#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory
পর্ব- ৯
-সুন্দর ভাই আর কাউকে নয় বরং স্পৃহা কে ভালোবাসতো। আমি আর লিহান বিষয়টি বুঝতে পেরে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম কারণ ভাই হঠাৎ সেদিন এসেই এমন কিছু করবে ভাবিনি।
-আচ্ছা আরিয়ান সবই বুঝতে পারলাম ,কিন্তু একটা বিষয় আমার মাথায় ঢুকছে না ।হঠাৎ সেদিনই তোদের সুন্দর ভাই কেন গেল স্কুলে?
লিহানের সোজা জবাব,
-আমারও সেটা প্রশ্ন । ভাইয়া কখনো আমাদের সাথে কনসার্টে যায় না । কিন্তু হঠাৎ সেদিন সেখানে উপস্থিত হয় ।
-হ্যাঁ ,আসলে বিষয়টা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম । কিন্তু ওর ভাই যে বদমেজাজি কারোরই বলার সাহস হয়নি ।
-আমি একবার ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আরিয়ান নিষেধ করল । কারণ ভাইয়া বুঝে যেতে পারে যে
তার ভালোবাসার মানুষকে আমিও ভালোবাসি । না হলে এত আগ্রহ দেখাচ্ছি কেন। আরিয়ানের বিষয়টা যুক্তি সম্মত হওয়ার কারণে আমি এ বিষয়ে নিয়ে কথা বাড়াইনি।
-আচ্ছা সেসব কথা রাখ ।ভাগ্যে যা ছিল তা হয়েছে ।এখন সবটা তো শুনলাম। তোমরা কি বলো ?আমি কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
.
আরিয়ান আর লিহান কোন জবাব দিল না । একে ওপরের চোখের দিকে তাকালো । লিহান নিজেও বুঝতে পারছে না কী করবে । সে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু উঁচু করে বোঝালো
কী বলব?
.
.
.
.
স্পৃহার ঘুম ভাঙ্গলো প্রচন্ড জোড়ে মেঘের গর্জনে। বিদ্যুৎ চমকানোর শব্দে সে কেঁপে উঠল। হঠাৎই তার পাশে সুঠাম
দেহের অধিকারী কারো অস্তিত্ব অনুভব করে।
-ভয় পেও না,আমি আছি তো!
.
কণ্ঠ চিনতে কোনো অসুবিধা হলো না স্পহার। কিন্তু সুন্দরের শরীর ভেজা কেন? সে কি ভিজে ভিজে এসেছে?
– আপনি বৃষ্টিতে ভিজেছেন?
– হ্যাঁ।
– এই অবেলায়! আসার দরকার ছিল কী?
– তোমায় না দেখলে ঘুম হতো না।
– গাড়ি আনেননি? ভিজেছেন কেন?
– এনেছি
– তাহলে? মাথা মুছুন, ঠান্ডা লাগবে।
– লাগুক। এটা আমার শাস্তি।
– কীসের শাস্তি?
– তোমাকে আঘাত করার। আজকে সারাদিন আমি বৃষ্টিতে ভিজছে তাই। স্পর্শ! তুমি জানো আমি বৃষ্টির পানি সহ্য করতে পারি না? শাস্তি টা ঠিক আছে? ক্ষমা করে দিবে এখন?
– আপনার ভালো একজন ডাক্তার দেখানো উচিত। মানসিক রোগী আপনি।
– তুমি খুশি হওনি? শাস্তি কম হয়ে গিয়েছে স্পর্শ?
– জ্বর থেকে উঠেই আবার জ্বরে পড়তে চান?
– খারাপ না বিষয়টা। স্পর্শের স্পর্শে থাকা যায়।
– মাথা মুছুন!
– সারাদিন খাওনি কিছু?
– খেয়েছি। দুপুরে মা খায়িয়ে দিয়েছিল..
– কেন? তোমার হাত নেই? অন্য কারো হাতে কেন খেয়েছো তুমি!
– আপনি অসুস্থ, বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিন।
– তুমি আমার হাতে ছাড়া কারো হাতে খাবে না। আর কিছুদিন কষ্ট করে নিজের হাতে খাও। তারপর তোমার হাতেও তোমাকে খেতে দিবো না।
– ঠিক আছে। আপনি যান এখন,এ অবস্থায় থাকবেন না দয়া করে।
– শর্ত আছে..
– বলুন..
– তুমি মাথা মুছিয়ে দাও,তারপর যাচ্ছি…
.
এতক্ষন কি টানা বৃষ্টি হচ্ছিল?
.
.
.
বৃষ্টিতে লিহান আর আরিয়ান আটকে গিয়েছে। খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করেছিলেন আশিক ভাই। বৃষ্টি কমে আসলে ওরা বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। আশিক ভাই আবার লিহান কে ডেকে বলল,
– কী করলে ভালো হয়?
.
লিহান সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, তার কী বলা উচিত!
সে আরিয়ানের দিকে তাকালো। আরিয়ান লিহালের চাহনি দেখে তার অবস্থা বুঝতে পারে। তাই নিজেই ঝট করে উত্তর
দেয়,
– মে*রে ফেলেন ভাই!
(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:9
আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖
Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺🙏🏻Good night 🫠
N.B. -Don’t copy