সুন্দর_স্পৃহা #সামিয়া_সারা #psychobasedstory পর্ব-৫

0
2

#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory

পর্ব-৫

স্পৃহার ঘরের ফ্লোরে টুকরো টুকরো হয়ে আছে কিছুক্ষণ
আগের তার হাতে থাকা স্বাভাবিক ফোনটা। সুন্দরের আচমকা আগমনে স্পৃহার সুন্দরকে দেখে ভোরকে গিয়েছে। আচমকা হেচকা টান অনুভব করেছে শুধু ,কিন্তু ঘটনাটা কী ঘটলো বুঝতে তার কিছুক্ষণ সময় লেগেছে ।

তার হাতে থাকা ফোনটা এখন মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ফোনের প্রটেক্টর গ্লাস ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে আছে । ফোনের কয়েক খন্ড হয়ে গেছে ।এত জোর দিয়ে সুন্দর ফোনটি ফেলেছে , ভাবতেই গা শিউরে উঠলো স্পৃহার।

কিছুক্ষণ আগের ঘটনা ,

তার মায়ের থেকে ফোন নিয়ে বহুদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বেস্ট ফ্রেন্ডের কাছে কল দেয়ার জন্য ফোন নিয়ে এসেছিল।
সবে মাত্র ডায়াল কলে হাতটা রেখেছে সে আর তখনই এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল।

সুন্দর অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে স্পৃহার দিকে।যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে তাকে। সুন্দর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসে স্পৃহাদের বাসায়। তার স্পর্শকে ছাড়া যেন চলছিল না। তাই স্পর্শের স্পর্শে থাকতে ছুটে আসে। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখতে হবে তা সুন্দরের কল্পনার বাইরে ছিল। সুন্দরের অনুমতি ছাড়া তার স্পর্শ কাউকে কল করতে চলেছিল এটা সে মানতে পারছে না।

-তোমার এতখানি সাহস হলো কি করে যে তুমি আমার
অনুমতি ছাড়া ফোন ধরেছ! আবার কারও সঙ্গে কথা বলার মত দুঃসাহসও দেখিয়েছো ! কেন এমন করলে???? আমার অনুমতির প্রয়োজন মনে করনি তুমি ?

-আপনি আমায় অনুমতি দিতেন?

স্পৃহার এমন কাট কাট জবাবে সুন্দরের রাগ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

-জানো যখন অনুমতি দিতাম না তবে কেন এ কাজ করলে ?

-আপনি অনুমতি দিতেন না বলেই না জানিয়ে এরকম করেছি…

-আমি ছাড়া অন্য কারো সাথে তুমি কথা বলো তা আমি সহ্য করতে পারিনা । সে ছেলে হোক বা মেয়ে । ভুলেও এরকম কোন কাজ করো না যাতে তোমার বন্ধুদেরকে হারাতে হয়!

-সমস্যাটা কি আপনার? মানুষের কি বন্ধু থাকতে পারে না?

-অন্য কারো ব্যাপারে জানি না ।কিন্তু তোমার পারেনা। Mind it.

-আপনার এসব অধিকার ফ..

-sshhuh! আমার অধিকার নিয়ে কোন কথা নয় আগেও ওয়ার্নিং দিয়েছি। নিজের ঠোঁটের যদি বিকৃত অবস্থা না দেখতে চাও তবে এই ধরনের কথা বলোনা। আর তোমার বন্ধুদের কথাও ভুলে যাও। কারন আমি এত মানুষের ক্ষতি করতে চাই না ।এগুলো তো ঠিক না তাই না স্পর্শ?

-You’re a psycho! Totally mad..

-Yeah on you

.

.

.

.

লিহান আর আরিয়ান অনেকক্ষণ হলো নিজেদের বাসায় ফিরেছে ।লিহানের কিছুই যেন ভালো লাগছে না ।এই পরিস্থিতিতে তার কী করা উচিত।! অতীতের সব ঘটনা গুলো মনে পড়ছে । কখনো কখনো মনে হচ্ছে সে ভুল কিছু করছে ,আবার নিজের কাছে হার মেনে ভাবছে স্পৃহা শুধু তারই।
এখন রাত নয়টার মত বাজে ।এমন সময় আরিয়ানের কল!

-কী করছিস তুই ?

-না কিছু না ।বসে ছিলাম ।

-টেনশন করছিস?

-স্বাভাবিক না ? আর মাত্র কয়েক মাস পরেই আঠারো বছর পূর্ণ হবে ওর। তখন আমি চাইলেও ওকে আমার করতে পারবো না ।

-তা আমিও বুঝতে পারছি লিহান ।এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার মাথায় চিন্তা এসেছিল ।এটা বলতেই তোকে কল করেছিলাম।

-আর কয়েক মাস পরে ভাইয়া ওকে নিজের কাছে নিয়ে আসবে ।ওদের মধ্যে তখন কোন দূরত্ব থাকবে না ।আর এমন অবস্থা আমি আমার চোখে দেখতে পারবো না ।এগুলো সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ! তাই ওর আঠারো হওয়ার আগেই ওকে আমার নিজের করে পেতে হবে ।তাছাড়া আমি বাঁচবো না আরিয়ান ।বাঁচবো না!

(লেখক -সামিয়া সারা)

-তোর ভাইয়ের আর ওর মাঝে যে কোন দূরত্ব নেই ,তা তো
হতেই পারে। তুই এতটা নিশ্চিত কীভাবে যে ওদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে ?

-ভাইয়া স্পৃহার কথা খুব মেনে চলে ।স্পৃহা যা চাইবে না ভুলেও ভাইয়া তা করবে না ।

-বিষয়টা আমিও ভেবেছিলাম ।তোর ভাইয়া যেমন মানুষ! স্পৃহা কে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকবে ! দূরত্ব নিশ্চয়ই আছে তা না হলে নিজের করে রাখতো সে যে করেই হোক। নিশ্চয়ই শারীরিক…

-আরিয়ান ! তুই আমার সামনে এ ধরনের কোন কথা উচ্চারণ করবি না!

-আমি তো তোকে ভরসা দিচ্ছিলাম…

– লাগবেনা।

-আচ্ছা আমি তোর অবস্থাটা বুঝতে পারছি । তুই রিলাক্সে
থাক । কাল তো আবার আশিক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করব। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে ।উনি অনেক পাওয়ারফুল ।তুই জাস্ট সবকিছু বলতে থাকিস।

-আমি রাখলাম ।কাজ আছে অনেক ।থাক বাই।

আরিয়ানের আর কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই লিহান কল কেটে দিল।

.

.

.

এদিকে বেশ অনেক সময় হয়ে গিয়েছে সুন্দর তার স্পর্শের সাথে রয়েছে। তবুও তার মনে হচ্ছে যেন মাত্রই এসেছে ।আপেক্ষিকতা!

-আপনি কি বাসায় যাবেন না ?

-তুমি চাইলে থেকে যেতে পারি।

-আপনার এসব ফালতু কথা বন্ধ করবেন দয়া করে ?এগুলো আমি পছন্দ করি না আগেও বলেছি! অনেক রাত হয়ে গিয়েছে ।বাসায় চলে যান ।

-কেন ? তোমার অসুবিধা হচ্ছে ?

-হ্যাঁ হচ্ছে ।

-কী অসুবিধা ? ভয় পাচ্ছো ? নিজের উপর কন্ট্রোল নেই ?

-বন্ধ করবেন প্লিজ ?

-সো সরি। বাট তুমি যদি বলো তবে আমি সত্যিই থাকবো । শুধু তোমার অনুমতির অপেক্ষায়।

-জোর করে আর কতদিন ?

-এখানে জোরাজোরির কিছু নেই স্পর্শ ।তুমি আমার মানে আমার । মেনে নিতে পারলে ভালো ,না মেনে নিতে পারলেও আমারই।

স্পৃহা আর কথা বাড়ালো না। তর্ক করা মানে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা ।সুন্দরকে কোন ভাবেই রাগানো যাবে না।

-চুপ করে গেলে কেন ? থাকবো?

-ভুলে যাবেন না আপনি যে অধিকারে এখানে থাকতে চাইছেন সে অধিকার দেখানোর মতো বয়স এখনো আইনগতভাবে আমার হয়নি ।
এখন যাবেন আপনি এখান থেকে?

-Aww sweetheart,you know we’re married . Two years almost..ahh

(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:5

আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖 বেশ অনেকদিন পরে লিখলাম ।এতদিন দেশের যা অবস্থা ছিল নিজের মধ্যেই টানটান উত্তেজনা কাজ করছিল। তাই লেখাতে মনোযোগ দিতে পারিনি ।পর্বটি ছোট হয়েছে ।একটু মানিয়ে নিন ।ধন্যবাদ আবারো।

N.B. -Don’t copy

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here