📌📢এলার্ট
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory
পর্ব-৭
-বাসর রাতে বলব। সারপ্রাইজ থাকলো।
-বাসর রাত নাও আসতে পা..
কথা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই স্পৃহার ঠোঁট সুন্দরের দখলে চলে গেল। সেই দখলে নমনীয়তা ছিল না, ছিল হিং*স্রতা। রাগ ক্ষোভ মিশ্রিত করে বি*ধ্বস্ত করে দিল তার অধর। নিঃশ্বাস ছাড়ারও উপায় পাচ্ছিলো না স্পৃহা। সুন্দরের এক হাত দিয়ে স্পৃহার মুখের সাইডে আর ঘাড়ে স্লাইড করছে এবং অপর হাত কোমর পেচিয়ে উন্মু*ক্ত পে*টে শক্ত করে চেপে রেখেছে। স্পৃহা ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠল। কিন্তু তার ছোটাছুটি যত বেশি হচ্ছে
সুন্দর তত বেশি স্পৃহার অধর আকরে রয়েছে। তার সঙ্গে
নিজের পাঁচ আঙুল স্পৃহার নরম মেদহীন পেটে এমন ভাবে ধরে রেখেছে যেন রক্ত বেরিয়ে আসবে এখনি। স্পৃহা নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার হাতের নখ দিয়ে সুন্দরকে একের পর এক আঁচড় দিতেই থাকলো । তবুও যেন সুন্দর থামছে না। টানা অনেক সময় পরে সুন্দর স্পৃহাকে ছেড়ে দেয়। ঠোঁট দিয়ে গড়গড় করে র*ক্ত পড়ছে। থেতলে গিয়ে এমনভাবে ফুলে উঠেছে যেন মনে হচ্ছে এক্সি*ডেন্ট করেছে । অপরদিকে পে*টে র*ক্তের ছোপছোপ দাগ। স্পৃহার চোখে পানি দেখে হুঁশ ফিরে সুন্দরের।
-স্পর্শ ! বেশি লেগেছে??? কাঁদছো কেন তুমি?
সুন্দর যত্ন নিয়ে ঠোঁট থেকে র*ক্ত মুছে দিচ্ছে আর একের পর এক প্রশ্ন করেই চলেছে।
-তোমার চোখের পানি আমি সহ্য করতে পারি না।Please don’t cry.
স্পৃহা কোন কথার উত্তর দিল না। তার মুখ অবশ হয়ে আসছে। সুন্দর তারাহুরো করে এ্যান্টিসেপটিক এনে ঠোঁটে লাগিয়ে দিল। স্পৃহার ইচ্ছা করছে অনেক কিছু বলতে ,কিন্তু সে কিছুই বলে না ।মুখ থেকে যেন কথা বেরোচ্ছে না ।শুধু চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে ।এক দৃষ্টিতে সুন্দর এর দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখের ভাষা কি সুন্দর বোঝে না ?
-স্পর্শ এভাবে তাকিয়ে থেকো না ! আমি তোমার জন্য পুরো পৃথিবী ধ্বং*স করে দিতে পারি। তোমার এই দৃষ্টিতে অপরাধবোধে আমি নিজে ধ্বং*স হয়ে যাবো । দয়া কর ! আর এ ধরনের কথা কখনোই বলো না যাতে আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারি । তোমার মনে পড়ে সেদিনের কথা?
কথা বলতে বলতে সুন্দর নিজের হাত স্পৃহার পে*টের দিকে বাড়ায় । স্পৃহা বাধা দিতে গেলে তার হাত থামিয়ে বলে ,
-ইনফেকশন করবে। ঔষধ টা লাগাতে দাও।
স্পৃহার শিরদাঁড়া দিয়ে যেন ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে। বি*ধ্বস্ত পাতলা ঠোঁট কাঁপছে তিরতির করে। সুন্দর ঔষধ তার পে*টে লাগিয়ে দিয়ে আবার স্পীহার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
– তোমার কি মনে পড়ে সেদিনের কথা?
স্পৃহা ঘাড় নাড়িয়ে না বোঝালো ,তারমানে তার মনে নেই ।সুন্দর কথা বাড়ালো না। তার স্পৃহাকে এতটা আঘাত করেছে সে। আজকে সে নিজেই নিজেকে শাস্তি দিবে! সুন্দর চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু আবার ফিরে এসে স্পৃহার মুখ বরাবর নিজের মুখ এনে বললো ,
-সরি স্পর্শ !
একটি মলিন হাসি দিয়ে সে আবার বেরিয়ে গেল।
.
.
সুন্দর অনেকক্ষণ হলো চলে গিয়েছে ।স্পৃহার মাথায় তখন থেকে একটি চিন্তা ভর করে রয়েছে । সুন্দরের সে কথা ,”তোমায় কি মনে পড়ে সেদিনের কথা ?”
স্পৃহার সব মনে আছে । সে ভুলবে কি করে? তার জন্য একটি মানুষের উপর কিভাবে নিশং*সভাবে অত্যা*চার করা হয় ! বেঁচে আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করার স্পর্ধাও হয়নি তার। সুন্দর তার মুখে অন্য কোন ছেলের কথা শুনলে যেটুকু প্রাণ থাকবে সেটুকু নিয়ে নিবে এই ভয়ে কখনো সে কথা তুলে নি।
সেদিন স্পৃহার স্কুলে বড় আপুদের বিদায় সংবর্ধনা ছিল। স্পৃহা ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করায় শাড়ি পড়ে গিয়েছিল। আর স্টেজে তখন গানের কনসার্ট হচ্ছিল ।
“Naina laage toh jaage,
Bina dori ya dhagee …
Kaisa yeh ishq hai,
Ajab saa risk hai…”(Ishq risk)
আশেপাশে যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় তাই সে কোমরে শাড়ি গুজে আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করছিল । হঠাৎ একটি ছেলে তাকে ক্রস করার সময় তার সাথে ধাক্কা লাগে। স্পৃহা পড়ে যেতে গেলে ছেলেটি তার কোমর শক্ত করে চেপে ধরে আরেক হাত দিয়ে নিজে চশমা ঠিক করে ছোট করে সরি বলে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ করে উপর থেকে কিছু পরা শব্দ হলে সবাই সেদিকে দৌঁড়ে যায়। এ ভিড়ের মধ্যে স্পৃহা নিজেও দৌঁড়ে গিয়ে দেখে একটু আগের ধাক্কা খাওয়া সেই ছেলেটি পড়ে আছে! ভয়ানক এই দৃশ্য দেখে সে থমকে
যায় । হঠাৎ করে নিজের হাতে হেঁচকা টান অনুভব করায় পেছনে তাকিয়ে দেখে সুদর্শন এক পুরুষ তার হাত ধরে রয়েছে।
স্পৃহার মুখ দিয়ে তখনও কোন কথা বেরোচ্ছে না। পলকহীন ভাবে তাকিয়ে রয়েছে। তার দৃষ্টি যেন বলছে ,”কী চাই?”
ছেলেটি তাকে টেনে ক্লাস রুমে নিয়ে গেল। রুমের দরজা বন্ধ করে বলল ,
“এত আতঙ্কিত হলে কেন ?”
স্পৃহা তার জবাব না দিয়ে বলল ,
“কে আপনি ? আমাকে এখানে এনেছেন কেন ? আর দরজা বন্ধ করলেন কেন ?”
ছেলেটি কোন উত্তর না দিয়ে আবারো বলল,
– তোমার চোখে আমি যেন অন্য কারো জন্য আতঙ্ক না দেখি।
-আশ্চর্য মানুষ আপনি ! এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে! আর আপনি অমানুষের মত আমাকে এসব কথা বলছেন ?
-দুর্ঘটনা আমি ঘটিয়েছি ।আর তা শুধুমাত্র তোমার জন্য।
স্পৃহা এক কদম পিছিয়ে গেল । তার বিশ্বাস হচ্ছে না সে এই মুহূর্তে একটি পাগলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
-দেখুন আমায় যেতে দিন । আমি আপনার কোন ক্ষতি করিনি।
-ঐ জানো*য়ার তোমার কোথায় ছুঁয়েছে ?
-আমাকে কেউ কোথাও ছোঁয়নি। প্লিজ আমার কাছে
আগাবেন না । আমাকে যেতে দিন! আপনি এখান থেকে না গেলে আমি সবাইকে ডেকে জড় করব! যেতে দিন আমায়।
-তুমি সানজিল সুন্দরকে ভয় দেখাচ্ছো ? তোমাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তো আমি ধরিনি ।তোমার কোন ছাড় নেই! সুন্দরের চোখ অসম্ভব লাল ।সে এখন কি করবে নিজেও জানে না। হঠাৎ করে নিজের সাদা শার্টের এক অংশ ছিড়ে ফেলল ।স্পৃহা কে পেছন থেকে জড়িয়ে ডান হাত দিয়ে তার মুখ চেপে বাম হাত দিয়ে পেটে অনবরত ঘষেই চলেছে।
-এখানে টাচ করেছে তাই না?
স্পৃহা আওয়াজ করতে না পেরে মাথা ঝাঁকিয়ে চলেছে।
এক সময় সুন্দর খেয়াল করে তার হাতের সাদা কাপড়টি লাল বর্ণ ধারণ করেছে,
“স্পর্শ!”
(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:7
আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖Good night 🥺
N.B. -Don’t copy