দর…..

(চলবে….)
#Running
Written by Samia Sara
Story name: #shundor_spriha

আগের একাউন্ট নষ্ট হয়ে গিয়েছে কোটা নিয়ে একটি পোস্ট করার কারনে 😞। সবাই প্লিজ আবার সাপোর্ট করুন। আপনাদের এত ভালোবাসা আমার জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!🥹

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here