সুন্দর_স্পৃহা #সামিয়া_সারা #psychobasedstory পর্ব-১২

0
3

📌📢এলার্ট
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
(Violence alert ‼️)

#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory

পর্ব-১২

স্পৃহার করা প্রশ্ন শুনে রাগে সুন্দরের ঘাড়ের রগ ফুলে উঠেছে । চোখ অসম্ভব লাল। হাতে মুট করায় শিরা এমনভাবে ফুলে উঠেছে যেন মনে হচ্ছে ছিড়ে যাবে। সেকেন্ডে স্পৃহার চোখের দিকে তাকায় সে।

-তুমি ওকে চিনো?

সুন্দরের এমন হুংকারে স্পৃহা ভয়ে কাঁপতে থাকলো ।লিহানকে দেখে বেশ অবাক হয়ে সে এ প্রশ্নটি করে ফেলে । সুন্দর এখন কী করবে তা ভেবে ভয় পাচ্ছে স্পৃহা।

– কী হলো!!! কথা কানে যাচ্ছে না?? তুমি ওকে চিনো ?

-চি..চি…চিনি।

লিহানের থেকে সরে গিয়ে সুন্দর স্পৃহার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো । তার দুইটা হাত প্যান্টের পকেটে রেখে স্পৃহার চোখে শান্ত দৃষ্টি রেখে বলল ,

-কিভাবে চিনো ?

-দুই বছর আগে আমাদের স্কুলের কনসার্টে গিয়েছিলেন ।সেখান থেকে চিনি ।

এ কথা শুনে লিহান চমকিত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। সুন্দরের মুখে কোন ভাব এখনো ফুটে উঠছে না । দৃষ্টি এখনো শান্ত। নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,

-দুই বছর আগের চেহারা তুমি এখনো মনে রেখেছো?

স্পৃহা আমতা আমতা করে কোন উত্তর দিতে পারল না ।এর উত্তরে কী হবে তা তার জানা নেই । তার জন্য এটলিস্ট কারো ক্ষতি করতে পারে না।

স্পৃহার থেকে এমন উত্তর পেয়ে সুন্দরের চেহারা হঠাৎ বদলে যায় । সে স্পৃহার হাতের কব্জি শক্ত করে ধরে টেনে নিয়ে যায় নিজের রুমে। স্পৃহা চাইলেও চিৎকার করতে পারছে না । কারণ সুন্দর রেগে গেলে তাকে সাহায্য করার মত কেউ থাকে না । আর যে সাহায্য করতে চাইবে সুন্দর তাকেও শেষ করে দিবে। এ কারণে স্পৃহা চুপচাপ হাতে ব্যথা সহ্য করে সুন্দরের সাথে যেতে লাগলো।

সুন্দর তাকে রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। ডিভানে পায়ের উপর পা তুলে বসে স্পৃহাকে আদেশের স্বরে ডাকল,

-স্পৃহা!

চকিত চাহনি স্পৃহার। সুন্দর তাকে অন্য নামে ডাকছে তারমানে সুন্দর নিজের মধ্যে নেই । ভয়ে স্পৃহার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে । এখন কী করবে সে? চিৎকার করবে ?কিন্তু কেউ তো শুনবে না তার চিৎকার । পালানোর তো কোন উপায় নেই ! সামান্য একজনকে চিনি বলেছি বলে এমন করবে?

-আমি তোমাকে এখন যা যা বলবো তুমি ঠিক তাই তাই করবে।

-আমি শুধু ওনাকে চিনি বলেছিলাম । তাই বলে আপনি এমন করবেন ? একেবারে মনুষত্ব নেই ?

-আমি মূর্খ নই স্পৃহা! দুই বছর আগে একটা মানুষকে কিছু সময়ের জন্য দেখে তুমি তার চেহারা মনে রেখেছো? এটা সামান্য বিষয় মনে হচ্ছে ? আমি তোমাকে যা যা বলবো তুমি তাই করবে কিনা? হ্যাঁ অথবা না? তোমার উপরে আমার পরিবার আর তোমার পরিবার নির্ভর করছে ! আমি কিন্তু সব শেষ করে দেব স্পৃহা! করবে না? (লেখিকা -সামিয়া সারা)

– বলুন, আমি করছি।

– ওই আলমারির কাছে যাও !

স্পৃহা রোবটের মতো উঠে আলমারির কাছে গেল। আলমারির কাছে দাঁড়িয়ে পেছন ঘুরে সুন্দরের দিকে তাকালো, সুন্দর তখন বলল ,

-ড্রয়ারে দেখো বেল্ট রাখা আছে ,নিয়ে আসো।

স্পৃহা ড্রয়ার থেকে বেল্ট হাতে নিয়ে সুন্দরের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো । কী করতে চাচ্ছে সুন্দর !

-আহা দেরি করো না ! আসো আসো।

ঠিক যেভাবে স্পৃহা আলমারির কাছে গিয়েছিল একইভাবে বেল্টটা হাতে নিয়ে সুন্দরের সামনে আসলো। সুন্দর স্পৃহার হাত থেকে বেল্টটা নিয়ে নিজের হাতের সাথে পেঁচিয়ে স্পৃহার চোখের দিকে এক মিনিট তাকিয়ে থেকে তীকে প্রশ্ন করল ,

-তুমি ওকে কিভাবে চিনো ?

-বিশ্বাস করুন !আমি ঐ কনসার্টের দিনই ওনাকে প্রথম দেখেছিলাম । তার আগেও দেখিনি কখনো ,তারপরেও দেখিনি।

তোমার সাথে ওর কথা হয়েছিল ? কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে স্পৃহা জবাব দিল,

– না..

-তাহলে কী করে মনে থাকলো ওর কথা ? এত আগে কারো চেহারা তাও আবার মাত্র একবার দেখে তো মনে থাকার কথা না । সত্যি বলো!

সুন্দর নিজের হাতে পেঁচিয়ে রাখা বেল্টটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্পৃহার কথা শুনতে লাগলো।

সুন্দরের মনে হচ্ছে স্পৃহা প্রত্যেকটা কথা যুক্তিহীন ভাবে বলছে । তার রাগ দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলেছে । হঠাৎ মনের মত জবাব না পেয়ে সুন্দর তার হাতে থাকা বেল্ট দিয়ে স্পৃহা কে জোরে আঘাত করলো।

-তারমানে লিহান তোমায় মনে রাখেনি! তোমার এত বড় সাহস হয় কিভাবে!

বেল্টের আঘাতে স্পৃহা যতটুকু ব্যাথা পেয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ ব্যথা পেল ছিটকে পড়ে টেবিলের কোনায় নিজের মাথা লাগায়।
সুন্দর স্পৃহা কে তুলে আবার প্রশ্ন করল ,

-তোমাকে লিহান দেখেছিল ? সত্যি বলো ! ওর চোখ দুটো এখনি গে*লে দিব তাকালে!

– না! তাকায়নি!

সুন্দর আবার স্পৃহাকে প্রশ্ন করল ,

-তার মানে তুমি ওকে দেখেছিলে!!!

নিজের রাগ সে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না । সজোরে থা*প্পর মারলো স্পৃহা কে। ঠোঁটের কোনা দিয়ে র*ক্ত পড়ছে ,তবুও সুন্দরের মন গলছে না! স্পৃহার নিজের চাপা কান্না কে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এক পর্যায়ে শব্দ করে কাঁদতে লাগলো । সুন্দর স্পৃহার এমন কান্না সহ্য করতে না পেরে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সুন্দরের জ্বরের মাত্রা এখনো কমেনি । তার উপর স্পৃহার সাথে এমন আচরণ করল । তবুও তার রাগ কিছুতেই কমছে না ! কিন্তু অপরদিকে স্পৃহার এমন কান্না দেখে নিজের বুকের ভেতরটাও যেন ফেটে যাচ্ছে । কী করে আবার নিজেকে শাস্তি দিবে সে ভাবতে লাগলো।

.

.

.

সুন্দর রুম থেকে বেরিয়ে আসার পরও স্পৃহা একটানা কান্না করেই চলেছে । কনসার্টে লিহানকে প্রথম দেখে তার ভালো লেগেছিল এ কথা সে সুন্দরকে কিভাবে জানাবে ?! সুন্দর তাকে প্রাণে না মারলেও লিহানকে পুরো শেষ করে দিবে তা স্পৃহা খুব ভালো মতোই জানে। স্পৃহার স্কুলের সকল বন্ধুরা জানে যে সে প্রথম দেখে লিহানকে পছন্দ করে ছিল। এমনকি নিজে আগ বাড়িয়ে লিহানের সাথে কথাও বলতে গিয়েছিল । এসব খবর যদি সুন্দর পায় কোনভাবে?!!

(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:12

আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖(twist ta kemon laglo?🥸)

Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺🫶🏻Apnader sobar comment e ami pori,ar reply o deoar try kori sobaike,tai sobai beshi beshi inspire korben🥺 apnarder valobasha te ami mugdho hoyechi,shob somoy evabei jeno pashe pai🥰pabo to!?🥺 Good night 🥹

N.B. -Don’t copy

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here